নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উৎসের খোঁজে।

Jaliskhan

মানুষ হইবার চাই

Jaliskhan › বিস্তারিত পোস্টঃ

শ্লীলতাহানি

২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

এক

কোতয়ালি থানা থেকে কিলো পাঁচেক দক্ষিণে নিশ্চিন্তপুর গ্রাম। আধুনিকতার ছোঁয়ায় কৃত্তিম সৌন্দর্য চোখে পড়ে বেশ। গ্রামে সব মিলিয়ে শ'তিনেক পরিবার থাকে। এর মাঝে দুই পরিবার বেশ প্রাচীন ও বনেদি বলে নাম ডাক আছে। রুস্তম আলিদের পারিবারিক ইতিহাস দীর্ঘ। মূলত উনারাই এখানে প্রথম বসত গড়ে তোলেন। স্ত্রী আছনা বেগম ও একমাত্র সন্তান আকবর আলিকে নিয়ে এই বনেদিআনা এখনও ধরে রেখেছেন রুস্তম আলি।

সেদিন ঘরের দাওয়ায় বসে, শাল কাঠের খুঁটিতে টিকটিকির তেলাপোকা খাওয়া মনোযোগ দিয়ে দেখছিলেন রুস্তম আলি। মনটা উনার আজ বড়ই বিক্ষিপ্ত। যেই বাড়ির সুনাম শহরের অলিগলি অব্দি বিস্তৃত, যেখানে ইলেকশানের আগে সবাই দেখা করে যায় আর আজ সামান্য ঘটনায় এমন অপমান সহ্য করতে হবে ভাবনায় আসে নি উনার।

আছনা বেগম, রুস্তম আলির স্ত্রী স্বামীর চিন্তিত, বিক্ষিপ্ত এবং শূন্য দৃষ্টির মর্মোদ্ধারের চেষ্টায় না গিয়ে, একমাত্র ছেলের ব্যাপারে পুনঃ পুনঃ রিহার্সেল করা কিছু কথা বলার জন্যে পাশে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। রুস্তম আলির দৃষ্টি তেলাপোকার, অপমানজনক খাদ্যে পরিণত হওয়া থেকে এসে যখন স্ত্রীর উপর পড়ে, ততক্ষণে আছনা বেগম এতো প্রস্তুতির পরেও সব কথা ভুলে গেলেন এবং হয়তো টিকটিকির তেলাপোকা খাওয়া দেখে, তারও খাওয়া দাওয়ার কথা মনে পড়ে গেলো এবং অজান্তেই মুখ ফসকে বলে উঠলেন, "বৈকালবেলা বাজারতন আওনের সুমো, দুই সের পলাউর চাইল নিয়া আইসেন"।

বারুদে আগুন লাগলে যেমন হয়, ঠিক তেমনি রুস্তম আলি তড়াক করে লাফিয়ে উঠলেন, হাতের ছড়ি অযথাই দু'তিনবার ঘুরিয়ে উষ্মা প্রকাশ করলেন এবং ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে মনে করতে পারলেন, উনাদের পরিবারে মেয়েদের সাথে ধমক দেয়া, রাগ করা কিংবা উষ্মা দেখানো কাপুরুষের নামান্তর। সুতরাং তিনি বিড়বিড় করে "সরকার"কে অভিশাপ করতে করতে বাড়ির উঠানে পায়চারি করতে লাগলেন। "সরকার" এর অযাচিত হস্তক্ষেপ, ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলানো আর উনার মতো সম্মানিত পরিবারের পিছনে পায়ে পা বেঁধে ঝগড়া মেনে নিতে পারছিলেন না তিনি।

দুই

আর আকবর আলি, যে কিনা জন্ম হতেই মানসিকভাবে কিছুটা দুর্বল, যাকে নিয়ে সবাই আড়ালে আবডালে হাসাহাসি করে, যে কিনা মনে যা আসে তাই প্রকাশ করে ফেলে, সেই আকবর আলি বাজারের পূবে তাদের দীঘিতে বসে একটা বড় মাছের মুখের হায়ে ছোট মাছের আত্মাহুতি দেয়া দেখছিলো। একনাগাড়ে দেখতে দেখতে কিছুটা চোখের আরামের প্রয়োজনে ডানে বাজারের দিকে তাকাতেই চোখে পড়লো রাস্তায় মানুষের এলোমেলো চলাফেরা, থুতু ফেলানো, কাপড় উল্টিয়ে পেশাব করা ও কুলুপ নেয়া। তার নিজেরও থুতু ফেলতে ইচ্ছে করে এবং সেই ফাঁকে সে দেখে নেয় ছোট মাছের অবস্থান। তবে সত্যি বলতে কি সে বড় মাছের শিকারের জন্য অপেক্ষা প্রাণ ভরে উপভোগ করে।

এবার বামদিকে তাকিয়ে সে হলুদ ধান ক্ষেত দেখার এবং ফসলের মিষ্টি ভেজা ঘ্রাণ নেবার চেষ্টা করে। তার দৃষ্টিতে একটা অবাক বিস্ময় ফুটে উঠে কারণ একটা মাদি গরু আর তার ছানা, অনুমতি ছাড়াই তাদের পূর্ব পুরুষের ক্ষেতে ঢুকে সব সাবাড় করে দিচ্ছে। আকবর আলি ছোট মাছটাকে নিয়তির হাতে ছেড়ে দিয়ে, পা চালিয়ে ক্ষেতের আলে আসে এবং পরিপক্ক হতে না পারা ধানের গোছাগুলোর জন্য বিষন্নবোধ করে যা সেই মাদি গরুর মুখগহ্বরে অবস্থানরত তখন।

যেহেতু মাদি গরু, সেহেতু আকবর আলি গায়ে হাত দিতে পারে না। তাই সে প্রথমে অত্যন্ত সংযত ভাষায় অনুরোধ করে, তাতে কাজ না হওয়াতে কিছু দুর্বোধ্য শব্দ ব্যাবহার করে, তারপর লাফিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে, তাতেও কাজ না হওয়াতে জামা খুলে হাতের মুঠোয় নিয়ে মাথার উপর ঘুরাতে শুরু করে।

ইত্যবসরে তার লুঙ্গির গিঁঠ খুলে যায় এবং বাজারের লোকজন যখন এসে পড়ে, ততক্ষণে আকবর আলি দিগম্বর। মাদি গরুটির কোন ভাবান্তর হয় না অথবা আকবর আলি তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারে না প্রাণীটির নীতিবহির্ভূতভাবে প্রবেশ ও ফসল কুক্ষিগত করার ব্যাপারে। বাজারের লোকজন স্বভাবতই হেসে লুটোপুটি খায় আর কেউ কেউ এমন গল্পের খোরাক পেয়ে রসিয়ে রসিয়ে বাজারের আড্ডায় বলতে থাকে। বাজারে যেহেতু নানা ধরণের মানুষ থাকে আর তাদের মধ্যে "সরকার" এর লোকজনও মিশে থাকে আর তারা এ ঘটনা শুনতে পেয়ে নানান জনের কানভারী করে।

তিন

গল্পের খুঁটিনাটি একান ওকান হতে হতে এবং স্থান কাল পাত্র ভেদে বদলায় আর তাতে নানান ঘটনা নতুন করে স্থান পেতে পেতে সমাজের উচ্চমহলেও আলোচিত হয় যার সারমর্ম দাঁড়ায়, "আকবর আলি রাস্তায় বিবস্ত্র হয়ে নারীদের শ্লীলতাহানি করেছে"।

খুব দ্রুত এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে এবং জনপ্রতিনিধিরা এই ঘটনার তদন্তে করতে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করেন। এদিকে "মার্ক জুকারবার্গের" নতুন ধর্ম "ফেইসবুকে" এ নিয়ে ইভেন্ট চালু করা হয় এবং প্রথম ঘন্টায় প্রায় সাতশ সচেতন মানুষ এ নিয়ে প্রতিবাদ সভায় যাবার আগ্রহ জানায়। পত্রিকাগুলো বিশেষ যত্ন নিয়ে এ খবর প্রকাশ করে এবং এহেন হীন কাজের তিরষ্কার এবং প্রশাসন ঘুমিয়ে থাকে কি না এ নিয়ে অত্যন্ত জোরালো প্রশ্ন তোলে।

খাকি পোষাকের লোকেরা এ নিয়ে প্রেস কনফারেন্স করে আর খুব দ্রুত অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে।

তিনদিনের মাথায় আকবর আলিকে "শ্লীলতাহানি"র অপরাধে অশ্লীল উপায়ে গ্রফতার করে থানায় সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনার সাথে সাথে রুস্তম আলির মানসম্মান ধূলোয় লুটিয়ে গড়াগড়ি খেতে থাকে এবং সদর দরজায় এসে এ সম্মান হামাগুড়ি দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে।

রুস্তম আলি একমাত্র ছেলের এবং পারিবারিক মান সম্মানের কথা ভেবে থানায় যেতে মনস্থির করেন। যেহেতু "সরকার", মিডিয়া, অনলাইন ধর্ম আর আইনের লোকেরা এ ব্যাপারে জড়িয়ে পড়েছে, সেহেতু দায়িত্বরত অফিসার কাজ আছে বলে রুস্তম আলিকে বসিয়ে রেখে চলে যায়। একটা নোনতা বিস্কিট ও ময়লা চায়ের কাপ হাতে নিয়ে রুস্তম আলি ভাবেন, শেষ কবে এ পরিস্থিতিতে তিনি পড়েছিলেন।

রুস্তম আলির চিন্তাক্লিষ্ট চেহারা হাবিলদার রহিম খাঁ লক্ষ্য করে, সে গাঁ ঘেষে দাঁড়ায় আর শ'দুয়েক টাকার আপোসে কানে কানে বলে, "উপরের চাপ আছে মুরুব্বি, ভালো উকিল ধরেন"। তারপর সেই হাবিলদার কিছু অশ্লীল ভাষা ব্যাবহার করে সরকারকে গালাগালি করে, তাতে করে রুস্তম আলি অস্বস্তি বোধ করেন। হাতের ছড়িটার দিকে তাকিয়ে উঠে পড়েন এবার। ছেলেটাকে এখনও চালান করে দেয় নি, তাই একবার দেখে নেন ভালো করে।

বস্তুত আকবর আলির মাঝে এসব নিয়ে কোন ভাবান্তর পরিলক্ষিত হয় না। জন্মদাতাকে দেখে,
গারদের ফাঁক দিয়ে সে সালাম বিনিময় করে এবং দুই দুইটা বিষয় নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে:

১। আর কতো ছোট মাছ বড় মাছের মুখে গেলো? আর,
২। একটা মাদি গরুকে কেউ কিভাবে রাস্তা ঘাটে ছেড়ে রাখতে পারে।

রুস্তম আলি কিছু মুখ ফুটে বলেন না, দাঁড়িয়ে থেকে দেখেন ছেলেকে এবং মোক্তারপুরের সাধু মুহুরির কাছে যাবার পরিকল্পনা করেন। হাল ছাড়তে তিনি রাজি নন।

চার

জনমতের দাবীর মুখে খুব দ্রুত তদন্তকাজ শেষ হয়। পরের সপ্তাহে কোন এক মঙ্গলবারে জোড় হাতে আকবর আলি কাঠগড়ায় দাঁড়ায় এবং মফস্বলের কোন এক উপজেলায় তাকে এই প্রথম বিচারকের সম্মুখিন হতে হয়।

নিউজ রিপোর্টারদের উপচে পড়া ভীড় আর মুর্হূমুর্হু ক্যামেরার ফ্ল্যাশে ঘাবড়ে না গিয়ে আকবর আলি অপেক্ষায় থাকে যদি বড় মাছেদের ব্যাপারে বিজ্ঞ আদালত কিছু বলেন।

বিচারকাজের নানাবিধ আয়োজনে আকবর আলিকে বেশ উৎফুল্ল মনে হতে থাকে এবং রিপোর্টাররা ক্রমাগত ফেইসবুকে এই উৎফুল্লতা জাতিকে অপমান, নারীজাতির অপমান, বিচারকাজের অপমান এবং আধুনিক ধ্যান ধারণার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি বলে প্রচার করতে থাকে। দেশের বিভিন্ন জায়গায়, এ নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ, মৌন মিছিল, ভুখানাঙ্গা মিছিল এবং পতাকা অর্ধনমিত রাখার প্রস্তাব দেয়া হয়।

বিচারক আসন গ্রহণের প্রাক্কালে, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হতে ফোন আসে এবং দোষীকে সর্বোচ্চ সাজা দিতে অনুরোধ করা হয়।

পরিচিতিপর্ব, রাষ্ট্রপক্ষ, বাদী বিবাদী, উকিল মোক্তার এই ধারণা এবং জড়ো হাতে দাঁড়াবার ব্যাপারে অনভিজ্ঞতা থাকায় আকবর আলি এদিক সেদিক তাকিয়ে গোগ্রাসে সব গিলতে থাকে এবং অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার ঋদ্ধ করে।

আকবর আলির উৎসুক দৃষ্টি শ্রোতা ও দর্শকদের দিকে পড়লে, কিছু মানুষ তাকে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে। একসময় বিচার কাজ শুরু হয় এবং কিছু সৌজন্যমূলক তথ্যাদির পরে আসামিকে তার বক্তব্য পেশ করার কথা বলা হয়, যদিও একটা স্টেটমেন্ট আগে জমা দেয়া হয়েছে, তথাপি সবাই আকবর আলির মুখ থেকে আবারো শুনতে চায়, সে কিভাবে সেদিন "শ্লীলতাহানি" করেছিলো।

আকবর আলি, সেদিনের দিঘীর বড় মাছ কি করে ছোট মাছ গিলে ফেলে, লোকজন কিভাবে রাস্তায় কাপড় উঁচিয়ে পেশাব করে আর থুতু ফেলে, গরু কিভাবে অনেক কষ্টের পর হওয়া ফসল মাড়িয়ে ফেলে এসব বিবৃত করে।

উপস্থিত সবাই হাসিতে ফেটে পড়েন এবং দুবারের চেষ্টায় বিচারক এইসব শিক্ষিত সমঝদার লোকেদের নিরবতায় আনতে সফল হোন।

মাননীয় বিচারক কিছুটা বিরক্ত বোধ করেন এবং আকবর আলিকে সেদিনের ঘটনার সঠিক বিবরণ দিতে আবারো নির্দেশ দান করেন।

আকবর আলি আবারো, ছোট মাছ কি করে বড় মাছের শিকারে পরিণত হয় এবং কি করে একটা ধানে ভরা ক্ষেত, মাদি গরুর পায়ের তলায় পিষ্ট হয় সে গল্প বলে। এবার উপস্থিত সবাই ক্রোধে ফেটে পড়ে এবং বিচারক বিচারকার্য আধা ঘন্টার জন্য স্থগিত করেন।

পাঁচ

এজলাশ থেকে এই বিরতিতে আকবর আলিকে নিয়ে যাওয়া হয় আপাতকালীন সেলে। করিডোরে পথ রোধ করে দাঁড়ায় সব ডাকাবুকো পুরষ্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক। তাদের প্রশ্নবাণে দিশেহারা বোধ করে অখ্যাত গ্রামের সম্মানিত পরিবারের ছেলে আকবর আলি।

সরাসরি সম্প্রচারে দেশের লোকজন আকবর আলিকে ভালো করে দেখতে পায় এবং কি করে সে দিগম্বর হয়ে মেয়েদের শ্লীলতাহানি করার অপচেষ্টা করেছিলো সে প্রশ্নের জবাবের অপেক্ষায় সবাই উন্মুখ হয়ে অপেক্ষা করে। এদিকে সরকারি বেসরকারি অফিসে স্থবিরতা দেখা দেয়, কেউ কেউ টিভিতে সরাসরি দেখবে বলে, নারী পুরুষ নির্বিশেষে গাঁ ঘেষে দাঁড়ায়।

আকবর আলি একবার ঢোক গিলে এবং তার কপালে ঘামের রেখা দেখা দেয়। তার এই ঘাম আর ঢোক গেলাকে সবাই অন্যায়ের স্বীকারোক্তি হিসেবে দেখে এবং প্রভূত আনন্দ লাভ করে। এর মাঝে হঠাৎ কোন এক নারী সাংবাদিক জুতো খুলে আকবর আলিকে মারতে গেলে, পুলিশ বাঁধা দেয় এবং সেই সাংবাদিক "হারামজাদা, তোর মা বোন নাই" বলে আস্ফালন করতে থাকে।

এদিকে আশেপাশের আদালতের লোকেরা এবং সাধারন মানুষসহ সবাই আকবর আলিকে তার কৃতকর্মের ফিরিস্তি দিতে জবরদস্তি করতে থাকে। আকবর আলির নিজেকে আচমকা ছোট মাছের সাথে মেলাতে পারে এবং গভীর দুঃখবোধ করে।

আকবর আলি হাত উঁচিয়ে সবাইকে নিরব হতে বলে এবং নিজেই একটা মাইক্রোফোন মুখে নিয়ে কথা বলতে শুরু করে।

- "সরকার"গো পরিবারের ছুড মাইয়ার সাথে বিয়ার কতা বাপে ভাইঙ্গা দেওনের পর থাইক্যা, মনের দুঃখে আমি হাটে বাজারে সময় কাডাইতাম। হেইদিনও আমি বাজারের পাশে দিঘীতে বইসা বড় মাছের, ছোট মাছ গিলা দেখতাছিলাম। কইত্থাইক্যা জানি একটা মাইয়া গরু আমগো ক্ষেতে আইস্যা পাকনা কাঁচা ধান খাওন শুরু কইরা দিলো। আমি সুন্দর কইরা, তারে চইল্যা যাইতে বলি। হেয় আমারে পাত্তাই দিলো না। জামা খুইল্যা যহন লাড়াইতে থাহি, তহন আমার লুঙ্গি খুইল্যা পইড়া গেছিলো, আমার তো জন্মের থাইক্যাই 'ওইডা' নাই, হগলতে মিল্যা কত হাসাহাসি করছিলো।

পরে তো "সরকার"গো পোলা আমারে বাজারে নিয়া চাও খাওয়াইছে, তাইলে আমার কি দোষ, আফনেরাই কন!

বিচারকার্য তার আপন ধারায় চলতে থাকে আর ছোট মাছ বড় মাছের শিকারে পরিণত হয়ে যায়। এদিকে টিকিটিকি নতুন তেলাপোকা খুঁজে উদরস্থ করে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমম..

সমাজে এমনই হয়ে আসছে যুগে যুগে....

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮

Jaliskhan বলেছেন: বড় প্ল্যাটফর্মে সামান্য প্রচেষ্টা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.