নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জাতির বোঝা। তবে আমাকে আপনি জাতির ভাতিজাও বলতে পারেন। জাতির কোন উপকার করছি কিনা জানি না। জাতির থেকে কোন উপকার পাইনি এটা বলতে পারি।

জাতির বোঝা

বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের সিরিয়াল নম্বর দিলে আমার নম্বরটা পড়বে সবার শেষে । আমি এক জন কামলা। দেশে কোন কাজ পাইনি। পেটের দায়ে বিদেশে কামলা দেই। আমি জাতির বোঝা। জাতি আমাকে কিছু দেয়নি। তবে আমি জাতিকে রেমিট্যান্স দিই।

জাতির বোঝা › বিস্তারিত পোস্টঃ

দালালদের প্রলোভনে ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে

২৪ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:২৭

দালালদের প্রলোভনে ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে সাগর পথে স্বপ্নের দেশ মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমাতে গিয়ে অনাহারে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন নরসিংদী সদর উপজেলার নুরালাপুর গ্রামের ৪ যুবক। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই যুবকদের আরেক সহযাত্রী ফোনে নিহতদের স্বজনদের কাছে এ খবর নিশ্চিত করেছে।



নিহতরা হলো- নুরালাপুর গ্রামের আবু ছাইদের ছেলে আসাদ (৩৬), মৃত আবুল কাশেমের ছেলে কাউসার (৩০), আ. বাছেদের ছেলে মহসিন (৩৫) ও লোকমান মিয়ার ছেলে মোতালিব (৩১)। এছাড়াও অবৈধভাবে ওই জাহাজে করে বিদেশগামী কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখালীর আরও ২২ জন যাত্রীর মৃত্যুর খবর ফোনের মাধ্যমে পাওয়া যায়। মৃত বা অর্ধমৃত ওইসব যাত্রীদের পেট কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ গভীর সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হয় বলেও ফোনে জানানো হয়। সরেজমিনে নুরালাপুর গ্রামে ওই যুবকদের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, প্রত্যেকের বাড়িতেই চলছে শোকের মাতম। আসাদের দিনমজুর বাবা ছাইদ মিয়া জানান, তার একমাত্র ছেলে স্থানীয় টেক্সটাইল মিলে শ্রমিকের কাজ করত। স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে আসাদের সংসার ভালোই চলছিল। গত ২৮ এপ্রিল হঠাৎ সে বাড়ি থেকে বের হয়ে পরদিন ফোন করে জানায় সে ও একই গ্রামের আরও ৩ জন পার্শ্ববর্তী আড়াইহাজার উপজেলার আদম বেপারী আফাজ উদ্দিন ওরফে আব্বাসের মাধ্যমে জাহাজে করে মালয়েশিয়া যাচ্ছে। পরে মালয়েশিয়ায় গিয়ে ফোনে বিস্তারিত জানাবে বলে ফোন রেখে দেয়। এরপর থেকে তাদের আর খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ব্যাপারে দালাল আফাজ উদ্দিনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে সে জানায়, তারা ভালোভাবেই মালয়েশিয়া পৌঁছে যাবে এবং পৌঁছানোর পর প্রত্যেক পরিবারকে ২ লাখ টাকা জোগাড় রাখতে বলে। এ খবর পাওয়ার পর ৪ যুবকের প্রত্যেক পরিবারই ভিটেমাটি বিক্রি করে টাকা জোগাড়ে ব্যস্ত হয়। এরই মাঝে গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই জাহাজের যাত্রী আড়াইহাজার এলাকার আমিরুল নামে এক ব্যক্তি থাইল্যান্ড থেকে নিহত কাউসারের ভাই রফিজ উদ্দিনের মোবাইলে ফোন করে এ ঘটনা জানায়। মুহূর্তের মধ্যে খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নিহতদের স্বজনদের মাঝে গভীর শোক নেমে আসে। এদিকে নিহত কাউসারের বাড়িতেও গিয়ে দেখা যায় শোকের মাতম। কাউসারের একমাত্র ছেলে তামিম (৩) ফ্যালফ্যাল করে শুধু আগন্তুকদের দিকে তাকিয়ে আছে। অবুঝ শিশুটি এখনও বুঝতে পারছে না যে তার বাবা না ফেরার দেশে চলে গেছে। অন্যদিকে পরিবারের একমাত্র পুরুষ সদস্য নিহত কাউসারের স্ত্রী, বৃদ্ধা মা ও বোনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। এছাড়া নিহত মোতালিব ও মহসীনের পরিবারেও চলছে শোকের মাতম। এলাকাবাসী জানায়, শুধু এরা ৪ জনই নয়; গত ৬ মাসে একই গ্রামের রহিজ উদ্দিনের ছেলে মোমেন (৩০), আ. ছাত্তার মিয়ার ছেলে বন্যা মিয়া (২৫), খিদির কান্দী গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে দুলাল ও রফিকুল মিয়ার ছেলে সেলিম (১৮) একইভাবে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। এছাড়াও সদর উপজেলার মহিষাশুড়া, কাঠালিয়া, নুরালাপুর, পাইকারচর ইউনিয়ন থেকে প্রায় ৬/৭শ’ লোক অবৈধভাবে মালয়েশিয়া পাড়ি জমাতে গিয়ে প্রায় ২ শতাধিক লোক নিখোঁজ হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। এ ব্যাপারে নরসিংদী সদর থানার ওসি কেএম কাসেম জানায়, এ ধরনের অভিযোগ নিয়ে থানায় কেউ আসেনি এবং তিনিও এ ব্যাপারে কিছু জানেন না।সংবাদ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.