নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীতে অনেক ধরনের ব্লগ আছে তার মধ্যে কমিউনিটি ব্লগের ব্যাপ্তি বিশাল বড়। কমিউনিটি ব্লগ অনেকটা আমাদের প্রচলিত সমাজের মত। এখানে জ্ঞানী, বিজ্ঞানী, দার্শনিক, গল্পকার, কবি থেকে শুরু করে আম জনতা সবাই থাকবে। এমন কি যিনি এক লাইন লিখতেও সমর্থ নন, শুধু প্রশ্ন করার, উপলব্ধি করার এবং জানার ইচ্ছে আছে তিনিও একজন সম্মানিত ও গুরুত্বপূর্ণ ব্লগার হতে পারেন। কমিউনিটি ব্লগে প্রচলিত চিন্তাধারার বাইরের ব্যক্তিও স্থান পায়। কারণ সত্য মিথ্যার লড়াইয়ে তিনি হয়ত নিজেকে সংশোধন করবেন, নতুন করে নিজেকে জানবেন অথবা ঘাড় ধাক্কা খেয়ে বিদায় হবেন।
তাই কমিউনিটি ব্লগিং এতটা বৈচিত্র্যময় এবং এখানে ব্লগিং আনন্দজনক। যারা নির্দিষ্ট খোলস বা নির্দিষ্ট চিন্তার বাইরে গিয়ে কোন কিছু করতে পছন্দ করেন না তাদের জন্য কমিউনিটি ব্লগে দীর্ঘদিন সারভাইব করা বেশ কঠিন ব্যাপার। তারা অল্পতেই হতাশ হয়ে পড়েন, শুরু হয় ব্যক্তিত্বের সংঘাত, সম্মান অসম্মান এর দ্বন্দ্ব এবং ব্যক্তিজীবনের সাথে ব্লগ জীবনের অপ্রাসঙ্গিক তুলনা।
অনেকেই মনে করেন, ব্লগে লিখতে হলে বুঝি ভালো লেখক হতে হয়। কিছু নির্দিষ্ট বিষয় ভিত্তিক ব্লগ বা লেখক ফোরামের ক্ষেত্রে এই ধরনের ধারনা প্রযোজ্য হলেও কমিউনিটি ব্লগের ক্ষেত্রে তা একেবারেই অমূলক বা প্রযোজ্য নয়। কমিউনিটি ব্লগের একজন সদস্যের প্রয়োজনীয় গুন হচ্ছে পাঠক সত্তা, যৌক্তিক প্রশ্ন ও মতামত প্রদান করে আলোচনায় অংশগ্রহণ করা। কমিউনিটি ব্লগে বঙ্কিম চন্দ্র যেমন লিখতে পারেন তেমনি পাড়ার অখ্যাত হরিদাস পালও লিখতে পারেন। একজন পাঠক যে কোন লেখাকে মূল্যায়ন করার ক্ষমতা রাখেন। একজন পাঠক সাধারণত তাঁর নিজস্ব প্রজ্ঞা, দর্শন এবং সর্বোপরি লেখাটির অন্তর্নিহিত বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে যে কোন লেখার মূল্যায়ন করেন। ফলে এতে পাঠকের চরিত্রও লেখকের কাছে পরিষ্কার হয়। যা সামগ্রিক আলোচনার জন্য খুবই গুরত্বপূর্ন।
কমিউনিটি ব্লগে সমালোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় একটি ব্যাপার। সমালোচনার কৌশল ও ব্যাপ্তিও বেশ বিশাল এবং ক্ষেত্র বিশেষে তা কিছুটা স্পর্শকাতরও বটে। সমালোচনার অনেক ধরন আছে। যৌক্তিক যে কোন সমালোচনা গ্রহণযোগ্য। অনেক সময় কমিউনিটি ব্লগে এমন কিছু পোস্ট আসে পাঠকরা অনেক সময় স্বাভাবিক নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কঠোর ভাষায় ক্ষেত্র বিশেষে ব্যক্তি আক্রমণ করে তার সমালোচনা করেন। তত্বীয়ভাবে বা নীতিগতভাবে এটা সমর্থনযোগ্য না হলেও কমিউনিটি ব্লগে এটার সুপ্ত চর্চা এবং আংশিক অনুমোদন অব্যাহত আছে। যেমন ধরুন - স্বাধীনতা বিরোধী বা মূর্খ ধর্মান্ধরা সাধারণ লজিক বা ভদ্রস্থ সমালোচনার ইতিবাচকতা গ্রহণ করতে অধিকাংশ সময় ব্যর্থ হয়। ফলে প্রায়ই তারা অকথ্য সমালোচনার মুখোমুখি হন। অবশ্য সেগুলোকে সমালোচনার চাইতে এক ধরনের ব্যক্তি আক্রমণই বলা শ্রেয়। বৃহত্তর স্বার্থে এই ধরনের আক্রমণকে সবাই ইতিবাচকভাবেই দেখে।
আবার যারা গল্প কবিতা লিখেন তারা যদি বিভিন্ন ধরনের পাঠকের পাঠ প্রতিক্রিয়া না পান তাহলে তারা ভালো লেখক হতে পারবেন না। অনেকেই শুধু ভালো মন্তব্য পেতে চায়, নিজের লেখার সমালোচনাকে গুরুত্ব দেন না। ফলে সামগ্রিক আচরণগত প্রভাব এবং জ্ঞান অর্জন বা মিথস্ক্রিয়ার অভাবে ব্লগে নুনের অভাব পরিলক্ষিত হয়।
কিন্তু সমাজে যেমন একজন প্রশাসক থাকে, তেমনি কমিউনিটি ব্লগেও একজন প্রশাসক থাকে। যিনি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা এবং প্রতিটি লেখার নিরপেক্ষ বিচার বিশ্লেষণ করে সামগ্রিক সমালোচনা এবং আলোচনায় জায়গাটি নিয়ন্ত্রণ করেন। একজন প্রশাসক যেমন সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারে না, তেমনি কমিউনিটি ব্লগের নিয়ন্ত্রকরাও সবাইকে খুশি করতে পারে না। কমিউনিটি ব্লগের নিয়ন্ত্রকদের কাজ সকলের মত প্রকাশের জায়গাটিকে নিশ্চিত করা এবং সেই মত প্রকাশকে কেন্দ্র করে যে সকল ঘটনা ঘটতে পারে তার ফলাফল আগে থেকে নিরূপণ করে সেই ব্যাপারে কৌশলী সিদ্ধান্ত নেয়া।
কমিউনিটি ব্লগের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে বিষয় এবং ব্যক্তি মানসিকতার বৈচিত্র্যময়টা। এখানে কেউ ঈশ্বরকে বিজ্ঞান দিয়ে প্রমান করতে চেষ্টা করেন, কেউ বিজ্ঞান দিয়ে ঈশ্বরকে উড়িয়ে দেন। কেউ ইতিহাসের নির্মোহ সত্য তুলে ধরে প্রচলিত ইতিহাসকে হুমকির মুখে ফেলে দেন, কেউ বা প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে মত প্রকাশ করে অনেককে বিব্রত করেন। কমিউনিটি ব্লগের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হচ্ছে মন্তব্য। একটা কয়েক লাইনের পোস্টে কয়েকশ কমেন্ট পড়তে পারে, দুর্দান্ত আলোচনা হতে পারে। মন্তব্য, প্রতি মন্তব্যে হতে পারে বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা।
সর্বোপরি কমিউনিটি ব্লগ একটি চলমান বাসের মত, এটা পাঁচ তারকা হোটেলের কোন সেমিনার রুম নয় যেখানে সবাই সেজেগুজে বাবু হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে সুশীলতা এবং আতলামী করবে। আঁতেল বলতে এখানে ইন্টেলেকচুয়ালিটিকে বুঝানো হয়েছে। একটি চলমান বাসে বিভিন্ন পেশার, বিভিন্ন লেভেলের শিক্ষিত, বিভিন্ন দর্শন বা ধর্মের মানুষ থাকতে পারে, এখানে ক্যানভাসারও আছে, হেল্পারও আছে। এখানে পুরানো ঢাকার মানুষও যেমন থাকবে তেমনি কুষ্টিয়ার মিষ্টির ভাষার লোকও থাকবে। সবাই নিজস্ব পদ্ধতিতে, নিজস্ব কমিউনিকেশন লেভেল অনুসারে সবাই কথা বলবে, যোগাযোগ করবে। সেটাই স্বাভাবিক। এই বৈচিত্রতা নষ্ট হলেই তা অস্বাভাবিক হবে। অন্যের ভুল ধরার চাইতে নিজেকে নির্ভুল রাখাই সবচেয়ে ভালো প্রচেষ্টা।
তবে কমিউনিটি ব্লগে কিছু মানুষ থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে যারা নিজেদের বিতর্কিত আদর্শ অন্যদের মধ্যে সুকৌশলে ঢুকানোর জন্য চেষ্টা করে। এদের প্রচলিত নাম ছুপা। এরা নানা বর্ণে আপনার মাঝে উপস্থিত হতে পারে, কেউ গল্প লেখক হিসাবে, কেউ কবি হিসাবে, কেউ রম্যকার হিসাবে কেউ বা অন্য যে কোন নতুন পরিচয়ে। এদের ফাঁদে পড়ে নিজেদের আদর্শ ভুলে গেলেই আপনি গেছেন। এরা এক ধরনের অজ্ঞান পার্টি। বাস চলবে কিন্তু শেষ স্টেশনে এসে আপনার আর কিছুই থাকবে না।
কমিউনিটি ব্লগ হিসাবে সামহোয়্যারইন ব্লগ আমার খুবই প্রিয় জায়গা। জীবনের একটা দীর্ঘ সময় এখানে কাটিয়েছি। এখানে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে, ব্লগারদের রক্ষা করতে গিয়ে অনেকবার বিপদের সম্মুখীন হয়েছি, নিজের ব্যক্তিজীবন, মানসিক বিপর্যয়ের শিকার হয়েছি। কিন্তু তা স্বত্তেও আমি ব্লগের সাথে আছি। জানা আপা আমার চেয়েও বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এটা আমার ভালোবাসার জায়গা। আমি আমার প্রিয় জায়গাটিকে কখনই ধর্মের মত সোশ্যাল সেন্সিটিভ ইস্যু নিয়ে ব্যবসা করতে দিবো না। তাই এখানে যে কোন শ্রেনীর ধর্ম ব্যবসায়ীদের স্থান নেই। আমাকে কে পছন্দ করবে না করবে - আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই। তেমনি স্বাধীনতা বিরোধীদের বা চিহ্নিত দেশ বিরোধী আদর্শের কোন স্থানও এই ব্লগে হবে না। চিহ্নিত হওয়া মাত্রই বিদায় হবে, তা যত বড় ব্লগারই হোক না কেন। যত বিপদই আসুক আমরা সরকার, রাষ্ট্র পরিচালকদের যৌক্তিক সমালোচনা করব, সমালোচনা করব মানুষের ভোটের অধিকারের ব্যাপারে, দূর্নীতির বিরুদ্ধে।
নানাবিধ কারণে আমাদের প্রিয় সামু হয়ত কিছুটা জর্জরিত। কিন্তু এটা সাময়িক। আমরা খুব একটা আবার মাথা তুলে দাঁড়াবো। নতুন প্রজন্মের প্রতি আমাদের কিছু দায়বদ্ধতা আছে, যে প্রজন্মকে প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ দ্বারা ধ্বংস করার পায়তারা করা হচ্ছে তাদের জন্য সামহোয়্যারইন ব্লগ হবে একটি আলোকবর্তিকা। সংখ্যায় যত কম হই না কেন, এই কাজ আমরা চালিয়ে যাবোই।
শুরুতে বলেছিলাম, কমিউনিটি ব্লগিং করার যোগ্যতা কি?
কমিউনিটি ব্লগিং করার যোগ্যতা হচ্ছে - মানবিক হওয়া, যৌক্তিক হওয়া, প্রশ্ন করতে জানা এবং জানতে হবে কিভাবে আনন্দ করতে হবে। দ্যাটস ইট! এই যোগ্যতা নিজের জীবনের জন্যও প্রয়োজন!
০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:০১
জাদিদ বলেছেন: অন্তত কমিউনিটি ব্লগে!
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:০৪
সাসুম বলেছেন: প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ একটা চমতকার লিখার জন্য। এই লিখায় আপনার ব্লগের জন্য অকৃত্তিম ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে, সেই সাথে দায়িত্ববোধ।
পুরা পোস্টের সাথে একমত জানালাম। কমিউনিটি ব্লগিং এর আইডিয়া এবং মডেল টাও সেইম যেটা অনেক আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে দেখা যায়।
আমার আপত্তির একটা যায়গা আছে, সেটা হল প্রথম পাতায় এক্সেস।
একজন ব্লগার তার যা ইচ্ছে তাই লিখতে পারেন কারন কাউকে লিখতে জোর করা বা বাধা দেয়া সাংবিধানিক ভাবেই অনুচিত।
বাট মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ব্লগের প্রথম পাতা অখাদ্য এবং কোয়ালিটি লেস লিখা দিয়ে ভরিয়ে রাখার মত দৃষ্টিকটু কাজ আর কোনটাই হতে পারেনা।
কাউকে লিখতে বাধা দেয়ার কোন অধিকার কারো নেই।
বাট, ব্লগের ফিড বা প্রথম পাতায় যাতে একটু ভাল কোয়ালিটির লিখা প্রকাশ পায়, ( প্রয়োজন হলে ফিডে লিখা কম আসুক) সেজন্য কোন ব্যবস্থা করতে পারা যায় কিনা ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ জানালাম।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:১১
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই। আপনাকে সিরিয়াস মন্তব্য করতে দেখে অনেকেই বিষম খাবে নিশ্চিত।
প্রথম পাতার ব্যাপারে আমিও কিছুটা চিন্তিত। আমরা সামনে কিছুদিন একটা এক্সপেরিমেন্ট চালাবো। সেই এক্সপেরিমেন্ট যদি সফল হয়, তাহলে প্রথম পাতায় লেখা প্রকাশের সুবিধা আরো নিয়ন্ত্রিত হবে।
আমি চাই ব্লগে সুষ্ঠ আলোচনা হোক। এখন আলোচনা করতে গেলেও সমস্যা। যেমন ধরুন আমাদের একজন প্রবীন ব্লগার তাঁকে যদি বলি - আপনি রেফারেন্স দেন আপনার লেখার, এইভাবে কপি পেষ্ট করে লেখার নাম সম্পাদনা না - তিনি রাগ করেন। তিনি বলে বেড়ান তার সাথে মডারেশনের ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে। মানবিক কারনে কিছু বলতে পারি না।
আমরা আমাদের ব্লগীয় জীবনে কঠোর এবং ভয়াবহ সমালোচনা সহ্য করেছি। এখন এই ধরনের সমালোচনা শুরু করলে অনেকেই ব্যাপারটাকে পছন্দ করবেন না। কিন্তু আমি চাই - এই ধরনের প্রচেষ্টা আবারও শুরু হোক।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য।
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:২০
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
: বলেছেন, [ এখানে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে, ব্লগারদের রক্ষা করতে গিয়ে অনেকবার বিপদের সম্মুখীন হয়েছি, নিজের ব্যক্তিজীবন, মানসিক বিপর্যয়ের শিকার হয়েছি।
আপনার উক্ত পরিস্থিতি কখনো পোস্ট আকারে ব্লগে এসেছে?
০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৫১
জাদিদ বলেছেন: এইগুলো তো আসলে ঠিক পোস্ট আকারে আসার মত বিষয় নয়, প্রশাসনিকভাবে যারা যুক্ত আছেন, তারাও চান না এই সব নিয়ে লেখালেখি হোক। ব্লগে এই সকল বিষয় নিয়ে লেখার সুযোগ একেবারেই সীমিত।
৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:২৫
গরল বলেছেন: সাসুম ভাই এর সাথে একমত, হাবিজাবি দিয়ে প্রথম পাতা ভরিয়ে দেওয়ায় প্রথ দর্শনেই বা প্রথম বার এসেই কেউ ব্লগটাকে ফালতু ভেবে বসতে পারে। তাই নির্বাচিত পোষ্টকেই প্রথম পাতা আর প্রথম পাতাটাকে "সকল পোষ্ট" নামে রুপান্তরিত করা যায় কিনা একটু ভেবে দেখবেন।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:২৪
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমরা চেষ্টা করব প্রথম পাতায় আরো কিছুটা নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করতে। আপনি যে প্রস্তাবটি দিয়েছেন তা এক সময় কিছুটা কার্যকর ছিলো। আমরা আপনার প্রস্তবটি বিবেচনা করে দেখব।
মন্তব্যের জন্য আবারও ধন্যবাদ।
৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:৩৩
অপু তানভীর বলেছেন: ধর্ম ব্যবসায়ী এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি সামুর সকল ব্লগারদএর কাম্য । এই ব্যাপার নিয়ে কারো কোন দ্বিমত থাকার কথা না !
সবাই ভাল ভাল মন্তব্য পেতে চায় এই কথা সত্য অনেকাংশেই । কিন্তু যারা সত্যিই নিজের লেখার প্রতি যত্নশীল তারা নিজের লেখার সমালোচনা ভাল ভাবেই নেন । বিশেষ করে লেখার মধ্যে কোথায় কোথায় সমস্যা, তথ্যগত কী ভুল সেখানে আছে এই আলোচনা একজন লেখা সব সময় মন থেকে গ্রহন করেন । কারণ তারা জানেন যে এতে তার লেখার মান ভাল হবে । বিশেষ করে মন্তব্য কারী যখন আন্তরিক ভাবে চান ব্লগপোস্টটার মান আরও ভাল হোক তখন ব্লগার সেটা কোন ভাবে খারাপ দৃষ্টিতে দেখতে পারেন না !
কিন্তু মন্তব্য যদি কেবল হেয় করার উদ্দেশ্য, অন্যকে ছোট করার উদ্দেশ্য, নিজেকে জাহির করার উদ্দেশ্য তাহলে সেটা কারো কাছে গ্রহন যোগ্য না । আপনি যেটা বললেন যৌক্তিক সমালোচনা ! এখন আপনি নিজ থেকেই বলতে পারেন ব্লগে যৌক্তিক সমালোচনা কয়জন করে ? আপনি আমার থেকে আরও ভাল বলতে পারবেন !
ব্লগের প্রশাসক অবশ্যই সবাইকে খুশি করতে পারবে না । এটা সম্ভবও না । আমার ইংরেজি শিক্ষক সব সময় বলতেন, যে সবাইকে খুশি করতে চায় সে মোটেই সুবিধার লোক না । আমরা চাই ব্লগের প্রশাসক সুবিধার লোক হোক । এবং সাথে সাথে সাথে কেবল এটাই চাওয়া যে ব্লগের নিয়ম কানুন ব্লগ প্রশাসক সবার ক্ষেত্রে সুষ্ঠ ভাবে সমান পালন প্রয়োগ করুক । এতে কে খুশি হল না হল এটা নিয়ে ব্লগ প্রশাসকের মাথা ঘামানোর দরকার নেই ! তাহলেই হবে !
হ্যাপি ব্লগিং
০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৫৪
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ অপু। আপনার সাথে খুব বেশি দ্বিমত করার সুযোগ নেই।
আমি আগেই বলেছি সমালোচনার বিষয়টি বেশ স্পর্শকাতর এবং এর ব্যপ্তি অনেক বিশাল। সমালোচনা কেমন হওয়া উচিত সেই বিষয়ে মনে হয় না কিছু বলার প্রয়োজন আছে। তবে বর্তমানে ব্লগে সমালোচনার ধারা প্রায় শূন্য এবং সামগ্রিক ব্লগিংটাই এক ধরনের পিঠ চাপড়াচাপড়ি টাইপ ব্লগিং এ পরিনত হয়েছে। এটা আপনি স্বীকার করেন বা না করেন তা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত। কিন্তু জিনিসটা ঘটছে। যেমন অনেক সময় অনেক সিনিয়র বা দায়িত্বশীল ব্লগাররা এমন সব বিষয়ে পোস্ট দেন বা লিখেন যা হয়ত প্রথম পাতায় স্থান পাবার উপযুক্তই নয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই সকল পোস্টে তেমন কোন সমালোচনা হচ্ছে না। কেউ বলছেন না আপনি যা লিখছেন উহা প্রথম পাতায় স্থান পাবার মত না। বা পোস্ট ভালো হয় নাই। অথচ এটা বলাটা দায়িত্বশীল ব্লগারদের নৈতিক দায়িয়্ব। কেউই ভেজাল করতে চায় না অপু। সবাই চায় অন্য বলুক, আমি মজা নিব।
তাই এই ধরনের আচরন যখন বার বার ঘটে তখন অনেকেই অধৈর্য্য হয়ে " সমালোচনার নামে ব্যক্তি আক্রমন করা যাবে না" টাইপ যে কিতাবী নীতিমালা আছে সেটার ব্যতয় ঘটায়। এই ধরনের পোস্টের ক্ষেত্রে এই রকম সমালোচনা করলে আমরা কিছুটা ছাড় দিই অর্থাৎ সাথে সাথে মন্তব্যটি মুছে না দিয়ে কিছুটা সময় অপেক্ষা করে দেখি যে অন্য কেউ সুস্থ ও স্বাভাবিক পন্থায় সমালোচনা করেন কি না। কিন্তু আফসোস, এমন কিছুই হয় না। অনেকে ব্যক্তি আক্রমন ছাড়া লেখার সমালোচনা করলেও তা নিতে পারেন না। আমাদেরকে এই ধরনের ছাড় প্রদান করতে হতো না, যদি না আপনারা দায়িত্বশীলরা উক্ত লেখার সমালোচনা করতেন।। ফলে অনেই অনেক আগেই চুড়ান্ত ব্যক্তি আক্রমন করার সাহস কারো বাড়ত না।
মনে রাখবেন, সমালোচনার কিতাবী নিয়ম কানুন ব্যক্তিজীবনে আমরা অনেকেই মানি না। ফলে সামহোয়্যারইন ব্লগের মত একটা বারোয়ারী ব্লগে সকল কিতাবী নিয়মকানুন ব্লগাররা মানবেন এমন ভাবা সমীচিন নয়।
অটঃ অপু ব্যক্তিগতভাবে আমি তোমাকে তুমি করেই বলি, আমার কথা হইল - তোমরা সারাজীবন এত ছাগু ফাইট করলা, বহুত বেয়াদপ এবং ত্যাড়া ছাগুরে সিধা বানাইছো - সেখানে একটা সামান্য গাজী ফাইট দিতে এত ইতস্বত করতে হয়? এত কান্নাকাটি করতে হয়। যিনি ইট মারবেন তিনি পাটকেল খাবেন - এটা নিপাতনে সিদ্ধ।
৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:০৫
মিরোরডডল বলেছেন:
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সহমত । এই প্যারাটা জোস হয়েছে জাদিদ ...
সর্বোপরি কমিউনিটি ব্লগ একটি চলমান বাসের মত, এটা পাঁচ তারকা হোটেলের কোন সেমিনার রুম নয় যেখানে সবাই সেজেগুজে বাবু হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে সুশীলতা এবং আতলামী করবে। আঁতেল বলতে এখানে ইন্টেলেকচুয়ালিটিকে বুঝানো হয়েছে। একটি চলমান বাসে বিভিন্ন পেশার, বিভিন্ন লেভেলের শিক্ষিত, বিভিন্ন দর্শন বা ধর্মের মানুষ থাকতে পারে, এখানে ক্যানভাসারও আছে, হেল্পারও আছে। এখানে পুরানো ঢাকার মানুষও যেমন থাকবে তেমনি কুষ্টিয়ার মিষ্টির ভাষার লোকও থাকবে। সবাই নিজস্ব পদ্ধতিতে, নিজস্ব কমিউনিকেশন লেভেল অনুসারে সবাই কথা বলবে, যোগাযোগ করবে। সেটাই স্বাভাবিক। এই বৈচিত্রতা নষ্ট হলেই তা অস্বাভাবিক হবে। অন্যের ভুল ধরার চাইতে নিজেকে নির্ভুল রাখাই সবচেয়ে ভালো প্রচেষ্টা।
এরা এক ধরনের অজ্ঞান পার্টি। বাস চলবে কিন্তু শেষ স্টেশনে এসে আপনার আর কিছুই থাকবে না।
হা হা হা ……
দূর পরবাসে থাকা একজন প্রবাসী আমি যে বাংলা কমিউনিটি থেকে একেবারেই ডিটাচড ।
তাই আমার কাছে দিনের শেষে সামু হচ্ছে একটা মিনি বাংলাদেশ ।
সময় পেলে কিছুক্ষণের জন্য এখানে ঘুরে যাই । অনেক প্রিয় মুখ প্রিয় মানুষ ।
কেমন যেনো একটা বন্ধন মনের অজান্তেই তৈরি হয়ে গেছে । ভালোলাগার জায়গা ।
একটা রাষ্ট্রে যেমন বিভিন্ন ধর্মের বর্ণের মানুষের বসবাস,
সামুতেও ঠিক সেরকম বিভিন্ন মানসিকতার মানুষের মাঝে মতের অমিল, সমস্যা, আছে থাকবে ।
পরিবারের মাঝেও মানুষ মিলেমিশেই থাকে, সবাই একরকম হয়না ।
এখানেও তাই, আমরা আমরাইতো ।
থ্যাংক ইউ জাদিদ । সামুর জন্য অলওয়েজ শুভকামনা ।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৪৮
জাদিদ বলেছেন: আপু আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
একটা রাষ্ট্রে যেমন বিভিন্ন ধর্মের বর্ণের মানুষের বসবাস,
সামুতেও ঠিক সেরকম বিভিন্ন মানসিকতার মানুষের মাঝে মতের অমিল, সমস্যা, আছে থাকবে।
এটাই বাস্তবতা।
৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:১৭
মিরোরডডল বলেছেন:
গড়লের সাথে একমত হয়ে বলবো, নির্বাচিত পোষ্ট এটা সামুর ফ্রন্ট পেইজ হতে পারে ।
আর সকল পোষ্ট সেপারেইট ট্যাবে থাকবে । এরকম হলে মন্দ হয়না ।
১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:১৮
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ! এই ব্যাপারটা মাথায় থাকবে।
৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:০৮
জিকোব্লগ বলেছেন:
আপনার পোস্ট ও মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে সামু আবার সৃজনশীল কাজের দিকে
মনোযোগ দিতে যাচ্ছে। এটা খুবই বলেও উদ্যোগ। ব্লগে বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা
হোক এটা সবারই প্রত্যাশা। কিন্তু এই বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনার মাঝে কেউ এসে
অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন ও ব্যক্তি আক্রমণ করে তখন যেন পোস্টটায় নষ্ট হয়ে যায়।
ব্লগ লেখকও এতে অপমানজনক অনুভব করে বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনায়
আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
যেমনঃ এই পোস্টে আপনাকে এসে অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করলাম।
আপনি কোথায় থেকে পড়ালেখা করেছেন?
আপনি উত্তর করলেন ক ভার্সিটিতে।
এর পরে আমি বললাম ক ভার্সিটিতে সব প্রশ্নফাঁসের জেনারেশনরা
পড়া লেখা করে। এইতো অপমান করে ব্যক্তি আক্রমণের দিকে চলে
গেল। এরপরে চেইন আকারে ব্যক্তি আক্রমণ চলতে থাকে।
আশার কথা হচ্ছে সামুতে এই ধরণের ব্যক্তি আক্রমণকারী ব্লগারের সংখ্যা
হাতে গোনা দু একটা। হতাশার কথা হচ্ছে ব্লগ কর্তৃপক্ষ হাতে গোনা দু একটার
উপর সাময়িক ব্যবস্থা নিলেও স্থায়ী ব্যবস্থা নেন না। ফলে এই ধরণের ব্যক্তি
আক্রমণকারী আরো বেশি ব্যক্তি আক্রমণের সুযোগ নেয়। কারণ সে নিশ্চিত
যে আল্টিমেট তার আসলে কিছুই হবে না।
ব্যক্তি আক্রমণকারী ব্লগারকে বার বার সতর্ক করার পরেও সংশোধিত না হলে
ঐ ব্লগার কে অন্যের পোস্টে মন্তব্য করার সুযোগ চিরতরে বন্ধ করা উচিত।
তাহলেই সামুতে বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনার ধারা ধরে রাখা সম্ভব।
ধন্যবাদ। শুভ ব্লগিং।
০২ রা মে, ২০২২ দুপুর ২:২৪
জাদিদ বলেছেন: দেখুন আমরা একটি প্ল্যাটফর্ম মাত্র। কথা আপনারাই বলবেন, আলোচনা আপনারাই করবেন। সব কিছু আপনাদেরই করতে হবে।
আমাদের কিছু নিজস্ব দর্শন আছে, নীতিমালা আছে, আমরা শুধু সেগুলো এপ্লাই করব।
ব্যক্তি আক্রমণকারী ব্লগারকে বার বার সতর্ক করার পরেও সংশোধিত না হলে ঐ ব্লগার কে অন্যের পোস্টে মন্তব্য করার সুযোগ চিরতরে বন্ধ করা উচিত। হ্যাঁ- আমরাও ঠিক তাই করেছি। যিনি এই ধরনের কাজ করেছেন তাঁকে আমরা চুড়ান্তভাবে বন্ধ করে দিয়েছি।
৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৪:৪৪
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
প্রথম পাতা নিয়ে সবার মতামত যুক্তিসঙ্গত, ভেবে দেখা যেতে পারে যদিও এতে আমার লেখা প্রথম পাতা থেকে বন্চিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তবুও লেখার মানের উন্নত প্রকল্প হিসাবে মেনে নিতে হবে।
নির্বাচিত লেখাগুলো প্রথম পাতায় দেখাবে, সব লেখা নামে আর একটি অপশন থাকবে তবে সামু খুললেই প্রথম পাতা এখনকার মত দেখাবে, এই প্রস্তাবটি ভাল লেগেছে।
ব্যক্তিগত অনুরোধ, তিন চারমাস পর পর কি কোন ধরনের লেখা প্রতিযোগিতা আয়োজন করা সম্ভব? কিছুদিন আগে যেমন ছবি ব্লগ হয়েছিল! পুরস্কার না হলেও অংশগ্রহণ হবে এতে প্রানবন্ত হয়ে উঠবে সামু! আর যদি কোন ধনী ব্লগার পুরস্কার ডোনেশন করে তাহলে তো আর কথাই নেই।।
সবাইকে রমজানের শুভেচ্ছা।
শুভকামনা নিরন্তর।
০২ রা মে, ২০২২ দুপুর ২:২৫
জাদিদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবগুলো আশা করি কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখবেন, বিবেচনায় রাখবেন এবং যেটা প্রয়োজনীয় বলে মনে হবে, সেটা যুক্ত করা হবে।
১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:৩৪
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: একটা কমিউনিটিতে যেমন সব ধরণের মানুষ থাকে, কমিউনিটি ব্লগেও তেমন সব ধরণের মানুষ থাকবে।
যারা "নির্বাচিত পোষ্ট" ও প্রথম পাতায় এক্সসে নিয়ে বলছেন, তারা হয়ত জানেন না যে এক সময় সামুতে শুধু প্রথম পাতাই ছিলো। পরে এক সময় ভালো লেখা যাচাই বাছাই করে নির্বাচিত পোষ্ট পাতায় দেওয়া শুরু হয়। তখন ডিফল্ট পেজ ছিলো নির্বাচিত পাতা।
ঐ সময় হঠাৎই মানুষ ব্লগে আসা কমাতে থাকে। কারণ নির্বাচিত পোষ্ট গুলিতো মিনিটে মিনিটে বা ঘন্টায় ঘন্টায় আপডেট হয় না। এটা আপডেট করতে হলে মডুদের বসে প্রথমে পড়তে হয়, যাচাই-বাছাই করে তারপর দিতে হয়। ফলে দেখা যেতো যে ঘন্টার পর ঘন্টা একই লেখা প্রথম পাতাতে (আদতে নির্বাচিত পাতাতে) পড়ে থাকতো।
পরে আমরা ব্লগাররাই কান্নাকাটি-চিৎকার চেচামেচি করে প্রথম পাতাকে ডিফল্ট করাইলাম।
মাঝে আমার একটা লেখা নির্বাচিত পোষ্ট পাতায় সবার উপরে এসে বেশ কয়েকদিন পড়ে ছিলো। এমন না যে আমার লেখা দুর্দান্ত ভালো হয়েছে; কিংবা আমার লেখার পরে আর কোন ভালো লেখা আসে নি। হয়ত মডুরা সময় করে নতুন পোষ্ট গুলি দেখে নির্বাচিত পাতায় আনেননি। বিষয়টা আমার জন্যও কিছুটা বিরক্তিকর ছিলো।
০২ রা মে, ২০২২ দুপুর ২:২৬
জাদিদ বলেছেন: জী, যেহেতু এখন আগের মত এখানে ব্লগ পোস্ট আসে না, সেহেতু মডারেশন টিম দৈনিক কিছু সময় এই ব্যাপারে পর্যবেক্ষন করে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আমরা মনিটরিং জোরদার করেছি।
১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:৫৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: নির্বাচিত লেখকের লেখা নয়, বরং প্রথম পাতায় নির্বাচিত লেখা প্রকাশ পাওয়া উচিত। সাধারণ পাতা নামক একটা পাতা রেখে তাতে সকল পোষ্ট রাখা উচিত। যাদের অবারিত সময় থাকবে তারা সাধারণ পাতা খুলে ছাঁই উড়িয়ে দেখবে তাতে মানিক রতন আছে কি না।
০২ রা মে, ২০২২ দুপুর ২:২৭
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
১২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:৩২
সোহানী বলেছেন: ভালো লাগলো জাদিদ তোমার ব্লগ ও জীবনের কথামালা। আমি পুরোপুরি সমর্থন করি তোমাকে।
আসলেই আমরা যে কোন ফাইভ স্টার হোটেলের বলরুমে নয় মুড়ির টিন বাসের সহযাত্রী মাত্র। এ সত্যটা যত তাড়াতাড়ি বুঝতে ততই মঙ্গল হবে বাকিদের জন্য। তাহলে আর জ্ঞান বিতরনের নামে কেউ আর অজ্ঞান হবে না।
তবে তোমার শেষ প্যারাটা ক'দিন ধরে মাথায় মারাত্বক ভাবে ঝেঁকে বসে আছে। এ প্রজন্মকে যেভাবে আমরা প্যারা সাজিদ বানাচ্ছি তাতে আতংকিত বোধ করছি এক প্রকার। এদের ভবিষ্যত কি হবে, এরা কোথায় যাবে, কি করবে, দেশের কি হবে, সাধারন মানুষ গুলোর কি হবে, নারীরা কোথায় যাবে, শিশুগুলো নিরাপদ থাকবে তো!!!!!!
০২ রা মে, ২০২২ দুপুর ২:৩৫
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে - আমরা সব কিছুতে ধর্মকে মেশাচ্ছি। ফলে ধর্ম কিছুটা হাস্যকর এবং লোক দেখানো হয়ে যাচ্ছে। এখনকার সমাজ - আপনি নামাজ পড়েন কি না, রোজা রাখেন কি না এই সব তথ্য জানার অধিকারকে সাধারন অধিকার বলে মনে করে। এখনকার সমাজ ধর্ম দিয়ে বিজ্ঞান পড়ে।
বুঝতে পারেন কি পরিমান বায়াসড একটা ট্রেন্ডের দিকে আমরা যাচ্ছি। ধর্মের স্বস্তা বিজয় দেখার জন্য ধর্মের ক্ষতি করছে এক শ্রেনীর পন্ডিত ব্যক্তি।
১৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:৫৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: জাদিদ,
নিঃসন্দেহে বিবেক-চেতনা জাগানিয়া পোস্ট!
সুন্দর বলেছেন - " অন্যের ভুল ধরার চাইতে নিজেকে নির্ভুল রাখাই সবচেয়ে ভালো প্রচেষ্টা।"
কিন্তু বারেবারে এমন করে সংশোধনমূলক লেখা আসার পরেও আমরা কি একটুও "আমল" করছি এসবের ? একটুও কি নিজেদের মন-মানসিকতার উন্নতি করতে পেরেছি? মনে হয় না! যে কারনে ব্লগে আসতে আমার মতোন অনেক নতুন-পুরাতন ব্লগারই ব্লগে আসা কমিয়ে দিয়েছেন বা ছেড়ে দিয়েছেন।
আপনার মতো ব্লগটিও আমাদের ভালোবাসার জায়গা। তাই এখানে ধুন্ধুমার ক্যাচাল, ব্যক্তি আক্রমন, অভব্য মন্তব্যের দুর্গন্ধের মাঝেও এসে পড়তে হয় এখানে। ব্লগটি এতোখানিই আমাদের মন জুড়ে আছে। এটাকে কলুষিত হতে দেয়া যায়না কিছুতেই।
সাসুম এবং অন্যান্যদের মতো আমিও মনে করি, দিনের পর দিন ব্লগের প্রথম পাতায় অখাদ্য এবং কোয়ালিটি লেস লেখা দিয়ে ভরিয়ে রাখার মত দৃষ্টিকটু কাজ আর কোনটাই হতে পারেনা। অপু তানভীর বলেছেন: ধর্ম ব্যবসায়ী এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি সামুর সকল ব্লগারদএর কাম্য । এই ব্যাপার নিয়ে কারো কোন দ্বিমত থাকার কথা না !
এ ব্যাপারে আপনার পরীক্ষা চালানোই নয় শুধু, সার্জারী করতে হবে শক্ত হাতে, একজন দক্ষ সার্জনের মতো। । সমাজ-রাষ্ট্রের অসংগতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, চলমান বিশ্ব, সাহিত্য ইত্যাদি নিয়ে বৈচিত্রময় লেখা ছাড়া প্রথম পাতাতে কোনও অখাদ্য-কুখাদ্য, ক্যাচাল লাগানো, ধর্ম প্রচার, ধর্মকে নিয়ে বিষোৎগার জাতীয় লেখাকে ঢুকতে না দেয়ার ফুলপ্রুফ ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে যদি ব্লগের পরিবেশ কিছুটা হলেও শান্ত হয়।
ব্লগটিকে কোয়ালিটি লেখার জায়গা বানাতে এর বিকল্প মনে হয় নেই। পৃথিবীর ধুলো যাতে পায়ে না লাগে এজন্যে সারা পৃথিবীকে চামড়ায় মুড়িয়ে দেয়ার দরকার নেই, শুধু পা-দু'টোকে মুড়িয়ে দিলেই হয়!
০২ রা মে, ২০২২ দুপুর ২:৪০
জাদিদ বলেছেন: ভাইয়া, যারা আমল করছে না বা ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না - তারা মুলত জ্ঞানপাপী।
আমরা জ্ঞানপাপী, লোক দেখানো যে কোন ধরনের কাজকে আমরা নিরুৎসাহিত করতে চাই। আমাদের নির্দিষ্ট কিছু নীতিমালা আছে, সেগুলোও অনেকে মেনে চলতে চান না নিজস্ব আজগুবি বোধ থেকে।
আশা করছি, এই সকল ব্যাপারে আমাদের শক্ত অবস্থানের পাশে আপনাদেরকে পাবো।
মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।
১৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ব্লগ, ব্লগার এবং ব্লগিং নিয়ে অসাধারন সুন্দর একটি পোস্ট! আমার মনে হয় ব্লগ হচ্ছে নিজের সৃজনশীল লেখনী প্রতিভা বিকাশের মাধ্যম, যা নাগরিক সাংবাদিকতারও পথিকৃত। একটি ব্লগ হলো আপনার একটি পার্সোনাল ডায়েরির মতোই, যেখানে আপনি আপনার মনের কথা লিখতে পারবেন। তবে, আমাদের পার্সোনাল ডায়েরি আমরা কাওকে পড়তে দেইনা। কিন্তু, ব্লগের ক্ষেত্রে সেটা বিপরীত। আমরা আমাদের বানানো ব্লগ এবং তাতে লেখা আমাদের আর্টিকেল বা লেখা, ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাঠকদের পড়তে দেই। মানে, ব্লগ হলো আপনার লেখা একটি digital diary র মতোই যেটা ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেকেও পড়তে এবং দেখতে পারবে। অতএব, পার্সনাল বিষয় বলেই যাচ্ছেতাই লেখাও কাম্য নয়। যেহেতু আপনার, আপনার লেখা সবাই পড়ার জন্য উম্নুক্ত তাই লেখায় নিজস্বতার পাশাপাশি বহুমাত্রিকতা থাকা উচিত।
আবারও ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটা পোস্টের জন্য।
০২ রা মে, ২০২২ দুপুর ২:৪১
জাদিদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় জুলভার্ন ভাই!
১৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:১৯
জুন বলেছেন: কাভা আপনার এই পোস্ট দেখে লগইন হয়েছি। ব্লগের বর্তমান অবস্থার জন্য প্রাসঙ্গিক এক অত্যন্ত মুল্যবান লেখা। প্রতিটি কথার সাথে সহমত। ব্লগীয় জীবনের প্রথম দিকের এক পর্যায়ে অনেকের ভালোবাসার সাথে সাথে অনেক সমালোচনা এসেছে অনেক মাইনাস এসেছে তাও ব্লগ ছাড়িনি। প্রতিবাদ করিনি, জাস্ট এভয়েড করে গেছি। অবশ্য এভয়েড/ ইগনোর করাকে অনেকে কাপুরুষোচিত মনে করে। আসল কথা হলো আমি ব্যাক্তিজীবনেও খুব নির্ঝঞ্ঝাট থাকতে পছন্দ করি। কারো সাথে ঝগড়াঝাটি আমার কল্পনারও বাইরে।
কিন্ত এখন আর ব্লগে আসতে ইচ্ছে করে না। একই বিষয় নিয়ে দিনের পর দিন লেবু কচলাতে কচলাতে চিরতার চেয়েও তিতা হয়ে গেছে। যদিও আমি তেমন তালেবর ব্লগার নই, তারপরও মনে হয় এই মন্তব্যটি লেখার জন্য একটা মাল্টি খুলে কেউ আমাকে অপমান করতে পারে সেই আশংকাও আছে, তবে আমি এসব গায়ে লাগাই না শুধু ব্লগের প্রতি ভালোবাসার স্বার্থে। কারন ব্লগই আমার শেষ ঠিকানা
০২ রা মে, ২০২২ দুপুর ২:৪৩
জাদিদ বলেছেন: আপু বহুদিন পর আপনাকে আমার পোস্টে পেলাম। আশা করি ভালো আছেন। বাংলা ব্লগে আপনি আপনার ভ্রমন পোস্টের কারনে আজীবন স্মরনীয় হয়ে থাকবেন।
আপনার মত ব্লগারদের যদি কেউ অসম্মান করেন, তাদের জায়গা এই ব্লগে হবে না।
১৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:২২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: জাদিদ ভাই প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ দিতে চাই এতো চমৎকার ভাবে ব্লগ সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য। আপনার এই লেখায় আমি এবং আমার মতো যারা ভালো কোয়ালিটির লেখা লিখতে পারেননা তাদেরকে কিছুটা হলেও ভাবতে সাহায্য করবে।
সবচেয়ে আপনার যে বিশ্লেষনটি আমার মন কেড়েছে তাহলো - সর্বোপরি কমিউনিটি ব্লগ একটি চলমান বাসের মত, এটা পাঁচ তারকা হোটেলের কোন সেমিনার রুম নয় যেখানে সবাই সেজেগুজে বাবু হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে সুশীলতা এবং আতলামী করবে। আঁতেল বলতে এখানে ইন্টেলেকচুয়ালিটিকে বুঝানো হয়েছে। একটি চলমান বাসে বিভিন্ন পেশার, বিভিন্ন লেভেলের শিক্ষিত, বিভিন্ন দর্শন বা ধর্মের মানুষ থাকতে পারে, এখানে ক্যানভাসারও আছে, হেল্পারও আছে। এখানে পুরানো ঢাকার মানুষও যেমন থাকবে তেমনি কুষ্টিয়ার মিষ্টির ভাষার লোকও থাকবে। সবাই নিজস্ব পদ্ধতিতে, নিজস্ব কমিউনিকেশন লেভেল অনুসারে সবাই কথা বলবে, যোগাযোগ করবে। সেটাই স্বাভাবিক। এই বৈচিত্রতা নষ্ট হলেই তা অস্বাভাবিক হবে। অন্যের ভুল ধরার চাইতে নিজেকে নির্ভুল রাখাই সবচেয়ে ভালো প্রচেষ্টা। এরা এক ধরনের অজ্ঞান পার্টি। বাস চলবে কিন্তু শেষ স্টেশনে এসে আপনার আর কিছুই থাকবে না।
সর্বোপরি আপনার এমন কোয়ালিটিফুল লেখার জন্য শুভেচ্ছা রইলো নিরন্তর।
২১ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৯
জাদিদ বলেছেন: আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:১৭
নিমো বলেছেন: কঠোর-কোমলে চমৎকার লিখেছেন। আবার প্রাণ-চাঞ্চ্যলে ভরে উঠুক এই কানার হাট বাজার, সেই সুভ কমনায় ভালো থাকুন।
২১ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৯
জাদিদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ নিমো ভাই। সুযোগ পেলে নতুন কোন পোষ্ট লিখুন।
১৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:১৭
নিমো বলেছেন: *শুভ
১৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৪২
রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার এই লেখাটা আরো আগে আসা উচিত ছিলো, তারপরেও একটু পরে এলেও আমার মতো অন্ধ ব্লগারদের যদি মাথায় রক্ত চলাচল বারে এতেই মঙ্গল ।
২১ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:২০
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, আমি দীর্ঘদিন পর চেষ্টা করছি পুরানো মন্তব্যগুলো যা জবাব দেয়া হয় নি, সেগুলোর জবাব দেয়ার জন্য। আ
আমার লেখা পড়ে যদি কেউ অনুপ্রাণিত হয়, তাহলে সেটা হবে আমার জন্য আনন্দের।
২০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৪৭
জ্যাকেল বলেছেন: প্রথম পাতায় মাঝে মধ্যে একেবারে দায়সারা লেখা দেখতে পাওয়া যায় যার বিষয়বস্তু বলতে কিচ্ছু নাই এবং ব্লগের ৯০% মানুষকেই বিরক্ত করে। আমার মতে মডু'র এইদিকে একটু নজর দেওয়া উচিত। যিনি একেবারে খাপছাড়া লেখা এক মাসের মধ্যে ২ বা ৩ টি লিখে ফেলবেন উনার প্রথম পাতার এক্সেস বাতিল করা উচিত। ক্লারিফাই-য়ের জন্য বলতেছি আমার আপত্তি নয় এমন সকল লেখা-
১। যাহাতে বানান ভুল বেশি ( বিষয়বস্তু সমস্যা নাই)
২। যাহাতে ধর্ম বিরোধী লেখা আছে
৩। নাস্তিকতা চর্চা
৪। ধর্ম চর্চা
৫। ব্যক্তিগত ব্লগিং
২১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫৪
শাহ আজিজ বলেছেন: জাদিদ , আমরা কি তাহলে একটা মিনি রেনেসার দিকে ধাবমান ? লেখা পড়ে মনে হচ্ছে তুমি বেশ সিরিয়াস ড্রাইভিং এর আসনে ।
আমাদের উৎসাহ দেবার ব্যাপারটা সবসময় রইল ।
২২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৩১
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: দাদা কেমন আছেন খুবি ভাল একটা বিষয় জানলাম
ভাল থাকবেন---------
২৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৫৩
জটিল ভাই বলেছেন:
মূলমমন্তব্যের আগে নিচের ট্যাকনিক্যাল টার্মটা একটু পরিষ্কার হওয়া এবং আমার ব্লগিং সম্পর্কে আপনার মতামত কামনা করছি যদি উত্তর দিতে মর্জি হয়।
আমি আমার প্রিয় জায়গাটিকে কখনই ধর্মের মত সোশ্যাল সেন্সিটিভ ইস্যু নিয়ে ব্যবসা করতে দিবো না।
এক্ষেত্রে সকল প্রকার ধর্মীয় পোস্টকে অনুসাহিত করা হচ্ছে?
নাকি শুধু বাড়াবাড়িমূলক ধর্মীয় পোস্ট?
নাকি ধর্মের জয়গান?
নাকি ধর্মীয় কায়দা-কানুন?
নাকি ধর্ম নিয়ে কুটুক্তি?
নাকি অধর্ম নিয়ে পোস্ট?
ব্যপারটা আসলে কোনটা?
দয়া করে উত্তর দিলে বুঝতে সহজ হবে এমন ভাষায় দেবেন। আপনার অনেক ট্যাকনিক্যাল ও রম্যভাষা আমার কাছে দুর্বোধ্য ঠেকে যা আমায় প্রায়শই আপনার ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পর্কে সঠিক মেসেজ দেয় না।
যদিও আপনি কমন টার্ম ধর্ম ব্যবহার করেছেন তবুও অনেকেই দেখি ধর্ম টার্মটা এলে শুধু ইসলামকেই বুঝে। তাছাড়া অদ্যাবধি ধর্ম নিয়ে এনালাইসিস বলতে ইসলাম বিদ্বেষ ছাড়া কোন বিষয় তেমন চোখে পরেনি। আবার ঠিক তেমনি নাস্তিকতা মানেই এখন ইসলাম বিরোধী হয়ে যাচ্ছে যেমনি করে জঙ্গী/সন্ত্রাসী অর্থে মুসলিমরা।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০
জাদিদ বলেছেন: আমার ধর্মীয় মুল্যবোধ সম্পর্কে আপনার জানার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। ধর্ম আমার ব্যক্তিগত বিষয়, আমি ধর্ম পালন করি কি করি না সেটাও একান্তই আমার ব্যক্তিগত বিষয়। আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে অন্যের নাক গলানোর প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। আমার ধর্মীয় মুল্যবোধ জানা না থাকলে কি আপনার ব্লগিং করতে বা ব্যক্তিগত ধর্ম কর্ম পালন করতে সমস্যা হচ্ছে?
আপনি যে লাইনটি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন - সেই লাইনটি খুবই বেসিক এবং স্পষ্ট। আপনি যে সকল বিষয় ইন্ডিকেট করেছেন সেই সকল বিষয়ের সাথে আদৌ এর সম্পর্ক আছে কি না আমি জানি না। আমার বক্তব্য যেহেতু আপনার দুর্বোধ্য ঠেকে তাই আপনার জন্য সহজ সমাধান গুগল। গুগলে সার্চ দিন - কিভাবে বাংলাদেশে ধর্ম ব্যবসা হয় এবং কারা ধর্মের নামে ব্যবসা এই দেশের মানুষকে শিখিয়েছে। দ্যাটস ইট।
ব্যক্তিগতভাবে বললে, আপনার ব্লগিং নিয়ে আমার তেমন কোন পর্যবেক্ষন নেই।
তবে যদি দায়িত্বশীল জায়গা থেকে বলেন - তাহলে আপনার ব্লগিং নিয়ে আলাদা মুল্যায়ন করার মত তেমন কিছু নেই।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
২৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: দশজন যেদিকে আমিও সেদিকে।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০
জাদিদ বলেছেন: আমি যদি বলি আপনি মানসিক ডাক্তার দেখান - তাহলে সেটা কি ব্যক্তিগত আক্রমন হবে?
২৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বর্তমান সেটিংস ঠিক আছে, শুধু মডারেশনে অ্যাক্টিভিটি আরো বাড়াতে হবে, আর টেকনিক্যাল সমস্যাগুলো দূর করার চেষ্টা করতে হবে (চেষ্টা করে যাচ্ছেন, সেটার বেগ আরো বাড়ানো যেতে পারে)।
প্রধান সমস্যাগুলো আগে আইডেন্টিফাই করতে হবে। ব্লগারদের পাল্স থেকে যা বোঝা যায় :
১। ব্যক্তি আক্রমণ
২। কপি-পেস্ট পোস্ট শেয়ার (যথাযথ সূত্র ছাড়া)
৩। নির্বাচিত পাতায় স্থান না পাওয়া
৪। কখনো কখনো রিপোর্টে কাজ হয় না মর্মে ব্লগারদের অভিযোগ
৫। মোবাইল অপারেটর থেকে ব্লগিং না করতে পারে।
মোটামুটি উপরের সমস্যাগুলো অ্যাড্রেস করলে অনেক উন্নতি হবে ব্লগের।
ব্লগিঙের রমরমা দিনগুলোতে ব্লগারদের সংখ্যা ও পোস্টের সংখ্যা ছিল প্রচুর। একটা পোস্ট ১৫ মিনিটের আগেই প্রথম পাতা থেকে সরে যেত। ফেইসবুক, অনলাইন পোর্টাল ও অন্যান্য মিডিয়ার আগ্রাসনের এই যুগে একটা পোস্ট ১০-১২ ঘণ্টা, বা আরো অধিক সময় ধরে প্রথম পাতায় থাকতে দেখা যায়। নতুন কোনো ব্লগার একটা পোস্ট শেয়ার করে ডিফল্ট পেইজে সেটা না দেখলে তিনি নিরুৎসাহিত হবেন। যে-কারণে শুরুতেই অন্যের পোস্টে কমেন্ট করার সুবিধা রহিত করা হচ্ছে না, একই কারণে নতুন ব্লগারসহ সবার পেইজই ডিফল্ট পেইজে দেখাতে হবে। নইলে ব্লগারদের সংখ্যা আরো অনেক কমে যাবে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে ভয়ে থাকি। অনেক পোস্ট ও কমেন্টে এমন কিছু কঠোর সমালোচনা ও কথা থাকে (মাত্র এক ব্যক্তি করেন), যাকে অনেকে 'সাহসী' বলে লাই দিয়ে থাকেন। কিন্তু আমি জানি, ওটা সাহস না। প্রচলিত গল্পের মতো ওটা হলো এরকম, রাস্তা দিয়ে একদল পুলিশের লোক হেঁটে যাচ্ছেন, আর এক ইডিয়ট একটা ইট তুলে তাদের উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে মেরে দৌড় দিল, মানে সাহস দেখালো। আমার ভয়টা হলো, এমন কিছু পোস্ট ও কমেন্টের কারণে ব্লগ আবার হুমকির মুখে পড়ে যেতে পারে; অমন কোনো পোস্টে উটকো দু-একটা কমেন্ট করে আমিও বিপদে পড়ি কিনা, এটাই হলো আমার আসল ভয়। আমি অনেকের মতো অত সাহসী ও প্রতিবাদী না এসব ব্যাপারে, ফ্র্যাঙ্কলি স্পিকিং। ফলে, কোনো পোস্টে একটা কমেন্ট করে ফেললে, ঐ পোস্টে কোনো বিতর্কিত বিষয় উঠে এসে আমাকেও জড়িয়ে ফেললো কিনা, এ ভয়ে কমেন্ট করা তো হয়ই না, শিরোনাম দেখে এটাও চিন্তা করি, ঐ পোস্টে আমি ঢুকবো কিনা।
পোস্ট নির্বাচনের জন্য বিষয়ভিত্তিক মডারেটর/সিলেক্টর আছে কিনা জানি না। না থেকে থাকলে থাকা উচিত, তাহলে নির্বাচিত বিষয়গুলো আরো সুন্দরভাবে নির্বাচন করা যেত বলে মনে করি।
জানা-আরিল্ড দম্পতিকে আন্তরিক ধন্যবাদ, এত প্রতিকূলতা, বিশেষ করে জানা আপার এমন দুর্বিষহ পরিস্থিতির মধ্যেও এই ব্লগটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন, যার ঋণ আমরা কোনোদিনই শোধ করতে পারবো না। তাদের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা থাকলো।
আপনার সময়োপযোগী পোস্টের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ জাদিদ ভাই।
০২ রা মে, ২০২২ বিকাল ৩:০৪
জাদিদ বলেছেন: মডারেশনে অ্যাক্টিভিটি আরো বাড়াতে হবে- আমরা এই বিষয়ে কাজ করছি।
পাশাপাশি, আপনাদের মত ব্লগার বা সাধারন ব্লগারদের অসম্মানজনক কথা যিনি বা যারা বলেন, তাদের ব্যাপারে আমাদের মনোভাব আশা করি খুব অল্প সময়ে পরিষ্কার হবে।
আপনাদের যে কোন পরামর্শ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
২৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৭
অপু তানভীর বলেছেন: জাদিদ ভাই, কোন বলদের সাথে কিভাবে ফাইট দিবো বলেন?
আপনার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা যে কোন বিষয় তর্ক করা যায় কারণ আপনাকে আমি যে ভাবে প্রশ্ন করবো, যে যে যুক্ত তুলে ধরবো আপনি আমাকে সেই সেই যুক্তি খন্ডন করবেন ! এইভাবে আপনার সাথে ফাইট দেওয়াই যায় ! কিন্তু যার কম্পিটেন্সীই নাই তার সাথে তর্ক করতে যাওয়া মানে নিজেকে বলদের লেভেলে নামিয়ে আনা ! আজ পর্যন্ত কোন বলদকে দেখেছেন কোন যুক্তির খন্ডন করতে?
ছাগু ফাইটের সময় কর্তপক্ষ আমাদের সাথে ছিল কিন্তু এইখানে কর্তপক্ষ আমাদের সাথে তো দুরে থাকুক, নিরপেক্ষও নেই ।
এটা সতয় যে কেতাবী নিয়ম কানুন সবাই নিজের ব্যক্তি জীবনে মানে না । কিন্তু আমি এখনও পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে নিয়ম মানতে চেষ্টা করি । এখানেও তাই আগে কর্তৃপক্ষের দারস্থ হই ! কোন কোন অনিয়ম নিজে ঠিক করার আগে আমার মোনে সেতা কর্তৃপক্ষের কাছে বলা উচিৎ যাতে তারা সেটার যথাযত ব্যবস্থা নেয় ! এটা আসলে ইতস্বততা নয় ! চাইলে তার থেকেও কঠিন ভাষায় তার মত করেই তাকে আক্রমন করা যায় ! যদি দেখতে চান, দেখাতেও পারি ! চাইলেই কিবোর্ড চেপে টাইপ করাই যায় কিন্তু আমি সেই পথে হাটি নি, হাটতে চাই নি বলেই সবার আগে কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েছি ।
২৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:১৪
জটিল ভাই বলেছেন:
এতো এতো মতামতের ভীড়ে আমাকে এভাবে সময় ও মূল্য দিবেন ভাবিনি। সেজন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ। তা আপনি শুরুতে যে অংশের ব্যাখ্যা দিলেন তাতে মনে হচ্ছে ধর্মীয় মূল্যবোধ কথাটা বলে বড্ড ভুল করে ফেলেছি। সেজন্যে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। যদিও নিচের কথাগুলো আপনি খুব স্বাভাবিকভাবেই বলেছেন তবুও ম্যান টু ম্যান মানসিকতা ভেরি করায় আমার মনে হচ্ছে আপনাকে হিট করেছি যদিও আসলে আমি সেভাবে বিষয়টি আনিনি। আপনি বললেন-
"আমার ধর্মীয় মুল্যবোধ সম্পর্কে আপনার জানার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। ধর্ম আমার ব্যক্তিগত বিষয়, আমি ধর্ম পালন করি কি করি না সেটাও একান্তই আমার ব্যক্তিগত বিষয়। আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে অন্যের নাক গলানোর প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। আমার ধর্মীয় মুল্যবোধ জানা না থাকলে কি আপনার ব্লগিং করতে বা ব্যক্তিগত ধর্ম কর্ম পালন করতে সমস্যা হচ্ছে?"
আপনার প্রশ্নের জবাব দেবার আগে দু'টো গল্প শুনাই।
সেদিন বাসে করে মিরপুর যাচ্ছি। তো আমার আবার ড্রাইভারের পেছনের সিটটি বিশেষভাবে পছন্দ। এর বিশেষত্ব হচ্ছে, সেখানে বসে রাস্তার অবস্থা অবজার্ভ করা সহজ যাতে ড্রাইভারকে অপ্রয়োজনে গালাগাল করা লাগেনা ড্রাইভিং বিষয়ে। যদিও বেশিরভাগ বাসেই সেটা এখন মহিলা সিট। তো আমার পাশে এক মুরব্বী বসলেন। বসে সাধারণভাবে আলাপ-আলোচনার পর দ্বীনের আলোচনা শুরু করলেন। দেখলাম ড্রাইভারও ড্রাইভিং বাদ দিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দিচ্ছে। কিন্তু যদিও ঢাকার রাস্তা আর লোকাল বাস তবুও ড্রাইভারের এমন দায়িত্বহীণ আচরণ বুঝতেই পারেন কতোটা বিপদ বয়ে আনতে পারে? তাই দেরি না করে পরের স্টপেজে নেমে গেলাম। তবে ভাবছিলাম এভাবে সবাই নেমে গেলে বাস গন্তব্যে পৌঁছাবে? না অর্ধেক রাস্তায় গিয়ে বাকি যাত্রী নামিয়ে দিবে?
আরেকদিন বাসে জ্যামে বসে আছি। এরমাঝে পপকর্ন দেখে সময় কাটানোর একটা ওয়ে মনে হলো। তো ভাবলাম এলেই কিনবো। কিন্তু অদ্ভূত বিষয় হলো কন্ডাক্টর তাকে উঠতে দিলোনা। বিষয়টা অবাক করলো। বাসের ভেতরের পরিবেশ তেমন পরিপাটি নয় যে নোংরা হবে বলে উঠতে দেয়নি। পরে আমার মতো আরো যারা পপকর্নের অপেক্ষায় ছিলো তাদের চাপেরমুখে কন্ডাক্টর জানালো এ বিষয়টা তার পছন্দ নয় তাই উঠতে দেবে না। তার একার পছন্দের জন্যে আমাদের অনেকের সাধ বিসর্জন হলো।
আরেকদিন এমন বাসে উঠে কাঙ্খিত সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু নজর বরাবরের মত সেই সিটের দিকে। আর লক্ষ্য করলাম পেছনের সিটে বসা দুজন কোনো হুজুর নিয়ে আলোচনা করছে আর ড্রাইভার গজগজ করছে। কিছুক্ষণ পর তারা নেমে যেতেই আমি সেই সিটে বসি আর ড্রাইভার সাথেসাথে বলে উঠে আপদ দুইডা গেছে। আমি কারণ জিজ্ঞেস করতেই জানালো, ওরা মুরদাত! অমুক হুজুরের বিরুদ্ধে কথা বলে। বুঝলাম ড্রাইভারের নজর ড্রাইভিং হতে অন্যদিকে বেশি। এই বাসে রিস্ক আছে। তাই দেরি না করে স্টপেজ দিতেই নেমে পরলাম। তখনও ভাবছিলাম বাকি যাত্রী নিয়ে বাসটি নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছবেতো?
এখন ঢাকাসহ সারাদেশেই বাস যাত্রায় কমনজেন্ডারের একটা বিরম্বনা সইতে হয়। যাত্রীদের সঙ্গে আচরণতো যাচ্ছেতাই। তবে এখন লক্ষ্য করেছি আগের চেয়ে তাদের উগ্রতা কম। তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ বা পাত্তা না দিলে তারা বেশি বাড়াবাড়ি করেনা। তবুও সিংহভাগ যাত্রী এটা বিরম্বনা মনে করেন যদিও তাদের পেট চালাতে হয়। সেদিন দূরপাল্লার যাত্রায় তাদের রুটিন আচরণের পর দেখি বিরতি অনেক দূরে হওয়ায় গেইটে দাঁড়িয়ে ড্রাইভার-হ্যাল্পার-কন্ডাকটরদের সাথে সেকি কেলি! এতে বাস বারবার হুমকির দিকে গেলেও তাদের কোনো তোয়াক্কা নেই। যাত্রীদের তারা পাত্তা না দিয়ে বরং আরো বিব্রত করছে। এমতাবস্থায় গন্তব্য অনেক দূরে হবার পরেও বলে নেমে যাবো ভেবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। এমন সময় যাইহোক স্টপেজ আসায় তারা নেমে যাওয়ায় বাসে কিছুটা শান্তি বিরাজ করলো।
এমনভাবে ভিক্ষুক, অসহায়, হরেক রকমের যাত্রীসহ আরো কতজন নিয়ে বাসে যে কতো স্মৃতি তা বলে শেষ হবেনা। আপনার দেওয়া বাসের উদাহরণে স্মৃতিগুলো মনে হলো তাই শেয়ার করলাম। জানিনা আপনার পড়ার সময় হবে কিনা। পড়লে লিখাটা সার্থক হবে। আর ব্যস্ততায় না পড়তে পারলে অভিযোগ নেই।
তা যা বলছিলাম, অবশ্যই বিশ্বাসসহ অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো একান্তই ব্যক্তিগত। তবুও কমিউনিটিতে বসবাসের জন্যে আমরা সবাই জ্ঞাণে/অজ্ঞাণে কমিউনিটি লিডারদের পছন্দ-অপছন্দ জানতে-বুঝতে এবং সেই মাফিক আচরণ করতে আর ক্ষেত্রবিশেষে তৈলমর্দনের চেষ্টা করি নিজের সেইফ জোনে রাখতে। জলে থেকে কে চায় কুমিরের সাথে লাড়তে?
পরিশেষে এতো ব্যস্ততা আর দায়িত্বের মাঝেও আমার মন্তব্য পড়ে উত্তর করায় আবারো আন্তরিক ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করছি।
১২ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:২৫
জাদিদ বলেছেন: জী ধন্যবাদ। নিচে ঈশ্বরকনা ভাই আর আপনার এই মন্তব্যটি পড়ে বুঝতে পারছি - ব্লগিং করতে হলে ধর্ম পরিচয় বর্ণনা করেই ব্লগিং করতে হবে - বা এটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ন। নইলে এতে ব্লগিং ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যা আমার মোটেও কাম্য নয় এবং এই সংক্রান্ত আর কোন তর্কও চাই না।
আমার ধর্ম ইসলাম। আমি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেছি। আশা করি এবার ব্লগিং এ খুব উন্নতি হবে।
শুভেচ্ছা রইল।
২৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি যদি বলি আপনি মানসিক ডাক্তার দেখান - তাহলে সেটা কি ব্যক্তিগত আক্রমন হবে?
না এটা ব্যাক্তি আক্রমণ নয়।
তবে এই মন্তব্যে আমি কিছুটা আহত হয়েছি।
২৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:০৮
কালো যাদুকর বলেছেন: ব্লগিং নানান ধরনের হয়। সামুতে মূলত রাজনীতি, কবিতা, গল্প, ভ্রমনকাহিনী, ধর্ম ইত্যাদি প্রসঙ্গে ব্লগারা লিখেন। সমস্যা বাঁধে বেশী ধর্ম নিয়ে লেখালেখিতে। অথচ আরো কত কিছু আছে ব্লগ করার। আমরা আমাদের সব এনার্জি সেই আনপ্রোডাক্টিভ তর্কে নষ্ট করি।
ব্লগ নিয়ে আমার ব্যাক্তিঙগত একটি ভাবনা আছে। সেটা হল ব্লগ হ্য়ত পুরোপরি হারিয়ে যাবে না। অনেকটা বই পড়ার মত হবে। আমরা্ যেমন মাঝে সাঝে বই পত্র পড়ি। ব্লগটাও তমনি হয়ে যাবে।
আগামি একদশকে মনে হয় মানুষ ৩ডি ভার্চুয়াল জগতে সময় বেশী ব্যায় করবে। আমি মেটার কথা বলছি। ওদিকেই পরের জেনারেশন ঝুকবে মনে হয়।
ধন্যবাদ একটি সময় উপযোগী ডিসকাসন ওপেন করার জন্য।
৩০| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:১৮
ঈশ্বরকণা বলেছেন: হাহাহা ---লেখা পড়ে মনে হলো কিছু প্রিয় ব্লগারের মুখ রক্ষা করতে আপনি আপনার চমৎকার ওপেন মাইন্ডেড যৌক্তিক মনটাকে বিসর্জন দিলেন ! ধর্মতো কেন লুকানো বিষয় নয় । এটা একটা সামাজিক বিষয় । "ধর্ম আমার ব্যক্তিগত বিষয়, আমি ধর্ম পালন করি কি করি না সেটাও একান্তই আমার ব্যক্তিগত বিষয়। আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে অন্যের নাক গলানোর প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।" এই কথাটা কিন্তু খুবই হাস্যকর হয়ে গেলো, প্রিয় মডারেটর !
আপনি কি খাবার পছন্দ করেন সেটা সেটা আপনার ব্যক্তিগত বিষয়, আপনি কোন রাজনৈতিক দলের সাপোর্টার সেটা আপনার ব্যক্তিগত বিষয়? আপনি আসছে বিশ্বকাপ ফুটবলে কোন দেশের সাপোর্ট করবেন সেটা আপনার ব্যক্তিগত বিষয়, কোন গান আপনার প্রিয় সেটা আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। এরকম হাজার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমরা প্রশ্ন করি বিখ্যাত ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকারে আর সেগুলো টিভিতে, পেপারে সচিত্র প্রচার হয় । ব্যক্তিগত বিষয় দেখেই প্রশ্ন করা অন্যায় সেটা কিন্তু কখনোই না। আপনি উত্তর দিতে চান কি না সেটা অবশ্যই আপনার বিষয়।সেটা নিয়ে দ্বিমত করছি না কিন্তু । আপনিও মনে হয় আপনার প্রিয় খাবার দাবার নিয়ে ব্লগেই অনেক লিখেছেন।সেটা নিশ্চই অন্যায় হয়নি। সে রকম ধর্মকে সামাজিক একটা বন্ড হিসেবে দেখে আপনাকে নামাজ রোজা নিয়ে প্রশ্ন করলে সেটা কেন অফেন্সিভ হবে সেটাই আমি বুঝতে পারলাম না এখন পর্যন্ত (উত্তর দেবেন কিনা আপনি সেটা অন্য প্রশ্ন আবারো বলছি )। এমনতো না যে কোনো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি বা তিরিশটা রোজা তারাবীসহ পড়লেই তাকে শ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে বলা হচ্ছে বা রোজা না রাখলেই নমশূদ্র হয়ে যাচ্ছে কেউ ! ধর্মীয় প্রশ্নের উত্তরে হ্যা না কোনো উত্তরেই কাউকে মানব শ্রেষ্ঠ বা নমঃশূদ্র এখানে বলার উদ্দেশ্য না তাই আপনার কথাগুলো খুব জোরালো হলো না । মডারেটর হিসেবে মনে হলো আপনি আপনি সেন্টারে থাকার চেয়েও একটা দিকে হেলে যাওয়ায় পছন্দ করছেন আর সেটা সাম্প্রতিক একটা ব্লগ পোস্টের পরে আর ব্লগ ফেসবুকে আপনার মন্তব্যের পরে দেখে আরো দৃষ্টিকটু লাগছে আমার কাছে ।
আর আমাদের ব্লগ প্রসঙ্গে আপনার বাসের উদাহরণ, যদি সেটাকে রামপুরা সদর ঘাট রুটে এক সময় চলা মুড়ির টিন বাস বলেন, তাহলে আমার আপত্তি আছে ।ব্লগ মুড়ির টিনের মতো হতে পারে না কোনো যুক্তিতেই । বাংলাদেশের মতো দেশে এটা একটা প্রিভিলেজ গরুপের জায়গা । ওলিমুদ্দি সলিমুদ্দির নুন আন্তে পান্তা ফুরোয় অবস্থা । তাদের ব্লগ করার শিক্ষা দীক্ষা অর্থ কোনোটাই নেই ।তাই মুড়ি মুড়কির মতো ব্লগকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা ভুল বলেই আমার ধারণা। আপনার কথার সাথে এখানেও আমার দ্বিমত রইলো । ব্লগ যেই রকমই হোক, যারাই লিখুক ব্লগে সুস্থ্য ব্লগিংয়ের জন্য কিছু প্যারামিটার থাকতেই হবে সে নিয়ে কিন্তু আপনি খুব বেশি বলেন নি ।যাহোক ভালো থাকুন । রোজার শুভেচ্ছা নিন ।
১০ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:১৯
জাদিদ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ডিফারেন্স অফ অপিনিয়ন এবং দেখার বৈচিত্র্যতা আছে বলেই তো ব্লগিং এত আনন্দের।
আপনি আমার সাথে দ্বিমত, সমালোচনা করার অধিকার অবশ্যই রাখেন। দেখুন আমি চেয়েছিলাম আমার দুটো স্বত্তাকে ব্লগিং এ বজায় রাখতে। কিন্তু সেটা নানাবিধ কারনেই সম্ভব হচ্ছে না। 'জাদিদ' আমার ব্যক্তিগত ব্লগিং এর জায়গা। কিন্তু অনেকেই একে মডারেটর এর বক্তব্য ধরে নিয়ে বিভ্রান্ত হন এবং আমাকেও বিব্রত করেন। যাইহোক, সবার দেখার চোখ এক হবে না, এটাই স্বাভাবিক।
আমি বিনয়ের সাথে দ্বিমত পোষন করছি। ধর্ম অবশ্যই ব্যক্তিগত একটি বিষয়। এই প্রশ্নটি খুবই স্পর্শকাতর। এটা বুঝার জন্য কাউকে পিএইচডি পাস করতে হয় না, এটা খুবই প্রাথমিক পর্যায়ের একটি সামাজিক শিষ্ঠতা। অবশ্য অন্যের ব্যক্তিগত ব্যাপারে আমাদের এত আগ্রহ বেশি যে সমাজে আমরা এই ধরনের প্রশ্নকে এখন প্রায় স্বাভাবিকের পর্যায়ে নিয়ে গেছি।
যে কেউ চাইলে আমার ধর্ম সম্পর্কে জানতে চাইতে পারে, আমিও উত্তর দিতে পারি। আপনি এবং জটিল ভাই আমার ধার্মিক মুল্যবোধ সম্পর্কে জানতে চাইলেন। কিন্তু আমাকে জানতে হবে তিনি কেন জানতে চাইছেন? আমার চিন্তা ভাবনার কারনে আপনার স্বাভাবিক ব্লগিং কি ব্যহত হচ্ছে? আমি কি আপনার মত প্রকাশে বাঁধা হচ্ছি? আমি আপনার মত করে চিন্তা না করতেই পারি, একটা অর্ধেক পানিপূর্ন গ্লাসকে আপনি অর্ধেক খালি বলতে পারেন, আমি সেটাকে অর্ধেক পূর্ন বলতে পারি। আমার ধর্মবোধ, ব্যক্তিগত চিন্তা ভাবনার কারনে কারো ব্লগিং বাঁধা গ্রস্থ হয়েছে বলে মনে হয় না।
রাজনীতি আর ধর্ম এক জিনিস নয়। রাজনীতি হয় জনগনের জন্য। তাই মানুষের জানতে হয় আপনার মতামত এবং আদর্শকে। যেমন আমি জামাতে ইসলামীকে ঘৃণা করি। এটা আমার আদর্শ। এখন কেউ যদি মনে করে, আমি জামাতকে ঘৃনা করার কারনে ইসলামকে অবমাননা করছি - তার ক্ষেত্রে আমার বক্তব্য - সে একটি মারখোর ছাগল।
ধর্ম হচ্ছে স্রষ্টার জন্য। ধর্মবোধ স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির সংযোগ। কে ধার্মিক আর কে ধার্মিক নয় - সেটার বিবেচনার যোগ্যতা মানুষের নেই। যেমন 'আনাল হক' বলার কারনে বিখ্যাত সুফী, মনসুর হাল্লাজকে হত্যা করা হয়েছিলো। মানুষ যদি ধর্মবোধ বিচার করতে পারত তাহলে এই সমস্যা হতো না।
তাই অন্যকে নিয়ে নয়, নিজেদেরকে নিয়ে চিন্তা করা উচিত। আমি যে কাজের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আছি, তার সাথে ধর্মবোধের কোন সম্পর্ক নেই।
বিনয়ের সাথে বলতে চাই, কমিউনিটি ব্লগ সম্পর্কে আপনার ধারনা এখনও স্পষ্ট নয়। কমিউনিটি ব্লগে অবশ্য বিভিন্ন পেশার, বিভিন্ন শিক্ষার মানুষ থাকবে। তাদেরকে নিয়েই চলতে হবে।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
৩১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:১৭
ঈশ্বরকণা বলেছেন: জাদিদ,
আমি জানি যে এটা আপনার ব্যক্তিগত ব্লগ । আপনি এটা আগে অনেকবারই বলেছেন । আমিও কিন্তু আপনার কোনো একটা লেখাতেই মনে হয় বলেছিলাম আপনি চাইলেও এই নিক আপনার পক্ষে ব্যক্তিগত পরিচযে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব নয় । আপনার অজান্তেই আপনি এই নিক পরিচয়েও 'মডারেটর জাদিদই' হয়ে যান । এই লেখায় আপনি যখন বলেন "আমি আমার প্রিয় জায়গাটিকে কখনই ধর্মের মত সোশ্যাল সেন্সিটিভ ইস্যু নিয়ে ব্যবসা করতে দিবো না। তাই এখানে যে কোন শ্রেনীর ধর্ম ব্যবসায়ীদের স্থান নেই। আমাকে কে পছন্দ করবে না করবে - আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই। তেমনি স্বাধীনতা বিরোধীদের বা চিহ্নিত দেশ বিরোধী আদর্শের কোন স্থানও এই ব্লগে হবে না। চিহ্নিত হওয়া মাত্রই বিদায় হবে, তা যত বড় ব্লগারই হোক না কেন " তখন কিন্তু এটা কোনো সাধারণ ব্লগারের মন্তব্য থাকে না । এটা হয়ে যায় ব্লগের আনুষ্ঠানিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্লগ ম্যানেজমেন্টের কোনো সদস্যের ভাষ্য। সে জন্যই জেনে ও বুঝেই আপনাকে 'প্রিয় মডারেটর' সম্বোধন । এটা সবার দেখার চোখ এক না সে জন্যই হচ্ছে বিষয়টা তেমন না । এটা হচ্ছে খুব অভিয়াস কারণেই । এটা যে শুধু আমার একারই হচ্ছে তাও মনে হয় না । ব্লগারস এন্ড থেকে যারা আপনার লেখা পড়ছেন তাদের সবারই মনে হয় প্রায় সেই একই ভাবনা হচ্ছে । ব্যাক আপ করি আমার এই কথার । আপনার লেখায় শুরুর দিকেই এক ব্লগারের মন্তব্য দেখুন । এই ব্লগে এহেন জায়গা নেই যেখানে এই ব্লগারের নরমাল কোনো মন্তব্য আপনি দেখবেন (থাকলেও গোস্পদে জল)। খুবই অশালীন ভাষা (আশাকরি এর কোনো ডেফিনেশন লাগবে না ভাষাতা কেন শালীন না সেটা বোঝাতে ) ব্যবহারে অতি পটু এই ব্লগার কিন্তু দেখুন আপনার লেখায় তার মন্তব্যের ভাষা ! মনে হচ্ছে কি বোর্ড গঙ্গা জলে ধুয়ে চন্দন কাঠের খানিকটা সুবাস ছড়িয়ে দিয়ে লিখেছেন আপনার লেখায় মন্তব্য ! আপনারও অবাক হবার ব্যাপারটা মন্তব্যে আপনার এক্সপ্রেশন দেখেই বোঝা গেলো । এটা আপনার ব্যক্তিগত ব্লগ হলেও আপনার মডারেটর পরিচয়ের কারণেই কিন্তু এটা হচ্ছে। নবী রাসূলদেরকে অশ্লীল ভাষায় যা ইচ্ছে তা বললেও ব্লগের মডারেটরকে সে রকম কিছু বলার উদ্ধত্য এই অতি বিজ্ঞানমনস্ক প্রগতিশীলতার দাবিকারী ব্লগারের নেই কিন্তু ! তাই বলছিলাম আপনি না চাইলেও আপনার এই ব্যক্তিগত নিকেও আপনি মডারেটর । স্যরি, আপনাকে মডারেটর পরিচয়ের বাইরে রেখে এই নিকে কিভাবে কোনো মন্তব্য করা যায় আমি সত্যি জানি না । যাক, আরো দুই একটা কথা বলি আপনার মন্তব্যের সূত্র ধরে ।
ধর্ম আপনি ব্যক্তিগত ভাবে পালন করতে পারেন । কিন্তু যেকোনো সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজের মতোই ধর্মও সমাজবদ্ধ মানুষেরই জন্যই এসেছে এর কাজও দলবদ্ধ হয়ে করার কথাই।যেমন মুসলিমদের আবশ্যকীয় পাঁচটি রুকনের মধ্যে নামাজ, হজ্ব জাকাত এগুলো কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে করা যাবে না। নামাজ আপনি ঘরে পড়তে পারলেও এটা মসজিদে জামাতে পড়তেই উৎসাহিত করা হয়েছে এবং খুব গুরুত্বের সাথেই করা হযেছে । জাকাতও একটা সেন্ট্রাল অথরিটির মধ্যে দিয়েই ডিস্ট্রিবিউট করাই বেশি কার্যকর সেটাই বলা হয়েছে। হজ তো বোধগম্য কারণেই দলবদ্ধ একটা কাজ । সারা দিন রোজা রাখার পরে রোজার মাসের রাতগুলোর নামাজ (যেটা আমাদের তারাবির নামাজ) )সেটারও শুরু কিন্তু রাসূলের (সাঃ)সময় থেকেই মসজিদে দলবদ্ধ ভাবে পড়ার মধ্য দিয়েই । তাই ধর্মটা পুরোই ব্যক্তিগত সেটা ঠিক পরিচয় না ধর্মের ।হ্যা কিছু কাজ সামাজিক ভাবে করা না গেলে ব্যক্তিগত ভাবে করার অনুমতি আছে সেটা ঠিক । সেটা আপনিও যেমন বলছেন আমিও বলছি। তাই ধর্ম সম্পর্কিত প্রশ্নকে জুজুবুড়ির ভয়ের চাদরে জড়িয়ে দেবার অতি আধুনিক একটা চেষ্টা সম্পর্কে আমি দ্বিমত করি। আমার কাছে এটা উত্তর আধুনিকতার একটা চেষ্টা মনে হয় ধর্ম সম্পর্কে সবার মনে একটা অহেতুক নেগেটিভ প্রশ্ন,সন্দেহ বা ভয় সৃষ্টি করার । তাছাড়া একটা কালচারে দুজন মানুষের মধ্যে কথাবার্তা হবার শুরুতে পরিচয়ের ঘনিষ্ঠতার বেসিসে কুশল বিনিময়ের সাথে অনেক ধরণের কথাই হয় সেটাও কিন্তু মনে রাখা দরকার । সেই কথা ধর্মীয় হোক আর আরো ব্যক্তিগত কথাই সেটার কারণে প্রচলিত একটা সামাজিক আচরণকে প্রশ্নের মুখোমুখি করে দেয়া কতটা যুক্তিপূর্ণ সেটা আসলেই ভাবনার বিষয় হতে পারে । এর উদ্দেশ্যই বা কি সেই প্রশ্নও তোলা যায় মনে হয় ।আপনি কেমন করে সেই একই ধারণা পোষণ করেন সেটা জেনে আমি একটু কনফিউজড।
আপনাকে একটা সাক্ষাৎকারের কথা বলি। আমাদের প্রধান কবি শামসুর রাহমানের সাক্ষাৎকারে তাকে প্রশ্ন করা হলো (প্রশ্ন আর উত্তরগুলো কোট করলাম): 'আপনি ব্যক্তিগতভাবে ধর্মপ্রবণ কি না ?' উত্তরে শামসুর রাহমান বললেন, "--কিন্তু প্রচলিত অর্থে যেটাকে ধর্মপ্রবণ বলা হয়, সে-অর্থে আমি ধর্মপ্রবণ নই।' পরের প্রশ্ন 'আপনি কি মদ্যপান করেন? 'এক সময় করতাম, এখন করি না।' কয়েকটা প্রশ্ন পরে জানতে চাওয়া হলো [sb]'আপনার---প্রেমের কবিতাগুলোর মধ্যে ক-জন প্রেমিকাকে খুঁজে বের করা যাবে?' উত্তর, 'বেশ কয়েকজনকে।' দেখুন কি ধরণের প্রশ্ন তাকে করা হলো। খেয়াল করুন ধর্মের চেয়েও আরো অনেক ব্যক্তিগত প্রশ্নও কিন্তু করা হলো শামসুর রাহমানকে।কোনো জুজুবুড়ির শংকা নেই ধর্মীয় প্রশ্নে। ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলানোর অভিযোগ নেই শামসুর রাহমান কিন্তু কোনো লুকোচুরি না করেই প্রশ্নের সত্যাশ্রয়ী উত্তর দিলেন।সেজন্যই বলছি আমাদের দেশে অতিআধুনিক গভীর চিন্তা করতে অক্ষম একটা গ্রূপ নিজেদের ধর্ম বিরোধিতার চরম দুর্বৃত্তপনাকে ক্যামিলিয়নের ক্যামফলযে ঢাকবার জন্যই ধর্মের জুজুবুড়ি খুঁজে বের করেছে। তারা কিন্তু ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব,নবী রাসূল সবাইকেই জঘন্য ভাষায় নিন্দে করবে কিন্তু নিজেদের ধর্মীয় এফিলিয়েশন বা প্রাকটিস সম্পর্কে কিছু বলতে চাইবে না।সেটা জিজ্ঞেস করলেই সব গেলো বলে রব উঠাবে। মনে হচ্ছে আপনিও সেই ভাবনা দিয়ে খুবই প্রভাবিত হয়েছেন ।এটা ব্লগেও সমস্যা করছে বলেই আমার ধারণা। এই দ্বিচারিতা তাই সবচেয়ে বেশি সমস্যার। কে রোজা রাখলো আর কে রাখলো না, বা কে মুসলিম আর কে নন মুসলিম সেই পরিচয়টা না। সেই পরিচয় নিয়েই এই বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাস । আর সেটা আছে বলেই আমাদের ইতিহাসে সম্রাট ইলিয়াস শাহ বা ঈসা খার নামের পাশাপাশি গোপাল, ধর্মপালের কথাও স্বর্ণাক্ষরেই লেখায় আছে। ব্লগে কোনো এক ব্লগার রোজা রাখার মতো একটা সাধারণ প্রশ্ন (তাও আবার দেশের বাইরে) করা নিয়ে যেই অশ্লীল ভাষায় ব্লগ লিখলেন সেটাকে সাপোর্ট করতে যদি ধর্মীয় প্রশ্নই ব্যাক্তিগত বলে জুজুবুড়ির ভয়াল পরিবেশের সৃষ্টি করা হয় তাহলে মশা মারতে কামান দাগার আয়োজন করা হচ্ছে সেটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক । আরো কিছু কথা বলার ছিল কিন্তু এখানেই শেষ করছি মন্তব্যটা বড় হয়ে গেলো বলে ।
ওহ, ভুলে গেছি শামসুর রাহমানের সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীর নাম বলতে । কোনো এলেবেলে মানুষ কিন্তু সেই সাক্ষাৎকারটা নেয় নি । যিনি নিয়েছেন তিনি এখনকার বাংলাদেশের অতি প্রগতিশীল গরূপের সাক্ষাৎ দেবতা হিসেবে সন্মানিত ডক্টর হুমায়ুন আজাদ ! এই সাক্ষাৎকারটা হুমায়ুন আজাদ তার ‘শামসুর রাহমান: নিঃসঙ্গ শেরপা’ শিরোনামের বইটাতেও অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ ---!
১২ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:১৬
জাদিদ বলেছেন: জী, আপনি ঠিক বলেছেন। আমি মেনে নিয়েছি। এই বিষয়ে কোন যুক্তি বা তর্ক করতে চাইছি না।
আমার ধর্ম ইসলাম। আমার ধর্ম সম্পর্কে জানার পর আশা করি ব্লগিং এ আপনাদের সুবিধা হবে। সকল সংশয় দুর হবে।
ধন্যবাদ।
৩২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৪৭
ঈশ্বরকণা বলেছেন: জাদিদ,
ইউ অরে গ্রেট ! কেউ সহজেই খ্যান্ত দিতে চায়না তর্কে । আপনি দিলেন । কিন্তু প্লিজ এটা মনে রাখবেন আমি কিন্তু আপনার সাথে তর্কও করছিলাম না আর আপনার ধর্মীয় পজিশনকি সেটাও জানতে চাইনি কখনো । সেই স্কুলের ক্লাস থ্রি ফোরে পড়ার সময় বন্ধুদের মধ্যে কে বেশি রোজা রাখতে পারে সেই কম্পিটিশন করা ছাড়া কেউ কখনো রোজা রেখেছে কি না সেটা মনে হয় কাউকে জিজ্ঞেস করিনি । ব্লগে যেটুকু বলেছি সেটাও ব্লগ আমারও ভালোলাগার জায়গা সেজন্যই বলেছি । আমার পিএইচডি লেন্থের (জনৈক ব্লগার একটু বড় মন্তব্যকে এই উপাধিতে ভূষিত করেছেন) মন্তব্যগুলো আমি ভাষাগত নোংরামি ছাড়াই সব সময় করি বলে আমার ধারণা । মাঝে মাঝে চরম বিরক্তি নিয়েও মন্তব্য করতে হয় ব্লগে তবুও ভাষার নোংরামি আমি কখনো করিনি বলেই মনে করি। আমার ধারণা ভাষাগত নোংরামি ফাত্রামি না করেও ব্লগটা লেখা যায় ।সাধু ভাষায় লেখা যে এখনকার সাহিত্যমানে (লেখায় বা বলায়) একটা ভাষাগত ফাজলামি সেটা আমি বাংলাদেশের সেরা সাহিত্যিকদের প্রকাশ্য বক্তব্য কোট করেই বলতে পারতাম । কিন্তু আপনি যেহেতু সেটাকে ওকে করেছেন সেজন্যই ওই ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলতে চাইনি আমি আর পরে । কিন্তু ব্লগে শালীন ভাষা ব্যবহারের ক্রাইটেরিয়া কি হওয়া উচিত সে নিয়ে আমার মনোভাবটা চেঞ্জ হয়নি। যাহোক, এ ব্যাপারটার ইতি ঘটুক এখানেই । কিন্তু এ নিয়ে আমারও আর কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। আপনিই হয়তো ঠিক বলেছেন যে কমিউনিটি ব্লগ নিয়ে আমার ধারণা খুব স্পষ্ট নয় । এটা একটা মুড়ির টিনের মতো । সুবেশী স্যুট পড়া কোনো প্যাসেঞ্জারের পাশে ঢোল কোম্পানির মলম বিক্রেতা এসেও হয়তো বসবে বা তার পণ্যের ফেরি করবে তার ভাষায় আর বাসে চড়তে হলে সেটাও মেনে নিতে হবে । অসুবিধে নেই । ভালো থাকুন ।
১২ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:১১
জাদিদ বলেছেন: ঠিক আছে ভাইয়া, আমাদের আলোচনা হবে, সমালোচনা হবে। সবই হবে পোস্ট কেন্দ্রিক, কোন কিছুই ব্যক্তি কেন্দ্রিক না।
ব্লগের প্রতি আপনার ভালোবাসা বা আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধাও কম নয়। আপনি সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।
৩৩| ০২ রা মে, ২০২২ দুপুর ২:৩৭
বিজন রয় বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৩৪| ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৪
রানার ব্লগ বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, আমি দীর্ঘদিন পর চেষ্টা করছি পুরানো মন্তব্যগুলো যা জবাব দেয়া হয় নি, সেগুলোর জবাব দেয়ার জন্য।
সময় টা সম্ভাবত একটু বেশি লেগে গেলো । মাঝে মাঝে অবশ্য শুভেস্য দেরিওম
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:৫৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
দেশের সব ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস ব্লগে আসা উচিত।