নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি আমার রাতবন্দিনী। ধূসর স্বপ্নের অমসৃণ সুউচ্চ দেয়াল তুলে তোমাকে আমি বন্দী করেছি আমার প্রিয় কালোর রাজত্বে। ঘুটঘুটে কালোর এই রাজত্বে কোন আলো নেই। তোমার চোখ থেকে বের হওয়া তীব্র আলো, আমার হৃদয়ে প্রতিফলিত হয়ে সৃষ্টি করে এক অপার্থিব জ্যোৎস্না।

জাদিদ

ব্যক্তিগত ব্লগ।

জাদিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

।। ভ্রমণ কাহিনী।। জঙ্গল, নদী, চা বাগানের দেশ হয়ে পাহাড়ের রানীর দেশে। পর্ব-২।।

১৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১:৫৯

প্রিয় পাঠক, এই ভ্রমণ কাহিনীতে খুব বেশি ছবি যুক্ত করতে পারছি না বলে দুঃখিত। মেমরী কার্ড জটিলতার কারনে আমার তোলা অধিকাংশ ছবি হারিয়ে ফেলেছি। মোবাইলে কিছু ব্যক্তিগত ছবির পাশাপাশি অল্প কিছু ভ্রমন সংক্রান্ত ছবি আছে। সেগুলো এখানে যুক্ত করার চেষ্টা করব।

।। নষ্টালজিক যাত্রা পথ।।
বর্ডার থেকে পাঁচ মিনিট দূরত্বেই কুচবিহার - জলপাইগুড়ি - শিলিগুড়ি হাইওয়ে। এখান থেকে শিলিগুড়ি, জলপাইগুঁড়ি যাবার বাসও পাওয়া যায়। গাড়ি বেশ দ্রুত চলছে। দুর দিগন্তে ভুটান বা নেপাল থেকে নেমে আসা ঘন মেঘের সারি দেখে মনটা কেমন যেন হুহু করে উঠলো। বুক ভরে একটা বড় নিঃশ্বাস নিলাম। বাতাসে দূর থেকে ভেসে আসা ভেজা মাটির গন্ধ। পথের দু ধারে ঘর বাড়ি, মানুষজন দেখে বুঝার ঠিক উপায় নেই যে আপনি ভারতে আছেন। মনে হচ্ছে বাংলাদেশের কোন এক মফস্বল শহরের পাশ দিয়ে যাওয়া মহাসড়ক ধরে যাচ্ছি।

বেশ কিছুদূর যেতে ড্রাইভার হঠাৎ ব্রেক কষে বললেন, দাদাবাবু আমি তো টোলের টাকা রিচার্জ করতে ভুলে গেছি। এই পথ দিয়ে গেলে আমার জরিমানা হবে তাই একটু ঘুর পথে যেতে চাই।

বিষয়টি হচ্ছে, ভারতের মহাসড়কে বিভিন্ন টোল আছে। সেই টোল প্রদানের একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা আছে, যেখানে টপআপ করে টোলের টাকা রাখতে হয়। ডিজিটাল পদ্ধতিতে টোল প্রদান না করলে সাধারন রেটের চাইতে কয়েকগুন বেশি টাকা পরিশোধ করতে হয়। এতে সুবিধা হলো, টোল নেয়ার জন্য দীর্ঘ লাইনের প্রয়োজন হয় না, ফলে মহাসড়কে জ্যাম হয় না।

আমি মনে মনে ভাবলাম, ভারতে যদি এই প্রযুক্তি প্রণয়ন করতে পারে, তাহলে আমাদের 'ডিজিটাল' বাংলাদেশে কেন তা সম্ভব নয়

সব শুনে শিক্ষক ভদ্রলোক বললেন, যাও, কিন্তু এর জন্য কি আবার বাড়তি খরচ দিতে হবে নাকি?
ড্রাইভার বলল, আপনারা ধনী মানুষ, আপনাদের দুই একশ রুপি বাড়তি খরচে তেমন কিছু হবে না। কিন্তু আমার জন্য এটা বেশ চাপের হয়ে যায়। আমার দাবি নেই, কিন্তু আপনারা বিবেচনা করে যদি মন চায় তাহলে অল্প কিছু বাড়তি দিয়েন।

এরপর আর কথা থাকে না। আমরা মুল সড়ক থেকে নেমে একটি তুলনামুলক ছোট সড়কে নেমে এলাম। এই পথ দিয়ে জলপাইগুড়িও যাওয়া যায়। জলপাইগুড়ির কথা মনে হতে কেমন যেন নস্টালজিক অনুভুতি হলো। সমরেশ মজুমদারের উপন্যাসের নায়িকা দীপাবলির কথা মনে পড়ে গেল। বড় আত্মবিশ্বাসী আর সাহসী এক চরিত্র, যার প্রেমে পড়েছিলাম। মানুষের মন কি অদ্ভুত! কল্পিত কাহিনীর চরিত্রের প্রেমেও পড়তে পারে। পথের দুই ধারে কিছুটা জঙ্গলের মত গাছ পালা আর ফাঁকা জায়গায় বিছিন্ন কিছু চা বাগান চোখে পড়ল। সমতলে চা বাগান দেখে কিছুটা অবাক হলাম। ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করে জানলাম, এই পাশেও চায়ের চাষ করে।

আমরা যে পথে যাচ্ছি, সেই পথের দুপাশে বড় বড় গাছের সারি আর মাঝে মাঝে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জংলা গাছপালায় ভর্তি। ড্রাইভার কার সাথে যেন ফোনে কথা বলছে। আমি দু পাশের চা বাগান আর প্রকৃতি উপভোগ করছি। মনে মনে ভাবলাম, ভালোই হলো হাইওয়ে ধরে না গিয়ে এই ছোট রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি। দীপাবলির শহরের পাশ দিয়ে যাওয়া হবে। বুকের ভেতর মনে হয় হৃদকম্পন কিছুটা অস্থির হতে শুরু করেছে।

হঠাৎ ড্রাইভার বলল, বেশি ঘুরে যেতে হবে না দাদা। ফোনে জেনে নিলাম, এই পথ দিয়ে বের হলে আবার রানারহাটের পাশ দিয়ে উঠে যেতে পারব। মনে মনে কিছুটা ব্যথিত হলেও আমার মেয়ের খিদা পেয়েছে শুনে ভাবলাম, ভালোই হয়েছে। হাইওয়ে দিয়ে গেলে দ্রুত পৌঁছে যেতে পারব। বলতে না বলতে আমরা শিলিগুড়ি হাইওয়েতে উঠে পড়লাম। রাস্তায় বিলবোর্ডে একটু পর পর ভারতীয় নায়ক নায়িকা, ক্রিকেটারদের ছবি আর পথের মোড়ে মোড়ে লটারি কেনার দোকান দেখে এই প্রথম বুঝলাম, আমি ভারতে আছি।

।।শিলিগুড়ি শহর।।
দুপুর দেড়টা নাগাদ আমরা শিলিগুড়ি শহরে পৌঁছে গেলাম। হোলির কারনে পুরো শিলিগুড়ি শহর প্রায় ফাঁকা। মাঝে মাঝে কিছু গাড়ি, বাস আর উদ্দাম গতির কিছু বাইকে প্রেমিক প্রেমিকারা রঙ মেখে ছুটে যাচ্ছে আর চিৎকার করে বলছে - হোলি হ্যায়!

ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনাদের এখানে কি বাংলা প্রধান ভাষা না?
ড্রাইভার বললো, দাদাবাবু, এখানে বাংলা, হিন্দি, নেপালী সব ভাষাই চলে। তবে বাংলার পাশাপাশি, নেপালী ভাষার প্রভাব কিছুটা বেশি।

এটার প্রমান আমরা পরবর্তীতে বেশ কয়েকবারই পেয়েছি। শিলিগুড়ির একদম প্রাণকেন্দ্রের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা মহানন্দা নদী শিলিগুড়ি শহরকে দুইভাগে ভাগ করেছে। অবশ্য নদীর উপর দিয়ে মহানন্দা ব্রিজ এই দুইভাগকে আবার মিলিয়েও দিয়েছে। এই ব্রিজে উঠার একদম আগে হিলকার্ট রোডে শিক্ষক দম্পত্তিকে তাদের পছন্দের একটি হোটেলে নামিয়ে আমরা বিদায় নিলাম। বিদায় বেলায় তাঁরা আমার কন্যাকে আবারও আদর করলেন এবং রংপুরের বাসায় বেড়াতে যাবার দাওয়াত দিলেন। আমরাও আমাদের ঠিকানা আর ফোন নাম্বার বিনিময় করলাম এবং ঢাকায় বেড়াতে গেলে আমাদের বাসায় যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলাম।

হোলি উপলক্ষ্যে এই দিন পশ্চিমবঙ্গে ছুটি থাকায় তেমন বেশি গাড়ি দেখা যাচ্ছিলো না। আমাদের ড্রাইভারকে দার্জিলিং পর্যন্ত যেতে অনুরোধ করেছিলাম। তিনি নানা ধরনের কারন দেখিয়ে যেতে রাজি হলেন না। আবার আমাদের উল্টো ভয়ও দেখালেন। বললেন, আজকে আপনারা গাড়ি পাবেন না আর পেলেও গাড়ি ভাড়া অনেক হবে। তারচেয়ে শিলিগুড়িতে কোন হোটেলে থেকে যান, তারপর দিন সকালে চলে যাবেন।

আমি কিছু বলছি না দেখে তিনি নিজের পরিচিত কিছু ড্রাইভারকে ফোন দিয়ে কথাবার্তার বলে বললেন, নাহ! আজকে গাড়ী হবে না। আর যারা যেতে চাইছে, তারা অনেক বেশি ভাড়া চাচ্ছে। এত ভাড়া দিয়ে কি যাওয়া ঠিক হবে?
আমি জিজ্ঞেস করলাম কত ভাড়া চাচ্ছে?
ড্রাইভার বলল, ৪০০০/৪২০০ রুপি।

আমি কিছু না বলে চুপ করে রইলাম। সত্যি বলতে আমি রাস্তাঘাটে তেমন কোন গাড়ি দেখতে পাচ্ছিলাম না। পথে যে একটা স্ট্যান্ড ফেলে এলাম, সেখানেও খুব বেশি একটা গাড়ি দেখিনি। তাই সত্যি বলতে কিছুটা চিন্তা হচ্ছিলো। তারপর ড্রাইভার আবার বলল, আপনারা যদি আজকেই যেতে চান, তাহলে আমি আমার এক বন্ধুকে রিকোয়েস্ট করে ৩৬০০/৩৭০০ রুপির মধ্যে আপনাদের জন্য একটা গাড়ি ম্যানেজ করে দেয়ার চেষ্টা করতে পারি।

আমি এবারও কিছু না বলে চুপচাপ হয়ে বসে রইলাম। মহানন্দা ব্রিজ পার হয়ে সামনে কিছুটা এগিয়ে যেতেই গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়লাম। ড্রাইভার বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো, এখানে নেমে যাচ্ছেন যে?
বললাম, দেখি, আজকে মনে হয় না আর যাবো। তারচেয়ে একটু শহর ঘুরে মার্কেটে যাবো। পরে কোন একটা হোটেলে উঠব। আপনি বরং চলে যান, নাম্বার তো রইলোই।

ড্রাইভার আমার দিকে বেশ কিছুক্ষন অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে তারপর চলে গেলো। আমি সামনে হাটা দিলাম। সত্যি বলতে আমার কখনই এটা বিশ্বাস হচ্ছিলো না যে, আজকে গাড়ি পাওয়া যাবে না কিংবা পেলেও তার ভাড়া এত বেশি হবে। আমি যেখানে নেমে গেলাম, সেখান থেকে এসএনটি (সিকিম যাবার পারমিশন নেয়ার জায়গা), জংশন আর শিলিগুড়ি সরকারী বাস স্টেশন ২ মিনিটের পথ। এই জংশনে গ্যাংটক, সিকিম, দার্জিলিং সহ বিভিন্ন জায়গায় যাবার রিজার্ভ ট্যাক্সি, শেয়ার্ড ট্যাক্সি এবং বাস পাওয়া যায়। তবে এখানে প্রচুর দালাল থাকে। এদের হাতে পড়লে আপনার আর্থিক ক্ষতি সহ সকল ঘোরাঘুরি প্ল্যান নষ্ট হতে পারে। তাই আমি ঢাকা থেকে রওনা হবার সময় পরিকল্পনা করেছিলাম যে জংশনের আগেই নেমে যাবো। ড্রাইভারের কথাবার্তা শুনে আমার সন্দেহ হবার কারনে আমি আরো আগেই নেমে পড়েছিলাম।

শিলিগুড়ির শুধু যে জংশনেই আপনি দার্জিলিং, সিকিম বা গ্যাংটক যাবার ট্যাক্সি বা জীপ পাবেন তা কিন্তু নয় বরং এই এই রাস্তার আশেপাশে আরো ট্যাক্সি স্ট্যান্ড আছে সেখান থেকেও আপনি জীপ রিজার্ভ করতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে যারা শ্যামলী পরিবহনের ডাইরেক্ট গাড়িতে শিলিগুড়িতে যান, তারা সবাই হোটেল সেন্ট্রাল প্লাজার সামনে নামেন। এটা থ্রি স্টার মানের একটি হোটেল। আসার সময় এই হোটেলে আমি এক রাত ছিলাম। এই হোটেলের সামনে থেকেও চাইলে আপনি দার্জিলিং বা গ্যাংটক কিংবা সিকিমের জন্য গাড়ি ভাড়া করতে পারবেন।

শেষমেষ কোন সমস্যা ছাড়াই আমি জংশনের প্রায় ২০০ গজ আগের আরেকটা স্ট্যান্ড থেকে দার্জিলিং এর জন্য গাড়ি ভাড়া করি। ২২০০ রুপিতে আমি দার্জিলিং এ যে হোটেল ঠিক করেছি, আমাকে সেখানে নামিয়ে দিবে এবং পথে আমাদের চাহিদা অনুসারে যে কোন ভিউ পয়েন্ট বা লাঞ্চের জন্য থামাবে।

আমার মেয়ের তো খিদে আগেই পেয়েছিলো, তাই তার জন্য কিছু স্ন্যাক্স আইটেম কিনতে গিয়ে আমাদের জন্যও কিছু স্ন্যাক্স কিনে আনলাম। মোট ১২০ রুপিতে যে স্ন্যাক্সগুলো কিনলাম তা বাংলাদেশে কিনতে গেলে আমার প্রায় সাড়ে তিনশ টাকার বেশি খরচ হতো।

রোশান নামের এক নেপালি বংশোদ্ভূত ড্রাইভার যখন অমায়িক এক হাসির মাধ্যমে আমাদের নিয়ে দার্জিলিং এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করল, ততক্ষনে ঘড়িতে প্রায় বেলা আড়াইটা বেজে গেছে। আর আমি অনাগত পথের সৌন্দর্য দেখার উত্তেজনায় আচ্ছন্ন হয়ে আছি।

চলবে...।
।। ভ্রমণ কাহিনী।। জঙ্গল, নদী, চা বাগানের দেশ হয়ে পাহাড়ের রানীর দেশে। পর্ব- ১।।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ ভোর ৫:০০

কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনার ভ্রমণ কাহিনী পড়ে ভাল লাগল! আমি একবার সড়ক পথে দেশ ভ্রমণ করেছিলাম, আমি গাড়ি দিয়ে ম্যাক-ইয়ং নদী পার হয়ে থাইল্যান্ড থেকে লাউস গিয়েছিলাম, আমার কোন ভিসা ছিলনা, সীমান্তে কিছু মালপানি দিয়ে ইমেগ্রেশন পার হয়েছিলাম!
আপনার কাহিনী পরে সেই ঘটনা মনে পরে গেল!

ভারতে নেপালি ভাষা চলার কারণ কি? ভারতের ভিসার জন্য কি এমবাসিতে যেতে? আমি প্রসেসটা জানতে চাচ্ছি। ফ্যামিলিসহ ভ্রমণ করা কতটা নিরাপদ সেখানে?

১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

জাদিদ বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আমি তো ভাবতাম শুধুমাত্র বাংলাদেশের সীমান্তেই এইভাবে মাল পানি দিয়ে পার হওয়া সম্ভব, এখন দেখছি, এটা তো প্রায় আন্তর্জাতিক রীতি রেওয়াজ =p~

একটা সময় নেপালের গোর্খা বা গুর্খা যাই বলি না কেন, এই জাতি বেশ আক্রমনাত্বক ছিলো। একটা সময় শিলিগুড়ির সমতলের অংশ নেপালী গুর্খা দ্বারা শাসিত হতো। সেই কারনে এখানে নেপালি সংস্কৃতির বেশ প্রভাব দেখা যায়। তাছাড়া নেপালের বর্ডারও এখানে খুব কাছে।

বাংলাদেশ থেকে ভারতের ভিসার জন্য আপনাকে অবশ্যই হাইকমিশনের অ্যাপ্লিকেশন জমা নেয়ার নির্ধারিত স্থানে যেতে হবে। আমি ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে (আইভিএসি) গিয়েছিলাম।

আপনি যেভাবে ভারতীয় ভিসা ফর্ম ফিলাপ করবেনঃ
১। প্রথমে এই সাইটে চলে যাবেন। এখান থেকে ভিসা ফর্ম ফিলাপ করবেন।
২। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফর্ম পুরন করার সময় আপনার বর্তমান ঠিকানার প্রমান পত্র হিসাবে বাসার যে কোন ইলেক্ট্রিক বিল বা পানির বিলের কপি লাগবে। এবং এখানে যে ঠিকানা যেভাবে, যে বানানে লেখা আছে, ঠিক সেইভাবেই লিখতে হবে।
আর স্থায়ী ঠিকানা পাসপোর্টে যেভাবে আছে, ঠিক সেভাবেই ফিলাপ করতে হবে।
৩। যে ছবি আপলোড করবেন, প্রিন্ট করে সেই ছবিই নিতে হবে। অন্য ছবি নিলে হবে না।
৪। ইন্ডিয়ার রেফারেন্স নাম্বার হিসাবে যে হোটেল ঠিক করবেন, সেই হোটেলের নাম্বার আর ঠিকানা দিলেই হবে। তবে এই হোটেলেই যে আপনাকে গিয়ে থাকতে হবে এমন কিছু না। তবে ভারত থেকে আসার সময় যে হোটেলে ছিলেন, সেই হোটেলের একটা কার্ড বা বিলের কপি সাথে নিয়ে আসবেন। ইমিগ্রেশনে চাইতে পারে, বিশেষ করে সড়ক পথে এটা ছাড়া আসতে গেলে ঝামেলা করে।
৫। এরপর আপনার অফিসের এনওসি লাগবে অথবা ব্যবসা করলে ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স লাগবে।
৬। বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীদের ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করতে কোন ভিসা ফি নেই। তবে আবেদনপত্র প্রতি ভিসা প্রসেসিং ফি হিসাবে ৮০০ টাকা দিতে হবে।

সব ঠিক থাকলে ৭ - ১০ দিনের মধ্যেই ভিসা পেয়ে যাবেন। উল্লেখ্য, আপনি কোন পোর্ট দিয়ে যেতে চান, সেটা যুক্ত করে দিতে হবে। একজন আবেদনকারী এমনিতে ৪ টা পোর্ট বাই ডিফল্ট পায়। বেনাপোল, বিমান, আগরতলা, গ্যাদে রেল ও সড়ক।

আমি ভারতের অন্যান্য শহরের কথা বলতে পারব না, তবে কলকাতা বা শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং এর মত জায়গায় আমি নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোন সমস্যা দেখি নি। যে কোন প্রয়োজনে পুলিশ যথেষ্ট আন্তরিকভাবেই সাহায্য করেছে।

২| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:০৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: টাটকাভ্রমণ গল্প বেশ লাগল। দুই পর্ব এক সাথে পড়লাম।
চেনা দৃশ্যগুলো ভাসল চোখে নতুন করে। কিছুটা জমজমাট ব্যাস্ততা এখন আগের চেয়ে। সব জায়গায় এইটুকু যোগ করে নিলাম কল্পনায়।
ছবি ছাড়া লেখা পড়ে ভাবতেই ভালোলাগে আমার।

১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

জাদিদ বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানবেন আপু। ছবিগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বেশ কষ্ট পেয়েছি। ব্লগে ছবি ছাড়া ভ্রমণ ব্লগ কিছুটা পানসে লাগে।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:৫৫

সোনাগাজী বলেছেন:




ড্রাইবারের সততার অভাব ছিলো।

১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

জাদিদ বলেছেন: হ্যাঁ, আসলে পর্যটন প্রধান অঞ্চলে এইগুলো স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে সৎ ড্রাইভারও আমরা পরবর্তীতে দেখেছি।

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: জাদিদ,




থ্রিলিং.............।
পশ্চিম বঙ্গের লেখকদের লেখায় শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ির যে নান্দনিক সৌন্দর্য্যের বর্ণনা পড়েছি সেই সব জায়গাতে আপনি গাড়ীতে বসে আরামসে স্নাকস খেতে খেতে আর সিগ্রেট টানতে টানতে যাচ্ছেন দেখেই হিংসে হলো খুব। :|

সুযোগ থাকতেও এই মহাবেকুব কোনও সময়েই আপনাদের মতোন করে কোথাও কেন যে হারিয়ে যেতে পারেনি........ :((

১৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:২৫

জাদিদ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন জী এস ভাই। এই সব লেখকদের বই পড়ার কারনে অদ্ভত একটা অনুভুতি কাজ করছিলো! আরামসে স্ন্যাক্স খেয়েছি সেটা ঠিক আছে কিন্তু এত সুন্দর পরিবেশে সিগ্রেট আর টানতে পারি নি। পিছনে বৌ বাচ্চা থাকায় শুকনো মুখেই দার্জিলিং গিয়েছি। :(

আর সুযোগের কোন শেষ নেই। আজকে থেকেই প্রস্তুতি নিন। আপনি আরো গভীরে হারাতে পারবেন।

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:১৬

কামাল১৮ বলেছেন: কুচবিহার শহর একটি বেতিক্রমি সহর আশির দশকে যখন গিয়েছিলাম তখন দেখেছি শহরের সকল রাস্তা সরল রেখার মতো কোন বাঁকা রাস্তা নাই ।এক বন্ধুর বাড়ী গিয়ে ছিলাম ১৫/২০ দিন ছিলাম।রাজার হাতির চলাচলের জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা।রাজ বাড়ীটি দেখার মতো।দিনহাটায় গিয়েছি যেখানে আমাদের এরশাদ সাহেবের বাড়ী ছিলো।
আপনার ভ্রমন বিতান্ত পড়ে অনেক কথা মনে পড়ে গেলো।কলকাতা থেকে ট্রেনে গিয়ে ছিলাম।।বন্ধুটি এখন বাংলাদেশে স্থায়ী।আমাদের সাথেই পড়তো।
আপনাদের এখনই বয়স ঘুরে বেড়ানোর।ডাউকি দিয়ে শিলং গোয়াহাটি বেড়াবার মতো ভালো যায়গা।আমি প্রায় সারা ভারত ঘুরেছি।বেড়ানো আমারএকটা শখ ছিলো।

১৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৫১

জাদিদ বলেছেন: কামাল ভাই, আপনাকে তো কখনও কিছু লিখতে দেখি না। সম্ভব হলে লিখবেন, অনেক কিছু জানার আছে। যদি কোন সহযোগিতা লাগে, তাহলে জানাবেন। ডাউকি দিয়ে পার হলেই আমার আফসোস লাগে। কি সুন্দর ও পাশে! আর আমাদের এই পাশে কি অবস্থা।

ভারত একটা বিশাল দেশ। বিশাল অভিজ্ঞতা আপনার!

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:০৭

অনামিকাসুলতানা বলেছেন: লেখাটা পড়ে আমার ও ভ্রমণে বেড়িয়ে পড়তে ই চ্ছে করছে।

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৫২

জাদিদ বলেছেন: বেড়িয়ে পড়ুন!! ইচ্ছে করলেই হবে।

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২৬

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: অসাধারণ! পরের পর্বের অপেক্ষায়!

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

জাদিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। পাঠে কৃতজ্ঞতা।

৮| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ভ্রমণ কাহিনী বেশ প্রাঞ্জল ও সাবলীল হচ্ছে, পড়ে মোটামোটি ঘরে বসেই ভ্রমণের স্বাদ পেয়ে গেলাম।

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আমি কিছুটা পুরানো ভ্রমন কাহিনীর মত করে এই পর্ব লেখার চেষ্টা করছি।

৯| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল ভাষায় সুন্দর লিখেছেন।
ভ্রমন কাহিনী আমার ভীষন ভালো লাগে। কেউ যদি চমৎকার করে ভ্রমন কাহিনী লিখতে পারেন, মনে হয় যেন নিজেরই একটা ভ্রমন হয়ে গেলো।

যাইহোক এই পোষ্টের সাথে কিছু ছবি দেওয়া গেলো দারুন এবং অত্যন্ত মনোরম একটা ভ্রমন কাহিনী হতো। হ্যাঁ আপনি লেখার শুরুতেই বলেছেন ছবি সমস্যা নিয়ে।

আমার কাছে ছবি ছাড়া ভ্রমন কাহিনী হচ্ছে মাংস ছাড়া তেহারির মতন। তবে আপনি সুন্দর করে লিখে ছবির অভাব অনেকখানি কমিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন।

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমিও তাই মনে করি, ছবি ছাড়া ভ্রমন কাহিনী হচ্ছে মাংস ছাড়া তেহারীর মত। আমি কিছুটা পুরানো ভ্রমন কাহিনীর আদলে লেখার চেষ্টা করছি, তাই লেখাই একমাত্র সম্বল। এই ভ্রমন কাহিনীর শুরুতে আমি চিন্তা করি নি যে, এই বিষয়ে লিখব, তাই ছবির সংকট আরো প্রকট হয়ে ধরা পড়ছে।

১০| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৫৪

জোবাইর বলেছেন: বাংলাদেশের অনেক গুনীজনের জন্ম হয়েছিল আপনার আজকের নষ্টালজিক যাত্রাপথের কুচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায়। আব্বাস উদ্দীন, ফেরদৌসী রহমান, হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের জন্ম কুচবিহারে এবং রাজনৈতিক সাইফুদ্দীন মানিক, অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের জন্ম জলপাইগুড়িতে। সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের জন্মও জলপাইগুড়িতে। তাই তাঁর সাহিত্যকর্মে জলপাইগুড়ি বিশেষ স্থান পেয়েছে।

ভবিষ্যতে আমার দার্জিলিং যাওয়ার ইচ্ছা আছে। আপনার বর্ণনাকৃত অভিজ্ঞতা ও তথ্যগুলো কাজে আসবে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ২য় পর্ব দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার ভ্রমণের স্থানগুলোর অবস্থান ও ধারাবিহিকতা পাঠকের বুঝার সুবিধার্থে আমি এখানে গুগল ম্যাপের অংশবিশেষ যোগ করে দিলাম।


১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:০০

জাদিদ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। এই সকল সাহিত্যিকদের কারনেই জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়িকে বেশ আপন বলে মনে হয়। এই পোর্ট দিয়ে দার্জিলিং যেতে চাইলে বা দার্জিলিং শহরের হোটেল সম্পর্কে ধারনা চাইলে আপনি আমাকে যে কোন সময় জানালেই হবে। আমি যতটা সম্ভব ধারনা দেয়ার চেষ্টা করব।

ছবিটা দেয়াতে খুব ভাল হলো। আমার মাথায় থাকলে আমি নিজেই যুক্ত করে দিতাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১১| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৩

জোবাইর বলেছেন: উপরের ছবিটি বেশি ছোট হয়ে গেছে, তাই এখানে আবার দিলাম।

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:০০

জাদিদ বলেছেন: চমৎকার। এখান থেকে যাত্রাপথটা বেশ সুন্দর বুঝা যাচ্ছে।

১২| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আরে! আপনি সেদিন কথা বলতে বলতেই চলেও এলেন। ফাইন।এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাক আছে। দারুণ ভাবে স্নাকস যোগে গাড়িতে চাপলেন।একটু ভমেটিং হতে পারে।দেখি এখন পরের পর্বে কি হয়.....

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:০১

জাদিদ বলেছেন: হ্যাঁ, দার্জিলিং যাবার পথে কিছু জায়গা আছে, যেখান থেকে খাড়া পথ শুরু হয়, সেখানে মুলত কিছুটা মাথা ঘোরায়। আমার কন্যা বমি করে দিয়েছিলো।

১৩| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

ঢাবিয়ান বলেছেন:



আপনি ছবি দেননি, তাই অনলাইন ঘেটে দুটো ছবি এড করলাম। সমরেশের বইগুলোর কাহিনীগুলোতে শিলাগুড়ি, জল্পাইগুড়ির কথা থাকতোই। খুবই নস্টালজিক জায়গা। আমাদের তারুন্যে হ্রদয়ে ঝড় তোলা প্রিয় উপন্যাসের নায়ক নায়িকারা এই এলাকাগুলোতেই বিচরন করত।

১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

জাদিদ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ছবিগুলো যুক্ত করার জন্য। এটাই হিল কার্ট রোডের মাথা। এখান থেকে মহানন্দা ব্রিজ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।

১৪| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

ঢাবিয়ান বলেছেন:

১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

জাদিদ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। ছবি দিতে না পেরে আমার নিজেও বেশ খারাপ লাগছিলো। প্রথমত ভ্রমনের সময় ভাবি নি যে ভ্রমন কাহিনী লিখব, তাই সেভাবে খুটিয়ে ছবি তোলা হয় নি আর মেমোরী কার্ডের সমস্যার কারনে যে সকল ছবি তুলেছিলাম সেগুলোও হারিয়ে গেছে।

শিলিগুড়ি যাবার পথে ভেতরের রাস্তায় এমন সুন্দর বেশ কিছু চা বাগান চোখে পড়েছে।

১৫| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

বিষাদ সময় বলেছেন: সাবলীল এবং মনোমুগ্ধকর বর্ণনা। ++

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:০২

জাদিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য।

১৬| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কত গল্প পড়েছি এইসব এলাকার।
চমৎকার ভ্রমণ বর্ণনা।

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:০৯

জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

১৭| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:০৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: চমৎকার, ধন্যবাদ আপনাকে বিস্তারিত তথ্যের জন্য। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভিসা প্রসেস সহজ মনে হচ্ছে,
ভবিষ্যতে তথ্যগুলো কাজে লাগবে।

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:১৯

জাদিদ বলেছেন: হ্যাঁ, ভিসা প্রসেস তুলনা মুলক সহজ এবং ঝামেলা বিহীন।

১৮| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:০২

সোহানী বলেছেন: সবখানেই নতুনদের পেলে ড্রাইভাররা এ চোট নেয়। আমি মনে হয় এক লিখায় বলেছিলাম যে, সুইজারল্যান্ডে একবার এয়ারপোর্ট থেকে ট্যাক্সি নিলে দেড় ঘন্টা ঘুরায়ে ৫ মিনিটের হোটেলে পৈাছে দিয়েছে, কয়েক'শ সুইস ফ্রা ভাড়া দিয়েছিলাম.............হাহাহাহাহা

তোমার লিখাটা ভালো গাইড হবে নতুনদের জন্য। তবে তোমার মতো এতো ভাগ্য ভালো মনে হয় সবার হয় না।

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৪৯

জাদিদ বলেছেন: হ্যাঁ, এটা ৯০% ড্রাইভারদের অবস্থা। আমি আসলেই ভাগ্যবান, সুন্দর করে ঘুরে আসতে পেরেছি।
যদি লেখাটা পড়ে কারো উপকার হয়, তাহলে খুব খুশি হবো।

১৯| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:০৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ওয়াও! ব্যাটা ড্রাইভার এর ধান্দা আপনি ভালো হয়েছে ধরতে পেরেছিলেন। শিলিগুড়ির কথা আসলে আমার অনি আর দীপাবলি দুজনকেই মনে পড়ে যায়। আমার প্ল্যান আছে শুধু ডুয়ার্সের দিকে একটা ছোটখাটো ট্যুর দেয়ার, সময় সুযোগ পেলে। গল্প চলুক, সিরিজের সাথে আছি। ++++

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫১

জাদিদ বলেছেন: প্রিয় বোকা মানুষ ভাই, আপনার অনেক পরামর্শ আমার মনে ছিলো। আমি আসার আগে অনেক ইন্ডিয়ান ট্রাভেলারদের ভ্লগিং দেখলাম। তাদের ভাড়ার গাইডেন্স কাছে এসেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.