![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
।জ্ঞানের প্রতি বিপুল আগ্রহ । সংগ্রাম মুখর আমার জীবন ।
যারা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সাথে জড়িত , তারা অনেক সময় তাবলীগ জামায়াতকে সহ্য করতে পারেনা । আবার যারা তাবলীগ জামায়াত এর সাথে জড়িত তারাও জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে বিরূপ ধারণা পোষণ করেন । অথচ উভয়েই ইসলামের জন্য কাজ করছেন । তারপরও তাদের মধ্যে কেন মিল নাই । কেন বিরূপ ধারণা ?
আমি অধ্যাপক গোলাম আযমের লেখা একটা বই হাতে পেলাম যেখানে উনি মাওলানা মওদুদীর তাবলীগ জামায়াত সম্পর্কে কিরূপ ধারণা পোষণ করতেন তা তুলে ধরেন । আশা করি উনার মন্তব্য জানা উভয়ের জন্য ভালো হবে ।
আমি যদিও ব্যাক্তিগতভাবে তাবলীগ জামায়াতকে পছন্দ করি এবং জীবনে অনেক বার কিছু সময় লাগিয়েছি । জামায়াতের সাথে কখনই জড়িত হইনি ।
যাক নিচে হুবহু বইয়ের অংশ বিশেষ তুলে দিলাম ;
'১৯৫৬ সালের জানুয়ারী মাসে তিনি সর্ব প্রথম পূর্ব পাকিস্তানে সফরে আসেন । .....আমি তাবলীগ জামায়াতে ইতিপূর্বে চার বছর অত্যন্ত একাগ্রতার সাথে কাজ করায় ঐ জামায়াত সম্পর্কে মাওলানার মতামত জানার খুবই আগ্রহ ছিল । তাবলীগ জামায়াত ত্যাগ করা সত্বেও ঐ জামায়াতের বিরূপ সমালাচনা কখনও আমি পছন্দ করিনি । ....মাওলানাকে জিজ্ঞেস করলামঃ
তাবলীগ জামায়াত সম্পর্কে আপনার ধারণা কি ? তিনি জওয়াবে বললেন, আমি মাওলানা ইলিয়াস সাহেবের প্রাথমিক কর্মস্হল পূর্ব পান্জাবের মিওয়াদে যেয়ে এ জামায়াতকে জানার চেষ্টা করেছি এবং অশিক্ষিত , ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ সাধারণ লোকদেরকে তিনি যে পদ্ধতিতে ইসলামের আলো দান করছিলেন তার প্রশংসা করে মাসিক তারজুমানুল কুরআনে আমি লিখেছি ।
একথ বলে তিনি উপদেশ দেন যে "দ্বীনের কাজ যে যেখানে যতটুকু করছে তাতে আমাদের কাজ হচ্ছে বলে মনে করতে হবে । দ্বীনের সবটুকু কাজই আমাদের পক্ষে করা সম্ভব নয় । দ্বীন কায়েম হলে সরকারী উদ্যোগে ও পৃষ্ঠপোষকতায় সব রকম কাজই জনগণকে দিয়ে করান যাবে । কিন্তু পূর্বে অন্যদের দ্বারাও অনেক কাজ হওয়া প্রয়োজন ।"
এক বৈঠকে ঈমানদার ও সৎলোক তৈরীর গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে মাদ্রাসা, খানকাহ ও তাবলীগের মাধ্যেমেও নেক লোক তৈরী হচ্ছে বলে মন্তব্য করলে তিনি বললেন, " এসব ঈমানদার লোক যারা তৈরী করছেন তারা যদি সমাজব্যবস্হা পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তাদের মন-মগজ গড়ে তুলতেন তাহলে এরা সহজেই ইকামাতে দ্বীনের মুজাহিদে পরিণত হতেন । কিন্তু শুধু ব্যাক্তি জীবনে যারা সৎ হয়ে গড়ে উঠেন তারা বাতিল সমাজব্যবস্হারই দিয়ানতদার খাদেমে পরিণত হতে বাধ্য ।
এ জাতীয় লোক ঘুষ খাবেনা, অন্যায় করবেনা, যুলুম করবেনা -- এ কথা ঠিক । তারা যেখানেই কাজ করবে ইখলাসের সাথে আনুগত্য করবে । সুদী ব্যাংকে চাকুরী করতে নিষ্ঠার পরিচয় দেবে, কিন্তু সুদ-বিহীন ব্যাংক ব্যবস্হা চালু করার চিন্তা করবেনা । বাতিল সমাজ ব্যবস্হা তাদের নিঃস্বার্থ খেদমত পায় । তারা এর বিদ্রোহী হবার প্রয়োজন বোধ করেন না । সমাজ ব্যবস্হা পরিবর্তনের মন-মানসিকতা যদি সৃষ্টি করা হতো তাহলে এতগুলো সৎ ও মুখলিস লোক ইকামাতে দ্বীনের সংগ্রামে আত্ননিয়োগ করলে বাতিল সমাজব্যবস্হা কবেই উৎখাত হয়ে যেতো । আফসোসের বিষয় যে, এ দৃষ্টি ভঙ্গির অভাবে আল্লাহর নেক বান্দাহ , বাতিল নেযামের দিয়ানতদ্বার খাদেমের ভূমিকা পালন করতে বাধ্য হচ্ছেন ।
আমার অভিজ্ঞতা থেকে বললাম," তাবলীগ জামায়াতে এজতেমায়ী দোয়ায় যেভাবে আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করা হয় এর মধ্যে এমন এক রূহানী স্বাদ পাওয়া যায় যা আমাকে প্রথমেই আকৃষ্ট করেছিল । " একথার উপর মাওলানা মন্তব্য করলেন, "আল্লাহর সাথে বান্দাহর যে রূহানী সম্পর্ক তা কাতরভাবে দোয়া করার দ্বারা অবশ্যই ঘনিষ্ঠ হয় । এ আকর্ষণও স্বাভাবিক । কিন্তু আল্লাহর যমীনে আল্লাহর খিলাফত কায়েমের দায়িত্ব পালন হলো আল্লাহর বান্দার আসল কাজ । এ কাজ করতে গিয়ে বাতিলের নির্যাতনের শিকার হলে মাবুদের সাহায্য চেয়ে যে কাতর আবেদন জানানো হয় এর স্বাদ আরও বেশী ।
মানুষের মনগড়া আইন ও শাসন উৎখাত করে আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন কায়েমের চেষ্টাই হলো সত্যিকারের অর্থে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ । এ মহান দায়িত্ব পালনের উদ্দেশেই নবী ও রাসূলগণ আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন । এ কাজে পদে পদে যে বাধা রয়েছে এবং এতে তাগুতের সাথে যে সংঘর্ষ বাধে তখন আল্লাহর দরবারে ধরণা দিয়ে যে চোখের পানি ফেলা হয় তা কলিজার রক্ত পানি হয়ে বের হয় । ঐ কঠিন দায়িত্বের বোঝা মাথায় না নিয়ে শুধু গুনাহ মাফের জন্য ও জান্নাত লাভের ইচ্ছা নিয়ে কান্নাকটি করা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যথেষ্ট নয় । যেমন গায়ে পাচড়া হলে চুলকাতে বড়ই মজা লাগে । কিন্তু এ দ্বারা পাচড়া ভাল হয়না । পাঁচড়া দূর করতে হলে সুচিকিৎসার প্রয়োজন ।"
তাবলীগ জামায়ত প্রসঙ্গে একবার কথা উঠল যে, তাদেরকে চীন-রাশিয়ার মতো দেশেও যেতে বাধা দেয়া হয়না । কারণ এটুকু ইসলামে তাদেরও আপত্তি নেই । একথা শুনে মাওলানা বললেন,"কলেমার যেটুকু বীজ তারা ছড়াচ্ছেন এক সময় সে বীজ থেকেও ইসলামী আন্দোলনের গাছ জন্ম নিতে পারে । যেসব দেশে প্রকাশ্যে ইসলামী আন্দোলন করতে দেয়া হয় না সেখানে তাবলীগ জামায়াত যদি দ্বীনের বীজ ছিটিয়ে দেন তা অবশ্যই বড় খেদমত । দ্বীনের জন্য যার পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব ততটুকুর স্বীকৃতি দেয়া উচিত । দ্বীনের দাওয়াত যারাই দেন তাদের মধ্যে কুরআনের খবর অবশ্যই পোছে । তাই কুরআনে এক সময় পূর্ণ দ্বীনের খবরও তারা পাবে ।"
উৎসঃ মাওলানা মওদুদীকে (রঃ) যেমন দেখেছি । অধ্যাপক গেলাম আযম ।
২| ০৮ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:১২
রবিন-৭৭ বলেছেন:
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:১৬
কঠিনলজিক বলেছেন: যারা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সাথে জড়িত , তারা সবসময় সময় অন্য কোন ধর্মীয় জামাত কে সহ্য করতে পারেনা ।
আবার যারা তাবলীগ জামায়াত এর সাথে জড়িত তারাও জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে বিরূপ ধারণা পোষণ করেন (আমি যতদুর জানি তাবলীগ জামায়াত কখনো কারো সম্পর্কে "বিরূপ ধারণা" বা বিরোধীতা করে না, সে যে ধর্ম/দল গোস্ঠি বা যাই হোক না কেন। তাদের কনসেপ্ট কিছুটা মুদি দোকানীর মত যেই আসুক তাকে স্বাগত জানায় কারণ সে যেই হোক তার কাছ থেকে "তাবলীগ জামায়াত " কোন আশা বা দাবী করে না, ভোট বা সমর্থন কিছুই না ।
অথচ উভয়েই ইসলামের জন্য কাজ করছেন । এখানেই আসল ফেকরা ।
জামাতে ইসলামী একটা রাজনৈতিক দল। বড়জোর "ইসলাম ভিত্তিক" রাজনীতির দাবী করতে পারে তবে মোটেই জামাতে ইসলামী ইসলামের জন্য কাজ করে না।
অন্য যে কোন রাজনৈতিক দলের মত "জামাতে ইসলামী ক্ষমতার জন্য কাজ করে" ।
যেমন ইসলামী ব্যাংক অন্য সাধারণ ব্যাংক এর মত মুনাফার জন্য ব্যাংকিং করে।
ইসলামী "কর্জ" যা "কর্জে হাসানা" সূদ মুক্ত সহজ শর্তে কর্জ কোন ইসালামী ব্যাংক কখনো দেয় না ।
৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:৪৭
কুল বয় বলেছেন: Jamat islam ar iman akida goto problem,islam ar sotru,dash ar sotru, moududi ar sonod kothai ja QURAN ar torjoma kora. vondo onek vul korsa. islami akida o vranto motobad kitab poran bujta parban. ostro dia islam joyi hoi ni ,aklak dia hoisa. jamat islami ra to sahabi dar nia montobbo kora, ja khane mohammad H bolsan aie rokom ja sahabi ra ak ak ta nokhkotor moto tomra tadar somalo chona koro na.
৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:০০
ইমরোজিফিকেশান বলেছেন: এখনো কোন ছাগু দেখে নাই? হেরা তো আসেই এইগুলার জন্য! আর ইসলামী ব্যাংক সূদ খায়না, মুদারাবা খায়! আমি কমোডে হাগি না টয়লেটে হাগি!
@রবিন৭৭ঃ ইমরোজিফিকেশান লাইকস ইয়োর কমেন্ট।
৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:১৫
রাতুলবিডি বলেছেন: লেখাটি ছেলে ভুলানো গল্প ফাদার চেষ্টা। জামাত মাদ্রাসা, খানকাহ ও তাবলীগের বিরোধিতা করে।
৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৯:১০
িমরর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া । আল্লাহ সবাই কে হেদায়াত করুন
৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৫৫
আবু আমর বলেছেন: যারা সত্য অনুসন্ধান করে আল্লাহতালা তাদের জন্য সঠিক পথ দেখান, আর যারা হিংসা নিয়ে মন্তব্য করে তারা কোনদিনও সুপথ প্রাপ্ত হবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:১০
তাহের বলেছেন: দূটার মধ্যা পার্থক্য আকাশ পাতাল ব্যাবধান।তাবলীগ জামায়ত ইসলামের জন্য বীনা স্বার্থে কাজ করছেন। আর অপর পক্ষে জামায়াতে ইসলাম ইসলাম বিকৃত করে (রাজনীতিতে)নিজস্ব ফয়দা লুটার জন্য ইসলামিক ব্যাবসা করছেন।