নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবাসী মন!
এ এমন এক আনন্দ যার ভাগীদার হতে পেরে শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়াও সমানভাবে গর্বিত৷ বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৬ মেয়েদের দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দু'জনই৷ কিন্তু এর বাইরে শুধুই অবহেলা আর অপমান জুটেছে তাদের ভাগ্যে! -_-
ঢাকায় এ সপ্তাহেই শেষ হলো এশিয়ার মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবলের গ্রুপ ‘সি'-র বাছাই পর্ব৷ সেখানে ৫ ম্যাচে ২৮ গোল করে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েই চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা৷ সবাই আনন্দে উচ্ছ্বসিত, গর্বিত৷ কৃষ্ণা, তহুরা, তাসলিমাদের অভিনন্দন জানাচ্ছেন সবাই৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিনন্দন জানিয়েছেন৷
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াও অজপাড়াগাঁ থেকে উঠে আসা কিছু সুবিধাবঞ্চিত মেয়ের এভাবে দেশের মুখ উজ্জ্বল করার ঘটনায় আপ্লুত৷ ইরান, সিঙ্গাপুর, কিরগিজস্তান, তাইওয়ান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে এশিয়ার সেরা আটটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের আসন করে নেয়ায় কিশোরী ফুটবলারদের তিনিও অভিনন্দন জানিয়েছেন৷
অভিনন্দনের মিছিলে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দীনের নামটিও দেখলাম৷ বিদেশ থেকে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘সভাপতি হিসেবে (আমার জন্য) এর চেয়ে বড় খবর আর কী হতে পারে? বাংলাদেশ ফুটবলের সভাপতি হবার পর এটাই আমার কাছে এ যাবতকালের সেরা খবরগুলোর মধ্যে একটি৷ ... যতগুলো ম্যাচ আমি দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে, ওরা বাংলাদেশ ফুটবলের ব্যতিক্রমধর্মী সংঘবদ্ধ একটি দল৷''
দুঃখের বিষয়, সানজিদা, মারিয়া, মৌসুমী, কৃষ্ণা, তাসলিমারা ‘সংঘবদ্ধ দল' হয়ে উঠলেও, বাফুফে এখনো ‘সংঘবদ্ধ', ‘সুশৃঙ্খল' বা অনুকরণীয় ‘কর্মীদল' হতে পারেনি৷ তা যদি হতো, তাহলে সভাপতির কথার সঙ্গে বাফুফের কাজের কিছুটা মিল অন্তত থাকতো৷ সভাপতি অনূর্ধ-১৬-র যে মেয়েদের সাফল্যে গর্বিত, তাদের প্রতি সম্মান, সহানুভূতি বাফুফেও নিশ্চয়ই দেখাতো৷ কিন্তু বাফুফে তা একটুও দেখায়নি৷ এত বড় একটা সাফল্যের পর লোকাল বাসে বাড়ি পাঠিয়ে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের বরং অসম্মানই করেছে বাফুফে৷
ঈদের আগে পথেঘাটে যতরকমের দুর্ভোগ থাকে তার চেয়েও বেশি দুর্ভোগ সয়ে মেয়েরা একটু দেরিতে হলেও যার যার বাড়ি পৌঁছেছে৷ বাড়িতেও সবার অভিজ্ঞতা ভালো হয়নি৷ কলসিন্দুর গ্রামে তাসলিমার বাবাকে পিটিয়েছে এক স্কুলশিক্ষক৷ দেশের হয়ে খেলা কলসিন্দুরের সব মেয়েকে ঢাকার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়ে স্কুলের হয়ে খেলার আদেশ দিয়েছিলেন সেই শিক্ষক৷ আদেশ অমান্য করার কারণেই নাকি প্রথমে মেয়েকে গালাগাল এবং তারপর বাবাকে মারধর!
বাবার অপমানের বিচার চেয়েছেন তাসলিমা৷ আমরাও চাই৷ চাই অভিযোগ তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হোক৷ তবে বাফুফের কর্মকর্তাদেরও কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক৷ তাঁরা বলুক, দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনা মেয়েদের ‘অসম্মান' করে অন্যদেরও সেই সুযোগ করে দেয়ার অধিকার তাঁদের কে দিয়েছে?
কৃতী মানুষদের সম্মান জানাতে কোটি টাকার দরকার হয়না৷ সম্মান জানাতে জানতে হয় এবং সম্মান জানানোর সদিচ্ছাটা সাধ্য অনুযায়ী কাজে প্রকাশ করতে হয়৷(#ডয়চে ভেলে)
বাফুফে যদি দুটো মাইক্রোবাস ভাড়া করেও মেয়েদের বাড়ি পাঠানোর উদ্যোগ নিতো, তাহলেও কিন্তু এত কিছু হয়না৷ মাইক্রোবাস বাড়ি বাড়ি গিয়েও মেয়েদের পৌঁছে দিতে পারতো, গ্রামবাসী দেখত তাদের গ্রামের মেয়েদের দেশ সসম্মান বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে৷ তখন আর লোকাল বাসের দুর্ভোগ, অপমান সইতে হতো না তাসলিমাদের৷ কোনো শিক্ষকও হয়ত ছাত্রীর বাবার গায়ে হাত তোলার স্পর্ধা দেখাতেন না৷
বাফুফে সংবর্ধনা দিতে হয়ত শিখেছে, কিন্তু সম্মান জানাতে শেখেনি৷ সে কারণেই এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই মেয়েদের এত অপমান!
২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
জাতির শক্তিশালী মেয়েদের জন্য অভিনন্দন রলো।
৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:০৮
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: খবরটা যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে বাফুফের কর্মকর্তাদের শাস্তি হওয়া উচিৎ
৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৮
মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: এই ঐটুকুই শুধু আছে আমাদের দেশের হাই প্রোফাইল অফিসিয়ালদের। কথায় আছেনা, যে দেশে জ্ঞানী আর গুণীদের সম্মান নাই সে দেশে গুণী জন্মায় না। এই অসভ্যতার জন্য নিন্দা জানাচ্ছি। অভিনন্দন বাংলাদেশ অনুর্ধ ১৬ প্রমিলা দল।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্টের জন্য।
৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০
বাংলার জামিনদার বলেছেন: আর সেই সব চুতিয়া কর্মকর্তারা দেখবে হেলিকপ্টার ভাড়া করে বাড়ি ফিরবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
পেট মোটা, মাথা ছোট বানর পানর ঔসব বাফুফে মাফুফে ঢুকে গেছে; ঝাটা মারেন, এসব বানরদের।