![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ মানুষ
তখন সবে মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠেছি। ২০০৪ সাল। আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম, কুমিরা, সীতাকুণ্ড। স্বভাবতই জামাত শিবিরের আধিক্য। বাংলাদেশের ইতিহাসে সংবিধানে প্রশাসনে তখনই দৃঢ় ও কুৎসিত ভাবে বিকৃত ইসলাম প্রবেশ করে। কুৎসিত বলছি এই কারনে যে, ইসলামী অনেক বিষয় বড় করে দেখানোর জন্য মিথ্যার আশ্রয় নেয়া শুরু হয় তখন থেকেই। মুসলিম হলে সব কিছু ইসলামী দৃষ্টি কোণ থেকে দেখার প্রবণতার বীজ বাংলাদেশের মুসলমানদের মনে চিরতরে বসিয়ে দেয়ার প্রয়াসের অংশ হিসাবে শুরু হয় ভাগাভাগি। পোশাকের ভাগাভাগি, জায়গার ভাগাভাগি, অনুষ্ঠানের ভাগা ভাগি এমন কি কবি সাহিত্যিক উপন্যাস কবিতা সব কিছুর মধ্যে চলে আসে হিন্দু মুসলিম ভাগাভাগি। তারই ধারাবাহিকতায় ইসলামী আলোচনা সভায় আগত এক বক্তার মুখে আমি প্রথম শুনি,
“আমরা মুসলমান, কেন আমাদেরকে এক জন হিন্দু কবির গান জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে রাখতে হবে? এটা কি মুসলিম কবিদের প্রতি অবিচার নয়? মুসলমানদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য কবি কাজি নজরুল ইসলাম কে মুসলিম মানুষের মন থেকে মুছে দেবার এ এক সুক্ষ পরিকল্পনা”।
কাজি নজরুলের ইসলামের প্রতি প্রেমের প্রমান হিসাবে তিনি উল্লেখ করলেন “হামদ” “নাথ” আর কবির রচিত বিখ্যাত গান, “মসজিদেরি পাশে আমায় কবর দিও ভাই......” এবং কবিতা “রাসুলের অপমানে যদি কাদে না তোর মন, মুরতাদ তুই ইসলামের দুশমন” ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমি বা আমরা মোটামুটি হতবিহ্বল, মন্ত্র মুগ্ধ।
মুসলিম হিসাবে নিজেদের প্রতি ধিক্কার আসতে লাগল যখন কুষ্টিয়া ইসলামী ইউনিভারসিটি থেকে আগত আমাদের হোস্টেলের ও য়ার্দেন হিসাবে যোগ দেয়া (প্রাক্তন শিবির ক্যাডার) অল্প বয়সী এক স্যারের মুখে শুনলাম,
“তোমাদের আল্লাহ কি ম্যানেজমেন্ট জা আ আ নে এ এ??
তোমাদের আল্লাহ কি ইকনমিক্স জা আ আ নে এ এ?
তোমাদের আল্লাহ কি মার্কেটিং জা আ আ নে এ এ?
আমার আল্লাহ জানে?তাহলে তোমরা কেমন মুমিন?”
তাই তো, এভাবে তো কোণ দিন চিন্তা করে দেখি নি। আল্লাহ যেহেতু সব জানে তাই বান্দার হেদায়েতের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত কিতাব কোরআনেই তো সব জ্ঞান আল্লাহ দিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং আমরা অযথাই ইহুদি নাসারা খ্রিস্টানদের লিখিত কিতাব শিখে হেদিয়ে মরছি।
ভাগ হয়ে গেল কবি, কবিতা।
“ব্যচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন” আমাদের অন্তরে বসে গেল, “ব্যচেলর অব ইসলামিক বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন” হয়ে । কারন সব কিছুই তো আমাদের কোরআনে দেয়া আছে, ইহুদি নাসারার দল সেখান থেকে আইডিয়া নিয়ে লিখেছে ব্যবসা নীতির সব থিউরি।
ধিক তাদের, ধিক।
মনে মনে ঘৃণা করতে লাগলাম রবিন্দ্রনাথ, জিবনানন্দ, শরৎচন্দ্র।
হিরো আমার কাজী নজরুল, ঝাঁকড়া চুলের বাবরী দোলানো অমর পুরুষ।
আমার হিন্দু বিদ্বেষের আগুনে ঘি ঢালতে লাগলো নতুন নতুন মুসলিম ইতিহাস। উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, নোবেল পুরুস্কার নজরুলের পাওয়ার কথা ছিল, হিন্দুরা ষড়যন্ত্র করে রবিন্দ্রনাথ কে পাইয়ে দেয়। নজরুল হিন্দু নারী বিয়ে করেছিলেন, সেই নারী উনার খাবারে বিশ মিশিয়ে কবিকে মানসিক ভারসাম্য হীন করে দেয়।
কত বড় বদ এই মালাওনরা।
আর্ ও জানলাম, ভারতে মুঘল শাসন তথা ইসলামী শাসন ছিল জ্ঞানে বিজ্ঞানে ধর্মে এক আলোকিত সময়।সেই সময় মুসলিমরা চরম উন্নতির শিখরে।হিন্দুরা সেই উন্নতি সহ্য করতে না পেরে ইংরেজদের সাথে মিলে ভারত থেকে মুঘল সাম্রাজ্যের পতনে গুরুত্যপুর্ন ভুমিকা রাখে।
ধিক তাদের ধিক।
আর্ ও জানলাম ইহুদি নাসারাদের ষড়যন্ত্রের ফসল আমাদের দেশের টি ভি তে বা এন জিও গুলোর মাধ্যমে “কনডমের” তথা জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতির প্রচার। কারন তারা চায় না মুসলমানরা সংখ্যায় বাড়ুক। সমগ্র জাহান যখন আল্লাহ মুসলমানদের জন্য বানিয়ে দিয়েছেন তখন কেন তারা ছোট ছোট ঘিঞ্জি দেশ গুলতে থাকবে।ইউরপ আমেরিকায় এত এত জায়গা পড়ে আছে কোণ মানুষ নেই।সেগুল তো আমাদেরি। সৃষ্টি কর্তাসুত্রে প্রাপ্ত জমি জমা ।আমাদের স্রেফ সেগুলো দখলে নিতে হবে ব্যস।
খবরের কাগজে মাঝে মাঝে প্রচার হওয়া হিন্দু নিধনের ঘটনা গুলো আমার কাছে তখন নির্দোষ মনে হতে থাকে ।
মনে হত, “বেশ হয়েছে।মালাউনের বাচ্চা রা খালি খালি আমাদের অন্নে ভাগ বসাচ্ছে। যা শালারা ভারতে গিয়া মর”।
তখন ইন্টারনেট সহজলভ্য ছিল না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০ টা কম্পিউটার নিয়ে একটা ল্যব ছিল। আমরা সন্ধ্যার মাগ্রিবের নামাজের স্যরি সালাতের পর ল্যবের দরজায় লাইন লাগাতাম। দরজা খুললেই যে আগে গিয়ে যে কম্পিউটারে বস তে পারে।
ফেইসবুকের নাম শুনি নি, ছিল ইয়াহু মেসেঞ্জার।
সেখানেই চলত চ্যটিং। এই চ্যটিং আর ন্যুড পর্ণ পিক, এই দেখেই কাটতো আমাদের জন্য বরাদ্দ কৃত দুই ঘণ্টা সময়।
ইন্টারনেটে যে এগুলো ছাড়াও আরও অনেক কিছু করা যায় তা আমরা স্রেফ জানতাম কিন্তু গুরুত্ব বুঝতামনা। তাই বিশ্ব তার বিশাল তথ্যের ভাণ্ডার নিয়ে আমাদের সামনে অপেক্ষারত থাকলেও আমরা সেই ভাণ্ডারের দরজার সামনে বসে স্রেফ “টু এন্ড নাইন,টুয়েন্টি নাইন” ই খেলে কাটালাম। মনের অজানা প্রশ্ন বা ইতিহাসগুলো অজানাই রয়ে গেল।ইতিহাস জানার একমাত্র উপায় ছিল বই। বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ইসলামী বইয়ে ঠাসা যেগুলোর শানে নযুল আমরা প্রতিনিয়তই শুনতাম।
আস্তে আস্তে মনের অজান্তেই চরম ইসলামপন্থী হয়ে উঠছিলাম।১০০% হালাল সাবানে গোসল করি, পাকিস্থান ক্রিকেট টিমকে আপন আপন মনে হয়, এ আর রেহমান, নুস্রাত ফাতেহ আলী খানের গান ছাড়া অন্য ধর্মের শিল্পির গান শুনি না, বিদেশি পণ্য “মেইড ইন যে কোণ মুসলিম দেশ” দেখে কিনি, সৌদি আরবের শাসন ব্যবস্থা শ্রেস্ট মনে হয় এবং মাঠে ঘাটে আড্ডায় গলা ফাটিয়ে বিতর্ক করি, বাংলাদেশে ইসলামী শাসন কায়েম করার পক্ষে।
এভাবে আমি পায়ে পায়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম।
সদবিত ফিরে পেলাম আমার দুই বছরের বড় ফুপাত ভাইয়ের প্রবল চপটাঘাতে।
ভাই, “দূর বলদ। নজরুলের হামদ নাথ শুনে ফালাচ্ছিস, নজরুলের রচিত হিন্দুদের দেবী কালী কে উদ্দেশ্য করে ভক্তির গীত শুনিস নি? নজরুলের রচিত শ্যাম সংগীত শুনিস নি? হিন্দুদের পুজা অর্চনায় বাজানো হয়। নজরুল সাম্যবাদের একজন অগ্রদূত ছিলেন। তিনি মুসলিম হয়েও চার সন্তানের নাম হিন্দু এবং মুসলিম উভয় নামেই নামকরণ করেন। যেমন: কৃষ্ণ মুহাম্মদ, অরিন্দম খালেদ (বুলবুল), কাজী সব্যসাচী এবং কাজী অনিরুদ্ধী।এক কালে তিনি হাজি পালোয়ানের কবরের সেবক এবং মসজিদের মুয়াযযিন (আযান দাতা) হিসেবে কাজ শুরু করেন। এইসব কাজের মাধ্যমে তিনি অল্প বয়সেই ইসলামের মৌলিক আচার-অনুষ্ঠানের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত হবার সুযোগ পান যা পরবর্তীকালে তার সাহিত্যকর্মে বিপুলভাবে প্রভাবিত করে। তিনিই বাংলা সাহিত্যে ইসলামী চেতনার চর্চা শুরু করেছেন বলা যায়। কিন্তু তাই বলে তাকে শুধু মুসলিম কবি হিসাবে দাবী করা ধর্মীয় লিঙ্গভেদের বিরুদ্ধে তার মতবাদকে অপমান করার সামিল”।
আমি হতভম্ব।
মানে কি?
যে মানুষ আল্লাহ রাসুলের প্রেমে এত সুন্দর গান লিখতে পারে সে একই রকম প্রেমে দেবী বন্দনা কিভাবে করে? তাহলে কবি কোণ ধর্মের?
ভাই, “কবি সাহিত্যিকদের ধর্মের সিমানায় বন্দি করা যায় না।তারা সকলের”।
আমি, “তাহলে নজরুলের যে নোবেল পাওয়ার কথা ছিল? আর মালাওন রা যে তাকে বিষ প্রয়োগ করেছিলো?”
ভাই, “কাজী নজরুল ইসলাম এর সময়কাল (২৪ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬), আর কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ই মে, ১৮৬১ - ৭ই আগস্ট, ১৯৪১)। কবি গুরু ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। আর ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে আসানসোলের দারোগা রফিজউল্লাহ নজরুলকে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালের দরিরামপুর স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি করে দেন। দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া একজন ছাত্র কেমনে নোবেল পুরুষকারের জন্য মননীত হবে? আর বিষ প্রয়োগ? ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে নজরুল ও প্রমীলা দেবীকে চিকিৎসার জন্য লন্ডন পাঠানো হয়। মে ১০ তারিখে লন্ডনের উদ্দেশ্যে হাওড়া রেলওয়ে স্টেশন ছাড়েন। লন্ডন পৌঁছানোর পর বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তার রোগ নির্ণয়ের চেষ্টা করেন। এদের মধ্যে ছিলেন: রাসেল ব্রেইন, উইলিয়াম সেজিয়েন্ট এবং ম্যাককিস্ক- তারা তিনবার নজরুলের সাথে দেখা করেন। প্রতিটি সেশনের সময় তারা ২৫০ পাউন্ড করে পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন। রাসেল ব্রেইনের মতে নজরুলের রোগটি ছিল দুরারোগ্য বলতে গেলে আরোগ্য করা ছিল ছিল অসম্ভব। একটি গ্রুপ নির্ণয় করেছিল যে নজরুল "ইনভল্যুশনাল সাইকোসিস" রোগে ভুগছেন। এছাড়া কলকাতায় বসবাসরত ভারতীয় চিকিৎসকরাও আলাদা একটি গ্রুপ তৈরি করেছিলেন। উভয় গ্রুপই এই ব্যাপারে একমত হয়েছিল যে, রোগের প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসা ছিল খুবই অপ্রতুল ও অপর্যাপ্ত। লন্ডনে অবস্থিত লন্ডন ক্লিনিকে কবির এয়ার এনসেফালোগ্রাফি নামক এক্স-রে করানো হয়। এতে দেখা যায় তাঁর মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল লোব সঙ্কুচিত হয়ে গেছে। ড: ম্যাককিস্কের মত বেশ কয়েকজন চিকিৎসক একটি পদ্ধতি প্রয়োগকে যথোপযুক্ত মনে করেন যার নাম ছিল ম্যাককিস্ক অপারেশন। অবশ্য ড: ব্রেইন এর বিরোধিতা করেছিলেন।
এই সময় নজরুলের মেডিকেল রিপোর্ট ভিয়েনার বিখ্যাত চিকিৎসকদের কাছে পাঠানো হয়। এছাড়া ইউরোপের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও পাঠানে হয়েছিল। জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসার্জন অধ্যাপক রোঁয়েন্টগেন ম্যাককিস্ক অপারেশনের বিরোধিতা করেন। ভিয়েনার চিকিৎসকরাও এই অপারেশনের ব্যাপারে আপত্তি জানান। তারা সবাই এক্ষেত্রে অন্য আরেকটি পরীক্ষার কথা বলেন যাতে মস্তিষ্কের রক্তবাহগুলির মধ্যে এক্স-রেতে দৃশ্যমান রং ভরে রক্তবাহগুলির ছবি তোলা হয় (সেরিব্রাল অ্যানজিওগ্রাফি)- কবির শুভাকাঙ্খীদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে ভিয়েনার চিকিৎসক ডঃ হ্যান্স হফের অধীনে ভর্তি করানো হয়। এই চিকিৎসক নোবেল বিজয়ী চিকিৎসক জুলিয়াস ওয়েগনার-জাউরেগের অন্যতম ছাত্র। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের ৯ ডিসেম্বর কবিকে পরীক্ষা করানো হয়। এর ফলাফল থেকে ড. হফ বলেন যে, কবি নিশ্চিতভাবে পিক্স ডিজিজ নামক একটি নিউরনঘটিত সমস্যায় ভুগছেন। এই রোগে আক্রান্তদের মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল ও পার্শ্বীয় লোব সঙ্কুচিত হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন বর্তমান অবস্থা থেকে কবিকে আরোগ্য করে তোলা অসম্ভব। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের ২৭ ডিসেম্বর তারিখে কলকাতার দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা ভিয়েনায় নজরুল নামে একটি প্রবন্ধ ছাপায় যার লেখক ছিলেন ডঃ অশোক বাগচি- তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য ভিয়েনায় অবস্থান করছিলেন এবং নজরুলের চিকিৎসা সম্বন্ধে প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। যাহোক, ব্রিটিশ চিকিৎসকরা নজরুলের চিকিৎসার জন্য বড় অঙ্কের ফি চেয়েছিল যেখানে ইউরোপের অন্য অংশের কোন চিকিৎসকই ফি নেননি। অচিরেই নজরুল ইউরোপ থেকে দেশে ফিরে আসেন। এর পরপরই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ বিধান চন্দ্র রায় ভিয়েনা যান এবং ড. হ্যান্স হফের কাছে বিস্তারিত শোনেন। নজরুলের সাথে যারা ইউরোপ গিয়েছিলেন তারা সবাই ১৯৫৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর রোম থেকে দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। বিষ প্রয়োগ যদি হিন্দু রা করত তাহলে কি এত এত চিকিথসা করাত??!!!! অদ্ভুত”।
আমি , “তাহলে মুঘল সাম্রাজ্য তথা ইসলামী শাসনের পতন হওয়ার পেছনে হিন্দুদের অবদান?”
ভাই, “মুঘল শাসন ইসলামী যুগ? তা তোর এই ইসলামী যুগের মুঘল শাসকরা কয় জন হ্বজ করেছিলেন? এক জন ও না। ক্যান করেনি? তাদের কি টাকার অভাব ছিল? মুঘলদের বিখ্যাত “হারেম” ইসলামী প্রথা? দাসী প্রথার সাথে গুলাশ না। নবি (সাঃ) এর যুগের দাসী আর মুঘল হেরেমের নারিদের মধ্যে বিস্তর ফারাক।আর ভারতের তথা হিন্দু স্থানের ইতিহাস “মুহাম্মদ বিন কাশিমের” থেকে শুরু এটা মুসলমানরা চিন্তা করে কিন্তু এটা যুক্তি সঙ্গত না।এর আগেও অনেক উচ্চমানের রাজা বা রাজ্য, সভ্যতা হিন্দুস্থানে বিদ্যমান ছিল।তার বেলা??? আর একটু ইতিহাস ঘেঁটে নিয়ে দেখ ভারতে ইংরেজ দেরকে বানিজ্যিক কুঠি নির্মানের অনুমতি সর্ব প্রথম কে দিয়েছিল এবং কেন??”
আমি, “আর ইহুদি নাসারাদের ষড়যন্ত্র? মানে কনডমের প্রচার ও প্রসার তাছাড়া ইউরোপ আমেরিকায় আমাদের স্রষ্টা সুত্রে প্রাপ্য এত এত জায়গা জমি?”
ভাই, “ইহুদি নাসারা মুসলমানদের যত না মারছে তার চেয়ে কয়েক গুন বেশি মরছে নিজেদের মধ্যে ষড়যন্ত্র আর মারামারি করে। ইসলামের প্রথম চার খলিফার মধ্যে স্রেফ এক জনের সাভাবিক মৃত্যু হয়, আর একজন মরেন খ্রিস্টানের হাতে।বাকি দুই জন কে মুসলমান রাই মারে। চার খলিফার পর কারবালার যুদ্ধ, মুসলমানের সাথে মুসলমানের। যদিও একপক্ষ আরেক পক্ষকে কাফের বলবে। এর পর নবি (সাঃ) এর ইসলামিক রাষ্ট্র স্রেফ রাষ্ট্র ই রয়ে গেলো, ইসলাম খুজে পাওয়া যাবে না। তাইলে ইহুদি নাসারাদের ষড়যন্ত্র করার সুযগ দিলো কই? অনেকে আবার বলে এই সব গেঞ্জাম ইহুদি নাসারাদের ষড়যন্ত্রেরই ফল। তাহলে নবি (সাঃ) বা কুরআন তাদের কে কি শিক্ষা দিলো, যে ইসলামী রাষ্ট্রের ২য় খলিফা থেকেই শুরু হোল রক্ত পাত?
আর কনডম?
আঁজলের হাদিস গুলা পড় তাইলেই বুঝবি।
আর সৃষ্টি কর্তা প্রদত্ব সম্পদ?
সেগুলো দখল করতে যাওয়ার আগে তোদের ধর্ম ভাই সাউদি দের বল না ভাই হিসাবে তেলের ভাগ দিতে। হজ্ব করতে যাস ভাইয়ের দেশে, ভাই তোদের কাছ থেকে থাকা, খাও্যার টাকা নেয় কেন? ওদের না আল্লাহ অনেক বরকত দিসে??
এমনকি জম জম কুপের পানিও পর্যন্ত বেচে ভাইয়ের কাছে।
এটা কেমন ভাই, আল্লাহ্র নিয়ামত বিক্রি করে ভাইয়ের কাছে?????”
আমি সংকুচিত।
[বিঃ দ্রঃ ভাইয়ের কথা গুলো অনেক আগে শোনা তাই হুবহু স্বরন করতে পারছি না, বিকল্প ব্যবস্থায় উইকিপিডিয়া থেকে শুধু তথ্য গুলো কপি পেস্ট করলাম।
২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩
চৌধুরী জাফর উল্লাহ শরাফত বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।তার পরে ও আমাদের দেশের কিছু মানুষজন সৌদি বলতেই অজ্ঞান। অথচ সৌদিরা বাংলাদেশ,পাকিস্থান বা ভারতের মুসলমানদের নিচু মানের মুসলমান হিসাবেই চিন্তা করে।
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:২৫
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সমকাল পাত্র ও ঘটনাবলী নিয়ে লিখুন
আমরা আগ্রহী লেখার জন্য
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২৩
ইনাম আহমদ বলেছেন: সৌদি আরব তেল বেঁচে যা আয় করে তারচেয়ে হজ্জ্বব্যবসা করে আরও বেশী আয় করে। বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর সওয়াবের আশায় খরচ করা টাকায় ইয়েমেনীদের বুকে মারার জন্য বুলেট কেনা হয়।