![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গেলো কিছু সপ্তাহ থেকে বৃষ্টির অঝর ধারায় আমাদের দেহমন স্যাঁতসেঁতে হয়ে ছিল। একটু আলো, একটু আর্দ্রতার জন্য আমাদের যুক্তিবুদ্ধি গুলিয়ে গিয়ে ফ্যাকাসে হয়ে একটা অসুস্থতার ভাণ ধরেছিল। যাক গত পরশু বৃষ্টি ঝরেনি, তাতে করে আবহাওয়া উত্তপ্ত হচ্ছিল, আর আমাদের মুখে হাসি ফুটে উঠছিল।
আমাদের এই খুশির বিষয়টা মহাবিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকেও অনুভূত হচ্ছিল বলে বেশ কিছু সংবাদও এই লেখার আগ পর্যন্ত হস্তগত হয়েছে। তবে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য আমরা পেয়েছি মঙ্গলগ্রহ হতে। সেখানে থাকা Thousands Years of Bengal পত্রিকার সম্পাদক 'মঙ্গলম পোড়ামাটি'র রিপোর্ট টি বেশ কৌতুহলোদ্দীপক বলে আমার মনে হয়েছে।
পুরো রিপোর্টটি এখনও বিশ্লেষণ চলছে, তবে আপনাদের জন্য আমি সারাংশ বাংলায় লেখার চেষ্টা করেছি, কিছু ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে আমি যারপরনাই দুঃখিত।
রিপোর্টের সারমর্ম হচ্ছে, "কয়েক হাজার গ্যালাক্সির মাঝে, মিল্কিওয়ে নামক গ্যালাক্সির একমাত্র বসবাসযোগ্য গ্রহ Earth এর ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ জুলাই ২০১৭ খ্রিষ্টীয় সালে দফায় দফায় ধোঁয়ার উদগীরণ ঘটেছে। মঙ্গল থেকে তাক করা টেলিস্কোপে দেখা গিয়েছে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত ও মিয়ানমারের বেশ কিছু এলাকা, হাল্কা থেকে মাঝারি, কখনও কখনও মাঝারি থেকে ভারি ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। মঙ্গল কর্তৃপক্ষ তৎক্ষণাৎ NASA, UN এবং উল্লেখিত রাষ্ট্রগুলোর সাথে যোগাযোগ করলে এই ব্যাপারে কেউ কোন নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেনি। তদুপরি, মঙ্গলগ্রহের স্বউদ্যোগে প্রেরিত মহাকাশযান "গাঁজার নৌকা" যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে এসে পৌঁছায়, তখনও এই বিস্ময়কর ধোঁয়া পৃথিবীর আকাশে বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছিল।
মঙ্গলযান থেকে কিছু রোবট পাঠিয়ে এই ধোঁয়াকে পরীক্ষা করে তারা জানতে পারেন, আমেরিকা ও আফ্রিকার গাঁজার ব্যবসায়ীরা তাদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে গিয়ে উল্লেখিত দেশের গাঁজার বাগানে আগুন দিলে এই ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। তবে এই ধোঁয়া পরিবেশের তেমন ক্ষতি করবে না বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে এই সব দেশের লোকজন আলোকে আঁধার, কান্নাকে হাসি, দেশকে বিদেশ, বুদ্ধিমানকে বোকা বলে ভুল করার সম্ভাবনার কথা - রিপোর্টে বেশ প্রাধান্য দিয়ে বলা হয়েছে।
এই রিপোর্ট দাখিল হবার ঘন্টা তিনেকের মাঝেই প্রথম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় বাংলাদেশে। যেহেতু বাংলাদেশ একটি অসাধারণ বুদ্ধিমান প্রাণির নিবাস, সেহেতু তাদের চিন্তাচেতনায় এই গাঁজার ধোঁয়া এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গির জন্ম দিতে পেরেছিল। প্রায় প্রত্যেক বাঙ্গালি এই ধোঁয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মজে ছিল শেষ রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত। এই সময় বাংলাদেশের আন্তঃপৃথিবী মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে প্রায় সমস্ত পত্রিকা ও মার্ক জুকারবার্গের আরাধানালয়, ফেইসবুকে UNESCO কর্তৃক সুন্দরবনের সীমার কাছাকাছি রামপাল তাপবিদ্যুৎ Go ahead ছাড়পত্র প্রদান উপলক্ষ্যে বিশেষ রিপোর্ট পেশ ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
উৎসুক জনতা, খণ্ডকালীন সরকার সম্প্রদায়, অতি বুদ্ধিজীবী এবং চোখ বন্ধ সমর্থকেরা এসময় একে অপরকে মিষ্টি মুখ করিয়ে দিয়েছিলেন বলেও সংবাদে বলা হয়েছে।
গাঁজার ধোঁয়া শরীরে প্রবেশ করার ফলে মিষ্টির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় সমস্ত নাগরিককে মিষ্টি বিতরণের এক দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাও বাংলাদেশের আইন প্রণেতাগণ নিয়েছেন, যা পাশ হবার পথে রয়েছে। তবে যেসমস্ত বাংলাদেশি সেসময় হাসপাতালে, বাসায়, রাস্তায়, স্কুল কলেজে, আদালতে মাস্ক পরিহিত ছিলেন, তারা এই সংবাদ শোনার পরও বিশেষভাবে জীবিত রয়েছেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে মঙ্গলের রিপোর্টাররা এই বলে তাদের আন্তঃগ্রহ সংবাদ শেষ করেছেন যে, "মাস্ক পরা ব্যক্তিবর্গ UNESCOর করা ঘোষণা বিশ্বাস/হৃদয়ঙ্গম করতে না পেরে, এবং গাঁজার ধোঁয়ায় আক্রান্ত না হওয়ায় অস্বাভাবিকভাবে কেঁপে কেঁপে 'ডাহা মিথ্যা, ডাহা মিথ্যা' বলতে বলতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন।
যথারীতি বাংলাদেশ ও ভারতীয় সরকার এইসব দুর্বল মানুষদের দেশদ্রোহী ঘোষণা করলেও, দেশে থাকতে হলে আমৃত্যু মুখোশ পরে থাকার আদেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলগ্রহের রিপোর্টটি অতিসত্বর প্রকাশ করা হলেই আপনাদের অনুবাদ করে জানানো হবে। তদুপরি সমস্ত গ্যালাক্সির কথা মাথায় এনে আমাদের এক মুখোশ পরিহিত সাংবাদিক প্রায় কাছাকাছি একটি "গাঁজাখুরি" রিপোর্ট পেশ করেছেন। এই পোস্টের প্রথম মন্তব্যে আপনারা সেই রিপোর্টটি পড়তে পারবেন।
দ্রষ্টব্য - প্রকাশিত রিপোর্টটি আশি ভাগ বাংলায় আর বিশ ভাগ ইংরেজিতে করা হয়েছে। বাংলা না বুঝলে বাংলা একাডেমি আর ইংরেজী না বুঝলে আকাদেমিয়া বাঙ্গালার শরণাপন্ন হতে উৎসাহিত করা হলো।
#sundarban
#say_no_to_Rampal
#marsreport_gazar_nouka
#unescoreport
#daha_mithya
২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাইতো বলি সুবোধ পালাবেনাতো করবেটা কি????
হিরক রানীর দেশে মূখোশ পড়ে থাকা ছড়া গতি কই! গুম খুন অপহরণ নিত্যতায় পরিণত হয়েছে!
দু:খজনক বাস্তবতা!
পোষ্টে +++
১৩ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০
Jaliskhan বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
সময়মতো জবাব দিতে পারিনি বলে দুঃখিত।
৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:২৬
করুণাধারা বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ, লিংকদেয়া, সুলিখিত এবং সাহসী এই চমৎকার পোস্ট দেবার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ। রেফারেন্সের জন্য বুকমার্ক করে রাখলাম। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও লিখে চলুন। কিন্তু এমন পোস্ট এত কম পঠিত কেন? সুন্দরবন ধ্বংসের জন্য আমরা কি নিজেদের তৈরি করছি?
১৪ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭
Jaliskhan বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি নিজেও অন্যদের কমেন্টস করি না, হয়ত এটাও একটা কারণ হতে পারে।
আর আমাদের এখন কোন কিছুতেই কিছু যায় আসে না।
যতক্ষণ সম্ভব লিখে যাবো, এই ধরনের লেখাই আমার লিখতে ইচ্ছে করে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮
Jaliskhan বলেছেন: http://bit.do/state_falsify_on_sundarban