![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ মানুষ
শারিয়া আইন।আল্লাহর আইন।যার কার্জক্ষমতা ধর্ষন রোধে অসিম।
ভিডিও জাকির নায়েক
শারিয়া আইনে ধর্ষনের শাস্তি "মৃত্যুদণ্ড"। অর্থাৎ সৌদি আরবে কোণ ব্যক্তি যদি কোণ মহিলাকে "ধর্ষন" করে তাহলে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। জন সম্মুখে শিরদছেদ।জাকির নায়েকের সাথে তাল মিলিয়ে অনেককেই বলতে শুনি এই আইন কায়েম হলে আমাদের দেশ থেকেও ধর্ষন উঠে যাবে। সৌদি আরবের মত। আমি এই শাস্তিকে সমর্থন করি কিন্তু আইন টিকে নয়। কারন এর “ব্যক ফায়ার”।বলছি।
সৌদি আরবের আইনে “ধর্ষন” কে আলাদা কোণ অপরাধ হিসাবে দেখানো হয় না। সৌদি আরব বলে নয় শারিয়া আইনেও ধর্ষনকে আলাদা করে দেখানো হয় না। শারিয়া আইনে অপরাধের শাস্তিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়।
১। হুদুদ (সূ নির্ধারিত শাস্তি)
২। কিসাস ( স্বদৃশ শাস্তি)
৩। তা’যিরাত (স্বাধারন দণ্ড)
ইসলামী শারিয়াতের পরিভাষায় হুদুদ হোল কুরআন ও সুন্নাহতে বর্নিত বিভিন্ন অপরাধের সূনির্ধারিত শাস্তি সমূহ। হুদুদ প্রয়োগ খুব কঠোরতার সাথে করা হয়। কোণ অবস্থাতেই তা পরিবর্তন বা লঘু করা যাবে না এবং কেউ ক্ষমা করার অধিকার রাখে না। যখনই কোণ শারিয়া আইন সমর্থক বা সৌদি ভক্ত শারিয়া আইনের গুন গান গাবে গলায় এক গাদা মধু ঢেলে গদ গদ হয়ে বলবে “ধর্ষনের শাস্তি” কে হুদুদ শাস্তি হিসাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।এই পয়েন্টটা স্মরণ রাখুন, “হুদুদ পরিবর্তন বা ক্ষমা করার অধিকার কারও নেই”।
এবার শারিয়া আইনে “হদ্দ” গুলো কিকি? আপনি যখন এই প্রশ্নের উত্তর পাবেন পরিষ্কার বলদ বনে যাবেন।
শারিয়াতের হদ্দ গুলো হচ্ছে,
চুরি, ডাকাতি, ব্যভিচার, ব্যভিচারের অপবাদ, মদ্য পানের শাস্তি। কোণ কোণ ফকিহ ধর্মান্তর ও রাষ্ট্র দ্রোহিতার শাস্তিকেও হুদুদ হিসাবে দেখেছেন।
কিন্তু কোথায় “ধর্ষন”????!!!!!!!!
আছে। ঐ যে ব্যভিচার। সেটার মধ্যেই আছে।
শারিয়া অনুসারে ধর্ষণের ক্ষেত্রে একপক্ষে ব্যভিচার সংগঠিত হয়। আর অন্যপক্ষ হয় নির্যাতিত। তাই নির্যাতিতার কোনো শাস্তি নেই। কেবল অত্যাচারি ধর্ষকের শাস্তি হবে। এটা প্রাথমিক কথা। আসেন একটু ভেতরে যাই।
ইসলামি আইন শাস্ত্রে ধর্ষকের শাস্তি ব্যভিচারকারীর শাস্তির অনুরূপ। ব্যভিচারের শাস্তি ব্যক্তিভেদে একটু ভিন্ন। ব্যভিচারী যদি বিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। আর যদি অবিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে একশ ছড়ি মারা হবে। শারিয়ার মতে ধর্ষণের ক্ষেত্রে দুটো বিষয় সংঘঠিত হয়।
১.ব্যভিচার/যিনা
২.বলপ্রয়োগ বা ভীতি প্রদর্শন।
পূর্বোক্ত ব্যভিচারের শাস্তি শুধুমাত্র ধর্ষক পাবে, যদি ধর্ষন প্রমানিত হয়। সেক্ষেত্রে ধর্ষক যদি বিবাহিত হয় তাহলে মৃত্যুদন্ড আর যদি অবিবাহিত হয় তাহলে একশ চাবুক। মানে অবিবাহিত ধর্ষকএর মৃত্যুদণ্ড হবে না। এখন যিনার শাস্তি তথা ধর্ষণের শাস্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছু বাধ্যবাধকতা আছে, সবক্ষেত্রে মৃত্যুদন্ড হবে না। এখানে আমি যে সবক্ষেত্রে মৃত্যুদন্ড হবে না সেগুলো তুলে ধরছি। রেফারেন্সগুলো সহজে এক জায়গায় পেয়ে যাবেন,
“ডঃ আহমদ আলী” এর লিখা “ইসলামের শাস্তি আইন” বইতে।নামের সংক্ষেপ রূপ ই,শা,আ দিয়ে পৃষ্ঠা নাম্বার গুলো দেওয়া হোল।
এবং “বিধিবদ্ধ ইসলামী আইন”, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, প্রথম প্রকাশ এপ্রিল ১৯৯৫।নামের সংক্ষেপ রূপ বি,ই,আ দিয়ে পৃষ্ঠা নাম্বার গুলো দেওয়া হোল। বিধিবদ্ধ ইসলামী আইনে ধারা সহ বর্ননা দেয়া আছে বিধায় সেখান থেকেই উল্লেখ করছি।
এখন অনেকেই আকাশ থেকে পড়বেন। তারা যাতে পড়ে ব্যথা না পান তার জন্য বইটির তিন খন্ডের পি ডি এফ ডাউনলোড লিঙ্ক দিচ্ছি। স্বচক্ষে যাচাই করে নিবেন==
বিধিবদ্ধ ইসলামী আইন- ১ম খন্ড
বিধিবদ্ধ ইসলামী আইন- ২য় খন্ড
বিধিবদ্ধ ইসলামী আইন- ৩য় খন্ড
ধারা-১৩৪= বল প্রয়োগে যিনা বা ধর্ষন।
(গ) আদালতের সুবিবেচনা অনুযায়ী ক্ষেত্রবিশেষে নির্দোষপক্ষ ক্ষতিপূরণ পাইতে পারে।
বি,ই,আ, খন্ড-১ম,পৃষ্ঠা-৩০০।
অথচ প্রথমেই বলা হয়েছে হুদুদ শাস্তি মাফ করার অধিকার কারও নেই। ধর্ষনকে সেই হুদুদ আইন হিসাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এবার আসবে মুল্লাহর ব্যখ্যা হদ্দ ক্ষমা করার অধিকার কারও নেই, মালেকি, শাফেয়ি ও হানাফি ইমামদের মতে।কিন্তু হাম্বলি ইমামদের মতে, শুধুমাত্র অপবাদ দেয়ার ক্ষেত্রে, প্রসাশনের হাতে ধরা পড়ার আগে যদি অপরাধী তওবা করে ভালো হয়ে যায় এবং যদি তার প্রমান মিলে তবে হদ্দ রহিত হয়ে যাবে, অর্থাৎ মৃত্যুদন্ড হবে না। (আল সারাখসি,আল-মাবস্রিত খন্ড-৯ ,প্রিস্থা-১৯৮-৯, ইবনু কুদাবাহ, আল-মুগনি খন্ড-৯, পৃষ্ঠা ১২৯-১৩০, শাফি ঈ, আল-উম্ম, খন্ড -৭, পৃষ্ঠা-৫৯, আল-মরদাভি,আল ইনসাফ, খন্ড-১০, পৃষ্টা- ২৯৯।)
এখানেই খাবেন প্রথম ধাক্কা। চার ইমাম শাফি,মালেকি,হাম্বলি ও হানাফি এর মতামত বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম। আইন ও প্রক্রিয়া বিভিন্ন। কোনটা কখন কিভাবে কোণ কোণ ক্ষেত্রে মানবেন? পুরাটাই শারিয়া মুল্লাহদের খেয়াল খুশির উপর নির্ভরশীল।
ধারা-১৩৫= এক পক্ষ যেনার স্বীকারোক্তি করলে এবং অপর পক্ষ অস্বীকার করলে স্বীকারকারীর উপর হদ্দ কার্য্যকর হবে এবং অস্বিকারকারী রেহাই পাবে।
বি,ই,আ, খন্ড-১ম,পৃষ্ঠা- ৩০১।
বর্তমান সময়ে ধর্ষণের ক্ষেত্রে এই ধারার প্রয়োগ, আসলেই কি বাস্তব সম্মত হবে?!!!! ধর্ষক স্বীকার করবে!!!???
ধারা-১৩৭=
ক) সুস্থ জ্ঞান সম্পন্ন বালেগব্যক্তি পাগল বা নাবালকের সহিত সঙ্গম করিলে এই সঙ্গম ক্রিয়া হদ্দযোগ্য যেনার আওতায় পড়বে না।
খ) নাবালেগ ও পাগল ব্যক্তি কোণ বালেগা নারীর সাথে তাহার সম্মতিতে সঙ্গম করলে এই সঙ্গম ক্রিয়াও হদ্দযগ্য যেনার আওতায় পড়বে না।
গ) উপধারা (ক) ও (খ) এ উল্লিখিত অপরাধ হদ্দের আওতায় শাস্তিযোগ্য হবে না, তবে আদালতের সুবিবেচনা অনুযায়ী কোণ কোণ ক্ষেত্রে তাযিরের(সাধারণ দন্ড) আওতায় শাস্তি প্রদান করা যাইতে পারে।
বি,ই,আ, খন্ড-১ম,পৃষ্ঠা-৩০২
(আল কাসানি ব র্দাঈ, খণ্ড-৭, পৃষ্ঠা- ৩৪, ইবনুল কুদামাহ, আল-মুগ নি, খন্ড-৪ ,পৃষ্ঠা-৫৪, আল-ম রদাভি আল-ইন সাফ, খন্ড-১০, প্রিস্থা-১৭২,১৮৭। )
মানে বর্তমানে আমাদের দেশে যে সমস্ত নরপশু পাচ বছরের বা তারও কম বয়সী শিশুকে ধর্ষন করেছে শারিয়া আইনে তার মৃত্যু দন্ড হবে না।
ধারা-১৩৮= কোন ব্যক্তি নিজ স্ত্রী ব্যতিত কোণ নারীর পসচাতদ্বারে সঙ্গম করিলে তাহা যেনার আওতায় শাস্তিযোগ্য হবে না। তাযিবের(সাধারণ দন্ড) আওতায় শাস্তি হবে।
বি,ই,আ, খন্ড-১ম,পৃষ্ঠা-৩০২
ভালোই তো…...।।
ধারা ১৪১=
(ক) কোণ নারী-পুরুষ বিশেষ কারনে নিজদিগকে স্বামী স্ত্রী ধারনা করে সঙ্গম করলে তা যেনার আওতায় পড়বে না।
বি,ই,আ, খন্ড- ১ম,পৃষ্ঠা-৩০৪
এই বিশেষ কারনটা কি? বিশেষ কারনটা পাওয়া যায় অন্য রেফারেন্সে।(আল-মাওসু’আতুল ফিকহিয়্যাহ খন্ড ২৪, পৃষ্ঠা ২১।)
ভুল বশত কোণ পুরুষ যদি মহিলার সাথে যিনা করে, তাহলে তার উপর হদ্দ কার্যকর করা হবে না। কেউ যদি অন্ধকারের মধ্যে তার নিজের শয্যায় ঘুমন্ত কোণ বেগানা মেয়েকে নিজের স্ত্রী মনে করে সহবাস করে এবং পরে দেখতে পায় যে যার সাথে সে সহবাস করেছে সে তার স্ত্রী নয় তাহলে তার উপর হদ্দ প্রয়োগ করা যাবে না। কেন না তার মধ্যে হারাম কাজে লিপ্ত হওয়ার বাসনা ছিল না।
এটা কি ধরনের ব্যপার মাথায় ঢুকলো না। বেগানা কোণ মেয়েকে নিজের বিছানায় নিজের স্ত্রী মনে করে সহবাস পুরা পুরি শেষ করে তার পর বুঝলাম যে সে আমার স্ত্রী নয়!! এটা কি সম্ভব?!! সহবাসের প্রারম্ভেই দুজনেরি তো টের পাবার কথা।
তেমনি ধারা ১৪৫= ভুল বশত সঙ্গম করলে যিনার আওতায় পড়বে না।
বি,ই,আ, খন্ড-১ম,পৃষ্ঠা-৩০৫
আর ও আছে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন কোণ মহিলার সাথে যিনা করলে হদ্দ কার্যকর হবে না। (যায়ল’ঈ, তাব্যয়ীন, খন্ড-৩, পৃষ্ঠা ১৮৩, ইবনু কুদামাহ, আল-মুগ নি, খন্ড ৯, পৃষ্ঠা ৬২। ইবনু হাজর আল আস্কালানি, ফাত হুল বারি, খন্ড ১২, পৃষ্ঠা ১৫৪)। কোণ দুর্বিত্ত গ্রামের কোণ একাকি মহিলার ঘরে ঢুকে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় ক্লোরোফর্ম শুকিয়ে বেহুশ করে ধর্ষন করলে বেকসুর খালাশ।
এক্ষেত্রে আবার হযরত ওমর (রাঃ) এর রেফারেন্স নেয়া হয়েছে।
হযরত স’ঈদ (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, “স্বামীহীনা জনৈকা গর্ভবতী মহিলাকে হযরত উমার (রাঃ) এর দরবারে হাযির করা হল। মহিলাটি হযরত উমার(রাঃ)কে বলল, তার খুব গভীর ঘুম হত। একদিন এ অবস্থায় একজন লোক রাতে তার ঘরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত অবস্থায় তার সাথে সঙ্গম শুরু করে। সে জেগে দেখতে পায় যে, লোকটি কাজ সেরে চলে গেছে। হযরত উমার (রাঃ) মহিলাটির কথা গ্রহণ করে তাকে ছেড়ে দিয়েছিলেন। (ইবনু হজর আল আসকালানি, ফাতহুল বারী, খন্ড-১২, প্রিস্থা-১৫৪) (ই,শা,আ-১৩৩)
সেই সময়ে অপরাধী শনাক্ত করার জন্য ডিকেটিভ বিজ্ঞান এতটা উন্নত ছিল না। কিন্তু বর্তমান সময়ে তা সম্ভব।এখনকার মত উন্নত প্রযুক্তি থাকলে উমার (রাঃ) এর মতন সুযোগ্য শাসক নিশ্চয় সেগুলো ব্যবহার করতেন। তাহলে বর্তমানে এই ধারার পরিবর্তন না এনে হুবহু একই রকম রাখার মানেটা কি? মানে একটাই, মুল্লাহদের যুক্তি, আল্লাহর আইনে(তাদের মতে) আপনি পরিবর্তন আনতে পারবেন না।আনতে চাওয়ার দুঃসাহস কে দেখাবে!!??
ধারা ১৪৪= মাতাল ব্যক্তি কোন নারীর সাথে সঙ্গম করলে তাহা যেনার আওতায় পড়বে না এবং অপরাধী যেনার শাস্তিও ভোগ করবে না।
বি,ই,আ, খন্ড-১ম, পৃষ্ঠা-৩০৫।
মানে মাতাল হয়ে যত খুশি ধর্ষন করুক মৃত্যু দন্ড হবে না।
ইসলামি আইনজ্ঞদের এক অংশ বলেন, বলপ্রয়োগ বা ভীতি প্রদর্শন করে যিনা তথা ধর্ষন এর ক্ষেত্রে মুহারাবার অর্থাৎ ডাকাতির শাস্তি হবে।
মালেকী ফকীহগণ মুহারাবার সংজ্ঞায় সম্ভ্রম লুট করার বিষয়টিও যোগ করেছেন।
মুহারাবা হলো, পথে কিংবা অন্যত্র অস্ত্র দেখিয়ে বা অস্ত্র ছাড়া ভীতি প্রদর্শন করে ডাকাতি করা। এতে কেবল সম্পদ ছিনিয়ে নেওয়া হতে পারে, আবার কেবল হত্যা করা হতে পারে। আবার দুটোই হতে পারে।এখানে হত্যা করলে হত্যার শাস্তি, সম্পদ ছিনিয়ে নিলে বিপরীত দিক থেকে হাত-পা কেটে দেয়া, সম্পদ ছিনিয়ে হত্যা করলে শূলীতে চড়িয়ে হত্যা করা – এরূপ ব্যখ্যা ফকীহগণ দিয়েছেন। আবার এর চেয়ে লঘু অপরাধ হলে দেশান্তরের শাস্তি দেয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।
এখানে একটু খেয়াল করুন, বলপ্রয়োগ বা ভীতি প্রদর্শন করে সম্ভ্রম হানি যা প্রকৃত ধর্ষন সেক্ষেত্রে ডাকাতির শাস্তি। কেবল মাত্র ধর্ষিতা যদি ধর্ষনের কারনে মারা যান তাহলেই ধর্ষককে শুলে চড়িয়ে হত্যা। আর মারা না গেলে অন্য শাস্তি, ক্ষেত্র বিশেসে হাত পা কাটা।
ধর্ষিতা নারী যদি ধর্ষকের মৃত্যু দন্ড চায়, তাহলে তাকে ধর্ষনের সময়ই মৃত্যুবরন করতে হবে।
তাহলে কিভাবে জাকির নায়েক বা তাদের মত অনেক আলেম চট করেই বলে দেন শারিয়া আইনে বা ইসলামে বা সাউদি আরবে ধর্ষনের শাস্তি মৃত্যুদন্ড?!!!!
এই কথা বলে ইসলামের নামে যখন এই আইন কায়েম করা হবে ধর্ষন কি কমে যাবে!!!
বিরুদ্ধে কিছু বলতে বাধছে, তাই তো??। আল্লাহর আইন বলে কথা।
বাধাটা উপড়ে ফেলুন। এগুলো আল্লাহর আইন নয়, হতে পারে না। এগুলো মুল্লার আইন। ধর্ষনের শাস্তি মৃত্যু দণ্ড অবশ্যই হওয়া উচিৎ, ইসলাম সেক্ষেত্রে বাধা দেয় না এবং তা আমাদের বা বিভিন্ন দেশের প্রচলিত আইন ব্যবস্থাতেই সম্ভব। কিন্তু এই সব ফাক ফোকর যা মুল্লাহরা তাদের অনুর্বর মস্তিষ্ক ঝাকিয়ে ঝাকিয়ে বের করেছে, তা ধর্ষককেই আত্ববিশ্বাসি করে তুলবে।
তাই ধর্ষন রোধে শারিয়া আইন প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা বা বাসনা শুধুমাত্র মুল্লার বেহুদা অন্তরেই পয়দা হবে তাই স্বাভাবিক। সাথে এর গুরুত্ব যাতে আপনি অস্বীকার করতে না পারেন তার জন্য আসবে “শারিয়া আল্লাহর আইন” নামক অসত্য যুক্তি। ধর্ষন রোধে শারিয়া আইন প্রয়োগের ভয়াবহতা শ্রদ্ধেয় হাসান মাহমুদ, তার তৈরি “নারী” নাটিকটিতে খুব সুন্দর ও সাবলীল ভাবে, শারিয়া আইনের রেফারেন্স সহ তুলে ধরেছেন। যা দেখলে সহজেই বোঝা যায় শারিয়া আইনের “ব্যক ফায়ার"।
[link|https://www.youtube.com/watch?v=MnugpvG0Bnc|"নারী"- হাসান মাহমুদ
পরবর্তিঃ
শারিয়া আইন অনুসারে ধর্ষন কিভাবে প্রমানিত হবে?ধর্ষিতা নাকি ব্যভিচারিণী
©somewhere in net ltd.