নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ মানুষের জন্য

কেমন জোগো

সৎ হতে ইচ্ছুক।

কেমন জোগো › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপোষ-৫

২৪ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫

সাপটি এধরনের প্রশ্ন স্থানে কিছুটা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলে বলল, কি করতে পারি আমরা?

গুইসাপ বলল, আমরা ইচ্ছা করলে অনেক কিছুই করতে পারি চল, আগে ওদের কাছে যাওয়া যাক। এই বলে দুইজনে দীঘির দিকে আবার ফিরে চলল। পথে যেতে যেতে গুইসাপ বলল, যদি আমি বলি তোমাকে আর কোন দিনও খাব না। তাহলে তোমার কেমন লাগবে? এই প্রশ্ন শুনে সাপ বলল, আপনি আমাকে একটু আস্তে আস্তে খাবেন। আর লেজের দিকটা আগে। এতে আমার মরতে একটু সময় লাগবে। তার ভিতর থেকে আমি পৃথিবীর শেষ সুন্দর দৃশ্যটা দেখে দিতে পারব।

কথাগুলো সাপ এজন্য বলল যে, সে কনে করেছে তাকে অবশ্যই খেয়ে ফেলবে এবং দীঘির আটকে পড়া মাছ গুলোকেও। একসাথে এত সহজ খাবার তার সামনে। তাই একটু ভঙ্গিতা করছে।

বলছি।

গুইসাপ বলে উঠল, না,না, তুমি একথা বলো না। আমি সত্যিই বলছি। তোমাকে আর খাব না। তুমি আমার সামনে একটু নাচতো। যাতে আমি যে কাজে যাচ্ছি তাতে আনন্দ পাই। খাওয়ার লোভে তোমার সুন্দর নয় নভিরাম নাচটাই দেখা হল না আমার আর এ জীবনে। অথচ তুমি কত সুন্দর নাচতে পার।

এবার সাপ নিশ্চিত হল গুইসাপ তাকে আর খাবে না।

দীঘির পাড়ে এসে তারা দু’জনে কেঁদে ফেলল মাছদের মৃত্যুর দৃশ্য দেখে। কি কার যায় এখন? পানি প্রায় নেই বললেই চলে। কাঁদায় কোন রকম গাঁ ঢাকা দিয়ে আছে ওরা। আর তার ভিতর থেকে ছোট বাকা মাছগুলোকে ছোঁ মেরে ধরে নিয়ে তাদের সামনে খাচ্ছে ধূর্ত সাদা পালক ধারী বক ও কালো চিল।

তারা দু’জনে ঠিক করল, প্রথমে সমস্ত মাছকে এক জায়গায় আসতে বলবে। তারপর একটা ব্যবস্থা হবেই।

গুইসাপ প্রথমে আহবান জানাল এই বলে যে, আজ তোমাদের সবারই চরম দুর্দিন। এই চরম দুর্দিনে আমি ও আমার বন্ধ্যু তোমাদের বাঁচার পথ দেখাতে চাই।

কাঁদার ভিতর থেকে মাছগুলো তাদের লাল ছোট্ট চোখ দিয়ে পিট পিট করে তাকিয়ে দেখতে লাগল কারা তাদের বাঁচাতে চায়? এই সময় গুইসাপ আবার বলল, বন্ধুরা আজ এই চরম দুঃখের কারন কি তোমরা অনুমান করতে পার?

কৈ, জিয়েল, মাগুর, টেংরা সবাই প্রায় একসাথে বলে উঠল না।

গুইসাপ বলল, কারন অনুসন্ধান পরে হবে বন্ধুগন। এস আমরা সবাই আমাদের কর্তব্য পালন করি। তারপর কারন তোমরা নিজেরাই বুঝতে পারবে।

জিয়েল মাছ প্রথমে বলে উঠল কি সেই কর্তব্য? গুইসাপ বলল, তোমরা সবাই এক জায়গায় না আসলে কর্তব্যের কথা বলা যবে না। সুতরাং প্রথম কর্তব্য হল সবাই এক জায়গায় অবস্থান করা।

এসময় মাগুর বলে উঠল অসম্ভব! আমরা আমাদের চিরশত্র“র সাথে এক জায়গায় বসতে পারি না। কারন জিয়েল আমার দারুন তি করেছে। তার আশকারায় টেংরা কিনা আমাদের হুমকি দেয়। অথচ ভাবতে আবাক লাগে তার সর্বাঙ্গে খুজলেও একটা কাটা পাওয়া যাবে না। সেই পুটির সাথে এক জায়গায় বসব? তার চেয়ে বরং মান সম্মানের সাথে মৃত্যু বরন করব।

চলবে..........................

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.