নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উৎসের খোঁজে।

Jaliskhan

মানুষ হইবার চাই

Jaliskhan › বিস্তারিত পোস্টঃ

মজা পুকুর

২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১

প্রথম ভাগ

আজকেও জানালা খুলে একই ধরনের গন্ধ পায় আছলাম। কাঁঠালিচাঁপা ফুলের গন্ধ না, কামিনী হাস্নাহেনাও না, মজা পুকুরের দলাবাঁধা ফেনা পঁচার গন্ধ আর আশেপাশের বস্তির ময়লা ফেলানো স্তূপের গন্ধ। মুরগীর নাড়িভূড়ির গন্ধ যেদিন থাকে সেদিন আছলামের খুব ক্ষিদে পায়। সে রংহীন, ঢংহীন পৃথিবীতে বাঁচতে চায় না। সে মোটা দাগে গাঢ় রঙের পূজারি। ময়লার উৎকট গন্ধ আর মজা পুকুরের ভারী বাতাস তার কাছে বেঁচে থাকার রসদ । পাশের ঘরে একটা ছেলে থাকে, তার মতই নিশিজাগা। বামের ঘরে অনিকের বাবা আর মা, আর অল্প খানিক হেঁটে গেলে ঘরগুলোর মালিক মালেক মিঞা থাকেন। মাঝখানের খালি জায়গায় একটা কালো নিমগাছ, চারপাশ বাঁধাই করা। বৃষ্টি হলে গাছটা ছাড়া বাকি জায়গাটা জলের নিচে ঢাকা পড়ে যায়, একটা পটভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকে যেন। মালেক মিঞার ছেলে মেয়ে নেই, আধুনিক ধ্যান ধারনা না, আসলে তার স্ত্রী আফিয়া বেগমের বন্ধ্যাত্ব তাকে চিরদুখি করেছে বলে অনেকে মনে করে। আফিয়া বেগম মুখরা রমণী, উনার মুখে কিছুই আটকায় না। পাড়া পড়শিরাও উনাকে মেপে চলেন। উনার স্মৃতিশক্তি এতো প্রখর যে আছলাম মাঝে মাঝে ভাবে, কিছু ভুলে গেলে আফিয়া বেগমকে জিজ্ঞেস করলেই হয়ে যাবে।

সকাল সাড়ে আটটায় ঘরে ঢুকে বারোয়ারি গোসলখানায় চান সেরে দোকান থেকে আনা নাস্তা খায় আছলাম। আট ন'মাস এ নিয়মেই চলছে। নাস্তা সেরে নিয়মিত এই সময় ধূমপান করে সে। জানালা খুলে দিলে মজা পুকুরের ওপারে খান কতেক বাসা দেখা যায়, সব একচালা টিনের ঘর। একটা দেয়াল করা আছে। কোমর এর কাছাকাছি হবে, বোধহয়। একটা একহারা গড়নের মেয়ে এই সময়টায় এখানে এসে বসে থাকে। আছলাম ন'টা পর্যন্ত জানালার পাশে বসে মেয়েটাকে আনমনে দেখে যায়। আছলামের গল্প কবিতার প্রতি ঝোঁক নেই, শুধু রাতে কামাই করা হিসেবের কমতিতে উদাস উদাস লাগে।

অন্তত চার পাঁচ ঘন্টা ঘুমাবে আছলাম। শুরুর দিকে অনিকের মা'র রেডিও বাজলে ঘুম চটে যেতো, এখন গা সওয়া। আফিয়া বেগম অবশ্য একদিন পাড়া মাথায় করেছিলেন এ নিয়ে। মাত্রই ঘুম এসেছে, এমন সময় অনিকের মা'র কান্নাকাটি শুনে উঠে দরজা খুলে দেখে আফিয়া বেগম গালাগালি করে ঘরের দিকে ফিরছেন। "ভাতারখাগী মাগী, হুইন্যা ল, বেশি কইরা হুইন্যা ল, গান হুনতে হুনতে তোর সোয়ামী আরেক ঘর খুঁজে"। অনিকের মা' আছলামকে শুভাকাঙ্ক্ষী ধরে বলে, "কন ভাই, আমার কি দোষ! আমার তো একটা পোলা আছে, এই মাতারীর তো তাও নাই, আর আমারে কয় ভাতারখাগী........"।

আছলাম এক ধরণের দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভোগে, গালি যেহেতু ভাষায় আছে, তাহলে এর যৌক্তিকতা নিয়ে সে নিঃসন্দেহ হয়ে গায়ে একটা হাফ হাতা শার্ট চাপিয়ে রাস্তার ধারের চায়ের দোকানে আসে। কড়া একটা চা দিতে বলে দোকানের সামনে পাতা টুলে বসে পড়ে আছলাম। চা খেতে খেতেই মালেক মিঞাকে দেখতে পায় সাথে শুকনোমতোন রোগা এক লোকের সাথে। আলাপচারিতায় বোঝা যায় সাথের মানুষটির মেয়ের নাম 'নিলুফার'। বিয়ে হয়েছিলো, প্রথমবার বাচ্চা পেটে আসার পর স্বামী ছেড়ে দিয়েছিল। চেষ্টাচরিত্র করে, বাচ্চাটাকে খালাস করিয়ে এখানে আশেপাশে উঠেছেন। এখানে আসার পর থেকে মেয়েটা আর কোন কথা বলে নি। মেয়েটাকে নিয়ে কি করা যায়, তা পরামর্শ করতে খালেক মিঞার কাছে এসেছেন তিনি। আছলাম মনে মনে বিরক্ত হয়, এইসব ভ্যাজরভ্যাজর শুনতে ভালো লাগে না। সে চট করে উঠে ঘরে চলে আসে।

ফিরে এসে দেখে অনিকের মা, তখনও দুয়ারে বসে বিলাপ করছে। পাশের ঘরের ছেলেটি রাগে গজগজ করতে করতে ঘর তালা মেরে বেড়িয়ে পড়ে। একটা ঢিলেঢালা পায়জামা পরে আবার জানালার পাশে বসে আছলাম। মেয়েটা নেই, রোদের প্রখরতা বাড়ছে। ফেনার গোড়া পঁচা গন্ধে বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। আছলাম বালিশটা খানিক উঁচু করে জানালার পাশটায় রাখে। আরেকটা সিগারেট জ্বালায়। আজ বেহিসাবি সিগারেট খাওয়া হবে, ভাবে আছলাম। একটা টুকি দিয়ে অনেক দূর ছুড়ে ফেলে সিগারেটের শেষভাগ। পানিতে পড়ে 'ছ্যাঁত' শব্দটা স্পষ্ট যেন শুনতে পায় আছলাম।

অনিকের মা'র বিলাপ থামে, আছলাম এই ভ্যাপসা গরমেও কি যেন ভাবতে ভাবতে ঘুমে ঢলে পড়ে।

আছলাম তখন ছোট, গ্রামের বাড়ীর পিছনে একটা কুয়োর স্মৃতি ভেসে আসে। প্রথমে একটু অস্পষ্ট থাকে সবকিছু, তারপর আছলাম স্পষ্ট দেখতে পায়, সে দৌড়ুচ্ছে আর কারা যেন ঘোড়ায় চড়ে এগিয়ে আসছে। আছলাম ভয় পেয়ে দ্রুত খড়ের গাদার পেছনে লুকায়। ঘোড়সওয়ারেরা বাড়ি থেকে টেনে টেনে সবাইকে বের করে কুয়োয় ছুড়ে মারে। মেয়েদের কাপড় ছিড়ে পছন্দমতো চামড়ার টুকরো, শরীরের অংশ খাবলে খাবলে তোলে তারা। তারপর একে একে সবাই উঠানামা উঠানামা করে কতবার গুনে গুনে আছলাম খড়ের গাদায় এলিয়ে পড়ে। ঘোড়সওয়াররা যাবার আগে আগুন লাগিয়ে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করে। আগুনের তাপে আর ভ্যাপসা গরমে ঘেমে নেয়ে আছলাম একসা হয়, দরজায় এলোপাথাড়ি আওয়াজে চমকে জেগে উঠে সে। মুখ দিয়ে ঝরা লালা হাতের চেটোয় মুছে ঢকঢক করে জল খায় আছলাম। উঠে গিয়ে দরজা খুলে দেখে, অনিকের মা দাঁড়িয়ে আছে। আছলামকে ঠেলে ঘরে ঢোকে সে, ইতিউতি কি যেন খুঁজে বেড়ায় আর বলে "আগুন লাগছে কই, ভাই। যেমনে চিল্লাইলেন, আমি কই আল্লাহ জানে কি তা না অইছে"! নাক দিয়ে শুঁকে আগুনের গন্ধ না পেলেও উৎকট গন্ধে অনিকের মা বেরিয়ে আসেন আছলামের ঘর থেকে। আছলাম এইবার বুঝতে পারে, এতক্ষণ সে স্বপ্ন দেখেছিলো। এ স্বপ্ন সে প্রায়ই দেখে, কিন্তু কেন দেখে সে জানে না। জীবনে কখনও সে ঘোড়া দেখে নি, আর ওদের বাড়ির কথা ওর আর মনেও নেই। কী জানি!

দ্বিতীয় ভাগ

রহমত আলি আগে চাকরি করতেন সরকারি অফিসে, পেশায় গাড়ি চালক। আড়াইলাখ টাকা যৌতুক দিয়ে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। এলাকার ছেলে ছিল, ছেলের বাবাকেও চিনতেন ভালোমতোন। কিন্তু কপালে না থাকলে কি আর সুখ আসে। মাঝে মাঝে মনে হয়, গাড়ির তেল আর রক্ষণাবেক্ষণ এর নাম করে কম তো কামান নি, সেসবের পাপের শাস্তি এখন তাকে পেতে হচ্ছে। আজ মালেক মিঞার সাথে কথা বলার সময়ও তিনি একথা বলেছেন। রহমত আলিকে গুনাহ মাফের জন্য, মাফ চাইতে হবে। কিন্তু ভাবেন, তার নিষ্পাপ মেয়েটাকে যে এভাবে বিনা কারণে ছেড়ে গেছে, তারা কি অনুতপ্ত, না কি তাদের জন্য শাস্তি পরে দেয়া হবে। রহমত আলি শান্তি পান না। তার জোয়ান সোমত্ত মেয়ে, এখন পাগলপ্রায়। কথা বলে না, খায় না। আবার যে বিয়ে দেবেন তারও কোন আর্থিক সঙ্গতি করে উঠতে পারেন নি এখনও। বয়স হয়ে গেছে তার, ড্রাইভিং শিখিয়ে আর কতইবা পান মাসে মাসে, শরীরে এখন আর সাড়া দেয় না। জীবনের প্রথম দিকের করা শরীরের উপর অত্যাচার, এখন হাড়ে হাড়ে টের পান। বউটারও বয়স হয়ে গেছে, থেকে থেকে স্বগতোক্তি করে।

নিলুফার'রা আগে থাকত সিপাহীবাগ। ছোট একটা ক্যাসেট প্লেয়ার ছিলো ঘরে, নিলুফার সারাদিন গান শুনত। শুনে শুনে ও বেশ ভালো গান শিখেছিল। পাশের বাড়িতে প্রতি শুক্রবার বাংলা সিনেমা দেখত লুকিয়ে লুকিয়ে। মা শুনলে বকবেন বলে কাউকে বলত না। টিভি দেখতে আসলে নিলুফারকে দিয়ে টুকিটাকি কাজও করিয়ে নিতো তারা, এই যেমন ছিমের বিচির খোসা ছাড়ানো কিংবা যাবার সময় নর্দমায় ময়লা ফেলে দেয়া। নিলুফার এসব কখনও না করত না, তার টিভি দেখার স্বাদ মিটলেই সে খুশি। আর চাচাও অনেক আদর করত। যেদিন বাসায় কেউ থাকত না, তিনি নিলুফারকে পাশে বসিয়ে টিভি দেখাতেন। কতবার যে গায়ে মাথায় হাত বুলাতেন, তার ইয়ত্তা নেই। মাঝে মাঝে জোর করে চেপে ধরতেন, আর নিলুফার জোর করে ছাড়িয়ে নিয়ে দৌড়ে পালাত। মা'কে সে বলে নি এসব কখনও। চাচা সন্ধ্যার পর একবার হলেও বাড়ির কাছে এসে, "রহমত মিঞা, আছো না কি, বাইত" বলে হাঁক দিতেন। নিলুফার সে সময়টায় দরজা খুলে উঁকি দিত, কারন চাচা কোনদিন চকোলেট, কোনদিন শন পাপড়ি আবার কোনদিন কাঠি লজেন্স এনে দিতেন।

তারপর নিলুফার যখন আরো দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে শরীরে, কালবিলম্ব না করে রহমত আলি মেয়ের বিয়ে দেবার ব্যাবস্থা করেন। বিয়ের পর বছর খানেক না গড়াতেই জামাই একদিন মেয়েকে দিয়ে যায় বাপের বাড়িতে। তার দাবি "ময়লা ঝুটা নিছি ঠিক আছে, কিন্তু পেডের বাচ্চা বাঁচাইতে হলে আরো লাখ দেড়েক টাকা না দিলে বিয়া ভাইঙ্গা দিমু"। রহমত আলি শেষমেষ রফা করে পঞ্চাশ হাজার টাকায়, বিনিময়ে বাচ্চাটাকে খালাস করার শর্ত দেয়। একদিন নিতেও আসে, সে নিলুফারকে। সেদিন রাতে, বোধহয় একটা না দেড়টা হবে - জামাই'র চিৎকারে পুরো পাড়া জেগে উঠে। ঘটনা বলার মতো কিন্তু মুখ ফুটে কেউ কিছু বলে না। রাতের বেলা জোর করে সঙ্গম করতে গেলে নিলুফার নাকি কামড়ে দিয়েছিলো গোপনাঙ্গে। রাতেই নিলুফারকে তালাক দিয়ে, ছেড়ে চলে যায় জামাই। এর মাস দুয়েক পরে রহমত আলি, পরিবার নিয়ে কাজলায় চলে আসেন।

তৃতীয় ভাগ

দুপুরে অনিকের মা খাবার নিয়ে আসে। আছলাম একটা মাসকাবারি চুক্তি করে নিয়েছে, নয়শ টাকার মতো খরচ হয়। দুবেলা কোনমতে পেট পূজো করে। আজকের খাবারে ঢেড়স ভাজি, ডাল আর তেলাপিয়ার লেজ দিয়ে উচ্ছের তরকারি, খুব আয়েশ করে খায় আছলাম। খেয়ে দেয়ে আবার জানালার পাশে বসে একটা সিগারেট ধরায় সে। মেয়েটিকে দেখতে পায়, আজ অসময়ে। ভালো করে তাকিয়ে দেখে গায়ের উপর থেকে ওড়না খসে পড়েছে, যৌবনের চিহ্নগুলো খুব একটা দৃশ্যমান না। কেমন উশখুশ করে মেয়েটা, কিছু হয়েছে মনে হয়, নাকি কেউ মেরেছে। অন্যদিন খুব চুপ করে ঠায় এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে ময়লার জঞ্জালে। আজ ছটফট করছে। আছলামের কেন জানি একবার মনে হয় যেয়ে দেখে আসে।

রহমত আলি, নিলুফারের মা'কে জানায় মালেক মিঞার সাথে কি কথোপকথন হয়েছে। নিলুফারের মা শুনে বলে, "মাইয়াডারে আবার কোন জল্লাদের পাল্লায় ফালাইতাছ"? রহমত আলি যারপরনাই বিরক্ত হয়, এ কথা শুনে। সে যেভাবে চেয়েছে সেভাবে যদি হয় তাহলে সাপও মারা যাবে আর আস্তো লাঠিও থেকে যাবে। টোপ ফেলানোটা বুদ্ধিমানের কাজ হয়েছে ভেবে রহমত আলি বেজায় খুশি হয়। পরক্ষণেই মেয়েটার জন্য রহমত আলি'র মন কেমন করে। মেয়ের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে। অফিসের গাড়ি নিয়ে বাড়িতে গিয়েছিল বেড়াতে। মেয়েটা পুকুরে নামতে ভয় পেতো, যদি ডুবে যায়। রহমত আলি কোলে নিয়ে সাঁতার কাটা শিখিয়েছিলেন, কিন্তু একদিন দুইদিনে আর কতটুকুই বা শেখা হয়। ঘরের পিছনে এসে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে উঁকি দেন আশেপাশে। এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখতে না পেয়ে, ডাক দেন 'নিলুফার' বলে।

আছলাম সবে মাত্র ঘুমাবার প্রস্তুতি নিয়েছে, এমন সময় মজা পুকুরের দিক থেকে চেঁচামেচি শুনে জানালায় উঁকি দিয়ে দেখে, একটা পটকা মতো লোক, মেয়েটি যে জায়গায় বসে থাকত, সে ওয়ালে দাঁড়িয়ে কি যেন বলে ডাকছে। পাশে আরো ক'জন ছেলে বুড়ো দাঁঁডিয়ে আছে। সবাই গলা হাঁকিয়ে ডাকছে আর মজা পুকুরের দিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখাচ্ছে কি যেন। দরজা খুলে বেরিয়ে বাড়ির পেছন দিকে আসে আছলাম। ইতোমধ্যে এ বাড়ির সবাইও এসে জড়ো হয়েছে। পুকুরের ভিতরে কেউ একজন আছে, মনে হচ্ছে। অনিকের মাই প্রথম মুখ খোলে, "পাগল মাইয়াডা পঁচা পানিতে ডুবতে আইছে"! আছলাম হঠাৎ করে আবিষ্কার করে, সে মজা পুকুরে নেমে গেছে এবং খুব দ্রুত সে মেয়েটির কাছে পৌঁছাতে থাকে। কয়েকবার পা হড়কে পড়েও যায় আছলাম। আজ যেন ময়লা, পঁচা দুর্গন্ধ এতো কাছে পেয়েও ভালো লাগে না আছলামের। আজ তার মনে হয়, সুন্দর টলটলে জলাধার কেন হয়ে উঠে না, এ মজা পুকুর। তবেই না সে সাঁতরে যেতো ওপাড়। আর ওপাড় থেকে শুধু একটা শব্দ, একটা নাম কানে বাজতে থাকে আছলামের, "নিলুফার"!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.