নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর একজন স্হায়ী অধিবাসীর ব্লগ... ... ...

আর ভালা লাগে না, ইসটুডেন থাকতে কত সুখে আছিলাম!!

ইসটুপিড

ভালবাসি আলকেমি (পারিনা যদিও)

ইসটুপিড › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুভি রিভিউ: Spy =p~

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭

এই ২০১৫ সালে আইসা এই নামে সিনামা কেউ বানাইতে পারে ভাবলেও অবাক লাগে। কিন্তু বানানো হইছে :| আসেন আগে কাহিনীর কিঞ্চিৎ স্পয়লার করা হউক ,)

সুসান কুপার। সিআইএর একজন ডেস্ক-বাউন্ড এনালিস্ট, যার মেইন কাজ হইল টপ এজেন্ট ব্রাডলি ফাইনরে ফিল্ডে এনসিস্ট করা। টিহোমির বয়ানভ নামে এক ইউরোপিয়ান ক্রাইম বসরে ধরে ফাইন, এই লোক একটা পোর্টেবল নিউক্লিয়ার বুমা নিয়া ব্ল্যাকমেইলের ধান্দায় আছিল। কিন্তু বুমাটা কই রাখছে জানার আগেই ফাইন হাঁচি মাইরা টিহোমিররে মাইরা ফেলে (ঠিকই পড়ছেন, হাঁচি মাইরাই)। এখন এই বুমা কই আছে জানে কেবল মাত্র টিহোমিরের ফ্যাশন-পাপী, সুপার স্মার্ট/সেক্সি/হট কণ্যা রায়না। রায়নার কাছ থিক্ক্যা খবর আনতে যায়া মারা যায় ফাইন আর সিআইএ জানতে পারে রায়না চিনে তাবৎ সিআইএ টপ এজেন্টরে। তাইলে বুমা উদ্ধার কইরা দুনিয়ারে বাঁচাইব কেডা? ফাইন হত্যার প্রতিশোধ নিব কেডা?

আগায়া আসে সুসান কুপার ভলান্টিয়ার হয়া, সাথে নেয় জানের জিগরি বান্ধবী এবং কলিগ ন্যান্সিরে সাইডকিক হিসাবে। সুসানের বস এলেইন ক্রুকার আবিস্কার করে সুসান ছিল হের ব্যাচের সবচেয়ে সেরা, জাস্ট ফাইনের প্রতি দুর্বলতার জন্য ফিল্ডে না যায়া ফাইনের সাইডকিক হয়া ছিল লাস্ট ১০ বছর। সুসানরে ফিল্ডে পাঠানির তেব্র প্রতিবাদ করে রিক ফোর্ড। এই লোক আরেক টপ এজেন্ট, কিন্তু ক্রুকার হেরে পারমিশন না দেয়ার হে রিজাইন কইরা বিদায় নেয় সিআইএ থিক্ক্যা।

সুসানরে কঠিন ইনস্ট্রাকশন দেয়া হয়, কোনভাবেই যেন রায়নার সাথে এনগেজড না হয়, হের কাম হইল শুধু ফলো করা। সমস্যা হইল রায়নার অন্য শত্রুরও অভাব নাই, এরকম একজনে রায়নার ড্রিন্কে বিষ মিশায়া দিলে, সুসান দেইখা ফেলে, বাধ্য হয়া রায়নারে বাঁচাইতে যায়। রায়না এরপর আরও কিছু কঠিন ফাপড়ে পইরা সুসানরে নিজের বডিগার্ড হিসাবে মাইনা নেয়।

এই হইল শুরু। এরপর সুসান চেষ্টা করতে থাকে নিউক্লিয়ার বুমাটা উদ্ধার করতে। করতে গিয়া দেখে সিআইএ ভর্তি ডাবল এজেন্ট। এর ভিত্তে আছে রিক ফোর্ড, হে নামে করছে রিজাইন....অথচ নিজে নিজে ফাইন হত্যার প্রতিশোধ নিতে যায়া পদে পদে বাগড়া লাগায় সুসানের কামে। আছে ইটালিয়ান হেল্পিং হ্যান্ড, সুপার রোমিও, আলডো। এই লোক কোন মেয়ে দেখলেই প্রোপজ কইড়া বসে আর কিস করতে আগায়া যায়। বাট এতকিছুর পরও যেহেতু সিনামা, বুঝতেই পারতাছেন নায়িকা অবশ্যই সফল হইব সিনামার লাস্টে। হইছেও। বাকিটা জানতে সিনামাটা নামায়া দেইখা লন। কাহিনী আর কমু না।





এইবার সিনামার চামড়া ছিলি কিছুটা। সুসান কুপারের এক্টিং করছে ম্যালিসা ম্যাকার্থি। এই মহিলারে দুইচউক্ষে দেক্তারিনা, এরে দেখলেই বুঝতে হইব সিনামা অতি নিম্নমানের কমেডি। বিশ্বাস রাখেন আমার উপ্রে, এই সিনামাটা সেরকম না। এই ফিগার নিয়া ম্যালিসা যেই একশন দেখাইছে, দেখলে তাজ্জব হয়া যাইবেন। আছে জুড ল, করছে ব্রাডলি ফাইনের রোল। এই ক্যারেক্টারটার একটা টুইস্ট আছে, সিনামায় দেইখেন, মজা পাইবেন। তয়, সিআইএ অপারেটিভ হিসাবে জুড লর এক্টিং ভাল হয় নাই। ব্রিটিশ বডি মুভমেন্ট বেশি আসছে, আমেরিকান হিসাবে মানায় নাই।

এইবার আসেন রায়নার ক্যারেক্টার নিয়া। আমি কিঞ্চিৎ ফিদা হয়া গেছি রোজ বায়ার্নের এই সিনামা দেখার পর থিক্ক্যা। পুরাই ফ্যাশন-ফ্রিক, অহংকারী টপটেররের একটা ক্যারেক্টার অথচ ভাল কইরা দৌড়াইতেও পারে না। নিজের বিদঘুইটা চুলের স্টাইলের প্রতি তার ব্যাপক খুতখুতানি, কেউ চুলে হাত দিলে বা চুল নিয়া কিছু কইলে পারলে কাঁচা খায়া ফালায়। ওহ, রোজ বায়ার্ন, আইলাবু


তয় আমার মতে কমেডি পার্টে সিনামার মেইন এট্রাকশন হইল জ্যাসন স্টেটহ্যাম। ইটালিয়ান জবের পর জেসনরে আর কোন কমেডি মুভিতে দেখছি বইলা মনে পড়ে না। এই সিনামায় সে একটা মাল। বসে যখন কয়, তুমারে ফিল্ডে পাঠানি যাইবনা তুমার চেহার সবাই চিনে; হে সুজাসাপ্টা প্রস্তাব দেয় হে ফেসচেন্জিং মেশিনে চেহারা পাল্টায়া নতুন চেহারা নিয়া যাইব। শুইনা বেবাকে হাসে দেইখা হে রিজাইন করে কারণ এই মেশিন অবশ্যই আছে, হের কাছে সিক্রেট রাখা হইছে বইলা। সুসানের কামে বারবার বাগড়া দেয় আর কয় আগে অমুক জায়গায় তমুক করছে, তমুকের লুঙ্গি পুরা খুইলা বুড়িগঙ্গায় ভাসায়া দিছে। বাস্তবে কিছুই করতে পারেনা। বিশ্বাস করেন পুরা সিনামায় হে একটা ফাঁকা গুলিও করে নাই। খালি মনে হয় দুইজনরে ঘুষি মাইরা রাতের অন্ধকারে পালাইছে একবার। আর লাস্টে মামায় যা দেখায় না

তয় এই সিনামার একটা জিনিষ খুবই খারাপ। সুসানের ফিগার বা ন্যান্সির অতি উচ্চতারে বারবার বাজে সব ভাষায় ইংগিত করা হইছে। প্রোফেশনাল ক্রিটিকরাও এই জিনিষটারে মার্ক করছে। অবশ্য সুসান মুটামুটি সব কয়টা কমেন্টেরই দাঁতভাঙা জবাব দিছে। তারপরও এই ধরণের কমেন্ট পুলাপানরে না দেখানিই ভাল।

এতকিছুর পরও দেখবেন কিনা আপনেগর ইনসাফ। বাট লাস্টে জানায়া রাখি তাবৎ ক্রিটিক সিনামাটারে ব্যাপক প্রশংসা করছে ম্যালিসা আর রোজ বায়ার্নের চমৎকার এক্টিং-এর জন্য। রোটেন টমাটোতে আজকে দেখলাম ৯৩% ফ্রেশ রেটিং পাওয়া, আর বক্স অফিসে ভাল ব্যাবসার রেকর্ড আছেই। দেখতে পারেন, বারবার দেখতে পারেন হয়ত, আসলেই মজার একটা মুভি।

ডাউনলোড লিংকের লিগা মডুর লগে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করতাছি B-)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪০

অগ্নি সারথি বলেছেন: একশন হিরো হিসেবে স্ট্যাটহেমের আমার চরম লাগে। রিভিউ ভাল হইসে। লিংক মডু দিব ক্যান?

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩

ইসটুপিড বলেছেন: সেইটাও মডুরে জিগান :D

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২

সুমন কর বলেছেন: বেশ মজা করে রিভিউ লিখছেন.......... !:#P

সময় করে দেখে নেবো......

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪

ইসটুপিড বলেছেন: দেইখেন, খুব ভালা লাগব :-0

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.