নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস রচনার সমস্যা" -বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আলী রীয়াজ একবার বলেছিলেন, ‘ইতিহাসের সঙ্গে ক্ষমতার একটা সম্পর্ক আছে। সে ক্ষমতায় যারা বিজয়ী হয়, তারাই ইতিহাস রচনা করে। পরাজিতরা ইতিহাস রচনা করে না।'
এখন প্রশ্ন দাঁড়ায় - বাংলাদেশের মত একটি আবেগী রাজনৈতিক মতাদর্শের দেশে কি আদৌ একটি সত্যিকার নিরপক্ষে ইতিহাস রচনা করা সম্ভব? কিংবা ধরুন কারো ছবি বা মুর্তি ভেঙ্গে কি আপনি তাকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে পারবেন? গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ কি পেরেছে হাজারো চেষ্টা থাকা স্বত্তেও প্রেসিডেন্ট জিয়াকে এই দেশের হাজারো মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে? বা খালেদা জিয়া সম্পর্কে প্রচন্ড তীব্র নেতিবাচক কোন ধারনা সৃষ্টি করতে?
আমার মনে হয় আমাদের বর্তমান সরকার বেশ লোক দেখানো অপ্রয়োজনীয় কাজ করছে, যেটার আদতে কোন সুবিধা বা মুল্য নেই। যেমন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ছবি বঙ্গভবন থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আমি নিশ্চিত এই কাজটি হয়েছে মুলত ছাত্র সমন্বয়কদের চাপে। বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তহীনতা এবং অপ্রয়োজনীয় আচরন দেখে মনে হয় আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বা সংশ্লিষ্ট আরো বেশ অনেকেই ছাত্র সমন্বয়কদের সিদ্ধান্তের কাছে এক ধরনের জিম্মি। এই সরকারের কোন সুষ্ঠ সংস্কার পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত আমার নজরে এখন পর্যন্ত আসে নাই। যদিও ফেসবুকে সবচেয়ে বড় সংস্কারের উদহারন ছিলো - মেয়ে ফুটবলাররা জিতে আসার পর ছবি তোলার পজিশন আর শুভেচ্ছা জানানোর স্টাইলে। কিন্তু বাস্তবে ফেসবুকে তরুন উপদেষ্টাদের অসৌজন্যমুলক আস্ফালন আর আওয়ামী লীগ সংক্রান্ত হুমকি ধামকি ছাড়া দৃশ্যমান তেমন কিছু আমি লক্ষ্য করিনি।
এই সরকারকে বুঝতে হবে, তাদের রাজনৈতিক সমর্থনটি পরগাছা টাইপের। অর্থাৎ এই সরকারের নিজস্ব কোন রাজনৈতিক ফোর্স নেই। ব্যাপক জনসমর্থন নেই। আজকে শুধু বিএনপি যদি রাজনৈতিক সমর্থন তুলে নেয় - এই সরকার আগামী এক মাসও ঠিকভাবে টিকতে পারবে না। শুনতে খারাপ শোনাবে কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো যখন সমর্থন তুলে নিবে, তখন এই ছাত্র সমন্বয়করা কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হবেন, সেটা নিঃসন্দেহে ভালো কোন অভিজ্ঞতা হবে না।
আমি রাজনৈতিক দল হিসাবে বিএনপিকে ধন্যবাদ জানাই তাঁরা এই কঠিন সময়ে একটি ম্যাচিউর রাজনীতি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ভবিষ্যতে কতখানি এই ধারা তারা ধরে রাখতে পারবে আমার ধারনা নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নিজ দলে নানা রকম উগ্রবাদী চেতনার উস্কানী থাকা স্বত্তেও তাদের নেতারা বর্তমান পরিস্থিতিটি বেশ ভালো ভাবে হ্যান্ডেল করতে পেরেছে বলে আমার ব্যক্তিগত ধারনা।
পরিশেষে, আমি একজন সাধারন মানুষ হিসাবে মনে করি - আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক স্বত্তার মৃত্যু হয়েছে। এই ইমেইজ ফিরে পাওয়া কঠিন। ফেসবুকে স্বস্তা স্ট্যাণ্ডবাজি আর বড় বড় কথা দিয়ে মাঠের রাজনীতি চলে না। তাই তাদের উচিত নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যত সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করে, সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা ঠিক করে, প্রয়োজনে সরকারের সাথে যথাযথ কমিউনিকেশন করে বাংলাদেশের প্রয়োজনে সঠিক পদক্ষেপ নেয়া। মনে রাখতে হবে, প্রকৃত রিসেট আওয়ামী লীগের দরকার - বাংলাদেশের নয়।
শুরুতে বলেছিলাম, ইতিহাস বিজয়ীরা লিখেন। উইনস্টন চার্চিলের নামে এই বানী চালানো হলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি এই ধরনের কিছু বলেন নি বলেই জানা যায়। মুল উক্তিটি করেছিলেন জর্জ অরওয়েল ( অ্যানিমেল ফার্মের লেখক)। তিনি বলেছিলেন, যারা সফল হয় তারাই ইতিহাস লিখে। - আমি এটাই বিশ্বাস করি।
১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। আমি আসলে বিষয়কে কোন নির্দিষ্ট দলের প্রতি ফেভার বা অনুকম্পা হিসাবে দেখছি না। আমি দেখছি বর্তমান প্রেক্ষাপটে দলটির রাজনৈতিক প্রজ্ঞার বিষয়কে। তারা অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক এড়িয়ে চলতে চাইছে।
২| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫১
মায়াস্পর্শ বলেছেন: বিজয়ীর লেখা ইতিহাস গ্রহণযোগ্যতায় কম প্রাধান্য পায়।
মজলুমের মুখ নিঃসৃত ইতিহাস হয়তো কিতাবে স্থান পায়না তবে মানুষের মনে দাগ কেটে দিতে পারে, বিপ্লবের আগুন ধরিয়ে দিতে পারে ।
৭ম অনুচ্ছেদে যা লিখেছেন তা মন থেকে সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারবে বলে মনে হয়না।
আওয়ামীলীগের অপকর্মগুলো সব ছিল ওপেন সিক্রেট। তাদের রিসেট বাটন আছে কিন্তু তাদের শাসনতন্ত্রের মৌলিক উপাদান স্বৈরতন্ত্র আর লুটপাট। কাজেই তাদের রিসেট বাটন চাপলে আবার একই ধারা ঘুরে আসবে।
১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য। গত কয়েক বছরে মজলুমের আর্তনাদ যেভাবে জমেছে সেটা অনেক সময় হয়ত ইস্রাফিলের ঐ সিঙ্গাকেও ছাড়িয়ে যাবে। শুধু রাজনৈতিক মতাদর্শের জন্য বিরোধীমতের উপর দমন পীড়ন হয়েছে সেটা জুলুমের সবচেয়ে প্রায় নিকৃষ্ট উদহারন হিসাবে ইতিহাসে টিকে থাকবে।
আমি একটি প্রত্যাশা করি, ভালো কিছু হবার, প্রকৃত সংস্কার হবার। যার যা সম্মান তার সেটা পাওয়ার। কাউকে জোর করে কোন কাল্ট ক্যারেক্টার বানানোতে আমার যেমন আপত্তি আছে, তেমনি কারো যেটা প্রাপ্য সম্মান সেটাও তাকে দিতে হবে সেটা আমাদের পছন্দ না হলেও। এতেই সম্ভবত একটি ব্যালেন্স তৈরি হবে, সহনশীলতার ব্যালেন্স।
৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ইতিহাস লেখায় বিজয়ীদের প্রাধান্যতাই বেশি থাকে এবং সেটাই বাস্তবতা। বিগত ১৬ বছরের খুন, গুম, হত্যা, নির্যাতন, ব্যাংক লুট, বিদেশে টাকা পাচার, চাঁদাবাজি, দখলদারী সবই হয়তো একদিন ইতিহাসে ঠাঁই পাবে। এখন বিজয়ীরাই ইতিহাস লিখবে।
১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫০
জাদিদ বলেছেন: হ্যাঁ। বিজয়ীদের দায়িত্ব থাকে। যদি তারা দায়িত্ব নিয়ে কাজ না করে তখন তা সফল হয় না। আর সফলরাই মুলত ইতিহাস লিখে।
৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কিছুটা সহমত, কিছুটা দ্বিমত। যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে সেটা ছাত্রদের ত্যাগ দিয়েই শুরু হয়েছিল। পরে বিএনপি-জামায়াত সাধারণ জনতা যোগ দিয়েছিল। কোন ছাত্রদল বা বিএনপি নেতা ১ দফা দেয়নি, কারফিউ অমান্য করার ঘোষণা দেয়নি। তাই ছাত্রদের সেন্টিম্যান্টকে গুরুত্ব দেয়া যেতেই পারে। শুধুমাত্র বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বা সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য এত ছাত্র প্রাণ দেয়নি এটা মাথায় রাখতে হবে। হাসনাত, সারজিসের বাড়াবাড়ি আমারও ভাল লাগে না। তাদের ক্লাসে ফেরত যাওয়া উচিত বলেই মনে করি। কিন্তু ২ দিন আগে আওয়ামীলীগ যে ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামতে বলেছিল, সেসব মোকাবেলার জন্য হাসনাত, সারজিসদের মাঠে থাকার দরকার আছে বৈকি!
মৃত বঙ্গবন্ধুর এই পরিণতির জন্য শেখ হাসিনাই দায়ী...
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০১
জাদিদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে আমি মোটাদাগে একমত।
তবে আমার যতটুকু দেখা মাঠের আন্দোলনকে দেখা, একদম কাছে থেকে আমি সেখানে দেখেছি রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহন। বিশেষ করে শহীদ মিনারে হাজারো শিক্ষার্থীরা ছিলেন, কিন্তু তাদের আশেপাশে তাদের ঘিরে যে বিশাল জমায়েত সেটা রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহনের কারনেই হয়েছে। এটা আমার নিজস্ব চোখে দেখা আমাদের ব্লগের কয়েকজন ব্লগারও এই ঘটনার সাক্ষী হিসাবে আছেন।
হাসনাত, সারজিসের বাড়াবাড়ি আমারও ভাল লাগে না। তারা ক্লাসে ফিরে গেলেই সবচেয়ে ভালো হতো।
আর হ্যাঁ! মৃত বঙ্গবন্ধুর এই পরিণতির জন্য শেখ হাসিনাই দায়ী... এটা শতভাগ সত্য।
৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৬
অরণি বলেছেন: আন্দলনের অবদান ছাত্র ও জনতার। এখানে বিএনপি বা জামাতের কোন অবদান নেই।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৬
জাদিদ বলেছেন: আমার মনে হয় না। এখানে সাধারন ছাত্রদের ভুমিকা আছে। সেই সাথে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে শিবিরের যুক্ত হবার বিষয়টি ইতিমধ্যে নানাভাবে সামনে আসছে।
৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৮
তানভির জুমার বলেছেন: অথর্ব কিছু লোক দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে। এদের দিয়ে তেমন কোন পরিবর্তন হবে না। অনেক অপ্রয়োজনীয় কাজ নিয়ে এরা ব্যস্ত। ছাত্র সমন্বয়কদের কথা বা মতামতের প্রাধান্য নেই এখন সরকারে। আসিফ নজরুল সুন্দর সুন্দর কথা বলে কিন্তু সে ই একমাত্র ব্যক্তি যে এই অভ্যুত্থান ব্যার্থ করবে।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০২
জাদিদ বলেছেন: উপদেষ্টা নিয়ে আমার তেমন কোন সমস্যা নাই। উনাদের সবাইকে নিয়ে আমার তেমন আশা ও প্রত্যাশাও নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে আসিফ নজরুল সাহেবকে পছন্দ করি না।
৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২০
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: এই দেশে ইতিহাস কখনই ইতিহাসবিদেরা লিখে না। যে যখন ক্ষমতায় থাকে , সে তার মত করেই লেখে। এই সরকারের কাছে আশা যে, এই কাজটি তারা ইতিহাসবিদদের উপড় ছেড়ে দেবে।
বিএনপির ভারত ইস্যূ্তে কিছুটা সতর্ক অবস্থান দেশের আভ্যন্তরীন স্থিতিশীলতার জন্য ভাল কাজ করছে। ছাত্রদের রক্ত গরম, তাদের কাছ থেকে সব বিষয়ে ম্যচুরিটি আশা করা যায় না। আবার এটাও ঠিক দেশপ্রেম ও সততা শুধু এই ছাত্রদেরই আছে, বুড়া হাবরা রাজনিতিবিদদের ১% ও নাই। বিএনপির অতীত দুর্নীতি পরায়ন চরিত্রের পরিবর্তন এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। কোটি কোটী টাকা খরচ করে দলবল নিয়ে খালেদা জিয়া সেই আগের রাজকীয় স্টাইলে লন্ডনে যাবার প্রস্তুতি নিয়েছে। মাঠ পর্যায়ে বিএনপি নেতারা চাঁদাবাজি শুরু করেছে, লীগের নেতাদের টাকার বিনিময়ে মামলা থেকে অব্যহতির ব্যবস্থা করে দিচ্ছে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রলীগাররা এখন ছাত্রদল বনে যাচ্ছে ! এসব কর্মকান্ড ভাল কোন বার্তা দিচ্ছে না। ক্ষমতায় যাবার আগেই যদি বিএনপি এরকম করে , তবে ক্ষমতায় গিয়ে কি করবে অতীতের হাওয়া ভবনের কান্ডারি তা ভালই বোঝা যাচ্ছে।
বৈষম্যবি্রোধি ছাত্র সংগঠন এবং ডঃ ইউনুসই এই দেশের একমাত্র আশা। দেশীয় রাজনিতিতে একটা গুনগত পরিবর্তন এদের মাধ্যমেই হতে পারে বলে আশা করছে সবাই।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০৩
জাদিদ বলেছেন: আপনার বক্তব্যের এই অংশের সাথে আমি দ্বিমত পোষন করছি। দেখা যাক, সামনে কি হয়। ইতিবাচক যে কোন কিছুই আমি পছন্দ করি।
৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৫
আমি সাজিদ বলেছেন: আবেগি জাতির আবেগি রাজনীতি। প্রফেসর ইউনুস যদি মাহফুজের দ্বারা প্রভাবিত হয় তাহলে তো ভয়ংকর ব্যাপার। আমি আসলে সন্দিহান যে নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ আর এর বিরুদ্ধে রাজুতে সমাবেশ ও ফেসবুকারি সব লোক দেখানো কিনা।
সে যাই হোক, আওয়ামী লীগের ডাবল রিসেট বাটন দরকার। এই দলের তৃণমূল ছাড়া সব মধ্যম ও উপরের নেতারা সবসময় করাপ্টেড ছিল। আজকে গুলিস্তানে যে প্রবীণ লোকটি গণপিটুনি খেলো, উনি সেই তৃণমূলই। নেতারা সব পালিয়ে গেছে, পালাতে ধরা পড়েছে। আওয়ামী লীগের শুভাকাঙ্ক্ষীদের একত্রে বসে আগে আগামী দশ বছরের জন্য নিজেদের নেতা ঠিক করতে হবে। শেখ হাসিনা এই মুহূর্তে আবার ফিরে আসতে পারবেন না। রূপকথায় গল্পে রুপকথা লিখলেও না। গুলির নির্দেশ ছিল তার রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে ভুল সিদ্ধান্ত।
বিএনপি মধ্যম পন্থার দল। এখন সময় জামাতের ছায়াতল থেকে বের হয়ে নিজেদের অ্যাজেন্ডা নিয়ে কাজ করা। আওয়ামী লীগের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া। নাহয় জামায়াত ওদের বারোটা বাজিয়ে দিবে।
মজার বিষয়, আমি খেয়াল করেছি, বিগত দেড় যুগে জামায়াতের তেমন কোন প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয় নাই। অত্যাচারিত জামায়াতের নেতা কর্মীর সংখ্যা বিএনপির অর্ধেকেরও কম। জামায়াত খুবই চতুর একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী।
সমন্বয়কদের মধ্যেই হয়ত একতা কমে যাচ্ছে এখন। গোটা বৈষম্য বিরোধী দলটি জেলায় জেলায় কমিটি ঘোষণার করতে চেয়েছে নতুন ব্যানারে। দেখা যক, ওরা কেমন সাড়া পায়। আমার মনে হয় না পাঁচ হাজার জনও পাবে। এই আন্দোলনটা স্পন্টেনিয়াস ছিল, এইটাই আন্দোলনটাকে শেইপ দিয়েছে। দেশের ভেতরে, বাইরের, নানা বয়স আর মতের মানুষ মিলে রাস্তায় নেমেছে শেষে। কিছু এজেন্সির মদদ তো ছিলই, অস্বীকার করার উপায় নাই।
দিনশেষে সাধারণ মানুষ হিসেবে, দেশের ভালো চাই। অস্থিরতা - হানাহানি চাই না। যদি সংস্কার হয়ও তা যেন ইমপ্যাক্ট ফেলে দেশের মানুষের জীবনে, এমন কিছু চাই।
এন্ড আই এম নট বায়িং দ্যাট জেনজি আন্দোলন, জেনজি লিডার স্টাফস। প্রথম আলোর সমমনা মিডিয়াগুলোর জেনজি বন্দনার পেছনে কি স্বার্থ তা আমি বুঝি না। একটা জেনারেশনকে ওভার কনফিডেন্ট করে রাস্তায় নামিয়ে রাখতে চাইছে ওরা।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১৫
জাদিদ বলেছেন: একটা জেনারেশনকে ওভার কনফিডেন্ট করে রাস্তায় নামিয়ে রাখতে চাইছে ওরা। - তোমার মন্তব্যের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন অংশ নিয়েই আগে শুরু করছি। আমার পোস্টের এইটাই মুল কথা ছিলো।
এর পর আসো,
১। প্রফেসর ইউনুস যদি মাহফুজের দ্বারা প্রভাবিত হয় তাহলে তো ভয়ংকর ব্যাপার। - এমনটা ঘটছে বলেই আমার ধারনা এবং বিশ্বাস। কারন ছাত্রদের মতের বাইরে কিছু বলে কেউ স্থির হতে পারছে না।
২। আওয়ামী লীগের ডাবল রিসেট বাটন দরকার। এই দলের তৃণমূল ছাড়া সব মধ্যম ও উপরের নেতারা সবসময় করাপ্টেড ছিল। - শতভাগ সহমত। তুমি যে ঘটনা বললা, সেটাই তার প্রমান।
এই আন্দোলনটা স্পন্টেনিয়াস ছিল, এইটাই আন্দোলনটাকে শেইপ দিয়েছে। দেশের ভেতরে, বাইরের, নানা বয়স আর মতের মানুষ মিলে রাস্তায় নেমেছে শেষে। কিছু এজেন্সির মদদ তো ছিলই, অস্বীকার করার উপায় নাই।
দিনশেষে সাধারণ মানুষ হিসেবে, দেশের ভালো চাই। অস্থিরতা - হানাহানি চাই না। যদি সংস্কার হয়ও তা যেন ইমপ্যাক্ট ফেলে দেশের মানুষের জীবনে, এমন কিছু চাই।
৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭
আমি সাজিদ বলেছেন: আট নাম্বারে আরেকটু এড করতে চাই আমি বুঝাতে চেয়েছি আন্দোলনটা ছিল শুধুই আন্দোলন, এটাকে সুকৌশলে শুধু জেনজি আন্দোলন ট্যাগ দিতে আমার আপত্তি আছে। তার মানে এই না যে আমি আন্দোলনটাকে ছোট করছি। আমার কাছে এইটা দুর্নীতি ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আন্দোলন। আমি একে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বা সেকেন্ড রিপাবলিক বলতে পারবো না। এই গণ অভ্যুত্থানকে স্বৈরাচার থেকে স্বাধীনতা বলতে যায়। অন্য কিছু বা রিসেট দিয়ে একাত্তর মুছিয়ে দেওয়া নয়।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২১
জাদিদ বলেছেন: আমি একে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বা সেকেন্ড রিপাবলিক বলতে পারবো না। - আমিও বলব না এবং বলি না। যারা এটা বলে তারা উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবেই বলে।
১০| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৪
রায়হান চৌঃ বলেছেন:
ইতিহাস হলো রাবারের মতো, যতই চাপ প্রয়োগ করেন না কেন এটা এক্সপেন্ড হবে / করতে থাকবে। একটা সময় এটা আবার নিজের জায়গায়, জায়গা নিয়ে নিবে। সুতরাং যারা ইতিহাস মুছে ফেলার চেটা করছে তারা অযথা কলুর বলদের ভুমিকায় আছে। বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ হাজার চেষ্টা করেও মেজর জিয়া কে মুছে ফেলতে পারে নাই, আবার জমাত হাজার বছর চেষ্টা করে, হাজার ফাউন্ডেশন লাগিয়ে ও গোলাম আজম, নিজামী পন্থী দের "রাজাকার" এর তকমা থেকে পারবেনা।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৬
জাদিদ বলেছেন: সেটাই।
১১| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৭
কামাল১৮ বলেছেন: সরকারের একটা অংশ ধিরে ধিরে খিলাফতের দিকে অগ্রসর হতে চেষ্টা করছে।কিন্তু প্রকাশ করতে সাহস পাচ্ছে না।সরকারে শিবিরের এই অংশটি প্রথম থেকেই আন্দোলনে ঘাপটি মেরে আছে।এক সময়য় চুড়ান্ত আক্রমন করবে।এটা তারই প্রস্তুতি।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০৭
জাদিদ বলেছেন: দেখা যাক কি হয়, কাদের প্রেডিকশন সত্য হয়।
১২| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: বি এন পি সমর্থন তুলে নিলে এই সরকার একমাস ও টিকতে পারবে না সেটা আমি মানতে পারলাম না।
এদের নিয়ে এতবেশী সমালোচনা, কাটা ছেঁড়া, আর আন্দোলন হচ্ছে যে এরা ঠিকঠাক থিতু হয়ে বসতেই পারছে না। সবার প্রত্যাশার পারদ এত উঁচুতে উঠে আছে আর আমাদের আকাঙ্ক্ষা এত অল্পসময়ে পূরণ করতে চাই যে, স্বয়ং ঈশ্বরও হিমশিম খাবেন। আপনার কি মনে হয় এই অভ্যুত্থানের পরে বি এন পি এসে ক্ষমতায় বসলে সব ঠিক হয়ে যেত কিংবা ভবিষ্যতে নির্বাচন করে বি এন পি ক্ষমতায় বসলে সব ঠিক হয়ে যাবে?
আওয়ামীলীগ- এর নেতারা যা করেছে এবং এই দেশের মানুষের আবেগ ধর্মান্ধতা দল ও বিশেষ মানুষের প্রতি ভালবাসা বিশ্বাস ও অসহায়াত্বের সুযোগ নিয়ে যা করেছে তাতে করে কিভাবে তাদের প্রতি করুণা বা অনুকম্পা হয়?? ওই দলের সর্বস্ব তুলে ধরে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করতে হবে চিরদিনের জন্য; যাতে করে ভবিষ্যতের জন্য একটা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।
বি এন পি যা করছে তার অনেক কিছুই বাধ্য হয়ে করছে। সুযোগ থাকলে ওরা পুরো ঘাড়ে চড়ে বসত।
দেখবেন ইউনুস সরকার খুব ভালভাবেই সামলে নেবে সবকিছু, তবে কোনকিছুই আমাদের মন মতো হবে না। শেষ পর্যন্ত আমরা বলতেই থাকব; এমন বাংলাদেশ কি আমরা চেয়েছিলাম?
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০৪
জাদিদ বলেছেন: আমি বিএনপির প্রশংসা করেছি মুলত - বর্তমান রাজনৈতিক সময়ে তাদের তুলনা মুলক প্রজ্ঞা আচরনের জন্য। বিএনপি কি করবে বা করবে না - সেটা আসলে একটি সহজ সমীকরন। বড় রাজনৈতিক দলগুলো এই ধরনের বিষয়ের মধ্য দিয়ে যায়। আওয়ামীলীগ কোথায় থামতে হয় সেটা তারা ভুলে গেছে - ফলে এমন পরিনতি। ২০০৬ সালেও বিএনপি কোথায় থামতে হবে তারা তা বুঝতে পারে নাই, ফলে ১৭ বছরের ধাক্কা।
তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, বড় কোন রাজনৈতিক সমর্থন না থাকলে এই সরকারের পক্ষে এককভাবে কিছু করা মুসকিল হবে। মাঠের রাজনীতি আর ফেসবুকের রাজনীতি ভাই এক নয়। এই সরকারের কাছে অবশ্যই আমাদের অনেক প্রত্যাশা আছে, তবে ছাত্র উপদেষ্টাদের আচরন আমার কাছে সঠিক বলে মনে হচ্ছে না। এই সরকার যদি কোন কারনে ফেইল করে সেটা মুলত হবে এই রক্ত গরম উপদেষ্টাদের জন্য।
আমার দেশের ভালো হয়, এমন যে কাউকে আমি সমর্থন দিতে রাজি।
১৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০৭
মেঘনা বলেছেন: বিএনপি তিনটা ভালো কাজ করেছে ।
১. ভূ রাজনীতির বাস্তবতা মেনে অহেতুক ভারত বিরোধীতা বন্ধ করেছে।
২. রাষ্ট্রপতি পদের সাংবিধানিক মর্যাদা রক্ষা করেছে ।
৩. অ ফ্যাসিবাদী মানসিকতা নিয়ে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২০
জাদিদ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। আমি এই কারনেই তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। তারা চাইলে আরো বহুত হানাহানি হতে পারত।
১৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
"ইতিহাস কি শুধু বিজয়ীরাই লিখে?" এই প্রশ্নের উত্তরটি সরল নয়। বরং, ইতিহাসে বিজয়ীদের প্রভাব প্রাচীনকালের
মতোই আধুনিক সময়ে লক্ষ্যণীয়, তবে বর্তমানে বিকল্প ও প্রান্তিক কণ্ঠস্বরগুলোও উঠে আসছে , উদাহরণ আপনার
আজকের এই লেখাটি । ইতিহাস চর্চা আজ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে বিজয়ী ও পরাজিত উভয়েরই
দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্ব রয়েছে, এবং এভাবেই ইতিহাসের একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র নির্মাণ সম্ভব।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০৮
জাদিদ বলেছেন: ইতিহাস চর্চা আজ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে বিজয়ী ও পরাজিত উভয়েরই দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্ব রয়েছে, এবং এভাবেই ইতিহাসের একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র নির্মাণ সম্ভব। - ধন্যবাদ ভাইয়া। আমিও তাই মনে করি এবং এমনটা হওয়াই বাঞ্চনীয়।
১৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১১
নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:
পরাজিতদের কোন কথা থাকতেই নেই।
তারা হলেন গণিমতের মাল।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১০
জাদিদ বলেছেন: হুমম।।।
অফ টপিক, যদিও আমাদের সমাজের পড়াশোনার ঘাটতি আর ধর্ম সম্পর্কে প্রায় শূন্য ধারনা কারনে গনিমত একটি গালিতে পরিনত হয়েছে।
১৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩২
নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:
আরেবক একখান কতা।
বিজয়ীরাও এক সময় পরাজিত হৈতে পারে।
বিজয় কোন চিরস্থায়ী জিনিস না।
আজ আপনি বিজয়ী।
কাল আপনি পরাজিত হয়ে জেরেও থাকতে পারেন।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৩
জাদিদ বলেছেন: বিজয় কোন চিরস্থায়ী জিনিস না। সফল হওয়া জরুরী।
১৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই আওয়ামী লীগের উপরের শ্রেণীর নেতারা বলেছিল যদি ওরা ক্ষমতাচ্যুত হয় তাহলে ওদের জীবন হবে বিপন্ন কিন্তু তার বিপরীতে দেখাগেল বি এন পি ঠিকি আওয়ামীদের মতো হায়েনা চরিত্রের না। আপনার অভিমতের সাথে একমত যে সম্বনয়করা একটু বেশিই করে যাচ্ছে।
যারা পতিত তাদের পিছে ঠেলে আগামী বাংলাদেশকে সুন্দর ও সার্থক রাস্ট্রে পরিনত করার অঙ্গীকার হউক সকলের।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০২
জাদিদ বলেছেন: যারা পতিত তাদেরকে আপনি এক কথায় ফেলে দিতে পারবেন না পরিসংখ্যান গত থেকে। হয় তাদেরকে নিয়ে পথ চলার কৌশল আপনাকে বের করতে হবে অথবা তাদেরকে ধ্বংস করে এগিয়ে যেতে হবে। গত কয়েক বছর আমরা দেখেছি কি ঘটেছে। হলে আমরা সত্যিকারের পরিবর্তন চাই। যে মানুষগুলো ঐ পতিত রেজিমের সমর্থন করেছে - তাদের বিকল্প দিতে হবে। নইলে কোন লাভ হবে না। আপনি ২০০৬ সালের পর কয়জন বিএনপির সমর্থককে অন্য দল সমর্থন করতে দেখেছেন? যারা কোর সমর্থক, তারা তাদের দলকে সমর্থন দিয়ে যাবেই। যেমনটা দিবে আওয়ামী লীগের লোকজন - এই বাস্তবতা না বুঝলে আপনি যে সংঘাতের ঐতিহ্য বজায় রাখবেন - সেটার ফলাফল আবার ঘুরে ফিরে আপনাকেই বহন করতে হবে। দিন শেষে যা হয়ে যাবে আমাদের কালচার।
১৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হাসনাত, সারজিসের বাড়াবাড়ি আমারও ভাল লাগে না। তারা ক্লাসে ফিরে গেলেই সবচেয়ে ভালো হতো। একদম সঠিক বলেছেন।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৯
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
১৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫
মিরোরডডল বলেছেন:
আসলে কি বলবো জাদিদ, বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য যে এযাবতকাল যত সরকার ক্ষমতায় ছিলো, সবাই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। ক্ষমতায় আসার আগে জনগণের, ক্ষমতায় বসার পর স্বার্থান্বেষী ও ক্ষমতা লোভী।
ফাইন্যালি বর্তমান সরকারের কাছে যাও কিছু প্রত্যাশা ছিলো, সেখানেও এখন কিছুটা হতাশা।
জানি জাজ করার জন্য এনাফ সময় হয়নি কিন্তু তারপরও এসময়ের মধ্যেই যা শুরু করেছে, সেইম লাইক অতীত ক্ষমতাসীন দলগুলোর মতো যা খুশি তাই করছে, কোন কাজের জবাবদিহিতা নেই।
করছে করুক কিন্তু কি করতে চাচ্ছে, কেনো করছে, পারপাস কি কিছুই সেইভাবে বোঝা যাচ্ছে না।
কেমন যেনো ধোঁয়াশা সবকিছু।
কিছু কিছু বিষয় নিয়ে এতো বাড়াবাড়ি করছে যে মেজর ইস্যু ফোকাস না করে মাইনর নিয়ে মাতামাতি।
তারপরও আশা রাখি হয়তো ভালো কিছুই হতে যাচ্ছে, দেখা যাক।
Time will say.
প্রিয় দেশটার সাধারণ মানুষগুলো ভালো থাকুক।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৮
জাদিদ বলেছেন: হ্যাঁ আপু। এটাই কঠিন বাস্তব। আমারও তাই মনে হয়েছে যে এই সরকার অনেক অপ্রয়োজনীয় কাজে জড়াচ্ছে এবং সেটাকে অর্জন হিসাবে মনে করছে যা আদতে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করছে।
২০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩১
জ্যাকেল বলেছেন: ১৯৭১ সালে জামাত যেভাবে বাংলাদেশ সৃষ্টির বিরুদ্ধে ছিল, ১৯৪৭ সালেও ভারত ভাংগনের বিপক্ষে ছিল। এরশাদের সময়েও তারা হাসিনার সাথে নির্বাচনে যায় যা হাসিনার নিজের ভাষাতেই জাতীয় বেঈমান।
পক্ষান্তরে ঐতিহাসিকভাবে কোন ভুল না করেও সুক্ষাতিসুক্ষ ভুলগুলোর কারণে বিএনপি মাজা ভাঙা অবস্থায়। আওয়ামীলীগ এখন পরাজিত শক্তি, বিএনপি জামাত বিজয়ি শক্তি।
আপনার শিরোনামের সাথে মত না মিলিয়ে বলতে হচ্ছে কিন্ত এই ইতিহাস কোন বিজয়ী শক্তি লিখবে না, লিখবে সুচিল সমাজ। ইনিয়ে বিনিয়ে ইহারা হাসিনাকে পজিটিভভাবে উপস্থাপন করবে। বাংলাদেশের সুচিলরাই দেশকে পিছিয়ে রাখার আসল কারিগর ইহা এ জাতি এখনো উপলদ্ধি করতে পারে নি।
উপদেষ্টায় কিলিয়ারলি দেখা যাইতেছে ১/১১ শক্তির প্রভাব। ইহারা না ভাংগতে দিবে সিন্ডিকেট, না ভাংতে দিবে গতানুগতিক অস্থিতিশীল রাজনীতির বয়ান। সুচিল শ্রেণি দেশকে অস্থিতিশীল রাখতে নানান প্রজেক্ট চালায়, সে লিখলে বাঁশের চে কন্চি বড় হইয়া যাইবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: গুড পোস্ট।
শুধু বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেরই নয়, ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের হাতে বিএনপির অসংখ্য নেতা কর্মী সমর্থক গুম খুন নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছে, তারপরও বিএনপি আওয়ামী লীগের প্রতি উদার মনোভাব প্রকাশ করেছে বলেই এখনও বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব আছে- সেই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করার মতোও একজন আওয়ামী লীগার আমি দেখলাম না।