![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কচ্ছপ! সে তো পাতাল পুরির এক শান্ত রাজ কন্যা। দীঘির একেবারে তলায় তার স্থান। সে যেন আরও নীটে রাজ্য বিস্তার করতে পারলে খুশি। কখনও কখনও উপরে আসলেও করোর কোন তি করত না। বরং কৈ, মাগুর এরা খুব আবদার করত, “কচ্ছপ ভাইয়া তুমি আমাদের জন্য একটা গর্ত খুড়ে দাও না!” কচ্ছপ কোন কথা না বলেই ওদের জন্য তার শক্ত মাথা দেহ থেকে বের করে দু’একটা গর্ত খুড়ে দিয়েই আপন রাজ্যে চলে যেত। সুতরাং কচ্ছপকে দীঘির সবাই খুব ভক্তি শ্রদ্ধা করত।
ব্যাঙ খুব সুযোগ সন্ধানী। তিড়িং করে লাফ দিয়ে পানিতে নেমে আসত। আবার তিড়িং করে লাফ দিয়ে ডাঙ্গায় উঠেই জঙ্গলে চলে যেত। পুটি, কৈ, মাগুর এদের বাচ্চাগুলো একটু পানির উপর মাথা তুলে বিশ্রাম করতে উঠলেই অমনি লাফ দিয়ে একটি কে ধরে নিয়ে খেয়ে পেট ভরে ফেলত। তাই ব্যাঙের প্রতি দীঘির সবারই রাগ ছিল। কিন্তু তাদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দের কারনে ব্যাঙকে কোন দিন উপযুক্ত জবাব দিতে পারেনি। কিন্তু অভিশাপ দিয়েছিল।
সৃষ্টিকর্তা যেন তাদের অভিশাপের কথা গোপনে শুনতে পেয়েছিলেন। তাই তিনি পাঠালেন সাপকে। অতি সাবধানে, খুব ধীর গতিতে সাপ ব্যাঙকে ধরে নিজের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করত।
একবার একটা ব্যাঙের কিছু বাচ্চা হয়েছিল। তারা তখন এত ছোট ছিল যে, তরল খাবার খেয়েই বেঁচে থাকত। অন্য কোন প্রাণী ধরে তারা তখনও খায়নি। কিন্তু সাপতা জানত না। একদিন সাপ আস্তে আস্তে খুব সাবধানে শিকার করে সেই নিস্পাপ বাচ্চাগুলোকে খেয়ে ফেলল। “ম” ব্যাঙটি কাঁদতে কাঁদতে সৃষ্টিকর্তার কাছে নালিশ করেছিল। সৃষ্টিকর্তা তো সূক্ষ্ম বিচারক। হাজার হোক নিস্পাট বাচ্চাগুলোকে খাওয়া সাপের মোটেই ঠিক হয়নি। তাই সেখানে তিনি পাঠালেন গুই সাপকে। যে কিনা বড় বড় সাপগুলোকে খুব সহজে ধরে খেয়ে ফেলত তাই তারা প্রত্যেকেই কিছু না কিছু কর্তৃত্ব বজায় রাখতে পেরেছিল।
কিন্তু আজ?
আজ সবাই যার যার অতীতের কীর্তিকলাপ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছে। কেউ কোন কাজে নামছে না। তাদের আজ শুধু একটাই চিন্তা. নিজেরা বিভাবে বাঁচবে?
প্রত্যেকেরই আজ একটা সোম সুযোগ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবে। পুটিমাছ গুলো খোলা পানিতে পিট পিট করে তাকাচ্ছে। টেংরা অনায়াসে একটা খোচা দিয়ে তার মৃত্যুটাকে ত্বারান্বিত করতে পারে। জিয়েল, মাগুর, বোয়াল এরা সবাই একটা তুমুল যুদ্ধ বাধিয়ে নিজেদের সীমানা বাড়িয়ে নিতে পারে। কিন্তু সে চিন্তা আজ তাদের মাথায় নেই। সবাই মরার মত একে অপরের দিকে কটমট দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে। দৃষ্টিতে আগুনের লেলিহান শিখা প্রলিত হচ্ছে। আবার একটা মৃত্যুর করুন আর্তিত্ত নিবেদিত হচ্ছে। তবে আগুনের তাপ কাউকে তি করছে না আবার করুন আর্তিত্ত তারোর মনে দয়ার উদ্রেক করছে না।
চলবে.............
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১
কেমন জোগো বলেছেন: কবে নাগাদ যে প্রথম পাতায় আসতে পারব?