নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুদ্দাকির (চিন্তাশীল/যে মনে রেখেছে)

মুদ্‌দাকির

"আমি বামের ডানে, আবার ডানেরও ডানে, আমি ডানের এত ডানে যে বাম আমার থেকে দূরে না! এজন্যই জীবন চক্রে আমি মধ্যবর্তি!" "just because i appreciate you, doesn't mean i am a great fan of yours" "স্বিবগাতাল্লাহি ওয়ামান আহসানু মিনাল্লাহি স্বিবগাতান ওয়া নাহনু লা--হু-- আ-বিদুওন " "যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে। আর যারা কুফরী করে তাদের অভিভাবক হচ্ছে তাগুত। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এরাই হলো দোযখের অধিবাসী, চিরকাল তারা সেখানেই থাকবে।" "কাদিয়ানী মিথ্যাবাদিরা আমার প্রকাশ্য শত্রু !!!"

মুদ্‌দাকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে মুসলিম মাইনরিটি????!!!!!

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬

বিসমিল্লাহির রাহমানের রাহিম



যোগী নামক একজন ব্লগার লিখেছেন যে খালেদা জিয়া এই দেশে মুসলিম মাইনরিটি বলে মনে করছেন



এ প্রসঙ্গে আমার মতামতঃ



খালেদাজিয়া বলুক আর নাই বলুক, প্রকৃত পক্ষে ইসলামের বিধি বিধান মানাই যখন, "প্রকৃত মুসলমান" হবার ইন্ডিকেটর হয় তখন বলতেই হবে, যে এই দেশে মুসলিমরা মাইনরিটি, এবং ইহাই সত্য, আপনি হয়ত নিজেও তা যানেন, আর তর্কবাজ হলে অন্য কথা!!!!!



কয়জন লোক ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন??



কয়জন লোক ঠিক মত যাকাত দেন??



অন্য সব কিছু বাদ দিলাম, এই দুইটা কাজ ছাড়া কিভাবে নিজেকে মুসলমান বলবেন?????



অথচ, শহীদ মিনার বা সৃতি সৌধে ফুল দেয়ায় একটা বিশাল সঙ্খক মুসলিমের সরাসরি অংশ গ্রহন আছে, আর যারা তা করেন না তাদের আবার বেশীর ভাগের মৌণ সম্মতি আছে????? পহেলা বৈশাখের উদ্দাম নাচা নাচি আর কথায় কথায় মঙ্গল প্রদিপ জ্বালানো নাকি এদেশীয় কালচার!!!! ঠিক আছে মানলাম এদেশীয় কালচার, কিন্তু মুসলিম কালচারতো না!!! আমরা এক সময় হিন্দু ছিলাম তখন হয়ত এগুলো আমাদের কালচার ছিল।(অতীতকাল)। ইসলাম ঠিক মত মানতে গেলে এই গুলা অনেক কিছুই বাদ পড়ে!!!



একজন মুসলমান, আগে মুসলমান তারপর বাঙালি বা বাংলাদেশী, আপনি যেটাই বলুন!!!!!!



আর ইসলাম এর সাথে ডেমক্রেসীর এ্যপারেন্টলি কোন বিরোধ না থাকলেও , ডেমক্রেসী দিয়া আপনি ইসলামের বিধি বিধান বানাইতে পারবেন না!!!! তাই এই দেশের বেশীর ভাগ মুসলিম যদি ইসলামের বিচারে ভুল কালচার পালন করে তাহলে তাকে ভুলই বলতে হবে, ডেমক্রেসীর গুনে সঠিক বলা যাবে না!!!!!!



এই দেশের মিডিয়া আর গল্পের বইতে অনেক সামাজিক গল্পেরই ভিলেন হইল, মাঝবয়সী টুপি দাড়ি ওয়ালা লোক !!!! অবাক হন না আপনারা ??? কেন প্রায় সকল ভিলানের এ্যপেয়ারেন্স প্রায় একই রকম??????????????



শেষ কথা, আর যখন পুলিশ টুপিদাড়ি ওয়ালা মানুষদের দিকে বাঁকা চোখে তাকান, এক দল বোরকা পড়া মেয়ের দলের দিকে সন্দেহের ইঙ্গিত করেন, আর রাষ্ট্রোপ্রধানের আদেশে ১২ অথবা ২০ স্বঘোষিত নাস্তিক কে পাহারা দিয়ে রাখেন, তখন কারো কারো মনে আক্ষেপ হতেই পারে যে , আহারে আমরা মুসলিমরা কি তাহলে সংখ্যায় কমে গেলাম কিনা!!!!





আসলে আমরা (মুসলিমরা) সংখ্যায় কম না, আমাদের মধ্যে কুরায়ান আর হাদীস মানা লোকের সংখ্যা কম, যদিও কলেমায় শাহাদাত আমাদের অন্তরে ঠিকই আছে!!!!!!!!!!! অর্থাৎ আইন গত ইমান আমাদের ঠিকি আছে কিন্তু প্রকৃত ইমানের ব্যাপারে আমাদের আছে চরম অসতর্কতা!!!!!!



যুদ্ধো হইতে পারে "জামাতি ইসলামি" নামক দলের বিরুদ্ধে ইসলামি কালচার বা ইসলামের বিরুদ্ধে নয়!!!!

মন্তব্য ৯৪ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৯৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫

সাইবার ডাঃ ডেভিলস ডুম বলেছেন: ঠিক মনের কথা কইসেন ভাই,

১০০০% এক মত !!!!

দেশকে ভালোবাসা উচিত কিন্তু তারচেয়ে বেশী ইমানের ব্যাপারে সকলের সতর্ক থাকা উচিত !!!!

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ!!!!!!

২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬

কানা ফকীর বলেছেন: আমাদের মধ্যে কুরায়ান আর হাদীস মানা লোকের সংখ্যা কম, যদিও কলেমায় শাহাদাত আমাদের অন্তরে ঠিকই আছে.........।সহমত

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: পয়েন্টা ধরতে পারার জন্য ধন্যবাদ

আসসালামুয়ালাইকুম!!!!

৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

নূর আফতাব রুপম বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে এর জাজা দান করুক আমিন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন: জাজা মানে বুঝিনাই, যাই হোক ধন্যবাদ

৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: আফসুস। পুজার সময় পুজা বাঙ্গালির কালচার হয়ে যায় কিন্তু যারা হেদে গিয়ে সেই কালচার পালন করেন তাদের কাছে নামায টা বাঙ্গালির কালাচার না তার নিজের কালচার হতে পারল না। অনেক দিন ধরে চলে আস্তেছে দেখে অনেক হিন্দু ধর্ম থেকে আসা কালচারকে বাঙালি কালচার বলে গিলানোর চেষ্টা করা হয় তাহলে শত বছর ধরে চলে আসা নামাযের কালচার, ১ মাস রোজা রাখার কালচার, কুরবানি করার কালচার কেন বাঙ্গালির কালচার হিসাবে তারা পালন করেন না? তখন তাদের মাঝে চেতনা জেগে উঠে এইটা ইসলাম দহরমে আছে তাই এইটা ইসলামী কালচার বাঙালি না।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: একমত

ধন্যবাদ!!!!

৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

নিরীহ জন বলেছেন: সহমত।

২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ!!!

৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

আমরা তোমাদের ভুলব না বলেছেন: যুদ্ধো হইতে পারে "জামাতি ইসলামি" নামক দলের বিরুদ্ধে ইসলামি কালচার বা ইসলামের বিরুদ্ধে নয়!!!!

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ঠিক!!!!!

৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৪

আমরা তোমাদের ভুলব না বলেছেন: নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: আফসুস। পুজার সময় পুজা বাঙ্গালির কালচার হয়ে যায় কিন্তু যারা হেদে গিয়ে সেই কালচার পালন করেন তাদের কাছে নামায টা বাঙ্গালির কালাচার না তার নিজের কালচার হতে পারল না। অনেক দিন ধরে চলে আস্তেছে দেখে অনেক হিন্দু ধর্ম থেকে আসা কালচারকে বাঙালি কালচার বলে গিলানোর চেষ্টা করা হয় তাহলে শত বছর ধরে চলে আসা নামাযের কালচার, ১ মাস রোজা রাখার কালচার, কুরবানি করার কালচার কেন বাঙ্গালির কালচার হিসাবে তারা পালন করেন না? তখন তাদের মাঝে চেতনা জেগে উঠে এইটা ইসলাম দহরমে আছে তাই এইটা ইসলামী কালচার বাঙালি না।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ঠিক বলেছেন উনি

৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

অপরিচিত অতিথি বলেছেন: post a akmot

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ!!!!!!

৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

shapneel বলেছেন: একমত ধন্যবাদ...

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ!!!!

১০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

আলতামাশ বলেছেন: পোস্ট এবং কমেন্টগুলোতে ++++++
পোস্ট প্রিয়েতে

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ!!!!!!!!

১১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

িট.িমম বলেছেন: আমরা মুখেবলি আমরা মুসলিম(মুসলমান)কিন্তু আমাদের কার্জক্রমে কিন্তু তা প্রকাশ পায়না। কবি কাজী নজুরল ইসলাম তার "আনোরার পাশ" কবিতায় ঠিকই বলেছেন " যে বলে মুসলিম জীব ধরে টানোতার, মুসলিম জানে শুধু জানটা বাঁচানো সার................

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: প্রকৃত মুসলমান হইতে হবে

এটাই শেষ কথা , যতদিন আমাদের বেশিরভাগ লোক শুধু নামে মুসলমান হবে তত দিন আমাদের ভোগান্তির শেষ হবে না, আর এই সমাজও সুন্দর হবে না.....................।

১২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

দিশার বলেছেন: :-& ভাই এখানেই তো সমস্যা ই দেশ এর , চুরি ডাকাতি, খুন ধর্ষণ , সুদ ,কবর পূজা, পীর পূজা , সব চলবে , আর মুখে মুখে মসলমান , কার্টুন আকা দেখলে ঈমানী জোশ উঠে যাবে। চিন্তা করে দেখেন, খালি মুখে কালেমা সাহাদাত পরে মুসলমান এর কোন দাম আপনার আল্লাহর কাসে আসে কি না .

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: মুখে মুখে কলেমায় শাহাদাত পড়া মুসলমানের কোন দাম আছেকিনা তা আল্লাহ বলতে পারবেন, তবে আমি যত টুকু বুঝি, শেষ বিচারে তাদের বাজে ভাবে ধরা খায়া যাইবার সম্ভাবনা প্রবল!!!!!!!!!!

আর ঈমানী জোশটা তো সমস্যা না, সমস্যা হইল খালি জোশ, আর এই জোশ দিয়া সাধারন মানুষের ক্ষতি করা, যা ইসলামের(শান্তির) বিপরিত, কি বুঝলেন???? আর যে সকল সাধু রূপি বদমাইশ, এই ইমান ছাড়া জোশের নাম ইমানী জোশ দিয়া অপপ্রচার করতেসে ইসলামের নামে, তাদের ব্যাপারে একজন প্রকৃত মুসলমানের সতর্ক থাকা , অবশ্য কর্তব্য!!!!!

প্রত্যেক প্রকৃত মুসলমানের ঈমানী জোশ জেগে উঠুক। (আমীন)

১৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

দিশার বলেছেন: @লেখক , ভাই প্রকিত মুসলমান তা কি, যদি একটু ডিফাইন করতেন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: যে কুরয়ান আর হাদীস পড়েন, বুঝেন আর তার উপর আমল করেন সেই প্রকৃত মুসলমান!!!!!!

ডিফান করলাম :) :)

১৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

সাইফ সানি বলেছেন: একমত।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ!!!!!!

আসসালামুয়ালাইকুম

১৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৫

সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলেছেন: +++

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ !!!

১৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩২

বইয়ের পোকা বলেছেন: "যুদ্ধ হইতে পারে "জামাতি ইসলামি" নামক দলের বিরুদ্ধে ইসলামি কালচার বা ইসলামের বিরুদ্ধে নয়!!!! "

ঠিক বলছেন। একেবারেই একমত আপনার উদ্বেগের সাথে। বিভিন্ন রীতিনীতি যদি দীর্ঘদিন ধরে বাংলায় পালন হওয়ার ফলে বাঙালীয়ানার ধারক বাহক হয়ে যায় তবে আমরা মুসলমান জাতি হিসেবে নামাজকে কেন বাঙালীয়ানার অংশ ভাবতে পারি না।

দাড়ী-টুপি-বোরখা কে কেন বাজে চোখে দেখা হবে, যদি আমরা মুসলমান হয়েই থাকি???

আমরা নামেই মুসলমান জাতি। বাবা-মা মুসলমান, তাই মুসলমান।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: একমত, ধন্যবাদ!!!!!!!!

১৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৫

নির্ণায়ক বলেছেন: স্মৃতি সৌধে ফুল দেয়ার ব্যাপারটা কি কারনে খারাপ বললেন ঠিক বুঝতে পারলাম না,একটু ব্যাখ্যা করলে বুঝতে সুবিধা হয়।বাকি কথার সাথে একমত।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন: স্মৃতি সৌধে ফুল দিলে শহীদদের কি লাভ হয়, বোলতে পারেন???

যদি নাই হয় তবে কেন আমরা করি???

এটা কি আমাদের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বা ভালোবাসার একটা বহিঃপ্রকাশ ????

এই অতিরিক্ত ভালোবাসা আর শ্রদ্ধাবোধই কি যুগে যুগে ইমানদারদের শিরকে লিপ্ত করে নাই???

আর যদি ব্যাপার গুলা সিম্বলিক হয় ??? এর অর্থ কি???

পোড়া মাটির ইটে তৈরি উচুঁ স্থানগুলোতে সম্মান দেখানোর মাধ্যমে কি আমরা শহীদদের কোন উপকার করতে পারছি, যদি ইসলামের আলোকে চিন্তা করেন, তবে এতে তাদের জন্য কোন লাভ খুজে পান কি ???

ইসলাম অনুযায়ি কবরটা পর্যন্ত পাঁকা বা উচুঁ করা নিষেধ আছে, আর শহীদ মিনার তো পৌত্তলিকতার শুরু

আশা করি চিন্তা করবেন!!!!!!!

১৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৫২

দিশার বলেছেন: @লেখক, ভাই তাইলে তো শিবির এর পোলাপান প্রকিত "মুসলমান" আপনার ভাষায়, কারণ তারা আর কোন দলের চেয়ে রেগুলার কোরান হাদিস পরে , রীতিমত নিয়ম করে।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ভাই শুনেন, আপনার হজম করতে কষ্ট হয়ত হবে , কিন্তু তাও বলি, যদি আপনি শিবিরের পোলাপানের সাথে ছাত্রদল বা ছাত্রলীগের পোলাপানের তুলনা করেন , তাইলে আমি বলুম শিবিরের পোলাপান অনেক ভালো, !!!!!(অন্তত যত গুলারে চাক্ষুস দেখসি) , এ রকমই ভালো আবার ছাত্র ইউনিয়নের পোলাপান!!!

কারন এরা একটা আদর্শের কারনে শিবির করে বা ছাত্র ইউনিয়ন করে, আর চুরি ছেচরামি আর চাঁদা বাজির জন্য না।

এখন প্রশ্ন হইতে পারে শিবির ভালো না ছাত্র ইউনিয়ন???? নাস্তিক দের বা সো-কলড সমাজতন্ত্রের আদর্শ আমি ব্যাক্তিগত ভাবে তেমন একটা পছন্দ করি না, তাই আমার উত্তর বুইঝা নেন, আর আপনি নিজেই তো বললেন শিবিরের পোলাপান কুরয়ান হাদিস বেশী মানে!!!!

কোন কিছু বেশি মানা আর ঠিক ভাবে মানা কিন্তু আবার এক না, কি বুঝলেন???? তবে শিবিরের কোন ভুল আকিদা আছে কিনা আমি ব্যাক্তিগত ভাবে তা জানি না!!!!!!!!!!


হাঁ এরা তুলনা মুলক ভাবে অন্যদের চেয়ে ভালো, কিন্তু প্রকৃত মুসলমান কিনা জানি না!!!!!!!!!!! কারন যদি হইত তাহলে বছরের পর বছর এদের নামে এত অভিজোগ থাকত না।

তবে চিন্তার বিষয় এই যে, সাদা কাপড়ে খুব ছোট একটা কালো দাগ থাকলেই কিন্তু তা উটকো দেখায়, কেন জানি অন্য ক্ষেত্রে তা হয় না!!!!!!!!!!!

দেখি শিবির করে এমন কেউ এইখানে মন্তব্য কইরা কিছু যোগ করে কি না!!!!!!!!!!????????

১৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৪৮

দিশার বলেছেন: শিবির প্রেমীর ব্লগ য়ে পোস্ট করেছি দেখে ঘৃনা লাগছে নিজের উপর, দয়া করে কমেন্ট গুলা ডিলিট করে আমাকে ব্লক করুন। শিবির প্রেমীর দরকার নাই .

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ঘৃনায় আপনি নিজেকে থুতু দিন ????

আমি আপনাকে দয়া করতে পারলাম না !!!!

ধন্যবাদ !!!

২০| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭

মারুফ ফািহম বলেছেন: চিন্তার বিষয়

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন: হুম চিন্তার বিষয় ........................।।

২১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: সমস্যা হল বাঙ্গালী মুসলমানরা এখনো বাঙ্গালী হতে পারে নাই । এজন্যই বাঙ্গালীত্ব ও ইসলামের মধ্যে হাজারটা দ্বন্দ্ব ।এ দ্বন্দ্বের সুরাহা না হরে বাঙ্গালী মুসলিমদের উন্নতি হবে না । ইরানিরা ইসলামকে যেমন গ্রহন করেছে তেমনি তারা তাদের পারসিয়ান সংস্কৃতিকেও বাদ দেয় নি । ইসলামি বিপ্লব হওয়ার পরেও নওরোজ আজো ইরানে সর্ববৃহত্‍ উত্‍সব । তাই তো ইরানিরা আমেরিকার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে উন্নতি করতেছে তর তর করে ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: দুঃক্ষিত আপনার চিন্তার সাথে একমত হতে পারলাম না!!!!!!

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:১০

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আপনার উত্তেজনার কারন বোধগম্যকমেন্ট ব্লক সম্পর্কে যে কথাটা বলে ছিলাম, তা ইংরেজীতে ছিল , হয়ত বুঝেন নি। যাই হোক আপনার উত্তেজনাই বলে দেয় যে আমি ঠিক পথেই আছি। নিজে কে বড় প্রমান করবার অবশ্য কিছু নাই। আমি বড় কিছুই না।

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ইমো দিতে ভুলে গিয়েছিলাম ;) ;) ;) :-B :-B :-B

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন: কে যে মুক্তমনা? কে যে পলায়ন করল? তাই দেখলাম!!! সামান্য সত্য গুলো গিলতে পারলেন না?!!! আমার কোন রেফারেন্সও লাগে নাই আল্লাহের রহমতে, শুধু সত্য যা আস্তিক নাস্তিক সকলেই জানেন তাতেই কাজ হয়ে গেছে !!!!!!

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আর কমেন্ট ব্লক করে এখন প্রচার করছেন যে আমি নিজেকে আলোচনার যোগ্য মনে করিনি!!! :P :P :P :P :P :P :P :P :P =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

আপনার পিছলামি আমি আগেই বুঝে ছিলাম, এজন্যই আগেই আপনাকে বলে ছিলামঃ

"Bloggers who ban comment in there blog, i suppose, they possess ambiguas genetalia , well this is only, what i think!!!! so never mind."

তবুয় নির্লজ্জের মত তাই করেছেন!! নেক্সট কি ? কমেন্ট ইচ্ছা মত ডিলিট নাকি পোষ্ট ডিলিট ?????? নাকি অন্য ব্লগারদের অপেক্ষা, যে মতামত কোথায় যায় ???? আজব আপনারা পারেনও ভন্ডামি করতে !!!!!!!

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: in case if you are wondering, why i am talking like an A$$ h@le ( Click This Link )

i am not allowed to comment in that blog

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন: "Bloggers who ban comment in there blog, i suppose, they possess ambiguas genetalia , well this is only, what i think!!!! so never mind."

২২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:০৪

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: কোন কিছু বেশি মানা আর ঠিক ভাবে মানা কিন্তু আবার এক না, কি বুঝলেন???? তবে শিবিরের কোন ভুল আকিদা আছে কিনা আমি ব্যাক্তিগত ভাবে তা জানি না!!!!!!!!!!

ভুল আকিদা আছে কিনা আপনি সত্যি জানেন না? নাকি জানতে চান না। নাকি দেখে চোখ বন্ধ করে রাখেন!

যে ইসলাম পালনকারীর মনে মানুষের জন্যে কোন মায়ার উদ্রেক হয়না, সেই সঠিক??

আল্লাহ্‌ কোরআন শরিফে বেশ কয়েকটি জায়গায় বলেছেন, " এতে নিদর্শন আছে চিন্তাশীলদের জন্যে"। আল্লাহ্‌ চিন্তা করতে বলেছেন, অন্ধের মত কারও অনুসরন করতে বলেন নি। যে ইসলাম কে জীবনে ধারণ করে সে অন্যের সম্পদে কিভাবে আগুন দেয়? এইটার নাম কি জিহাদ?? এই বুঝ টুকু যাদের নাই, তারা ইসলামের ধারক??

মুসলিমরা কি এইভাবে যুদ্ধ করে? যেই বাচ্চা মেয়েটার চোখ নষ্ট হল সেটা ইসলামের কোন আকিদায় পরে?

আমি আপনার লেখা পড়তাম, আজ থেকে আর পড়ব না। ভালো ও মন্দের প্রভেদকারি কোরআন আপনাকে সাদা আর কালকে সাদা আর কালো হেসেবেই দেখতে শেখাক। নিজের সাথে প্রতারণা না করলেই কি নয়?




০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১২

মুদ্‌দাকির বলেছেন: বাচ্চা মেয়েটা যে শিবির দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল তার কি কোন স্পষ্ট প্রমান আছে, আপনার কাছে?? ?????

দয়াকরে আমার লেখা, আর পড়বেন না!

যা বুঝেন না তা পড়ে সময় নষ্ট করে লাভ কি????

আমি বড়ই দুঃক্ষিত একজন পাঠক হারালাম!!! :(( :(( :(( :(( :(( :(( :((

এমনেই বেশি মানুষ পড়ে না!!!! :(( :(( :(( :(( :(( :((

২৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: আমি বড়ই দুঃক্ষিত একজন পাঠক হারালাম!!!

এমনেই বেশি মানুষ পড়ে না!!!!


হা হা হা হা হা। আপনার লেখার আমি ভক্ত ছিলাম। আপনাকে অনুসরণ করতাম। আপনি কি আসলেই দুঃখিত 'একজন' পাঠক হারিয়ে? আপনি কান্নার ইমো দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন আপনি ব্যাঙ্গ করার চেষ্টা করছেন। সত্যি সত্যি আপনার জন্যে করুনা হচ্ছে। আমি জানতাম মুসলিম হচ্ছে সেই যার কাছ থেকে আরেকজন মুসলিম নিরাপদ থাকে। মুসলিম কখনও আরেকজন মুসলিমকে বিদ্রুপ করেনা। আসলেই এই পৃথিবীতে মানুষ চেনা দুস্কর। আপনার আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি, খুবি ভাল। শয়তানের প্রলোভন থেকে আল্লাহ আপনাকে মুক্ত রাখুন এই দোয়া করি।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: এমন ভক্তের দরকার নাই, যে আমার লেখার সারমর্মই বুঝে না!!!

কথায় কথায় মুসলিম মুসলিম করছেন, কান কথা জানা বা মানা সম্পর্কে ইসলাম কি বলে???

আপনি যাদের ঘৃনা করেন, আর আমাকেও ঘৃনা করতে বলছেন, তাদের কয়জন কে আপনি ব্যাক্তি গত ভাবে দেখেছেন???? আমি ব্যাক্তি গত ভাবে তাদের সম্পর্কে জানি না বললেই চলে, অন্য মুসলমানকে ঘৃনা করার আগে একবার তার সম্পর্কে জানে নিবার চেষ্টা করুন!!!!!!!

আর আমার লেখায় শয়তানের প্রলোভন কোথায় পেলেন ????

দুঃক্ষ দিলেন ভাই!!!

যদি না বুঝেন দয়াকরে পড়বেন না আমার লেখা??

আসসালামুয়ালাইকুম !!

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আর আমার আত্নবিশ্বাসের কথা বললেন, হ্যাঁ আমার আত্নবিশ্বাস অবশ্যাই বেশি, কারন আমি লিখি আমি যা বুঝি তাই, বা আমি যা বুঝাতে চাই তাই, কাউ কে খুশি করার জন্য লিখি না, কারো মন খারাপ করার উদ্দেশ্যও না, যাই হোক আমার জন্য দুয়া করেছেন এজন্য ধন্যবাদ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন: সত্যের উপরে থাকুন !!!

২৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:২৭

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: "আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়।

তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না।

আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে, দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্ গামা সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে, আমরা তো মীমাংসার পথ অবলম্বন করেছি।

মনে রেখো, তারাই হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করে না।

সুরা বাকারা: (আয়াত ০৮ থেকে ১২)আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়।

তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না।

আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে, দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্ গামা সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে, আমরা তো মীমাংসার পথ অবলম্বন করেছি।

মনে রেখো, তারাই হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করে না।

সুরা বাকারা: (আয়াত ০৮ থেকে ১২)


শিবির সম্পর্কে এই হচ্ছে আমার ধারনা। আল্লাহ্‌ যদি চান তাহলে সত্যের উপরেই থাকব। অনেক ভালো থাকুন। আস-সালাম-উ-আলাইকুম।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২০

মুদ্‌দাকির বলেছেন: সূরা বাকারার ১৩ নং আয়াতঃ আর যখন তাদেরকে বলা হয়, অন্যান্যরা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ঈমান আন, তখন তারা বলে, আমরাও কি ঈমান আনব বোকাদেরই মত! মনে রেখো, প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা, কিন্তু তারা তা বোঝে না।

ভাই আপনার কথা অনুযায়ি, জামাত-আর শিবির যারা করেন তারা মুনাফিক, অর্থাৎ তাদের ইমান নেই??!! আপনি কি কনফিডেন্টলি বলতে পারেন??? তাদের মধ্যে ঘাপলা কিছু আছে এটা নিশ্চিত, তা না হলে এত মানুষ কেন তাদের দূর দূর করবে??!! আর তারাই বা কেন সব সময় ক্ষমতার কাছা কাছি থাকবার জন্য সকল ক্ষমতা ধরদের আসে পাশে ঘুরাঘুরি করবে????!!!

কিন্তু তাদের মুনাফিক বা কাফের বলতে পারলাম না। এরকম স্পষ্ট কোন কিছু এখনও জানি না।

ঈমান ২ রকমেরঃ

১) কানুনি ঈমান(আইন গত ঈমান)ঃ কেউ মুখে মুখে কলেমায় শাহাদাত, পড়লেই, ঈমানের মধ্যে গন্য হবেন। অর্থাৎ আপনি ঐ মানুষ কর্মে যেমনই হোক না কেন, কাফের বলতে পারেন না।

২) হাক্বিকি ঈমান(প্রকৃত ঈমান) ঃ প্রকৃত পক্ষে একজন মানুষের মনে কি আছে, আল্লাহ ছাড়া যা কেউ জানেন না। ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, এমন কেউ ও এই বিচারে ফেল করতে পারেন!! আবার এক জন প্রকাশ্য নাস্তিকও এই ব্যাপারে পাশ করতে পারেন, কারন আল্লাহর সাথে সবারই একটা গোপন সম্পর্ক থাকে, যা অন্য আরেক জনের জানা সম্ভব নয়!!!!

ঈমানের উপরের কন্সেপ্টে আমি বিশ্বাস করি?? তাই যখন তখন যাকে তাকে লেভেল দিতে পারি না, মাফ করবেন!!!

বাংলাদেশ আওয়ামীলিগের সবাইকে কি আপনি শিরক কারী বলবেন??? তাদের স্লোগান হলঃ "বাংলাদেশ চিরজীবি হোক"

আল্লাহ ছাড়া কোন কিছু আর আছে কি যা চিরজীবি হতে পারে?????? এই কথা শেখ হাসিনা এবং অন্য আওয়ামী নেতারা প্রতি ভাষোণ শেষেই বলে থাকেন, তাহলে কি তারা শিরক করছেন ??? আল্লাহের সাথে বাংলাদেশকে শরিক করছেন!!!! আমার হিসাবে তা নয়, তারা ভুল করছেন, নিজেদের অজ্ঞতার কারনে বা গোয়ার তমির কারনে কিন্তু আমাদের প্রধান মন্ত্রীকে আপনি শিরক কারি বলতে পারেন না!!??!!! বরং উনিযে ঈমানদার এটাই প্রকাশ্য সত্য।

অন্য মুসলমানদের প্রতি সহন শীল হন, পারলে তাদের ভুল গুলা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিন, কোন একটা ছেদ পাইলেই লেভেল দিয়া দিয়েন না।

একটু খেয়াল করলেই দেখবেন অতীতের অনেক কট্টর নাস্তিক আজ কট্টর ধর্মিক, আর যাদের ঈমান আছে তাদের পরিবর্তন হইতে কয়দিন?????? আপনি আপনার সাথে মিলেনা বইলা আরেক মুসলমানরে রাতারাতি মুনাফিক লেভেল দিতে পারেন না। আমাদের আলেম সমাজের যারা এই কাজ গুলা করেন, তাদের সাথে আমি একমত নই!!

পরিশেষে একটা কথাই বলতে চাই, আমার ধর্ম চিন্তা অনেক কট্টর, আমার লেখায় হয়ত তা প্রকাশ পায়না, কারন পাবার উপায় নাই, মানুষ বুঝবে না। কিন্তু আজকে আপনাকে একটা কথা বলি,

আমার হিসাবে মুসলমানদের একটাই দল আর এই দলের কথা কুরায়ানে উল্লেখ করা আছে!! এই দলের সাথে যা মিলেনা তার সবই বাতিল দল। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে আজ কোন দলই ঐ সঙ্গাতে পাড়ে না!

কিন্তু তাহলে কি করবেন, সবাইকে কাফের, মুনাফিক, নাস্তিকদের চেয়ে বড় নাস্তিক ইত্যাদি বইলা দূরে সরায়া দিবেন, নাকি আস্তে আস্তে সকল কে বুঝানোর চেষ্টা করবেন?????????

এই নেন আল্লাহের দল বা হিজবুল্লার সঙ্গা(!!!!!!!মনে কইরেন না আবার যে এইটা লেবাননের হিজবুল্লাহ!!!!!!!!), এই হিজুল্লাহই মুসলিমদের এক মাত্রদল হবার কথা, আর এই দল মিটিং মিছিল ছাড়া মারা মারি ছাড়া, ঘরে বইসাই করা যায়।

হিজবুল্লাহের সঙ্গাঃ (সূরা মুজাদেলাহ, আয়াতঃ২২)

যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।

এই সঙ্গা অনুযায়ি ইসলামিক দল খুজেন, দেখেন পান কি না???

আমি কাউকেই এই দলের মধ্যে পাই না,

আমি মনে মনে এবং কর্মে প্রতি নিয়ত এই দলের সদস্য থাকবার চেষ্টা করে যাচ্ছি, দোয়া করবেন।

ও্য়ালাইকুম আস সালাম!!!!

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আমার উত্তর যদি পড়ে থাকেন, আপনি আপনার উত্তর দিবেন আশা করি!!

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আমরা কেউই মহা জ্ঞানী না, আমাদের বুঝের মধ্যে ফাক থাকতেই পারে.........।???!!

২৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: dishar ekta nastik.
ore block kore den.

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: কিছু মনে করবেন না ভাই, আমার ব্লগে সবাইকে স্বাগতম আর নাস্তিকদের সুস্বাগতম, কিন্তু দুঃক্ষের ব্যাপার হইল এনারা আমার ব্লগ হয়ত পড়েনো না , আর মন্তব্যও করেন না.........দুই এক জন ছাড়া!!!!

২৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

আহসান২২ বলেছেন: vai Allah apnak sahajjo koruk.
Apnr unnot cinta vabna amr valo legese.
Amio eirokomi cinta vabna kori.

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ভাবুন, পড়ুন, লিখুন

মানুষকে বুঝাবার চেষ্টা করুন

মুসলমানের একটা দল, সকলকে এক হতে হবে

নিজেদের মধ্য ভাগা ভাগি ঠিক না!!!

আপনাকে ধন্যবাদ

২৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:২৩

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: আসলে আমরা (মুসলিমরা) সংখ্যায় কম না, আমাদের মধ্যে কুরায়ান আর হাদীস মানা লোকের সংখ্যা কম, যদিও কলেমায় শাহাদাত আমাদের অন্তরে ঠিকই আছে!!!!!!!!!!! অর্থাৎ আইন গত ইমান আমাদের ঠিকি আছে কিন্তু প্রকৃত ইমানের ব্যাপারে আমাদের আছে চরম অসতর্কতা!!!!!! সহমত

যুদ্ধো হইতে পারে "জামাতি ইসলামি" নামক দলের বিরুদ্ধে ইসলামি কালচার বা ইসলামের বিরুদ্ধে নয়!!!! সহমত

আমার হিসাবে মুসলমানদের একটাই দল আর এই দলের কথা কুরায়ানে উল্লেখ করা আছে!! এই দলের সাথে যা মিলেনা তার সবই বাতিল দল। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে আজ কোন দলই ঐ সঙ্গাতে পাড়ে না সহমত
শিবিরের পোলাপান কুরয়ান হাদিস বেশী মানে!!!!

কোন কিছু বেশি মানা আর ঠিক ভাবে মানা কিন্তু আবার এক না, কি বুঝলেন????
সহমত

তবে শিবিরের কোন ভুল আকিদা আছে কিনা আমি ব্যাক্তিগত ভাবে তা জানি না!!!!!!!!!! বাকি লেখার সাথে মিলল না। আপনি জামতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কে ঠিক বললেন, শিবিরের ভূমিকা আপনি জানেন না, সত্যি?

হাঁ এরা তুলনা মুলক ভাবে অন্যদের চেয়ে ভালো, কিন্তু প্রকৃত মুসলমান কিনা জানি না!!!!!!!!!!! কারন যদি হইত তাহলে বছরের পর বছর এদের নামে এত অভিজোগ থাকত না। অভিযোগ থাকার কারন হল এরা বাংলাদেশের অন্য যেকোনো রাজনৈতিক দল থেকে আলাদা নয়। সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার হল এরা ইসলামকে নিজেদের ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করে।

আপনার প্রতি কেন আমার আক্ষেপ? ইসলাম কে ঠিক ভাবে বুঝতে পারার পর আপনি কেন ভয় পাচ্ছেন শিবিরকে অ-ইসলামিক দল বলতে? ইসলামের কোন আকিদায় আছে মানুষের মাঝে ভীতির সঞ্চার করা। সব বিষয়ে প্রথম হয়েও আমার মেধাবী ভাগিনা পলাশকে পাশ কাটিয়ে শিবির নেতা যখন বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষক হয়, যখন তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাকে দেশ ছাড়া হতে হয়; তখন আরও বেশি করে মনে হয়, আমাদের এই অবনতি আমাদের অবহেলাতেই। রাসুল (সাঃ) কে আল্লাহ্‌ বলেছেন ইসলাম টিকে থাকবেই, তার কাজ শুধু সত্য প্রচার করা। আমি সেটাতেই বিশ্বাস করি। যার ঈমান আনার সে এমনিতেই আনবে। আল্লাহ্‌র ওয়াদা আল্লাহ্‌ নিজেই পূর্ণ করেন। আল্লাহ্‌ আপনাকে আমাকে সবাইকে সঠিক রাস্তায় রাখুন এই দোয়া করি। আস-সালাম-উ-আলাইকুম

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আমার জামাতি ইসলাম বা শিবিরের বিরুদ্দে কোন যুদ্ধ নাই

আমি কোন মুসলমান বা মুসলমানের দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত নই। আর কারো কান কথা বা অপপ্রচারে মোটিভেটেড হয়ে তো নাই। যতক্ষন না তারা কাদিয়ানি টাইপের ভ্রান্ত প্রমানিত না হয় অথবা যদি তাদের কর্ম কান্ড বাংলাদেশের বিরূদ্ধে হয়।

আমি আপনার মত, যারা জামাতিদের সাথে যুদ্ধ চান তাদের বলেছি যে , আপনারা চাইলে জামাতের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করতে পারেন, কিন্তু গনহারে ইসলামের বিরূদ্ধে কথা বলতে পারেন না।

আমি কোন মুসলমানের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করবো না।
(আশা করি আমার অবস্থান পরিষ্কার)

আবারো বলছি শিবিরের কোন ভুল আকিদার কথা আমি ব্যাক্তি গত ভাবে জানি না। হয়ত জানতে হলে আরো পড়ালেখা করতে হবে(এখন সময় নাই), কিন্তু আমি এখনো জানি না।

আপনার আক্ষেপটা পলিটিকাল, পলিটিকাল লোক জন সাধারনত আমার ধারের কাছে ঘেষেন না, আগেও দেখি নাই, এখনও দেখিনা, আর আপনার ভাগিনার পরিনতি হইল আমাদের সোনার বাংলার পরিনতি। এই নিয়া দুঃক্ষ মনে আছে কিন্তু কিছু করার শক্তি নাই!!!!!!! এই ক্ষেত্রে আমাদের সোনার ছেলেরা সবাই সমান! মুক্তির পড় থেকেই !!!!!???

আমাদের অবনতির একমাত্র কারন কুরয়ান আর সুন্নাহ থেকে দূরে সরে যাওয়া।

ভালো থাকুন। সুস্থ্য থাকুন।

২৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৩৮

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: আস-সালাম-উ-আলাইকুম

‘যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সিজদার মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে ইবাদত করে, পরকালের ভীতিশঙ্কা রাখে এবং তার পালনকর্তার রহমত কামনা করে, সে কি তার সমান, যে এরূপ করে না। বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে যারা বুদ্ধিমান’

আপনার সম্পর্কে আমার ধারনা হল, আপনি জানেন, চিন্তাভাবনাও করেন। আপনি বুদ্ধিমান।

আল্লাহ্‌ আপনাকে গ্রহন করুন। মুনাফেকদের পরিচয় জানার পর(যদি কখনও জানতে পারেন) তাদের রক্ষা করার চেষ্টা আপনি করবেন না বলেই আমার বিশ্বাস। মুসলিমদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি মোনাফেকদের হাতেই হয়। কাফিরদের হাতে নয়। এই মন্তব্যের উত্তর না দিলেও চলবে। আমি জানি আমি আপনাকে ত্যাগ করলেও আপনি আমাকে ত্যাগ করবেন না। যতক্ষণ না আপনি পুরোপুরি জানতে পারছেন আমি মুসলিম না মুসলিম লেবাসধারী।
আল্লাহ্‌ আপনাকে আপনার জেহাদে সফল করুন। আল্লাহ্‌ হাফেয।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫০

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ভাই আপনাকে ধন্যবাদ!!

অনেক অনেক ধন্যবাদ!!

আসসালামুয়ালাইকুম!!!!

২৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

আস্তবাবা বলেছেন: াংলাদেশে ইসলাম মাইনরিটী এটাই সত্য।
এখানে গলাবাজ বাম ও ধর্মনিরপেক্ষবাদিরা শক্তিশালি।
মঙ্গল শোভাযাত্রা বাংলাদেশের কোন কালচার? এটা চীনের দ্রাগন শোভাযাত্রার অনুরুপ।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আমার প্রশ্ন হইল মঙ্গল শোভা যাত্রা কি মঙ্গল বয়ে নিয়ে আসে আমাদের জন্য????

তারা যদি স্পেসিফাই করতেন খুব ভালো হইত!!

৩০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

এম এম হোসাইন বলেছেন: পোষ্টে +++++++++++++++++++

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ!!!!!

৩১| ০৯ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। আসলেই ঈমানদার মুসলমান আর গরু খাওয়া মুসলমানের মধ্যে অনেক অনেক তফাত।

আমাদের ধর্মানুভূতি বেশি, ধর্মশিক্ষা আর পালনে আগ্রহ কম।

০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ঠিক বলেছেন, আমাদের ধর্মানুভূতি বেশি ধর্মশিক্ষা আর পালনের আগ্রহ কম

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে !!

৩২| ০৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:২৬

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
আপনার ব্লগের বেস কয়েকটা লেখা ও মন্তব্য গুলা পড়লাম।

ইসলাম সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা, মতামত, উপলব্ধি.....
নামাজী মুসলিম আর বে নামাজী মুসলিমের এর মধ্যে বিস্তর ফারাক বিদ্যমান।

কথাটা নিজেকে বিচার করে বললা।

আল্লাহ আপনার সহায় হোন। ইদানিং খুব কম লিখছেন। আপনার আরও কিছু ব্লগ পড়া বাকি আছে পড়া শেষ হলে অনুরোধ করবো আরো কিছু লেখতে।

ভালো থাকবেন।

০৮ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: সময় পাইনা ভাই, দোয়া করবেন, লেখার চেষ্টা করবো, ইনশাল্লাহ।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!!!!

আসসালামুয়ালাইকুম !!!!

৩৩| ১০ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

যাযাবরমন বলেছেন: বাংলাদেশে 'হেফাজতে ইসলাম'-এর আন্দোলন করার কোন অধিকার নাই।

১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আগেই পড়েছি, ধন্যবাদ!!

৩৪| ১০ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

যাযাবরমন বলেছেন: কেমন আছেন?

১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি

কিন্তু সমস্য হল, আরো ভালো থাকতে চাই, দোয়া করবেন!!!

আসসালামুয়ালাইকুম!!!!!

৩৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

নূর আফতাব রুপম বলেছেন: সিকিম কিভাবে স্বাধীনতা হারালো সেই ইতিহাস পড়ুন এবং তার সাথে ভারতীয় কূটনীতি বিদদের অস্থিতিশীল বাংলাদেশে ঘন ঘন আসা যাওয়া দুটিকে মিলিয়ে নিন, তারপর আপনি বলুন বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশে কি অপেক্ষা করছে ?
সিকিম কিভাবে স্বাধীনতা হারালোঃ
সিকিম ভারতের উত্তরাংশে অবস্থিত তিব্বতের পাশের একটি রাজ্য। রাজ্যটির স্বাধীন রাজাদের বলা হত চোগওয়াল। ভারতে বৃটিশ শাসন শুরুর পুর্বে সিকিম তার পার্শ্ববর্তী নেপাল আর ভুটানের সাথে যুদ্ধ করে স্বাধীন অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল। বৃটিশরা আসার পর তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে নেপালের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় সিকিম। এসময় রাজা ছিলেন নামগয়াল। কিন্তু বৃটিশরা তিব্বতে যাওয়ার জন্য এক সময় সিকিম দখল করে নেয় এবং ১৮৮৮ সালে রাজা নামগয়াল আলোচনার জন্য কলকাতা গেলে তাঁকে বন্দী করা হয়।পরবর্তী সময়ে ১৮৯২ সালে তাকে মুক্তি দেয়া হয় এবং সিকিমের স্বাধীনতাকে মেনে নেয়া হয়। প্রিন্স চার্লস ১৯০৫ সালে ভারত সফরে আসলে সিকিমের চোগওয়ালকে রাজার সম্মান দেয়া হয়। চোগওয়ালপুত্র সিডকং টুলকুকে অক্সফোর্ডে লেখাপড়া করতে পাঠানো হয়।
টুলকু নামগয়াল মতায় বসে সিকিমের ব্যাপক উন্নতি সাধন করেন। বৃটিশের কাছে সিকিম তার স্বাধীনতার নিশ্চয়তা লাভ করে। পরবর্তী চোগওয়াল (রাজা) থাসী নামগয়ালের সময়ে বৃটিশরা ভারত ছেড়ে গেলে গণভোটে সিকিমের মানুষ ভারতের বিরুদ্ধে রায় দেয় এবং ভারতের পন্ডিত নেহরু সিকিমকে স্বাধীন রাজ্য হিসেবে মেনে নিতে বাধ্য হন। ১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধের পর সিকিমের গুরুত্ব বেড়ে যায়। ১৯৬৩ সালে থাসী নামগয়াল এবং ১৯৬৪ সালে নেহরু মারা গেলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। চোগওয়াল হন পাল্ডেন থন্ডুপ নামগয়াল। এ সময় ভারতের প্রধানমস্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সর্বশক্তি নিয়োগ করেন সিকিমকে দখল করার জন্য। তিনি কাজে লাগান সিকিমের প্রধানমন্ত্রী কাজী লেন্দুপ দর্জিকে। ১৯৭০ সালে নেহেরু প্রভাবিত সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেসকে লেন্দুপ দর্জি ব্যবহার করে অরাজকতা সৃষ্টি করেন। রাজপ্রাসাদের সামনে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে ইন্দিরা সরকার রাজার নিরাপত্তার কথা বলে ভারতীয় বাহিনী পাঠায়। কিন্তু তারা রাজাকে গৃহবন্দী করেন। বহির্বিশ্বের সাথে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং বিএস দাশকে ভারত সরকার সিকিমের প্রধান প্রশাসক নিয়োগ করে। এই সময় আমেরিকান এক পর্বতারোহী গোপনে সিকিম প্রবেশ করেন এবং সিকিমের স্বাধীনতা হরণের খবর বিশ্বের নিকট তুলে ধরেন। কিন্তু ততণে অনেক দেরী হয়ে যায়। সিকিম জাতিসংঘের সদস্য পদভুক্তিরও প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এর মধ্যে ভারতের তাঁবেদার লেনদুপ দর্জির নেতৃত্বাধীন সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস (এসএনসি) ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পার্লামেন্টের ৩২ আসনের মধ্যে ৩১টি আসনে জয়লাভ করে। নির্বাচনে জিতে ২৭ মার্চ ১৯৭৫ প্রথম ক্যাবিনেট মিটিং-এ প্রধানমন্ত্রী লেনদুপ দর্জি রাজতন্ত্র বিলোপ ও জনমত যাচাইয়ে গণভোটের সিদ্ধান্ত নেন। ততদিনে সিকিমে ভারতীয় সেনাবাহিনী ঘাঁটি গেড়ে ফেলেছে। তারা বন্দুকের মুখে ভোটারদের ‘হ্যাঁ' ভোট দিতে বাধ্য করে। পুরো ঘটনা ছিল সাজানো। ৬ এপ্রিল ১৯৭৫ সালের সকালে সিকিমের রাজা যখন নাস্তা করতে ব্যস্ত সে সময় ভারতীয় সৈন্যরা রাজপ্রাসাদ আক্রমণ করে এবং রাজাকে বন্দী করে প্রাসাদ দখল করে নেয়। তারা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রকে গ্রাস করে ভারতের প্রদেশে পরিণত করে।সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো সিকিম সেনাবাহিনীকে সহায়তা ও প্রশিণ দিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতীয় সাংবাদিক সুধীর শর্মা ‘পেইন অব লুজিং এ নেশন' (একটি জাতির হারিয়ে যাওয়ার বেদনা) নামে একটি প্রতিবেদনে জানান, ভারত তার স্বাধীনতার গোড়া থেকেই সিকিম দখলের পরিকল্পনা করেছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওয়াহের লাল নেহেরু অনেকের সাথে কথোপকথনে তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র'-এর সাবেক পরিচালক অশোক রায়না তার বই ‘ইনসাইড স্টোরী অব ইন্ডিয়াস সিক্রেট সার্ভিস'-এ সিকিম সম্পর্কে লিখেন, ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ১৯৭১ সালেই সিকিম দখল করে নেয়া হবে। সে ল্েয সিকিমে প্রয়োজনীয় অবস্থা সৃষ্টির জন্য আন্দোলন, হত্যা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছিল। তারা ছোট ছোট ইস্যুকে বড় করার চেষ্টা করে এবং সফল হয়। তার মধ্যে হিন্দু-নেপালী ইস্যু অন্যতম। সাংবাদিক সুধীর শর্মা লিখেন, লেনদুপ দর্জি নিজেই শর্মাকে বলেছেন, ‘ভারতের ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর লোকেরা বছরে দু'তিনবার তার সাথে দেখা করে পরামর্শ দিত কিভাবে আন্দোলন পরিচালনা করা যাবে। তাদের একজন এজেন্ট তেজপাল সেন ব্যক্তিগতভাবে তাকে অর্থ দিয়ে যেতো এ আন্দোলন পরিচালনার জন্য। এ অর্থ দিয়ে রাজনৈতিক সন্ত্রাস পরিচালিত হতো।'শর্মা আরো লিখেছেন, এই ‘সিকিম মিশনের' প্রধান চালিকাশক্তি ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা, যা সর্বত্র ‘র' নামে পরিচিত। ক্যাপ্টেন ইয়াংজু লিখেছেন, ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বেসামরিক পোশাকে রাজার বিরুদ্ধে গ্যাংটকের রাস্তায় মিছিল, আন্দোলন ও সন্ত্রাস করত। নেহেরুর পরামর্শ, মদদ ও উৎসাহে সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস গঠন করেছিলেন লেনদুপ দর্জি। শ্লোগান তুলেছিলেন, ‘গণতন্ত্রের সংগ্রাম চলছে, চলবে'। লেনদুপ দর্জির গণতন্ত্রের শ্লোগান শুনে সিকিমের সাধারণ জনগণ ভাবতেই পারেনি, এই শ্লোগানের পিছনে প্রতিবেশী দেশ একটি জাতির স্বাধীনতা হরণ করতে আসছে। সিকিমের জনগণকে দ্বিধাবিভক্ত করে ভারত তার আগ্রাসন সফল করতে এবং এক পকে মতায় এনে তাদের দ্বারা দেশ বিক্রির প্রস্তাব তুলে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছিল। সিকিমের মত ঘটনার অবতারণা বাংলাদেশেও যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে দলমতনির্বিশেষে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। কারণবাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রতিরা ভারত দিনের পর দিন জোরদার করে চলেছে। এর ফলে বাংলাদেশের মানুষের ভেতরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়ে চলেছে। এই কার্যক্রমের আওতায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত সীমান্ত আউট পোস্টগুলোর (বিওপি) একটি থেকে আরেকটির দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার থেকে হ্রাস করে ৪/৫ কিলোমিটারে নিয়ে আসা হচ্ছে এবং এগুলোতে বিএসএফ-এর শক্তি দ্বিগুণ করা হচ্ছে। বিএসএফ এই সীমান্তে থারমাল নাইটভিশন ডিভাইস, টেলিস্কোপিক বন্দুকসহ উচ্চমানের হাতিয়ার মোতায়েন রেখেছে। এই সঙ্গে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার এলাকাকে কাঁটাতারের বেড়াসহ ফাড লাইটের আওতায় আনার এবং প্রশিতি কুকুর মোতায়েন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে অনেকটা এগিয়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তের ২৭৭ কিলোমিটার এলাকা ফাড লাইটের আওতায় আনার কাজ দু'বছর আগেই সম্পন্ন হয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৯৯ সালের কারগিল কনফিক্টের পর থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিরা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত- প্রতিরা শক্তিশালী করার এই উদ্যোগ নেয়া হয়।ভারত তার বাংলাদেশ সীমান্তে প্রথম পর্যায়ে ৮৫৪ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া নির্মাণ করে এবং একই সঙ্গে পাকা সড়ক নির্মাণ করে ২ হাজার ৬শ' ৬ কিলোমিটারের বেশী এলাকা। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ২ হাজার ৪শ' ৩০ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া নির্মাণ, ৭শ' ৯৭ কিলোমিটার সড়ক এবং ২৪ কি.মি সেতু নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করেছে । প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম সীমান্তে বেড়া ও সড়ক নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। ২০০৬ সাল নাগাদ ভারত মোট ২ হাজার ৫শ' ৩৬ কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া এবং ৩ হাজার ২শ' ৫১ কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন করেছে বলে ভারতীয় একটি সূত্রে জানা গেছে।যদিও ১৯৭৪ সালের ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি অনুযায়ী সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোন প্রতিরা কাঠামো নির্মাণ করা নিষিদ্ধ, তবুও ভারত তা করে চলেছে। বলাবাহুল্য, কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ও সড়ক তৈরী প্রতিরা কাজের মধ্যেই পড়ে । ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত দু'দেশের বৈঠকে বিষয়টি আলোচিত হলেও তা কোন ফল দেয়নি। ভারতের বর্তমান প্রস্তুতি অনুযায়ী সীমান্ত সড়ক দিয়ে অনায়াসে সমর যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এরফলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিরা ব্যবস্থাও জোরদার করতে পারবে। ভারতের বর্ডার আউট পোস্ট-বিওপি'র সংখ্যা পূর্বের তুলনায় অন্তত তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে এগুলোতে মোতায়েন জওয়ানের সংখ্যাও সে তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে।একারণেই বাংলাদেশের জনসাধারণের মধ্যে ‘সিকিমফোবিয়া' কাজ করছে প্রবলভাবে। ভারতের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের অবিশ্বাসের অন্যতম কারণ হলো বাংলাদেশও সিকিমের পরিণতি বরণ করে কিনা। আর সে ধরনের পরিবেশ সৃষ্টিতে এজেন্ট তৈরীর নানা প্রকল্পের বাস্তবায়ন চলছে । বড় দেশ হিসেবে ভারতের অন্যতম কৌশল হলো, ছোট দেশের কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, ব্যবসায়ী, কূটনীতিক পর্যায়ের প্রভাব সৃষ্টিকারী ব্যক্তিবর্গের মগজগুলো কিনে নেয়া। ভারত যদি বাংলাদেশকে স্বাধীন-স্বার্বভৌম দেখতে চায় তবে মাথা কেনার কৌশল বাদ দিতে হবে। এই বিষয়গুলোর ব্যাপারেও ভারতের কাছ থেকে ব্যাখ্যা-বক্তব্য আসা উচিত- যাতে বাংলাদেশের মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর হতে পারে । তাছাড়া নতুন বাঙালী প্রজন্মকে সিকিমের করুণ পরিণতির ইতিহাস জানাতে হবে। ইতিহাস বলে,ভারত সিকিমে এ কৌশলে চেষ্টা করে সফল হয়েছে। এখানেও সেই চেষ্টা করছে বলে অনেকেই সন্দেহ করেন। এসব কাজ অব্যাহত থাকলে সেটা হবে অবন্ধুসুলভ। মূলতঃ সিকিমের ইতিহাস হলো ভারতের সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতার সবচেয়ে প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
লিখেছেনঃ মুহম্মদ আলতাফ হোসেন,
এখন পড়ুন , অস্থিতিশীল বাংলাদেশে আসছেন সুজাতাঃ
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং আগামী ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফরে আসছেন। ভারতের সাথে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সুসম্পর্ক থাকায় দেশটির একের পর এক শীর্ষ সরকারী কর্মকর্তাদের সফরকে স্বাভাবিক মনে হলেও কূটনৈতিক মহলে সুজাতার আসন্ন সফর নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু কেন? কী এমন রহস্য রয়েছে এর পেছনে?

সুজাতা সিং-এর জন্ম ১৯৫৪ সালে। তার পিতা হচ্ছেন টিভি রাজেস্বর। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমলে এই টিভি রাজেস্বর ছিলেন ভারতের অভ্যন্তরীণ ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর প্রধান বা ডাইরেক্টর। কংগ্রেসের খুব কাছের লোক ছিলেন তিনি।

রাজেস্বরের সুনামের মূল কারণ ছিল অপারেশন সিকিমের একজন মূল রুপকার হিসেবে। তিনি ১৯৬২-৬৭ সালে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোতে স্পেশাল ডিউটি পালন করতেন। ১৯৭৫ এ সিকিম ভারতের অংশ হয়। কিন্তু এর বীজ বপন হয় ১৯৬৩ সালেই যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই রাজেস্বর।

তথ্যমতে, সিকিমের রাজা নামগয়াল ১৯৬৩ সালে হোপ কুক নামে এক 'র'এর এজেন্ট মার্কিনী নারীকে বিয়ে করেন। রাজা নামগয়ালের পরবর্তী অজনপ্রিয়তার অন্যতম মূল কারণ ছিল এই হোপ কুক যিনি পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে সুযোগবুঝে তালাকও দেন রাজা নামগয়ালকে। এই কূটচালের মুল হোতা ছিল সুজাতা সিংয়ের পিতা রাজেস্বর।

এর প্রতিদানে ভারত সরকার ১৯৮৫-৮৯ সালে সিকিম এর গভর্নর করেন রাজেস্বরকে। পরবর্তীতে তাকে পশ্চিম বঙ্গের গভর্নরও করা হয় ১৯৮৯-৯০ তে এবং সেসময়ই কলকাতা রায়টের বীজ বপন হয়,যা ৯২ তে কার্যকর করা হয়। ২০১২ সালে পদ্মবিভূষণ পদক পায় এই ঝানু এজেন্ট। সুজাতা সিংয়ের বাবার কর্মময় জীবনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস হচ্ছে এটি।

এবার আসা যাক সুজাতা সিং প্রসঙ্গে। সুজাতা ১৯৭৬ সালে সিভিল সার্ভিসে যোগ দেয়। তখন তার বাবা ছিল ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো-এর জয়েন্ট ডাইরেক্টর। তাছাড়া মাত্র আগের বছরেই সিকিম অপারেশন সাকসেসফুল হওয়ায় সুজাতা পান ফরেন অফিসে চাকরি।

ইউরোপ,আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ফরেন অফিসে কাজ করার পাশাপাশি 'র'এর সেলগুলার সাথে ভালো লিয়াঁজো রাখেন সুজাতা। সুজাতার স্বামী সঞ্জয় সিংহও ফরেন অফিসের সাবেক আমলা।

সুজাতার সবচেয়ে বড় অর্জন ধরা হয় অস্ট্রেলিয়ায় থাকাকালীন ইউরেনিয়াম চুক্তি। কিন্তু সেই চুক্তি অস্ট্রেলিয়া পৃথিবীর আর কোনো দেশের সাথে না করলেও কেন বাধ্য হয়েছিল ভারতের সাথে এই চুক্তি করতে? সেটাও ছিল 'র'এরই মাস্টারপ্ল্যান।

'র'এর এজেন্টরাই ২০০৭-০৯ এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়াতে ভারতীয়দের প্রতি অস্ট্রেলিয়দের ক্ষেপীয়ে তোলে, যার ফলে বোকা অস্ট্রেলিয়রা তাদের পাতা ফাঁদে ধরা দেয় এবং কয়েক জায়গায় ভারতীয়দের হত্যাও করে। সেই সুযোগে সুজাতার নেতৃত্বে ভারত অস্ট্রেলিয়াকে ' ব্ল্যাকমেইল' করে বাগিয়ে নেয় ইউরেনিয়াম চুক্তি।

বাবা-মেয়ের দীর্ঘ কর্মজীবনে নিজ দেশের স্বার্থে এভাবেই তারা দক্ষতার সাথে অনেক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন।

সুজাতার এই ক্রান্তিকালীন সময়ে বাংলাদেশে আসার সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা অন্য যাদের সাথে তিনি বৈঠক করবেন তাদের কী 'পরামর্শ' দিবেন,তা নিয়ে বোদ্দা মহলের অনেকেই বেশ দুশ্চিন্তায় আছেন। বিশেষ করে রাজনৈতিক অস্থিরতার এই সময়ে অনেকেই স্থিরভাবে কাজ করতে পারেন না এবং প্রভাবশালী বিদেশীদের পরামর্শ খুব সহজেই গ্রহণ করে বসেন।
ফেস বুক থেকে ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন: পড়ে মজা পাইলাম, চিন্তিত হই নাই, কেন যেন মনে হয় ভারত কখনই বাংলাদেশের স্বাধিনতায় হস্তক্ষেপ করবে না। এটি করার সাহস তাদের আছে বলে মনে করি না। ভারত বাংলাদেশ কোন কারনে যুদ্ধ হলে এর আগুন ভারতের ঘরে ঘরে জ্বলবে, বলার অপেক্ষারাখে না যে, বাংলাদেশ এতে ধংশ স্তূপের কাছাকাছি চলে যেতে পারে, কিন্তু ভারত আর ভারত থাকবে না, আই মিন ভারত টুকরা টুকরা অনেক গুলা দেশে পরিনত হবে।

ভারত আমাদের স্বাধিনতা নিয়ে খেলবার সাহস কখনই দেখাবে না। যদিও তারা প্রতিনিয়তই আমাদের অর্থনিতি নিয়ে খেলছে। আপনারা বুঝেন কিনা জানি না, কিন্তু আমার কেন যেন মনে হয় আমাদের দেশে ভারতের সবচেয়ে প্রিয় দল আওয়মিলিগ না, জামাত!!!! এই দুই ভাইয়ের মারা মারিতে জনগন আর অর্থনিতি অতিষ্ট, আর ভারতের টর্গেট টাই হল, অর্থনৈতিক পঙ্গু এক বাংলাদেশ, তাহলে তার নর্থ ইষ্টো বাচে, আর চীনের সাথে বার্গেনিং ইয়ে ও হেল্প হয়!!!!!!!

কি বুঝলেন???

দেশ কে নিয়া এত ছোট চিন্তা করবেন না, প্লিজ।

কৈ সিকিম আর কৈ বাংলাদেশ !!!!!!!

৩৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সুষুপ্ত পাঠক বলেছেন: সামু এখন শিবিরের অভারাণ্য হয়ে উঠেছে। আমাদের শহীদ মিনারকে কটাক্ষ করার সাহস এরা এখানে পায়! এই জামাতী বেজন্মরা স্বাধীন বাংলাদেশে এত সাহস পায় কোথায়। টুপি দাড়ি নিয়ে ৭১-এ তো বাবারা যখন ধর্ষণ করছিল তখন দাড়ি চেচে ধর্ষণ করতে বলতি তাহলে তো আর আজকে তোদের বাবাদের টুপি দাড়ি দেখাতে হয় না।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩২

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আপনার প্রয়োজনে আপনি শহিদ মিনার পূজা করুন। এত আগুন লাগে কেন??? যদিও মালাউন মানেই টুপি দাড়ি অপছন্দ করবে, তবুয় বলি, সব ধর্মের গুরুরাই এই পরিচ্ছদ বিশেষ পছন্দ করে!!! আর আপনি (তুই) মালাউন দেইখা যারে তারে শিবির বলতে পারেন (পারিস) না!!!

আর যৌক্তিক কোন কথা থাকলে বলবি হারামজাদা, আমার ব্লগে আইসা আমারে যা ইচ্ছা ট্যাগ দিবি না। কয়টা লেখা পড়সস আমার, মালাউনের বাচ্চা

৩৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪০

সুষুপ্ত পাঠক বলেছেন: রাজাকারের বাচ্চা, ইসলামের নামে তর বাপে্র ফাকিস্তানের গান গাবি না। ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে আগে সৌদি আরব থিকা শুরু করবি। ব্লগে আইসা আর যাই করবি রাজাকারে দালালী আর ফাকিস্তানে দালালী করবি না। বাঙালির বিরুদ্ধে লিখস তর সাহস কত বড়? তুই কি বাহারী?

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আরে মালাউনের বাচ্চা, রাজাকারের ছিল তর বাপ, তোর বংশের কয়েক জন মুক্তিযোদ্ধার নাম বল না পারলে?? তদের বাপরা ছিল সুরঞ্জিত দিলিপ বাবুর মত, যারা অকথ্য ভাষায় বঙ্গবন্ধুকে গালিগালাজ করত। আর এখন তোরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। শালা হিপোক্রেট।

আর আমার কোন লেখায় তুই পাকিস্তানের গান বা গুনগান পাইসোস???

মালাউনের বাচ্চা তোর কত বড় সাহস যে তুই ইসলামের কথায় অবজ্ঞা দেখাস??? তোর পাকিস্তানি মুসলমান বাপরা কি শিখায় নাই যে ইসলাম মানে শুধুই সৌদি আরব না!!!

তুই তোর মার দালালি করিস না!!! আমারে কস শিবির !! শয়তানের বাচ্চা।

বাঙালি মানে কি শিরক করতে হবে?? শয়তানের বাচ্চা?? বাঙালি সংসকৃতির নামে মিথ্যা বইলা আর কত কাল এই দেশের মুসলমানের ধর্ম নষ্ট করবি!!!! যা বুঝস না তা নিয়া কথা কইস না, মালাউন আসস কিন্তু চির কাল মালাউন থাকিস না। কানা আসস কিন্তু চিরকাল কানা থাকিস না!!!!!

৩৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৯

সুষুপ্ত পাঠক বলেছেন: তুই যত খুশী ইসলাম নিয়ে পুন্দাপুন্দি কর, কিন্তু বাঙালি, বাংলদেশ নিয়া কথা কবি না। বাঙালির সংস্কৃতি পহেলা বৈশাখ তার মত বিহারীর কাছে অনৈসলামিক মনে হইতে পারে কোন বাঙালির লাগে না। শহীদ মিনার তর মত ফাকিস্তানের পয়দার কাছে পূজা মনে হইতে পারে কিন্তু একজন বাঙালির চেতনার অধিকার আদায়ের প্রেরণা। এটা আমাদের আবেগেরন নাম। শোন, ইসলাম দিয়া পাতা ভইরা ফেল, জিহাদী আর মুশরিকগো কোপানো আয়াত দিয়া পোষ্ট লেখ, কিন্তু বাঙালির সংস্কৃতির গীবত গাবি না। বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে নিয়া বিকৃত কিছু কবি না। এসব করবি তার বাপের দেশ ফাকিস্তানে গিয়া। এইটা বাংলাদেশ। এখানে কোন পাইক্কার দালালী সহ্য করমু না।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪০

মুদ্‌দাকির বলেছেন: মূর্তি পূজক ভাই, আপনি শহিদ মিনার পুজা করুন, পহেলা বৈশাখে বিশাখা পুজা করুন, আর উদ্দাম নাচুন, আপনি মালাউন কিন্তু চির কাল মালাউন নয়া থাকাই ভালো হবে। এইটা বাংলাদেশ এই খানে মালাউন্দের পুন্দাপুন্দিও বেশিদিন চলবেনা। মালাউনদের আবেশ থেকে আজকের বাঙালি মুসলমানরা ক্রমেই বেরিয়ে আসছে। এতে চিরবিরানি লাগার কিছু নাই। বলতে লজ্জা হয় আমিও ছোট বেলায় মালাউনদের মত মামা-চাচা হাত ধরে শহিদ মিনারে ফুল দিয়েছি। আর আপনার বাবা যেখানে থাকে কিন্তু আপনাকে সন্তান হিসাবে সিকৃতি দেয় নাই, তাকে আপনি ফাকিস্তানই বলবেন। এতে কোনই সমস্যা নাই।

ফাকিস্তানকে ফাকিস্তান বলুন
আর
মালাউন গিরি বাদ দিয়া ভালো পথে চলুন।

৩৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

সুষুপ্ত পাঠক বলেছেন: এই তো একদম শিবিরের মত কথা। ধিক এই জীবন তোর! নিজের জাতি আর তার সংস্কৃতিকে চিনলি না, আরব সংস্কৃতিকে ইসলামী সংস্কৃতি বলে নিজেকে ঠকালি অন্যকে ঠকালি। সংস্কৃতি একদিনে তৈরি হয়? মুহাম্মদ এক দিন ওহি পেলেন আর তার ইসলামী সংস্কৃতি তৈরি হয়ে গেলো? এটা বুঝিস না বলেই শিবিরের ব্রেন ওয়াশের শিকার হয়েছিস। ইসলামী সংস্কৃতির নামে আসলে আরবের সংস্কৃতির উপনিবেশন চলে। ইসলামী সংস্কৃতি বলতে দুনিয়াতে কিছু নাই। ধিক শিবির!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ব্রেন ওয়াশ !!! আমারতো মনে হচ্ছে হুমায়ুন আযাদ, মুন্তাসির মামুন, শাহরিয়ার কবির ওয়ফে মুরগি কবির এবং এদের সাংগ-পাংগ দের গু দিয়া তোর ব্রেইন ওয়াশ করা হইসে :) :) :)

আর তুই ইসলাম নিয়া কি ভাবস তাতে ইসলামের কিছু যায় আসে না, যেমন তোর মত বাপ না চেনা পাকিস্তানির বাচ্চা কাউকে শিবির মনে করলেই কিছু যায়-আসে না!!! :) :) :)

যে হযরত মুহাম্মাদ সাঃ কে চিনলনা, ঐ মানুষ আর রাস্তার কুত্তা আমার কাছে প্রায় সমান গুরুত্ত্ব পূর্ন।

তুই মালাউন আসস তুই তোর কাম চালায়া যা, আর তোর ঘিলুতে যে গু ঢুকসে তা পরিষ্কার হবার নয় !!!!!!

মালাউনের মালাউন সংস্কৃতি আর মুসলমানের ইসলামিক জীবন, যতই তুই তেল আর পানি মেলানোর চেষ্ট কর, তুই সব সময়ই বুঝবি যে তুই খুব কম সময়ের জন্য সাময়িক সফল হবি, এক জন মুসলিম ইসলামকে বুঝবার সাথে সাথেই মালাউন কার্য কলাপ ত্যাগ করে। দেখ না তুই খোজ নিয়া একুশেতে কত জন মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের পরিবার ফুল দিতে যায়, আর কত জন তোর মত হাগু মস্তিষ্ক যায়, আর কত জন শিশু যায়, যারা পরিনত বয়সে আর যায় না??????????

একি কথা গুলাই পহেলা বৈশাখের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য । গোয়ার তামি করলেতো আর হবে না!!! ধর্মিক মুসলমানের কাছে তোদের মালাউন সংস্কৃতি কতখানি জন প্রিয় তার হিসাব করে দেখ।

তোর কাছে দেশ প্রেম মানে বেদীতে ফুল দেয়া আর উৎসৃঙ্খল নাচানাচি , আমার কাছে দেশ প্রেম মানে সৎ ভাবে জীবন যাপন।

৪০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

সুষুপ্ত পাঠক বলেছেন: এর পর যদি তুই নিজেরে ছাগু স্বীকার না করছ তাইলে তুই মুনাফেক! এই বাংলা তর জন্য না। একাত্তরের রাজাকার (লগে অগো পুনন্দাইন্না ছাওয়াল পাওয়াল) এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আরে আধা মালাউনের(+আধা ফাকিস্তানির জারজ) বাচ্চা মালাউন, কত গোচনা পান করার পর তুই বুঝবি যে তোর এই অর্থ হীন প্রলাপের কোন মূল্য নাই!!!

আরা না বাংলা আমার হবে কেন বাংলাতো তোর মত জারজ মালাউনের!!!!

দেশ প্রেম আর ব্লগে গালাগালি এক না। কবে বুঝবি তোরা???

আর কইলাম তো,

তোর কাছে দেশ প্রেম মানে বেদীতে ফুল দেয়া আর উৎসৃঙ্খল নাচানাচি , আমার কাছে দেশ প্রেম মানে সৎ ভাবে জীবন যাপন।

আর দেশ আমি না তুই তোর বাপ কাদের মোল্লারে নিয়া ছাড়। =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ ;) ;) ;) ;) ;)

৪১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১২

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: একজন মুসলমান, আগে মুসলমান তারপর বাঙালি বা বাংলাদেশী,

১০০% সহমত

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন: হুম, একজন মুসলমান, আগে মুসলমান তারপর বাঙালি বা বাংলাদেশী,

৪২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯

জনাব মাহাবুব বলেছেন: ইসলামের পক্ষে শক্ত যুক্তি দেখানোর পরে কিছু ব্লগার তার সাথে দ্বিমত হতে না পারলে, জামায়াত ইসলামীকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে পোষ্টটিকে ভিন্ন খাতে নিতে চায়। এই ব্যাপারটা আমি প্রায় অনেক পোষ্টেই লক্ষ্য করেছি।


আপনি তুলে ধরলেন মুসলমানদের ঈমান-আক্বীদার ব্যাপার আর কিছু ব্লগার সেটিকে বিতর্কিত করার জন্য টেনে নিয়ে আসলো শিবিরকে। :D :D :D


ইসলাম মানেই কি জামায়াত শিবির আর জামায়াত শিবির মানেই কি ইসলাম ধর্ম।


যারা দুটিকে একসাথে গুলিয়ে ফেলে বুঝতে হবে তাদের মাথায় সমস্যা আছে।


আপনার যুক্তিপূর্ণ পোষ্টে +++++++++++++

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

একেবারে মনের কথা বলেছেন। আর আমরাতো ভুলেই গেছি যে আমরা আগে মুসলমান তারপরে বংলাদেশী !!

অনেক অনেক ধন্যবাদ মাহাবুব ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.