নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জোবায়দা খানম

জোবায়দা খানম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন মেয়েটিকে নষ্টা গালি শুনতে হয় বারবার !! (পর্ব-২)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

ছোট বেলা থেকে ভাল স্টুডেন্ট যার খেতাব সে এবার ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় শারিরিক অসুস্থতার কারনে পরীক্ষা ভালো দিতে পারলো না। অসুস্থ শরীর নিয়ে পরীক্ষা দেবার সম চিন্তা করছিল বাকিগুলো না দিয়ে আবার সে চেষ্টা করবে। তারপরও সব পরীক্ষা শেষ করলো কাকলি। রেজাল্ট বেরুলো, আশাব্যাঞ্জক তো নয়ই দুরাশা তৈরি করলো সেই ফলাফল। খুব খারাপ রেজাল্ট হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে কাকলি। বাবা-মা’র স্বপ্ন ভেঙ্গে চুড়মার। তারা চেয়েছিলেন মেয়ে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার কোন কিছু একটা হবে!! কাকলির ছোট দুই বোন এক ভাই আছে তারা সবাই তাকে অনেক ভালোবাসতো। তারাও ইদানিং তার সাথে তেমন কথা বলে না। মা-বাবার চাকুরির কল্যানে বাসায় প্রায়ই একা তিন বোন ও ভাই।



এদিকে কাকলি ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রিপারেশন নেয়া শুরু করেছে। একটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সে বোটানি (প্রাণী বিজ্ঞান) বিষয়ে চান্স পেয়ে যায়। তবে কলেজটি বাড়ির পাশে নয় পাশের জেলায় অবস্থিত। বাবা-মা প্রথমে বড় মেয়ে একা বাড়ির বাহিরে পাঠাতে সম্মত না হলেও পরবর্তীতে সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে রাজি হয়।



নতুন জীবন পেলো কাকলি। ফাস্ট ইয়ারে পড়াশুনায় অনেক সিরিয়াস যে করেই হোক অন্তত অনার্সে তাকে এমন রেজাল্ট করতে হবে যাতে করে অতীতের সকল গ্লানী মুছে ফেলা যায় এর প্রভাবে। যেই চিন্তা সেই ভাবনা। প্রতিদিন ক্যাম্পাস অতপর গ্রুপ স্ট্যাডি প্রাইভেট এই করে দিন পেরুতে লাগলো। বান্ধবিদের সাথে হালকা দুষ্টমি ফাজলামো, ছেলেদের ফোনে মিস কল দেয়া এসব করে দিনাতিপাত করছিল কাকলি। গ্রুপ স্ট্যাডির কল্যানে কিছু ছেলে বন্ধু হয়ে যায় কাকলির। সবাই অনেক আন্তরিক। আলিফের সাথে তার সখ্যতা একটু বেশি। আলিফ কাকলির ডিপার্টমেন্টের ছাত্র। বাড়ি শহরেই, বড় লোকের ছেলে। পড়াশুনা সংক্রান্ত বিষয় বাদেও কাকলি আলিফের সাথে আড্ডা, ঘুরাফেরা করে।



ফোনে প্রায়শই যেহেতু বান্ধবিদের সাথে পাল্লা দিয়ে ছেলে পটানোর চেষ্টা করা হতো। এভাবে মিসকল দিতে দিতে একজনের সাথে মোবাইলে কাকলির সখ্যতা গড়ে উঠে। কথা বলতে বলতে কবে যে কাকলির তাকে ভালো লেগে গেছে সে বুঝতেই পারে নি। দু’জন দু’জনাকে ভালোবাসতে শুরু করেছে। ছেলেটির বাসা কাকলির বাড়ি যাবার পথেই পড়ে। যেদিন কাকলি কলেজ ছুটি হয়ে বাড়ি যাবে সেদিন তার সাথে দেখা করে এরপর রুবেল তাকে বাড়ি পৌছে দেয়। আবার যেদিন বাড়ি থেকে ফেরা হয় রাস্তায় রুবেল তার জন্য অপেক্ষা করে, দেখা করে কথা বলে উষ্ণ ভালোবাসা আদান প্রদান করে মনের সুখে মেসে ফেরে কাকলি।



এদিকে কাকলির বন্ধু আলিফ জানতে পারে অন্য একটি ছেলের সাথে প্রেম করছে কাকলি। অজান্তে আলিফও কাকলিকে যে ভালোবাসতে শুরু করেছে সেটা সে তখনই বোঝে যখন কাকলি অন্যকে ভালোবাসে এটা সে জানতে পারে। মেনে নিতে পারছিল না। ‘আমার খাচার পাখি উড়ে যাবে’ এটা মেনে নেয়া যায় না। মনে মনে আলিফ বুদ্ধি আটে। (চলমান)



প্রথম পর্ব

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অনেকের জীবনে তাই ঘটে
আসলে পরিবেশ এর অভাব

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯

জোবায়দা খানম বলেছেন: জি আপনি ঠিক বলেছেন। এই পরিবেশের স্রষ্টা কিন্তু আমরাই। আমাদেরই পরিবর্তন করতে হবে।

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯

হেডস্যার বলেছেন:
২য় পর্ব পড়তে আইসা দেখলাম ১ম পর্বে কি লেখছিলেন মনে নাই। এইরাম ৩/৪ লাইন লেখলে ক্যামনে কি মনে থাকবো?

লেখাটা পড়া বাদ দিলাম। খুদাপেজ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১

জোবায়দা খানম বলেছেন: ভাইয়া আমি নতুন লেখা লেখি করছি। জানি না কিভাবে লিখা লিখি করতে হয়। তবে ভুল গুলো বুঝতে পারছি আশা করি পরবর্তীতে পুরোটা দিয়ে একটি নোট লিখবো।

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

হেডস্যার বলেছেন:
জ্বী ওইটাই। আপনি পুরা সব পর্ব লেখা শেষ করেন। এরপর একবারে লেখাটা পড়ব ইনশাল্লাহ।

৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

জোবায়দা খানম বলেছেন: পরের পর্বতেই শেষ করবো বলে ভাবছি। তবে সাড়া দেবার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.