![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ মানুষ
১৯৯৩ সালে, আমি ৬ষষ্ট শ্রেনিতে শিক্ষারত, আমাদের জেনারেল লাইনের শিক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত হোল এক নতুন বিষয় “আরবি শিক্ষা”। বিষয়টা আমরা এক বছরই পেয়েছিলাম। সৌভাগ্য বশত পরের বছর থেকে তা বাতিল হয়ে যায়। এটা ঠিক কোণ সরকারের ইসলামী রাজনিতির ফসল ছিল সঠিক খেয়াল নেই। রাষ্ট্র তখন সবে বিশ্ব বেহায়ার কবল মুক্ত হয়েছিল। তাই যা সম্ভব হু মু এরশাদের (হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ) শিক্ষা মন্ত্রী ডঃ আব্দুল মজিদ খান এর সাম্প্রদায়িক চিন্তার ফসল। পাতলা পাতলা দুইটা নিউজপ্রিন্টের বই পেলাম, কাভারে মসজিদের মিনার, উপরে চাদের ছবি। ভেতরে বিদঘুটে টাইপের কালো কালিতে বড় বড় আরবি হরফ গুলো, দেখলেই কেমন যেন ভয় ভয় লাগে। কিন্তু আমার বাসার হুজুর মহা খুশি।উনার মতে,“আরবি আখিরাতের ভাষা।আল্লাহ্র নাযিল কৃত কিতাবের ভাষা ।এই ভাষায় মৃত্যুর পর সাও্যাল জওয়াব হবে।কবরের ফেরেস্তারা যখন আরবি তে জিজ্ঞেস করবে, “তোমার রব কে?” তখন?! আরবি না জানলে বুঝবা কিসু?” আসলে তখন বুঝি নাই, আমি কবরের আজাবের হাত থেকে আরবি শিক্ষার কারনে বেচে যাব এই খুশির চেয়ে হুজুরের কাছে বড় খুশি হোল, এত দিনে উনি আমার ঘরে যে শিক্ষক জেনারেল লাইনের বিষয়গুলো পড়ান প্রায় তার সম গুরুত্বে আসতে পেরে। ভাব খানা যেন “এখন বুঝ, আমি না থাকলে পারতো, তোমার চেংড়া টিচার আরবি তে পাশ করাতে? হু হু বা আ ব্বা, আখিরাতের ভাষা বলে কথা।গুরুত্ব ই আলাদা”। তৎকালীন সরকারের অহেতুক বাড়তি ইসলাম প্রীতি, হুজুরের প্রমশন আর আরবি গাইডের বদরাগী চেহারার মাঝে পড়ে মোটা মোটি ছোট্ট আমি দুলে দুলে পড়তে লাগলাম, “মা হাজা, ইহা কি? হাজা কালামুন, ইহা একটি কলম”। আর সব ইসলামী জ্ঞানের সাথে আমি এটা ও আহরণ করলাম যে আখেরাতের ভাষা একটি নির্দিশট এঙ্গেলে দুলে দুলে পড়তে হয়। তবে হুজুর মানুষ হিসাবে খারাপ ছিলেন না। উনি আমাকে স্নেহ করতেন ।এখনকার অনেক মাদ্রাসার হুজুরদের মার পিটের যে রকম বদনাম প্রায়ই শোনা যায়, সে তুলনায় উনি আসলেই অনেক ভালো ছিলেন। আমার অনেক উদ্ভট কথার জবাব তিনি সব সময় হেসে হেসেই দিতেন। আমার রুমে একটা বিরাট “জিম মরিসনের” পোস্টার ছিল। খুব শখ করে হলমার্ক থেকে কিনেছিলাম। হুজুর দেখে বললেন, “তোর ঘরে তো ফেরেস্তা আসবে না রে। ওইটা খুইলা ফালা”। আমি ফট করে বললাম, “ভাল হবে তো হুজুর, তাইলে আইজ্রাইল ফেরেস্তাও আসতে পারবে না। জান কবজ ও হবে না, আমি মরবো ও না”। হুজুর হেসে বললেন, “রহমতের ফেরেস্তা আসবে না।আজ্রাইল আইতে পারবে। খুইলা ফালা বাপ, গুনহা হইব”। উনি এত বার বলার পরও আমি খুলি নি। কিন্তু উনি আমাকে কখন ও ধমক দিয়ে বলেন নি, “এক্ষন ওই টা খোল”।চাইলে উনি বলতে পারতেন, কারন আমাদের পরিবারে উনি ঘনিস্ট দের মধ্যে একজন।
যা হোক সৌভাগ্যবশত শিক্ষা নীতির পরিবর্তন বা সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে সাথে আরবি শিক্ষা বাতিল হয়। রয়ে যায়
সংবিধানে “বিসমিল্লাহ হির রাহমানির রাহিম”, আর রাষ্ট্র ধর্ম “ইসলাম”। আপাত দৃষ্টিতে একজন ধর্ম প্রাণ মুসলমানের এই বিষয়গুলোতে আপত্তি থাকার কথা না। কিন্তু সমস্যা বাধে দৃষ্টি ভঙ্গি টাকে বিভিন্ন দিক থেকে ফেললে এবং যুক্তি সঙ্গত ভাবে চিন্তা করলে।
বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন নয় মুজিবনগরে। নব্য সৃষ্ট বাংলাদেশের গঠনতন্ত্রে এবং পরবর্তিতে সংবিধানে উল্লেখ হয় বাংলাদেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। সব ধর্মের মানুষ সমানভাবে, সমান অধিকারে বাংলাদেশে বাস করবে। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত কোণ নেতা বা মন্ত্রীর মনে ঘুণাক্ষরে চিন্তা আসে নি বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র হিসাবে কল্পনা করার।
আমাদের সংবিধান এর প্রস্তাবনায় আছে,
“আমরা, বাংলাদেশের জনগণ, ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়া জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি;
আমরা অঙ্গীকার করিতেছি যে, যে সকল মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে আত্মনিয়োগ ও বীর শহীদদিগকে প্রাণোৎসর্গ করিতে উদ্বুদ্ধ করিয়াছিল -জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার সেই সকল আদর্শ এই সংবিধানের মূলনীতি হইবে”
http://bdlaws.minlaw.gov.bd/bangla_all_sections.php?id=957
এ ছিল ১৯৭২ এর সংবিধানের ভাষা।
এর পর বিভিন্ন সরকার তাদের সুবিধা অনুযায়ী সংবিধান সংশোধন করেন।
https://bn.wikipedia.org/w/index.php…
সেই ধারাবাহিকতায় বিসমিল্লাহ যুক্ত হয় ৬ই এপ্রিল ১৯৭৯, সংবিধান (পঞ্চম সংশোধনী) আইনএর মাধ্যমে।জিয়াউর রহমান সরকারের আমলে। আর রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম যুক্ত হয় ৭ই জুন ১৯৮৮, হু মু সরকারের আমলে।
পঞ্চম সংশোধনীতে আরও একটা সংশোধনী ছিল, তা হচ্ছে ১৯৭৫, এর ১৫ ই আগস্ট, বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে স্ব পরিবারে হত্যা কাণ্ডে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার করা যাবে না।মুল বেপার এটাই।খুনিদের ভবিষ্যৎ ফাসির দড়ি থেকে রেহাই দান। সাথে বিসমিল্লাহ যোগ করে জন গনের মনে ইসলামী সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা।
একটু গভীর ইসলামী দৃষ্টি কোণ থেকে চিন্তা করলে বোঝা যায়, সংবিধানের শুরু তে বিসমিল্লাহ বসানোটা ঠিক জায়েজ হবে না। কারন এই সংবিধান অনুসারেই সরকার পতিতালয় বা পান শালার (বার)লাইসেন্স দিয়েছে।এমন কি মদ্য পান কারীর লাইসেন্স ও বহাল করেছিল মাঝে। এর মানে কি এই দাড়ায় না যে, বিসমিল্লাহ বলে আমরা পতিতালয় বা পানশালা খুললাম? (নাউযুবিল্লাহ)। এই পয়েন্ট টা জে এম বি র মত জঙ্গি দল গুলো সরকার বা সংবিধানের বিরুদ্ধে জঙ্গি সদস্যদের মন বিশিয়ে তুলতে খুব ভালভাবেই ব্যবহার করেছে। তাই আপাত দৃষ্টিতে সাধারণ মুসল মানের চোখে এই বিসমিল্লাহ নিরিহ দেখালেও, রাজনৈতিক দল,সরকার,রাজাকার বা জঙ্গি গোষ্ঠী গুলোর নিজ নিজ সুবিধানুসারে এর অপব্যবহার একে নৃশংস ও অপমানিত অতিতেও করেছে, বর্তমানে করছে, ভবিষ্যতেও করবে। একটা ব্যপার আমরা মুসলমানরা বার বার ভুলে যাই, পতিতালয় বা পান শালার অনুমতি আগেই সংবিধানে ছিল, সেই অনুমতির পুর্বে বিসমিল্লাহ যোগ করা হয়েছে পরে, অর্থাৎ পতিতা লয় বা পানশালার সাথে বিসমিল্লাহ যুক্ত হয়েছে। বিসমিল্লাহ্র সাথে পতিতালয় বা পানশালা যুক্ত হয়নি। তাই এহেন হারাম জিনিসের পুর্বে বিসমিল্লাহ যুক্ত করা টা আমরা মুসলমান হিসাবে কিভাবে মেনে নিতে পারলাম? তখনই তথকালিন সরকারকে আমাদের বাধ্য করা উচিত ছিল, হয় পতিতালয় বা পান শালার লাইসেন্স দেয়া বাতিল কর, সাথে বাংলাদেশ কে ইসলামী রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা কর অথবা বিসমিল্লাহ বসিয়ো না।
আর এক জন মুসলমান হিসাবে যে কোণ কাজের পুর্বে আমি বা আমরা বিসমিল্লাহ পড়ব, সব মুসলমানই পড়বে, আমি সংবিধান পড়ার পুর্বে বিসমিল্লাহ বলেই পড়া শুরু করব কিন্তু সংবিধানের শুরু তে বিসমিল্লাহ লিখে রাখার কারনে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্থান যারাই সংবিধান পড়বে সবাইকেই বিসমিল্লাহ পড়তে হবে। অনেকে হয়ত বলবেন যারা অন্য ধর্মের তারা না পড়লেই হোল, তাদের অব গতির জন্য বলি, এটা সংবিধান, রসময় গুপ্তের চটি বই নয়।
বাংলাদেশে যে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃষ্টান সবার সমান অধিকার, এখানে মুসলমান রা সংখ্যা গরিষ্ট বলেই যে তাদের গুরুত্ব বেশি থাকবে এরকম কোণ বেপার নেই, এই বুঝ টা আমাদের মেঠো মুল্লাহদের যে কবে বুঝে আসবে আল্লাহই ভাল জানেন। তাদের উস্কানি তে না বুঝে না জেনে ছাগল এর তিন নম্বর বাচ্চার মত শুধু লাফা লাফি করলেও ভাল ছিল, রীতি মত লাশ ফেলার হুমকি দিচ্ছে কাওমি মাদ্রাসা থেকে উথপাদিত ছাত্র নামের কিছু মধ্যযুগিয় বস্তু। বিসমিল্লাহ যখন সংবিধানে যুক্ত করা হয়েছিল তখন কি ইসলামের উপকার হয়েছিল, যে আজ কে বিসমিল্লাহ তুলে নিলে ইসলাম ধংশ হবে? ইসলাম কি এতই ঠুনকো?
ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের “রাষ্ট্র ধর্ম” ইসলাম, কথাটা উদ্ভট শোনায়। এটা এমন নয় হু মু এরশাদ খুবই পরহেজগার ইসলামী রীতি নীতি মেনে চলা মানুষ । সে কাজটা করেছে বাংলাদেশের জন গনের অতিরিক্ত ইসলামী গোঁড়ামির স্বভাব টাকে কাজে লাগিয়ে গদি নিরাপদ করতে। দুর্নিতি যদি বাদও দেই তার নারী ঘটিত কাজ কারবার সর্বজন বিদিত। ইসলামের প্রতি দরদ থেকেই কি হু মু কাজটি করেছিলেন? কেউ বুকে হাত দিয়ে “হ্যা” বলতে পারবে না। ইসলাম আর মুমিন মুসলমানের উল্লেখে একটা ভাব গাম্ভির্য পুর্ন “পবিত্র ভাব” মনে জেগে উঠে। হু মু র দিকে তাকালে সেই “পবিত্র ভাব” নিমিষেই বিবর্তিত হয়ে নিজেকে ধর্ষিত মনে হতে থাকে।তাছাড়া হু মু র ভণ্ডামি কিংবদন্তি তুল্য। প্রতি জুম্মায় সে দল বল নিয়ে হঠাৎ ঢাকার কোণ এক মসজিদে গিয়ে হাজির হত, জুম্মার নামাজ শেষ করে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বলত, “গত রাতে স্বপ্ন দেখলাম আপনাদের মাঝে নামায আদায় করছি, তাই চলে এলাম”। বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পেল। তখন ও সরকার থেকে জ্বালানী তেলে ভর্তুকি দেয়া চলছে। হু মু জনতার উদ্দেশ্যে আহবান জানাল, “সকলে তেল ব্যবহারে সংযমী হন, অপচয়কারি শয়তানের ভাই ইত্যাদি ইত্যাদি”। পল্লী বন্ধু শুধু মুখে বলেই বসে থাকল না, কাজে দেখানোর উদ্দেশ্যে পর দিন দল বল নিয়ে ডাক পিয়ন দাদুর ফনিক্স সাইকেলে চেপে বঙ্গ ভবন যাত্রা করল। আপাত দৃষ্টিতে মহতি উদাহরণ। গাড়ীর তেল বাচাতে দ্বি চক্রযানের অবলম্বন।দৈনিক পত্রিকার প্রথম পাতায় ছবি প্রদর্শন। কিন্তু গাত্রচর্ম তুলে নিলো ভেতরের পাতার কলামিস্টরা। কথায় বলে সৈনিকের মাথায় সবই থাকে বুদ্ধি বাদে। ভণ্ড সাইকেলে হেলে দুলে প্যাডেল মারতে মারতে দুলকি চালে এগুচ্ছে আর তার চারপাশে সরকারী প্রটকল সিকিউরিটির জিপ গুলও চলছে একই গতিতে। বিজ্ঞান বলে গাড়ি যত আস্তে চলে তার জ্বালানী তত বেশি খরচ হ্য় ।এবার ক্যান্টর্মেনট টু বঙ্গ ভবন। সহজ গণিত। জ্বালানী সাশ্রয়!! হু মু দুই দিন পরেই আবার গাড়িতে। যদিও সংবাদ পত্রে সাইকেল সহ তার সিঙ্গেল ছবি ছাপা হয়। । এহেন ভণ্ড কর্মের বর্মধারীর ইসলাম প্রীতি ভণ্ডামি ছাড়া আর কি মনে হয়?? (এই তথ্যের বিস্তারিত “শত্তুর থেকে নব্বই” বই টি তে আছে।আমি পি ডি এফ নেটে পাইনি।আমার বাসায় বই টা আছে কেউ দেখতে চাইলে পিক পাঠান যাবে)
ইসলামকে রাজনিতিতে ব্যবহার সেই যে বিসমিল্লাহ্র মাধ্যমে শুরু হয়েছে তা আজও চলছে। সুযোগে যত যুদ্ধাপরাধী, রাজাকারেরা ইসলামীকরনের উসিলায় আবার রাজনৈতিক দল হিসাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠে্ছে। যুদ্ধাপরাধির বিচার চলাকালিনও বাচার জন্য বার বার তারা ইসলামকেই ব্যবহার করেছে। তাদের সেই ব্যবহৃত ইসলামকে হেফাজত করতে নাস্তিক বিরোধিতার উসিলায় হেফাজতের মাঠে নামা।নামটা ঠিকই আছে। রাজনীতিতে যে ইসলাম ব্যবহৃত হয় বা হয়ে আসছিল, সেই ইসলামেরই হেফাযত করা লাগে।হেফাযত না করলে যে সেই ইসলাম টিকবে না।একদিকে “রাজাকারের ফাঁসি” চাই আরেক দিকে “নাস্তিকের ফাঁসি চাই”। কিছু দিন ল্মফ ঝম্ফ করে স্বঘশিত গর্তের বাঘ আবার গর্তে। প্রথমে লাঠির বাড়ি তারপরে মলম হিসাবে সম্মান প্রদান। সরকার খুশি তারা মহা খুশি। সরকার সম্মান করে খুশি, তারা সম্মান পেয়ে মহা খুশি। মাস্তারসসের সম গুরুত্বে আসতে পেয়ে তারা মহা খুশি। ঠিক যেমন খুশি হয়েছিলেন আমার বাসায় আরবি পড়াতে আশা হুজুর।
এই চরিত্র গুলোর মধ্যে একটা সামনজস্য আছে। আমার বাসার হুজুর, জিয়াউর রহমান ,হু মু এরশাদ,যুদ্ধাপরাধি রাজাকার, শেখ হাসিনা সরকার এবং হেফাজতে ইসলাম। এরা সবাই ইসলামকে ব্যবহার করেছে বা করছে তাদের স্বার্থে। এরা ইসলাম কে ব্যবহার করতে পারছে কারন আমরা সাধারণ মুসলমানরা তাদের করতে দিচ্ছি।তারা ইসলামের নামে আমাদের যা খাও্যাতে চাচ্ছে আমরা তাই খাচ্ছি। চিন্তা করে ও দেখছি না বা খোজ নিয়েও দেখছি না ইসলামে আসলে কি আছে?? আমাদের এই অজ্ঞতা যতদিন থাকবে ততদিন আমরা এই ভাবে ব্যবহৃত হতে থাকব অথবা নাস্তিক হয়ে যাব।
©somewhere in net ltd.