নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আলোর দিশারী
আমি ব্যক্তিগতভাবে ঘৃণা করি দুটো দেশকে। একটা হলো ব্রিটেন, ৪৭ পূর্ব ব্রিটিশদের জঘন্য কীর্তিকলাপের জন্য। আর আমেরিকা, বিশ্বের মোড়ল সাজার জন্য অবর্ণনীয় জঘন্য কার্যক্রম পরিচালনার জন্য। বর্বরতার এমন কোন জিনিস নাই যা ওরা করতে না পারে। আজকের এই পৃথিবীটাকে এতো অশান্তিময় করার একমাত্র উদ্যোক্তা হলো এই আমেরিকা প্রশাসন। নাজিম উদ্দিন সামাদের হত্যাকান্ডর জন্য মনটা যতটা না খারাপ ছিল, তারচে’ খারাপ লাগছে একটা খবর দেখে- “বাংলাদেশের ব্লগারদের আশ্রয় দেয়ার চিন্তা যুক্তরাষ্ট্রের”। গোড়া কেটে আগায় পানি ঢালতে যে এরা কত ওস্তাদ তার বিশ্রী রকম প্রমাণ হলো এটা।
আরে অভিজিত তো নাকি আমেরিকার নাগরিক ছিল। কি করতে পেরেছে ওর হত্যার বিচারের? করবে না, এসবের কোন বিচার এরা কখনো চায়ও না। সমস্যা জিইয়ে রাখাই এদের স্বভাব। এরা জ্ঞানপাপী। সজ্ঞানে যেকোন ধরনের পাপ করতে পারে নির্দ্বিধায়।
আমি বিখ্যাত কেউ না। বড় ধরনের কোন ব্লগারও নই। তবু বলছি দুধ দিয়ে বিড়াল পোষার যে ষড়যন্ত্র এরা করছে, কোন ব্লগারই এদের ফাঁদে পা দেবেন না। এরা আপনাকে একটু আশ্রয় দিয়ে আপনাকে দিয়েই দুকলম প্রশংসা লিখিয়ে নিবে এদের অপকর্ম ঢেকে।
যারা একসময় সোভিয়েত থেকে হালুয়া রুটির রাজনীতির এজেন্সি নিয়েছিলেন, সোভিয়েত বিলুপ্ত হবার সাথে সাথে নিজেদের রঙ পাল্টিয়েছিলেন, এমন মুখোশধারী মুক্তমনা কেউ থাকলে লুফে নিতে পারেন আমেরিকার অফারটা। চাচা, আপনা প্রাণটা বাঁচা।
বাংলাদেশে আমার জন্ম। আমি আমার দেশকে ভালবাসি। কারো প্ররোচনায় বা প্রলোভনে কিছু বলি না, লিখি না। যা কিছু বলি বা লিখি নিজের বিবেকের তাগিদেই। তার জন্য চাপাতির কোপ যদি আসে প্রতিরোধ করবো, না পারলে প্রতিরোধের চেষ্টা করবো। আর যদি না পারি, রক্তের ঋণ রেখে যাবো। তবু অন্যায়ের কাছে আত্মসমর্পণ করবো না। কোন আপোষ করবো না। জীবন একটাই। মৃত্যু তো একবার আসবেই। কাপুরুষের মতো প্রাণ বাঁচাবার জন্য কারো কাছের মাথা নত করবো না। প্রকৃত মুক্তমনের সকল মানুষের প্রতি আমার আকুল আবেদন, প্রত্যাখ্যান করুন আমেরিকার সকল দুরভিসন্ধি।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ধন্যবাদ মি. হক। ক্ষমতার লোভ না করে, দেশপ্রেমের সাথে যদি সরকার যদি কাজ করতেন, কেউই আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারত না। আবার কোন এক সময় আবার জেগে উঠবে জাতি...............
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: কে যে ভালো আর কে যে মন্দ, কিংবা কার চেয়ে কে কতটা বেশী মন্দ, বোঝার উপায় নেইরে ভাই। জাতি হিসেবে নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে সবারই লাথি গুতো খেয়ে চলতে হবে, চোখ রাঙানি দেখে অনুগত ভৃত্যের ন্যায় কাজ করতে হবে।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: বুঝার উপায় আছে মি. আহসান, ভালমন্দের বিবেচনা করবে আমাদের জাগ্রত বিবেক।
আমি প্রবলভাবে আশাবাদী। ৫২র ইতিহাস, ৬৯এর ইতিহাস, ৭১এর ইতিহাস এই আশার কথাই বলে। সময়ে বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। আমাদের সংগঠিত হবার শক্তিটুকু অর্জন করতে হব। এর জন্য চাই নির্ভীক নেতৃত্ব।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২৩
আনামুল হক ইনাম বলেছেন: বৃটিশদের এয়ার পোর্টের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়ে দিসে সরকার !
অভিজিৎ এর হত্যা তদন্তে যুক্তরাষ্ট্র আসা তদন্ত কারিরা এখনো মুখ খুলেনি ! সবই মুলা ঝুলানো , বাঙ্গালীদের গোলাম করে রাখার পায়তারা করছে ওরা