নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে না পড়তে ভালো লাগে, বলতে না শুনতে ভালোবাসি, সেমি-ইন্ট্রোভার্ট।
লেখালেখি আমার ভাল্লাগেনা, কিন্তু চারিদিকে লেখালেখির এত এত বিষয়বস্তু, টুকটাক না লিখে পারি না। গতকালের একটা নিউজ থেকে- “ততক্ষণে হালিমার স্বামী স্বপন মিয়া ঘরে আসেন। সঙ্গে তিন ছেলেমেয়ে। দুপুরে খাওয়ার মতো কিছু নেই। দোকান থেকে ২০ টাকার চিড়া আর ১০ টাকার গুড় কিনে এনেছেন। সেগুলো একটি প্লেটে করে খেতে দেন তিন সন্তানকে। মুহূর্তেই তা শেষ করে ফেলে তিন শিশু”। প্রথমে এই নিউজটা একটু পড়ুন, তারপর আমার কথা শুনুন (আসলে হবে পড়ুন ) ।
জ্বী, ঠিক ধরেছেন, নিউজটি যদি আপনি পড়ে থাকেন তাহলে এতক্ষণে আপনি বুঝে গিয়েছেন আমি কি বলতে চাচ্ছি, আর তাই বেশিকিছু লিখে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করতে চাচ্ছি না; তবুও দুটি কথা না লিখলেই নয়।
প্রথমে যে কথা বলবো তা হচ্ছে; নিউজটা পড়ে আমার যতটা না খারাপ লাগছে তারচেয়ে ঢের বেশি মেজাজ গরম হইছে। আয় নেই, রোজগার নেই, ঘরে খাবার নেই তবুও তিন সন্তানের জনক তিনি এবং চতুর্থ সন্তান জন্মদান করতে গিয়ে স্ত্রী মৃতপ্রায় অবস্থা, তাকে হসপাতালে নেওয়ার মত সিএনজি ভাড়াটুকুও নেই। বুঝতে পরছেন কতটা করুণ অবস্থা? ভাবতেছি পঞ্চম সন্তান জন্মদান করতে গিয়ে না আবার ওই মহিলা ভবের লীলা সাঙ্গ করে। কিন্তু তাতে কি! আবার নতুন বিয়ে করতে হবে এবং প্রতি বছর বাচ্চা উৎপাদনের এই ধারা অব্যহত রাখতে হবে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় আমাদের দেশের লোকজন সন্তান উৎপাদনের বিশ্ব রেকর্ডের পিছনে ছুটছে, যে করেই হোক জনসংখ্যার দিক দিয়ে ইন্ডিয়া এবং চায়নাকে পিছনে পেলতেই হপে।
না, শুধুমাত্র এই একটি নিউজ দেখেই আমার মেজাজ গরম হচ্ছে না, প্রায়ই এ জাতীয় নিউজ দেখতে পাই, যেখানে থাকে শুধু: দারিদ্রতা, কষ্ট, আর হতাশার কথা এবং সেই সাথে থাকে ৪/৫ জন করে সন্তান। না, ৪/৫ জন সন্তান থাকায় দোষের কিছুই নেই যদি তাদের মানুষ করা যায়। বছর বছর সন্তান উৎপাদন করে কি লাভ যদি না তাদের মানুষ করা যায়? সন্তান জন্মদান যতটা সহজ কিন্তু তাদের মানুষ করে গড়ে তোলাটা ঠিক ততটাই কঠিন, এই সহজ সমীকরণটি হতভাগা বাঙালি কি কোন দিনও বুঝবে না? একবারও কি কেউ ঢাকা শহরের আনাচে কানাচে ঘূরে দেখেছেন? পিপিলিকার মত গিজগিজ করছে মানুষ সর্বত্র, জীবনযাত্রার মান যেখানে সর্বনিম্ন। অন্যন্য দেশের পশু পাখির জীবনযাত্রার যে মান আমাদের দেশের মানুষেরও তা নেই, তারপরেও কি আমরা বাচ্চা উৎপাদন করেই যাবো?
উপোরোক্ত হতদরিদ্র রিকশাওয়ালাটির মত আমাদের দেশে এমন লাখো পরিবার রয়েছে যেখানে বছর বছর শুধু সন্তান উৎপাদনই করা হয় কিন্তু মানুষ করা হয় না কাউকে, যে কারণে দেশটা আজ গরু ছাগলে পূর্ণ।
নোট: আপনার সন্তানকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে তার দায়ভার সম্পুর্ণ আপনার।
ছবি: প্রথম আলো।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমার লেখা প্রথম পাতায় যায় না; তাই কেউ পড়েও না
ধন্যবাদ আপু, আপনার কমেন্ট পেয়ে সত্যিই অনেক আনন্দিত হলাম
আমারও এদের কান্ড দেখে অবাক লাগে, আর মনে মনে ভাবি; মানুষগুলো এমন কেন!!
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৬
জুন বলেছেন: আপনি ইচ্ছেমতো যা মনে আসে লিখে যান বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। দিনে তিন চারটি হলেও সমস্যা নেই। তবে এক সাথে না। অবশ্যই শালীন হতে হবে। এছাড়া অন্যের পোস্টে বেশি বেশি কমেন্ট করেন তাহলে আপনার পোস্টে মন্তব্য আসবে এতে আপনার সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করি।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: জ্বী, আপনার গাইডলাইন শিরোধার্য; কিন্তু প্রতিদিন পোস্ট করা হয়তো আমার পক্ষে সম্ভব হবে না, লেখালেখি অনেক কষ্টের, প্রচুর ভাবতে হয়, তবে চেষ্টা করবো। হ্যাঁ, অন্যের পোস্টে বেশি বেশি কমেন্ট করতে আমি উস্তাদ, অলরেডি ২০০+ কমেন্ট করে ফেলেছি। আচ্ছা, মাত্র ২৪ ঘন্টায় কারো পোস্ট কি প্রথম পাতায় আসতে পারে? সময় পেলে এই পোস্টে যদি এক নজড় একটু চোখ বুলাতেন। আমি ওখানে কমেন্ট করছি তবে একটু ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হইছে।
আপনাকে এত্তগুলো ধন্যবাদ, আপি।
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৯
অঙ্গনা বলেছেন: নোটে দেয়া আপনার মন্তব্য কয়জন বুঝে আর মেনে চলে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: যার ফলাফল পিচ্চি একটা দেশে ১৮ কোটি গ্যস্ট্রিকে আক্রান্ত হাবাগোবা জনসংখ্যা। এই দেশ সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনা করতে হলে অবশ্যই জনসংখ্যা মাইনাস করতে হবে, অন্তত ১০ কোটি জনসংখ্যা মঙ্গল গ্রহে স্থানান্তরিত করতে হবে। এ ব্যপারে আমি ইলন মাস্কের সাথে আলাপ আলোচনা চালাচ্ছি, পরে আপনাদের বিস্তারিত জানাচ্ছি।
ভালো থাকতে হবে সবসময়, ওকে।
৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫০
অঙ্গনা বলেছেন: অনুরোধের ঢেঁকি গেলা হয়েছে......।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:২৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হ্যাঁ আপনার পোস্ট তো দেখেছি। কিন্তু আজকে দেখলাম কার বিরুদ্ধে জানি অভিযোগ করে একটা পোস্ট করছেন, সেখানে মন্তব্য করতে পারতেছি না, ভুলে মন্তব্য বন্ধ করে রাখছেন মনে হয়, নাকি ইচ্ছে করে?
৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কেমন আছেন ?
যাক পোস্ট দিন আর বেশি বেশি মন্তব্য করুন আশা করি দ্রুত সেফ হবেন। কেন লিখবেন না ..... ?
লিখতে লিখতে দেখবেন লিখতে ভাল লাগছে।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:০০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সরি, আপনার মন্তব্যটা দেখতে পাইনি, ব্লগে নোটিফিকেশন ঠিকমত আসে না, বেশকিছু টেকনিক্যাল সমস্যাও আছে।
দেখা যাক মডারেটরদের দয়ায় কবে প্রথম পাতায় আসতে পারি।
৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৫
সোনালি কাবিন বলেছেন: কী আর করবেন
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:০১
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কি আর করবো, বসে বসে কমেন্ট করবো।
আপনাকে স্বাগতম আমার ব্লগে।
৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:১৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মুখ দেবেন যিনি, আহার দেবেন তিনি; এই ভরসায় অনেকেই বছর বছর সন্তান উৎপাদন করে। মেজাজ আমারও খারাপ হয়।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:১৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: খুবই ভয়ঙ্কর একটি ভাবনা, যার ফলাফল পিচ্চি এক দেশে ১৮ কোটি জনগন।
৮| ১৬ ই মে, ২০২৩ সকাল ৯:৪৫
ধুলো মেঘ বলেছেন: ভাই, কনডমের দাম সম্পর্কে আপনার কোন আইডিয়া আছে? এখন পঞ্চাশ টাকার নিচে কোন কনডম পাওয়া যায়না। যে লোক ভাত আর লবণ কেনার টাকা যোগাড় করতে হিমশিম খেয়ে যায়, সে কনডম কেনার মত বিলাসিতা কিভাবে করবে? আপনার আমার মত সচেতন নাগরিকের উচিত চাঁদা তুলে তাদেরকে বিনা মূল্যে কনডম দেয়া, যাতে শত কষ্টের জীবনেও তারা গরীবের বিনোদন 'সেক্স' থেকে বঞ্চিত না হয়।
১৬ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:০৫
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ও আচ্ছা তাহলে এই কাহিনী? আগে জানতাম নাতু!! তবে আপনার আইডিয়াটা মন্দ নয়, ভেবে দেখা যেতে পারে।
আমার নীড়ে আপনাকে সাদর সম্ভাষণ জানাচ্ছি।
৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বড়ই আচানক ঘটনা।
আমার মূল্যবান প্রবন্ধটি লেখার আগে আপনার মূল্যবান প্রবন্ধটি আমার পড়া উচিত ছিল ।
আসলেই তো।
তবে হতাশ হওয়া চলবে না কোনভাবেই ।
কেননা মুখ দিয়েছেন যিনি আহার দেবেন তিনি।
রিজিকের মালিক আল্লাহ সুবাহানাতায়ালা ।
এখানে মানুষের কিছুই করার নেই।
আফসোস!
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: রিজিকের মালিক আল্লাহ সুবাহানাতায়ালা ।
এখানে মানুষের কিছুই করার নেই।
আফসোস
মন্তব্যের জন্য আপনাকে আচানক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫২
জুন বলেছেন: এ নিয়ে বলতে চাই না জ্যাক স্মিথ। আমার ড্রাইভার যখন আমার বাসায় কাজ নিল তখন এক ছেলে এক মেয়ে৷ ছেলে ৬ মেয়ে ৪ বছর। পরের বছর আরেকটা মেয়ে হলো, তার দুই বছর পর আরও দুটো ছেলে। আমার সাথে তার ভাত খাবার চুক্তি নাই তাও আমি রেগুলার ভাত খেতে ডাকতাম, গাড়ি নিয়ে বাইরে গেলে সব সময় চা পানির জন্য টাকা দিতাম। এখন পাচ সন্তানের বাবা হয়ে আমার কাছে যখন সংসার চলে না বলে দুঃখ করতে চায় আমি না শোনার ভান করে বসে থাকি। অবাক লাগে এদের কান্ড দেখলে।