![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন মুসলিম এই সুন্দর পৃথিবীকে ভালবাসি ভালবাসি আমার মা বাবাকে আমি আমার জীবনকে ইসলামের বিধি বিধান মোতাবেক গড়তে চাই।চাই এই পৃথিবীতে মানুষের কল্যান করে বাচতে। আমার প্রোফাইল যে চেক করছেন আমি আপনাকে উদ্দেশ্য করে বলতেছি ভালো কাজ করুন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করুন। নির্ভুল জ্ঞানের উৎস কী?? ইসলামের মতে, একমাত্র আল্লাহর দেওয়া জ্ঞানই নির্ভুল ও শাশ্বত। বিশুদ্ধ জ্ঞান চিরন্তন সত্য। বিশুদ্ধ জ্ঞান একসময় আবার অশুদ্ধ হয়ে যায় না। তাই আল্লাহর দেওয়া নির্ভুল জ্ঞানের ভিত্তিতে মানব জীবন পরিচালিত হলে কোন সময়ই বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে না। মানুষের মেধা, বুদ্ধি ও প্রজ্ঞা যদি আল্লাহর দেওয়া জ্ঞানকে অবলম্বন করে, তাহলে তারা যত জ্ঞান আহরণ করবে সবই বিশুদ্ধ ও নির্ভুল হবে। আল্লাহর দেওয়া জ্ঞানকে বাদ দিয়ে মানুষ যতই জ্ঞান চর্চা করবে তাতে নির্ভুল জ্ঞানের নিশ্চয়তা নেই। পরিবার গঠন, সমাজ গঠন, রাষ্ট্র ব্যবস্থা, সরকার পরিচালনা, অর্থনৈতিক বিধান, শিক্ষা ব্যবস্থা, জনগণের পারস্পরিক সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ইত্যাদি অগণিত ব্যাপার রয়েছে, যেখানে নির্ভুল জ্ঞান না থাকার কারণে ভুল জ্ঞানের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। ভুল জ্ঞান প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে বাস্তবে সমস্যা দেখা দেয়। তখন নতু করে জ্ঞান লাভ হয়। সে জ্ঞান প্রয়োগ করার পর আবার সমস্যা দেখা দিলে নতুন জ্ঞানের ভিত্তিতে আবার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এভাবে মানবজাতি ভুল সংশোধন করে করেই জীবনের ঘানি টেনে চলেছে। এ বাস্তব পরিস্থিতির ভিত্তিতে জার্মান দার্শনিক ফ্রেডারিক হেগেল Dialectism (দ্বন্দ্ববাদ) নামক থিউরিটি পেশ করেন, যা পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রধান ভিত্তি হিসেবে স্বীকৃত। সহজ ভাষায় তার থিউরিটি হল এ রকম--- মানুষ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে চিন্তা-গবেষণা, সাধনা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কোন জ্ঞানকে সঠিক হিসাবে গ্রহণ করে। এই জ্ঞানটি তখন thesis হিসাবে গণ্য হয়। যখন এই thesis বাস্তবে প্রয়োগ করা হয় তখন অভিজ্ঞতায় কতগুলো ভুল ধরা পড়ে। এ ভুলগুলোকে তিনি Anti-thesis নাম দিয়েছেন। thesis and Anti-thesis এর দ্বন্দ্বে যা ভুল বলে প্রমাণিত তা বর্জন করে নতুন জ্ঞান সংযোজন করতে হয়। thesis এর মধ্যে যা নির্ভুল তা বহাল রেখে এবং যা ভুল তা পরিবর্তন করে নতুন জ্ঞানের সমন্বয়ে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তার নাম তিনি দিয়েছেন Synthesis. এই Synthesis তখন নতুন thesis এর মর্যাদা পেল। যখন এ নতুন থিথিসটি বাস্তবে প্রয়োগ করা হয় তখন আবার কতগুলো ভুল ধরা পড়তে পারে। সে ভুলগুলো আবার নতুন এন্টি-থিথিস হিসেবে গণ্য হয়। thesis ও Anti-thesis এর এ দ্বন্দ্বের পরিনামে আবার সিনথিথিসের জন্ম নেয়। হেগেলের মেত, এ দ্বান্দ্বিক পদ্ধতিতেই ভুল সংশোধন করে করে মানব সভ্যতা উন্নতির পথে এগিয়ে চলছে। পাশ্চাত্য সভ্যতা এ মতবাদকেই সঠিক বলে বিশ্বাস করে। এ থিউরি পরিনামে এমন এক বিশ্বাস জন্ম নেয়, যা অত্যন্ত মারাত্মক ও বিভ্রান্তিকর। আর তা হলো, পুরাতনকে পরিত্যাজ্য বলে বিশ্বাস করা। যেহেতু এন্টি-থিথিস হিসেবে যা ভুল হিসেবে ধরা পড়লো তা ত্যাগ করে এগুতে হচ্ছে, সেহেতু যা পুরাতন হিসেবে পরিত্যাগ করা হয় তা চিরকালই পরিত্যাজ্য। এ থিউরি অনুযায়ী যা পুরানো তাকে কিছুতেই গ্রহণ করা চলে না। মানব সভ্যতা নতুনকে গ্রহণ করে করেই এগিয়ে চলছে, পুরানো চিন্তা, মত ও পথ কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ থিউরি যাদের মগজ দখল করে নিয়েছে তারা কুরআন সম্পর্কে এ মন্তব্য করতে বাধ্য যে, ১৪ শত বছরের পুরানো জ্ঞান আধুনিক যুগে অচল। যা অতীত কালের তা এযুগে চলতে পারে না। এ সিদ্ধান্ত কত মারাত্মক। প্রাচীন চিন্তাধারা, জ্ঞান, মত ও পথ সবই বর্জনীয় বলে বিশ্বাস জন্মিলে যা নতুন তা যত ভ্রান্তই হোক, তা গ্রহণীয় বলেই বিবেচিত হতে বাধ্য । অথচ এমন থিউরি যুক্তির কষ্টিপাথরে এক মুহূর্তেও টিকে না। ‘সত্য কথা বলা ভালো’ ‘মিথ্যা বলা মন্দ’- এ চিন্তাটি কত প্রাচীন! প্রাচীন বলেই কি এ মহাসত্য পরিত্যাজ্য বলে কেউ দাবি করতে সাহস করবে? সকল মানবীয় গুলাবলী জ্ঞানের ময়দানে প্রাচীন। মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ সবই প্রাচীন। হয়তো এ কারণেই আধুনিকত্ব রোগে আক্রান্ত যারা তাদের নিকট নৈতিক মূল্যবোধের কোন মূল্যই নেই।
এর উত্তর হল, অবশ্যই জ্বীন মানুষকে আছর করতে পারে। স্পর্শ দ্বারা পাগল করতে পারে। মানুষের উপর ভর করতে পারে। তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তার জীবনের স্বাভাবিক কাজ-কর্ম ব্যাহত করতে পারে। এটা বিশ্বাস করতে হয়। তবে এ বিষয়টি কেহ অবিশ্বাস করলে তাকে কাফের বলা যাবে না। সে ভুল করেছে, এটা বলা হবে।জ্বীন যে মানুষকে আছর করে তার কিছু প্রমাণ: আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন-
الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ
যারা সুদ খায়, তারা তার ন্যায় দাড়াবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দেয়। (সূরা আল বাকারা : ২৭৫)
এ আয়াত দ্বারা যে সকল বিষয় স্পষ্টভাবে বুঝা যায়:
এক. যারা সূদ খায় তাদের শাস্তির ধরণ সম্পর্কে ধারণা।
দুই. শয়তান বা জ্বীন মানুষকে স্পর্শ দ্বারা পাগলের মত করতে পারে।
তিন. মানুষের উপর শয়তান বা জ্বীনের স্পর্শ একটি সত্য বিষয়। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
চার. জ্বীন-শয়তানের এ স্পর্শ দ্বারা মানুষ যেমন আধ্যাত্নিক দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তেমনি শারীরিক দিক দিয়েও অস্বাভাবিক হয়ে যায়।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
আর যে পরম করুণাময়ের জিকির থেকে বিমুখ থাকে আমি তার জন্য এক শয়তানকে নিয়োজিত করি, ফলে সে হয়ে যায় তার সঙ্গী। (সূরা যুখরুফ : ৩৬)
এ আয়াত দ্বারা যা স্পষ্ট হল : মহান রাহমান ও রহীম আল্লাহ তাআলার জিকির থেকে বিরত থাকা জ্বীন শয়তানের স্পর্শ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার একটি কারণ।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
আর স্মরণ কর আমার বান্দা আইউবকে, যখন সে তার রবকে ডেকে বলেছিল, শয়তান তো আমাকে কষ্ট ও আযাবের ছোঁয়া দিয়েছে। (সূরা ছোয়াদ : ৪১)
এ আয়াত দ্বারা আমরা স্পষ্টভাবে বুঝলাম:
এক. শয়তান নবী আইউব আলাহিস সালামকে স্পর্শ করে শারীরিক রোগ-কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছিল।
দুই. তিনি শয়তানের স্পর্শ থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছেই প্রার্থনা করেছিলেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
নিশ্চয় যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে যখন তাদেরকে শয়তানের পক্ষ থেকে কোন কুমন্ত্রণা স্পর্শ করে তখন তারা আল্লাহকে স্মরণ করে। তখনই তাদের দৃষ্টি খুলে যায়। (সূরা আল আরাফ : ২০১)
এ আয়াত থেকে যা বুঝে আসে তা হল:
এক. যারা মুত্তাকী বা আল্লাহ ভীরু তাদেরকেও জ্বীন বা শয়তান স্পর্শ করতে পারে। তারা মুত্তাকী হয়েও জ্বীন বা শয়তানের আছরে নিপতিত হতে পারে।
দুই. যারা মুত্তাকী তাদের শয়তান বা জ্বীন স্পর্শ করলে তারা আল্লাহ-কেই স্মরণ করে। অন্য কোন কিছুর দ্বারস্থ হয় না।
তিন. মুত্তাকীগণ জ্বীন বা শয়তান দ্বারা স্পর্শ হয়ে আল্লাহকে স্মরণ করলে তাদের সত্যিকার দৃষ্টি খুলে যায়।
মানুষের উপর জ্বীনের আছর : কারণ, প্রতিকার ও সুরক্ষার উপায় -ek
আল্লাহ তাআলা বলেন:
আর যদি শয়তানের পক্ষ হতে কোন প্ররোচনা তোমাকে প্ররোচিত করে, তবে তুমি আল্লাহর আশ্রয় চাও। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (সূরা আল আরাফ : ২০০)
এ আয়াতে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হল:
এক. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামকেও জ্বীন-শয়তান আছর করতে পারে।
দুই. জ্বীন আছর করলে বা শয়তানের কুমন্ত্রণা অনুভব করলে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিন. সূরা আল ফালাক ও সূরা আন-নাছ হল জ্বীন শয়তানের আছর থেকে আশ্রয় প্রার্থনার অতি মুল্যবান বাক্য। এ আয়াতের তাফসীর দ্বারা এটা প্রমাণিত।
হাদীসে এসেছে - আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, অবশ্যই শয়তান মানুষের রক্তের শিরা উপশিরায় চলতে সক্ষম। ( বুখারী ও মুসলিম)
হাদীসে আরো এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন বললেন, গত রাতে একটি শক্তিশালী জ্বীন আমার উপর চড়াও হতে চেয়েছিল। তার উদ্দেশ্য ছিল আমার নামাজ নষ্ট করা। আল্লাহ তার বিরুদ্ধে আমাকে শক্তি দিলেন। ( বুখারী, সালাত অধ্যায়)
ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী রহ. এ হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত নাসায়ীর বর্ণনায় আরো এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি তাকে ধরে ফেললাম। আছার দিলাম ও গলা চেপে ধরলাম। এমনকি তার মুখের আদ্রতা আমার হাতে অনুভব করলাম।
এ হাদীস থেকে আমরা যা জানতে পারলাম :
এক. জ্বীন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামকেও আছর করতে চেয়েছিল।
দুই. জ্বীনটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নামাজ নষ্ট করার জন্য তাঁর কাছে এসেছিল।
তিন. ইফরীত শব্দের বাংলা অর্থ হল ভূত। জ্বীনদের মধ্যে যারা দুষ্ট ও মাস্তান প্রকৃতির তাদের ইফরীত বলা হয়।
চার. জ্বীন দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন ভয় পাননি। তিনি তার সাথে লড়াই করে পরাস্ত করেছেন।
পাঁচ. জ্বীনদের শরীর বা কাঠামো আছে যদিও তা সাধারণত আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় না।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৯
জাবের খান বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আল্লাহ আমাদেরকে মন্দ ও শয়তানের ষ্পর্শ থেকে বেঁচে থাকর তৌফিক দান করুন।
ভাল লাগল
+++
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১
জাবের খান বলেছেন: ধন্যবাদ. আপনি কি ইমতিয়াজ ভাই?
৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: বাহ! দারুণ পুস্ট!
সামুতে আপনার জিন গবেষণা দেখে ভালো লাগছে। তবে সামুতে কিছু দুষ্টু ব্লগার আছে, তারা আপনাকে থামিয়ে দিয়ে চাইবে। আপনার এই মহৎ কাজে বাঁধা দিতে পারে। আপনার আগেও অনেক রথি মহারথি জিন গবেষণা পত্র উপস্থাপন করেছিল। প্রয়োজনে তাঁদের রেফারেন্স দিতে পারেন। জ্বিনের অস্তিত্বের পক্ষে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এই ফুস্ট থেকে বিজ্ঞান সম্মত জিনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন। জিনের সাক্ষাৎকার চাইলেও দিতে পারেন সোলায়মান বিন হুশশাম নামক জ্বিনের সাক্ষাতকার
পারলে দুই একটা জিনকে বলতে পারেন সামুতে একাউন্ট খোলার জন্য।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬
জাবের খান বলেছেন: হুম ভাই, কিছু দুষ্ট ব্লগার আছে,কয়েকটা আমার চখে পরেছে,
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে,
আর হে জ্বীনের দেখা পাইলে বলবো
যাতে সামুতে একাউন্ট খুলে।
৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি বাস্তববাদী লোক, জ্বীনে বিশ্নাসী না।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৫
জাবের খান বলেছেন: যেইদিন জ্বীন আপনারে ধরবে সেইদিন বুঝবেন
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬
জাবের খান বলেছেন: আপনি কি মুসলিম????
৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩
সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনি উল্লেখিত পোস্টে জ্বিন যে মানুষকে আছর করতে পারে সেই জিনিসটা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বেশ কিছু সুরার রেফারেন্স টেনেছেন, যেখানে আসলে জ্বিন নয় মূলত শয়তানের কথা বলা হয়েছে! এখন আপনার কাছে আমার প্রশ্ন হল- 'জ্বিন আর শয়তান কি এক জিনিস?'
যতদূর জানি, শয়তান অভিসপ্ত; কিন্তু জ্বিন অভিসপ্ত নয়! মানুষের মত জ্বিনও সৃষ্টিকর্তার একটা মাখলুকাত! কিন্তু শয়তান তো আর তেমন নয়! কুরআনেই আছে আমি জ্বিন এবং মানুষকে আমার ইবাদতের জন্য প্রেরণ করেছি! সেখানে কিন্তু শয়তানের কথা বলা হয় নাই!
শেষ বিচারের দিন কি জ্বিন এবং মানুষের মত শয়তানেরও কোন বিচার হবে? নাকি তাকে বিনা হিসাবে জাহান্নামে যেতে হবে? যদি তাই হয়, তাহলে আপনি জ্বিনের সাথে শয়তানকে কিভাবে মিলাইলেন?
আমি বলছি না পৃথিবীতে জ্বিন নাই! কারণ একজন মুসলমান হিসাবে অবশ্যই আমি জ্বিনে বিশ্বাস করি! এবং তারা যে মানুষকে আছরও করে, সেটাও বিশ্বাস করি! তা না হলে তো কুরআন মিথ্যা হয়ে যাবে, সুরা জ্বিন মিথ্যা হয়ে যাবে (নাউজুবিল্লাহ্)! তবে এধরনের স্পর্শ কাতর বিষয় নিয়ে লিখতে গেলে রেফারেন্সটা আরো একটু হার্ড করাটা উচিৎ নয়কি?
তাছাড়া আপনি সুরা সাদ : ৪১ নামে কোরআনের যে সুরাটার রেফারেন্স করেছেন, কোরআনে আদৌ ঐ নামে কোন সুরা নেই! বরং উক্ত সুরার নাম হল- 'ছোয়াদ!' ভেবে দেখেন, এই ধরনের বিষয় গুলো লিখতে গিয়ে আপনি নিজেই আবার প্রশ্নের সম্মূখিন হয়ে না পড়েন!
৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫
আলগা কপাল বলেছেন: সাহসী সন্তানের সাথে একমত। আপনার জ্বীন ও শয়তানকে এক করে ফেলা উচিত হয় নি। জ্বীন ও শয়তান এক নয়।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১০
জাবের খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, ভূলটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য, সূরাটা ছোয়াদ ই হবে,
পরবর্তী পোষ্টে জ্বীন এবং শয়তানের মধ্য পার্থক্য বুঝিয়ে দেবো।
৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৪
আহা রুবন বলেছেন: আমি জিনকে বিয়া করতে চাই। খালি কাবাব খামু! দুকান থেইকা চুরি করব, কেউ দেখব না। কী মজা!!
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৮
জাবের খান বলেছেন: হা হা হা,কইরা লন
৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৪
বলবো না!! বলেছেন: জ্বীনের উপর আছর করা যায় না?
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৭
জাবের খান বলেছেন: না
৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ. আপনি কি ইমতিয়াজ ভাই?
ধন্যবাদ ভাই। না আমি ইমিতয়াজ ভাই না।
ভাল থাকুন।
১০| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৭
কালীদাস বলেছেন: একজন মুসলিম হিসাবে আমি বিশ্বাস করি জ্বীন আছে, আছর করা বিশ্বাস করার মত রামছাগল এখনও হইনি। আর আপনি যেসব গাজাখুরি প্রমাণ দেখিয়ে গেলে পুরো পোস্ট জুড়ে, আমার প্রথম অবজারভেশন হল- ইবলিস আর জ্বীনের পার্থক্যই তো আপনার ক্লিয়ার না।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৬
জাবের খান বলেছেন: আপনি যে মুসলিম,এটা বিশ্বাস করার মত রাম ছাগল আমি নই
১১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬
শোভন১ বলেছেন: মানুষ যখন মঙ্গল গ্রহে যাবার প্রিপারেশন নিচ্ছে, তখন জ্বীনের আছর নিয়ে আপনার এই পোস্ট অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত ও সময়োপযোগী।
১২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪
ওয়াহেদ সবুজ বলেছেন: জ্বিনের আছর নিয়ে গবেষণামূলক পোস্ট!!
জ্বিন??!
রিয়েলি??
পৃথিবীতে আরো কী কী দেখার বাকি আছে জনাব?!!
১৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯
নতুন বলেছেন: যারা সুদ খায়, তারা তার ন্যায় দাড়াবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দেয়। (সূরা আল বাকারা : ২৭৫)
এখানে আছে শয়তান.... আপনি নিচে জীন যোগ করলেন কোথাথেকে?
দুই. শয়তান বা জ্বীন মানুষকে স্পর্শ দ্বারা পাগলের মত করতে পারে।
আপনি কোরানের আয়াতের অপব্যক্ষা করছেন..... শয়তার অভিসপ্ত এবং শয়তান মানুষের অমঙ্গল চায়..
জ্বীনে ধরা বলে কিছু নাই.... মানুষিক ভাবে অসুস্হ মানুষকে আপনাদেরর মতন কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষেরা অত্যাচার করে।
১৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০
নতুন বলেছেন: Click This Link
দেখুন বিভিন্ন দেশে কিভাবে জীন/ভুতে ধরা রোগীর চিকিতসা করে...
১৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬
অপ্সরা বলেছেন: হায় হায় আছর !!!!!!!!!!!!
শাহরীয়ার কবির ভাইয়াকে আছর করুক দেখি পারে কিনা!!!!!
১৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৮
অগ্নি সারথি বলেছেন: ভাইজান আমারো বহুত দিনের খায়েশ আছিল একটা কিউট জ্বিন পালা।
১৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৬
কালীদাস বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আপনি যে মুসলিম,এটা বিশ্বাস করার মত রাম ছাগল আমি নই
খুবই স্বাভাবিক আপনের এই ধরণের চিন্তা, গত ৭বছরে আপনের মত অগুণতি তালগাছী আমারে হিন্দু ডাকছে আমার নিকের কারণে। নিজের মনের রং মিশায়া যে কোরাআনের বাণীরে নিজের মত পরিবেশন করতে পারে, ইবলিসরে জ্বীন বানাইতে পারে; সে তো আমার নিক দেইখ্যা হিন্দু বা নাস্তিক এমনকি মঙ্গল গ্রহের এলিয়েন মনে করতেই পারে।
মন চাইলে আপনে সরাসরি আমারে হিন্দু, নাস্তিক, গরু, ভেড়া, রামছাগল, মঙ্গল গ্রহ থিক্যা আসা দূষিত এলিয়েন, জাবের খান, হাটহাজারীর পীরের গুলাম, ...... যা মুঞ্চায় ডাকতে পারেন হাজার হোক, তালগাছী বলদদের জন্য আমার খানিকটা সফট কর্ণার কাজ করে
১৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৯
কালীদাস বলেছেন:
@নতুন: ভাইজান সবার সাথে তর্ক কইরা লাভ নাই, সবাইরে সব কিছু বুঝতে পারার ক্ষমতা আল্লাহ দেন নাই। এই ভাইজান খাঁটি তালগাছী, আপনে এনারে সারাদিন বুখারী আর মুসলিম থিক্যা রেফারেন্সসহ লেকচার দিলেও উনি তালগাছের মালিকানা ছাড়বে না। হয়রান আর মাফুচ শান্তের কথা মনে নাই? ইনিও সেইম ক্যাটাগরির
১৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫৩
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: @অগ্নি সারথি , জিন পালার ইচ্ছা নাই, পরি পাইলে আমাকে একটা দিয়েন।
২০| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৫২
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: @অপ্সরা আফাকে
তাক জ্বীন আর তবাক জ্বীনে ধরুক। আমার ডর করে।
শুনেছি জ্বীন আছে কিন্তু কোন দিন দেখি নাই। আর আমার হাদিস কোরানের জ্ঞান কম।
সঠিক না জেনে এ বিষয় মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।
২১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৫
বাঘ মামা বলেছেন: আপনি কোরআন পড়ে পড়ে জ্বীন এবং শয়তান সংক্রান্ত আয়াত গুলো বের করেছেন বলে আপনাকে লাইক দিলাম, কিন্তু আপনি ভুল করে ফেলেছেন শয়তান এবং জ্বীন বিষয়টা মিলিয়ে ফেলে, শয়তান জ্বীন গোত্রের কিন্তু তার হিসেব নিকেশ সম্পুর্ন আলাদা। আপনি অবশ্যই জানেন যে মানুষ হলো সৃষ্টির সেরা এবং ক্ষমতাশালী জীব। আল্লাহ আমাদের চেয়ে বেশি পেশি শক্তির জীব বানিয়েছেন কিন্তু আমাদের মত এতটা বুদ্ধিমান জীব আর বানায়নি, এই দুনিয়াতে অন্য আর সব জীব গুলো আমার সাময়িক ক্ষতি আক্রমণ করতে পারবে, আমাকে মেরে ফেলতে পারবে কিন্তু এমন কোন জীব এই দুনিয়াতে নেই যে আমার মধ্যে প্রবেশ করে আমাকে তার নিয়ন্ত্রণে নিবে, তার ইচ্ছেয় আমি কথা বলবো হাটবো চলবো নাচবো এমন ক্ষমতা আল্লাহ কোন জীবকেই দেননি। সুতরাং কোন জ্বীন এমন কাজ কখনো করতে পারবেনা। এই বিশ্বাস এবং যুক্তিতে আপনাকে আসতে হবে।এবং এটাই সত্য।
কোরাআন পড়ুন জানুন সেটা ঠিক আছে কিন্তু কোন ভাবেই কোরাআনের আয়াত না বুঝে কোথাও দাড় করাবেননা যা সেই বিষয়ের সাথে সঙ্গত নয়, এটা অনেক বড় পাপ। আর শয়তানের যেই সামান্য তম ক্ষমতা দেয়া আছে বলে আমরা জানি তা হলো মানুষকে মন্দ ভাবতে সাহায্য করে। সেটাও আবার সবার বেলায় শয়তান পারেনা, বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের কাছে শয়তানের কোন অস্তিত্ব নেই। শয়তান বিষয়টা তাদের জন্য যারা বিবেক বুদ্ধিহীন, সেই অর্থে আমি শয়তানের ভাবার্থে বিশ্বাসীনা।
শুভ কামনা আপনার জন্য
২২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪২
অপ্সরা বলেছেন: ২০. ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৫২ ০
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: @অপ্সরা আফাকে
তাক জ্বীন আর তবাক জ্বীনে ধরুক। আমার ডর করে।
শুনেছি জ্বীন আছে কিন্তু কোন দিন দেখি নাই। আর আমার হাদিস কোরানের জ্ঞান কম।
সঠিক না জেনে এ বিষয় মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।
@ শাহরীয়ার কবির ভাইয়ু .........
তাক জ্বীন তবাক জ্বীন আবার কি!!!!!!!!
এইগুলা কি জ্বীনের নাম নাকি!!!!!!!!!!!!
কি তাক লাগানো অবাক করা নাম!!!!!! অবাক নিশ্চয় তবাক জ্বীনের বউ এর নাম !!!!!!!!! না বাবা এই তবাক জ্বীন ধরলে তার বউ অবাকও আমাকে ধরবে দুইটা জ্বীনের সাথে মারামারি করতে গেলে আমি ছবি আঁকবো কখন!!!!!!!!!! শুধু শুধু সময় নষ্ট!
তাদের বিদিকিচ্ছিরি ছবি আঁকার কোনো ইচ্ছা নাই আমার!
তবে আমিও শুনেছি জ্বীন আছে কোনোদিন দেখিনি! এই সুযোগে দেখা হলে ভালোই হত অবশ্য!!!!!!!!
আচ্ছা কালীদাসভাইয়া কি কোনো তালগাছী জ্বিনের কথা বললো!!!! সেই জ্বীন কি তালগাছে থাকে!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১
আহলান বলেছেন: হুম...!