![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশে এখন সাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হয়েছে,দেশে এখন চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত হয়েছে।এই দুটি সেবা এখন সুলভ এদেশে।চিকিৎসাসেবা এতটাই সহজলভ্য হয়েছে যে,পথে ঘাটে এখন এ সেবা পাওয়া যাচ্ছে।আর এই সহজলভ্যতার কল্যানেইতো কয়েক দিন আগে এক গর্ভবতীকে রাস্তায় সন্তান প্রসব করতে হয়েছে। দেখেছেন কত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।তারই এক বিরল সাক্ষর এই ঘটনা।
আসুন আমরা এখন পরম নিশ্চিন্তে ঘুমাই।এক লম্বা ঘুম নামিয়ে আনে মনে ও মগজে।কয়েক দিন আগে দেখলাম এক স্কুল শিক্ষিকা ক্লাশরুমে টেবিলের ওপর মাথা রেখে পরম নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন।আজ দেখলাম এক কলেজের অধ্যক্ষ নিজ অফিসকক্ষে বসে টেবিলের ওপর পা তুলে পরম আরামে ঘুমোচ্ছেন।কি নিশ্চিন্তের সুবাতাস বইছে এ বঙ্গখানায়।আসুন আমরাও উনাদের মত পরম নিশ্চিন্তে ও আরামে একটি ঘুম দেই।
শুনিছে উনারা নাকি অসুস্থ ছিলেন।আরে শুধু উনারা অসুস্থ হবেন কেনো?পুরো জাতিইতো অসুস্থ।
তা না হলে কি একটি মেয়েকে রাস্তায় সন্তান জন্মদানে বাধ্য করার পরও সবাই নির্বিকার থাকে?
প্রসব বেদনায় কাতর মেয়েটিকে ঢাকা মেডিকেল থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে ফিরিয়ে দেয়া হলো সিজারের অযুহাতে,আজিমপুর মাতৃসদন থেকে ফিরিয়ে দেয়া হলো তার নাকি রেজিষ্ট্রন করা নাই না কি কি কারনে যেন।প্রসববেদনায় কাতর মেয়েটি কয়েকটি হাসপাতাল সে ঘুরলো,কোনো হাসপাতালে ঠাই হলোনা,অবশেষে রাস্তায় তাকে সন্তান জন্ম দিতে হলো।শিশুটি ভূমিষ্ট হওয়ার দুই মিনিট পরই প্রানত্যাগ করেছে।
ভালোই হয়েছে।যে দেশে তাকে রাস্তায় ভূমিষ্ট হতে হয়েছিলো সে দেশে যে তাকে আরও কত দূর্বীসহ জীবন উপহার দিতো কে জানে?তার'চে ভালো সে চলে গিয়েছে।
ওপার থেকে অভিশাপ দিস তুই এই বঙ্গীয় জনপদের ওপর, যেখানে সোহেল(মেয়েটিকে সাহায্যকারী) ছাড়া কেউ মানুষ নয়।ওপার থেকে অভিশাপ দিস তুই এই হাসপাতালগুলো যেনো ভেঙে পড়ে যেখানে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে অবস্থিত মানুষের জীবনের চেয়ে নিবন্ধনটাই বেশী গূরুত্বপূর্ন।ওপর থেকে অভিশাপ দিস ঐ চিকিৎসকদের,যাদের কাছে রোগীর জীবনের চেয়ে রেজিষ্ট্রেশন বড়,যাদের কাছে রোগীর জীবনের চেয়ে সিজার ও অর্থলোভ বড়।যারা সেবকের পরিবর্তে হয়েছে ঠান্ডা মাথার খুনী,যারা খুন করেছে মানবতা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: দেশে এখন সাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হয়েছে - তাই রাষ্ট্রপতি চিকিৎসার জন্য বিদেশ গেলেন।