নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জান্নাতুল এন পিয়াল

জান্নাতুল এন পিয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

শহীদদের সম্মান প্রদর্শনার্থে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া কি আসলেই শিরক? আমার মতামত জানালাম, আপনাদেরটাও প্লিজ জানান।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৭

শিরক জিনিসটা কি? শিরক হল তাওহীদের বিপরীত শব্দ। তাওহীদ বলতে বুঝায় আল্লাহর একত্ববাদে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা। 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'-এ বিশ্বাস করা। আল্লাহকে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ও ইবাদতের যোগ্য হিসাবে বিশ্বাস করা ও মানা এবং কেবল শুধু তারই ইবাদত করা। তার সন্তুষ্টির অর্জনের চেষ্টা করা। আর শিরক মানে হল আল্লাহসহ অথবা আল্লাহ ব্যতিত একাধিক ব্যক্তি বা বস্তুকে বা সত্তাকে সৃষ্টিকর্তা মেনে তার ইবাদত করা বা পূজা করা। সনাতন ধর্মালম্বীরা মূর্তিপুজা করে সেটা শিরক কেননা তারা একাধিক দেবতাকে মানে, তাদের সন্তুষ্টির জন্য পূজা করে। এজন্যই তাদের মূর্তিপূজা শিরক।



এবার আসি আমাদের শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার বিষয়টিতে। এর কারণ শুধুই ভাষা শহীদদের স্মরন ও তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন। এই সম্মান প্রদর্শন কখনোই চরম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া না যে তাদের পূজা করা বা তাদের ইবাদত করা কিংবা তাদের সৃষ্টিকর্তার আসনে বসানো (নাউজুবিল্লাহ)। তাহলে আমরা যদি তাদের কেবলই সম্মান প্রদর্শনের জন্য শহীদ মিনারে ফুল দেই, তাহলে তো সেটা শিরক হবে না। যদি ভাষা শহীদদের ইবাদত করতাম বা এই কাজের মাধ্যমে তাদের সন্তুষ্ট করতে চাইতাম, সেটা শিরক হত। কিন্তু আমরা সকলেই জানি যে তারা মৃত, তাদের সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে শুধু তাদের সম্মান প্রদর্শনের ব্যাপারটি কোনভাবেই শিরক হতে পারে না।



পাশাপাশি আরেকটা কথাও বলে রাখা প্রয়োজন। সনাতন ধর্মালম্বীরা মনে করেন যে তারা যে মূর্তি গড়েন, সেই মূর্তির মধ্যেই তাদের দেবতার বাস। কিন্তু যারা শহীদ মিনারে ফুল দিচ্ছে, তারা কি এটা ভাবে যে শহীদ মিনারের ঐ স্তম্ভগুলোর মধ্যেই ভাষা শহীদেরা বা তাদের আত্মার বাস? না, তারা মনে করে না।



সুতরাং, কারো যদি শহীদ মিনারে ফুল দেয়া কেবলই ভাষা শহীদদের সম্মান প্রদর্শনের একটা স্মারক হয়ে থাকে, তবে তা কোনমতেই শিরক হবে না।



(বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আমি নাস্তিক নই। নাস্তিকতাকে সমর্থনও করি না। আমি সম্পূর্ণরূপে আল্লাহভীরু মুসলমান। আল্লাহর নির্দেশবলি সম্পর্কে অবগত হয়েই এবং ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে ভালভাবে জ্ঞাত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলেই পোস্টটি লেখা। আমি দাবি করছি না এটা ১০০% সঠিক। কেউ যদি কুরআন আর হাদিসের বানির মাধ্যমে মনে করেন যে এই বক্তব্য ত্রুটিযুক্ত, আমি অবশ্যই তা মেনে নেব এবং ধরে নেব আমার এতদিনের ধারণা ভ্রান্ত। কারো যুক্তিযুক্ত মতামত গ্রহণে আমার আপত্তি নেই। বরং আপনারা যদি যুক্তি সহকারে প্রমাণ করে দিতে পারেন যে শহীদদের কেবল সম্মান প্রদর্শনে ফুল দেয়া শিরক, তাহলে আমি অবশ্যই তা মেনে নেব। কিন্তু দয়া করে গালিগালাজ করবেন না। ধন্যবাদ। )

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ১৪০০ সাল আগে এসব ঘটেনি তাই ইসলামী কোন সমাধান দলিলে
পাওয়া যাবেনা । বরং যারা শিরক বলে তারাই ভুল করছে ।।

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন: একটু আগে চ্যানেল 24 এ একজন বিশিষ্ট ব্যাক্তি(যদিও আমি চিনি না বা নাম জানি না!!!) বলে গেলেন একুশের শহিদ পূজা সফল হোক !!!


এবার নিজেই বিবেচনা করুন ?!!!

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৪

জান্নাতুল এন পিয়াল বলেছেন: আমি আবার অনেক আলেমকেই চিনি যারা মনে করেন না যে শহীদদের সম্মান জানানো শিরক বা পূজা। তাছাড়া পুজার মেইন থিম হল এই যে,আমি দেবতাকে সন্তুষ্ট করব যাতে দেবতা আমার মনের ইচ্ছা পূরণ করে। কিন্তু শহীদদের ফুল দিয়ে সম্মান জানানোয় তো কোন দেনা পাওনার ব্যাপার নেই। তাই এটাকে পূজা তিনি কোন যুক্তিতে বললেন, আমার জিজ্ঞাসা রইল। ধন্যবাদ।

আপনি কারও নাম উল্লেখ না করে তার দেখানো যুক্তিটা উল্লেখ করলে ভাল হত।

৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১২

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: শিরক মিরক আরবদের জন্য।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৬

জান্নাতুল এন পিয়াল বলেছেন: আপনার এই ধ্যান ধারণা আমি ব্যক্তিগতভাবে বর্জন করছি।

৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৯

সরলপাঠ বলেছেন: @ পরিবেশ বন্ধু - ইসলামের বিষয়ে যদিও আমি পন্ডিত নই, তবে এটা যানি যে বিষয়ে কোরআন বা সুন্নায় সরাসরি নির্দেশনা নেই সে ক্ষেত্রে ইজমা/কিয়াসের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় - এটা ইসলামী ফিকহের বিষয়।

শিরকের ব্যাপারে বর্তমান বা ভবিষ্যত যাবতীয় প্রেক্ষাপটে ইসলামের বিধান যতটুকু জানি তা পরিষ্কার - তবে এ বিষয়ে আমি সরাসরি কোন মতামত দিচ্ছিনা নিজের জানার সীমাবদ্ধতার কারণে। কারণ বিষয়টি খুবই সেনসেটিভ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫১

জান্নাতুল এন পিয়াল বলেছেন:
ইজমা বা কিয়াসের মাধ্যমেই মূলত এই বিষয়টার নিষ্পত্তি করা উচিৎ ছিল। এবং এই কাজটা এদেশের আলেমদেরই করা উচিৎ ছিল। কিন্তু যারা এটাকে শিরক বলেছেন, তাদের যে যুক্তি তা খন্ডন করা সম্ভব। আর যখনই যুক্তি খন্ডিত হবে তখন সেটা আর ঐক্যমতের আওতায় থাকবে না। অনেকে আবার এই ব্যাপার নিয়ে অস্পষ্ট থিওরি দিয়েছেন যেটা আবার ইজমা/কিয়াস পরিপন্থি ব্যাপার।

এখন আবার অনেকে কিছু আরবীয় আলেমের কথাকে ধ্রুব ধরতে পারেন। কিন্তু তারা কিভাবে জানবেন বাঙালি কোন আবেগে শহীদ মিনারে ফুল দিচ্ছে? অনেকেই ভুল ধারণার বশবর্তি হচ্ছেন যে আসলেই হয়ত ফুল দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য নয়, সত্যি সত্যিই শহীদদের পূজা করা হচ্ছে। তাই তাদের সীমিত জ্ঞানের মাধ্যমে আসা সিদ্ধান্ত গ্রহনযোগ্য নয়। আবার অনেক আরবীয় আলেম এটাকে শিরক বলতে নারাজ। তারা আমার এই পোস্টে বর্ণিত যুক্তিই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আমি সেটাকেও ধ্রুব বলছি না। এই ব্যাপারটা গত ৬২ বছরে কেন নিষ্পত্তি হল না, সেটা মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ কিংবা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের একটা বিরাট ব্যর্থতা বলেই আমি মনে করি।

৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২৩

ফারজানা শিরিন বলেছেন: ja somporke quran ar hadis e kichu bola nai ta kora mane bidayet.
Ar bidayet palon kora kharap. mrito bektider Somman jananor islamer riti holo tader jonno dua kora, dan khoyrat kora. ful diye Somman jananor riti amader dhorme kokhonoi chilo na... Ar ei karone kono minare giye ful deya islam dhormer alem ra nishedh koren.
Ar eto abeg Somman niye ekbar kalema pore shohid der ruhur proti bokshay den. Allah khushi hoben.

৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৪৮

হাসমত০০৯ বলেছেন: @ফারজানা শিরিন যেসব ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সম্পর্কে কোরান হাদিসে কিছু বলা নেই (মানে যেখানে আল্লাহর সন্তুষ্টি মুল লক্ষ্য ) সেগুলো পালন করা বিদআত । কিন্তু শহীদ মিনারে ফুল দেয়া কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.