![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চক্ষে আমার তৃষ্ণা তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে
সাঁই সাঁই করে ছুটে যাওয়া শানদার একখান শকট। ভেতরে ঝকঝকে পোশাকে স্মিতহাস্যধারী একসার আদম। অপ্রত্যাশিত দ্রুততায় পৌঁছে যায় প্রত্যাশিত গন্তব্যে। ভরপুর তৃপ্তিতে মাথা উঁচিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসে আলোকিত শহরে। সম্মানিত, সুশোভিত এক বা একাধিক নারী এবং স্বর্গীয় ছাঁচে গড়া তুলতুলে শিশুর দল সহাস্যে আলিঙ্গনাবদ্ধ করে ফেলে নিমিষেই। আনন্দ আর উচ্ছ্বাসের কলকল কল্লোলধবনি শুনতে কান পাততে হয়না। তারপর কেউ কেউ হারিয়ে যায় অই দূর পাহাড়ের ঘন্টাধবনি লক্ষ্য করে। কারো বাসনা জাগে প্রেয়সীর গায়ে লুকোনো চাপ চাপ হাল্কা সুবাস আরো নিবিড়ভাবে পরখ করতে। আরেকদল উদরপূর্তিকেই রাখে অগ্রগণ্য। তীব্র উপভোগ, বিশুদ্ধ উপযোগ, প্রবল জীবনবোধ এই নিয়ে বেশ আছে অনুপম শহরবাসীরা।
তারা এই শহরের বাসিন্দা, বান্দা নয়। শহর তাদের গোলামী করতে শেখায়নি। শেকলে বেঁধে বাধ্য করেনি জন্তুরূপী জীবনযাপনে। ধুঁকে ধুঁকে চলতে থাকা নিরানন্দ এক যানে চড়িয়ে পাঠায়নি দাসত্ব করতে। জানালার ঘোলা কাঁচে এঁকে রাখেনি ভয়াবহ বিষন্ন একসার জীর্ণ মুখোচ্ছবি।
অনুপম শহরের নাগরিকজীবন অভিশপ্ত শহরবাসীদের মত নয়।
অভিশপ্ত নগরের আদমকুলের অনির্দিষ্টযাত্রা ফুরোয়না এ জীবনে। তারা চলতে থাকে কলের পুতুলের মত, কলুর বলদের মত। শহরে তাদের একটাই মুখোশ- পরাজিত এক দাসের গ্লানিময় অবয়ব। চোখের কোনা বেয়ে ঝরে পড়ে তরল ক্লান্তি। গোলকধাঁধাঁর চক্রে পড়ে প্রতিনিয়ত পথ খুঁজে দিশেহারা মানবেরা সেই কবে প'রে নিয়েছিল নিরাশার জোয়াল, মনে নেই কারো!
তবু অবিশেষ কোনো গুমোট সন্ধ্যায় অথবা ভীষন একঘেয়ে কিছু ঘানি টানা মধ্যাহ্নে, আর বিক্ষিপ্ত কতক ঘুনে ধরা রাত্রিপ্রহরে তারা স্বপ্ন দেখে। এক টুকরো সাহস তারা সন্তর্পণে বাঁচিয়ে রাখে স্বপ্নবচন উচ্চারনে। তারা আলোচনা করে কাব্য ও দর্শন। চর্চা করে ইতিহাস, বিজ্ঞান। গড়ে তুলতে চায় আরেকটা অনুপম শহর। দূরের অই সুরেলা আওয়াজ, টুকরো টুকরো রিনিঝিনি হাসির লহরী বুভুক্ষ করে তাদের মুক্তির স্বাদ পেতে। অভিশপ্ত নগরের সবাই আর মন্ত্রবন্দী শ্রমিক-প্রজা আর দাস নয়। তারা কেউ কেউ আজ পূজারী ও ভাস্কর।
পূজারী স্বপ্নের; ভাস্কর মুক্তির।
১৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫৫
জাফরিন বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব!!
২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৮
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো লেগেছে ।
২০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৫১
জাফরিন বলেছেন: পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় মামুন ভাই
৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:২৪
আমিনুর রহমান বলেছেন:
বাহ ! বেশ তো !!
২২ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৫১
জাফরিন বলেছেন:
৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: শানদার হয়েছে।
৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:০৭
জাফরিন বলেছেন: শুকরিয়া জনাব!
৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: অন্যরকম।
ভাল লাগল
১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৫
জাফরিন বলেছেন: থ্যাংকু নীল, আমার ব্লগে ভ্রমন করার জন্য
ভাল থেকো!
৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনি কি আমাদের হিষ্ট্রি ডিপার্টমেন্টের জাফরিন আপু?
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:০২
জাফরিন বলেছেন: হুম। ইতিহাস বিভাগের এবং অতি অবশ্যই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের জাফরিন আপু
৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২৯
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন: শিরোনাম দেখে গল্পের আস্বাদ নিতে গিয়ে পড়ে মনে হল এ তো ইতিহাসের পালাবদল বা রূপান্তরের ইতিকথা ৷ তবে বাক্যের বিন্যাস ব্যতিক্রমী ও গভীর বা রূপকধর্মী ৷
অল্প কথার শেষ বাক্যে খুব সংক্ষেপে লেখকের মনের অভিব্যক্তি প্রকাশটি অনবদ্য ৷ ভাল থাকবেন ৷
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭
জাফরিন বলেছেন: গল্প পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
ইতিহাসের পালা বদল? হ্যাঁ, অনেকটা সেরকম বলতে পারেন। তবে পরিবর্তনটা পর্যায়ক্রমিক নয় বরং সমান্তরালে রেখে তুলনামূলকভাবে আলোচনা করেছি যাতে করে সুস্থ নাগরিক জীবনচর্চার প্রতি আকুতিটা পাঠক আরো তীব্রভাবে অনুভব করতে পারে।
লেখাটির প্রেরনা আসে একদিকে আমাদের এই ধুঁকে ধুঁকে বয়ে চলা রোজকার যাপিত জীবনের প্রতি ভয়ংকর বিতৃষ্ণা থেকে, আবার অন্যদিকে স্বপ্নময়-কল্যানময় জীবনের জন্য অদম্য আকাঙ্ক্ষা থেকে। আমি বিশ্বাস করি অভিশপ্ত এ জীবন পেরিয়ে আমরা সুন্দর কিছু দিনরাত্রি অর্জন করতে সক্ষম হবোই।
সকলের ভাল থাকার দিন শীঘ্রই আসুক, এই কামনা করি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৪৯
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাল লাগল।