নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি আমার রাতবন্দিনী। ধূসর স্বপ্নের অমসৃণ সুউচ্চ দেয়াল তুলে তোমাকে আমি বন্দী করেছি আমার প্রিয় কালোর রাজত্বে। ঘুটঘুটে কালোর এই রাজত্বে কোন আলো নেই। তোমার চোখ থেকে বের হওয়া তীব্র আলো, আমার হৃদয়ে প্রতিফলিত হয়ে সৃষ্টি করে এক অপার্থিব জ্যোৎস্না।

জাদিদ

ব্যক্তিগত ব্লগ।

জাদিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই দুর্যোগ কিভাবে মোকাবেলা করবেন?

০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ২:০১

'ভর্তুকি' কখনই দীর্ঘ মেয়াদী অথনৈতিক পরিকল্পনার অংশ হতে পারে না। মোটা দাগে ভর্তুকি অর্থনীতির জন্য খারাপ - এটা খুবই বেসিক অর্থনৈতিক জ্ঞান। কোন নির্দিষ্ট জিনিসে ভর্তুক্তি তখনই দেয়া হয়, যখন সরকার মনে করে উক্ত জিনিস ব্যবহার করে যেন বেশি বেশি প্রোডাক্ট উৎপাদিত হয় যা সার্বিক অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে বা ভর্তুকির ক্ষতি কিছুটা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। অর্থাৎ চেইন অব সাপ্লাই ঠিক রাখা।

সরকারী অর্থনীতিবিদের উচিত ছিলো আরো কয়েক বছর আগে থেকেই ভর্তুকি দুর করার জন্য অর্থনীতিকে তৈরী করার। এই দেশে ভর্তুকি দুর করার সঠিক অর্থনীতি কোন সরকারের ছিলো না, এখনও নেই। কিন্তু সেটা না করে জনগনকে ভুলানো হয়েছে অর্থনৈতিক সক্ষমতার মরিচিকায় যার ফাঁদে সরকার নিজেই পড়ছে। আমাদের দেশ এখনও ভর্তুকি ছাড়া এই চেইন অব সাপ্লাই বজায় রাখতে পারবে না। যতই দেশ সিংগাপুর মালেয়শিয়া হয়েছে বলে গালগল্প বলেন, জনগনের মাথাপিছু আয় কিন্তু বৃদ্ধি পায় নি। এই অবস্থায় আইএমএফ এর শর্ত মেনে জ্বালানি তেল বৃদ্ধির এই ফলাফল দেশে অর্থনীতি আদৌ নেয়ার মত সক্ষমতা আছে বলে মনে হয় না। ফলে যে দামে বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত অর্থনীতির দেশগুলোর জনগন কিনবে, সেই একই দাম এই দেশের মানুষের উপর চাপিয়ে দিলে তা হবে এক প্রকার নিরব জুলুম।


তাছাড়া, ইতিমধ্যে উপমহাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ একটি ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। ফলে বিশ্ববাসীর সামনে একটি খাদ্য দুর্যোগের হাতছানি দেখা দিচ্ছে। আমাদের দেশে মরিচের দাম কেজিতে প্রায় ৩০০ টাকা হবার পথে। আগামীকাল থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কোথায় যাবে কোন ধারনা কারো নেই, বাংলাদেশের এমন কোন সেক্টর নেই যে বা যারা তেলের দাম বৃদ্ধির উযুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি করবে না।

এই সমস্যাটা এমন যে, শুধু আপনি একা সারভাইব করলে চলবে না, সবাইকে নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করতে হবে। যত আপনি অন্যকে ছাড়া বাঁচার চেষ্টা করবেন, তত আপনার বাঁচা কঠিন হয়ে যাবে।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ২:১৭

ককচক বলেছেন: একদম। তাছাড়া আমাদের বাজারে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। জ্বালানি তেল, গ্যাস বা ভোজ্য তেলের দাম ৫ টাকা বাড়ালে গাড়ির ভাড়া ৫টাকা থেকে ১০ টাকা হয়ে যায়। ৫ টাকার ব্রেড ১৫ টাকা হয়ে যায়...
সরকার দেখেও কিছু দেখে না। এমনবস্তায় কাল থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কই যায় এটা উপরওয়া জানেন।

০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ২:৩৯

জাদিদ বলেছেন: আমি অর্থনীতির ছাত্র না। তবে অল্প অতি সামান্য জ্ঞানে মনে হয়, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে চালের দাম কেজিতে ২৫ - ৩৫ টাকা পর্যন্ত বাড়বে। আন্তর্জাতিক একটা অলিখিত পলেসি আছে উন্নত দেশগুলোতে। সেখানে চালের দাম অকটেনের কাছাকাছি রাখা হয়।

কিন্তু আমাদের তো সেই ক্রয় ক্ষমতা নেই। এই দেশে ৫ হাজার দুর্নীতিবাজ পরিবার পুরো ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ন্ত্রন করছে। এই রাহু ভাঙ্গা সহজ নয়।

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ২:৩৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
এই ক্ষেত্রে আমাদের (সাধারন জনগন) কে কোনো পক্ষই গোনায় ধরে না।
তারা একা একাই ভালবান হচ্ছে, তাদের সম্পদের পাহাড় হচ্ছে। আমরা দেনার নিচে চাপা পড়ছি।
মাথাপিছু আয় কিন্তু বেড়েছে। তবে তা আমাদের পকেটে আসেনি। আমাদের মাথা কাঠাল ভেঙ্গে খাওয়ার মতো মাথাপিছু আয়ের খাওয়া অন্যেরা খাচ্ছে।

০৬ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৪:০১

জাদিদ বলেছেন: দুর্নীতি আমাদের জাতির রন্ধে রন্ধে ঢুকে গেছে। কারন আইনের শাসন সঠিক ভাবে এপ্লাই হচ্ছে না। একজন মানুষ রোজা রমজানের দিনে যদি ঢাকার মৌলভিবাজার, চকবাজার আর ইসলামবাগের বিভিন্ন গুদাম আর ফ্যাক্টরীতে হাটে তাহলে তার পক্ষে সুস্থ ও ঈমানদার থাকা প্রায় কঠিন। কিন্তু এরাই সম্মানিত, ধার্মিকভাবে ও সামাজিক ভাবে।

যেহেতু আমাদের গোড়াতে গলদ, তাই এই ভালো আছি ফ্যালাসি নিয়েই বেঁচে আছি।

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ২:৪২

নিমো বলেছেন: কিছু বলতে চাইছি না। কারণ যে ভাষা মাথায় আছে তা লিখলে, ব্লগ ব্যান সহ গুম হয়ে যেতে পারি। X( X(( আশা করি কলাবাগান আর হাসান কালবৈশাখি তাদের তোতাপাখির বুলি নিয়ে হাজির হবেন। /:)

০৬ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৪:০১

জাদিদ বলেছেন: আমি নিজেকে যেন নিজে ব্যান না করি সেই জন্য ভাবছি কলাবাগান আর হাসান কালবৈশাখি ভাইকে আমার ব্লগে কমেন্ট ব্যান করে রাখব। =p~ =p~ =p~

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৩:২৮

তানভির জুমার বলেছেন: লোটপাটই আমাদের অর্থনীতিটা ধ্বংস করে দিল। যারা আমাদের কে সিঙ্গাপুর আর ক্যানাডার গল্প শুনিয়ে রাতে খালি পেটে ঘুমিয়ে যেতে বলতো তারা ঠিকই থাকবে খালি আমাদের বেঁচে থাকা কে আরো কঠিন করে তুলবে।

০৬ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৪:০২

জাদিদ বলেছেন: সামনে কঠিন দিন আসছে, সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে।

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৩:৩১

কাছের-মানুষ বলেছেন: তেলের দাম বাড়ানোটা বোকামী হবে! ভর্তুকী দিয়ে হলেও এটা হাতের নাগালে রাখা উচিৎ! বরং বিলাসবহুল জিনিসের আমধানী কমিয়ে, বড় প্রজেক্টগুলো আপাতত হোল্ড করে রাখা উচিৎ এতে ডলারের উপর চাপ কমবে!

০৬ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৪:০৫

জাদিদ বলেছেন: এটা মুলত আইএমএফ এর শর্ত। বড় প্রজেক্ট যেগুলো প্রায় শেষের পথে, সেইগুলোকে দ্রুত শেষ করতে হবে। কারন তা না হলে ভাইয়া খরচ আরো বাড়বে, অবচয় সহ আরো অনেক জটিলতায় ভুগবে।

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৩:৩৯

তানভির জুমার বলেছেন: জাতি হিসেবে আমরা এমনই কিছু ডিজার্ভ করি। এত এত অন্যায়, জুলুম, প্রকাশ্য, ডাকাতি, চুরি দেখেও অধিকাংশ মানুষের বিকার নাই। এরা এখনো "আম্মুর" চটকদার, ইমোশোনাল স্পিচ শুনে - Thank You PM বলে। বা পদ্মা সেতু দেখে স্পিচলেস হয়ে যায়। এমন জাম্বি, ব্রেইন ডেড, এবং মোটের উপর আল্লাহর অবাধ্যতার চরমে থাকা জাতির জন্য এমন পাওনা আসলে ডিউ ছিল।

০৬ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৪:০৭

জাদিদ বলেছেন: যে জাতি যেমন, সেই জাতির শাসকরাও তেমন।

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৫:২৭

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:

১১৭৬ বঙ্গাব্দ তথা ১৭৭০ খ্রীস্টাব্দের মন্বন্তরের সময় যেরকম বাঙালির বিরাট একটা অংশ নিজেদের, কেবল নিজেদরই জন্য চিন্তা ফিকির করেছিল, এই সময়ে এসেও যখন সেই ইতিহাসের আপডেট চেহারা দেখবো ভাবি তখন খুবই দুঃশ্চিন্তা হয়। অবশ্য এর একাধিক কারণ আছে। পজেটিভলি চিন্তা করলে যে সকল কারণ মোটাদাগে ধরা পড়ে তার মধ্যে একটা বলা যায়, এই দুর্যোগ বন্যা বা অন্যান্য দুর্যোগের মত না যে, তা কেবলই কতেক এলাকা আক্রান্ত হবে। বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় সাধারণ মানুষের মনে পর্যন্ত যে ভয়াবহ আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে তা যদি সত্যি হয়, তাহলে তো পুরো দেশের জন্য এক চরম দুর্যোগ ধেয়ে আসছে।

আপনার পোস্টে বলেছেন, " সরকারি অর্থনীতিবিদগণের উচিত ছিল আরো কয়েক বছর পূর্বেই ভর্তুকি কাটিয়ে উঠার জন্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে প্রস্তুত করা।" কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, আমাদের অর্থনীতিবিদেরা তখন থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত নিজেদের অর্থের মজুদকরণটাই কেবল খুব ভাল রূপেই করে যাচ্ছেন!
যদিও তারা এই মূহুর্তে সাধারণ থেকে অসাধারণ সকল শ্রেণির জন্য করণিয় কিছু পথ স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না। আপনিও কিন্তু আপনার পোস্টে এসবের আলোচনা এড়িয়ে গেলেন। এই মূহুর্তে সকলেই অপেক্ষায় আছে একটি সহজ পন্থা অনুসরণের জন্য। যে দিকটায় এগুলে রাষ্ট্র ও তাদের পরিবার পরিজনকে এই দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচাতে পারে!

যারা প্রবাসী/ যাদের পূর্বের কিছু টাকা পয়সা জমা আছে। তারা হয়ত দুর্যোগের প্রথম দিকে একটু মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে। একসময় তাদের সামর্থেও ভাটা পড়বে। কিন্তু যাদের কিছুই নেই/ যারা একাধিক দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে গিয়ে অন্যের সহযোগিতার দিকে চেয়ে থেকেছে/যারা দিন আনে দিন খায় এসকল সহজ সরল মানুষগুলোর কী হবে?
যদি এই মুহূর্তে সরকার সবার পরিশ্রমকে কাজে লাগানোর একটা সুপরিকল্পিত প্লান হাতে নিতো, যদি এই মূহুর্তে অর্থনীতিবিদরা এই ভর্তুকি কাটিয়ে উঠার সহজ ও বিশ্বাস যোগ্য কোন পরিকল্পনা বাতলে দিতেন তবে হয়ত জনগণ পদ্মা সেতুর মত আরো একাধিক পদ্মার চেয়ে ভাড়ি ওজনদার ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতো।
সত্যিকার অর্থে এরকম একটা সুপরিকল্পিত প্লান আমার দৃষ্টিতে না পড়ার আফসোসটা আমাকে আজ করতে হচ্ছে। হয়ত এর জন্য আমার দৃষ্টিসীমাই দায়ী!

আপনার সুন্দর আলোচনার জন্য ধন্যবাদ।

৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৫:৪৯

কামাল৮০ বলেছেন: সমস্যা সমাধানে এই সরকার ব্যর্থ হলে নতুন সরকার আসবে।ব্যর্থ সরকার দিয়ে দেশ চালানো যায় না।

৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৬:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম দুর্নিতির আখড়া পেট্রলিয়াম সেক্টর।
আমদানি ক্রয় থেকেই দুর্নিতি শুরু। কিনে ওজনে, মানে টন হিসেবে, ডিলারদের কাছে বিক্রি করে লিটারে।
জাহাজ থেকে খালাশ, ডিপোতে ঢুকানো ট্যাঙ্ক লরিতে লোড, খালাস ... ... প্রতিটি পর্বে পর্বে বিশাল বিশাল দুর্নিতি।
সরকারি কর্তারা কোন ভাবেই এই লোভলীয় সেক্টর হাতছাড়া করতে চায় না।

অন্যান্ন দেশে সরকারি ডিপো হোক বেসরকারি ডিপো হোক যার যার তেল নিজেরাই ইমপোর্ট করে, আন্তর্জাতিক বাজারদর অনুযায়ী প্রতিযোগিতামুলক মুল্যে বিক্রি করে,
বেসরকারিদের হাতে দিলে দুর্নিতির নামে সিষ্টেম লস থাকবে না, দামও রিজনেবল থাকবে, সরকারকেও বেতন দিয়ে এত বিশাল মাথাভারি আপদ পালতে হয় না।

সরকার অলরেডি এলপিজি সেক্টর ছেড়ে দিয়েছে, প্রেট্রল ডিজেলও ছেড়ে দেয়া উচিত,
বিশ্ববাজারে ক্রূডের দাম ১৩০ থেকে কমতে কমতে ৯১ তে নেমে এসেছে।

১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৬:৫০

শাহ আজিজ বলেছেন: দেখছি , শুনছি , ৩০০ টাকা দরে কাচা মরিচ কিনেছি কাল । শকড । এত টেনশন নিতে পারব না । বাজারিরা সরকার চালায় , সরকার থাকে সিঙ্গাপুরে ।


হোপলেস ।

১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৭:২৮

তানভির জুমার বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম দুর্নিতির আখড়া পেট্রলিয়াম সেক্টর।
আমদানি ক্রয় থেকেই দুর্নিতি শুরু। কিনে ওজনে, মানে টন হিসেবে, ডিলারদের কাছে বিক্রি করে লিটারে।
জাহাজ থেকে খালাশ, ডিপোতে ঢুকানো ট্যাঙ্ক লরিতে লোড, খালাস ... ... প্রতিটি পর্বে পর্বে বিশাল বিশাল দুর্নিতি।
সরকারি কর্তারা কোন ভাবেই এই লোভলীয় সেক্টর হাতছাড়া করতে চায় না।


স্বাধীনতার আগে পাকিরা লোটপাট করেছে আর স্বাধীনতার পর থেকে সরকারী চাকুরেরা দেশে লোটপাট করতেছে। আওয়ামীলিগের হাতে ক্ষমতা এবং সময় দুটোই ছিল এইসব বাস্ট.. কন্ট্রোল করার, কিন্তু শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামীলিগ এদের কে অবৈধ সুযোগ সুবিধা আর লোটপাট করার সুযোগ দিয়েছে।

আওয়ামীলিগ আজীবন ক্ষমতায় থাকলেও জনগণের কোন সমস্যা ছিল না, যদি বিচার বিভাগ সঠিকভাবে কাজ করতো আর সরকারী আমলাদের লোটপাট বন্ধ করতে পারতো। অন্য যে কেউ এক টাকা চুরী করলেও আমলারা ধরতে পারে আর আমলারা কোটি টাকা চুরি করলেও কাক পক্ষিও জানে না।

১২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:১১

বিটপি বলেছেন: আমি যদি বলি পাকিস্তান আমলে দুর্নীতি অনেক কম হত, আইউব খান, লিয়াকতেরা হাসিনার চেয়ে অনেক ভালো দেশ চালিয়েছিলেন - আমাকে কি রাজাকার ট্যাগ দেয়া হবে?

১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: প্রশ্ন হলো কয়টা পণ্যে ভর্তুকি দেয়?
বিশ্ববাজারে জ্বালানী তেলের দাম যেখানে কমেছে- সেখানে আমাদের দেশে তেলের দাম ৫২% বাড়ানো হয়েছে। জ্বালানী তেল নিয়ে সরকার ব্যবসা করছে- অথচ এটা সেবা খাত। শুধু জ্বালানী খাতেই সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা প্রফিট করছে!

আজ সবকিছু এতো ক্রাইসিস! অথচ গত বছর বছর যাবত আলোকসজ্জা আর আমোদফুর্তির কমতি নেই!

১৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩৪

কলাবাগান১ বলেছেন: নিজের ঘায়েই পাগল অবস্হা... ছয় মাস আগেও গাড়ীতে তেল নেওয়ার সময় ট্যাংক ফুল করে নিতাম ৩০ ডলার এর মত লাগত..এখন প্রায় ৬০ ডলার লাগে বিধায় ..লাস্ট কবে ট্যাংক ভর্তি তেল নিয়েছি ভুলেই গিয়েছি। সশরীরে কাজে যাওয়া কমিয়ে দিয়েছি। যেটা অনলাইনে করা যায় তাই করছি....গায়ের লোশান কিনেছি ৬ ডলার দিয়ে কিছুদিন আগেও, এখন সেই লোশান (এভিনো) দেখি ১৭ ডলার দোকানে...না পারতে লো কোয়ালিটির লোশান কিনে এনেছি....

১৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৪৭

জুল ভার্ন বলেছেন:

আমাদের অকটেন-পেট্রোল কিনতে হয়না- কিন্তু দাম বাড়াতে হয়!

১৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৫৭

মিরোরডডল বলেছেন:




বাংলাদেশের এমন কোন সেক্টর নেই যে বা যারা তেলের দাম বৃদ্ধির উযুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি করবে না।


জাদিদ, এটা এখন আর লোকাল সমস্যা না ।
গ্লোবাল সমস্যা ।
এটা সত্যি যে বাংলাদেশের সবক্ষেত্রে দুর্নীতি বেশী হওয়াতে সুযোগ সন্ধানীরা সুযোগের অপব্যবহার করছে অতিমাত্রায় বেশী ।

করোনা পরবর্তী সময়ে আমাদের এখানে সবকিছুর দাম বেড়ে যায় কিন্তু লাস্ট ফিউ মান্থস যেভাবে সবকিছুর দাম বাড়ছে,
আমি এতোবছরে এই প্রথম অস্ট্রেলিয়াতে এরকম দেখছি ।
পেট্রোল থেকে শুরু করে নিত্য নৈমিত্তিক গ্রোসারির প্রতিটা জিনিসের দাম বেড়েছে ।

আমি তাই ভাবি, আমরাই এখানে এরকম ফেইস করছি আর বাংলাদেশে কিভাবে কি হচ্ছে ।
বিশেষ করে নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্তদের যার পর নাই কষ্ট ।

১৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমেরিকায় গ্যাসোলিন প্রাইস সমগ্র বিশ্বে সর্বনিম্ন, ইভেন সৌদিয়ারবের চেয়েও। সেটা ৮০র দশক থেকে দেখে আসছি।
এরা গ্যালনে হিসেব তবে লিটারে কনভার্ট করে দিলাম।

রিসেন্টলি দাম ৫০% কমার পরও আজকের দাম (ডেইলি দাম ২-১ সেন্ট পরিবর্তন হয়)
নিউইয়র্ক - রেগুলার গ্যাস (পেট্রোল) - ১.১৭ ডলার পার লিঃ ইয়োরোপে ১.৮৫ ইউরো ।
ডিজেল -- -- -- --- ১.৪৫ ডলার পার লিঃ ইয়োরোপে ২.১ ইউরো

১৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৩২

ককচক বলেছেন: ইউরোপ আমেরিকার মানুষের ক্রয়ক্ষমতা আর বাংলাদেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা সমান?
আমাদের নেতারা বিশাল জিডিপির গল্প বলেন, অথচ বাস্তবতা দেশের অল্প কিছুমানুষ ক্রমশ ধনী হচ্ছে। বিশাল জনগোষ্ঠী ক্রমশ দরিদ্র হচ্ছে।
এই দরিদ্র জনগোষ্ঠী নিয়ে সরকার ভাবেনা। এটাই আমাদের সব সমস্যা মূল।

১৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৫৩

রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ , রাজনীতিবিদ, রাস্ট্রনিতীবিদ এদের সাথে জনগনের কোন রকম সম্পর্ক নেই !! এরা শিতল কক্ষে বসে চোখ বন্ধ করে দিবাস্বপ্ন দেখে একটা কিছু প্রসব করে তারপর আমাদের উপর চাপিয়ে দেয় ।

২০| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: বাংলাদেশের সাধারন জনগনের ক্রয় ক্ষমতা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে সেটা জনগন অনুধাবন করতে না পারলেও বিচক্ষন সরকার ঠিকই পেরেছে।
সবাই সবার দিকে তাকিয়ে ভাবে~ তবে যে ওরা বলে কিন্তু সেই জনগন কারা??
প্রতিদিন যদি ১০০ কোটি টাকা লস যায় তবে মজুতের তেল গেল কোথায়? আমরা কি প্রতিদিন তেল আমদানী করি?
বিপিসি'র কিছু লাভের টাকা ছিল আগের তেল বিক্রি করে -সেইগুলা সাচ্চা দেশ প্রেমিকদের পকেটে গেল কি?????

২১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:১৫

পুরানা দামান বলেছেন: বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে অসময়ে প্রচুর হয়েছে। কিন্তু এখন আমন মাঠে থাকলেও বর্ষার বৃষ্টি নেই। এভাবে চললে ফলন আশানুরূপ নাও হতে পারে। চাল আমদানি করতে হলে বিপদ আরও বহুগুণ বাড়বে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.