![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান এ দুটি সম্পূর্ণভাবে আলাদা যদিও বিজ্ঞানই প্রযুক্তির উৎস। আমার এ কথা শুনে অনেকেই হয়তো ভ্রু কুচকাবেন । কারণ
অনেকেই মনে করবেন প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান আলাদা এটা সবাই জানে। তাহলে আবার নতুন করে বলার কি আছে?
হ্যা এটা সবাই জানে।
কিন্তু আমি বলতে চাচ্ছি সত্যিই কি সবাই সুষ্পষ্টভাবে এর পার্থক্যটা বুঝতে পারেন?
এই পার্থক্য না বুঝতে পারাই হলো বাঙালীর জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে থাকার কারণ। যাইহোক এ নিয়ে অারো পরে আলোচনা করা যাবে তার
আগে একটা ছোট উদাহরন দিচ্ছি এই পার্থক্যটা সহজভাবে বোঝার জন্য।
এখানে আমি বিজ্ঞানী Ohm এর সূত্রটা ব্যবহার করছি>
I = V/R => V= I*R ( * এটা দ্বারা গুন চিন্হ প্রকাশ করেছি )
=> R= V/I
এখানে I= তড়িত প্রবাহ,
V= বিভব পার্থক্য,
R= রোধ।
এখন যদি তড়িত প্রবাহ আর বিভব পার্থক্য দেওয়া থাকে তাহলে খুব সহজে আপনি রোধের মান বের করে ফেলতে পারবেন। এভাবে
যেকোনো দুটির মান জানা থাকলে পরেরটি বের করে ফেলতে পারবেন । তা আপনি এতক্ষন যাবৎ যা করলেন সেটা কিন্তু গণিত বা বিজ্ঞান
নয় এটা হচ্ছে টেকনোলোজি বা প্রযুক্তি।
তাহলে এখন প্রশ্ন হলো এটা প্রযুক্তি হলে বিজ্ঞান কোনটা হবে। আর আমার পোষ্টের উদ্দেশ্য এটাই।
এই একই উদাহরন ব্যবহার করে এখন বলব এখানে বিজ্ঞান কী।
১) তড়িত প্রবাহ: পরিবাহীর যেকোনো প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে একক সময়ে প্রবাহিত আধানের পরিমান।
২) বিভব শক্তি ও বিভব পার্থক্য: অসীম থেকে প্রতি একক ধনাত্মক আধানকে পরিবাহীর খুব নিকটে আনতে তড়িৎ বল দ্বারা বা তড়িৎ বলের বিরুদ্ধে যে পরিমান কাজ সম্পন্ন হয়, তাকে পরিবাহীর বিভব বলা হয়। আর একক ধনাত্মক আধানকে পরিবাহীর এক বিন্দু হতে
আর এক বিন্দুতে স্থানান্তর করতে যে পরিমান কাজ সম্পন্ন হয় তাকে সেই দুই বিন্দুর বিভব পার্থক্য বলা হয়।
----- তড়িত প্রবাহ ও বিভব পার্থক্য বুঝা গেল কিন্তু রোধ কি? (তড়িৎ প্রবাহ বা আধান প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয় একে রোধ বলে)
আচ্ছা যান রোধও বুঝলাম। যেহেতু V/I= R [Ohm s law] ..... তাই এখন আমার প্রশ্ন হলো বিভব পার্থক্য(V) কে তড়িত প্রবাহ (I)
দিয়ে ভাগ করলে কিভাবে রোধ বেরুবে?
এটা বোঝার জন্য প্রয়োজন চিন্তা ভাবনা। আবার বলছি বিভবকে তড়িত প্রবাহ দিয়ে ভাগ করলে আধানের বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার পরিমান
কেমনে বেরোয়? আর এভাবেই চিন্তা করেছিলেন স্যার জর্জ সাইমন ওহম।
কীভাবে বেরোয় সেটা চিন্তার দ্বারা উপলব্ধি করাই হলো বিজ্ঞান।
আমি সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছিলাম যেদিন বুয়েট
ও ঢাকা ভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের কয়েকজন ছাত্রকে এ রকম কয়েকটা প্রশ্ন করেছিলাম। অথচ তারা বিষয়টা ধরতেই পারে নি।
[পরের পর্বে উত্তরটা সহজভাবে উপস্থাপন করব]
১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৮
Jahirul Sarker বলেছেন: সুন্দরভাবে সংঙ্গায়িত করেছেন। ধন্যবাদ।
২| ১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:০৭
বিজন রয় বলেছেন: ভাই গণিত আমার মাথায় ঢোকে না।
কবিতা পোস্ট করেন।
১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৫
Jahirul Sarker বলেছেন: কবিতার ছন্দ যে আমার মাথায় আসে না। তবে আপনি যখন বললেন তখন চেষ্টা করতে ক্ষতি কি!
যদি কবিতা পাই লিখব আমি আপনার কথা স্মরন করিয়া ভাই!!!!!!!
৩| ১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
যেখানে লোকজন খুব একটা মন্তব্য করে না, আপনি আমার মন্তব্য মুছে দিয়েছেন?
১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪১
Jahirul Sarker বলেছেন: গরু ঘাস খায় আমি গরু খাই তার মানে আমিও ঘাস খাই। আপনি অনেক বুদ্ধিমতী। ধন্যবাদ আমাকে নিয়ে চিন্তা করার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:০৬
মুহাম্মদ মফিজুর রহমান বলেছেন: এক কথায় যা বিজ্ঞান তা মানুষের কল্যাণে ব্যবহার উপযোগী করে তোলার নাম প্রযুক্তি।