![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
" আজকের রাতটা অনেক সুন্দর... তাই না দোস্ত? " বলল শোভন।
" কই আমার তো তেমন কিছুই মনে হচ্ছে না রে" রাকিবের জবাব।
আরে যাহ্... তুই কি সব সময়ই এমন আন-রোমান্টিক থাকবি নাকি রে"
"রোমান্স টোমান্স তো বুঝি না দোস্ত... একটু শিখাবি ?"
"পরে শিখাই দোস্ত! তমালিকা মেসেজ দিচ্ছে, কল ব্যাক করতে হবে। তুই থাক আমি একটু কথা সেড়ে আসি " লাজুক হাসি দিয়ে কথাটা বলেই উঠেই গেল শোভন।
এভাবেই কেটে যেত রাকিব শোভন এর হল জীবনের রাতগুলো। ওরা দুজন রুমমেট। বুয়েটে পড়ছে। শোভন ঢাকায় বড় হয়েছে, ওর একজন গার্ল ফ্রেন্ড ও আছে... আর ওইদিকে রাকিব মফঃস্বল থেকে আগত নির্ভেজাল নিঃরস মানুষ। প্রেম ভালবাসা সে বোঝে না... তবে বুঝতে যে চায় না এমনও নয় । তবে তার ধারণা ওকে দিয়ে এসব কিচ্ছু হবে না।
কিন্তু চেষ্টায় কি না হয়। একদিন শোভনের সাথে বসে ফেইসবুক একাউন্ট খোলে রাকিব। মনে আশা নিয়ে রিকুয়েস্ট পাঠাতে থাকে রুপসীদের। ফেইক একাউন্টের ব্যাপারটা ধরতে বেশ কয়েক মাস সময় লেগে যায় ওর। বেশ কিছুদিন ধরে যে মেয়েটার সাথে আলাপ জমিয়া আসছিল সেই মেয়েটাকেও ব্লক করা হয়ে গেল।
"কি? তুই শান্তা কে ব্লক মেরেছিস? কেন! " শোভন জিজ্ঞেস করল একদিন।
রাকিবের জবাব সোজা সাপটা ," কারণ? আরে সেটা আসলেই কোন মেয়ে ছিল কি!!!"
"তা অবশ্য ঠিক, তবু হাল ছেড়ো না বন্ধু ! " বলে মুচকি হেসে চলে গেল শোভন।
দিন গড়িয়ে সপ্তাহ যায়, মাস যায়, পরিক্ষার পর পরীক্ষা যায় ... বান্ধবিদের প্রেরণায় শোভন এর রেজালত যত ভাল হয়, আর নিঃসঙ্গতায় জর্জরিত রাকিবের রেজাল্ট হয় ততটাই খারাপ। "তুই আমার কষ্টটা বুঝবি না দোস্ত, ওয়ান থেকে টেন পর্যন্ত ছিলাম স্কুলের ফার্স্ট বয়, কলেজেও টপ টেন এর বাইরে যাই নি কখনো, কিন্তু কি হচ্ছে এসব? " রাকিবের হাহাকার, সান্ত্বনা দেয় শোভন, " চিন্তা করিস না দোস্ত, আগামি টার্ম থেকেই সব ঠিক হয়ে যাবে"
বিমর্ষ রাকিব ভাবে, কি লাভ এমন কুলাঙ্গার হয়ে বেঁচে থেকে। বাবা মা কত আশা নিয়ে পাঠিয়েছিল সেরা বিদ্যাপীঠে লেখাপড়া করাতে। কিন্তু এমন হচ্ছে কেন?
চুপ করে গাছতলায় বসে থাকে রাকিব। সে জানতো ও না আড়াল থেকে কেউ একজন তাকে লক্ষ্য করছে।
"এই যে ভাইয়া শুনছেন? আপনি এখানে ঘুমাচ্ছেন কেন? মশা কাটছে তো! " মৃদু একটা নারী কন্ঠ কানে আসে রাকিবের।
" অ্যাঁ ? কে? ও আমি? হ্যা তাই ত... অনেক মশা তাই না? ঘুমাচ্ছিলাম বুঝি ? অ হা তাই তো। আপনি কে? " চমকে উঠেছিল রাকিব, ঘুম জড়ান স্বরে জবাব দেয় সে।
"আমি ? এইতো টিচার্স কোয়ারটারে থাকি। আচ্ছা পড়ে দেখা হবে হয়ত, আমি আসি" বলেই ওড়নায় মুখ দখে এক রকম দৌড়ে পালাল মেয়েটি।
" ওররে... কি বলছিস রে .. এ তো চরম ব্যাপার! কেমন ছিল মেয়েটি দোস্ত?" ঘটনা শুনতেই মজা করতে শুরু করল শোভন । "আরে ধুর। বুঝতে পারি নি কিছুই।তবে কন্ঠ্যে অনেক মায়া ছিল রে" পুলকিত স্বরে বলে রাকিব। সে ভাবে, এর পরেও কি আবার দেখা হবে ওই মেয়েটির সাথে? নাকি ধূসর মরুর বুকে খেলে যাওয়া মরীচিকার মতন হারিয়ে যাবে সে, এমন কেউ, যে এক মিনিটের জন্য হলেও ভেবেছে রাকিবের কথা!
এরপর থেকে নানা অজুহাতে রুম থেকে বের হয়ে ঠিক সেই গাছতলায় বসে অপেক্ষা কোর্টও রাকিব, যদি কখনো দেখা হয়ে যায়? এভাবে একদিন দেখা হয়েও গেল... কিন্তু বিধি বাম , মেয়েটির সাথে তার এক বান্ধবী, আবার রাকিবের সঙ্গে এবার শোভন,মেয়েটি যেন রাকিব কে একরকম না চেনার ভান করেই পাশ কাটিয়ে চলে গেল।
" ওই যে মেয়েটা গেল না, ওই ই সে " শোভনকে চিনিয়য়ে দিল রাকিব। "চিন্তা করিস না, আমি নেক্সট বার দেখা হলে কাছে গিয়ে বলব, স্লামালেকুম ভাবি , ভাল আছেন" "যাহ কি বলিস এইসব, এত সহজ নাকি " রেগে যায় রাকিব।কিন্তু সারারাত ধরে ওই ঝাপসা একটি মুখই বারবার চোখে ভাসে তার। তেমন রুপবতী হয়ত নয় সে, কিন্তু ভেতরটা হয়ত আকাশ সমান। নইলে অমন করে কেউ কাউকে ঘুম থেকে তুলে দেয়? সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুম চলে আসে রাকিবের, মনেও থাকে না তার।
তিন দিন পরের ঘটনা, ফেইসবুকে একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট আসে রাকিবের, মেয়েটির নাম তমা। ছবি দেখে কিছু বুঝা যাচ্ছে না বলেই হয়ত শোভন কে ডাক দেয় সে। শোভন এসেই হেসে ফেলল, " হাহা, আমি বুঝিনি ২ ঘন্টার মধ্যেই রিকুয়েস্ট চলে আসবে! "
"মানে?" অবাক হয় রাকিব
"মানে কিছুই না, আজ দেখা হয়েছিল তোর স্বপ্নের রাণির সাথে, ডাক দিয়ে কথা বলেই তোর কথা তুল্লাম, আমার বন্ধুটা আপনার কথা বলছিল, ইত্যাদি ইত্যাদি, পড়ে দুপুর বেলা আবার দেখা হল, মনে হল এবার যদি তোর একটা ব্যবস্থা না করি, হয়ত তুই চিরকুমারই থেকে যাবি ! তাই নিজেই ওর আইডি নিয়ে এসে ফ্রেন্ড করলাম, তারপর তোর আইডি টা পাস করে দিলাম। এখন দেখ, কি মজার ব্যাপার হল বল তো !"
"যাহ ব্যটা, এভাবে কেউ অপরিচত কারো সাথে কথা বলে নাকি !" বলতে বলতেই রাকিব বুঝতে পারল সে লজ্জা পাচ্ছে।
এরপর আর কি... শুরু হল ফেইসবুক আড্ডা, সেখান থেকে ফোন নম্বর আদান-প্রদান.,কিন্তু কখনো ফোন করার সাহস হয় নি কারো।
একদিন রুমে একা বসে আছে রাকিব, শোভন গিয়েছে ফার্লফ্রেন্ড এর সাথে ডেটিঙ্গে। হঠাৎ তমা নিজেই ফোন করল রাকিব কে,
" কেমন আছ? "
রাকিব অবাক হয়, সেই মায়াবি কন্ঠ শুনে প্রান জুড়িয়ে যায় তার।
রাকিব বলে, " ভাল, তুমি?"
"ভাল না। যাক গে সেটা ব্যাপার না, তুমি কি বের হতে পারবে? আমি আসছি"
"হুম। কিন্তু ভাল না কেন বলবে না?"
" এসো বলছি "
সাক্ষাৎ করতে যেতে যেতে শোভন ফিরে আসে রুমে । রাকিব আস্তে করে বের হয় রুম থেকে। পা কাঁপে তার। কোয়ার্টারের সামনে দাঁড়িয়ে নীল রঙ্গা একটা শাড়ী পড়ে আছে তমা। হয়ত কোথাও বেরাতে গিয়েছিল, নইলে সন্ধ্যা বেলা এমন সাজবে কেন?
" হুম বল, ভাল নেই কেন তুমি? "
" ভালই আছি, শুধু তমাকে ভয় দেখাচ্ছিলাম"
"তাই না? আর অখনো এমন করো না!"
"বাদ দাও তো, আচ্ছা একটা কথা বল, তুমি কি আউকে ভালবসো?"
এবার একটু থতমত খেয়ে যায়। এটা সে আশা করে নি।
" কেন?"
" কেন আবার কি? বন্ধুর সাথে শেয়ার করবে না?"
" তমা দেখ আসলে, তুমি বন্ধু হলেও আমার ১ বছর জুনিও... "
" হা হা হা এসব ফালতু অজুহাত রাখো না তুমি ! বল বল... "
"মম... আসলে, হা ভালবাসি। কিন্তু সে কি আমায় ভালবাসে? তা জানি না! "
" আমার মনে হয় বাসে। " বলেই খুব সুন্দর একটা হাসি দেয় তমা। স্বর্গীয় সে হাসির মাঝে মিশে ছিল প্রাণোচ্ছ্বলতা আর হিমালয় সম উদারতা , যার বুকে বয়ে চলে মায়াবি বরফ গলা নদী। রাকিব বুঝতে পারে না সে হাসির অর্থ, কিন্তু সে বুঝতে চায়। সে নিজেই একটা অর্থ দাড় করিয়ে নিতে চায়। তারপর কথায় কথায় আরো গভীর হয় ওদের সম্পর্ক , কিন্তু তা প্রেম ছিল কিনা কেউই বলতে পারে না।
হঠাৎ একদিন আবার ফোন করে তমা, ডাকে রাকিব কে। কিন্তু নিচে নেমেই অবাক অয় রাকিব, এতো সেই মেয়েটা, যার সাথে বেশ কিছুদিন ফেইসবুক বন্ধুত্তের পর ব্লক করে দিয়েছিল সে, কিন্তু ওটা না ফেইক ছিল? নাকি সত্যি? "আচ্ছা আমি তো আসলে নতুন ছিলাম, আমি কিভাবেই বা নিশ্চিত হলাম ওটা ভুয়া ছিল? এই মেয়ে দেখছি তমার সাথে পাশাপাশি দাড়িয়ে আছে। এখন কিভাবে যাই? " ভাবতে ভাবতেই এগিয়ে গেল রাকিব। এরপর যা ঘটল, তার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিল না সে।
তমা পরিচয় কররিয়ে দিল, "রাকিব, এটা হল শান্তা । চিনতে পেরেছ? "
" মানে? "
"চিন্তে পারো নি? আচ্ছা, তোমাকে যে এত কষ্ট করে ঘুম ভাঙ্গালো ? তারো আগে কতইন তুমি ওর সাথে মিছে বন্ধুত্ব করলে, শেষে ফেইসবুকে ব্লকও করে ইলে। সেই শান্তাকে চিনতে পারছ না? "
রকিব থতমত খেয়ে শান্তার দিকে তাকায়। সে নির্বিকার তাকিয়ে আছে। " এসবের মানে কি? আমাকে একটু বুঝিয়ে বলবে?" তমা কে জিজ্ঞেস করে রাকিব। জবাবে যা যা তাকে শুনতে হল, তা অনেকটা এরকম,
শান্তার সাথে ফেইসবুকে বন্ধুত্বের পর হঠাৎ সদ্য ইন্টারনেট ইউজার রাকিব বুঝতে ভুল করে শান্তা কে। তার একাউন্টে নিজের কোন ছবি না থাকায় ওকে ভুয়া ভাবে রাকিব। কিন্তু রাকিব কে ভোলে নি শান্তা, সে রাস্তায় ঘুমিয়ে থাকতে দেখেও ঠিকই চিনে নেয়, এবং যখন শোভন এর সাথে তাদের দেখা হয়, শান্তা বুঝতে পারে রাকিবের দুর্ব্যাবহারের প্রতিশোধটা খুব সহজেই নেয়া যাবে। আর তাই যখন শোভন কথা বলতে যায়, কয়েক সেকেন্ডেই তমা হয়ে যায় শান্তা, আর শান্তা হয়ে যায় তমা। তারপর শান্তার হয়ে রাকিবের সাথে নতুম বন্ধুত্ত্ব চালিয়ে যায় তমা।
" ছিঃ ছিঃ ছিঃ তোমার একবারও মনে হল না এমন ছল চাতুরি করাটা ঠিক হচ্ছে কি? তোমার কেন বলছি, তোমাদের দুই জনেরই !" খেপে যায় রাকিব।
" দেখো, তোমার মতন একটা গেঁয়োর সাথে আর কথা বলার ইচ্ছে নেই আমাদের, শান্তা তোমার যোগ্যতা আর চেহারা দেখে ফেইসবুক ফ্রেন্ড হয়েছিল, কিন্তু আমি তোমার সাথে মিশেছি, তোমার মতন আনকালচার্ড একটা ছেলের সাথে কিভাবে এতদিন যোগাযোগ রেখেছি এটা ভাবতেই খারাপ লাগছে, যদিও বন্ধুর জন্য আমি যে কোন কিছুই করতে প্রস্তুত থাকি ,... এখন আমরা যাচ্ছি, আর ভবিষ্যতে দেখা হলে প্লিজ কথা বলতে এসো না, আর এটা তোমার ওই বন্ধুকেও বলে দিও বুঝছ? " লম্বা ভাষণ ছাড়ে তমা।
এরপর আর কথা বাড়ানো সম্ভব ছিল না রাকিবের পক্ষে, হয়ত পৃথিবীর কারও পক্ষেই তা নয়। কিন্তু শুধু একটা প্রশ্নই ঘুরতে থাকে রাকিবের মাথায়, কি দোষ ছিল তার?
"কাজটা কি বেশি বেশি হয়ে গেছে রে? আমার তো রাকিবকে এতো ইনোসেন্ট লাগত, ছেলেটা বেশি কষ্ট পেল মনে হয়" তমাকে হঠাৎ জিজ্ঞেস করে শান্তা। " এই রে, তুই এটা কি বলছিস? তোর কি এখনো ওই খ্যাততার প্রতি টান রয়ে গেছে নাকি !" তমা বিদ্রূপ করে, কিন্তু শান্তা তখনো ভাবছে রাকিবকে আবার ফেসবুকে বন্ধু বানানোর কথা। ছেলেটা কে কখনই অতটা খারাপ লাগে নি তার। হয়ত আন্সমার্ট ছিল, হয়ত ভুল বুঝে কষ্ট দিয়েছে ওকে। কিন্তু প্রতিশোধটা বেশিই হয়ে গেছে।এইসবনানা চিন্তা মাথায় নিয়ে আজ আড্ডা শেষ করল শান্তা।
২ মাসের মাথায় টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা চলে আসে, কিন্তু রাকিব নিজ জগৎ থেকে বেড়িয়ে আসতে পারে না স্বাভাবিক জগতে, এবার ফেলঈ করে বসলো সে।শোভন যথারীতি প্রায় এ প্লাস পেয়ে যাওয়ার মত রেজাল্ট করে বসলো।
সেদিন রাতে শোভনের সাথে সিরিয়াস আলোচনায় ব্যাস্ত হয়ে পড়ল রাকিব। নানান কথায় রাকিব জিজ্ঞেস করে,
"আচ্ছা দোস্ত, তুই আসলে কোন মেয়েটা কে আমার কথা বলেছিলি?"
"কাউকেই না, ওরাই আমাকে বলেছিল"
"মানে?"
"তমা আমাকে ডাক দেয়, দিয়ে শান্তার কথা বলে, তোর কথা বলে। আমি তখন শান্তা কে চিনতে পারি... "
" কিন্তু তুই তমাকে চিনতি কি করে?" আকশ থেকে পড়ে রাকিব। কিন্তু সে জানত না এর চেয়েও বড় বিস্ময় অপেক্ষা করছে তার জন্য। যখন শোভন বলল, " দোস্ত, আসলে , আমার তমালিকাই হল এই তমা"
বাকশুন্য রাকিব কিছুক্ষন চেয়ে থাকে শোভনের মুখের দিকে, এবার শোভনের বিস্ময়ের পালা, যখন ওর হাত থেকে টেনে সিগারেটটা নিজ ঠোঁটের কোনে পুড়ল রাকিব।রাত তখন ৩টা ।
পরের দিন ভোরের ঘটনা।
তমাকে ফোন করে শান্তা, সে হাঁপাচ্ছে, " এই জানিস কি হয়েছে! "
"কেন? কি? " অবাক হয় তমা
"হলের পেছনে নাকি একটা ডেডবডি পাওয়া গিয়েছে ..."
" কি!!! কার? "
" আমি দেখতে যাই নি, কিন্তু কাজের ছেলেটাকে পাঠিয়েছিলাম। ও এসে নাম বলল... "
"কে রে?" বিস্মিত হয় তমা
" তুই কোথায় এখন? "
"মানে ? বিছান... কিন্তু কে মরল বলবি তো ! " রেগে যায় তমা
" তোর ... তোর ... " শান্তার কন্ঠস্বর আটকে যায়
" কে! আরে রাকিব নাকি? " না বুঝে হেসে ফেলে তমা
" হ্যা এবং না, কারণ রাকিবকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না "
" তাহলে লাশটা কার? " এবার অধৈর্য স্বরে জিজ্ঞেস করল সে
" শোভন এর। " বলেই লাইনটা কেটে দেয় শান্তা। এখন তার হাতে অনেক জরুরি কাজ আছে। সকাল থেকে রাকিব বারবার ফোন করছে, সে নাকি একটা ভুল করে ফেলেছে। ওর লুকানোর একটা জায়গা দরকার। এখন তমাকে স্বান্তনা দেওয়ার চেয়ে রাকিবকে বাঁচানোটাই বেশি গুরত্বপূর্ণ লাগে শান্তার।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৬
নিঃসঙ্গ নির্বাসন বলেছেন: খাইসে।