নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ মানুষের জন্য

কেমন জোগো

সৎ হতে ইচ্ছুক।

কেমন জোগো › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপোষ-৭

২৬ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:১২

এই সময় টেংরা খুব আবেগের সাথে নালিশ করল গুইসাপের কাছে। আমার ছোট ভাইকে জিয়েল আর মাগুর ভাগাভাগি করে খেয়েছে।

গুইসাপ বলল, “ এখন আমাদের সময় এসেছে মা করবার।

নিজেদের মধ্যে ভালবাসা সৃষ্টি করবার। আমাদের নিজেদের মধ্যে হিংসার কারনে এই আমাদের অভিশাপ। আমি চাই পরস্পরকে ভালবাসতে। যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের কাছে থেকে ভালবাসার মন্ত্রটা শিখে নিতে পারে। তারা যেন আমাদের কে লড়াকৃু রার জন্য ভলবাসার দোলনায় দুলতে দুলতে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি। আর নিজেদের কাজের জন্য অনুশোচনা করি।

কি যে খেয়াল হল জিয়েল মাছের। একেবারে পুটি মাছের গলা জড়িয়ে ধরে সমস্ত অপরাধের মা চেয়েনিল। আর যে জায়গায়ে কাটা ফুটিয়ে দিয়েছিল সেখানে পরম যতেœ হাত বুলিয়ে দিল।

এমনিভাবে প্রত্যেকে প্রত্যেকের কাছে মা চাইতে শুরু করল এবং প্রতিজ্ঞা করল যতদিন তারা এই দীঘির পানিতে বসবাস করবে ততদিন একই সাথে তাদের সমস্ত সমস্যার মোকাবেলা করবে। ছোট মাছেকে আর ধরে ধরে খবেনা, কারোর গায়ে কেউ কাটা ফোটাবে না।

বিধাতা যেন তাদের অনুশোচনার কথা বুঝতে পারলেন। সাথে সাথে তিনি পৃথিবীতে ঝম ঝম করে বৃষ্টি নামিয়ে দিলেন। সে সময় মাছদের আনন্দর আর দেখে কে? কৈ মাছ এবার তার গর্ত ছেড়ে বাইরে এসে একেবারে ছোট্ট মাছটির সাথে খাতির জানালো। কোথায় ছিল ব্যাঙ? এতন তাকে দেখা যায়নি। ঝপাং করে লাফ দিল পানিতে। বৃষ্টিরে পানিতে দীঘিপূর্ণ হতে লাগল। কৃষক মেশিন বন্ধ করে দিল। চিল, বকগুলো উড়ে গেল, সেই থেকে সাপ, গুইসাপ, ব্যাঙ, টেংরা, মগুর, কৈ, জিয়েল, কচ্ছপ সবাই একে অপরের সমস্যা মোকাবেলায় এবং একে অপরের স্বাধীনতা ও অধিকার রায় ব্যস্ত হয়ে পড়ল। আর বাচ্চা মাছদের নির্মল আনন্দে সমগ্র দীঘির পানি থৈ থৈ করতে লাগল। তাদের সমস্যার সমাধান হল। গড়ে তুলল নতুন প্রজন্মের জন্য এক নিরাপদ আবাস ভূমি।



শেষ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.