কবি স্বতন্ত্র

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১৬

আল-মামুন জুয়েল ( হিমু )





ছ্যাঁকা খেলে কবি হয় গদ বাঁধা কথা আমি মানিনা

কাগজে কলমের ঘষা ঘষিতে ভাবে অভাবের নষ্টামিতে জন্ম নেয় কবিতা ।

কবিতা এতীম মা হারা ,আবার কবিতা জন্মে বাপ ছাড়া

জারজ কবিতার প্রেমে পরে আমি,অবাক নির্বাক হতবাক ।

কখনো আবার দিশে হারা ।

কবিতা কামুক হলে দায়ভার কার ,সকল নষ্টামি কবির ।

দোষ নাই কবিতার ! আমি স্বভাব দোষে দুষ্ট।

আমি তোকে দিবো কষ্ট ।আমার ইচ্ছে হলে

তোকে বিছানায় নিবো ,ভাল না লাগলে

ছিঁড়ে দলা বোচা করে দরজার চৌকাঠে ছুঁড়ে ফেলে দিব ।

তুই বারি খাবি , তোর ভ্রু ফেটে রক্ত গড়াবে ,

আমি আদর করে ব্যান্ডেজ বেধে দিব সেবিকার মতো ।

আমি জহুরির মতো কামনার আগুনে পোড়াব তোকে ,

নিখাদ করে খাঁটি করে নিব কারন তোকে দিয়ে

গহনা গড়াবো পড়াবো প্রেমের দেবীকে ।

ছুঁড়ে ফেলে দিব গহীন সাগরে নির্দয়ের মতো

জলের ঘূর্ণি পাকে তলিয়ে যাবি গভিরে হাবু ডুবু খাবি ,

আমি উপর থেকে দেখবো আর দেব প্রেতাত্মার হাসি ।

আমিই আবার ডুবুরী হয়ে খুঁজে নিবো

আমি ঘুড়ি বানিয়ে তোকে আকাশে উড়াবো

যখন আকাশ ছুঁবি ছুঁবি ঠিক তখন সুতা কেটে দিব

না হলে তুই বেইমান হয়ে অন্য আকাশে উড়তে যাবি ।

আমি কি চেয়ে চেয়ে দেখবো ! আমি কি বোকা !

সবুজ পাহাড়ে চূড়ায় তোকে তুলে দিব ,তুই সবুজে মগ্ন হয়ে থাকবি

আবার পেছন থেকে নির্দয়ের মতো ,ধাক্কা মেরে গিরীখাদে ফেলে দিব

আমি তুলে আনবো গিরীখাদ থেকে আমিই মলম লাগাব ,

তোর ছড়ে যাওয়া ঘায়ে দুখিনি মায়ের মত ।

আমি তোকে আদর দিব আমি তোকে বাসর দিবো ,

কিন্তু তোর ফুলসজ্জা হবেনা !

তুই পূর্ণতা পেলে আমার কাব্য হবেনা ।

এখানে আমি স্বার্থপর, তোর স্বার্থ দেখলে আমার চলবেনা

এখানে আমি নির্দয় হবো,আমি যে প্রেমিক হবনা ।

আমি যে পুরোহিত হবো, তোকে যে দেবির আসনে বসাবো ,

আমি যে মাঝরাতে করব তোর আরাধনা ।

তোকে দর্শনে হাঁটাবো তোকে তর্কে জড়াবো ,

তোকে যুক্তিতে হারাবো ।

নিক্তির পাল্লায় তুলে ওজন মাপাবো

তোর ওজন বৃদ্ধি হলে, আমার কবিতার খাতা

সে ভার বইবেনা। কারন আমি যে স্বতন্ত্র ।

আমি বহুরূপী আমি বর্ণচোরা, আমি তিরন্দাজ

আমার নিশানা হয়না ব্যার্থ আমার নিশানা অব্যার্থ

আমি এখানে গনতন্ত্র মানিনা।

কারন তুই তার্কিক তুই বিতার্কিক

আমি কবি আমি দার্শনিক আমি সর্বগামী আমি স্বাধীন ,

আমি স্বতন্ত্র আমি নই পরাধীন

প্রয়জনে যাব বেশ্যার ঘরে প্রয়জনে যাব কাঙ্গালির ঘরে

প্রয়োজনে মসজিদে প্রয়জনে মন্দিরে

কারন নিংড়ে নিংড়ে আমাকে নির্যাস বের করতে হবে,

আখ মাড়াইয়ের মতো করে ।

সেই নির্যাসে তৈরি হবে ভাবের সরাব।

না হলে কবিতা হবে নিরশ বিদারী ফল ধনিয়ার মত ।

১ টি +০/-০