নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি সুত্রঃ shadow.com
নজরুলের মাহযাবঃ
আমি সাধারনত পাগল, ছাগল এবং আঁতেল এই তিন শ্রেনীর মানুষ দেখলেই সাথে সাথে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু অনেক সময় তা সম্ভব হয় না, নুন্যতম ফরমালিটির কারনে আপনাকে কথা চালিয়ে যেতে হয়। একবার এমনই এক ব্যক্তির সাথে আলাপ হলো যার মধ্যে উপরের তিনটি বৈশিষ্ট্যই বিদ্যমান অর্থাৎ থ্রি ইন ওয়ান। অল্প কিছুক্ষন কথা চালানোর পর বুঝলাম তিনি দ্বিতীয় শ্রেনী ছাগু। তো এই ছাগ ব্যক্তিটির ধারনা, মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে জাতীয় কবি নজরুল ইসলামকে ঠকানো হয়েছে। তার লেখা বাদ দিয়ে হিন্দু কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতাকে জাতীয় সংগীত বানানো আমাদের জাতীয়তাবাদের উপর নগ্ন আঘাত। এইভাবে হিন্দুরা দিন দিন মুসলিমদের উপর প্রভাব বিস্তার করে যাচ্ছে। এর থেকে মুক্তি পেতে অবিলম্বনে মুসলিম বিশ্বের অহংকার কবি নজরুলের ইসলামের কবিতা থেকে জাতীয় সংগীত বানানো হোক।
আমি ধৈর্য্য ধরে কথাগুলো শুনলাম। অনেক সময় নির্বুদ্ধিতা মানুষ কে বলদে পরিনত করে। লেখাপড়া না জেনে কেউ বলদ হলে কোন সমস্যা নাই। কিন্তু যারা লেখাপড়া করেও এই ধরনের কথা বলেন তাদেরকে আমি ব্যক্তিগতভাবে বলদ হিসাবে চিহ্নিত করি এবং প্রয়োজনীয় দুরত্ব অবলম্বন করি। কিন্তু এবারের ক্ষেত্রে হাস্যকর ও বিব্রতকর সমস্যা হলো- আমার জানামতে উনি একবার 'নৌকা' মার্কায় ভোট দিয়েছিলেন। তাই সমীকরণ মেলাতে না পেরে আমি বহুত দিগদারির মধ্যে পড়লাম।
ইদানিং অবশ্য সর্ষেতেই ভুতের দেখা বেশি মিলছে, তাই প্রাথমিকভাবে চেপে গিয়ে বললাম, ইয়ে মানে, কালী সাধনা সম্পর্কে আপনার ধারনা আছে?
তিনি বললেন, নাউজুবিল্লাহ! এই সব জেনে আমি কি করব?
আমি বললাম, শুনেন, শাস্ত্র মতে যারাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তারাই কালীসাধক।
তিনি বললেন, তো?
বললাম, তো মানে 'শ্যামা সংগীত' নামে নজরুলের বিশেষ কিছু রচনা আছে, যেখানে তিনি কালীর গুনগান গেয়েছেন। যেমন তিনি লিখেছেন, আমি সাধ-করে মোর গৌরী মেয়ের/নাম রেখেছি কালী।
আবার লিখেছেন, আমার কালো মেয়ের আঁধার কোলে/ শিশু রবি শশী দোলে।
তিনি শুকনো কন্ঠে বললেন, এর মানে কি?
আমি বললাম, এর মানে হলো আপনার মুসলিম নজরুল একজন কালীসাধক ছিলেন।
এই কালীসাধকই আবার লিখেছেন - তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে/মধুপূর্ণিমারই সেথা চাঁদও দোলে’। আরো লিখেছেন, ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এল রে দুনিয়ায়/ আয়রে সাগর আকাশ বাতাস দেখবি যদি আয়।
ভদ্রলোকের কপালে কিঞ্চিত ঘাম দেখা গেল। আমার মনে মনে হাসি পেল,আমার মত দুই লাইন জানা বকলমের সামনের পড়ে উনার এই অবস্থা আর যারা নজরুল গবেষক তাদের সামনে পড়লে উনার কি হতো?
আমি বললাম, উনাকে কি মনে মনে হিন্দু ভাবছেন? ইয়ে মানে উনি আবার লিখেছিলেন,
" জগদীশ্বর ঈশ্বর আমি পুরুষোত্তম সত্য/ আমি বিদ্রোহী ভুগু,ভগবান বুকে
একে দিই পদচিহ্ন;"
এখন বলেন, মানুষ কি ভগবানের বুকে পদচিহ্ন আকার অধিকার রাখেন? ভগবানের বুকে পদচিহ্ন দেয়ার এই চেষ্টা যদি ভগবান প্রেমিরা টের পায় তাহলে নজরুলের কি অবস্থা হবে?
উনি কিছুটা বিরক্ত হয়ে বললেন - তিনি তো ভগবানের বুকে পা দিতে চাইছেন, ভগবান আর আল্লাহ তো এক না।
আমি হাসতে হাসতে বললাম, যতদুর জানি, ভগবান, গড, আল্লাহ, স্রষ্টা সব কিছুই মানেই এক।
তিনি বললেন, আপনাদের মত মানসিকতার লোকজন এই সব বলে।
আমি বললাম, ঠিক আছে বাদ দেন। উনি আরো কি লিখেছেন শুনেন, এই বলে ইন্টারনেট সার্চ করে শোনালাম কাজী নজরুলের বিখ্যাত কবিতা 'মানুষের' কিছু লাইনঃ
ও’ কারা কোরান, বেদ, বাইবেল চুম্বিছে মরি’ মরি’
ও’ মুখ হইতে কেতাব গ্রন্থ নাও জোর ক’রে কেড়ে,
যাহারা আনিল গ্রন্থ-কেতাব সেই মানুষেরে মেরে,
পূজিছে গ্রন’ ভন্ডের দল! মূর্খরা সব শোনো,
মানুষ এনেছে গ্রন্থ;-গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো।
আদম দাউদ ঈসা মুসা ইব্রাহিম মোহাম্মাদ
কৃষ্ণ বুদ্ধ নানক কবীর,-বিশ্বের সম্পদ,
আমাদেরি এঁরা পিতা-পিতামহ, এই আমাদের মাঝে
তাঁদেরি রক্ত কম-বেশী ক’রে প্রতি ধমনীতে রাজে!
আমরা তাঁদেরি সন্তান, জ্ঞাতি, তাঁদেরি মতন দেহ,
কে জানে কখন মোরাও অমনি হয়ে যেতে পারি কেহ।
এইবার ভদ্রলোক কিছুটা নড়েচড়ে বসলেন। বিরক্ত হয়ে বললেন, এই গুলো উনি লিখছে? কোন প্রমান আছে? কিছু কিছু মাহযাবের লোক অবশ্য এই সব বলে। আপনে বলেন, নজরুলের মাহজাব কি? তিনি কি ছিলেন? তাইলেই উত্তর পাওয়া যাবে।
অট্রহাসি দিয়া বললাম, ভদ্রলোক একজন মানুষ ছিলেন। যা আপনি এখনও হতে পারেন নাই। মক্কা বহুত দুর।
এই বলে উক্ত আত্মীয়ের বাসা থেকে আপন নিবাসে হাটা দিলাম। নজরুল কি ছিলেন, এই প্রসঙ্গে ব্লগার কুনোব্যাঙ একটি যুগান্তকারী উক্তি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন বাংলা ব্লগে নজরুল ইসলাম যদি কখনও ব্লগিং করতেন, বিদুষী ব্লগাররা তার আস্তিক নাস্তিক পরিচয় নিয়া বিরক্ত হইয়া শেষ পর্যন্ত 'হিটসিকার' ট্যাগ দিয়া ঢেঁকুর তুলিত।
বিশ্বকবি নজরুল
আমি অফিসে আসার সময় সাধারনত গাড়িতে এফএম রেডিও শুনি। নজরুলের কোন এক জন্মদিন উপলক্ষে আরজে বললেন, আজকে বিশ্বকবি কাজী নজরুলের জন্মদিন। এই উপলক্ষে চলুন নজরুলের একটা বিখ্যাত গান শুনে আসি। এরপর তিনি ক্লোজআপ ওয়ান খ্যাত এক তরুন শিল্পীর দ্বারা রিমিক্স কৃত 'আলগা করো গো খোঁপার বাঁধন' গানটি বাজালেন। এই গানটি ইতিমধ্যে অনেকেই গেয়েছেন, তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় বা শ্রোতাদের মনে দাগ কেটেছে মোহাম্মদ রফির কন্ঠে গাওয়া গানটি।
নজরুল বা রবীন্দ্রনাথের কোন গানকে নিজের মত করে গাওয়া দোষের কিছু নয়, আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহারেও আমি দোষের কিছু দেখি না। তবে, নিজের মত করে গাইতে গিয়ে যদি কেউ সুরের বিকৃতি করেন, সেটা নৈতিকভাবে গ্রহনযোগ্য নয়। এখানে কপিরাইট বিষয়ক বিবেচনা পরে আসবে। উল্লেখ্য, তরুন শিল্পীটি এই গানটিকে রুপান্তর করার সময় অনেক আধুনিক বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করেছেন, কিন্তু নষ্ট করেছেন এই গানটির গায়কীর ধরনকে, আবেগের গভীরতার স্থানটিকে। তবুও তার এই চেষ্টাকে ভিন্নতর চেষ্টা হিসেবে আমি স্বাগতই জানাই। যদিও উনার গাওয়া এই গানটি কোনভাবেই নজরুলগীতির সৌন্দর্য, শ্রুতি মাধুর্য্য তরুন প্রজন্মের শ্রোতাদেরকে নজরুলকে চিনতে সাহায্য করবে না। অথচ বিভিন্ন এফএম চ্যানেলে যখনই এই গানটি শুনতে কেউ অনুরোধ করেন, তখনই আমি শুনেছি ঐ তরুন শিল্পীর রিমিক্সটি বাজানো হয়, মুল সুরের গানটি কেউ বাজান না। আমাদের দেশের কত বিখ্যাত নজরুল শিল্পী রয়েছেন, তাদের গাওয়া গান বাজাতে খুবই কম শুনি। কিছুদিন পর মানুষ হয়ত নজরুল সংগীত চিনবেন, কিন্তু তারা ফিরোজা বেগমকে আর চিনবেনও না।
অথচ বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে, নজরুল সংগীতকে তরুন প্রজন্মকে সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কাজটি কিন্তু আমাদের এই এফএম চ্যানেলগুলো চমৎকারভাবে করতে পারত। শুধু তাই নয়, নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, লালন, পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া, ইত্যাদি ঘরনার গানগুলোকে তারাও প্রমোট করতে পারতেন। বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের প্রতি আমাদের নিজেদের যদি সম্মানবোধ না থাকে এবং কোন গান কিভাবে রুপান্তর করতে হয়, কতটুকু রুপান্তর করতে সেই সম্পর্কে ধারনা না থাকে, তাহলে কালের বিবর্তনে এই সকল হারিয়ে যাবে এটা নিশ্চিত। আমাদের এফএম রেডিওগুলোতে যারা আরজে রয়েছেন, অনুষ্ঠান পরিচালক রয়েছেন, তারা এই বিষয়ে দৃষ্টি দিবেন, এগিয়ে আসবেন, এটাই আমি কামনা করি। পাশাপাশি, রেডিও জকিদের জানা উচিত, কে বিশ্বকবি, কে বিদ্রোহী কবি। এটা বেসিক ব্যাপার। গোড়াতেই গলদ লজ্জাজনক।
যাইহোক, আমি ঐ রেডিও উপস্থাপিকার কথা শুনে, তাঁকে এসএমএস পাঠিয়ে বিষয়টি সংশোধনের অনুরোধ করি এবং আরো অনুরোধ করি, রুপান্তর ব্যাতীত কোন বিখ্যাত শিল্পীর নজরুলের গান পরিবেশন করতে। তিনি আমার এসএমএসটি পড়েছেন, ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং অনুপ জালোটার গাওয়া "খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে" গানটি বাজিয়েছেন। তাঁকে ধন্যবাদ।
সমস্যা হচ্ছে এই অনুষ্ঠানটি কাকতালীয়ভাবে আমার স্ত্রীও শুনছিলেন। কিছুক্ষন পর আমাকে ফোন দিয়ে হিসহিস করতে করতে বললেন - মহিলা আরজের সাথে এত মাখামাখি কিসের?
আমি বললাম, নজরু..।
স্ত্রী বললেন, ভাড়মে...।
তসলিমা নাসরিন
যাইহোক, নজরুল প্রসঙ্গে আরেকটি কথা বলে শেষ করছি। বছর কয়েক আগের কথা। সেবার জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের জন্মদিনের উপলক্ষে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় বেশ কিছু ফিচার ছাপা হয়েছিলো। বাংলাদেশ প্রতিদিন নামক পত্রিকাও কবিকে নিয়ে বিশাল ফিচার ছাপিয়েছিলেন। হঠাৎ পাশের পৃষ্ঠায় তসলিমা নাসরিনের কলাম দেখে পিলে চমকে উঠল।
মনে মনে আতংকিত হয়ে ভাবলাম, সর্বনাস! তসলিমা নাসরিন কি নজরুলকে নিয়ে কোন স্মৃতিচারন করেছেন কিনা? সাধারন মানুষের স্মৃতিচারনে সমস্যা থাকে না, কিন্তু "সাহিত্য" প্রেক্ষাপটে আমাদের তসলিমা নাসরিন যতটি স্মৃতিকাহিনী বর্ণনা করেছেন তার প্রায় সবগুলোতে দেখা গেছে দেশের স্বনামধন্য কবি, সাহিত্যিকরা নাকি প্রায় সকলেই তাঁর গায়ে 'হাত' দিয়েছেন। উনার লেখা পড়ে আমার ধারনা জন্মেছিলো, ভালো লেখক হইতে হলে তসলিমা নাসরিনের গায়ে 'হাত' দেয়া নিপাতনে সিদ্ধ।
পরবর্তীতে অবশ্য আমার আশংকা অমুলক প্রমানিত হয়েছিলো। সেবার তিনি আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ট্রামকে নিয়ে কলাম লিখেছিলেন। বেঁচে গিয়েছেন নজরুল। সাথে সাথে মন থেকে ভার নেমে গেলো। আনন্দ নিয়ে বললাম, শুভ জন্মদিন নজরুল। মরে গিয়ে বেঁচে গেছেন। বেঁচে থাকলে আপনার জীবন এই দেশে বিপন্ন হতো।
দ্রোহের কবি, প্রেমের কবি, তারুন্যের কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি রইল আমার গভীর সম্মান এবং ভালোবাসা।
২৫ শে মে, ২০২২ দুপুর ২:২৯
জাদিদ বলেছেন: সর্বনাশ! পোস্ট পড়া শেষ??
২| ২৫ শে মে, ২০২২ দুপুর ২:৩১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: না। আমি আপনার প্রথম প্যারাটুকু শুধু পড়েছি।
২৫ শে মে, ২০২২ দুপুর ২:৪১
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ২৫ শে মে, ২০২২ দুপুর ২:৩৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: অনেকদিন পর জাদিদ ভাই এর পোস্ট পড়লাম। কাজী নপজরুল ইসলাম সাধারণ মানুষের কবি। তার জন্মদিনে জানাই শুভেচ্ছা।
২৫ শে মে, ২০২২ দুপুর ২:৪১
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে গোফরান!
৪| ২৫ শে মে, ২০২২ দুপুর ২:৪৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
নজরুলের ঘরে হিন্দু, কলমে হিন্দু, মননে মগজেও হিন্দু ছিলো এসব অশিক্ষিত,কমশিক্ষিত লোকেদের জানাবে কে? বরং নজরুল নামটাই ওদের পুজি।
নজরুল অনুভব করে গান গাওয়া ও কবিতা পড়া বড় ব্যাপার; বিদ্রোহী "কবিতা পড়ে গায়ে অটো আগুন লেগে যায়,নজরুলের আত্নায় তাহলে কেমন উত্তাপ ছিলো
২৫ শে মে, ২০২২ বিকাল ৩:৩১
জাদিদ বলেছেন: তাঁর সকল কবিতা এবং গান শুনলেই কেমন যেন শিহরন জাগে!!
৫| ২৫ শে মে, ২০২২ দুপুর ২:৪৯
নতুন বলেছেন: সব খানেই এমন কিছু পিস থাকে।
আমাদের কলিগের সাথেও এমন কথা হয়েছিলো। কবি নজরুল ইসলাম ভালো তার ইসলামী অনেক লেখা আছে.... তাকে মনে করিয়ে দিলাম তার লেখা শ্যাম সংঙ্গীত ও্ আছে....
তবে বেশি কথা বাড়াইনাই। আপনার মতন ওমন কইরা কস্ট দিতে পারিনাই।
২৫ শে মে, ২০২২ বিকাল ৩:৩২
জাদিদ বলেছেন: ভাই, এরা ছাগু, প্রকৃত ছাগু! ছাগুরা তাদের গায়ের গন্ধ কখনও লুকাতে পারে না।
৬| ২৫ শে মে, ২০২২ দুপুর ২:৫৫
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: খুব সুন্দর লেখেছেন দ্রোহের কবি কে নিয়ে
কবির প্রতি রইল গভীর বিনম্র শ্রদ্ধা--------------
২৫ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:৩৫
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে লিটন ভাই।
৭| ২৫ শে মে, ২০২২ বিকাল ৩:৩১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ছাগুরা কবী নজরুল ইসলাম কে তাদের নিজস্ব কবি মনে করে।
তসলিমার সৌন্দর্য ঐশ্বর্য কে হার মানায় তাই সব কবি সাহিত্যিক উনার গায়ে হাত না দিয়ে পারেননি।
ভাগ্যিস বলেন নি রবীন্দ্রনাথ স্বপ্নে এসে উনাকে একদা ছুঁয়ে দিয়ে চলে গেসেন।
২৫ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:৩৬
জাদিদ বলেছেন: সব ছাগুরা এমনটা ভাবে না। তবে যারা এমনটা মনে করেন, তাদের অধিকাংশ ছাগু মানসিকতার।
৮| ২৫ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:০৫
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই, এরা ছাগু, প্রকৃত ছাগু! ছাগুরা তাদের গায়ের গন্ধ কখনও লুকাতে পারে না।
আরেক জন বন্ধ আছে সে ৫তারা হোটেলের রুফটপ রেস্তরার ম্যানেজার কিন্তু ছেলে দেশে হাফেজী পড়তেছে। স্ত্রী ফেসবুকে অনেক হেদায়েতী কথা পোস্ট করে। ছেলের ইউটিউব চ্যানেল খুববে কিনা সেটা নিয়ে মুফতির সাথে আলাপ করে চ্যানেল না খোলার সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু জামাইর বারের ম্যানেজারের চাকুরী নিয়ে কিন্তু মুফতির মতামত নেয় না ।
২৫ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:৩৭
জাদিদ বলেছেন: এইগুলো বাংলাদেশী বুদ্ধি বেহেশত যাবার!
৯| ২৫ শে মে, ২০২২ বিকাল ৫:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: তসলিমা নাসরিনকে আপনি পছন্দ করেন না, সেটা বুঝা যাছে।
তসলিমা নাসরিন মন্দ কে মন্দ বলতে ভয় পান না। চাটুকারিতা তার মধ্যে নেই। তিনি আধুনিক চিন্তা চেতনার মানুষ। আমার হাতে ক্ষমতা থাকলে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনতাম।
আমি সামুতে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে ১০০ শ' পর্বের একটা ধারাবাহিক লেখা লিখেছি। লেখাটা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। আমার ইচ্ছা আছে নজরুলকে নিয়ে আমি ১০০ শ' পর্ববের ধারাবাহিক লেখা লিখব সামুতে।
২৫ শে মে, ২০২২ বিকাল ৫:৩৫
জাদিদ বলেছেন: জী, তসলিমাকে আমার তেমন পছন্দ না। অপ্রয়োজনীয় মনে হয়।
তবে অনেক ক্ষেত্রে তাঁর লেখা বেশ ভালো।
আপনি নজরুলকে নিয়ে ১০০০ পর্বের লেখা লিখুন সমস্যা নেই। প্রয়োজনীয় তথ্য সুত্র উল্লেখ্য করে লিখবেন।
এতে কোন তথ্যের কোন গ্রহনযোগ্যতা আছে, সেটা মান নির্ধারন করা যাবে।
১০| ২৫ শে মে, ২০২২ বিকাল ৫:২৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: নজলের লেখা আমি খুব একটা পড়ি নাই।
নজরুলের লেখা পড়ার মতো মেধা আমার তৈরি হয়নি। খুব কঠিন, খুবই কঠিন। কঠিন কঠিন সব অপরিচিত শব্দ দিয়ে কি চমৎকার কবিতাযে লিখেছেন তিনি!! সহজ কবিতাও আছে, সহজ গানও আছে। সেগুলি খুবই প্রাঞ্জল।
অল্প যা কিছু কবিতা নজরুলের পড়েছি তাতেই তার দুই মেরুতে বসা কবিতা দেখে অবাক হয়েছি!!
নজরুলে কিছু গান কিছু কবিতা আমদের মুসলিমদের জন্য অতি কমন, যেনো ইসলামেরই অংশ হয়ে গেছে।
আবার এমন কিছু কিছু কবিতা আছে যেগুলি ইসলামের চোখে বিধর্মীদের, আমারা পাতি মুসলিমরা নজরুলের সেই লেখা গুলির খবরই জানি না।
+
২৫ শে মে, ২০২২ বিকাল ৫:৪৭
জাদিদ বলেছেন: আমার মতে তিনি অসম্ভব স্রষ্টা ভীরু একজন মানুষ ছিলেন। তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে স্রষ্ঠার সন্ধান করেছেন। তিনি তাঁর মত জীবন বেছে নিয়েছেন। আমি তাঁর মেধাকে সম্মান করি।
১১| ২৫ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
কি লিখবো বুঝতে পারছি না। একটু আগেই 'কেন কবি নজরুলকে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিলো' নামের বিবিসির একটি ডকুমেন্টারি দেখে উঠলাম।
নিজের দেশ ছেড়ে নজরুল যখন বাংলাদেশে আসেন, তখন কেমন লেগেছিল তাঁর জানতে ইচ্ছে করে। যদিও, সে সময়ে তাঁর চেতনা ছিলো না।
আর, কোথায় যেন পড়েছিলাম, নজরুল 'ভগবান বুকে এঁকে দিই পদচিহ্ন' লিখে এখানে 'ভগবান = ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক'-দের বুঝিয়েছেন।
২৫ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০
জাদিদ বলেছেন: জী, আমিও এটা শুনেছি। উনি দুর্দান্ত ম্যাটাফোর ব্যবহার করেছেন।
১২| ২৫ শে মে, ২০২২ রাত ৯:০৭
গরল বলেছেন: খোদার আরশ আসন ছেদিয়া উঠিয়াছি চির বিশ্ময় আমি বিশ্ব বিধাত্রির, এই লাইন দিয়ে ঐ ছাগু কি মনে করে জানতে চাইতে পারতেন। যদিও কাব্য বা কবি নিয়ে আমার জ্ঞান শুণ্য তাই সেসব নিয়ে কোন মন্তব্য করতে পারলাম না তবে ছাগুর সাথে তর্কটা সেইরাম হইছে। নজরুল নিয়ে চমৎকার একটা লেখা, খুব ভালো লাগল।
২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১০:০২
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ গরল ভাই! পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
১৩| ২৫ শে মে, ২০২২ রাত ৯:৪০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
জাতীয় কবি কাজী নজরল ইসলামকে নিয়ে স্মৃতিচারণ সুন্দর হয়েছে ।
নজরুলকে নিয়ে একতরফাভাবে বিভ্রান্তি মুলক আজগুবি কথা বলা লোকগুলিকে
পাগল, ছাগল আর আতেল যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন তাদের এহেন
কথাবলার পিছনে বিবিধ প্রকারের স্বার্থান্বেসি কিছু মহলবিশেষবা কুশিলব যে আছে
তা অনেকেই মনে করেন , আর তাদের ইতিহাস দেখলে নিশ্চিন্ত থাকার কোনও
কারণ নেই । তাই এ বিষয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে , পোষ্টে থাকা কথামালা
সকলের মাঝে সঠিক সচেতনতা জোগাবে বলে মনে করি ।
লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন মহল বিভিন্ন দৃষ্টিকোন হতে নজরুলকে
একজন হিন্দু কিংবা মুসলমান কবি আইকন হিসাবে তুলে ধরার প্রচেষ্টা নিচ্ছে। বাংলাদেশের
জাতীয় কবির প্রপৌত্র ও লেখক-গবেষক অঙ্কন কাজী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় এক নিবন্ধে
লিখেছেন, নজরুলের লেখালেখিতে ভারতের হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলোর দৃষ্টি পড়েছে, এবং সেই
ইঙ্গিত অত্যন্ত বিপজ্জনক( সুত্র : https://www.bbc.com/bengali/news-40276677 )
বিভিন্ন সংবাদ ভাষ্য হতে জানা যায় যে কাজী নজরুলের কবিতা হিন্দিসহ নানা ভারতীয় ভাষায়
অনুবাদ করে প্রকাশ করা হবে। নামে মুসলমান হলেও জীবনযাপনে তিনি কীভাবে হিন্দু সংস্কৃতিকে
আঁকড়ে ধরেছিলেন, বইগুলোতে সেই তথ্যও নাকি তুলে ধরা হবে সংক্ষেপে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নজরুলকে নিয়ে নতুন নানা উদ্যোগও নাকি দেখা যাচ্ছে, তাঁর কবিতা
অনুবাদ করে আরও মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে- এটা একটা ভাল খবর
তবে যারা এগুলো করছেন, তার মধ্যে তাদের একটা রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা
আছে বলেও সংবাদভাষ্যেএ তুলে ধরা হয়েছে। কারণ তারা নজরুলকে হিন্দু কবি হিসেবে
তুলে ধরতে চান বিশেষ একটি লক্ষ্যকে সামন রেখে ।
তবে কথা হলো হিন্দু-মুসলিমের দৃষ্টিকোণ হতে তাঁর কবিতাকে মাপা হলে তার প্রতি
বিরাট অবিচার করা হবে। নজরুলকে নিয়ে আলোচনায় আমরা অনেকেই জানি যে
নজরুল একজন মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও তিনি কালীভক্ত, তিনি শ্যামাসঙ্গীতও লিখেছেন।
তিনি সত্যি সত্যিই এই ধারণায় বিশ্বাস করতেন যে আমরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম।
নিজের পারিবারিক জীবন দিয়েও তিনি তা প্রমাণ করে গেছেন।
সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ ও ভারতে আজ যে ধর্মান্ধতা বা বিভাজনের রাজনীতি মাথাচাড়া
দিয়ে উঠতে চাচ্চ্ছে তাতে মনে হয় নজরুলই হতে পারেন সেই শক্তি যা এই বিভেদের বিরুদ্ধে
রুখে দাঁড়াতে পারে। তাই পাগল, ছাগল আর তথাকথিত আতেলদের কথামালা ও দৃষ্টিভঙ্গী
দিয়ে বিশ্বকবি রবি ঠাকুর আর বাংলাদেশের জাতীয় কবি নজরুলের ভুমিকা ও আবদানকে
ভুলভাবে ব্যাখ্যা করার মানসিকতা সম্পন্ন লোকদেরকে সঠিক ভাবনার জগতে ফিরিয়ে আনাটা
এখন সময়ের দাবী।
মুল্যবান লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
জাতীয় কবি নজরুলের প্রতি রইল শ্রদ্ধাঞ্জলি ও ভালবাসা ।
২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১০:০৮
জাদিদ বলেছেন: প্রিয় আলি ভাই, আপনাকে অসম্ভব ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য।
নজরুলকে যারা নির্দিষ্ট গোত্রে দেখতে যায়, তাদের প্রতি আমার তেমন শ্রদ্ধা নেই। আমি খুবই কঠোর ভাষা ব্যবহার করব - তারা নিজেরাও জানেন না যে তাদের ভেতর ছাগুত্বের মরণ ব্যাধি বাসা বেঁধেছে। এই থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজন উপযুক্ত পড়াশোনা।
১৪| ২৬ শে মে, ২০২২ রাত ১:১৯
রোবোট বলেছেন: ক্লোজ আপ ওয়ানের কোন গায়কের কথা বললেন?
১৫| ২৬ শে মে, ২০২২ ভোর ৬:২৮
ল বলেছেন: কবি প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা।
১৬| ২৬ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:৩৬
রানার ব্লগ বলেছেন: প্রথমে যে ভদ্রলোকের কথা বললেন বাংলাদেশের মোটামুটি ৮০ ভাগ লোকের এমনি ধারনা !! কেউ কেউ তো বলে রবীন্দ্রনাথ নজরুল কে বিষ খাইয়েছেন যাতে নজরুল নোবেল না পান !!! ভাবুন একবার !!!
১৭| ২৬ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:৪৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: নজরুলের ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁকে মসজিদের পাশে কবর দেওয়া হয়েছে। তাঁর শ্যামা সংগিত ছিল কমার্সিয়াল। তাঁর বৌমা উমাকাজীকেও জানাজা নামাজ পড়িয়ে কবর দেওয়া হয়েছে বনানী কবরস্থানে। প্রমিলাকে হিন্দু রেখেই নজরুল বিয়ে করেছে। তবে নিজ দাবী মতে নজরুল মুসলিম ছিল, হিন্দু ছিল না। মুসলিমদের মধ্যে বহু মত আছে। নজরুল তাঁর নিজ মতের মুসলিম। জনাব জাদিদ কেউ সেরকম কিছু মনে হয়। তবে রাজীব নুর বলে সে মুসলিম নয়। যদিও নাম দেখে কেউ তাকে মুসলিম মনে করতে পারে। জনাব জাফর ইকবাল ও তসলিমা নাসরিনও সে রকম কিছু মনে হয়। কে আসলে কি সে নিজেই সেটা ভাল বুঝে। তবে যারা পরিস্কার করে বলে তারা মুসলিম নয়, আমি মনে করি তাদের জানাজা পড়ানো অন্যায়।
১৮| ২২ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:১৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লিখা পড়ে না হেসে পারিনি। শুধু বলবো ধর্ম ভীরুতা ভালো ধর্মান্ধতা নয়।
নজরুলের কয়েক হাজার সাহিত্যকর্ম আমরা সংরক্ষণ করেছি, কারন তিনি বাংলা সাহিত্যের অবিচ্ছেদ্য ঠিক যেমনটি রবীন্দ্রনাথ। এদের কাউকে বাদ দিয়ে বাংলা সাহিত্য কল্পনা করাও কঠিন। তবে তসলিমা ভিন্ন জনরার সাহিত্যিক। তিনি লিখলেও বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ হবে না আর না লিখলেও বাংলা সাহিত্যে কোন ক্ষতি হবে না, এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। তবে তার সাহিত্যকর্মে গুণগতমান বিচার করা আমার কাজ নয়। আমার কাজ সংরক্ষণ করা। লিখার জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে মে, ২০২২ দুপুর ২:২৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এই ছাগল, পাগল ও আতেল এরা কোন কাজ করবেনা কিন্তু অন্যের কাজে ঠিকই বাগড়া দেবে।