![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার আগের নিক 'হাসান কালবৈশাখী' বিকল হয়ে যাওয়াতে এই ২য় নিক।
বিশ্বব্যাঙ্ক-imf জাইকার এর চাপে ডিজেল-পেট্রলের দাম আবার বাড়ানো হল। গবেট সরকার পরিবহন মালিকদের চাপে বাস ভাড়া আবার বাড়াবে।
চার বছর আগের তুলনায় বাস ভাড়া ইতিমধ্যেই প্রায় দুই-আড়াইগুন বেড়েছে।
খাদ্য সহ অন্যান্ন দ্রব্যের দাম সে হারে বাড়েনি, আরো কম বাড়তো, পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাওয়া তে সকল দ্রব্যমুল্যর উপর প্রভাব পরেছে, আকারনে কিছু জিনিসের দাম বেড়েছে।
যদিও প্রধান খাদ্য চাল ও ডালের দাম প্রায় একই আছে, যদিও মুদ্রাস্ফিতি প্রতি বছর ৮-১০% বাড়ছে।
কিছু খাদ্য মুল্যের দাম আবার কমেছেও। যেমন আদা, রসুন, পেয়াজ, চিনি। ২০০৯ এ ২৮০টাকার আদা এখন ৬০টাকা, ১৯০টাকার রসুন এখন ৪০টাকা কেজি। গত ২০১১ রোজার ৭২ টাকার চিনি এখন ৫০ টাকা কেজি। আর অন্যান্ন খাদ্যের দাম মুদ্রাস্ফিতির হারেই বেড়েছে।
এখন বাসমালিকরা খুবই প্রভাবশালি। এরা বেশীর ভাগই আমলা, পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তা। তারা সরকারকে চাপদিয়ে অযথা ভাড়া বৃধি করে থাকে।
২০১১ এ মোট ৫ দফা তেলেরদাম বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ টাকার ডিজেল ৫৬টাকা হয়। বাসভাড়া দফায় দফায় না চাইতেই বাড়িয়ে দেয়া হয়।
ঢাকা-কুমিল্লা রুটে সিংগেল ট্রিপ একটি বড় হিনো বাস (তিশা, প্রাইম ইত্যাদি) ৩১ লিটার ডিজেল খরচ হয়। ২০১১ এই এক বছরেই ১১০ টাকার ভাড়া কয়েক দফায় ১৬০ টাকা করা হয়েছিল। অতচ হিসাবে হওয়ার কথা ১১৮টাকা।
তেলের দাম ২৪% বেড়ে পার লিটার ৪০ টাকা থেকে ৫৬ টাকা হওয়াতে তাদের অপারেশন কষ্ট বেড়ে ১২৪০ থেকে ১৭৩৬ টাকা হয় এতে অপারেশন কস্ট মাত্র ৪৯৬ টাকা বেড়েছিল, সেই হিসাবে ৪২ সিটের বাস পার হেড ১১ টাকা বাড়ার কথা থাকলেও বেড়েছিল ৫০ টাকা।
অর্থাৎ গত বছর কুমিল্লা রুটে তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে বাসওয়ালারা পার ট্রিপে অতিরিক্ত পকেট কেটে চলেছে ১,৬৮০টাকা।
এবার ডিজেল ৭ টাকা পার লিটার বাড়াতে পারহেড (ঢাকা-কুমিল্লা) ৫ টাকার মত প্রভাব পড়তে পারে। যেহেতু আগেই ৫০ টাকা অতিরিক্ত বাড়ানো হয়েছিল,
তাই এবার ভাড়া বাড়ানো উচিত হবেনা।
CNG র দাম বাড়লেও ভাড়া বাড়তে পারে না, কারন CNGর দাম ডিজেলের ৪/১ মাত্র। এটা ডিজেলের সমান না হওয়া পর্যন্ত বাড়ানোর প্রশ্নই আসেনা।
কিন্তু সরকারকে কে বোঝাবে?
©somewhere in net ltd.