বোম্বে টকিজ রিভিউ।

২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ৩:০২

অনেকের কাছ থেকেই শুনেছিলাম ২০১৩ সালের ৩ মে মুক্তি পাওয়া হিন্দী সিনেমা বোম্বে টকিজ সম্পর্কে, দেখি দেখি করেও দেখা হচ্ছিলো না, আজ একটু আগে দেখা শেষ করলাম।



সত্যজিৎ রায়ের 'পটল বাবু' ছোট গল্পের ফিল্ম অ্যাডাপ্টেশন ছিলো দিবাকর ব্যানার্জীর 'স্টার' শর্ট ফিল্ম টা, বেশ কয়েক বছর আগে একই গল্প নিয়ে করা আমাদের গুণী অভিনেতা আবুল হায়াতের 'আহ!' শিরোনামের একটা টিভি নাটক দেখেছিলাম। বলা বাহুল্য 'স্টার' এর চেয়ে 'আহ!' বেশি ভালো লেগেছিলো।



কারাণ জোহরের 'আজীব দাসতা হ্যায় ইয়েহ' অনেক বেশি ভালো হয়েছে, মেসেজ টা চরম ছিলো-কেন্দ্রীয় চরিত্র 'দেব' তার সারাটা জীবন মিথ্যের সাথে কাটিয়েছে, আর যে কোন মিথ্যে মানেই তো খারাপ! ছবিটি সময়ের একটা বাস্তব দর্পণ। রাণী মুখার্জী তো রাণীই, শী ইজ টু গুড ইন দ্য ক্যারেক্টার অভ 'গায়ত্রী'। তবে 'আবিনাশ' চরিত্রে সাকিব সেলিম, আর 'দেব' চরিত্রে রনদীপ হুদার সাহসী অভিনয় রীতিমত অবাক করেছে।



জয়া আখতার পরিচালিত 'শীলা কি জাওয়ানি' বেশ ইনোভেটিভ আইডিয়ার চিত্রায়ণ, এমন টা সচরাচর দেখা যায় না মেইনস্ট্রিম সিনেমায়। শী ইজ জাস্ট আ ব্রিলিয়ান্ট ডিরেক্টর। নামান জেইন নামের পিচ্চি অ্যাক্টর টা বেশ ভালো অভিনয় করেছে।



তবে নির্মাণের দিক দিয়ে অনুরাগ কাশ্যাপের 'মুরাব্বা' সবচাইতে ভালো হয়েছে। ভারতীয় সমাজে চলচ্চিত্র আর এর সাথে সংশ্লিষ্ট শিল্পীরা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেই সাথে পিতার প্রতি পুত্রের কর্তব্য, জীবনের টানাপোড়েন একই সাথে জীবন চক্রের আবর্তন-সব মিলিয়ে এক কথায় বলা যায় পুরো ছবিটা ছিলো, অসাধারণ।



আর এই ভিন্ন স্বাদের চারটি শর্টফিল্ম নিয়ে নির্মিত ১২৮ মিনিট দৈর্ঘ্যের 'বোম্বে টকিজ' ভারতীয় চলচ্চিত্রের শতবর্ষ উদযাপনে এক অনন্যসাধারণ উপযোগ ছিলো নিঃসন্দেহে। বাংলাদেশী সিনেমা কবে যে কোন গল্প কথনের ক্ষেত্রে সেই ধরণের স্বাধীন পর্যায়ে পৌঁছাবে-সেই সুদিনের অপেক্ষায় রইলাম।

১০ টি +১/-০