নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Ambivert, Swimmer Against The Stream, But I\'m Not Anti-Social I\'m Anti-Idiots.

জ্যাক স্মিথ

লিখতে না পড়তে ভালো লাগে, বলতে না শুনতে ভালোবাসি, সেমি-ইন্ট্রোভার্ট।

জ্যাক স্মিথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত হল-মার্ক গ্রুপের পরিচালক তানভীর মাহমুদের জবানবন্দি

২০ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:২২



গতকাল সোনালী ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় করা মামলায় হল-মার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী জেসমিন ইসলামসহ নয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গ্রেফতারের পর ২০১২ সালের ১৮ আগস্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছিলেন তানভীর মাহমুদ। তিনি নিজেকে অনেকটা নির্দোষ দাবি করলেও কেলেঙ্কারির নানা বিবরণ দিয়েছিলেন সেই জবানবন্দিতে। নিচে তার জবানবন্দিটি হুবহু তুলে ধারা হলো।

‘আমি ব্রাহ্মণপাড়া স্কুল থেকে ১৯৮৭ সালে মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি এবং ১৯৮৯ সাল আখাউড়া শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করি। ১৯৯৬ সালের শেষ দিকে বাবার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে—পাঁচ হাজার টাকা ভাড়ায়, ২৫ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে কাফরুলের ১৯০/২ তালতলায় হল-মার্ক প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি দিয়ে ব্যবসা শুরু করি। তারপর ধীরে ধীরে আমার ব্যবসা বাড়তে থাকে। ২০০৮ সালে ৮–৯টি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে আমি হল-মার্ক গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করি। বর্তমানে আমার ৬৫টি চলমান প্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে গার্মেন্টস ৩৪টি। সব কটি প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে বর্তমানে আমার প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক আছে। গত ২০০৪–০৫ সালের দিকে গার্মেন্টস থেকে লোকাল ব্যাক টু ব্যাক এলসি পাওয়ার পর আমি সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন শাখায় হল-মার্ক প্যাকেজিংয়ের নামে হিসাব খুলি। বর্তমানে এই শাখায় আমার ৫৭টি হিসাব রয়েছে। বর্তমানে ১৮টি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে এই লায়াবিলিটি (দায়বদ্ধতা) রয়েছে। ২০১০ পর্যন্ত আমার ব্যবসা ভালো (ফেয়ার) ছিল।

সাইফুল ইসলাম রাজা আগে আমার জিএম ছিল। পরে প্যারাগন গ্রুপের মালিক হয়। আবদুল মালেক আমার ব্যবসার পরিচালক ছিল। কিছুদিন আগে সে নকশি নিট কম্পোজিট নামে গোপনে ব্যবসা শুরু করে। তসলিম হাসান টি অ্যান্ড ব্রাদার্স গ্রুপের পরিচালক। আমার পক্ষে সব ব্যাংক হিসাব দেখত রাজা ও মালেক। অনেক সময় আমি তাদের কাছে ব্যাংক চেক দিয়ে রাখতাম। তসলিম হোসেন আগে থেকেই ভুয়া এলসির কাজ করত। আমার দুই লোক রাজা ও মালেক এই তসলিমের সঙ্গে মিলে কিছু একটা করতে পারে, আমি বিষয়টি পরে জানি। এর মাঝে তারা আমার কিছু সই জাল করে। এর মধ্যে ২০১২ সালের প্রথম দিকে হিসাবমতে আমার লায়াবিলিটি দাঁড়ায় ২০০০ কোটির ওপরে।

হোটেল শেরাটন শাখার ম্যানেজার আজিজ, এজিএম সাইফুল হাসান ও ব্যাংকের সাবেক অফিসার মতিন, অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান (অবসরপ্রাপ্ত), ক্যাশ অফিসার সাইদুরের এসব কাজে যোগসাজশ ছিল। আমাকে বিভিন্ন দফায় সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের আতিকুর রহমান (এমডি চলতি দায়িত্ব), জিএম কার্যালয়ের জিএম ননী গোপাল, মীর মহিদুর, ডিএমডি সাইফুল ইসলাম, জিএম সিরাজী ফেব্রুয়ারি ২০১২–এর দিকে ডাকলে আমি সব দায় স্বীকার করি। আমি বলি, আমার এগুলো লিমিট করে কিস্তি করার জন্য। আমি আরও বলি, আমি সব টাকা পরিশোধ করে দেব এবং প্রয়োজনীয় মর্টগেজ যা লাগে আমি দেব। ৪–৫ দিন পর তারা বোর্ড থেকে একটা সার্কুলার করে শেরাটন শাখায় পাঠায়। তখন ম্যানেজার আজিজ ৪০টা কোম্পানির নামে আইবিপি (ইনল্যান্ড বিল পারচেজ) স্যাংশন করে প্রতিটি কোম্পানির নামে ৩০ কোটি টাকা করে।

২৪ মে (পরে বলে এপ্রিলে) বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট দল এলে আমাকে ডাকে। তারা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, আমি কীভাবে এত টাকা নিয়েছি। আমি বলি আমি বৈধভাবে নিয়েছি। এটার দায়দায়িত্ব আজিজ সাহেবের। ২৪ মে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমার সঙ্গে সব ব্যবসা বন্ধ করে দিয়ে বলে টাকা সমন্বয় করতে। নতুন এমডি এসে আমাকে ডাকে। সেখানে ডিএমডি ইকবালসহ সাবেক জিএমরা এবং নতুন ম্যানেজার আবুল কাশেম (আজিজ সাহেব বরখাস্ত হওয়ায়) ছিল। তারা আমাকে টাকা সমন্বয় এবং প্রয়োজনীয় জমি মর্টগেজ বা বন্ধক রাখতে বলে। গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি বিভিন্নভাবে ৪৫২ কোটি টাকা পরিশোধ করি। ৬১ একর জমি বন্ধক দিয়েছি। ব্যাংকের তথ্যমতে আমার মোট দায় ২ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। ৪৫২ কোটি দেওয়ার পর দায় থাকে ২ হাজার ২০২ কোটি টাকা। মর্টগেজ দেওয়া ৬১ একর জমির বর্তমান বাজারমূল্য ২ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা।

গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন জায়গায় ২৪টি চিঠি দিয়ে আমার ব্যবসা চালু করাসহ টাকা পরিশোধের জন্য ২০ বছর কিস্তি চাই। কিন্তু কোনো চিঠির উত্তর পাইনি। তবে দুদকের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ব্যাংক একটি চিঠি দিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের চিঠি দেয়। যা অবাস্তব বলে আমি উত্তর দিই। গ্রেপ্তার হওয়ার পরও আমি আরও মর্টগেজসহ টাকা পরিশোধের কিস্তি চাই এবং ব্যবসা করার সুযোগ চাই। আমি কোনো টাকা বিদেশে পাচার করিনি। আমি টাকা নিয়ে শুধু ইন্ডাস্ট্রি করেছি। আমি আমার জীবনে চিকিৎসার জন্য শুধু একবার সিঙ্গাপুর গিয়েছি

যাই হোক, এই জালিয়াতির সঙ্গে ব্যাংক ম্যানেজার আজিজ, এজিএম সাইফুল হাসান, অফিসার মতিন, অবসরপ্রাপ্ত ওয়াহিদুজ্জামান, ক্যাশ অফিসার সাইদুর জড়িত ছিল। আমার পরবর্তী জিএম তুষারের মাধ্যমে তসলিম, রাজা ও মালেক—এই তিনজন ব্যাংকের কাঁচা রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি করে এসব কর্মকর্তাকে বিভিন্ন সময় টাকা দিত। এটা তুষারও জানত। শাখার কর্মকর্তাদের এভাবে আনুমানিক তিন কোটি টাকা দেওয়া হয়। সোনালী ব্যাংক জিএম কার্যালয়ে তসলিম, রাজা ও মালেক—তিনজন জিএম মীর মহিদুর ও অফিসার ওয়াহিদুজ্জামানকে (এই লোক বিভিন্ন সময় ব্রাঞ্চ ইনস্পেকশনে আসত) প্রায় সময়ই ২–৫ লাখ টাকা করে মোট ৮০–৯০ লাখ টাকার একটা হিসাব দেয় আমাকে। জিএম কার্যালয়ের নতুন জিএম ননী গোপালকেও নাকি আমার লোকেরা বিভিন্ন সময় টাকা দিত।

ননী গোপাল কাজে যোগদানের ১৫ দিন পর আমাকে অফিসে ডেকে নিয়ে তার চিকিৎসার জন্য পাঁচ লাখ টাকা সাহায্য চায় এবং তার মেয়ের জন্য একটি ই-৭১ মোবাইল চায়। আমি ১৫ দিনের মধ্যে ওই টাকা ও মোবাইল সাহায্য হিসেবে দিই। সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের আইটিএফডি বিভাগের সাবেক এজিএম বর্তমান ডিজিএম সফিজউদ্দিনকে তসলিম, মালেক, রাজা, ডিজিএম আজিজ সপ্তাহে এক লাখ টাকা করে মোট ৭০-৮০ লাখ টাকা দিয়েছে বলে তারা আমাকে হিসাব দেখায়। এ ছাড়া প্রধান কার্যালয়ের ডিএমডি আতিকুর রহমানকে আমি ম্যানেজার আজিজের কথামতো চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ টাকা দিই।

২০১২ সালের সম্ভবত এপ্রিলে তসলিম, মালেক, রাজা, ম্যানেজার আজিজ সাহেব, ডিএনএ স্পোর্টসের মালিক শিখা আমাকে ব্যাংকের বারান্দায় ডেকে নিয়ে বলে, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ম্যানেজ করতে তিন কোটি টাকা লাগবে। এবং এটা বোর্ড সদস্য একজনকে দিতে হবে। আমি একপর্যায়ে রাগারাগি করলাম। তারা আমাকে শান্ত করার চেষ্টা করে। তসলিম সাহেব বলে, “আমি নিজে দেব ১ কোটি ২০ লাখ টাকা, হল-মার্ক দেবে ১ কোটি এবং বাকি ৮০ লাখ মালেক, রাজা ও শিখা দেবে।” আমি রাগারাগি করে চলে আসি। আজিজ সাহেবসহ এরা সবাই আমাকে ফোন করে টাকার বিষয়ে খুব বিরক্ত করতে থাকে। তসলিম বলে, সে নাকি ইতিমধ্যে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা দিয়ে দিয়েছে।

আমাকে চাপ দেওয়ার একপর্যায়ে তুষারকে বলি ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য। এটা এপ্রিল মাসের ঘটনা। তুষার একদিন তসলিম সাহেবের সামনে ব্যাংকের বারান্দায় ৫০ লাখ টাকা দেয়। কদিন পর তসলিম ও এক পরিচালক (ডাইরেক্টর) আমার বাসায় গিয়ে বাকি ৫০ লাখ টাকা চায়। আমি রাগারাগি করে দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তসলিম অজ্ঞান হয়ে যায়। আমার জিএম তুষার ও তসলিমের পরিচালক আতিকুর রহমান তখন তসলিমকে অ্যাপেলো হাসপাতালে নিয়ে যায়। তসলিম, মালেক, রাজা ও আজিজ সাহেব আমাকে না জানিয়ে তুষারকে চাপ দিয়ে অথবা (ডাইরেক্ট) সরাসরি ক্যাশ থেকে কাঁচা রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি দিয়ে লাখ লাখ টাকা বিভিন্নজনকে দেওয়ার নাম করে নিয়ে যেতে। পরে তুষারকে চাপ দিয়ে, তার কাছে থাকা আমার সই করা ব্ল্যাঙ্ক চেক নিয়ে যেত। তুষার মূল ঘটনার সময় আমার গ্রুপে ছিল না। ঘটনা ঘটার পর আমি তুষারকে নিয়োগ দিই। তারা তুষারকে চাপ দিয়ে টাকা নিয়ে যেতে।

তসলিম বিভিন্ন সময় আমাকে ডিজিএফআই আর সাংবাদিকদের ভয় দেখাত। তসলিম প্রায় সময় মালয়েশিয়া যেতে এবং সেখানে গিয়ে তুষারের কাছে টাকা চাইত। আমাকে গার্মেন্টস ব্যবসায় নামায় মালেক আর রাজা। এরা দুজন তসলিম হাসানের সঙ্গে মিলে এই জালিয়াতি ঘটায় এবং আমার লায়াবিলিটি বাড়ায়। তারা আমার কোম্পানির এলসি থেকে ৩০–৪০% কমিশন খেয়ে আমার দেনা বাড়ায়। এরা প্রত্যেকে গোপনে কয়েকটা করে ইন্ডাস্ট্রি করেছে।

আজিজ সাহেব সব জেনেই তাদের আলাদাভাবে লোন দিয়েছে, বিভিন্ন ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে। আনোয়ার স্পিনিং, ম্যাক্স স্পিনিং, সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজ, স্টার স্পিনিং মিলস—রাজা ও মালেক সাজিয়েছে। পরে আমি নিজে বাঁচার জন্য, যেহেতু সব আমার অ্যাকাউন্টের দায়, সেহেতু আমি সব স্বীকার করে সব দায় এসব নামের কোম্পানির বিপরীতে সমন্বয় করেছি। এটা ডিজিএম আজিজ সাহেবের কথামতো মালেক, রাজা ও তসলিম সাহেব চালাকি করে করেন। (পরে বলেন) আমি করি নাই, ওরা করেছে।

আমার স্ত্রী নামমাত্র কোম্পানির পরিচালক। সরকারি নিয়মের কারণে লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে দুজন লাগে বিধায় আমার স্ত্রীকে পরিচালক করেছি। সে সম্পূর্ণ নির্দোষ। সে কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য করে না। এটা আমার জবানবন্দি।’



ছবি- তানভীর মাহমুদের স্ত্রী জেসমিন ইসলাম

লেখাটির সূত্র: প্রথম আলো।

এ সংক্রান্ত আরও নিউজ পড়ুন

রায় শুনে আধা ঘণ্টা মাথা নিচু করে বসে ছিলেন বিমর্ষ তানভীর-জেসমিন দম্পতি



ছবি- তানভীর মাহমদু ও তার স্ত্রী স্ত্রী জেসমিন ইসলাম।


হল-মার্কের তানভীর, জেসমিন, তুষারসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন, ৮ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড



মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার মতে, এই ঘটনায় দেশের সবচেয়ে বেশী ক্ষতি কারা করেছে?

২০ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ব্যাংকের সাথে যারা জাড়িত তারাই সবচেয়ে বেশি দোষী। অনেকেই হয়তো পার পেয়ে গেছে, আবার কেউ কেউ বলির পাঠা হয়েছে, তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী বলির পাঠা হলো কি না সেটাও ভাবনার বিষয়।

তবে বিচার যে হয়েছে সেটাই বড় কথা, আশা করি এখন থেকে এ ধরণের দূর্ণীতি কেউ করতে যাওয়ার আগে অন্তত দুবার ভাববে।

২| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দুর্নীতি কীভাবে ছড়ায়, এ জবানবন্দি তার এক জ্বলন্ত সাক্ষী। সাইফুল ইসলাম রাজা, আব্দুল মালেক, সাইফুল হাসান, ননী গোপাল - এদের জবানবন্দীও পড়তে ইচ্ছা করছে।

কোনো এক কৌতুকে দেখেছিলাম, এক ব্যাংকার কীভাবে ঘরে বসে খবর দেখেই সবচাইতে বেশি লাভের ভাগী হয় :) ব্যাংকারদের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, এসব দুর্নীতিতে 'অসাধু' ব্যাংকারই সবচাইতে বড়ো অবদান রেখে থাকেন। একটা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাংকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানেই যদি এত দুর্নীতি হয়, তাহলে অর্থনীতির ভিত্তি কোনোদিনই শক্ত হবে না। হায় বাংলাদেশ, আমার দুর্ভাগা বাংলাদেশ।

২০ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হায় বাংলাদেশ, হায় আমার দুর্ভাগা বাংলাদেশ।

তবে বিচার যে হয়েছে সেটাই বড় কথা, আশা করি এখন থেকে এ ধরণের দূর্ণীতি কেউ করতে যাওয়ার আগে অন্তত দুবার ভাববে।

৩| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩

এম ডি মুসা বলেছেন: বাংলাদেশ কবে একটি স্বচ্ছ নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে একটি ভাল দেশ হবে। বাংলাদেশে কবে একটি দুর্নীতিমুক্ত দেশ হবে? এমন কোন নেতা আসবে যে দেশের সব কিছুর স্বচ্ছতা তৈরি করে দিবেন। বিগত সালের বিএনপি সরকার কেউবা আমি নিজের চোখে দেখেছি তারাও এদেশের দুর্নীতি দূর করে নাই। তাই বিএনপির প্রতি আমার কোন আর ভরসা নাই। আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু ছিলেন দুর্নীতি বিরোধী একজন স্বচ্ছ নেতা। দূর করবে না আশা করছিলাম তার কন্যা শেখ হাসিনা। কিন্তু তার কোন আলামত দেখতে পাচ্ছি না।

২০ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ভালো বলেছেন কিন্তু এমন সরকার আমরা কবে পাবো তা বলা মুশকিল। দূর্ণীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। ক্ষমতাসীন দলে যারা আছে তাদের সবার আগে বিচার হওয়া উচিৎ তাহলে দূর্ণীতি অনেকাংশেই কমে যাবে, কিন্তু সরকারের পক্ষে তা করা সম্ভব নয় কারণ সরকার নিজেই................ B:-/

৪| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২৫

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: সেদিন হিসাব করলাম, যদি কেউ যদি প্রতি মাসে ৫০,০০০ টাকা করে জমায় তাহলে তার এক কোটি টাকা জমাতে প্রায় ১৭ বছর লাগবে। আর এদের কোটি কোটি টাকা নিয়ে কী দারুণ ছেলেখেলা।

২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: টাকা কামানোর নেশা এক ভয়ঙ্কর নেশা, মানুষ দিগ্বিদিক জ্ঞান শুন্য হয়ে পড়ে।
কিছু মানুষের কাছে টাকা শুধুই কিছু ডিজিট মাত্র, তাদের কাছে ১০০ টাকাও যা এক হাজার কোটি টাকাও তা।

৫| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: গিলোটিনে দেয়া উচিত এদের, সাথে যারা তাদের কু-কর্মে সহযোগীতা করেছে তাদেরও। ফরাসি বিপ্লবের সময়ের মতো বাংলাদেশেও বহু সংখ্যক মানুষকে গিলোটিনে চড়ানোর সময় এসেছে বলে আমার ধারনা, তবে সেটা হবে না। আইনের সুশাসন নেই বলে বার বার একই গল্পের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। হাজার হাজার মানুষকে পথে বসানো লোকজনকে যদি শুধু চার দেয়ালের ঘরে বন্দি করে অতিথির মত আপ্যায়ন করা হয় তবে মানুষ বার বারই এই কাহিনী করবে। বাঙালী জাতি হিসেবে সৎ নয়।

২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তবে এদের বিচার হয়েছে এটাই হচ্ছে বড় পাওয়া, আমি তো ভাবছিলম আইনের ফাঁক ফোকর গলে সবকিছু ম্যানেজ করে তারা এতদিনে পার পেয়ে গেছে।

বাঙালী জাতি হিসেবে সৎ নয়। - একদম তাই।

৬| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪৯

সোনাগাজী বলেছেন:



সঠিক, ব্যাংকের লোকজনই জাতিকে ফতুর করে দিয়েছে।

২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৩৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ওই ব্যাংকের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাদেরও কিন্তু জেল হয়েছে, শুনেছি এরা নাকি এখন উচ্চ আদালতে আপিল করবে। আমার ধারণা উচ্চ আদালতে আপিল করে দুই-চার বছর পর সবকটা জেল থেকে বেরিয়ে যাবে, বাংলাদেশে সবই সম্ভব।

৭| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০২

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: এদের আরও কঠিন শাস্তি দেওয়া উচিত। এটা খুব সামান্য হয়ে গেল।

২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৩৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: রায় দেওয়ার সময় বিচারক নিজেই বলেছেন, এ ধরণের অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিৎ, কিন্তু উক্ত ধারায় সর্বোচ্চো শাস্তি যাবজ্জীবন তাই মৃত্যুদণ্ড দেয়া সম্ভব হয় নাই।

৮| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০৯

কলাবাগান১ বলেছেন: হাতের আংগুল এর পাথরগুলি তাকে বাচাতে পারল না? এসব দেখেও মানুষ শিখে না যে এই সব পাথর/মাথর ভুয়া ছাড়া কিছুই না

২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৫২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: দক্ষিন এশিয়ায় এগুলো খুব চলে, বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা বলা চলে। মানুষের হাতে যত দ্রুত টাকা বাড়ছে কিন্তু তত দ্রুত জ্ঞান বুদ্ধি বৃদ্ধি পাচ্ছে না। প্রথম আলোর মত একটি পত্রিকা এখনো রাশিফল ছাপায়!!

দেশের মিডিয়াগুলো জনগনকে সচেতন করার মত কিছু তো করছেই না, উল্টো জনগণ কি কি গার্বেজ পছন্দ করে তারা তাই পরিবেশন করে।

৯| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:২৬

কামাল১৮ বলেছেন: অপরাধের ধরণ পাল্টাবে।

২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৫৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হ্যাঁ সময়ের সাথে সাথে অপরাধের ধরণও পাল্টায়।

১০| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৩২

কামাল১৮ বলেছেন: ৭১ এর চেতনা জাগ্রত থাকলে বাংগালী ভালো জাতিতে পরিনত হতো।মুক্তি যোদ্ধারা অস্স্র জমা না দিলে জাতি আন্য জাতিতে পরিনত হতো।

২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৫৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

মুক্তি যোদ্ধারা অস্স্র জমা না দিলে কি হতো?

১১| ২১ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: প্রথম আলোতে পুরো নিউজটি পড়লাম।
আসামীরা শাস্তি পেয়েছে। আমি চাই এরকম আসামি আরো অনেক আছে। এদেরও গ্রেফতার করা হোক, শাস্তি দেওয়া হোক।

২১ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ধীরে ধীরে সবাইকে পাকরাও করা হবে, এই দেশ থেকে দূর্ণীতিবাজদের নির্মূল করা হবে।

১২| ২১ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এস আলম গ্রুপের কিছু হয়না কেন?

২১ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৩১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সবাইকে ধরা হবে এক সময়, দূর্ণীতি করে পার পাওয়ার দিন শেষ।

১৩| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩০

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: সবকিছুর বিচার হোক...
তনু হত্যা থেকে সাগর-রুনি সবার...

২২ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তনু আর সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি মনে কালের গর্ভে হারিয়েই যাবে। :|

১৪| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ ভোর ৬:৪০

কাছের-মানুষ বলেছেন: ঘটনাটা পত্রিকায় পড়েছিলাম। যাক বিচার অন্তত হয়েছে, এখন আপিল করে না বের হলেই হল । বাংলাদেশে ব্যাংকে যেই দুর্নীতি হয়েছে সেগুলোতে সরকারের আমলা, মন্ত্রী, ব্যাংকের কর্মকর্তারা ব্যাপকহারে জড়িত ছিল।

২২ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:৪১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমার মনে হয় আপিল করে ওরা কয়েক বছরের মধ্যে বেড়িয়ে যাবে, কারণ ইতিমধ্যে তারা কিন্তু ১২ বছর জেল খেটেছে।
আসলে টাকার নেশা খুবই ভয়ঙ্কর একটি নেশা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.