নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রিয় পাঠক, এই ভ্রমণ কাহিনীতে খুব বেশি ছবি যুক্ত করতে পারছি না বলে দুঃখিত। মেমরী কার্ড জটিলতার কারনে আমার তোলা অধিকাংশ ছবি হারিয়ে ফেলেছি। মোবাইলে কিছু ব্যক্তিগত ছবির পাশাপাশি অল্প কিছু ভ্রমন সংক্রান্ত ছবি আছে। সেগুলো এখানে যুক্ত করার চেষ্টা করব।
দ্বিধান্বিত যাত্রা পরিকল্পনা
বলা হয়ে থাকে, বাংলাদেশী বাঙালিদের প্রথম বিদেশ ভ্রমনের সুত্রপাত হয়ে থাকে ভারত ভ্রমনের মধ্য দিয়ে। আমার স্ত্রীর ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি ব্যতিক্রম নয়। চিকিৎসা সংক্রান্ত একটি কাজে ভারত ভ্রমন করার পরিকল্পনা করেছিলাম, হঠাৎ স্ত্রী বায়না ধরলেন তিনিও সাথে যাবেন। আমাদের পরিকল্পনায় ছিলো কলকাতায় চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজ শেষ করে ঈদের জন্য কিছু কেনাকাটা করে দেশে ফিরে আসব। কিন্তু পরিচিত অপরিচিত অনেকের কাছে শুনলাম কলকাতায় নাকি অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এই সময় সেখানে যাওয়াটা নাকি বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। কি করা যায় এই সংক্রান্ত দোনামোনায় যখন পুরো পরিকল্পনাটি বাতিল হবার মুখে, তখন জানতে পারলাম জটিল কোনো অপারেশন বা জটিল কোনো রোগের চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যাপার না হলে ভ্রমন ভিসাতে ভারতে গিয়ে সাধারন টেস্ট, ডায়াগনসিস বা চিকিৎসা নেয়া যায়। যার মাধ্যমে এই তথ্যটি জানলাম তিনি আমার স্ত্রীর সহকর্মী। তিনি আরো জানালেন, উত্তরবঙ্গের রংপুর, সৈয়দপুর, লালমনিরহাট সহ অনেক জেলার মানুষ চিকিৎসার জন্য কলকাতা বা ঢাকায় না গিয়ে ভারতের শিলিগুড়িতে যাওয়াটাই শ্রেয় মনে করেন। পাশাপাশি তিনি জানালেন, শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং বা সিকিমে যাওয়া বেশ সহজ এবং সেখানে কেনাকাটার করার জন্যও ভালো মার্কেট আছে।
প্রথমে কিছুটা দ্বিধায় ছিলাম এই পথে ভারতে যাবো কি না। নানা রকম কাজের ঝামেলার মধ্যে চাচ্ছিলাম পরিকল্পনাটি বাতিল করে পরবর্তীতে পরিকল্পনা করতে। কিন্তু ফেব্রুয়ারীর ১৯ তারিখ সন্ধ্যায় হঠাৎ স্ত্রীর মুখে কালবৈশাখীর ঘন মেঘ দেখে অজানা আশংকায় কন্ঠে যতটা সম্ভব মধু ঢেলে জিজ্ঞেস করলাম, কি হয়েছে?
সেই প্রশ্নের জবাবে পেলাম, ছাইচাপা আগুনের এক প্রকট দৃষ্টি। কিছুক্ষন সেদিকে তাকিয়ে থাকার পর দু চোখে যুক্ত হলো কিছুটা ছলছল ভাব। এই ভাবের সারমর্ম হচ্ছে মার্চের ১১ তারিখ আমাদের বিবাহ বার্ষিকী। এই বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে আমি কেন দার্জিলিং বেড়াতে না নিয়ে কেটে পড়তে চাইছি।
ফলে ২১ ফেব্রুয়ারী সকাল বেলায় ভিসা অ্যাপ্লিকেশন করে দিলাম। আমি নিশ্চিত ছিলাম দুই সাপ্তাহের আগে ভিসা পাওয়া যাবে না, ফলে দার্জিলিং যাবার পরিকল্পনা আপাতত বাদ যাবে। কিন্তু বেরসিক ভারতীয় ভিসা অফিসার মার্চের দুই তারিখেই আমাদেরকে ভিসা দিয়ে দিলেন। শুধু তাই নয় তিনি মাল্টিপল ভিসা দিয়ে নিশ্চিত করলেন, কোরবানী একবারে শেষ হবে না, বার বার হবে, মাল্টিপলভাবেই হবে।
যাইহোক, খবর শুনে আমার স্ত্রী আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে বত্রিশ দন্ত বিকশিত একটি হাসির ছবি পাঠিয়ে বললেন, যাও টিকিট কেটে নিয়ে আসো। অতঃপর ৭ই মার্চ সন্ধ্যায় বাসে স্ত্রী ও কন্যা সমেত ঢাকা থেকে চ্যাংরাবান্ধা বর্ডারে যাত্রা শুরু করলাম।
বাস এবং সহযাত্রী বিড়ম্বনা
আমাদের ভ্রমনের তারিখ হঠাৎ নির্দিষ্ট হওয়াতে আমাদের জন্য বাসের টিকিট পেতে কিছু সমস্যা হচ্ছিলো। ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত সরাসরি যে বাস সার্ভিসটি আছে তাতে আমার খুব একটা আস্থা ছিলো না। কারন অনেক সময় এই সরাসরি বাস প্রয়োজনের তুলনায় অনেক দেরী করে এবং বর্ডারের ওপাড়ে যে বাস দেয়া হয়, সেটার মান নিয়েও অনেকেই আপত্তি তুলেছেন। তবে বাসের চাইতে আমার চিন্তার মুল জায়গাটি হচ্ছে বাস কোম্পানি দ্বারা গ্রুপ ইমিগ্রেশনের প্রক্রিয়াটি। এতে অনেক সময় সময় কম লাগে আবার অনেক সময় সময় বেশি লাগে। একবার একজনের জন্য ১২ টায় ইমিগ্রেশন শেষ করেও ২ টা পর্যন্ত বসে থাকতে হয়েছিলো। আমি চাই না আমার জন্য কারো দেরী হোক অথবা অন্যের কারনে আমার দেরী হোক। তাই সরাসরি বাস বাদ দিয়ে চ্যাংরাবান্ধা বর্ডার পর্যন্ত বাসের টিকিট কাটি। আমি বাসের প্রথম সারিতে বসতে পছন্দ করি। কারন অনাগত পথ দেখার মধ্যে একটা আনন্দ আছে। আমার স্ত্রী সন্তানও আমার কারনে এই অভ্যাসে রপ্ত হয়ে গেছে। তাই আমরা একেবারে বাসের প্রথম সারির তিনটা সিটের টিকিট কাটি।
কল্যানপুর থেকে যাত্রা শুরু হবার পর দেখলাম আমার পাশে কোন সহযাত্রী নেই। গাবতলী পার হয়ে বাস ছুটছে। সাভার এসে গাড়ি থামল। কয়েকজন যাত্রী এসে এখনও পৌঁছাতে পারেন নি, তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আমি এই সুযোগে বাস থেকে নিচে নেমে পানি আর চিপস কিনছিলাম। একটা সিগারেট ধরাবো কি ধরাবো না চিন্তা করতে না করতেই দেখি সুপারভাইজার সাহেব বাসে উঠার জন্য তাড়া দিচ্ছেন। আমি বাসে উঠে বসতে না বসতেই বাস ছেড়ে দিলো। ঠিক সেই মুহুর্তেই বুঝতে পারলাম আমার পাশের সিটে কেউ বসেছেন। ঘাড় ফিরিয়ে তাকাতেই দেখি তেইশ চব্বিশ বছরের একটি মেয়ে আমার পাশের সিটে পা উঠিয়ে বেশ আয়েশ করে বসে আছেন। আমি দ্রুত ঘাড় ফিরিয়ে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে দেখি, আমার হতবিহবল চেহারা দেখে স্ত্রী কোনমতে অট্টহাসি ঠোঁট দিয়ে চেপে রেখেছে। আমার সাড়ে তিন বছরের কন্যাও বেশ অবাক হয়ে আমার পাশের মেয়েটিকে দেখছে।
যাত্রার শুরুতেই ভাগ্যের রসিকতা দেখে মাননীয় স্পীকার হবার পথে। সুন্দরী সহযাত্রী আর পাশের সিটে স্ত্রী - কি ভয়াবহ কম্বিনেশন। ঐ দিকে আমার স্ত্রী আমাকে সমানে 'পচিয়ে' ম্যাসেজ করে যাচ্ছে আর আমার আড়ষ্ট ভাব দেখে হেসে কুটিকুটি হচ্ছে। অনেকেই হয়ত মনে করেন, পাশের সিটে নারী সহযাত্রী মানে খুব রোমান্টিক একটি বিষয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, লং জার্নিতে বিশেষ করে বাসের সিটে নারী সহযাত্রী মানে আপনার আরামের চৌদ্দটা বেজে গেলো। আপনাকে পুরো পথ আড়ষ্ট হয়ে বসে থাকতে হবে, সর্তক থাকতে হবে। তবে আমি যে বাসে যাচ্ছিলাম, তাদের সিট যথেষ্ট আরামদায়ক এবং প্রশস্থ হওয়াতে খুব বেশি একটা কষ্ট করতে হয় নি। চন্দ্রা পার হতেই সিট হেলিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
বর্ডার পারাপার সার্ভিস ও বুড়ির হোটেল
সকাল প্রায় সাড়ে ৮ টার দিকে বুড়িমারী বর্ডারে এসে পৌছালাম। সবে মাত্র বর্ডার খুলেছে। যে বাসে এসেছি, তাদের নিজস্ব বিশ্রামাগারে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেস হলাম। পাটগ্রাম থেকে বুড়িমারি পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশের দৃশ্য বেশ সুন্দর। কোথাও সারি সারি ভুট্টার ক্ষেত আর কোথাও ধান। তবে অধিকাংশ জায়গায় ভুট্টার ক্ষেতই চোখে বেশি পড়েছে। এই অঞ্চলের মানুষের মানুষের জীবনযাত্রা আর কথাবার্তার মধ্যে এক ধরনের সারল্য টের পেলাম। কিন্তু বুড়িমারি বর্ডারের রাস্তা খুব একটা সুবিধাজনক নয়। এই পোর্ট দিয়ে মুলত ভুটান এবং ভারতের পাথর আমদানী হয়। ভারী ট্রাক চলার কারনে রাস্তার অবস্থা কিছুটা বেগতিক।
যে বাসে এসেছিলাম, সেই বাসের কাউন্টার থেকে বলল তাদের বর্ডার পারাপার সার্ভিস আছে, আমি চাইলে তাদের সাহায্য নিতে পারি বা নিজেও কাজটা করতে পারি। এই যে 'নিজেও কাজটা করতে পারি' - বলার সততার কারনে তাদের সার্ভিস নিলাম। দুস্টামি করে জিজ্ঞেস করলাম, বর্ডার পারাপার সার্ভিস মানে কি ভিসা ছাড়াই পার করে দিতে পারবেন?
পান চাবাতে চাবাতে হাসতে হাসতে বলল, কয়েক বছর আগে হলি, পারতাম আমরা। আগে এত ঝুট ঝামেলা ছিলো না।
তারপর তারা আমার আর আমার স্ত্রীর পাসপোর্ট, টিকা কার্ড, এনওসি,এনআইডি আর ভিসার ফটোকপি নিলো। আর আমার মেয়ের শুধু জন্মনিবন্ধন আর ভিসার ফটোকপি নিলো। আমি পাঁচশ টাকা দেয়ার পর তারা একশ টাকা ফেরত দিলো। বলল, স্যার যদিও আমরা ২০০ টাকা জনপ্রতি কাজ করি, কিন্তু বাচ্চার জন্য কিছু নিলাম না, ও ছুটো মানুষ, ওর জন্য আবার কি নিবো?
তারপর আমরা পাশেই বুড়ির হোটেলে খেতে গেলাম। সদ্য রান্না হওয়া দেশী মুরগির মাংস, আলু ভর্তা আর ডাল দিয়ে ভাত খেয়ে নিলাম। রান্নার স্বাদ বেশ ভালো। খাবার শেষ করে চা খেতে খেতে আমাদের নেয়ার জন্য একটা ভ্যান চলে আসল। ভ্যান ড্রাইভার বলল, আপনাদের কাজ হয়ে গেছে, ইমিগ্রেশনে ডাকছে।
আমরা যাকে পাসপোর্ট দিয়েছিলাম তিনি আমাদের বাংলাদেশে ইমিগ্রেশনে যাওয়া মাত্রই ভেতরে নিয়ে গেলেন এবং পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমাদের ইমিগ্রেশন শেষ করে বাইরে নিয়ে আসলেন। আমাদের আগে তখন শ্যামলী পরিবহনের সরাসরি ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি যাবার যাত্রীরা অপেক্ষা করছিলো। সম্ভবত কয়েকজন যাত্রী তখনও সেখানে উপস্থিত হতে পারেন নি বিধায় তাদের শৃংখলায় কিছুটা ঝামেলা সৃষ্টি হলো। সাথে সাথে ডাইরেক্ট বাসে না আসার সিদ্ধান্তটি সঠিক হিসাবে মনে হলো।
এরপর বিজিবি চেক পোস্ট এবং পাসপোর্ট এন্টি করে আমরা ভারতের বর্ডারের দিকে রওনা হলাম। বাংলাদেশ পুলিশ এবং বিজিবি সবাই যথেষ্ট সহযোগিতা করলো এই সময়। ভারতীয় চেক পোস্টে গিয়েও তুলনামুলক সময় কম লাগলো। মিনিট দশেকের মধ্যে আমাদের পাসপোর্ট এন্টি হয়ে গেলো এবং আমরা ভারতীয় ইমিগ্রেশনের দিকে রওনা হলাম।
বর্ডারের এই পাশে আসতেই আমরা যে পরিবহনের মাধ্যমে এসেছিলাম এসআর তাদের নিজস্ব লোক আবার আমাদেরকে রিসিভ করলো এবং সোনার বাংলা নামক একটি মুদ্রা বিনিময় প্রতিষ্ঠানে নিয়ে বসালো। সেটার মালিক জনাব রবিউল আমাদেরকে যথেষ্ট সহযোগিতা করল এবং দ্রুত আমাদেরকে ভারতীয় ইমিগ্রেশনের লাইনে নিয়ে দাঁড় করালো। এই পাশেও তাদেরকে পাঁচশ টাকা দিলাম আর তারা একশ টাকা ফেরত দিলো। বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় আমরা ভারতীয় ইমিগ্রেশনে লাইনে দাঁড়ালাম। হোলির কারনে আজকে পুরো পশ্চিমবঙ্গে ছুটি। সেই কারনে বর্ডারের এই পাশে বেশ উৎসব মুখর পরিবেশ। সবাই মুখে নানা রঙের আবির লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ভারতীয় ইমিগ্রেশনে দাঁড়ানোর পর সেখান দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন পুলিশ কর্মকর্তা আমার স্ত্রী আর কন্যাকে লাইন থেকে বের করে পাশের একটু টুলে বসতে বলল। কিছুক্ষন পর তারা আমার কন্যার সাথে নানা ধরনের গল্পে মেতে উঠল। আমার মেয়ে তাদেরকে হাজারো প্রশ্ন করে আর তারা হাসে। সিঁদুর পরা কাস্টমসের এক কর্মকর্তাকে ও বলল, তোমার মাথায় রক্ত কেন? কে মেরেছে? তোমার মা বকা দিয়েছে? তুমি বেশি বেশি চকলেট খেয়েছ? তুমি মন খারাপ করো না। আমি তোমাকে চকলেট কিনে দিবো।
ওর কথা শুনে সবাই হেসে অস্থির। এর মধ্যে একজন গিয়ে একটা স্নিকার্স চকলেট আর একজন গিয়ে একটা চিপস কিনে এনে ওর হাতে দিলো। তারপর আমাদেরকে বলল, আপনারা চলে আসুন। বলা যায় আমার মেয়ের কল্যাণে আমরা খুব দ্রুতই ইমিগ্রেশনের কাজ সম্পন্ন করে ফেলি। তারপর আবার আমরা সোনার বাংলা মানি এক্সচেঞ্জে গেলাম টাকাকে রুপিতে কনভার্ট করার জন্য।
তারপর এই পাশের বর্ডার কিছুটা ঘুরে দেখলাম। এটা বর্ডারে একটা চকলেট চিপস আর কোমল পানীয়ের দোকান। মানুষ এখান থেকে দেশে ফেরত যাওয়ার সময় অনেকেই চকলেট, চিপস আর কসমেটিস নিয়ে যায়।
এপাশে শ্যামলী কাউন্টারে তখনও মানুষের বেশ ভীড়।
এর মধ্যে আবার আমার মেয়ের সাথে রংপুরের এক বৃদ্ধ দম্পত্তির সাথে পরিচয় ঘটে। ভদ্রলোক এবং ভদ্রমহিলা দুইজনেই রংপুরের হারাগাছ সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসাবে অবসর নিয়েছেন। তারা শিলিগুড়ি যাচ্ছেন চিকিৎসার জন্য। আমার মেয়ের সাথে তাদের দুইজনের খুনশুটি খুব ভালো লাগছিলো আর তারাও খুব আনন্দ পাচ্ছিলো। আমাদের ইমিগ্রেশন শেষ হবার জন্য তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন এবং আমাদেরকে অফার দিলেন তাদের সাথে গাড়ি আছে, আমরা চাইলে তাদের সাথে এক সাথে শিলিগুড়ি পর্যন্ত যেতে পারি।
আমি তাদের আন্তরিকতার কারনে আর মানা করতে পারলাম না। সকল কাজ শেষ করে ভারতীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় আমরা শিলিগুড়ির দিকে যাত্রা শুরু করলাম। আমার মেয়ের কল্যাণে ভারত যাত্রা বেশ ভালোভাবেই শুরু হলো।
চলবে....।
।। ভ্রমণ কাহিনী।। জঙ্গল, নদী, চা বাগানের দেশ হয়ে পাহাড়ের রানীর দেশে। পর্ব-২।।
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৩২
জাদিদ বলেছেন: অনেক দিন পর ব্লগে আপনাকে পেয়ে ভালো লাগছে আরো বেশি ভালো লাগছে পোস্টের শুরুতেই আপনার মন্তব্য পেয়ে। আশা করি ভালো আছেন। আমিও কিন্তু আপনার মত ভ্রমণকারীদের নেতিবাচক অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছুটা শংকিত ছিলাম, বিশেষ ভারতীয় ইমিগ্রেশনে ব্যাপারে খুব একটা ভালো কিছু শুনিনি। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, আমি অভিযোগ করার মত কোন সমস্যা পাই নি। এই পোর্টে আমাদের ইমিগ্রেশনের পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল আর ভারতীয়দের অংশে কিছু প্রক্রিয়া ম্যানুয়াল -পার্থক্য বলতে শ্রেফ এটাই।
চ্যাংরাবান্ধা পোর্ট দিয়ে দেখেছি, দুই দেশের সাধারন মানুষজনই বেশি আসা যাওয়া করছে। এদের অনেককেই ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা চেনেন, বয়স বেশি হলে লাইন বাদ দিয়ে আলাদা বসাতে দেখেছি এবং তাদেরটা সবার আগেও করে দিতে দেখেছি।
২| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ ভোর ৪:২৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ভারত ভ্রমন শুভ ও আনন্দদায়ক হোক ।
সীমান্ত পারাপার পর্যন্ত যাত্রা নির্বিঘ্ন হয়েছে শুনে
সস্তি পেলাম । বুড়িমারী এলাকায় ভুট্টার আবাদ বৃদ্ধি ও
সেখানকার মানুষের সহজ সরল জীবন যাপনের কথামালা
বেশ আশা জাগানিয়া। দুপ্রান্তের ইমিগ্রেশনের লোকদের
নিরোপুদ্রক সার্ভিস, সেটাও বেশ সস্তিদায়ক সংবাদ
বিশেষ করে যারা এ পথ ধরে ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা
করবেন তাদের তরে ।
ভ্রমণ কাহিনীর শেষ প্রান্তে এসে রংপুরের হারাগাছি সরকারী কলেজের দম্পতির সহকারী অধ্যাপক হিসাবে অবসরের
কথা শুনে খানিকটা ভারাক্রান্ত হলাম । কলেজে শিক্ষকতা পোষ্টে চাকুরী সাধারণত প্রভাষক হিসাবে শুরু হয় ।
পরবর্তী পদন্নতি হয় সহকারী অধ্যাপক হিসাবে । সে হিসাবে সারা জীবনে তারা মাত্র একটি পদন্নতি পেয়েছেন
শুনে ব্যথিত হতেই হয় । শুনেছি বেসরকারী কলেজ সরকারী হলে সেখানে কর্মরত সিনিয়র শি্ক্ষকদের পদায়ন হয়
প্রভাষক হিসাবে । উদাহরণ হিসাবে একটি সত্য কাহিনী বলতে পারি । আমার এজকন ঘনিষ্ট আত্মিয় একটি বেসরকারী
কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন । কলেজটি বেসরকারী পর্যায় হতে সরকারী কলেজে রূপান্তরিত হওয়ার
পর উনার স্টেটাস নির্ধারণ করা হয় প্রভাষক হিসাবে , অবশ্য তাঁর বয়স অবসর নেয়ার পর্যায়ে থাকায় তিনি প্রভাষক
পদবী নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধক্ষ হিসাবে অবসরে যান । তিনি তাঁর চাকুরী জীবনের প্রায় ১৫ বছর বিভিন্ন নামী বেসরকারী
কলেজে সুনামের সাথে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেও চাকুরী জীবনের শেষে সরকারী কলেজের প্রভাষক হিসাবে
অবসরে যান । এই মনোকষ্ট বুকে ধারণ করে এর কিছু দিনের মধ্যেই তিনি ধরাধাম ত্যাগ করেন। আপনার এই
মনোরম ভ্রমন কাহিনীর মধ্যে রংপুরের হারাগাছি সরকারী কলেজের দম্পতির সহকারী অধ্যবক হিসাবে অবসরে
যাওযার কথাটি শুনে প্রসঙ্গক্রমে এতকথা বলা ।
বেসরকারী কলেজ সমুহ সরকারী হওয়ার পরে বিদ্যমান শিক্ষকদেরকে যেন তাদের স্বপদে পদায়ন করা হয় সে
বিষয়টি সহানুভুতির সাথে বিবেচনা করে দেখার জন্য সরকারী নীতিমালা প্রনয়ন হওয়া প্রয়োজন । তা না হলে
আমার ঘনিস্ট সে আত্মিয় ও হারাগাছি কলেজের এই দম্পত্তির মত অনেককেই চাকুরী জীবনের শেষ পর্যায়ে
এসে মনোকষ্ট বুকে নিয়ে অপেক্ষাকৃত নিন্মতর পদে অবসরে যেতে হবে । এখনো অনেক বেসরকারী কলেজ
সরকারী কলেজে পরিনত হচ্ছে বা হওয়ার পর্যায়ে আছে । আমার পরিচিত অনেক বেসরকারী কলেজের সিনিয়র
শিক্ষকগন বেশ আশংকার মাঝে আছেন ।
এ বিষয়ে সকলের সচেতনতা ও সঠিক বিবেচনা অনেকের জন্য বেশ উপকারে আসবে ।
আপনার ভ্রমন কাহিনীর পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ।
পরিবারের সকলের প্রতি শুভেচ্ছা রইল ।
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৪৫
জাদিদ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
দক্ষিনবঙ্গের তুলনায় আমার মনে হয়েছে উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ গ্রাম বেশি সুন্দর। বাসে করে যাওয়ার সময় দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ আর এখনও শহুরে না উঠা সম্ভবত এই অঞ্চলের মানুষকে এখনও জটিল করে তোলেনি।
আপনি যেমনটা বললেন তেমনটা খুবই সত্য এবং দুঃখজনক। অনেক শিক্ষককে হয়ত এই ধরনের তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। আমার সাথে যে শিক্ষক দম্পত্তির আলাপ হলো, তারা সম্ভবত ভালো আছেন। এক সন্তান মেডিকেলে পড়ছে আরেক সন্তান জনপ্রশাসন নিয়ে মাস্টার্স করছে।
শিক্ষক ভদ্রলোক রাজনীতির সাথে যুক্ত আছেন। তিনি রংপুর বিভাগ আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক। পাশাপাশি, সার বিক্রির ডিলারশীপ রয়েছে।
৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ ভোর ৫:২৭
সোনাগাজী বলেছেন:
মেয়েরা সৌভাগ্য আনে সব সময়; অধ্যাপকদের বয়স কি রকম আনুমানিক; উনারা কি করছেন এখন, কিছু বলেছেন?
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫০
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ, মেয়েরা সৌভাগ্য আনে এটা সত্য।
অধ্যাপক দম্পত্তিদের বয়স আনুমানিক ৬০/৬২ কোটায় হবে। শিক্ষক ভদ্রলোক রাজনীতির সাথে যুক্ত আছেন। তিনি রংপুর বিভাগ আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক। পাশাপাশি, সার বিক্রির ডিলারশীপ রয়েছে। তিনি চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে প্রায়ই ভারতে যান। কেননা ঢাকায় আসার চাইতে রংপুর থেকে শিলিগুড়ি যাওয়া সহজ এবং সাশ্রয়ী।
৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৫২
দারাশিকো বলেছেন: আমি কিন্তু পড়ার জন্যই ভ্রমণ ব্লগ পড়ি। ছবি থাকলে ভালো, না থাকলেও সমস্যা নাই। আমার নিজের ভ্রমণ ব্লগগুলোতেও ছবি কম থাকে৷ আপনার প্রথম পর্ব পড়ে ভালো লাগলো।
একটা অনুরোধ: ভ্রমণ ব্লগ থেকে আমরা গাইডেন্সও খুঁজি। তাই যেক্ষেত্রে নাম দেয়া যায় নাম দিবেন। যেমন সরাসরি বাস সার্ভিসের নাম না দেখে প্রথমে দুঃখই পাচ্ছিলাম৷ পরে নামটা পেয়ে ভালো লাগলো। কিন্তু যারা বর্ডার পার করে দিতে সাহায্য করলো তাদের নামটাও বইলেন। পরে হয়তো আমরাও একইভাবে যাবো।
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১৬
জাদিদ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমিও পড়ার জন্য ভ্রমন ব্লগ বা ভ্রমন কাহিনী পড়ি।
ঢাকা থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যাওয়ার জন্য যে বাস সার্ভিস আছে তা মুলত শ্যামলী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। দুই একটা বাস সার্ভিস হয়ত অন্য কোম্পানীর পাবেন। ঢাকা থেকে সরাসরি শিলিগুড়ি যাবার জন্য শুধুমাত্র শ্যামলি পরিবহন সার্ভিস দিচ্ছে। জনপ্রতি তাদের ভাড়া ২২০০ টাকা। বিভিন্ন কোম্পানীর শুধু বর্ডার পর্যন্ত বাস আছে তাদের ভাড়া নন এসি ৯০০ টাকা আর এসি ১৫০০ টাকা। ডিরেক্ট সার্ভিসে ভাড়া বেশি এবং আমার কাছে খুব একটা আহামরী কিছু বলে মনে হয় নি। কারন বাংলাদেশ অংশে যে মানের বাস পাবেন, ভারতীয় অংশে সে মানের বাস পাওয়া যাবে না। আর বাস নামাবে আপনাকে সেন্ট্রাল প্লাজার সামনে। তবে ভ্রমনসঙ্গী যদি বেশি হয়, তাহলে ৪ জনের একটা গাড়ি ১৭০০ - ২০০০ রুপির মধ্যে পাওয়া যায় আর ভ্রমনসঙ্গী বেশি হলে ২৪০০ - ৩০০০ রুপির মধ্যে আপনি ৮ জনের বসার মত উপযুক্ত গাড়ি পাওয়া যায়। যার দিয়ে আপনি আপনার পছন্দমত হোটেল বা মার্কেট বা বিভিন্ন গন্তব্যের স্ট্যান্ডে নামতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে জনপ্রতি ৩৭৫ রুপি থেকে ৫০০ রুপি সর্বোচ্চ খরচ হবে। যেভাবেই যান না কেন, এই রুটের জার্নি খুব একটা স্বস্তিদায়ক নয়। কারন এই মুহুর্তে রাস্তায় কাজ চলছে এবং বুড়িমারি থেকে প্রায় রংপুর পর্যন্ত রাস্তা বেশ সরু।
আমি এস আর পরিবহনের নন এসি বাস সার্ভিস নিয়েছিলাম। কারন আমি টিকিট পাচ্ছিলাম না। তাদের এসি সার্ভিসও আছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা আটটা থেকে রাত নয়টার সময় তাদের বাস ছাড়ে। খুব বেশি গরমের সময় না হলে, নন এসিতেই যাওয়া যায়। আমি এস আর পরিবহনের সার্ভিসে খুশি। আমি রাত সোয়া নয়টার গাড়িতে উঠে পরদিন সাড়ে আটটার দিকে বর্ডার এলাকায় পৌঁছাই।
প্রতিটি বাস কোম্পানীর নিজস্ব লোক আছে যারা বর্ডার পারাপারে হেল্প করে যা মুলত নিজেও করা যায়। আপনি বাস থেকে নামার পর তারা নিজেরাই আপনাকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করবে অথবা যে বাসে এসেছেন, সেই বাসের কাউন্টারে যোগাযোগ করলেও তারা আপনাকে লোক দিয়ে দিবে।
আর বর্ডারের ও পাড়ে সোনার বাংলা মানি এক্সচেঞ্জে যাবেন - এরা এস আর পরিবহনের লোক। আমি খুব ভালো সার্ভিস পেয়েছি। রুপিতে ভালো রেটও দিয়েছে। এখান থেকেই চাইলে আপনি সিম নিতে পারবেন। তবে সিম নেয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা ঘুরে আর দামাদামি করে নেয়াটাই ভালো। আমি ৫০০ টাকা দিয়ে সিম নিয়েছিলাম - যেখানে প্রতিদিন ১ জিবি ইন্টারনেট ফ্রি ছিলো আর ভারতের যে নাম্বারে কল ফ্রি আরো ২৫০ টাকার কল টাইম ছিলো। আমি আসার দিন এই সিম ফেরত দিয়ে ২০০ টাকা ফেরত নিয়ে এসেছি।
৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার শুরু। আশা করি খুব ভালো একটা ভ্রমণ সিরিজ পেতে যাচ্ছি।
শুভ কামনা।
আর একটা কথা, "প্রিয় পাঠক" সম্বোধন করার মধ্যে নিজেকে একজন স্বীকৃত "লেখক" ভাবার অহংকার আছে- কারোর মধ্যে এই আত্মবিশ্বাস থাকাটা আমার কাছে ভালো লাগে।
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১৮
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় জুলর্ভান ভাই। হা হা। আমি আসলে নিজেকে স্বীকৃত লেখক ভাবার অহংকার থেকে নয় বরং যারা ব্লগে শুধু পড়তে আসেন, তাদের কথা ভেবেই শুরু থেকে 'প্রিয় পাঠক' লিখি।
৬| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:০৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমি ভ্রমন প্রিয় নয়। তবে
ভ্রমণ কাহিনী পড়তে ভালো লাগে। সেইসাথে আপনার সাবলীল উপস্থাপন।
দুর্দান্ত।
চলুক।
পরের পর্বের অপেক্ষায়।
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১৯
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা জানবেন।
৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১৯
শাহ আজিজ বলেছেন: যাক এই নতুন রুট বেশ আনন্দদায়ক হবে আশাকরি । একটা ট্রেন সার্ভিস খুলেছে এই লাইনে । আমি ট্রেন জার্নি পছন্দ করি । শিলিগুড়ি এখন হট স্পট হয়ে উঠবে মনে হয় । পুরো ভ্রমন কাহিনী লিখো তাতে আমাদের সুবিধা হবে ।
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৭
জাদিদ বলেছেন: প্রিয় শাহ আজিজ ভাই, চ্যাংরাবান্ধা বর্ডার দিয়ে শিলিগুড়ি তো নতুন রুট নয়। বেশ পুরানো রুট। শিলিগুড়ি যাবার জন্য আমাদের বাংলাদেশীদের জন্য সবচেয়ে সেরা রুট হলো বাংলাবান্ধা বা ফুলবাড়ি বর্ডার। এই বর্ডার থেকে শিলিগুড়ি ২০/২৫ মিনিটের পথ।
তবে আপনি সম্ভবত ট্রেন সার্ভিসের কথা বলেছেন যেটা নিউ জলপাইগুঁড়ি পর্যন্ত যায়। ট্রেনটির নাম মিতালী এক্সপ্রেস। এই ট্রেনের সুবিধা হলো ঢাকায় ইমিগ্রেশন শেষ করে আপনাকে সরাসরি ভারতের জলপাইগুঁড়িতে নিয়ে যাবে। সেখানে আপনার ইমিগ্রেশন হবে। তবে ট্রেনটি প্রতিদিন চলে না। নির্দিষ্ট সময়সুচি আছে। এই মিতালী এক্সপ্রেসের অন্যতম সমস্যা হলো, ইমিগ্রেশনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয়। এই হ্যাপা বাদ দিলে ট্রেন জার্নি খারাপ নয়। এটাই সবচেয়ে আরামের।
শিলিগুড়ি অনেক আগে থেকে মানুষ যাতায়াত করে। এখানে আপনাকে সাবধানে দামাদামি করতে হবে। টমটম গাড়িগুলো খুব একটা পর্যটক বান্ধব নয় অনেকটা আমাদের মতই। আপনি বিদেশী আর প্রথমবার এসেছেন বুঝতে পারলে মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাবে। যেমন ধরুন শিলিগুড়িতে যদি আপনি বাসে আসেন, তাহলে যদি জংশন না নামেন তাহলে আপনাকে নামাবে সেট্রাল প্লাজাতে। এখান থেকে জংশন অর্থাৎ যেখানে গেলে আপনি গ্যাংটক, সিকিম সহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারবেন সেটার ভাড়া জনপ্রতি ১০ রুপি আর রিজার্ভ গেলে সবোর্চ ৫০ রুপি। প্রথমবার আমার কাছে চেয়েছিলো ২০০ রুপি। ভাগ্যিস আমি আগে স্থানীয়দের জিজ্ঞেস করে ভাড়া জেনে নিয়েছিলাম।
আমি চেষ্টা করব বিস্তারিত লিখার জন্য। আপনাকে আবারও ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
৮| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২৭
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই দাদা
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২
জাদিদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ দাদা।
৯| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৩৬
শায়মা বলেছেন: মেয়ের জন্য এই ভ্রমন আনন্দদায়ক ও আরামদায়কও হলো। মেয়ে মনে হচ্ছে লিডার হবে। অনেক দোয়া করি বাবুটার জন্য! অনেক ভালোবাসা!
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২
জাদিদ বলেছেন: হ্যাঁ আপু। ওর জন্য বলতে গেলে অনেক সুবিধা পেয়েছি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
১০| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
খুটিনাটি বিষয়ও গুরুত্বের সঙ্গে লিখেছেন।
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা জানবেন।
১১| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৯
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ভ্রমনে প্রিয়তমা স্ত্রী বিষয়ক কথা গুলো গুরুত্ব দিয়েন, যদিও এই ব্লগে কিছু উঠে এসেছে।
পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি। পোষ্ট পর্যবেক্ষনে রাখলাম।
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪
জাদিদ বলেছেন: তা তো বটেই। স্ত্রীর মর্জিই কর্তার ইচ্ছে ও শান্তি।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা জানবেন।
১২| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আপনার মেয়ের সাথে কথা বলে হাসতে চাই।
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৪৭
জাদিদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। অবশ্যই সামনে সুযোগ পেলে কথা বলতে পারবেন। একবার 'পেয়ে' বসলে বেশ বিপদ হবে। তখন মুক্তি পাওয়া কঠিন হবে।
১৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: সবে ঘুরে আসলেন!! একেবারে তরতজা ভ্রমন কাহিণী।
চলুক দেখি আমারটার সাথে মিলিয়ে দেখব- যেটা ছিল একই রুটে প্রায় দুই যুগ আগের
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:০৮
জাদিদ বলেছেন: হ্যাঁ। মাত্রই ঘুরে আসলাম। আমিও বেশ এক্সাইটেড দেখি আপনার অভিজ্ঞতার সাথে কতখানি মিলে।
১৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:১৭
বিষাদ সময় বলেছেন: চমৎকার লাগছে আপনার ভ্রমন কাহিনী । ঘ্রানে অর্ধভোজন এর মত লেখাতে অর্ধ ভ্রমন করে নিচ্ছি। ভারতে আমার শেষ ভ্রমন ১৯৮৩ তে। তার পর থেকে বলা যায় গৃহবন্দি।
আশা করি চিকিৎসা শেষে এখন ভাল আছেন । আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনায়।
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৪১
জাদিদ বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ আমার লেখা পড়ার জন্য। লেখা ভালো লাগছে জেনে খুশি হলাম।
আপনি তো প্রায় তিন যুগেরও বেশি আগে ভারতে গিয়েছেন। সেই সময়ের ভারত কেমন ছিলো আপনার কাছ থেকে জানতে পারলে ভালো লাগবে। এত দীর্ঘ সময় কি অন্য কোথাও বেড়ানো হয় নি? হ্যাঁ, চিকিৎসার ব্যাপারে কিছু প্রাথমিকা আলোচনা হয়েছে। সামনে আবার যেতে হবে। আপনারও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
১৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৩
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: চমৎকার লেখা এক নিঃস্বাসে পড়ে শেষ, পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ভাবীর কল্যানেই আজকের ভ্রমণ কাহিনীটা রচিত হলো তাতে কোনই সন্দেহ নেই। ভাবীজির প্রতি অনুরোধ থাকবে মাঝে মাঝে এরকম জাদিদ ভাইকে পাকড়াও করে এদিক ওদিক নিয়ে যাবেন। যাতে করে এরকম আরও ভ্রমণ কাহিনী সৃষ্টি হয় আর আমরা যাদের সময় সুযোগের অভাবে কোথাও যাওয়া হয়ে উঠে না তারাও দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাবার সুযোগটা পেয়ে যাই।
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:০০
জাদিদ বলেছেন: হাহা, মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন। জী, আপনাদের ভাবীর কারনেই 'সিল' টি খেতে হলো। উহার তিক্ত স্বাদের কথা বলে লাভ নাই, পরে শুনব তিক্ততাই নাকি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
১৬| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:০০
মিরোরডডল বলেছেন:
Belated happy marriage anniversary.
সুন্দরী সহযাত্রী আর পাশের সিটে স্ত্রী - কি ভয়াবহ কম্বিনেশন।
হুম বুঝেছি, সেইরকম স্যান্ডউইচ
জার্নিতো মেয়ের জন্য ভালোই স্মুদ হয়েছে।
আশা করি আগামি পর্বে আরও মজার কিছু থাকবে।
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
জাদিদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। আপনি সবচেয়ে মনযোগ দিয়ে পড়েছেন বুঝাই যাচ্ছে এবং আমার অবস্থা খুবই বাস্তব ও উপভোগ্য উপায়ে বর্ণনা করেছেন। আমি পুরো ক্লাব স্যান্ডউইচ হয়ে ছিলাম।
মেয়ে আমার লক্ষী। নানান পাকা পাকা কথা বলে আশে পাশের মানুষকে আনন্দ দিয়ে আমাদের জন্য অনেক কিছু সহজ করেছে।
১৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৪২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ছবিতো একটাও দেখতে পাচ্ছি না!! বাকিরা কি দেখতে পাচ্ছেন?
- ছবির অপেক্ষায় আপাততো পড়া বন্ধ রইলো।
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭
জাদিদ বলেছেন: ছবি তো দিয়েছি। কেন দেখতে পারছেন না বুঝতে পারছি না।
১৮| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ছবি দেখা যাচ্ছে না, জাদিদ ভাই।
ভ্রমণ কাহিনী পুরোটুকু পড়ে কমেন্ট করছি।
১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৩০
জাদিদ বলেছেন: শাইয়্যান ভাই, যাক সমস্যা সমাধান হয়েছে। আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না কেন ছবি দেখা যাচ্ছিলো না। উপরে তো দস্যু ভাইয়েরও একই অবস্থা হয়েছে।
১৯| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
এখন দেখতে পাচ্ছি!!!
১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৩৮
জাদিদ বলেছেন: গ্রেট।
২০| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: জাদিদ,
বেরসিক একজন ভ্রমনকারী!
পাশের সীটে বওয়া সহযাত্রীকে লৈয়া দশ পাতা ল্যাখা যাইতো ! ঢাহার থন শিলাগুরি পরযন্ত লম্বা হৈতে পার্তো এই ভেরমন কাহানী! কিন্তু বুজলাম না কিয়ের লিগা হেতির কতা চাইপ্পা গ্যালেন। বৌ এর ডরে ? হেতে কি ? আমরা আমরাই তো!!!!!!!!
চমৎকার ভাবে লেখা একটি ভ্রমন কাহিনী। লেখার ঢংয়ে একটানে পড়তে হয়েছে।
দেখা যাক পরের পর্ব আর কি আছে আমাদের জন্য!
১৪ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:২৫
জাদিদ বলেছেন: আহা। আমার কত ইচ্ছে ছিলো স্ত্রী বিহীন কোন যাত্রায় এমন সহযাত্রী পাবো!! কিন্তু কার যেন অভিশাপে আমাকে স্যান্ডুইচ হতে হলো। বউকে কেউ ডরায় না এমন কাল্পনিক গল্পে আমার বিশ্বাস নেই। হা হা।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় জি এস ভাই। পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।
২১| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৩৫
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
বেশ ভাল লাগল আপনার ভ্রমণ কাহিনীর প্রথম পর্বটি। দ্রুত দ্বিতীয় পর্ব পাবো বলে আশা করছি। ছবিগুলো একটা দেখতে পেলাম না বলে খারাপ লাগছে।
গ্রাম থেকে একবার ঢাকায় ফেরার পথে আমি এই বিপদে পড়ে ছিলাম, তখন ফেরি পারাপার ছিল, সারা রাত একটু ঘুমায়নি শুধুমাত্র ইজ্জত যাওয়ার ভয়ে কারণ আমি জানি যতই আমি হাজী সাব হই ঘুমের ভিতর কোনভাবে তার শরীরে স্পর্শ হলেই সব দোষ আমার হবে।
১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০২
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে শাহিন ভাই। পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন। আমার সহযাত্রী যথেষ্ঠ ভদ্র মহিলা ছিলেন। তিনি পর্যাপ্ত জায়গা করে দিয়ে আমাকে ঘুমানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
২২| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫৬
মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাইয়া,
বিবাহ বার্ষিকীর বিলম্ব শুভেচ্ছা নিন । আপনাদের জার্নিটার সাথে লাইফ ইজ বিউটিফুল এই কথাটির সার্থকতা খুঁজে পাওয়া যায় ।
মামনির জন্য অনেক ভালোবাসা ।
পরবর্তী পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ।
১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৫
জাদিদ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে ধন্যবাদ জানানোর জন্য। পাঠে কৃতজ্ঞতা।
২৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:১১
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:২২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পর্ব যেহেতু, সবগুলো পর্ব একসাথে জমা করে পড়ার জন্য রেখে দিলাম। খুচরা খুচরা পড়ে মজা পাই না।
আপাততঃ ম্যারেজ এনিভার্সারীর শুভেচ্ছা নিন।
১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৫
জাদিদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভুয়া মফিজ ভাই। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন। আশা করি পরের পর্বগুলোতে দেখা হবে।
২৫| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:২৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ঝরঝরে ভ্রমণ বয়ান ভালো লেগেছে। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। ছবি গুলি লুকোচুরি খেলছে, এই দেখা যাচ্ছে, আবার নেই হয়ে যাচ্ছে।
- এই পথে ভারতে যাওয়া হয়নি। এবার যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো, সিকিম পর্যন্ত। কিন্তু বাড়ির কাজ শুরু করাতে সব ভেস্তে গেলো।
১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৬
জাদিদ বলেছেন: একটু রিফ্রেস দিলে ছবিগুলো চলে আসবে।
লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। এই পথে ভারত যাওয়া মন্দ নয়। বাংলাদেশ থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত যদি যোগাযোগ আরো ভালো হত, তাহলে এই পথটা সেরা হতো।
২৬| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৪২
ঢাবিয়ান বলেছেন: খুব ভাল লাগল পড়ে। আপনার মেয়ের জন্য শুভকামনা রইল।
শিলাগুড়ির ছবির অপেক্ষায় রইলাম।
১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
জাদিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা জানবেন।
২৭| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মেয়ের কল্যানে ভারতীয় ইমিগ্রেশন অফিস থেকে দ্রুত কাজ শেষ করতে পেরেছেন। সহযাত্রী শিক্ষক দম্পতির আন্তরিক ভালো লেগেছে। দ্বিতীয় পর্বে দেখে এলাম শিলিগুড়িতে ওনারা আপনাদের লিফ দিয়েছেন।তবে শুরুতেই পাশের সিটের নারী সহযাত্রীর সম্পর্কে কৌতুহল থেকে গেল।
১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার কাছ থেকেও বেশ কিছু পরামর্শ পেয়েছি যা পরবর্তীতে আমাকে কাজে দিয়েছে।
আসলে পাশের সহযাত্রী সম্পর্কে আর কি আর বলব। তিনি সম্ভবত পাত্র দেখতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পাশে স্ত্রী কন্যা থাকায় তিনি খাঁটি মরিচের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, দুর্ভাগ্য তার আর কি। হা হা।
২৮| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা বউ না থাকলে এরকম সুন্দরীর সাথে ভ্রমণ ভীষনরকম এক্সাইটেড। কিন্তু বউ পাশে রেখে জার্নি রীতিমত.............
তোমার মেয়ের সাথে খুব জমবে মনে হচ্ছে। তার কল্যাণে ভালোই পার পাইলা...........
ভ্রমণ গাইডে ভালোলাগা।
শুভ বিবাহ বার্ষিকী।
১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০০
জাদিদ বলেছেন: আমার দুঃখটা আপনি একমাত্র বুঝতে পারলেন। পুরো জার্নিতেই আমার কন্যার কারনে ভালো সুবিধা পেয়েছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপা। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
২৯| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: যাক, এতো দ্রুত ভিসা পাওয়া, ভ্রমণে যাওয়া এবং ফিরে এসে গল্প পোস্ট করার জন্য স্যালুট স্যার। আমি এখনো ২০১৬ সালের ভ্রমণ পোস্টই লিখতে পারি নাই। হিংসা হচ্ছে আপনাকে।
আপনার মেয়ের ইমিগ্রেশন গল্প পড়ে মজা পেলাম। আশা করি ট্যুর ভালোই হয়েছে, যাই পরের পর্বগুলো পড়ে আসি।
১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০১
জাদিদ বলেছেন: ভাই, আপনার যে পরিমান ভ্রমন অভিজ্ঞতা অন্তত ভারতে সেই তুলনায় আমার অভিজ্ঞতা অতি নস্যি। সেই কারনে ঝটপট লিখে ফেলা। আপনাকে তো আরো স্যালুট। আমরা ব্লগে সারা জীবন আপনার ব্লগ ভ্রমন পড়ে এসেছি। আজকে আপনি আমারটা পড়বেন শুনে কেমন যেন লাগছে।
কৃতজ্ঞতা জানবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:৪৫
জোবাইর বলেছেন: ভ্রমণকাহিনী চমৎকার হয়েছে। পরের পর্বের প্রত্যাশায় রইলাম। ভারতে ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রতিটি লেখায় সব সময় ভিসা, চেক পোস্ট, ইমিগ্রেশন ইত্যাদি নিয়ে ভ্রমণকারীদের নেতিবাচক অভিজ্ঞতা ও অভিযোগ থাকেই। এই প্রথম আপনার লেখায় সব পজিটিভ পড়লাম। খুবই ভালো লাগলো। দেশের উন্নয়নের সাথে মানুষের মন-মনসিকতায়ও উন্নতির ছোঁয়া লেগেছে!