![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে না পড়তে ভালো লাগে, বলতে না শুনতে ভালোবাসি, সেমি-ইন্ট্রোভার্ট।
খুব ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরী হচ্ছে, বিশ্ব কি তাহলে পারমানবিক যুদ্ধের দিকেই এগুচ্ছে? রাশিয়ার মত পারমানবিক শক্তিধর একটি দেশের উপর এমন নজিরবিহীন হামলা খুবই বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরী করতে পারে।
গত রাতে রাশিয়াজুড়ে দেশটির বিমানবাহিনীকে লক্ষ্য করে ইউক্রেন যে হামলা চালিয়েছে, সেটাকে তাঁদের দুঃসাহসী ও অসাধারণ কৌশল বলা হলে অতিরঞ্জন হবে না। ‘অপারেশন স্পাইডার’স ওয়েব’ নামক এ হামলায় রাশিয়ার অন্তত ৪০ টি অত্যাধুনিক বোমারু বিমান ধ্বংস করা হয়েছে যে বিমানগুলো পারমানবিক বোমা বহন করতে সক্ষম। এ হামলায় রাশিয়ার অন্তত ৭০০ কোটি ডলার মূল্যের (প্রায় ৫২০ কোটি পাউন্ড) ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের মানুষ এ ড্রোন হামলাকে আগের কিছু বড় সাফল্যের সঙ্গে তুলনা করছেন। যেমন ২০২২ সালে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরে নৌবহরের প্রধান জাহাজ মস্কভা ডুবিয়ে দেওয়া, কার্চ সেতুতে বিস্ফোরণ, আর পরের বছর সেভাস্তোপোল বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।
ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউ গণমাধ্যমকে যেসব তথ্য দিয়েছে, তার ভিত্তিতে বোঝা যাচ্ছে, এটি এখন পর্যন্ত তাদের সবচেয়ে পরিকল্পিত ও সফল অভিযান।
১৮ মাস ধরে এ অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। অভিযানের অংশ হিসেবে বেশ কিছু ছোট ড্রোন বিশেষভাবে তৈরি ট্রাকের ভেতর লুকিয়ে রেখে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় পাচার করা হয়। এরপর সেগুলো হাজারো মাইল দূরে রাশিয়ার চারটি ভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আশপাশের বিমানঘাঁটিগুলোর দিকে ড্রোন হামলা চালানো হয়।
ইউক্রেনের টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষা–বিশ্লেষক সেরহি কুজান বলেন, ‘বিশ্বে এর আগে কোনো গোয়েন্দা সংস্থা এমন কিছু করেছে বলে জানা নেই।’
কুজান আরও বলেন, ‘এ কৌশলগত বোমারু বিমানগুলো আমাদের বিরুদ্ধে দূরপাল্লার হামলা চালাতে সক্ষম ছিল। সেখানে এ রকম মাত্র ১২০টি বিমান আছে, আর আমরা আঘাত করেছি ৪০টিতে। এটি একেবারে দুর্দান্ত একটি সংখ্যা।
তবে ইউক্রেনের সামরিক ব্লগার ওলেকসান্দর কোভালেনকো বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এতটাই বেশি যে রাশিয়ার সামরিক শিল্পকাঠামোর এখন যে অবস্থা, তাতে এগুলোকে শিগগিরই পুনরুদ্ধার বা মেরামত করা সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না।’
এ হামলায় যেসব কৌশলগত বোমারু বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার মধ্যে আছে টিইউ-৯৫, টিইউ-২২ ও টিইউ-১৬০। সেগুলো এখন আর তৈরি হয় না বলে পোস্টে উল্লেখ করেছেন ওলেকসান্দর কোভালেনকো। তাঁর মতে, ক্ষেপণাস্ত্রবাহী বিমানগুলো মেরামত করাটাই কঠিন হবে, আর এর প্রতিস্থাপন একেবারেই অসম্ভব। এর মধ্যে সুপারসনিক টিইউ-১৬০ হারানোর ক্ষতি সবচেয়ে বেশি অনুভূত হবে বলে মনে করেন কোভালেনকো।
কোভালেনকো লিখেছেন, ‘আজ রাশিয়ার বিমানবাহিনী শুধু তাদের দুটি দুর্লভ বিমানই হারায়নি, দলের দুই অনন্য সম্পদ হারিয়েছে।’
এক্সে বিজনেস ইউক্রেন সাময়িকীর একটি পোস্টে বলা হয়, ‘দেখা যাচ্ছে, সবকিছুর পরও ইউক্রেনের হাতে কিছু কার্ড ছিল। আজ জেলেনস্কি খেললেন ড্রোনের রাজা হয়ে।’
রাশিয়ার নিরাপত্তা সংস্থার সংশ্লিষ্ট টেলিগ্রাম চ্যানেল ‘ম্যাশ’ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে সাইবেরিয়ার ইরকুতস্ক অঞ্চলে কয়েকজনকে ট্রাকের ওপর উঠে ড্রোনের উৎক্ষেপণ থামাতে চেষ্টা করতে দেখা যায়।
রাশিয়ার বেশ কয়েকটি সামরিক বিমানঘাঁটি থেকে পাওয়া ভিডিওতে ধ্বংস হওয়া এবং জ্বলন্ত বিমান থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
মস্কো অঞ্চলের ভসক্রেসেনস্কে আগুনে পুড়ছে এমন একটি বিমানঘাঁটির ভিডিওতে এক রুশ সেনাসদস্যকে বলতে শোনা যায়, ‘এখানে সব ধ্বংস হয়ে গেছে।’ তাঁর পেছনে কয়েকটি বোমারু বিমান পুড়তে দেখা গেছে।
এই হামলার ভিডিও ফুটেজ দেখতে বিবিসিতে ঢুঁ মারুন- Ukraine drones strike bombers during major attack in Russia
আরও পড়ুন- Ukraine's audacious drone attack sends critical message to Russia - and the West
এদিকে জার্মান প্রতিরক্ষা প্রধান General Carsten Breuer সতর্ক করে বলেছেন, Russia may attack Nato in next four years.
সব মিলিয়ে দিন দিন পরিস্থিতি খুব খারাপের দিকেই যাচ্ছে- পুতিন যদি এখন মাথা গরম করে ইউক্রেনের উপর পারমানবিক হামলা করে বসে; তাহলে ইউক্রেনের মিত্ররাও রাশিয়াকে দমন করতে তাদের উপর পারমানবিক হামলা চালাবে এত কোন সন্দেহে নেই, অন্যদিকে রাশিয়ান মিত্ররাও ইউরোপের উপর হামলা চালাবে এর এভাবেই ধীরে ধীরে আমরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কাছাকাছি চলে যাচ্ছি।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে নিয়ে আরও পড়ুন - রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল দখলে নিয়েছে ইউক্রেন
ইউক্রেনের ড্রোন আক্রমণে রাশিয়ার সুপারসনিক বোমার ধ্বংস
গতরাতের এ হামলা বিষয়ে আরও পড়ুন: রাশিয়ার চার বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, ৪০টির বেশি বোমারু বিমান ধ্বংসের দাবি।
রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে মস্কো ও পশ্চিমা বিশ্বকে কী বার্তা দিল ইউক্রেন
০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ১১:২৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমি অবাক হয়ে যাই রাশিয়ার এমন উচ্চ প্রযুক্তির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে তাদের সামরিক বিমান ঘাঁটিতে ইউক্রেন এমন হামলা চালালো কি করে তা ভেবে!!
আমার মনে হয় এ যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত পারমানবিক যুদ্ধে গিয়েই শেষ হবে, কারণ কোন পক্ষই ছাড় দিতে নারাজ, তাছাড়া পুতিন কিন্তু সেই শুরু থেকেই পারমানবিক হামলার হুমকি দিয়ে আসছে- তাদের পারমানবিক ইউনিটকে উচ্চ সতর্কাবস্তায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে। গতকালের এই হামলায় রাশিয়া এখন আহত বাঘের ন্যায় ফুঁসছে, নিশ্চই ইউক্রেনের উপর বড় ধরণের হামলা চালাবে এমনকি ছোট খাটো পারমানবিক হামালাও চালাতে পারে।
আবার এদিকে ট্রাম্পের বক্তব্যে ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের’ ঝুঁকি বাড়ছে
২| ০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ১১:১২
ফেনিক্স বলেছেন:
ইউক্রেনের লোকজন ভুল লোককে প্রেসিডেন্ট বানায়েছে।
০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ১১:২৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমি আগে জেনালেস্কিকে অনেক বুদ্ধিমান মনে করতাম, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তার প্রতি আমার ধারণা পাল্টিয়েছে।
৩| ০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ১১:৪৪
আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: ফেনিক্স বলেছেন: ইউক্রেনের লোকজন ভুল লোককে প্রেসিডেন্ট বানায়েছে।
আমার মতে কোন ধরনের যুদ্ধে জড়ানোই উচিত নয়। প্রচুর সাধারন মানুষের জীবন যায়, সভ্যতা ধ্বংস হয়, দেশের অর্থনীতির অবস্থা শোচনীয় হয়। আমি যে কোন মূল্যে যুদ্ধ এড়াতে চাই। এতে যদি আমাকে ছাড় দিতে বা আপোষ করতে হয় আমি তাও রাজি।
০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ১১:৫৮
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: পারমানবিক যুদ্ধ যদি শুরু হয় তাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এতটাই বেশি হবে যে, যা আমরা কল্পনাও করতে পরি না।
৪| ০৩ রা জুন, ২০২৫ রাত ১:৫৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পুতিন আলেকজেন্ডার দুগিনের নীতি ফলো করে। সে থামবে না।
০৩ রা জুন, ২০২৫ রাত ২:০৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: রাশিয়ান অনেক পলেটিশিয়ানও এ কথা বলে, অনেককেই বলতে শুনেছি এমন- "আমি তাকে চিনি, সে লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত সে থামবে না"
আবার ইউরোপিয়ানদের মনোভাব দেখে আমি বুঝতে পরি তারাও আসলে পিছু হটবে না।
সবমিলিয়ে সমাধানের কোন লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না।
৫| ০৩ রা জুন, ২০২৫ ভোর ৫:৫৯
রিফাত হোসেন বলেছেন: নীচু দিয়ে উড়ে গিয়েছে তাই শনাক্ত করতে পারে নাই। নীচু দিয়ে উড়ে গেলে, খারাপ আবহাওয়ায়, জঙ্গলে বা গিড়ি অঞ্চলে শনাক্ত করা কঠিন ও false signal দিতে পারে।
০৩ রা জুন, ২০২৫ সকাল ১১:০৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এটাই হয়তো আসল কারণ আর তাই হয়তো আজকাল বিমান আক্রমণের চেয়ে ড্রোন আক্রমন বেড়ে গিয়েছে, ড্রোন আক্রমনে খরচও অনেক কম, পাইলটেরও প্রয়োজন নেই, দূর থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ০৩ রা জুন, ২০২৫ সকাল ৭:১৫
কামাল১৮ বলেছেন: জাপানের পার্লহ হারবার আক্রমনের কথা মনে করিয়ে দেয়।পরিনতিতে জাপানের কি অবস্থা হয়েছিলো।
০৩ রা জুন, ২০২৫ সকাল ১১:১০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এক্সাক্টলি... ঠিক এই বিষয়টা'ই আমিও ভাবছিলাম, পার্লহ হারবার আক্রমনের পরেই কিন্তু আমেরিকা জাপানে পারমানবিক বোমা নিক্ষেপ করছিলো, পুতিনও হয়তো ইউক্রেনে ব্যাপক আক্রমাণ চালাবে এবার।
৭| ০৩ রা জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: রাশিয়া চাইলে এক সপ্তাহের মধ্যে এই যুদ্ধ শেষ করে দিতে পারে।
০৩ রা জুন, ২০২৫ সকাল ১১:২৩
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: নাহ তা পারে না, শুরুতে অনেকেই ভেবেছিলো সাপ্তাহ খানেকের মধ্যেই হয়তো রাশিয়া ইউক্রেন দখল করে নিবে কিন্তু তা আর সম্ভব হয়নি, উল্টো গত ৩ বছরে রাশিয়া ব্যপক ক্ষয় ক্ষতির শিকার হয়েছে.. লাখের উপরে সৈন্য হারিয়েছে, আহত হয়েছে কত তার হিসবে নেই, রাশিয়ার বিপুল পরিমাণে ট্যাংক, হেলিকাপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে, হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে, তাদের অত্যাধুনিক কয়েকটা বিমান, যুদ্ধ জাহাজও ধ্বংস করা হয়েছে, আর গতকালের ঘটনাতো দেখতেই পাচ্ছেন। আর সবচেয়ে বড় কথা, রাশিয়ার ব্যাপক অর্থনৈিতিক ক্ষতি হচ্ছে এই যুদ্ধে, চীন আর ইন্ডিয়ায় কম দামে তেল বেচে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব নয়।
সবমিলিয়ে ইউক্রনে যুদ্ধ শুরু করে রাশিয়া এখানে আটকে গেছে বা এটা এখন তাদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত রাশিয়া পরামানিবক হামলা চালাতে পারে পুরো ইউরোপ জুড়ে।
৮| ০৩ রা জুন, ২০২৫ সকাল ১০:১৮
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মনে হচ্ছে রাশিয়া এবার মরণ কামড় দেবে।
০৩ রা জুন, ২০২৫ সকাল ১১:২৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হ্যাঁ তেমন কিছুই হতো পারে, তবে ইউক্রেন পিছু হটবে না। যুদ্ধে চলছে প্রায় সমান সামানে।
৯| ০৩ রা জুন, ২০২৫ সকাল ১১:১৩
কু-ক-রা বলেছেন: উহা (পুতিন) যুদ্ধ থামানোর মত অবস্থায় নাই। ইউক্রেনের শয়তানরা যুদ্ধ আরম্ভ করিয়াছে, উহাদেরকেই যুদ্ধ থামাইতে হইবে।
০৩ রা জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৩০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ, আক্রমণ পাল্টা আক্রমন চলছে সামান তালে।
রাশিয়া যেমন থামবে না, ঠিক তেমনই ইউক্রেনও পিছু হটবে না, কোন পক্ষই ছাড় দিতে নাড়াজ আর তাই শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধ পারমানবিক যুদ্ধে রুপ নিবে বলে মনে হচ্ছে।
১০| ০৩ রা জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:২৫
নতুন বলেছেন: এখন পুতিন চিপা মাইর দেবে জেলেক্সিরে।
এটা কি আমেরিকার বুদ্ধি?
পুতিন ট্রাম্পের কথা শুনতেছে না। তাই ট্রাম্প বিলা হইয়া রইছে!
০৩ রা জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৪৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এক সাপ্তাহের মধ্যেই হয়তো ইউক্রেনে বড় ধরণের হামলা হতে পারে, এই হামলা ইউক্রেন কিভাবে প্রতিহত করে তা দেখার বিষয়।
আমাদের দেশের মানুষ মনে করে পুতিন ইচ্ছে করেই হয়তো ইউক্রেনে কম আক্রমণ করে কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে রাশিয়ার ছোড়া ৭০% থেকে ৯০% ক্ষেপাণাস্ত্রই আকাশে ধ্বংস করা হয়। পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেনকে অফেন্সিভ অস্ত্র কম দিলেও বেশ অত্যাধুনিক কিছু ডিফেন্সিভ ব্যবস্থা দিয়েছে এবং দিয়ে যাচ্ছে যে কারণে ইউক্রেন এখনো টিকে আছে।
ট্রাম্প প্রশাসন খুব অ্যাবনরমাল আচরণ করছে, ট্রাম্প ইচ্ছে করলেও ইউক্রেনকে পুরোপুরি সাহয্য প্রদাণ করা বন্ধ করতে পারবে না, কারণ আগের বাইডেন প্রশাসন ইতিমধ্যে ইউক্রেনে বিলিয়নস ডলারস ইনভেস্ট করে বসে আছে, এগুলো সব জলে যাবে যদি ট্রাম্প ইউক্রেন থেকে সরে আসে।
১১| ০৩ রা জুন, ২০২৫ দুপুর ১:১০
আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: রাশিয়া এক সপ্তাহের ভিতরে এই যুদ্ধ জিততে পারে যদি পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার করে। এতদিন পুতিন পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার করার কথা ভাবে নাই। এখন যদি ইউক্রেইনের একশনের রি-একশন হিসেবে পুতিন ভাবে যে যুদ্ধটা আর টেনে না নিয়ে এখনি শেষ করতে হবে তাহলে পারমানবিক যুদ্ধ আসন্ন। কারন ১ সপ্তাহের যুদ্ধ ৩ বছর টেনে নেওয়ায় রাশিয়ার অর্থনীতি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই বেপারটা পুতিন যেদিন উপলব্ধি করবে সেদিনই পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার করার কথা চিন্তা করবে। তাছাড়া এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার আর কোন লক্ষণ দেখছি না। কারন কেউই কাউকে ছাড় দিতে চাচ্ছে না।
০৩ রা জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:০৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: রাশিয়ার প্রায় চারিদিক থেকেই ন্যাটোর পারবমানবিক অস্ত্র তাক করা আছে রাশিয়ার দিকে, বাকি ছিলো শুধু এই ইউক্রেনে পারমানবিক অস্ত্র মোতায়েন- ইউক্রেনে যদি ন্যাটো পারবমানবিক অস্ত্র মোতায়েন করতে পারতো তাহলে তা হতো রাশিয়ার ঘারে বন্দুক ঠেকানোর মত অবস্থা, তাই কোন অবস্থায়াই রাশিয়া চায় না ইউক্রেন ন্যাটোতে যুক্ত হাউক, আর ন্যাটো চাচ্ছে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যুক্ত করতে তাহলে রাশিয়াকে পুরোপুরি ঘিরে ধরা যাবে, এখান থেকেই মূলত এই সংঘাতের শুরু।
রাশিয়া যদি ইউক্রেনে বড় ধরণের পারমানবিক হামলা চালায় তাহলে তার পারেরদিনই রাশিয়া বিশ্বের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে, কারন তখন ন্যাটোর সমস্ত ঘাঁটি থেকে রাশিয়ের উপর পারমানবিক আক্রমান চালানো হবে। দুপক্ষই শক্তিশালী তাই কেউ কাওকে'ই ছাড়া দিতে নারাজ।
বাংলাদেশে যদি চীন পারমানবি অস্ত্র মোতায়েন করতে চায় তাহলে ইন্ডিয়া যেমন এটা কোন মতেই মেনে নিবে না, ইউক্রেন রাশিয়ার অবস্থাও ঠিক তেমনই।
১২| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৪০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
১৩| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ দুপুর ১:১১
আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: আমি মনে করি পুতিন, ইউক্রেইন আক্রমণ করে বড় ভুল করেছে। আমি মনে করি কাউকে মারার চাইতে, আমি যে তাকে চাইলেই মারতে পারি এই ভয়টা তার মনের ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়াটা জরূরী। তাহলে সে আর আমার বিপক্ষে যাওয়ার সাহস করবে না। কিন্তু তা না করে কাউকে যদি মেরেই বসি তখন সে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পাগল হয়ে যাবে, কারণ তার আর হারানোর কিছু বাকি থাকবে না। ইউক্রেইন আক্রমণ করার আগে সবাই রাশিয়াকে যেমন ভয় পেত যে রাশিয়া চাইলেই যখন তখন ইউক্রেইন শেষ করে দিতে পারে, এখন কিন্তু সেই ভয় আর কেউ করে না। কারণ এই যুদ্ধের মাধ্যমে রাশিয়ার সামরিক দূর্বলতা সবার সামনে প্রকাশ হয়ে গেছে (যা এতদিন গোপন ছিল)। তাই রাশিয়ার উচিত ছিল "রাশিয়া চাইলেই যখন তখন ইউক্রেইন শেষ করে দিতে পারে" এই ভয়কে কাজে লাগিয়ে ইউক্রেইনকে দমিয়ে রাখা।
আপনি বলেছেনঃ রাশিয়া যদি ইউক্রেনে বড় ধরণের পারমানবিক হামলা চালায় তাহলে তার পারেরদিনই রাশিয়া বিশ্বের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে, কারন তখন ন্যাটোর সমস্ত ঘাঁটি থেকে রাশিয়ের উপর পারমানবিক আক্রমান চালানো হবে।
আমার মনে হয় ব্যাপারটি এতটা সহজ হবে না। ন্যাটো যদি রাশিয়া কে পারমানবিক হামলা করে তাহলে রাশিয়াও ন্যাটো দেশগুলোতে একসাথে পারমানবিক হামলা চালাবে। রাশিয়ার সেই সামর্থ্য আছে, আর সেই ভয় ন্যাটো দেশগুলোর ভিতরেও আছে। তাই তারা পৃথিবী থেকে রাশিয়ার মানচিত্র মুছে দেওয়ার আগে নিজেদের দেশের মানচিত্রও মুছে যাওয়ার ব্যাপারে ১০ বার ভাববে। দেখা গেছে রাশিয়া ইউক্রেইন আক্রমন করার আগে ন্যাটো দেশগুলো মুখে বড় বড় কথা বললেও, ইউক্রেইনের পাশে আছি বললেও, রাশিয়া ইউক্রেইন আক্রমণ করার পরে কোন ন্যাটো দেশ রাশিয়াকে আক্রমণ করার সাহস দেখায়নি। শুধু অর্থনৈতিক অবরোধ দিয়েই ক্ষান্ত ছিল।
তাই আমি মনে করি "রাশিয়ার প্রায় চারিদিক থেকেই ন্যাটোর পারবমানবিক অস্ত্র তাক করা আছে রাশিয়ার দিকে, বাকি ছিলো শুধু এই ইউক্রেনে পারমানবিক অস্ত্র মোতায়েন" এই রকম হলেও রাশিয়ার ভয়ের কারণ ছিল না। তাই পুতিন ইউক্রেইন আক্রমণ করে ভুল করেছে। বর্তমানের ক্ষেপনাস্ত্রগুলো যেখানে মহাদেশ পারি দিয়ে আঘাত করার ক্ষমতা রাখে সেইখানে আমার বাড়ির পাশে মিসাইল মোতায়েন করাও যা, অন্য মহাদেশে মোতায়েন করাও তা।
০৪ ঠা জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৪৮
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: গুড বিশ্লেষণ। পারমানবিক ওয়্যাহেড সম্পন্ন ক্ষেপাণাস্ত্র ভিন্ন মহাদেশ থেকে আসতে কিছুটা সময় লাগে, এবং এর কিছু সিমাবদ্ধতাও রয়েছে, শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তা মাঝ পথে থামিয়ে দিলে দিতেও পারে, কিন্তু খুব কাছ থেকে ছুড়লে তা থামানো প্রায় অসম্ভব, আবার খুব কাছ থেকে বিমান আক্রমণ করেও পারমানবিক বোমা ফেলা সহজ।
পারমানবিক আক্রমণ মানেই হচ্ছে উভই পক্ষই লুজার, তবে আমার মনে হয় যে আগে প্রধাণ প্রাধাণ পারমানবিক স্থাপনায় আক্রমণ চালাতে পারবে, সে পক্ষ বিজয় হিসেবে বিবেচিত হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ১০:৫৫
আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: বিশ্ব ক্রমেই ভয়ানক পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। এই যুদ্ধ যত বেশি দীর্ঘমেয়াদি হবে, পারমানবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা ততই বাড়বেে।