নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ মানুষের জন্য

কেমন জোগো

সৎ হতে ইচ্ছুক।

কেমন জোগো › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপোষ-২

২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

পানিতে বিভিন্ন ধরনের প্রাণী বাস করে। মাছ, ব্যাঙ, সাপ, কচ্ছপ, কুমির, হাঙ্গর ইত্যাদি। কিন্তু নদী বা সাগরের সাথে দীঘির কোন যোগাযোগ নেই বলে সেখানে বিভিন্ন প্রকারের মাছ যেমন:- কৈ, মাগুর, জিয়েল, টৈংরা ইত্যাদি মাছ বাস করে। তাছাড়া সাপ, কচ্ছপও আছে।

দীঘির পানি কমে যাচ্ছে বলে আজ দীঘির সমস্ত প্রাণীর চিন্তার শেষ নেই। বিশেষ করে মাছ গুলোর। কারন সাপ, ব্যাঙ, কচ্ছপ এরা পানি ছাড়াও বাঁচতে পারে। তবুও তাদেরও চিন্তার অন্ত নেই দীঘির পানি শূন্যতার ফলে মাছগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে। দীঘিতে যখন পানি ছিল তখন টৈংরা, কৈ, মাগুর, কচ্ছপ, সাপ, ব্যাঙ এরা সবাই নিজের কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করত। সুযোগ পেলেই টৈংরা, পুটিমাছকে একটা খোটচা দিয়ে আসত। পুটির তো কোন কাটা নেই, তাই সে টেংরার খোচা খেয়ে বেঁচে থাকত। কোন প্রতিবাদ করত না। নালিশ নিয়ে বোয়াল মাছের কাছে গেলে বোয়াল তাকে খেতে আসত। সুতরাং পুটি খোচা খেয়েও প্রতিবাদহীন থেকে ধৈর্য্যরে মূর্ত প্রতীক হিসেবে এত দিন কাটিয়েছে। জিয়েল আর মাগুর এ দু’জন পৃথক পৃথকভাবে নিজেদের কতৃত্ব বজায় রাখার জন্য কখনও কখনও টৈংরাকে সমর্থন করত কিন্ত যখনই স্বার্থের প্রতি হস্তপে করত ঠিক তখনই তারা দু’জনেই যৌথভাবে টেংরা নিধনে মেতে উঠত। আবার কখনও কখনও নিজেদের মধ্যে মারামারি হত। তা দেখে টেংরা, পুটি এরা আনন্দ পেত বটে তবে আনন্দটা গোপন রাখত। কারন এরা বুঝত, মারামারি থেকে গেলেই রো দু’জনে আবার যৌথভাবে তাদের হত্যা শুরু করবে যদি তাদের আচরনে খারাপ কিছু ধরা পড়ে জিয়েল ও মাগুরের কাছে। তাই তারা নীরব থকত।

বোয়াল মাছ। আকারে বেশ বড়। তার খাবারের প্রয়োজনও বেশী। সুতরাং সে সাংঘাতিক ভবে চেষ্টা করত নিজের কতৃর্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে। কতৃর্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে যেয়ে তার নীতিরও কোন ঠিক ছিল না। কখনও মাগুর মাছকে লিডিং পোস্টে দিয়ে কাজ হাসিল করত আবার কখনও জিয়েল মাছকে দিয়ে আবার কখনও টেংরা, পুটি কে দিয়ে। যখন যে কথার অবাধ্য হত সাথে সাথে তাকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করত।

চলবে..................

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.