নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একবার এক সৌদি ভদ্রলোক আমার বাসায় বেড়াতে আসলেন। আব্বাকে সালাম দেয়ার পর তাঁর কপালে চুমো দিতে চাইলেন। আরবের সংস্কৃতি অনুসারে বয়স্কদের এইভাবেই নাকি শ্রদ্ধা দেখানো হয়। কিন্তু আব্বা তো আর এই সংস্কৃতি সম্পর্কে জানেন না। ফলে দেখা গেলো ঐ সৌদি ভদ্রলোক আব্বার কপালে চুমো খাবার জন্য তার মাথা ধরে যতই কাছে আনার চেষ্টা করছেন, আব্বা ততই মাথাকে পিছনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আমার দম ফেটে হাসি আসছিলো। শেষমেষ তিনি কিছুটা বিব্রত হয়েই সম্ভবত আমাকে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় জিজ্ঞেস করে বসলেন, ইরে! হ্যাতে এইক্কা অ্যাঁর মাথা দরি টানেরই কিল্লাই? মাতাত কিয়া?
অর্থ, এ্যাই! উনি এমনভাবে আমার মাথা ধরে টানছেন কেন? মাথায় কি হইছে?
যাইহোক পরবর্তীতে বুঝিয়ে বলার পর সবাই মানে আমার আম্মাও খুশি মনে রাজি হলেন।
এই গল্পটা এই কারনে বললাম, পৃথিবীর প্রতিটি অঞ্চলের কিছু নিজস্ব সংস্কৃতি ও সামাজিক মুল্যবোধ আছে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনধারা ও আচরনে উক্ত সংস্কৃতি ও মুল্যবোধের প্রভাব থাকে। বাংলাদেশেরও একটি নিজস্ব সমাজ ব্যবস্থা, সংস্কৃতি ও মুল্যবোধ আছে। এই অঞ্চলের মানুষজন তুলনামুলক রক্ষনশীল সমাজ ব্যবস্থায় বড় হয়েছে। সম্প্রতি লক্ষ্য করেছি রক্ষনশীল মানসিকতার মানুষদেরকে নারী বিদ্বেষী হিসাবে পরিচয় করানোর একটি চেষ্টা হচ্ছে। রক্ষনশীল হলেই কেউ নারী বিদ্বেষী হবে – যদি বিষয়টিকে কেউ এইভাবে সরল সমীকরনে দাঁড় করায় তাহলে তা এক ধরনের উগ্রবাদ ছাড়া অন্য কিছু নয়। যে কোন উগ্রবাদ সমর্থনযোগ্য নয়।
আমাদের সমাজের ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের পোষাকে কিছুটা রক্ষনশীলতার ছাপ আছে। পুরুষরা লুঙ্গি, পায়জামা, প্যান্ট, শার্ট, পাঞ্জাবি বা গেঞ্জি পড়েন আর নারীরা শাড়ী, সেলোয়ার কামিজ বা অন্য যাই কিছু পড়ুক না কেন, সেখানে সুপ্তভাবে হলেও তুলনামুলক রক্ষনশীলতার একটি ব্যাপার থাকে। এই দেশের পোষাক সংস্কৃতিতে শরীরের কিছু অংশ ঢেকে রাখার ব্যাপারে একটু সর্তকতা অবলম্বন করা হয়। যেমন তৃনমুল পর্যায়ে ছেলেরা হাফপ্যান্ট পড়ে না, মেয়েরা ওড়না ছাড়া সালোয়ার কামিজ পড়ে না, শাড়ি পড়লে অনেকেই মাথায় ঘোমটা দেন। এই সকল পোষাক বা পোষাকের রক্ষনশীল মনস্তাত্ত্বিকআচরন সবই গ্রহনযোগ্য এবং আমাদের সমাজেরই অংশ। ফলে পোষাকের ক্ষেত্রে রক্ষনশীলতা পছন্দ করলেই কেউ নারী বিদ্বেষী হবেন – এটা গ্রহনযোগ্য কোন যুক্তি হতে পারে না।
পোষাক অশালীন বা শালীন হয় কি না আমার জানা নেই। শালীন অশালীনের সংঙ্গা ব্যক্তিগত রুচি, শিক্ষা ও মানসিকতার উপর নির্ভর করে। কেউ যদি মনে করেন, বিপরীত লিঙ্গের মাঝে উদ্দীপনা সৃষ্টির জন্য পোষাক পড়বেন বা আচরন করবেন সেটা তার নিজস্ব স্বাধীনতা। কিন্তু কারো ব্যক্তিগত ইচ্ছা বা রুচিকে সার্বিকভাবে নারী বা পুরুষের স্বাধীনতা হিসাবে দেখার সুযোগ নেই। পাশাপাশি, কোন কিছু পছন্দ হলে তার প্রশংসা করা যেমন আমাদের অধিকার তেমনি কোন কিছু অপছন্দ বা ভালো না লাগলে তার সমালোচনাও করাও একটি স্বাভাবিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। এটাকে বিদ্বেষ হিসাবে দেখা যায় কি না, আমার তা জানা নেই। মানুষের স্বাভাবিক রক্ষনশীল মনোভাবকে যদি ধর্মীয় উগ্রবাদীদের মতবাদের সাথে মিশিয়ে ফেলা হয় তাহলে দিন শেষে সবাইকেই আপনি উগ্রবাদী বানিয়ে ফেললেন। সবাইকে গণহারে বিভিন্ন অপবাদে যুক্ত করে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছেন।
সময় থাকতে এই ধরনের নির্বোধ আচরন থেকে সরে আসতে হবে। নইলে সামনে কঠিন বিপদ!
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫৪
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভুয়া মফিজ ভাই। সব কিছুকে সরল সমীকরনে নিয়ে আসা ভীষন বিপদজনক একটি ব্যাপার। ব্লগে রিভার্স বলে একটা ব্যাপার আছে। ফলে এক সময় যারা প্রকৃত ছাগু বা রাজাকার টাইপ মানসিকতার ছিলেন, তারা রিভার্স মুডে গিয়ে এমন ট্যাগবাজি করতেন। রাজাকার নামক প্রচণ্ড ঘৃন্য একটি শব্দের বিরুদ্ধে এটা ছিলো একটি অব্যর্থ স্ট্র্যাট্রেজি। দেখেন এই স্ট্র্যাট্রেজির কল্যানে আজকে রাজাকার শব্দটি ব্যক্তিগতভাবে যতই ঘৃণ্য হোক না কেন, শব্দটি এখন রাজনৈতিক হাতিয়ার ও হালকা শব্দে পরিনত হয়েছে। ফলে একটা সময় আমার মনে হতো, যারা আসলে সবাইকে ট্যাগিং করেন তারা নিজেরাই উক্ত দলভুক্ত।
যাইহোক, আমি কাউকে কিছু শেখাতে চাই না, কারন শেখানোর মত যোগ্যতা আমার নেই। ব্লগ এবং সামাজিক সুস্থতার চাইতে প্রয়োজন নিজের মানসিক সুস্থতা। সবার সেটা হোক, এটাই আমার প্রার্থনা।
২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:২৪
স্বাধীন বাংলা ৭১ বলেছেন: সবার চিন্তাধারা এক হবেনা। এটা স্বাভাবিক। প্রত্যেকে প্রত্যেকের মতামত ব্যক্ত করার ক্ষেত্রে স্বাধিন।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫৪
জাদিদ বলেছেন: হ্যাঁ, এটা দ্বিমত করার কোন উপায় নেই। ফলে আপনি আপনার সাথে একমত না হলেই আপনি নিশ্চয়ই খারাপ হয়ে যাবেন না।
৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:২৫
স্বাধীন বাংলা ৭১ বলেছেন: রক্ষণশীল মনোভাব হলেই কি তা নারী বিদ্বেষী আচরন হবে?
- রক্ষণশীল আর পর্দা না করার অপরাধে ইরানে নারীদের যারা মেরে ফেলছে তারা এক নয়।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫৬
জাদিদ বলেছেন: অবশ্যই এক নয়। ইরান একটি অপরাধ করেছে। ধর্মের নামে অধর্ম করেছে। তবে ইরানের এক আচরনে আমাদের ধার্মিকদের একটা অংশের ভন্ডরুপ বের হয়ে গেছে। যারা ইরানকে শিয়া বলে কিছু মানতে চায় না, তারাই আজকে আবার ইরানকে সমর্থন করছে।
মানুষের এই সকল ভন্ডামিকে আমি ঘৃণা করি।
৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৩৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: "সময় থাকতে এই ধরনের নির্বোধ আচরন থেকে সরে আসতে হবে, নইলে সামনে কঠিন বিপদ" - জাদিদ ভাই, আপনি চরম একটা সত্যি কথা বলেছেন।
বর্তমানে আমরা ব্যক্তি স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে এবং ধর্মীয় বিরুদ্ধাচারন তথা নিজেদেরকে আধুনিক ও মুক্তমনা প্রমান করতে গিয়ে হাজার বছরের নিজস্ব সংস্কৃতি,সামজিক রীতি-নীতি-মূল্যবোধকে জলাঞ্জলি দিয়ে সব কিছুতে যেভাবে এগিয়ে চলছি তাতে আসলেই সামনে কঠিন বিপদ অপেক্ষা করছে।
শুধু শারীরিক-পোষাকের (ধর্মীয় প্রতীক / টুপি-দাড়ি-পাঞ্জাবি কিংবা হিজাব-বোরখা) সাজসজ্জা তথা পোষাকের মিলের কারনে যেভাবে বিশেষ কারো সাথে জড়িয়ে ব্যক্তিগত-সামাজিকভাবে বিশেষ কারো সাথে ট্যাগ করে দেয়া হয় তা খুবই দুঃখজনক।এখন যেন, সামজের এটাই অলিখিত সংস্কৃতি হয়ে যাচছে যে যত ধর্মীয় বিরুদ্ধাচারন করবে সে ততই আধুনিক ও মুক্তমনা ।
এর ফলে আমাদের অজান্তে পরিবার-সমাজে যে অকল্পনীয়-অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাচছে সে ব্যাপারে আমরা কেউ ভেবেও দেখছিনা। ভেবেও দেখতে রাজী নই যে " সকল রক্ষণশীলতাই ধর্মীয় গোড়ামী নয় "।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:০০
জাদিদ বলেছেন: পরিবর্তন আসবে। হাজার বছরের সংস্কৃতি শব্দটা আসলে সঠিক নয়। পরিবর্তন আসবে যুগের সাথে তাল মিশিয়ে, প্রয়োজনে। আপনি সেই পরিবর্তন গ্রহন করতে পারেন, না চাইলে করবেন না। এটাই স্বাধীনতা। রক্ষনশীলতা মানে ধর্মীয় গোঁড়ামি নয় বা জোর করে কোন কিছু চাপিয়ে দেয়া নয়। ধর্ম না পালন করেই আপনি রক্ষনশীল হতে পারেন। রক্ষনশীল মনোভাবের সাথে ধর্মীয় সম্পর্ক আনা ভুল।
৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:০৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: রক্ষনশীলতা আর নারি বিদ্বেষ এক নয়। সকল ধার্মিক নারী বিদ্ধেষী নয়, আমাদের দেশের ৯৮ % মানুষ ধার্মিক। নারী বিদ্বেষীদের অধিকাংশই ধার্মিক মানসিকতার হয়ে থাকে।এদের ঘৃণা না করে উপায় নেই। নারী বিদ্বেষী ও ধার্মিক/রক্ষণশীলতার মধ্যে ব্যাপক ফারাক রয়েছে। যারা মেয়েদের পোশাকের কারণে অনলাইনে গালি দেয় তাদের ব্যাপারে আপনার বক্তব্যও নিশ্চয় ঘৃণা প্রকাশ সূলভ । আমি দেখেছি। রক্ষণশীলতা আর ধর্মান্ধতা এক নয়।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৪
জাদিদ বলেছেন: আপনার বক্তব্য স্পষ্ট নয়, কি বলতে চেয়েছেন তা বোধগম্য হচ্ছে না। আপনি আপনার লাস্ট পোস্টে একটি মেয়ের ছবি দিয়েছেন। যতটুকু বুঝলাম, ঐ মেয়েকে অনলাইনে বুলিং করা হয়েছে। ঝামেলা হয়েছে সম্ভবত পর্দা নিয়ে কথা বলায় বা এখানে ধর্ম যুক্ত করায়। ফলে এখানে ধর্মান্ধরা ইস্যু এসেছে।
আপনার পোষ্টে যে ছবি দিয়েছেন, সেই ছবির সুত্র অনুসারে মেয়েটি সম্ভবত চাচ্ছেন তাঁকে যৌনাবেদনময়ী লাগুক। সেই কারনে তিনি নিজেকে সেইভাবে উপস্থাপন করেছেন। যৌনাবেদনময়ী অর্থ হচ্ছে যাকে দেখে কামভাব জাগ্রত হয়। অর্থাৎ তিনি চাইছেন তাঁকে দেখে ভিন্ন লিঙ্গের কামভাব জাগ্রত হোক। এটা তাঁর চাওয়া স্বাধীণতা, এটা তিনি চাইতেই পারেন।
একজন নারী যখন নিজেকে এই রুপে সমাজে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থাপন করবেন, তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীদের ভেতর কামভাব জাগ্রত হবে। যারা নিজেদের যোগ্যতায় এই ধরনের বা এই শ্রেনীর কোন নারীর সংস্পর্শে আসতে পারেন বা পারার যোগ্যতা রাখেন তারা তুলনামুলক চুপ থাকেন বা নিজেকে কিছুটা নিয়ন্ত্রন করেন। কিন্তু যে সকল মানুষের যোগ্যতার ঘাটতি আছে বা যারা এই ধরনের নারীর সংস্পর্শে আসতে পারবে না এবং তাদের কামভাব চরিতার্থ করতে পারবে না, তারাই এক ধরনের হীনমন্যতায় ভুগে ক্ষুব্ধ হন এবং নিজেদের ভেতরে একটি পশুত্বের সৃষ্টি হয়। তখন ধর্ম, সমাজ ইত্যাদির বাহানা যুক্ত হয় এবং নানা ধরনের বুলিং করে মানসিক শান্তি পান। এর সাথে ধর্ম, ধার্মিকতা, দেশপ্রেম বা রক্ষনশীলতার কোন সম্পর্ক নেই।
এখন যিনি প্রকাশ্যে চাইবেন আমজনতার কামভাব জাগ্রত করতে - তিনি সেখানে ভালোবাসার আলাপ কিভাবে পাবেন? অথচ আপনি সামগ্রিক ব্যাপারটাকে ব্যাখ্যা করলেন একটি মেয়েকে সাইকেল চালানোর অপরাধে মৌলবাদি মানসিকতার মানুষজন হেয় করেছে। এই ধরনের স্থুল মানসিকতা পরিহারের সময় এসেছে। আমি সর্যি বাট এটাকে একটু সিরিয়াসভাবে দেখেন।
৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:২০
আরইউ বলেছেন:
জাদিদ,
আপনাকে পোস্টে পেয়ে ভালো লাগলো!
পোষাকের শালীনতা নির্ভর করে আপনি কোন সমাজে আছেন, কোন কনটেক্সটে কী পোষাক পড়েছেন, আপনার আশেপাশে কে কী পোষাকে আছেন এসবের উপর। ওয়েস্টার্ন কান্ট্রিতে সি বিচে হালকা পোষাকে যারা সূর্যস্নান করেন বা সাগরে জলকেলী করেন তারাই কিন্তু অফিসে অফিসিয়াল ড্রেস পরেন -- অফিসে বিকিনি-কাচুলি পড়ে আসলে তা অবশ্যই অশালীন হবে।
আপনার শিরোণামের প্রেক্ষিতে বলছি, ইদানিং দু' একটা পোস্ট দেখে মনে হয় রক্ষনশীলতা মানে শুধু নারী বিদ্বেষই নয়, স্বাধীনতা বিরোধীতাও। কী এক জামানা আসলো!
আমি কাউকে ট্যাগ করছিনা বা নির্দিষ্ট করে কাউকে মিন করে বলছিনা, তবে কেউ যদি সব কিছুতে স্বাধীনতা বিরোধীতা রাজাকার মোল্লা এসব খুঁজে পায় তখন আমার মনে হয় এটা এক ধরণের "অতি ভক্তি চোরের লক্ষন"। মাইক নিয়ে তিনবেলা ঘোষণা দিয়ে "আমি দেশপ্রেমিক বলা"র মানে "ডালে" কালো কিছু থাকার সম্ভাবনা প্রকট।
ভালো থাকুন।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৫১
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা রইল। আপনার মন্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ন একমত। আপনার মত করে আমিও বলতে চাই - আমি কাউকে ট্যাগ করছিনা বা নির্দিষ্ট করে কাউকে মিন করে বলছিনা, তবে কেউ যদি সব কিছুতে স্বাধীনতা বিরোধীতা রাজাকার মোল্লা এসব খুঁজে পায় তখন আমার মনে হয় এটা এক ধরণের "অতি ভক্তি চোরের লক্ষন"। মাইক নিয়ে তিনবেলা ঘোষণা দিয়ে "আমি দেশপ্রেমিক বলা"র মানে "ডালে" কালো কিছু থাকার সম্ভাবনা প্রকট।
৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৩
আরোগ্য বলেছেন: এদেশের অধিকাংশ মানুষই ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে রক্ষণশীল পোশাক পড়ে। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ পাশ্চাত্য সংস্কৃতি অনুসরণ করে এবং সেই সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আমার যা মনে হয়, মূলত তাদের এই স্বার্থ সিদ্ধির জন্য নারীবিদ্বেষী আচরণ তথা হেনতেন ট্যাগ এর অপপ্রচার। ঐ যে, কথায় আছে না, একটা মিথ্যাকে সত্য বলে একশবার প্রচার করলে মানুষ তাও একসময় সত্য মনে করে । তদ্রূপই তাদের এই নারীবিদ্বেষী আচরণ মতবাদ একবার সমাজে প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলে আর কেউ রক্ষণশীলতার পক্ষে কথা বলবে না পাছে না সেও নারীবিদ্বেষীদের কাতারে পরে যায়।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৭
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। একজন নারী কি পড়বেন বা না পড়বেন এটা তার শতভাগ তার নিজস্ব বিবেচনা। উপরে ব্লগার আর ইউ খুব চমৎকারভাবে ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করেছেন। আমি ব্লগার গোফরানের কমেন্টের প্রেক্ষিতে কেন এমন কমেন্ট আসে তার ব্যাখ্যা করেছি।
এই দেশে এক শ্রেনীর স্থুল মানসিকতার লোক নারীর পোষাকে নারী স্বাধীনতার কথিত মানদন্ড বানিয়ে একধরনের বিকৃত আনন্দ পায়। স্থান কাল বুঝে যদি আপনি পোষাক নির্বাচন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে আপনার সামগ্রিক শিক্ষার মধ্যে ত্রুটি আছে - এটাই আমার মুল বক্তব্য।
৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
ব্লগে "রিভার্স" বিষয়ে অবগত.... মনে আছে, একটা সিন্ডিকেট যখন ছাগু, রাজাকার নিয়ে খুব বেশী চিতকার-ম্যাতকার করতো তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাদি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছিল সেইসব গলাবাজি করা সিন্ডিকেটের পরিবারের কেউই মুক্তি যুদ্ধের স্বপক্ষে বিন্দুমাত্র ভূমিকা রাখেনি...এবং তাদের মধ্যে একাধিক জন পর্ণ সাইটের মালিক....
এক শ্রেণীর অর্ধশিক্ষিত যারা বিশেষ একটা রাজনৈতিক দলের উচ্ছিষ্ট ভোগী তারা রক্ষণশীলদের যেমন উগ্রবাদী মনে করে তেমনি ধর্মের কথা বললেই তাদেরকে বিএনপি, ছাগু, জামাত শিবির ট্যাগ দেয়।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৮
জাদিদ বলেছেন: খুবই দুঃখজনক। আজকে দেখেন জুলভার্ন ভাই - রাজাকার শব্দটি, কাঠমোল্লা শব্দটি কতটা হাস্যকর পর্যায়ে চলে গেছে! আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদটুকু করার সাহস পাই না - সবকিছুতে এই ত্যানা পেচানোর জন্য।
৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ছোট পোস্ট হলেও বক্তব্য পরিষ্কার।
- রক্ষণশীলতা শুধু নারী বা তার পোশাকে নয়, বরং তা আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ও জীবনযাপনের সকল স্তরেই ছড়ানো। এবং আমার মনে হয় সেটি আমাদের জন্য খুবই যৌক্তিক ভাবে সঠিক। কেউ কেউ যদি এর বাইরে যেতে চায় তাতেও খুব একটা ক্ষতি হবে বলে আমি মনে করি না। সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুই পালটায়, অনেক কিছুই পালটাবে। তবে কারো কারো চিন্তা ধারা পালটায় না। গ্রামোফোনের ভাঙ্গাপিনের মতো এক যায়গায় আটকে থেকে একই জিনিস বাজতে থাকে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:০১
জাদিদ বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। মুল কথাটাই এখানে তুলে ধরেছেন।
১০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৫০
অপ্সরা বলেছেন: লেবু বেশি চিপলে যেমন তিতা হয়ে যায়.......
তেমনই হতে চলেছে আমাদের অবস্থা
আর ইরানের অবস্থা তো অলরেডি হয়েই গেছে।
বিরক্ত হয়ে যাচ্ছি .....
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:০২
জাদিদ বলেছেন: আসলেই লেবু বেশি চিপলে তিতা লাগে। আর আপনি যে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়েছিলেন, সেটার আদৌ কোন লাভ হয়েছে বলে মনে হয় না।
১১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৮
মামুinসামু বলেছেন: সুন্দর পোস্ট!
রক্ষণশীলতা বলে যে সকল জিনিষ উপেক্ষা করা হয়, পরবর্তীতে ঐ একই জিনিষকে ঐতিহ্য বলে promote করা হয়।
সুতরাং চিন্তার কিছু নেই। Happy Blogging!
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:০২
জাদিদ বলেছেন: ভালো বলেছেন।
১২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:১৫
অপ্সরা বলেছেন: বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দিতে দিতে একটু বেশি ওভার কনফিডেন্ট হয়ে গেছিলাম তার ফল হাতে পাতে পেলাম আর কি .....
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:০৪
জাদিদ বলেছেন: আপনি ঠিকই আছেন, তবে ছাত্র পাস করতে পারে নাই উপযুক্ত মেধার অভাবে।
১৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:২৮
মিরোরডডল বলেছেন:
শালীন অশালীন, পোশাক, ধর্ম, রাজনীতি যেকোন বিষয়ে মানুষ যখন জেনের্যালাইজ করে কিছু বলে বা কোন ট্যাগ দিয়ে দেয়, এ বিষয়টাই ঠিক না । আসলে আমরা এখনও মানুষ হতে পারিনি । যেদিন আমরা ভিন্নমতের মানুষরা অন্যের ক্ষতি না করে সবাই যার যার মনের মতো করে বাঁচবো, একে অপরের প্রতি পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ আর সহমর্মিতা নিয়ে, জাজমেন্টাল না হয়ে সবাই একইসাথে মিলেমিশে থাকতে পারবো সেদিন বুঝবো আমরা মানুষ হয়েছি বা অন্যকেও মানুষ বলে মূল্যায়ন করতে শিখেছি ।
জাদিদকে অনেকদিন পর দেখে ভালো লাগছে ।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:০৫
জাদিদ বলেছেন: আপু, আশা করি ভালো আছেন! আপনাদের সবাইকে দেখে খুব আনন্দ লাগছে।
আমরা এখনও মানুষ হতে পারিনি । যেদিন আমরা ভিন্নমতের মানুষরা অন্যের ক্ষতি না করে সবাই যার যার মনের মতো করে বাঁচবো, একে অপরের প্রতি পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ আর সহমর্মিতা নিয়ে, জাজমেন্টাল না হয়ে সবাই একইসাথে মিলেমিশে থাকতে পারবো সেদিন বুঝবো আমরা মানুষ হয়েছি বা অন্যকেও মানুষ বলে মূল্যায়ন করতে শিখেছি । - এটাই মুল কথা।
১৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৪০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এখন যিনি প্রকাশ্যে চাইবেন আমজনতার কামভাব জাগ্রত করতে - তিনি সেখানে ভালোবাসার আলাপ কিভাবে পাবেন? অথচ আপনি সামগ্রিক ব্যাপারটাকে ব্যাখ্যা করলেন একটি মেয়েকে সাইকেল চালানোর অপরাধে মৌলবাদি মানসিকতার মানুষজন হেয় করেছে। এই ধরনের স্থুল মানসিকতা পরিহারের সময় এসেছে। আমি সর্যি বাট এটাকে একটু সিরিয়াসভাবে দেখেন।
- সে কেন আপলোড দিসে সেটা যারা বুলিং করছে তারা অনুমান করে গালি/ বুলিং করেছে। আর যারা বুলিং করে তারা কি কখনো এডুকেটেড হবেন কখনো বা পকৃত ধার্মিক? একজন পকৃত মাওলানা কি সেখানে বুলিং করবে বা গালি দিবে? জীবনেও না। কারণ ইসলাম বুলিং/গালি সমর্থন করে না। সকল জামাতই নারী বিদ্বেষী । যাদের আমার কাঠমোল্লা বলি। আমার বক্তব্য পরিষ্কার - জামাত/কাটমোল্লাদের সাথে - রক্ষণশীল ও পকৃত আলমদের পার্তক্য আছে। ্মেয়েটি কামভাব জাগত করা জন্য দিলেও যদি ধরে নেই তবে বুলিং/গালি দেয়া ঠিক না।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:১৬
জাদিদ বলেছেন: কি সব হাস্যকর যুক্তি দেখান, বলেন তো? এখানে সামগ্রিক বিষয়টিকে ধর্ম দিয়ে জাস্টিফাই করাটাই তো হাস্যকর।
আপনি বললেন, ইসলাম বুলিং/গালি সমর্থন করে না। আগে বলেন, ইসলাম কি মেয়েদেরকে এই ধরনের ছবি দিতে অনুমোদন দিয়েছে? ইসলাম যদি এই ধরনের ছবি প্রকাশের অনুমুতি দেয় তাহলে আপনার 'ইসলাম বুলিং বা গালি সমর্থন করে না' - যুক্তিটি ধোপে টিকে। কিন্তু যদি ইসলাম সমর্থন না করে তাহলে এই তো যুক্তি টিকবে না।
আগেও বলেছি আপনার বক্তব্য পরিষ্কার নয়। আপনার বক্তব্যের মধ্যে একটি বিশাল ঝামেলা আছে। আপনি যেহেতু ধর্ম টানলেনই, অতএব আমাকে দেখান, কোন প্রকৃত আলেম আপনি যে ছবি দিয়েছেন সেটাকে সমর্থন করে, তারপর গালি দেয়া নিয়ে আলাপ হবে।
আগামীবার মন্তব্য করার আগে এর আগের মন্তব্যে কি বলেছি, সেটা অনুগ্রহ করে ভালো করে পড়ে বুঝার চেষ্টা করুন। তারপর মন্তব্য করুন। তাহলে আপনার সাথে আলাপ আলোচনায় যাওয়া যাবে। যদি বরাবরের মত একই রেকর্ড বাজান, তাহলে আমার চাইতে আপনার সময়ের দাম বেশি। শুধু শুধু তা নষ্ট করবেন না।
ভালো থাকবেন গোফরান।
১৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:০২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
রক্ষণশীল মনোভাব হলেই কি তা নারী বিদ্বেষী আচরন হবে?
আপনার শিরোনামটা মাথায় রেখেই হয়তো একবার মন্তব্য করেছিলাম।
নারী বিদ্বেষী?
আমার দাদা মেয়েদের শিক্ষার জন্য জমিদানসহ , স্কুলের প্রতিষ্ঠার জন্য অগ্রনী ভুমিকা রেখেছিলেন। সব আমার মা সহ সব চাচীরা চাকুরী করেছেন , তিনি বাঁধা দেননি। তবে পোশাক এবং চলাফেরায় রেস্টিকশন ছিল।
তবে হ্যাঁ, আমার মা চাচী ফুফুরা যে বাড়ির থেকে বের হতেন তাদের মাথায় এমনিতেই নিজেদের সন্মান এবং সেই পরিবারের সন্মান মাথায় ছিল। এই জিনিসটা এমনিতে আসেনা।
বলা বাহুল্য, আমার দাদা বাপ চাচা নারী বিদ্বেষী ছিলেন।
আমার ছোটফুফু প্রেগন্যান্ট অবস্থায় একটা গার্লস স্কুলের শিক্ষকতা করেন গেছেন বিনা বেতনে, কারণ হুট করে ঐ স্কুলে শিক্ষক সংকট দেখা দেয়। দাদা বাঁধা দেন নি। দাদার মাথায় নারী শিক্ষা বড় ব্যাপার ছিল। তিনি নিজেও শিক্ষক ছিলেন।
আমার দাদা এলাকায় 'পীর সাহেব' নামেই পরিচিত ছিলেন এবং আছেন। দাদার লম্বা দাঁড়ি ছিল, টুপি পরতেন, নামাজ পড়তেন, পড়াতেন। মাওলানা নুরুল ইসলাম। এক নামেই পরিচিত। ৭১ সালে বসত বাড়ি পুড়িয়ে দেয় পাক হানাদাররা।
বলা বাহুল্য, আমার দাদা নারী বিদ্বেষী ছিলেন।
আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছুই ক্লিয়ার হয়ে গেলো। অসাধারণ পোস্টে ভালো লাগা। ++++
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:১৮
জাদিদ বলেছেন: আপনার দাদার প্রতি শ্রদ্ধা। তিনি ধর্মের সঠিক জানতেন বলেই আপনার পরিবারের নারী সদস্যদের শিক্ষা গ্রহনে কোন অন্তরায় হন।
শুভেচ্ছা জানবেন।
১৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:২০
ঢাবিয়ান বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ ব্লগিং এ ফিরে আসার জন্য।
ডল আপুর বক্তব্যের সাথে একমত। আসলে আমাদের দেশে মুল সমস্যা হচ্ছে অনলাইনে খুব বেশি এক্টিভ মুলত অল্প শিক্ষিত মানুষেরা। শিক্ষিত মানুষের একটিভিটি খুবই কম। অল্প শিক্ষিত মানুষেরা নিজেদের ইচ্ছেমত ভাল খারাপের এর সংজ্ঞা নির্ধারন করেছে এবং নিজেদের সংজ্ঞানুযায়ী অন্যদের ট্যগিং করছে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:২১
জাদিদ বলেছেন: আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আশা করি ভালো আছেন।
আপনার সাথে দ্বিমত করার সুযোগ নেই যে - অল্প শিক্ষিত মানুষেরা নিজেদের ইচ্ছেমত ভাল খারাপের এর সংজ্ঞা নির্ধারন করেছে এবং নিজেদের সংজ্ঞানুযায়ী অন্যদের ট্যগিং করছে।
১৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৪
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমাদের দেশে অনেকের মধ্যে একটা সাধারণ প্রবনতা লক্ষ করা যায়, তার মত না হলেই তাকে একটা নেগেটিভ ট্যাগ লাগিয়ে দিয়ে শুরু করে দেয় প্রচার-প্রচারণা, যাহা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য মূলক। যারা এসব করে বেড়ায় তাদের ব্যাপারে সংখ্যা গরিষ্ঠ নাগরিক সমাজের মনোভাব কি এটাও কিন্তু বিচার্য্য।
২০ শে অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৫:১১
জাদিদ বলেছেন: খুব দুঃখজন একটি কালচার যা আমাদের দেশের ব্যাপকভাবে প্রচলিত।
১৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ধর্ম না টেনেও পারা যাচ্ছে না। রক্ষণশীল হলে তো আরো বেশি টানতে হয়! একজন প্র্যাকটিসিং মুসলমানকে তার বেসিক ঠিক রাখতে হলে অনেকগুলো বিষয় মাথায় রাখতে হয়। তাই সে নারী বিদ্বেষী না হলেও নারী খেলাধুলা, নারী সংস্কৃতি, নারী চাকুরি, নারী পোশাক নিয়ে বিরোধীতা/বিদ্বেষ দেখায়। তাই বলে তারা মোটেও কট্টর নয়। বিশেষ করে আমাদের দেশে যে মডারেট মুসলমান দেখা যায়, তাদের মধ্যেও কিন্তু রক্ষণশীলতার চেয়ে ধর্মীয় কারণেই নারীদের অনেক কিছুতে বাধা দেয়া হয়। এখন, ধর্ম বাদ দিয়ে রক্ষণশীল হওয়া যায় কিনা? যায়। তবে তাদের সংখ্যা খুব কম। আমাদের শিল্প সাহিত্যে, সংস্কৃতি অঙ্গনে অনেকেই ধার্মিক নন, কিন্তু রক্ষণশীল এবং তারা নারী বিদ্বেষী নন...
২০ শে অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৫:১৩
জাদিদ বলেছেন: বাংলাদেশের মুসলমানদের সবচেয়ে বড় সমস্যা তা না পড়েই মুসলিম। তারা শোনা কথায় বেশি বিশ্বাস করে। ফলে নানা রকম মনগড়া বিধিনিষের মধ্যে তারা বসবাস করে। এই সকল ভুল ধারনা থেকেই নারীদের প্রতি নানান রকম হাস্যকর বিধিনিষেধ ও নিয়মকানুনের সৃষ্টি হয়।
১৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনার পোস্ট আমি প্রথম পড়েই বুঝতে পেরেছি তারপরও আমি ২য় বার আবারও পড়েছি। পোস্টের প্রতিটি লাইনের সাথে সহমত পোশণ করছি। পোষাক নিয়ে কেনো এতো চিন্তা এতো এতো মাথা ব্যাথা তার ব্যাখ্যা দিতে তিন পর্বে পোস্ট দিতে হবে তারপর সেই তিন পর্বের পোস্টের সাথে আলোচনা করতে মোটমোটি দশ কার্যদিবস মাটি করে দিতে হবে। - যা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
জাদিদ ভাই, স্বাধীন দেশ, স্বাধীন দেশের নাগরিক যার যা ইচ্ছে বলছে - বলুক। এতো কিছু ধরার সময় কোথায়; আর ভাবনারও সময় কোথায়। যাইহোক আপনাকে আমার প্রিয় গানের কিছুটা অংশ দিচ্ছি: -
মানুষ মানুষকে পণ্য করে
মানুষ মানুষকে জীবিকা করে
পুরনো ইতিহাস ফিরে এলে
লজ্জা কি তুমি পাবে না ?
. —– ও বন্ধু !
কথা – শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
সুর ও শিল্পী – ভূপেন হাজারিকা
অর্থাৎ কে কাকে কোনদিকে পণ্য করছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাই দ্য ওয়ে আমি খুব ভালো রান্না জানি, এবং জীবনে নানান দেশের নানান রান্না খাবার সৌভাগ্য এবং দুর্ভাগ্য হয়েছে। রান্না ও রান্নার রঙ দেখে বলে দিতে পারি এই খাবার কেমন হবে। - আশা করি আপনাকে বোঝাতে পেরেছি।
২০ শে অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৫:১৫
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ঠাকুর ভাই। আপনার কাছ থেকে বাংলাদেশের প্রশাসনিক অবকাঠামোর দুর্বলতা সম্পর্কে জানতে চাই। এই বিষয়ে আপনার লেখার এবং সার্বিক সমালোচনার ভীষন প্রয়োজন। যেমন বর্তমানে কেন হঠাৎ করে এত আমলাদেরকে বাধ্যতামুলক অবসরে পাঠাচ্ছে। আপনারা যদি এই সব বিষয়ে না লিখেন তাহলে তো আলতু ফালতু মানুষজন এই সকল বিষয়ে নিজের 'জ্ঞান' ঝাড়তে শুরু করবে।
২০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: জাদিদ,
আপনার এই লেখাটি পড়ে যা বলতে চেয়েছিলুম, দেখি তা আমার চেয়ে্ও সুন্দর করে ভুয়া মফিজ বলে গিয়েছেন: আপনার এই পোষ্টে চিন্তাশীলদের জন্য গভীর চিন্তার খোরাক আছে।
২০ শে অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৪:৪৪
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। আশা করি ভালো আছেন।
২১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: নারী অবরোধ যেমন সঠিক নয়, তেমনি নারীর রক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করাও সঠিক নয়। নারীর সুস্থ্য-স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করা তাদের শুভাকাংখিদের প্রধান দায়িত্ব- আপনার পোষ্ট পড়ে আমি অন্তত এমটাই বুঝেছি।
২০ শে অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৪:৪৩
জাদিদ বলেছেন: নারীকে নারী সিদ্ধান্ত নিতে দেয়াই ভালো। যদি সে কোন ভুল করে তাহলে সেটার দায়ভার তার। তার বিচারের দায়িত্বও সৃষ্টিকর্তার। আমরা এই সবের মাঝে বাঁধা হতে চাই না। আমাদের চাওয়া পোষাককে কেন্দ্র করে কাউকে যেন হেয় না করা হয়।
২২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪০
শার্দূল ২২ বলেছেন: সাধারণ আমি কোন পোষ্টে আসলে মন্তব্যে আরেকটা সেমি পোষ্ট লিখে ফেলি কিন্তু আপনার পোষ্টের সাথে যোগ করার কিছু পেলামনা। ভালো বলেছেন জাদিদ ভাই।
তবে সেই কথাই আবারো বলবো সবাইকে - পোষাকের কথা আসলে শালীনতা আসবে, স্বাধীনতা শব্দটা আর যাই হোক পোষাকের সাথে যায়না, যারা স্বাধীনতা শব্দটা পোষাকের সাথে জড়াতে চান তাদের বলবো পোষাক ছেড়ে দিন শুধু স্বাধীনতা নিয়ে থাকেন আমাদের সমস্যা নেই।
শুভ কামনা
২০ শে অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৪:৪০
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় শার্দূল। আশা করি ভালো আছেন। আপনাদের মত ব্লগারদের মন্তব্য পাওয়া মানে একটি বাড়তি অভিজ্ঞতা। পোষ্টের সাথে আপনার মতামত যুক্ত হলে আরো ভালো লাগত। আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আমার লেখার বিষয়বস্তু এবং মুল উদ্দেশ্যটিকে বুঝতে পারার জন্য এবং একই মনোভাব পোষন করার জন্য।
খুব গুরুত্বপূর্ন একটি কথা বলেছেন - পোষাকের কথা আসলে শালীনতা আসবে, স্বাধীনতা শব্দটা আর যাই হোক পোষাকের সাথে যায়না, যারা স্বাধীনতা শব্দটা পোষাকের সাথে জড়াতে চান তাদের বলবো পোষাক ছেড়ে দিন শুধু স্বাধীনতা নিয়ে থাকেন আমাদের সমস্যা নেই।
পাশাপাশি আমি মনে করি, পোষাক ব্যক্তিগত অভিরূচির প্রতিচ্ছবি। সবার সবার ইচ্ছেমত পোষাক পড়বে, এখানে জোরাজুরির কিছু নেই। আমি চাই না, কোন নির্দিষ্ট পোষাকের কারনে কেউ অন্যায় কোন ট্যাগিং পাক।
২৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: পোষ্ট এবং পোষ্টের মর্মকথা ভালো লাগছে!
২০ শে অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৪:৩৫
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা আপা!
২৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:১০
ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: শুরুর গল্পটা খুব মজার।
এমন ঘটনা আমিও দেখেছি যেটা আরো বিব্রতকর, আসলে এমন পরিস্থিতিতে কিছু করার থাকে না।
ছোটবেলায় যখন পরিবারের সঙ্গে টিভিতে ইংরেজী সিরিয়াল দেখতাম তখন কিছু শারীরিক দৃশ্য বা সী বিচের পোশাকের দৃশ্য দেখে লজ্জায় লাল হয়ে যেতাম। পরবর্তীতে ডিস লাইনের আশীর্বাদে লজ্জাটুকু শুধু পুস্তকেই রয়েছে তারমানে এই না যে আমার পরিবারের কাউকে আমি ঐ পোশাকে সমর্থন করবো। আমরা যে পরিবারের বা যে সামাজিকতায় বসবাস করি তার সাথে এটা বেমানান। আধুনিকতার নামে যারা গা ভাসাচ্ছে আমার মনে হয় তারা আধুনিক বিষয়টার ব্যাপ্তি বুঝতে অক্ষম।
পোস্টে যতটুকু বোঝাতে চেয়েছেন সেটাই এনাফ, তবে এই এনাফের পরও যদি কারো বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে ৬ নম্বর মন্তব্য যথার্থ তারপরও যদি না বোঝে তাহলে বুঝতে হবে ফুটো বালতিতে পানি ঢেলে লাভ নেই।
২০ শে অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৪:৩৪
জাদিদ বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ আলোচনায় অংশগ্রহনের জন্য। আমাদের আচার আচরন নির্ধারিত হোক আমাদের স্থানীয় সংস্কৃতির ভিত্তিতে। পোষাক নির্ধারিত হবে প্রয়োজন, উপলক্ষ, সমাজ এবং স্থানীয় সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে। আরবের পোষাক আরবে, পশ্চিমের পোষাক পশ্চিমাদের, আমাদের পোষাক আমাদের।
২৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৩১
এমজেডএফ বলেছেন: রক্ষণশীল মনোভাব হলেই তা নারী বিদ্বেষী আচরন নয় - ১০০% সঠিক। তবে রক্ষণশীল পোশাখকে সমর্থন করা আর ইরানে হিজাব সঠিকভাবে না পড়ার জন্য নারীদের শাস্তি দেওয়াকে সমর্থন করা এক কথা নয়। এই ব্লগের বিভিন্ন পোস্টে যারা রক্ষণশীল পোশাখকে সমর্থন করতে গিয়ে ইরান সরকারের নারী নির্যাতনকে সমর্থন করেছেন তারাও এখন আপনার পিঠ চাপড়াচ্ছে। চারিদিকে ভন্ড আর ভন্ডামী।
২০ শে অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৪:৩২
জাদিদ বলেছেন: দেখুন কোন ব্যক্তি যদি তার নিজস্ব পছন্দের কারনে বা নিজস্ব আইডোলজির কারনে রক্ষনশীল পোষাক পড়াকে সমর্থন করেন - তাহলে সেখানে আমার মাথা ব্যাথা নেই। তবে কেউ যদি অন্য কারো উপর কোন আইডোলজি জোর করে চাপিয়ে দিতে চায় তাহলে আমার আপত্তি আছে।
ইরান সরকারকে বাংলাদেশের এক শ্রেনীর সুবিধাবাদী ধার্মিক স্বীকৃতি প্রদান করেন না, কারন তারা শিয়া। আবার এই ইস্যুতে তারা ইরানকে সমর্থন করছেন। আমাদের ব্লগারদের মধ্যেও এমন শ্রেণী আছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। আমার পোস্টের উদ্দেশ্য খুবই সিম্পল। পোষাক নির্ধারিত হবে প্রয়োজন, উপলক্ষ, সমাজ এবং স্থানীয় সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে। আরবের পোষাক আরবে, পশ্চিমের পোষাক পশ্চিমাদের, আমাদের পোষাক আমাদের।
আর ভন্ডের কথা কি বলব বলেন! আয়নায় ভয়ে মুখ দেখি না, যদি ভন্ড হিসাবে প্রমানিত হই!
২৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৫:৩৯
বিষন্ন পথিক বলেছেন: পোস্টে ভালো লাগা,
অপরূপ বাংলা, বাঙালি নারীর বেশভূষা হয়তো বদলে যাচ্ছে এই ডিজিটাল দুনিয়ায়, হয়তো ব্লগিও টিক টকার এর কনটেন্ট বোঝার যোগ্যতা ঘাটতি আমার।
২৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:২৮
শেরজা তপন বলেছেন: সবাই এত সুন্দর মন্তব্য করেছে যে, আমি আর কিছু বলার কথা খুঁজে পাচ্ছিনা। তবে সুপ্রিয় ভুম' ভাইয়ের মন্তব্যে সবচেয়ে চমৎকার বলেছেন।
আপনার এই নিকে ব্লগিং করতে দেখে ভাল লাগল।
২৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৪৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনার এই পোস্ট পড়ে যদি ত্যানা প্যাচানোওয়াদের ত্যানা প্যাচানো বন্ধ হয় তবেই আমরা সার্থক হবো।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার এই পোষ্টে চিন্তাশীলদের জন্য গভীর চিন্তার খোরাক আছে। আর নির্বোধদের জন্য আছে চুলকানীর উপকরণ। এর চাইতে বিস্তারিত বলা আমার পক্ষে সম্ভব না। ব্লগে আজকাল যাকে তাকে যত্রতত্র হুজুর, কাঠমোল্লা, ছাগু ইত্যাদি ট্যাগিংয়ে ট্যাগায়িত করার প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। ডেঙ্গুর মতো এটাও খুব ভয়ংকর! পাবলিক হেল্থ, সামাজিক আর ব্লগীয় সুস্থতার জন্য হুমকিস্বরুপ!!!