নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি আমার রাতবন্দিনী। ধূসর স্বপ্নের অমসৃণ সুউচ্চ দেয়াল তুলে তোমাকে আমি বন্দী করেছি আমার প্রিয় কালোর রাজত্বে। ঘুটঘুটে কালোর এই রাজত্বে কোন আলো নেই। তোমার চোখ থেকে বের হওয়া তীব্র আলো, আমার হৃদয়ে প্রতিফলিত হয়ে সৃষ্টি করে এক অপার্থিব জ্যোৎস্না।

জাদিদ

ব্যক্তিগত ব্লগ।

জাদিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাপিত জীবনঃ সালাম এবং জান্নাতি পুরুষ।

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:২৪

১।

মুসলিম প্রধান দেশ হিসাবে বাংলাদেশে দৈনন্দিন সম্ভাষনে 'সালাম' সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। স্থানীয় সমাজ ব্যবস্থা অনুসারে সালাম নিম্ন থেকে উর্ধগামী অর্থাৎ সবাই ছোটদের কাছ থেকে সালাম প্রত্যাশা করে। এখানে বয়সের চাইতে গুরুত্বপূর্ন সামাজিক অবস্থান, আর্থিক অবস্থা, পদবী ইত্যাদি এবং সব শেষে বয়স। যেমন অফিসের দারোয়ান সবাইকে আগেই সালাম দেন কিন্তু অনেক সময় তিনি বয়সে বড় হলেও আগে সালাম পান না। কেউ ভাবেও না যে একে সালাম দেয়ার প্রয়োজন আছে।

আমরা অনেক সময় বলি যে ধর্মের পরিবর্তন ঘটে না। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ধর্মে নিষেধ থাকলেও মানুষ তার নিজস্ব প্রয়োজনে (সামাজিক, রাজনৈতিক এবং ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার কারনে) ধর্মের নিয়ম নীতির পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলে। যেমন সালাম দেয়ার এই রীতিনীতি আমাদের সমাজে পরিবর্তিত হয়ে গেছে। এমন কি সালামের সম্ভাষন পর্যন্ত বিকৃতি ঘটিয়েছে। ফলে দেখবেন যে, উপমহাদেশে বহু মানুষ আসসালামু আলাইকুম বলার পরিবর্তে স্লামালাইকুম শব্দটি বলে। এখানে আস শব্দটি সালাম শব্দটির সাথে মিশে গিয়ে 'স্লামা' তে পরিবর্তিত হয়েছে।

সাধারনত পরিচিত অপরিচিত সবাইকে সালাম দেয়ার বিধান রয়েছে। অর্থাৎ ইসলামিক সংস্কৃতি অনুসারে একে অন্যকে দেখলেই সালাম দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে আমরা এখন সাধারনত রাস্তায় পরিচিত ছাড়া অন্য কাউকে সালাম দিই না বললেই চলে। আমার বাসার খুব কাছাকাছি মোঘল আমলের অন্যতম সেরা একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা রয়েছে যা ক্ষেত্র বিশেষে বাংলাদেশের পরিচিত কিছু ল্যান্ডমার্কের মধ্যে অন্যতম। এখানে খুব ভোর বেলা স্থানীয় মানুষজন প্রাতঃভ্রমনে আসেন। এই স্থাপনার পাশেই একটি বিখ্যাত মাদ্রাসা রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা প্রাতঃভ্রমনের সময় সবাইকে সালাম দেন। সেই সময়ে আপনি সেখানে হাটতে গেলে দেখবেন চারিদিকে শুধু সালামের শব্দ। ব্যাপারটা আমার বেশ ভালো লাগে। তবে ইদানিং দেখি তাঁরাও পিছিয়ে এসেছেন, নিজেদের পরিচিত শিক্ষক ও ছাত্রদেরকেই তারা সালাম দিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তাদের দেখাদেখি আমিও অপরিচিত কিছু ব্যক্তিকে সালাম দেয়ার পর দেখলাম সবাই বেশ অবাক হয়ে আমাকে দেখছেন। কিন্তু সালামের জবাব দিতে দিতে ততক্ষনে আমি তাদেরকে হেঁটে পার করে এসেছি।

আরেকবার, আমি একজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে সালাম দেয়া পর তিনি প্রচন্ড অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন। তাঁর চোখ মুখের সন্দেহজনক অভিব্যক্তি দেখে মনে হলো তাঁকে সালাম দেয়ার কারনটি তিনি বুঝার চেষ্টা করছেন। তার পিছনেই তার স্ত্রী এবং কন্যাদ্বয় হাটছিলেন। আমার সালাম দেয়া দেখে তিনি একবার স্ত্রী এবং আরেকবার তাঁর বোরকাচ্ছাদিত কন্যাদ্বয়ের দিকে তাকিয়ে ঘটনা বুঝার চেষ্টা করছিলেন। আমি ততক্ষনে যা বুঝার বুঝে গেছি, ফলে দ্রুত পা চালিয়ে সেখান থেকে আরো দূরে সরে গেলাম।

তবে সালাম নিয়ে সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় হচ্ছে - ভিন্ন ধর্মের লোকদের সালাম দেয়া যাবে না। এটি চুড়ান্ত মিথ্যে কথা এবং ধর্মের নামে জালিয়াতি। এই ধরনের হীণমন্যতা ইসলাম ধর্মে নেই। বরং ব্যক্তি স্বার্থ এবং রাজনৈতিক কারনে এক শ্রেনীর কাঠমোল্লা ( অর্থাৎ যাদের ধর্মীয় ব্যাপারে উপযুক্ত পড়াশোনা নেই এবং নিজের জ্ঞানের উপর অযাচিত গোয়ার্তুমি করে) হাদীসের অপব্যাখার মাধ্যমে এই সব ফতোয়া জারি করেছে।

সালাম প্রথমত একটি সম্ভাষন। সাধারন দৃষ্টিকোন থেকে বিবেচনা করলে সালামের অর্থ শুভ সকাল বা শুভ দুপুর বা গুড লাকের চাইতে সেরা। সালাম অর্থ শান্তি। ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে আসসালামু আলাইকুম মানে আপনি ঐ ব্যক্তির উপর আল্লাহর শান্তি বর্ষনের ইচ্ছা পোষন করেন এবং পাশাপাশি আপনার তরফ থেকেও শান্তি এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিচ্ছেন। এটাই সালামের মূল ব্যাখ্যা। ইসলাম প্রচার এবং প্রসার হয়েছে উদারতা এবং মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। রাসুল সাঃ শেষ ভাষন হিসাবে যা স্বীকৃতি পেয়েছে সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে সাম্যবাদের কথা, সকলের সমান অধিকারের কথা। ফলে একজন নন মুসলিমকে সালাম দেয়া যাবে না - এটা শতভাগ ভুল এবং হাদীসের ভুল ব্যাখ্যার অন্যতম দৃষ্টান্ত।

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সালামের মাধ্যমে ইসলামের সৌন্দর্য এবং মহত্ব প্রকাশ পায়। যেখানে একজন মুসলিম অমুসলিম সবাইর উপর আল্লাহর শান্তি বর্ষনের আহবান জানানো হয়। আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কেউই সঠিক পথে আসতে পারেন না। একজন মানুষ তখনই প্রকৃত শান্তি লাভ করবেন যখন তিনি মানবিক দোষত্রুটি কাটিয়ে উঠবেন এবং সৃষ্টিকর্তার রহমত পাবেন। আমি কোন ধর্মীয় পোস্ট হিসাবে এই লেখাটা লিখছি না। যদি ধর্মীয় পোস্ট হিসাবে লিখতাম তাহলে এখানে আরো অনেক রেফারেন্স যুক্ত করতাম।

আল্লাহ হচ্ছেন সর্বশেষ্ঠ দয়ালু। তিনি দয়া করতে ভালোবাসেন এবং যারা দয়া করে তাদেরকেও তিনি ভালোবাসেন। ফলে কেউ যদি আমার খারাপও চায়, তাঁকে ক্ষমা করে দিয়ে তার শান্তির জন্য দোয়া করার মধ্যেই লুকিয়ে আছে মানবিকতা এবং মহানুভবতা। যা মূলত ইসলামের অন্যতম ভিত্তি।

সালাম সম্পর্কে লিখতে গিয়ে ব্লগার জটিল ভাইয়ের কথা মনে হলো। তিনি ব্লগে পাঠকদের উদ্দেশ্যে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে সালাম দিয়ে পোস্ট শুরু করেন এবং আরো বেশি নেকি পাওয়ার লক্ষ্যে তিনি আরবীতেও লিখছেন। B-) =p~
আশা করি, ব্যাপারটি কে কৌতুক হিসাবে দেখবেন, সিরিয়াস হিসাবে দেখার প্রয়োজন নাই।

২।
একটি সভায় 'জান্নাতি' মানুষ নিয়ে আলাপ হচ্ছিলো। জান্নাতি মানুষরা দেখতে কেমন, কি পরিধান করবে বা কি কি সুবিধা পাবেন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে আমি বেশ দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে বললাম, আমি প্রায়ই একজন জান্নাতি পুরুষের সাথে মুসাবিদা করি।
উপস্থিত সভ্যরা প্রচন্ড অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, মাশাল্লাহ! কে এই শায়খ? কে এই পীর?
আমি কিছুটা বিব্রত হয়ে বললাম- না রে ভাই উনি পীর ও না উনি শায়খও না।
সবাই সমস্বরে চিৎকার দিয়ে বলল, তাহলে কে উনি? আর আপনি কিভাবেই জানেন তিনি যে একজন জান্নাতি পুরুষ?

আমি কাশি দিয়ে গলা পরিষ্কার করে বললাম, ভদ্রলোক আমাদের এক প্রতিবেশি মহিলার স্বামী। ভদ্রমহিলা ২৪ ঘন্টাই কারো না কারো সাথে প্রচন্ড উচ্চস্বরে ঝগড়াঝাটি, চেঁচামেচি বা হৈচৈ এর উপরে থাকেন। এমন কি উনার স্বাভাবিক কথা বার্তাও ঝগড়ার মত করে শোনায়। আমার বিশ্বাস করি, তিনি ঘুমের মধ্যেও স্বপ্ন দেখেন যে তিনি কারো না কারো সাথে ঝগড়া করছেন।

তো আমার বিশ্বাস, ২৪ ঘন্টা এই ধরনের আজাব পৃথিবীতে সহ্য করার পর কোন ব্যক্তিকে মহান আল্লাহতালা নিশ্চয়ই জাহান্নাম দিবেন না। তার জন্য অবশ্যই বেহেশত বরাদ্দ হয়ে আছে। শুধুমাত্র মারা গেলেই তিনি পৌঁছে যাবেন চুড়ান্ত ডেস্টিনেশনে। তাই ভদ্রলোকের সাথে দেখা হলেই আমি সালাম ও মুসাবিদা ও আতর আদান প্রদান করি। আমার যদিও উচিত তাঁর কপালে চুমু খাওয়া। কিন্তু চুমু টুমুর বিষয়ে আমার স্ত্রী খুবই রক্ষনশীল ও প্রাচীনপন্থী দেখে আমি আর এই বিষয়ে কোন আগ্রহ প্রকাশ করি নাই।

মন্তব্য ৫৯ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৫৯) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৩৬

রানার ব্লগ বলেছেন: তাহলে কি সুন্দরী বিবি অথবা সুন্দরী কন্যার স্বামী /পিতা কে সালাম দেব না??!


চুমু টুমু নিয়ে আলোচনা করতে চাচ্ছি না। শুনলেই খেতে ইচ্ছা করে।

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৯

জাদিদ বলেছেন: খাওয়া দাওয়ার আগে হজমের ব্যাপারে নিশ্চিত হউন। উল্টা পাল্টা খেলে বিপদ

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৪৮

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: ভার্সিটি ভর্তি হয়ে ভাই দেখছি সালামের weaponization কতপ্রকার আর কি কি। :D
পদ বুঝে সালামের যে কালচার সেটা মনে হয় ভার্সিটি থেকেই শুরু হয়, অন্তত আমার তাই মনে হয়। ভর্তির আগে সারা জীবনে যা সালাম দিছি, ভর্তির পরে দুই মাসে তার থেকে বেশি সালাম দিছি সিনিয়রদের। এখন আবার জুনিয়র গুলো সালাম না দিলে কেমন জানি বিরক্তি লাগে, হাহা।
চিকিৎসা না করাইলে এই রোগ নিয়েই মনে হয় আমাকে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে হবে। :D

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০

জাদিদ বলেছেন: হা হা হা। ভালো বলেছেন!

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৫০

আরইউ বলেছেন:



গ্রিটিংস বিষয়টা স্থান-কাল-পাত্র ভেদে পরিবর্তন হয়; এটাই স্বাভাবিক। আমি প্রতিদিন বিকেলে হাটতে বের হই ঘন্টা খানেকের জন্য। এসময় আমার সাথে যতজন মানুষের সাথে মুখোমুখি দেখা হয় তার ন্যুনতম ৭৫ ভাগের সাথে আমার মৌখিক শুভেচ্ছা বিনিময় হয়ঃ “গুডডে, মেট”; “হাই, মেট”; হাউজ গোয়িং”, ইত্যাদি। দু‘ এক জনের সাথে জাস্ট হাত তুলেও শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। এই দেশেই অন্য শহরে আমি দেখেছি লোকে লোকের দিকে ফিরেও তাকায়না; সবাই ব্যস্ত, শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় নেই।

“সলাম” এর মূল বিষয় গ্রিটিংস বিনিময় হলেও আমাদের দেশে বেশিরভাগ সময়ে দেখেছি এটা সামাজিক স্ট্যাটাসের সাথে জড়িত। আমাদের দেশে আমি দেখেছি গ্রামে সালাম বিনিময়ের হার বেশি, অম্তত ১৫ বছর আগে ছিল। এখনকার অবস্থা জানিনা।

আমার বেশ কয়েকজন ইহুদি বন্ধু আছে তাদের একজন আমাকে সব সময় দেখা হলে বলে “শালোম”। মুসলমানদের “সালাম” আর ইহুদিদের “শালোম“ সিনোনিমাস।

ভালো থাকুন, জাদিদ।

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৩

জাদিদ বলেছেন: হ্যাঁ, আমার কাছে সালাম বেশ ইন্টারেস্টিং একটি ফ্যাক্ট হিসাবে বিবেচিত হয়। অর্থাৎ গ্রিটিংস হিসাবে চমৎকার। আপনি সঠিক বলেছেন - সালাম আমাদের দেশে সামাজিক স্ট্যাটাসের অংশ হিসাবে বিবেচিত! কি অদ্ভুত ব্যাপার বলেন।

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০২

জটিল ভাই বলেছেন:
আসসালামুালাইকুম ইয়া হাবিবি। কাইফা হালুকা?(আপনি অর্থ জানেন তাই লিখলাম না। অনেকে সূরা ভাবতে পারে বলে এখন আরবীর সাথে বাংলাও লিখি। আরবী প্রতি হরফ পাঠে দশ নেকি অর্জিত হয়। আপনার যেহুতু নেকির অভাব নেই, তাই ারর আপনার পোস্টে আরবী লিখলাম না।)

আপনি বলেছেন,
সালাম সম্পর্কে লিখতে গিয়ে ব্লগার জটিল ভাইয়ের কথা মনে হলো। তিনি ব্লগে পাঠকদের উদ্দেশ্যে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে সালাম দিয়ে পোস্ট শুরু করেন এবং আরো বেশি নেকি পাওয়ার লক্ষ্যে তিনি আরবীতেও লিখছেন। B-) =p~
আশা করি, ব্যাপারটি কে কৌতুক হিসাবে দেখবেন, সিরিয়াস হিসাবে দেখার প্রয়োজন নাই।

বোল্ড করা অংশটি দু'টি অর্থ বহন করছে বলে মনে হয়।
প্রথমত, জটিল ভাইকে নিয়ে যা বলা হলো তা যেনো জটিল ভাই সিরিয়াস হিসেবে না নেন সেই আহ্বান জানানো হয়েছে।
নয়তো, জটিল ভাইয়ের কাজটিকে সিরিয়াসভাবে না নিতে বাকি সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
ব্যাপারটা আসলে কোনটি?

পুনশ্চ: আগের জটিল ভাই হলে এখানে মন্তব্যের পরিবর্তে হয়তো এতোক্ষণে নতুন কোনো পোস্ট চলে আসতো মনগড়া বুঝার মাধ্যমে। কিন্তু এখন সেই আরবী অক্ষর জটিল ভাইয়ের লিখার হাত অনেকটাই বেঁধে দিয়েছে যা এমন কিছু লিখতে উৎসাহিত করে না যা পরিষ্কার নয়। আলহাম্দুলিল্লাহ্। জাজাকাল্লাহ্।

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪২

জাদিদ বলেছেন: ওয়ালাইকুম আস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আনা বি খাইরিন আলহামদুলিল্লাহ! ওয়া আন্তা?

হাহাহ! সব রহস্য উম্মোচন করে দিলে হবে? একটু রহস্য থাকা ভালো। যে যেটা বুঝবে, তাকে সেটা বুঝতে দিন। আপনার আর আম্র প্যারা পাওয়া তো কিছু নাই। তবে আমি কৌতুক ভালোবাসি! এটা হলো মোদ্দা কথা। এখন আপনি কি বুঝলেন বলেন? হাল কুনত কারদারান ইলা আলফাহাম বিসহাকাল সাহিহীণ?

( আরবী টা কি ঠিক মত হইছে? )

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৩

মিরোরডডল বলেছেন:




আসসালামু আলাইকুম জাদিদ ।
খবর ভালো ?

আমি দেখতে পাচ্ছি জাদিদ এখন পোষ্টের ভদ্রলোকের মতোই আমার দিকে সন্দেহের দৃষ্টিরে তাকাচ্ছে :)

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৪

জাদিদ বলেছেন: ওয়ালাইকুম আস সালাম।
ইয়ে মানে আমাদের মেয়ে ৯৯% ভালো। শুধু বিবাহ উপযুক্ত ছেলেদের বাবাকে সালাম দেয়! হাহাহ

৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: আগে একসময় স্লামালিকুম বলতাম। এখনকার জমানায় এভাবে বললে খবর আছে। আরেকটি মজার ব্যপার হচ্ছে জাজাকাল্লাহ্ খাইরান শব্দটার সাথে আমার প্রথম পরিচয় সামু ব্লগেই। আরবী এই শব্দের মানে যে ধন্যবাদ তা জানাও ছিল না এবং আগে কোনদিন এই শব্দের ব্যবহারও দেখি নাই।

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

জাদিদ বলেছেন: আমিও দেখি নাই। যিনি ব্যবহার করতে চান, তিনি করুক। কারন এই সব নিয়ে কথা বলা বেশ সংবেদনশীল। যে ভাবে শান্তি পায়, পাক। আমিও বলতাম। মাঝে মাঝে এখনও বের হয়ে যায়।

৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২২

মিরোরডডল বলেছেন:




আরইউ যা বললো সেটাই, এখানে আমরা প্রতিদিন কতো অচেনা মানুষের সাথে গ্রিটিংস বিনিময় করছি ।
মুখোমুখি হলে, চোখে চোখ পড়লে, চলার পথে পাবলিক প্লেসে হাই, হ্যালো, মর্নিং এগুলো খুব কমন ।
বরং সেটা না হলেই কেমন যেন রুড মনে হবে ।

কিন্তু দেশে পরিচিত ছাড়া সালাম না শুধু, কোন ধরণের গ্রিটিংসই হয়না । আমি ওখানে গেলে অনেক সময় স্বভাববশত ক্লোজ কন্টাক্ট হয়ে গেলে সৌজন্যতার হাসি দিয়েও বিব্রত হয়েছি, যখন ইন রিটার্ন পোষ্টের সেই ভদ্রলোকের মতো কনফিউজড ফেইস দেখেছি । তখন আরও উল্টো লজ্জা পেয়ে যাই ।



৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৬

জাদিদ বলেছেন: হ্যাঁ, মজার ব্যাপার হলো, আমি হাটার সময় লক্ষ্য করেছি অপরিচিত যাদেরকে আমি সালাম দিয়েছি, তারাই কয়েকদিন পর আমাকে সালাম দিচ্ছেন, আমার খোঁজ নিচ্ছেন। ব্যাপারটা বেশ ইন্টারেস্টিং!

৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৭

মিরোরডডল বলেছেন:




সালাম সম্পর্কে লিখতে গিয়ে ব্লগার জটিল ভাইয়ের কথা মনে হলো। তিনি ব্লগে পাঠকদের উদ্দেশ্যে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে সালাম দিয়ে পোস্ট শুরু করেন এবং আরো বেশি নেকি পাওয়ার লক্ষ্যে তিনি আরবীতেও লিখছেন।

বিষয়টা বেশি নেকি পাওয়া না ।
জটিল আসলে সারাবছর উল্টোপাল্টা করে রোজার মাসে ভং ধরেছিলো ।
আমি বলেছিলাম সিজনাল মৌলভী ।
রোজার পর যদি বিসমিল্লাহ ছাড়া পোষ্ট দেয়, তাহলে এটা এস্টাব্লিশ হয়ে যাবে সিজনাল মৌলভী,
তাই রোজার পরেও বেচারাকে কনটিনিউ করতে হচ্ছে ।
ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিও না ।
শুরুতে বিসমিল্লাহ বলেতো এখন আর একে মারো, ওকে ধর এগুলো করতে পারে না :)

এখন যেটা করেছে বাংলা বিসমিল্লাহ থেকে আরবিতে ট্রান্সলেট করেছে ।
আকারে ছোট হওয়ায় খুব একটা চোখে পড়েনা ।
তাই পোষ্টের কন্টেন্ট আর ম্যাটার করেনা ।
শুরুতে বিসমিল্লাহ আর শেষে আল্লাহ হাফিজ দিয়ে জটিল তার ভেতরের শয়তানকে বেঁধে রেখে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে :)
জটিলের এই চেষ্টাকে শুভকামনা ।



৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৮

জাদিদ বলেছেন: ইয়া আল্লাহ!!! তাই নাকি! হাহা হাহা। এটা কি ব্যাখ্যা দিলেন আপু! হাহাহা। জটিল ভাই এখনই তেড়ে ফুড়ে আসবেন।

৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫১

জুল ভার্ন বলেছেন: আচ্ছালামুয়ালাইকুম।

চেনা অচেনা, ছোট বড়ো যে কাউকে আমি সবসময়ই আগে সালাম দিতে চেষ্টা করি।

শুভ কামনা।

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০১

জাদিদ বলেছেন: ওয়ালাইকুম আস সালাম ভাইয়া। খুবই ভালো।

১০| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

জটিল ভাই বলেছেন:
@মিরোরডডল, আপনি যদি এইভেবে শান্তি পান যে আপনার কথায় আমি এটা করছি তবে আপনাকে অশান্তি দেবো না। এ নিয়ে বারবার কথা বলতে ভালো লাগেনা, তবুও বলতে হয়। প্রথম হতেই আমার প্রোফাইল পিকে যে কলেমা দেওয়া ছিলো সেটাও কি আপনার অবদান? ইসলাম যেমন ধীরে-ধীরে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে তেমনি যদিও শুরুতে ব্লগে এসে ভেবেছিলাম এখানে বাকস্বাধীনতা আছে, কিন্তু পরে দেখি বাকস্বাধীনতার শুধু সাইনবোর্ডটা ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই এখানে অনেক কৌশল করে এই বাকস্বাধীনতা নামক খড়গ হতে নিজেকে বাঁচাতে হচ্ছে। সত্যি বলতে প্রিয় ভাই/আপা শব্দগুলো আপনাদের কাছে শব্দ হলেও আমার কাছে অনেক আবেগের একটা বিষয়। যদিও সেই আবেগ আপনাদের আধুনিক মননের কাছে হাস্যরসের আধার। কিন্তু আমি সবার আগে মুসলিম। তাই আমার বিশ্বাস, আল্লাহ্ অবশ্যই উত্তম ফয়সালাদাতা। যার ভাগ্যে হিদায়াত লিখা আছে সে হিদায়াতপ্রাপ্ত হবেই। আর যার অন্তর মোহরাঙ্কিত হয়ে গেছে তার ব্যাপারেও নিরাস নই শুধু সেই আল্লাহ্'র হুকুমে। নিশ্চই তিনি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না।
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে হিদায়াত করুন। আমিন।

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২৪

জাদিদ বলেছেন: জটিল ভাই, আমি বুঝতে পারছি না, আপনি কেন সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছেন! মানে যে কেউ মিররডডলের মন্তব্যটি পড়লে বুঝবে এখানে কৌতুক করা হয়েছে। তাছাড়া আপনাকে তো প্রায়ই দেখি নানা রকম রম্য করার চেষ্টা করেন। সেই হিসাবে আমি আমার এই পোষ্টে আপনার নামটি যুক্ত করে মজার করার চেষ্টা করেছি মাত্র। আপনার সাথে যদিও এক সময় এই বিষয়ে নিয়ে আমার কিছুটা বিতর্ক হয়েছিলো, কিন্তু আপনার ব্লগিং স্টাইল আপনার নিজস্ব হিসাব বিবেচনা করে আমি সেই আলাপ থেকে বের হয়ে এসেছি।

সবচেয়ে বড় কথা, আপনাকে তো দেখি সারাদিনই প্রায় নানা রকম রম্য করার চেষ্টা করেন। সেই হিসাবে আমি ভেবেছি, আপনি বুঝি বিষয়টাকে ফান হিসাবেই নিবেন। :( এখন আপনি হেদায়েত, ধর্ম ইত্যাদি টেনে আনায় বুঝলাম - আপনি সিরিয়াস হয়ে গেছেন। বিষয়টা তো তাহলে বিব্রতকর হয়ে দাঁড়ালো!

১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৮

মিরোরডডল বলেছেন:




ইউ আর রাইট জাদিদ ।
আমার ফান কমেন্টে জটিল ওভাররিয়েক্ট করেছে ।
So I’m done with him.

আচ্ছা জাদিদতো ফান লাভিং ।
When your time permits, you can read my last post.
একটা রম্য লেখার ট্রাই করেছিলাম ।



৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২৫

জাদিদ বলেছেন: আমি কিছুটা বিব্রতবোধ করছি। কৌতুক কোন কারনে মিস ফায়ার করলে সেটা বিব্রতকরই হয়!

১২| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪৩

মিরোরডডল বলেছেন:




জটিল ফান করে কতো কিছুই ভালো ।
আই নেভার কাউন্ট ।
এটাই আমাদের সমস্যা, নিজে করলে ঠিক আছে, সেই একই আচরণ অন্য কেউ করলে নিতে পারিনা ।

জাদিদের বিব্রত হবার কিছু নেই, আমিই লজ্জিত জাদিদের পোষ্টে এসে মারামারি শুরু করলাম :)
থ্যাংকস জাদিদ ।



৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪০

জাদিদ বলেছেন: না, ঠিক আছে। সমস্যা নেই। তবে আমার মনে হয় জটিল ভাই প্র্যাঙ্ক করছেন।

১৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০৫

জ্যাকেল বলেছেন: জটিল ভাই ফান এ আর নিজেকে রাখতে পারেন নাই কারন হইতেছে উনার পোস্টের শুরুতে গ্রিটিংস করতে করতে শেষে এসে দেখেন ভজগট পাকিয়ে ফেলেছেন।
যাক, ব্যাপারটা হাল্কার উপরে ঝাপসার মধ্যেই শেষ হইয়া যাক, এটাই চাওয়া।

@পোস্ট প্রসংগে

কমেন্ট পড়তে পড়তে খেই হারিয়ে ফেলেছি। তবে একটা ব্যাপার ভাল করেই মনে আছে, সালাম অমুসলিমকে দেওয়া যাবে না এই বিষয়ে। যেই ইসলাম শান্তির কথা বলে, দিনে ৫ বার কল্যাণের দিকে সুমধুর সুরে ডাকে, সেই ইসলাম কেন অন্য মানুষের জন্য শান্তি কামনা করতে পারে না? এই সহজ জিনিসটা আমার মাথায় ঢুকে না।
মোল্লাদের শরিয়া আইন, ফিকাহ মিকাহ এইগুলা জাস্ট মধ্যযুগের শাসনতন্ত্রের সংগ্রহ। আর শাসন করেছিলেন রাজা/সুলতান টাইপের লোকগণ। তাহাদের অপছন্দের লোককে সরিয়ে দিতে/শাস্তি দিতে উনারা মোল্লাদের দ্বারস্ত হইতেন। আর মোল্লা উনার কলম দিয়ে জায়েজ করে দিতেন উনাদের উদ্দেশ্য। ফলাফল? শরিয়াহে কল্লা কাটা, পাথর মারা, দোররা মারা!
আর কথা বাড়াইতেছি না। মোদ্দা কথা, শরিয়া আইন মধ্যযুগের আইন, ইসলামের আইন কানুন শুধুমাত্র কোরআনে সীমিত এবং ঐখানে শাস্তি হিসাবে খুব কম আইন আছে। উসুলে ফিকাহ অনুসরণ করিয়া তাই আমরা যদি সালাম প্রদান বন্ধ করি তাইলে উহা হিতে বিপরীত হইবে।

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৩

জাদিদ বলেছেন: আপনার কমেন্টে প্লাস! আমার মনে হয়, ইসলাম যেখানে সহজ করছে জীবন ব্যবস্থা, সেখানে আমরা আছি কঠিন বানানোর তালে। অবশ্য আমরা এই সব বিষয় কম জানি। ব্লগের সুনির্দিষ্ট দুই চারজন ছাড়া এই বিষয়ে সবাই ভুল জানে এবং তাদের সবারই হেদায়েতের অভাব আছে।

১৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আচ্ছালামুয়ালাইকুম ।
সালাম নিয়ে মুল্যবান আলোচনা ও কিছু দিক
নির্দেশনামুলক বেশ উপকারী একটি পোষ্ট ।
বিভিন্ন দৃষ্টিকোন হতে জান্নাতীর বিষয়টি খুবই জটিল
একটি আলোচনার বিষয় ।



৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৪

জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আলী ভাই! আপনিই প্রথম জান্নাতি পুরুষ নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করলেন! হাহা

১৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৪৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে সালাম পাওয়া এখন পদবীধারীদের স্ট্যাটাসে পরিনত হয়েছে; সালাম না দিলে তারা মাইন্ড করে।

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৩২

জাদিদ বলেছেন: জী। সেটাই দেখা যাচ্ছে।

১৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৫৪

কামাল৮০ বলেছেন: হে মুমিনগণ, ইয়াহূদী ও নাসারাদেরকে তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। আর তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে নিশ্চয় তাদেরই একজন। নিশ্চয় আল্লাহ যালিম কওমকে হিদায়াত দেন না।
কুরআন ৫ঃ৫১

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:২৯

জাদিদ বলেছেন: হা হা হা। কপি পেষ্ট জ্ঞান আর কত ঝাড়বেন মশাই? ইসলাম বিদ্বেষী হয়েছেন ভালো কথা, কিন্তু এত স্থুলভাবে হলে তো বিপদ! আপনার প্রজ্ঞার এই উলঙ্গ দশা দেখে হাসি পাচ্ছে জনাব।

আপনাকে ব্যাখ্যা করা মানে সময়ের অপচয় করা। যদি কখনও পড়াশোনা করতে ইচ্ছে করে, তাহলে এই সুরাটির নাজিলের প্রেক্ষাপট, সময় ইত্যাদির ব্যাখ্যা পড়লে বা একটু রিসার্চ করলেই আপনি বিভিন্ন আয়াতের মুল প্রেক্ষাপট জানতে পারবেন। তারপর না হয় ইচ্ছেমত ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ালেন।

সুস্থ হয়ে উঠুন কামাল সাব!

১৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:০৪

কামাল৮০ বলেছেন: ৫৫৫৪-(১৩/২১৬৭) কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইয়াহুদী ও নাসারাদের আগে বাড়িয়ে সালাম করো না এবং তাদের কাউকে রাস্তায় দেখলে তাকে রাস্তার পাশে চলতে বাধ্য করো। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৪৭৬, ইসলামিক সেন্টার ৫৪৯৮)

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৩২

জাদিদ বলেছেন: কামাল ভাই, এই সব ছাগলামী বন্ধ করেন। একটু পড়াশোনা করেন। উন্নত বিশ্বে থাকার পরও যদি ছাগল তকমা পান তাহলে সেটা কি আনন্দ দায়ক কিছু হবে? কপি পেষ্ট জ্ঞান দিয়ে ধর্ম বিষয়ে বিতর্ক করতে এসেছেন। আমরা না হয় আপনার সহ ব্লগার,আপনাকে সম্মান করি। কিন্তু বাইরে এই সব বললে, মানুষ খুবই আপত্তিকর কথাবার্তা বলবে।

অশিক্ষিত কাঠমোল্লা যাদেরকে আপনি গালি দেন তারা আর আপনার মাঝে তো আপনিই কোন ফারাক রাখলেন না। থুতু মেরেছেন উপরের দিকে।

১৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৩৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমি সালাম পেয়ে এবং দিয়ে অভ্যস্ত।
অনেক বছর আগের কথা। তখন আমি তরুন (এখনো তরুনই আছি ;) ), বাড্ডা পিছনে বেরাইদের আগে সাঁতারকুল নামে একটি গ্রামে আমাদের কিছু জমি ছিলো। আমার বাবা কিছু জমি ছেড়ে দিয়েছিলেন মসজিদের জন্য। তারপরেও মসজিদের মিম্বরটি আমাদের জমির ভিতরেই করেছিলো এলাকার লোকজন। আমি যখনই সেই এলাকায় যেতাম তখন জমিতে গেলেই মসজিদের ইমাম সাহেব আমাকে সালাম দিতেন। আমি কোনদিন চেষ্টা করেও আগে সালাম দিতে পারি নাই। আমার খুব লজ্জা লাগতো। একদিন সেখানে যাওয়অর সময় আমার বন্ধুকে বিষয়টি বললাম। আজকে আগে সালাম দিবোই। কিন্তু না, সেদিনও তিনিই আগে আমাকে দেখেছেন, তিনিই আগে সালাম দিয়েছেন।

একটা সময় যখন দাড়ি ছিলো না তখন অপরিচিতো কাউকে সালাম দিলে কেউ কেউ অবাক হয়ে তাকাতো। কিন্তু দাড়ি রাখার পরে দেখেছি অপরিচিত অনেকেই সালাম দিচ্ছেন (বয়সে ছোট এবং বড় রাও) এবং আমি অপরিচিতো কাউকে সালাম দিলেও তারা অবাক চোখে তাকাচ্ছেন না। এই থেকে বুঝা যায়- আমরা দাঁড়ি এবং সালামকে ইসলামের এবাদত হিসেবে নিয়েছি। যদিও দাঁড়ি আর সালামের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই।

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪১

জাদিদ বলেছেন: হা হা। আপনি তো চিরতরুনই! আপনার এই তারুন্য আরো বৃদ্ধি পাক। জান্নাতি পুরুষে পরিনত হোন ;) এই প্রার্থনা করি।

১৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৩৮

রেজাউল৮৮ বলেছেন:

সূত্র: অনলাইন অভিধান https://sobdartho.com/
সংসদ বাঙ্গালা অভিধান
ইউনিক বাংলা অভিধান

আদর্শ বিবাহিত ব্যক্তির সাথে কি মুসাবিদা কর্লেন বুজ্লাম না।

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫০

জাদিদ বলেছেন: আমার জানা মতে মুসাবিদার একটি অর্থ হচ্ছে আদব বা সম্মান দেখানোর অর্থের ব্যবহৃত হয়।

এখন যদি সেটা না হয়, তাহলে আমার লেখা সংশোধন করতে হবে।

২০| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৩৯

রেজাউল৮৮ বলেছেন:
আপনার সময় কয়েক সপ্তা যাবৎ ভাল যাইতেসে না। ভাল জোতিষ দেখায়ে ভাল আংটি-পাথর নিন।

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫১

জাদিদ বলেছেন: আপনি যাকে দেখিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছেন, তার সন্ধান দিন। দেখি কিছু করে খেতে পারি কি না।

২১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩২

কামাল৮০ বলেছেন: আমি ধর্মের আসল রূপটা দেখাতে চেষ্টা করি!আপনারা যারা মডারেটর মুসলিম তাদের কথা আলাদা।কিন্তু আসল ইসলাম আর মডারেটদের মাঝে একটা ফারাক আছে।

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪০

জাদিদ বলেছেন: আসল ইসলাম আর মডারেট ইসলাম বলে কিছু নাই। ইসলাম একটাই। মানুষ সুবিধা অনুসারে একে ভাগ করেছে। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব কারন তার বিবেক আছে এবং বুদ্ধিমত্তা আছে। আর সেটা দিয়েই সে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য করতে পারে।

২২| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫২

সাসুম বলেছেন: ধর্ম সম্পর্কে জানাশোনা কম থাকার কারনে আলোচনায় অংশ নিতে পারলাম না, তবে আমি মাঝে মাঝে সালাম দেই, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সকাল বা সন্ধ্যা হলে গুড মর্নিং বা গুড নাইট বলি। নির্ভর করে পরিস্থিতি আর অপর পাশে কে আছে তার উপর।

তবে এখন একটা কথা সত্য, আপনার সাথে কথা হলে বা দেখা হলে এখন থেকে লম্বা করে আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ বলব ।


আরো একজন জান্নাতী পুরুষের সাথে আমার প্রতিদিন দেখা হয়, যখন রাতে দাত ব্রাশ করে ঘুমানোর আগে শেষ বারের মত আয়নার সামনে দাড়াই।

জাজাকাল্লাহ খায়রান

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:০৬

জাদিদ বলেছেন: হা হা হা! ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান আপনার যা আছে, আমার তো তার ছিটে ফোটাও নাই।
সালাম দিয়েন, সালামের মধ্যে তো আর খারাপ কিছু নাই। আপনি শান্তি পান আর আমার থেকে নিরাপদ থাকুন এর চেয়ে বেশি প্রার্থনা আর কি করতে পারি।

আহা! ভাবী কি জানে এই জান্নাতি ভাইটির কথা??

২৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫৬

আখেনাটেন বলেছেন: ইস.....কবে যে জান্নাতি পুরুষের তকমাটা লাগাতে পারব? এখন তো শুধু ছালাম দেই...তখন মনে হয়...


এদিকে যে কমেন্টে দেখছি পাথর ছোঁড়াছুড়ি শুরু হয়েছে...ফান মনে হচ্ছে দু-নলা গান হয়ে...?

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:০৮

জাদিদ বলেছেন: ব্যাপার না। লাইনের মধ্যে দুই চারজন হাউকাউ করতেই পারে। আপনি এখনও জান্নাতের দর্শন পাইন নাই? নেফারতিতি ছাড়া আখেনাটেন হইয়া কি লাভ?? :P :P B-)

২৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:২০

আরইউ বলেছেন:



আপনি এই পোস্ট দিলেন আর আজকেই এই খবর প্রথম আলোতে!!

সালাম দিয়ে পথ আটকে ছিনতাই, নাম ‘সালাম পার্টি’

জলদস্যু যেহেতু নিয়মিত “সালাম পান“ তাই ওনার এই পার্টি থেকে সাবধানে থাকা উচিত। অবশ্য উনিই এই পার্টির ওয়াল্টার হোয়াইট * কিনা কে জানে!!

* “You clearly don’t know who you’re talking to, so let me clue you in. I am not in danger, Skyler. I am the danger. A guy opens his door and gets shot, and you think that of me? No! I am the one who knocks!” — Walter White, Breaking Bad

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:১৪

জাদিদ বলেছেন: কি সর্বনাসের কথা! পরে তো দেখি কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ বের হবে!

২৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:৪৭

অপু তানভীর বলেছেন: সামাল দেওয়ার এই রীতি আসলেই এখন পরিবর্তিত হয়েছে । আমি বড় আমার সামাজিক স্টাটাস তোমার থেকে বড় সুতরাং তোমাকে তো আমি সালাম দেব না ! তুমিই আমাকে আগে সালাম দেবে ! কিন্তু আমার আবার এমন মানুষের সাথেও পরিচয় হয়েছে যারা বয়সে এবং স্টাটাসে আমার থেকে বড় হয়েও আগে সালাম দিয়েছে !

আমার অবশ্য এই অভ্যাস নেই । মানুষকে সালাম দেওয়াটা আমার কোন কালেই হয়ে ওঠে না । এটা মূলত মানুষের সাথে কম মিশি এই কারণে । আমার এই বদনাম খুব আছে !

আর মাসুম যে জান্নাতী পুরুষ সেই ব্যাপারে আমার কোন সন্দেহ নেই । একেবারে ডাইরেক্ট জান্নাতী ! :D

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:১৬

জাদিদ বলেছেন: জী উনার নাম মাসুম না সাসুম। উনি জান্নাতি কিনা আমি জানি না, তবে উনি যে হুরদের সাথে উঠাবসা করেন, সেটা নিশ্চিত। কিভাবে জান্নাতে না গিয়েও সেটার ফল খাওয়া যায়, এই ব্যাপারে স্টার্টআপ এক্সপার্ট।

২৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:৩২

অপু তানভীর বলেছেন: আরইউ বলেছেন:
আপনি এই পোস্ট দিলেন আর আজকেই এই খবর প্রথম আলোতে!!
সালাম দিয়ে পথ আটকে ছিনতাই, নাম ‘সালাম পার্টি’


যাক ছিনতাই করলেও আগে সালাম দিচ্ছে । এটা তো খুবই চমৎকার একটা ব্যাপার ! দেখবেন এই ছিনতাইকে জায়েজ করতে কে আবার কোন ফতেয়া দিয়ে বসে ! =p~ =p~

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৬

জাদিদ বলেছেন: হতে পারে। দেখা যাক কি হয়!

২৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩১

কামাল৮০ বলেছেন: অন্য ধর্মের লোকদের যারা সালাম দেয় তাঁরাই মডারেট মুসলিম।কোরান হাদিসের কোথাও লেখা নাই মুসলমান ছাড়া অন্য ধর্মের লোকদের সালাম দেয়া যাবে।
ইসলাম চলে কোরান হাদিস অনুসারে। বিবেক দিয়ে ইসলাম চলে না।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৭

জাদিদ বলেছেন: আপনি ভুল তথ্য বা ভুল ব্যাখ্যা বা ভুল জানেন। এই ভুল গুলো তখনই হয়, যখন কেউ ব্যক্তিগতভাবে খোঁজ খবর না নিয়ে শুধুমাত্র কপি পেষ্ট বিভিন্ন আর্টিকেলের উপর নির্ভর করে। এই ঘটনাগুলো সৃষ্টি হয়েছে কিছু নির্দিষ্ট সময়ের প্রেক্ষাপটে হাদীস থেকে। বিভিন্ন হাদীসের সময় কাল উল্লেখ্য থাকলে বা যারা সময় সম্পর্কে জানেন, তাদের বিভ্রান্তি ছড়ান না।

প্রথমে আসুন কোরানের একটি আয়াত সম্পর্কে। সুরা মায়েদায় বলা হয়েছে - হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদি ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না। তারা তো একে অপরের বন্ধু। তোমাদের কেউ তাদেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা‘আলা যালিমদেরকে সুপথ দেখান না’’।

আপনি এই কখনই কোরান শরীফ খুলে এই আয়াতের আশেপাশের আয়াতগুলো পড়েছেন? এই সুরাটির নাজিলের প্রেক্ষাপট কি জানার চেষ্টা করেছেন? এই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার কারণ হিসাবে বলা হয় যে, উবাদা বিন স্বামেত আনসারী (রাঃ) এবং মুনাফিকদের সর্দার আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই দু’জনেই জাহেলিয়াতের যুগ থেকে ইহুদীদের সাথে মৈত্রীচুক্তিতে আবদ্ধ ছিল। বদরের যুদ্ধে যখন মুসলিমগণ বিজয়ী হলেন, তখন আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই নিজেকে মুসলিম বলে প্রকাশ করল। এদিকে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই বানু কাইনুকার ইয়াহুদীরা ফিতনার আগুন জ্বালিয়ে দিল এবং তা নির্বাপিত করা হল।

এর ফলে উবাদা (রাঃ) ইয়াহুদীদের সাথে মৈত্রী-সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করে দিলেন। কিন্তু আব্দুল্লাহ বিন উবাই বিপরীত পথ অবলম্বন করে ইয়াহুদীদেরকে বাঁচানোর জন্য সমস্ত রকম প্রচেষ্টা শুরু করে দিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়।

এই আয়াতটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে আল্লাহর আদেশ হিসাবে নাজিল হয়েছে। কিন্তু অমুসলিমদের প্রতি ন্যায় ও ইনসাফ প্রদর্শন করা ইসলামের নির্দেশ। এই কারনেই আল্লাহ কোরানে বলেছেন, “আর তোমরা উত্তম পন্থা ছাড়া আহলে কিতাবদের সাথে বিতর্ক করো না। তবে তাদের মধ্যে ওরা ছাড়া, যারা যুলম করেছে। আর তোমরা বল, ‘আমরা ঈমান এনেছি আমাদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে এবং তোমাদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তার প্রতি এবং আমাদের ইলাহ ও তোমাদের ইলাহ তো একই। আর আমরা তাঁরই সমীপে আত্মসমর্পণকারী’ ”।

পরবর্তীতে সুরা মুমতাহিনাতে আল্লাহপাক বলেন, দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে তোমাদের বাড়ি-ঘর থেকে বের করে দেয়নি, তাদের প্রতি সদয় ব্যবহার করতে এবং তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করছেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়পরায়ণদেরকে ভালবাসেন। আল্লাহ কেবল তাদের সাথেই বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছেন, যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে এবং তোমাদেরকে তোমাদের ঘর-বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছে ও তোমাদেরকে বের করে দেয়ার ব্যাপারে সহায়তা করেছে। আর যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে, তারাই তো যালিম।”


এর পরের হাদীসে আসুন। রাসুল সাঃ বলেছেন, তোমরা ইহুদি-খ্রিষ্টানদেরকে আগে সালাম দিবে না এবং রাস্তায় চলার পথে যখন তাদের কারো সাথে তোমাদের সাক্ষাৎ হয়, তখন তাদেরকে রাস্তার সংকীর্ণ পাশ দিয়ে যেতে বাধ্য করবে। এবং কোরানের আরো একটি আয়াত নিয়ে এই বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা হয়।

এই হাদীসের প্রেক্ষাপট হচ্ছে - ইসলামের আগমনের পরে মুশরিকরা মুসলিম হয়ে যায়। তবে মূলগত ইহুদিরা মুসলিম হয় নি। যেসব আরব ইহুদি ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে গিয়েছিল, তারা মুসলিম হয়ে যায়। সেই মুসলিমদের অন্তরে প্রথম থেকেই ইহুদিদের প্রতি বিশেষ একটা মর্যাদার জায়গা দখল করে নিয়েছিল। তারা এখনও ইহুদিদেরকে নিজেদের থেকে উত্তম মনে করত। এই তুচ্ছ ও হীনমন্যতা অনুভূতি শেষ করার জন্য রাসুল সাঃ দু’টি হুকুম দিয়েছিল। ইহুদি বা খ্রিষ্টানদের ব্যাপারে উম্মতের কোন কুসংস্কার কিংবা বাড়াবাড়ি শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিত নয়।
( আমি এই তথ্যটি হাদিস সংক্রান্ত একটি গ্রহনযোগ্য মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করেছি।)

সুতরাং এটা একটি সময় সাপেক্ষ হুকুম ছিল। যা তাদের সিয়াসাত বা রাজনীতির কল্যাণে দিয়ে ছিলেন। এখন আহলে কিতাবদেরকে প্রথমে সালাম করা যাবে এবং তাদের সালামের জওয়াবও দেওয়া যেতে পারে। যেমন, যেমন ধরুন, সুরা নিসায় বলা হয়েছে, ‘যখন তোমাদেরকে অভিবাদন করা হয়, তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম অভিবাদন করবে অথবা ওরই অনুরূপ উত্তর দেবে। (সূরা নিসা-৪:৮৬)

অনুগ্রহ করে গড় পড়তার ধারনা নিয়ে না থেকে পড়াশোনা করার নিমিত্ততে পড়ুন। ব্যাখ্যা গুলো বুঝুন, সময়কাল বিবেচনা করুন।
বাড়তি আর কিছু বলতে চাইছি না।

২৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: জাদিদ ভাই , আপনি সঠিক বলেছেন। সালাম দেয়া-নেয়ার ব্যাপারটা এখন আসলেই অনেকটা ধরা-বাঁধার মধ্যেই চলে এসেছে। এখন অপরিচিত কেউ কাউকে সালাম দেয়না বললেই চলে। এর পিছনে অবশ্য অনেকগুলি কারনও বিদ্যমান।

সালাম দেয়া-নেয়ার ব্যাপারটা যদিও মুসলিমদের সার্বজনীন হওয়ার কথা তবে তা এখন ব্যক্তি স্বার্থ-সামাজিক অবস্থান কিংবা লাভা-লাভের সাথে সাথেই জড়িত হয়ে গেছে। এখন আর কেউ কাউকে সালাম দেয়না যদিনা নিজের কোন আগ্রহের বিষয় থাকে।

আর, ব্যক্তিগতভাবে আমিও মনে করি , মুসলিম-অমুসলিম সবাইকে সালাম দেয়া উচিত এবং অমুসলিমকে সালাম দেয়া দোষের কিছু নয় । কারন, সালাম মানে হলো এক জনের মংগল কামনা করা। আর মানুষ হিসাবে একে অন্যের মংগল কামনা একের প্রতি অন্যের হকও বটে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৭

জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৫

জ্যাকেল বলেছেন: @মিঃ কামাল০ আশা করি ঐ আয়াত ব্যবহার করিয়া সাধারণ মানুষদিগকে ধোঁকা দিবার চেস্টা করবেন না। এটা কি আশা করা যায় না?

আর অনুরোধ করবো ভবিষ্যতে এইভাবে টুকলি রেফারেন্স দেবার আগে সামান্য পড়াশোনা করার জন্য।

৩০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৪

কামাল৮০ বলেছেন: @জ্যাকেল,আপনার লেখা পড়ার দৌড় আমার জানা আছে।আপনি বলছেন হাদিস পরে লেখা হয়েছে।হাদিস পরে লেখা হয় নাই সংকলিত হয়েছে।কোরানও নবীর মৃত্যুর পর ওসমান সংকলন করেন।তাই বলে কি কোরান বাদ।
কোরানের প্রতিটা আয়াত যদি অন্য আয়াত দ্বারা বাতিল না হয়ে থাকে তবে আখেরাত পর্যন্ত কার্যকর।আগে পরের আয়াত দ্বারা সেই আয়াতে অর্থ পাল্টায় না।এটা কিছু কিছু মুসলমানের নতুন কৌশল,কোরানের আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করার জন্য।

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৪২

জাদিদ বলেছেন: যদিও জবাবটি আমার জন্য নয়, তাও বলছি। আপনি আবারও ভুল করলেন কামাল ভাই। কোরান শরীফের প্রতিটি আয়াত অবশ্যই কার্যকর কিন্তু প্রতিটি আয়াত ও সুরা নাজিলের একটি নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপট আছে। যারা ইসলামিক ইতিহাস ও হাদিস সংকলন নিয়ে পড়াশোনা করেন, তাঁরা এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন।

আর ধর্ম আপনার পছন্দ বা অবিশ্বাস করতেই পারেন, এতে সমস্যার কিছু নেই। তবে যদি আপনি ঈশ্বরকে সন্ধান করেন, সেটা বেশ কঠিন একটি কাজ আর তার জন্য পড়াশোনা করতেই হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.