নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দূরে কোথাও আছি বসে...

অপেক্ষায় আছি সেই পলিনেশিয়ান তরুণীর যার বাম কানে সাঁজানো লাল জবা...

জীবনানন্দদাশের ছায়া

the be_st...

জীবনানন্দদাশের ছায়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্পঃ সত্য ঘটনা অবলম্বনে একটি কাল্পনিক ভালোবাসার গল্প

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৫

১. সাবিনা বসার ঘরে অপেক্ষায় আছে। আক্ষরিক অর্থেই সে কান পেতে আছে কখন কলিংবেলটা বেঁজে উঠবে, রফিক বাসায় ফিরবে। তার সময় কাটছেনা, অপেক্ষার মুহুর্তগুলো অসহ্য মনে হচ্ছে। বাসায় কেউ নেই, সে, এমনকি রফিকও জানে এরচেয়ে ভালো সুযোগ আর আসবেনা।



২. - সাবিনা, সাবিনা! কোথায় গেলি?

- চাচা আসছি, এক মিনিট।

- গ্রাম থেকে ফোন এসেছে বাবা খুব অসুস্থ্য। আমি আর তোর চাচী ফরিদপুর যাচ্ছি। রহিমার মা সেই যে গেলো আর এলোনা। এদিকটা তুই-ই দেখিস।



হ্যা, সাবিনা এ বাড়ির প্রায় সবকিছুই দেখে। আদিল চাচা তার আপন কেউ নয়, দূর সম্পর্কের চাচা। ঢাকায় নার্সিং পড়তে এসে সে তাদের বাসায় উঠেছিল। তারপর নার্সিং কোর্স শেষ হয়েছে, সে নার্স হিসেবে যোগও দিয়েছে একটা হাসপাতালে। বাবা-মা না থাকায় সম্ভবত বিয়ের আগে তার আর এই ঠিকানা বদলের কোন সম্ভবনা নেই। এমন নয় যে সে এখানে একদম "ফাও" থাকছে। বাসার টুকটাক থেকে শুরু করে প্রায় সব কাজই সে নিজে করে। ছুটা বুয়া রহিমার মা শুধু একবেলা আসে, দূপুরে। তাই ঘর কন্যার বেশিরভাগ কাজ সাবিনাকেই করতে হয়।



৩. এইডস রোগের নাম সাবিনা অনেক শুনেছে, বইয়ে পড়েছে। গ্রামে তাদের বাড়িতে টিভি ছিল ভাইয়ের ঘরে। ভাবীর সাথে তার সম্পর্ক ছিল বেশ খারাপ, ভালোমাত্রায় খারাপ। তাই বাড়ির ১৪ ইন্চি নতুন কেনা রঙীন টেলিভিশনটা তার দেখার সুযোগ হত কালেভদ্রে। কিন্তু ঢাকায় আসার পর সিনেমা, টিভির অ্যাড মিলিয়ে "এইডস" কি জিনিস সে জেনেছে ভালোমতই। নার্সিং কোর্স করতে গিয়ে এই জানার পরিধি আরো বেড়েছে, সরাসরি এইডস রোগীর দেখভালও করতে হয়েছে। এইতো মাস ছয়েক আগে এইচআইভি পজিটিভ এক ভদ্রমহিলা তাদের হাসপাতালেই মারা গেলেন।



৪. সাবিনা যখন প্রথম ঢাকায় আসে তখন তার জন্য মনে হয়েছিল এটা একটা আশির্বাদ। ভাই আর ভাইয়ের বউ তার উপর শারীরিক অত্যাচার করতো এমন নয়, কিন্তু তারা আপনও ছিলনা। আদিল চাচা আর চাচী তাকে কখনো কষ্ট দেননি, ছোট নজরে দেখেছেন এমনও নয়। তারা তাকে ভালোবাসেন - এটা বলাও ভুল হবেনা। আরো একজন তাকে ভালোবেসেছিল ঢাকায়; রফিক। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া আধুনিক ছেলে। প্রথমে তাদের ভেতর দূরত্ব ছিল। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পরে দূরত্ব কমে আসে। বছর ঘুরতেই তাদের দুরত্ব কমে আসার মাত্রা ভয়ঙকরভাবে বেড়ে যায়। তখন রফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষে। তারা দুজনেই কাছে আসার, হ্যা, ভালোবাসার অনেক সময় ও সুযোগ পেয়েছে। রফিক তাকে ভালোবাসতো!



৫. রফিকের পড়া শেষ হলো। চাকুরী পেতেও খুব একটা বেগ পেতে হলোনা। সাবিনা তখন স্বপ্ন বুঁনছে, সংসারের। একদিন হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে কি মনে করে সাবিনা গিয়েছে চাচীর ঘরের দিকে। রফিক চাচীর সাথে কথা বলছে। সে ঘরে ঢুকবে ভাবছে এমন সময় থমকে দাঁড়ালো।



- হ্যা, মা তোমরা যখন চাইছো বিয়ে করবো, আপত্তি থাকবে কেন?

- তোর কোন পছন্দ টছন্দ আছে কিনা! তোর বাবা বলছিলো...



সাবিনার দম বন্ধ হয়ে আসছিলো তখন। ওখান থেকে চলে আসতে পা সরছিলোনা। এভাবে লুকিয়ে কারো কথা শোনা ঠিক না। তবু এ তো অন্য কারো কথা। এ তো তারই ভবিষ্যতের কথা!



- না, মা আমার কোন পছন্দ নেই। তোমরা মেয়ে দ্যাখো...



সাবিনার পৃথিবী কেঁপে উঠলো। না, সে ভুল শুনেছে। এ হতে পারেনা। না!!



৬. সেদিন চাচা-চাচী গেছেন মার্কেটে। বাসার বাজার সপ্তাহে একবার নিজের হাতে করতে পছন্দ করেন আদিল চাচা। গাড়ি নিয়ে চলে যান দুজনে মোহাম্মদপুর মার্কেটে।



- রফিক...

- হুম!

- চাচীকে আমাদের কথা বললেনা কেন?



সাবিনার চোখে জল, গলা কেঁপে উঠে। রফিক পায়ে পায়ে এগিয়ে আসে সাবিনার দিকে, জড়িয়ে ধরে আলতো করে। শরীরে চাপ বাড়ে সাবিনার। সে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চায়। কিন্তু...



রফিক হাপাচ্ছে, তার সারা শরীরে ঘাম। সে কাপড় গোছাতে গোছাতে বলে-



- খবরদার কাউকে বলবেনা। আর বললে তোমারই অপমান। তুমি কি ভেবেছো মা বাবা তোমাকে মেনে নেবে?

- না নিক। তুমি বলতে পারতে।

- আমরা একজন আরেকজনকে শুধু কিছু ভালোসময় দিয়েছি। এতে দোষ কোথায়। চাইলে সামনের দিনেও তো তোমাকে আমি পাবোই।



চোখ মুছতে মুছতে শরীরের কাঁপুনী থামাতে চায় সাবিনা। তার সারা শরীর ঘৃণায় রী রী করে উঠছে। সে অপবিত্র। রফিক বেড়িয়ে যায় ঘর থেকে।



৭. - আপনার সাথে কেউ এসেছেন?

- না!

- প্লিজ একটু শান্ত হয়ে বসুন। পজিটিভ। ইউ আর সারটেনলি এইচআইভি পজিটিভ। কিভাবে হলো বলতে পারেন?



না, ডাক্তারকে সাবিনা কিছুই বলেনি। তার নাম ঠিকানা সে সবই ভুল দিয়েছিল। এইচআইভিতে মারা যাওয়া সেই রোগি আর তার শরীর থেকে নেয়া এক সিরিন্জ রক্তের কথা ডাক্তারকে বলার কোন মানে নেই।



৮. সাবিনা অপেক্ষা করছে রফিকের জন্য। তার মুখে এক টুকরো হাসি...

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

আম্মানসুরা বলেছেন: আত্নঘাতী প্রতিশোধ !

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫০

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: :)


ধন্যবাদ পড়ার জন্য!

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

লেখোয়াড় বলেছেন:
হঠাৎ গল্প লিখলেন।
এখনো পড়িনাই, পরে পড়বো।

দেখি গল্পের শেষ কোথায়।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: হঠাৎ কোথায় লেখোয়াড়! আগেওতো গল্প লেখার চেষ্টা করেছি :|

ছোটগল্পঃ লাই ডিটেক্টর

পদ্মার অথবা এক বেশ্যার গল্প



প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় থাকলাম :)

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৮

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: আমি আরো একটা গল্প লিখেছিলাম :-& ছোটগল্পঃ মাল্টিভার্স

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১০

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
কাছাকাছি থিম নিয়ে আমি একটা গল্প লিখেছিলাম দুয়েক আগে। আমার গল্পটা অবশ্য আরও বিস্তারিত ছিল।
ভাল হয়েছে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৩

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: ধন্যবাদ নাজিম!


দয়াকরে একটু লিংকটা দিয়ে যাবেন? পড়ে দেখবো :)

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১৮

সুমন কর বলেছেন: সত্যি কথা বলতে, বলার স্টাইলটা আমার ভাল লাগেনি। কাহিনী ভাল। কিন্তু পড়ার সময় মনে হলো ছোট বেলার মত রচনা পড়ছি। এটা আমার নিজের মত। আর ব্লগে আমরা সত্য মন্তব্যটাই আশা করি। যাতে নিজেদের ভুলগুলো ঠিক করতে পারি।
ভালো থাকবেন।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৭

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: সমালোচনা সবসময়ই স্বাগতম :) আসলে আমিতো গল্পকার নই সুমন। মাঝে মাঝে কিছু প্লট মাথায় এলে সেগুলো নিয়ে ভাবি। লেখা হয়না কারণ আমি নিজেই জানি গল্প লেখার ভেতর যে শিল্পটা থাকে তা আমার লেখায় নেই :(

ধন্যবাদ :)

৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খাইছেরে!!! আমি তো ভয় পাইয়া গেসিলাম গা!! কাল্পনিক ভালোবাসার গল্প!!

তবে গল্পটা কিন্তু বেশ হয়েছে। টুইষ্টটা একেবারে লাস্টে। আসলেই ব্যাপারটা আত্মঘাতী প্রতিশোধ!!

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৮

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: প্রথমে মন্তব্য দেখে আমিওতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম! পরে দেখি আসলেইতো :-&


ধন্যবাদ :)

৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৩৮

দুষ্টু ছোড়া বলেছেন: চমৎকার হয়েছে। কিন্তু একইরকম অথবা এই গল্পটাই আগে কোথায় যেন পড়েছিলাম।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: আমিতো ভেবেছি এটা একটা ইউনিক আইডিয়া :| সম্ভবত ব্লগার নাজিম-উদ-দৌলা'র গল্পে পড়েছেন।

ধন্যবাদ :)

৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



গল্প ভালো লাগছে +++ রইল।

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খাইছেরে!!! আমি তো ভয় পাইয়া গেসিলাম গা!! কাল্পনিক ভালোবাসার গল্প!!

লেখক বলেছেন: প্রথমে মন্তব্য দেখে আমিওতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম! পরে দেখি আসলেইতো

=p~ =p~ =p~

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারী :)

হ্যা, প্রথমে বুঝে উঠতে পারিন কাল্পনিক ভালোবাসা কেন ভয় পেয়ে গেলেন :-*

৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০৯

ইলুসন বলেছেন: রফিককে কী বাঁশটাই না দিল!

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: ধন্যবাদ ইলুশন!

#:-S

৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: বলার স্টাইল ভালো লাগসে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: আহা আহা 8-|

১০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪

নেক্সাস বলেছেন: ামার ভাই গল্পটা দারুন লেগেছে। নাম্বার কেন দিলেন। না দিলেও চলতো।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় নেক্সাস :)

নাম্বার না দিলে আমার খাপছাড়া মনে হচ্ছিল!

১১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
বলার স্টাইল আমারও ভাল্লাগছে।
তবে গল্প আরেকটু বিস্তারিত হলেও খারাপ ছিল না।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: ইয়ে মানে আরো বিস্তারিত :!>

হা হা! এটুকু লিখতেই কম্পিউটারের কিবোর্ড দুবার চেন্জ করতে হয় B:-/

১২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আরিব্বাপরে এইটাতো দেখি পুরাই সিনেমা! :-/

ভাল লাগসে গল্প। বলার স্টাইলটাও বেশ :)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: ধন্যবাদ সমুদ্র কন্যা!

:)

১৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩

দূর্যোধন বলেছেন: :|| :||

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: আরে বাহ! এ কে !!!

কি হলো দূর্যোজী :-&

১৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৬

মামুন রশিদ বলেছেন: বাপরে!


দুর্দান্ত লিখেছেন । ছোট পরিসরে চমৎকার ডিটেইলিং মন কেড়েছে ।

মরণপন প্রতিশোধের গল্প ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫০

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন :)

১৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০১

নস্টালজিক বলেছেন: হে বিদায়ী উপদেষ্টা তোমার ব্লগ ভালো লেগেছে!

ধন্যবাদ!

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: হেইল প্রেসিডেন্টো :)


প্রিয় রানা ভাই!

১৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শেষটা দারুণ লেগেছে।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৬

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: ধন্যবাদ প্রফেসর সাহেব :)

শুভকামনা!

১৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২০

টুম্পা মনি বলেছেন: ভালো লাগল। শুভকামনা।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৮

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: ধন্যবাদ টুম্পা! সম্ভবত আমরা কোথায় বাদানুবাদ করেছি, সরাসরি না হলেও অ-সরাসরি!!!

ভালো থাকুন নিরন্তর :)

১৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

চটপট ক বলেছেন: এমন গল্প কাল্পনিক হলেই ভালো!!!!!!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৯

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: "সত্য ঘটনা অবলম্বনে..." তো পাঠক টানার জন্য ইচ্ছে করেই যোগ করেছি #:-S

ব্লগে স্বাগতম, ব্লগ ভ্রমন আনন্দময় হোক :)

১৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫১

শাহরিয়ার রিয়াদ বলেছেন:
কোথায় একটা গল্প পড়েছিলাম একজন পস্টিটিউট এর কাহিনীর উপর ভিত্তি করে। যে এইচআইভি পজিটিভ ছিল এবং একজন পাকিস্তানির সাথে বিছানায় গিয়েছিল শুধুমাত্র ৭১ এর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য।


আপনার গল্পটাও ভাল লেগেছে। ভাল থাকুন। শুভকামনা।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪১

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: চমৎকার প্লটতো! এসব গল্প নিয়ে সিনেমা হওয়া উচিত।


ধন্যবাদ রিয়াদ। ভালো থাকুন :)

২০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৫

কালোপরী বলেছেন: ওরে বাবা!!!!!!!!!!!

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১২

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: :)

২১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আমরা একজন আরেকজনকে শুধু কিছু ভালো সময় দিয়েছি। এতে দোষ কোথায়। চাইলে সামনের দিনেও তো তোমাকে আমি পাবোই। এরকম মনোভাব পোষণকারী যুগলের সংখ্যা প্রচুর হবে বলে আমার ধারণা। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে ঘটনাটা সত্য এবং গল্পটি এ সত্য ঘটনার উপরে দাঁড়িয়ে গেছে।


না, ডাক্তারকে সাবিনা কিছুই বলেনি। তার নাম ঠিকানা সে সবই ভুল দিয়েছিল। এইচআইভিতে মারা যাওয়া সেই রোগি আর তার শরীর থেকে নেয়া এক সিরিন্জ রক্তের কথা ডাক্তারকে বলার কোন মানে নেই।
যদিও গল্পের প্রয়োজনে এ অংশটার সংযোজন, কিন্তু এরকম আত্মধ্বংসী কাজ করতে মোটিভেটেড হয়ে প্রেমিকের সর্বনাশ করবে- এটা কতখানি বাস্তব-সম্মত সেটা ভেবে দেখুন।


সাবিনা অপেক্ষা করছে রফিকের জন্য। তার মুখে এক টুকরো হাসি।
প্রতিশোধস্পৃহা কতখানি তীব্র তা আন্দাজ করতে পারলাম।

আমার মাঝখানের অবজারভেশনটুকু বাদ দিলে একটা চমৎকার প্লটের উপর অনবদ্য গল্প লিখেছেন, তা স্বীকার করছি। অভিনন্দন।

***

আপনার লাস্ট পোস্ট ‘নিজের জন্য লেখা’ পড়ে তো চমকে উঠলাম। ওটার কমেন্ট ওপেন করে দিন প্লিজ। আপনার জন্য সর্বান্তকরণে প্রার্থনা করছি- যেন জিনিসটা একটা বিনাইন টিউমারের চেয়ে বড় কিছু না হয়। এটা কিছু নয়- টেস্টে এটাই বেরিয়ে আসুক, আপনি আপনার প্রজ্ঞাবান পোস্ট ও কমেন্ট দিয়ে আমাদের আন্দোলিত করুন- এ প্রার্থনা।


১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: বিষয়টা লেখার আগে আমিও ভেবেছি। আমার কাছে বিকল্প ছিল, কিন্তু সেটার চেয়ে মনে হয়েছিল এভাবে প্রতিশোধ অনেক বেশি শক্তিশালী হবে। তাই এভাবেই লেখা :) ঐযে আপনি বললেন প্রতিশোধস্পৃহার তীব্রতা!!

ধন্যবাদ ধুলোবালিছাই :)

**

আসলে ওটা আমি লিখতে চাইনি প্রথমে। কিন্তু পরে ভেবে দেখলাম নিজের সুখ, দুঃখ বা আনন্দ বেদনা শেয়ার করার মত কেউ নেই আমার আশেপাশে। ব্লগটাই আমার বড় একটা বন্ধু। তাই বন্ধুকে জানিয়ে রাখা আরকি! আর এটা খুব বড় কোন সমস্যা নয়। আমি বেশ ভালোই আছি। টেস্টগুলো করিয়ে দেখি :)

২২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৮

বাকতাড়ুয়া বলেছেন: ভাইয়া, কিছু মনে করবেন না। আমি আসলে তুলনা করছিনা, শুধুমাত্র আপনাকে জানাতে ইচ্ছে করলো বলেই লিঙ্ক টা দিচ্ছি। কাকতালীয়ভাবে লেখা দুটোর মধ্যে সামান্য মিল আছে। তবে, আপনার লেখার স্টাইল নিঃসন্দেহে অনেক দক্ষ, পরিপক্ব।
Click This Link

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: :) ধন্যবাদ বাকতাড়ুয়া। এই সুযোগে একটা সুন্দর গল্প বলে ফেললাম। এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র প্রতিশোধ নিতে চাইছে একটা বাস্তব অন্যায়ের এবং একজন ব্যক্তির উপর আর আপনার গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র মূলত প্রতিশোধ নিতে চাইছে একটা এবস্ট্রাক্ট আইডিয়ার উপর যার ভিক্টিম হতে যাচ্ছে একটা মেয়ে।

শুভকামনা এবং ব্লগে স্বাগতম!

২৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২

শায়মা বলেছেন: কি সাংঘাতিক!!!


B:-)

০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: কি হে কি হলো! কোথায় সাংবাদিক B:-/

২৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

ভবঘুরের ঠিকানা বলেছেন: লেখালেখিতে শুভকামনা রইল।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৮

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: ধন্যবাদ ঠিকানা অলা ভবঘুরে :) ভালো থাকুন!

২৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: খণ্ড গল্প বেশ ভাল লাগল
শুভকামনা
সব সময়ের জন্য

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: ধন্যবাদ! আপনার জন্যও শুভকামনা নিরন্তর :)

২৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

=মহামান্য= বলেছেন: আরে!!!
আপনি তো দারুন লিখতে পারেন।
:)

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: হা হা হা :)

ধন্যবাদ =মহামান্য=, অনেক অনুপ্রানিত হলাম #:-S

২৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩২

চানাচুর বলেছেন: ভালো প্রতিশোধ নিয়ে নিলো মেয়েটা!!! :)

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৯

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: ভয়ঙকর প্রতিশোধ :|

২৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩

শীলা শিপা বলেছেন: সর্বনাশ!!! প্রতিশোধ নিতে কেউ কি এমন করে কখনো???

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০১

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: এটাতো গল্প শীলা শিপা! আমি চরমমাত্রার একটা প্রতিশোধের গল্প লিখতে চেয়েছি।
সর্বনাশতো বটেই :|

২৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৮

তাসজিদ বলেছেন: ভয়ানক প্রতিশোধ। কিন্তু নিজেকে ধ্বংস করে কেন?

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০২

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: নিজেকে ধ্বংস না করলে আর ভয়ানক হতোনা তাই :)

৩০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: রফিক্যারে কইস্যা মাইনাস X( X( X(

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৬

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: :)

ধন্যবাদ মহামহোপাধ্যায়!

৩১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২২

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :-& মাইনাচ!

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: /:)


ঠিকাসে!!

৩২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০৩

আমি তুমি আমরা বলেছেন: সেই লেভেলের প্রতিশোধ। ভাল লাগল।

৩৩| ২৪ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

বিজন রয় বলেছেন: দারুন।

৩৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৩

আমি তুমি আমরা বলেছেন: টুইষ্টটা একেবারে লাস্টে। আসলেই ব্যাপারটা আত্মঘাতী প্রতিশোধ!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.