নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ আর মডারেটর, কে কার অলংকার

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

রাসেল ( ........)

অনেক অনেক চেষ্টা হয়েছে ব্লগানোর বাংলা করা নিয়ে, আমার এখন ব্লগের নতুন বাংলা করতে ইচ্ছা করলো তাই দিলাম এর নাম নেটনামচা- আর এই ধারাবাহিক নেটনামচা ধরে রাখা হবে নেটনামায়- সত্য বড় কঠিন, সত্য বড় কঠোর,সত্য শক্তসমর্থ সত্যের হোগামারা খাইলে যাদের মাথা আউলাইয়া যায় তাগোর জন্য বলি আমি মিথ্যার হোগা মারি, মিথ্যা কইয়া হোগা মারা পছন্দ করি না। সুজন সামলে নায়ে উঠো, মাঝবদীতে পড়লে আমার দায় নেই। এটা বড়দের জন্য পদ্য পদ্য খেলার একটা পাতা, যারা সস্তা অশ্লিলতা খুজছেন চলে যান নীলক্ষেতের চিপায়, তেমন সস্তা আদিরস আমি করি না। কিন্তু মাঝে মাঝে কবিতার খাতিরে যৌনবিষয়ক আলাপন চলে আসতে পারে, পরিশেষে ধন্যবাদ মুখফোড় সুমন চৌধুরি কে। আমরা অনেক পদ্য করবো ছাতিম গাছের তলে, আমরা নিত্য শংকর খাবো ব্যোম ভোলানাথ বলে।

রাসেল ( ........) › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহবাগ মোড়ে স্পষ্ট ঘোষণা

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৩

কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে শুরু হওয়া গণজমায়েত ধীরে উৎসবস্থলে পরিণত হয়েছে, নিজের ছায়ার সাথে লুকোচুরি খেলা ভরসাহীন মানুষেরা এই তরুণদের দলে এসে জীবনের উত্তাপ নিয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছে, শহরের লোকেরা দিনের শেষে বাসায় ফেরার আগে এই সমাবেশে এসে যৌবনের তাপ নিয়ে ক্লান্তি শ্রান্তি ভুলে ঘরে ফিরছে, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আশা ও আস্থাহারানো প্রজন্ম ধীরে ধীরে এই তারুণ্যের চিৎকারে আস্থা ফিরে পেয়েছে, আমি বসে বসে তাদের উদ্দিপ্ত চেহারা দেখি, এক অসম্ভব সময়ে আমরা বেঁচে আছি, আমিও এই সমেবেত মানুষের একজন।



একই সাথে প্রজন্ম৭১ আর প্রজন্ম ২০১৩ এই মিলনমেলায় উপস্থিত হয়েছে। সেখানেই দেখলাম একজনকে, যিনি পাকিস্তান এয়ারফোর্সের চাকুরি ছেড়ে ৬৬ এর ৬ দফা বিশ্বাস করে নিশ্চিত জীবনযাপন ছেড়ে ফিরে এসেছিলেন মাটির টানে, এখানেই তিনি গণজাগরণের কাজ করেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সম্পূর্ণ সময়টাতেই তিনি ছিলেন কিশোরগঞ্জ ময়মনসিংহ অঞ্চলে, সেখানের স্থানীয় মানুষকে তিনি স্বাধীনতার সংগ্রামে তাদের ভুমিকা বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা করেছেন। তিনি ছিলেন ৭ই মার্চের ভাষণের দিনটাতে , শাহবাগের কাছাকাছিই, রেসকোর্সের ময়দানে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক পেয়েছিলেন, গত চার দশকের রাজনীতির হালচাল তাকে ততটা আশাবাদী করতে পারে নি কিন্তু তিনি এই তরুণদের ডাকে ফিরে এসেছেন পুনরায়। নতুন আশায় উদ্দিপ্ত হয়ে, তার মতো অনেককেই দেখলাম এখানে উপস্থিত।



দেখলাম পুরোনো বন্ধুদের যারা এক সময় সমাজ বদলের স্বপ্ন দেখেছিলো, যারা এখনও সমাজ বদলের আকাঙ্খা ধারণ করে কিন্তু মাঝের সময়টাতে তারা বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলো, ভেবেছিলো এই পরস্পরের নোংরাঘাঁটা রাজনীতিতে সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখা ভুল। তাদের ভুল প্রমাণিত করে আজকের প্রজন্ম জেগে উঠেছে, এইসব পরিবর্তনের স্বপ্ন পুষে বেঁচে থাকা মানুষদের সামনে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা দিয়েছে। এরা সবাই পরিবর্তনের স্থিমিত আগুণকে উস্কে নিতে এসেছেন এখানে । হয়তো এই তারুণ্যের আঁচে গণগণে জ্বলে উঠবে সে আগুণ। আশাবাদী মানুষের কাফেলা মিছিল নিয়ে প্রতিদিনই সমবেত হচ্ছে এই চত্ত্বরে আর একই কণ্ঠে আওয়াজ তুলছে। বলছে আমরা পরিবর্তন চাই।



এখন আকাশে বাতাসে ৭১ এর মার্চের উতাল হাওয়া। সে সময়ের তারুণ্যের ভেতরে দেশপ্রেম, বাঙালীত্বের প্রতি এক ধরণের শ্রদ্ধাবোধ তৈরি হয়েছিলো, তারা পরম আবেগে গর্ব ভরে বলতে চাইতো আমরা বাঙালী, বাংলাদেশ আমার দেশ। মাঝের সময়টাতে দেশের বিষয়ে এই আবেগ কিংবা শ্রদ্ধাবোধ কমেছে, মানুষ নিজের রাষ্ট্রীয় পরিচয় বিষয়ে খানিকটা কুণ্ঠাবোধ করতো কিন্তু সেই হীনমন্যতা কমে গিয়েছে তারুণ্যের এই উদযাপনে। মানুষ পুনরায় পতাকায় আস্থা রাখছে, আস্থা রাখছে লাল সবুজে।



এই মুহূর্তে বাংলাদেশে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখানো মানুষদের পরিচয় তারা ব্লগার, তারা অন লাইন এক্টিভিস্ট। এই তরুণদের উপরে কোটি মানুষের স্বপ্নপুরণের দায়িত্ব উঠে এসেছে। শাহবাগের মঞ্চের সামনে ক্রমাগত ঘোরাফেরা করা কর্পোরেট মিডিয়া নিজেদের মতো এখানে উপস্থিত। তাদের নিজস্ব লক্ষ্য আর স্বার্থ আছে এখানে, তবে পরিবর্তনের লড়াইটা আর শুধু শাহবাগ মোড়ে সীমিত না, সেটা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে গিয়েছে, শাহবাগ আর শাহপরানের মাঝে কোনো ব্যবধান নেই এখন। জয় তারুণ্যের জয়, জয় নতুনের জয় শ্লোগান কেউ দিচ্ছে না স্পষ্ট তবে সবাই এদের চোখে নিজেদের নিভে যাওয়া আলোর দীপ্তি খুঁজে পেয়েছে।

১৯৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান থেকে ধারাবাহিক সংগ্রামের পথপরিক্রমায় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিলো, একজন শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন জলন্ত সূর্যের প্রতীক। তিনি হাঁক দিকে সকল বাঙালী তার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতো ভবিষ্যত দিক নির্দেশনা খুঁজতো তার আঙুলের ইশারায় কিন্তু ভরকেন্দ্রবিহীন ক্রমাগত ছড়াতে থাকা এই গণমানুষের সামনে এমন কোনো শেখ মুজিবুর রহমান নেই।



একক মানুষের বদলে এখানে শত শত তরুণেরা আছে কিন্তু এই তরুণদের দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাস নেই। এরা পরিবর্তন চায় এবং পরিবর্তনের আকাঙ্খা তীব্র অনুভব করে বলে সচেতনভাবে রাস্তায় নেমেছে। শাহবাগ থেকে টিএসসি সম্পুর্ণ চত্ত্বরে বিভিন্ন ছোটো ছোটো জটলায় অন্তত ৮ থেকে ১২টা দল নিয়মিত আন্দোলন করছে, এদের সাথে আছে শাহবাগ মোড়ে সমেবেত হওয়া মানুষ। ক্রমাগত জনতার ভীড় বাড়ছে, ক্রমাগত বাড়ছে এমন স্বাধীন পকেটসংখ্যা। এই জনসমুদ্র অহিংস উল্লাসে কণ্ঠতেজে রাজাকার নিধন করছে, শপথের বানী মেনে যুদ্ধাপরাধীদের সকল সংগঠনকে বয়কটের আহ্বান জানাচ্ছে কিন্তু একই সাথে অত্যুৎসাহী কেউ কেউ পত্রিকা পুড়াচ্ছে, ভাঙছে সাইনবোর্ড আর আরও কিছু উত্তেজনা খুঁজছে ভীড়ের ভেতরে।



এই জনসমাবেশ এখন শুধু ব্লগার অনলাইন এক্টিভিস্টদের মঞ্চ নয় বরং জনতার মঞ্চ, এবং এমন বিক্ষিপ্ত বলিষ্ঠ সমাবেশের সামনে এখনও শাহবাগ মঞ্চ থেকে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা আসে নি। তবে সবাই মোটামুটি শ্লোগানে শ্লোগানে জানে এই সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য কি?



সবাই জানে কাদের মোল্লার রায় তাদের পছন্দ হয় নি, তারা এই রায় পরিবর্তিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ড কামনা করে। ফাঁসীর দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফেরা যাবে না।



তারা জানে শুধু কাদের মোল্লা নয় বরং একই ভাবে অপরাপর যুদ্ধাপরাধীদের রায়ের ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে, সুতরাং তারা পাহারা রাখছে, জেগে থাকছে রাতের পর রাত। তারা এভাবেই রাষ্ট্রে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করছে, তারা স্পষ্ট না হলেও জানিয়ে দিয়েছে তারা সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের শেষে সর্বোচ্চ রায়ই প্রত্যাশা করে।



তারা শ্লোগানে শ্লোগানে জানিয়ে দিয়েছে মানবতাবিরোধী অপরাধী, নির্মমতার দোসরদের সাথে একই রাষ্ট্র বসবাস কিংবা রাজনৈতিক মঞ্চে তাদের উপস্থিতি এই তরুণদের কাম্য না। এইসব যুদ্ধাপরাধী প্রতিষ্ঠানদের তার রাজনৈতিক ভাবে নিষিদ্ধ করতে আগ্রহী। এটাও সমেবেত জনতার দাবী।



তারা অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করে দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের অর্থনীতির শেকড় শুকিয়ে ফেলতে চায়। তার অর্থনৈতিক এবং সামাজিক বয়কটের দাবীও জানিয়েছে।

এটা সমবেত জনতার চাওয়ার জায়গা। শাহবাগের মোড় পার হয়ে টিএসসির দিকে গেলে প্রতিটি জটলায় আসলে এসবই আলোচিত হচ্ছে। কিন্তু মূল ধারার মিডিয়ায় এখনও এইসব দাবী স্পষ্ট উঠে আসে নি। সমবেত মানুষদের দাবীর স্পষ্ট উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে শাহবাগ মোড়। কিংবা তারা হয়তো এ বিষয়ে ততটা আগ্রহী নন।



ভীড়ের নিজস্ব স্বত্ত্বা থাকে, মানুষ যখন কোনো দিক নির্দেশনা পায় না, নিজের বিবেচনা মতো প্রতিরোধ করতে চায়, কখনও অহিংস, কখনও সহিংস প্রতিরোধে লিপ্ত হয় যে যার সাধ্যানুযায়ী। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে এখনও এই সমেবত জনতার কোনো সংঘর্ষ ঘটে নি। এখনও অহিংস এবং উজ্জবীত জনতা নিজেদের উপস্থিতি দিয়েই নিজেদের সমর্থন জানাচ্ছে। এবং ব্লগার অনলাইন কম্যুনিটি একেবারে অগোছালো ভাবে বিষয়টার প্রতি কোনো দৃষ্টিপাত না করেই আন্দোলনটা বিকশিত করেছেন।



ক্ষমতার সাথে দায়িত্বশীলতাও প্রয়োজন। এই মুহূর্তে আন্দোলনে এক ধরণের কাঠামো অতিপ্রয়োজনীয়। এই কাঠামোর ভেতরে সুনির্দিষ্ট দাবীর উপস্থিতি , দাবী আদায়ের কর্মকৌশল থাকতে হবে। ৭১ এর মার্চের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দুই দিনে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ ঘটেছে, লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু একই সাথে সেখানে ছিলেন ক্যারিশমেটিক নেতা শেখ মুজিবুর রহমান, তিনি আদেশ দেওয়ার পর আর কেউ নতুন করে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় নি। দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনে অভিজ্ঞ ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগ স্বেচ্ছাসেবকের লুটপাটে এক ধরণের নিয়ন্ত্রনও আনতে পেরেছিলেন, কিন্তু এই তরুণদের ভেতরে শেখ মুজিবুর রহমানের ক্যারিশমা, পেছনে দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক সংগ্রামের অভিজ্ঞতাপুষ্ট কোনো স্বেচ্ছাসেবক দল নেই, তারা নিজেদের মতো এক ধরণের শৃঙ্খলা রক্ষার ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সাধারণ মানুষেরা সেই শৃঙ্খলা মেনেই আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন নিজেদের উপস্থিতিতে।



তবে এ জমায়েত আরও বাড়বে, সে সময়ের কথা ভেবেই একটা কাঠামোতে আন্দোলনকে বেধে ফেলতে হবে। আর কাঠামোটা মূলত কয়েকটি সুস্পষ্ট ঘোষণা এবং সে ঘোষণা কিংবা দাবী আদায়ের পদ্ধতিতে স্পষ্ট অহিংসতার দাবী জানানোর ভেতরে সম্পূর্ণ হবে। মার্চের অসহযোগ আন্দোলনের চেতনা ছিলো সম্পূর্ণ অহিংস, অহিংস অসহযোগের প্রস্তুতি মানসিক ভাবে বাঙালী জাতির ভেতরে আছে কিন্তু এরপরও কোনো কোনো উৎসাহী মানুষেরা এমনটা করে ফেলতে পারে।



এর কৃতিত্ব নিতে উদগ্রীব মানুষেরা মিডিয়ার সামনে কলার নাচিয়ে আমিও ব্লগার বলে আনন্দিত ও নায়ক হয়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় যতটা উৎসাহ আনন্দে জড়িয়ে পড়ছে যেকোনো ভ্রান্তি কিংবা দুর্বলতার দায় এড়াতেও তাদের সমান উৎসাহ থাকবে। এ মুহূর্তে ব্লগাররা যে সম্মান পাচ্ছে এক মুহূর্তের ভুলে সে সম্মান ধুলিস্যাত হয়ে নিতান্ত খলনায়কে পরিণত হলেও হতে পারে তাদের। সেটা বাংলাদেশের তাবত অনলাইন এক্টিভিস্টদের উপরে এসে পরবে।



রাজনৈতিক বিবেচনায় আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি কিংবা জাতীয় পার্টি কেউই জামায়াত শিবির সহ অপরাপর যুদ্ধাপরাধের সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে না। বিএনপি এক ধরণের জোটবদ্ধ অবস্থায় জামায়াতের সাথে জড়িত, তারা এ আন্দোলনে ব্যানার নিয়ে অনুপস্থিত , যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে তাদের অবস্থান সব সময়ই সংশয় তৈরি করেছে। কিন্তু সমেবেত জনতার দাবীর পরেও শাহবাগ মোড় থেকে কোনো স্পষ্ট ঘোষণা না আসাটা অনেক ধরণের প্রশ্নের সূচনা করবে পরবর্তীতে।



রাজনৈতিক ভাবে জনতার দাবীকে উপেক্ষা করে এই মুহূর্তে যুদ্ধাপরাধী সংগঠনগুলোকে রাজনৈতিক ভাবে নিষিদ্ধ না করার স্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থানের সাথে তালগোল পাকিয়ে ফেললে এ সমাবেশের অরাজনৈতিক স্বত:স্ফুর্ত চরিত্রটাও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।



ঘোষণা আসাটা খুব জরুরী, কাঠামোটা তৈরি থাকা জরুরি। বারবার প্রতিটি সমাবেশ থেকে ঘোষণা হওয়া জরুরী আমাদের সম্মিলিত দাবিগুলো, এবং একই সাথে স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন আমাদের আন্দোলনের ধরণটাই স্বত:স্ফুর্ত অহিংস অবস্থান আন্দোলন। এই নৈতিক স্পিরিটের বাইরে গিয়ে যেকোনো হঠকারিতার দায়ভার এই মানুষেরা নিবে না।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৯

আশাবাদী মানুষ বলেছেন: আর আমরা পরবাসীরা রাত জেগে শাহবাগের খবর পড়ে মনে হয় যেন জীবনটাই বুঝি বৃথা গেল শাহবাগে না থেকে।

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১০

বিডি ফুল বলেছেন: এই বিচার মানি না, জামাত মানে না স্কাইপির কারণে, বি এন পি মানে না নিজেদের কারণে, বামেরা মানে না আমরা ও মানি না।
এই ট্রাইবুনাল ভেংগে দাও, এদের কে শাস্তি দাও।

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৪

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: শাহবাগের সাথে আছি।

৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৪

হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: এই জনসমাবেশ এখন শুধু ব্লগার অনলাইন এক্টিভিস্টদের মঞ্চ নয় বরং জনতার মঞ্চ

৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৬

নিকোটিন বলেছেন: অসাধারণ !

৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩২

কৌশিক বলেছেন: বাড়বে যে সেটা নিশ্চিত। আয়োজকরা যদি একটু স্পষ্ট করে দাবীগুলো জানায় তবে সেটা একটা ধারাবাহিক আন্দোলনের সূচনা করবে, হয়তো জন-মানসের সংস্কৃতির এক বড় ধরণের পরিবর্তন ঘটাবে।

আমি আসলে তাকিয়ে আছি এই ব্লগার ও অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টদের মধ্য থেকে সেই মেধাবী লোকটি বেড়িয়ে আসুক - যে আমাদের দিক নির্দেশনা দেবে, আমরা ঝাপিয়ে পড়বো অনলাইনে, অফলাইনে।

আমি নিশ্চিত ক্রেডিবিলিটি নিয়ে আয়োজকদের উৎকণ্ঠিত হবার কোনো কারণ নাই, কেউ আসলে ইতিহাস ছিনতাই করতে পারে না, তাদের যোগ্য জায়গা বাংলার ষোলো কোটি মানুষ ইতোমধ্যে দিয়ে ফেলেছে। তারা কেবল এই কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবীর মধ্যে দিয়ে যে নিজেদের সীমাবদ্ধ করে ফেলবেন - সেটা প্রত্যাশিত নয়।

মানুষ তাকিয়ে আছে। আমরা তাকিয়ে আছি, আমরা তেমন একটা ঘোষণা দেখতে চাই যা নিয়ে আমরা নতুন উদ্দীপনায় মিছিলে নামতে পারবো, দাবী আদায়ের সংগ্রামে নামতে পারবো।

চমৎকার এই লেখাটার জন্য ধন্যবাদ। প্রথম প্যারাগ্রাফ পড়ে ওই মুক্তিযোদ্ধাকে পা ছুঁয়ে সালাম জানাতে চাইছি।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

রাসেল ( ........) বলেছেন: সে সুযোগ হবে না। তিনি সমাবেশ থেকে ফেরার পথে গত ১১ই ফেব্রুয়ারী মারা গেছেন। উৎসুক কৌতুহলী জনতার একজন হিসেবে তিনি প্রথম দিন রাতে আন্দোলনকারীদের সাথে বসেছিলেন শাহবাগের রাস্তায়। হয়তো তোমার সাথে তার দেখাও হয়েছে সেদিন। তাদের দাবী বিষয়ে জানতে চেয়েছেন, তাদের উৎসাহ দিয়েছেন।

৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

যীশূ বলেছেন: এই মুহূর্তে বাংলাদেশে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখানো মানুষদের পরিচয় তারা ব্লগার, তারা অন লাইন এক্টিভিস্ট- দ্বিমত আছে।

এই জনসমাবেশ এখন শুধু ব্লগার অনলাইন এক্টিভিস্টদের মঞ্চ নয় বরং জনতার মঞ্চ- সহমত

ঘোষণা আসাটা খুব জরুরী, কাঠামোটা তৈরি থাকা জরুরি। বারবার প্রতিটি সমাবেশ থেকে ঘোষণা হওয়া জরুরী আমাদের সম্মিলিত দাবিগুলো, এবং একই সাথে স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন আমাদের আন্দোলনের ধরণটাই স্বত:স্ফুর্ত অহিংস অবস্থান আন্দোলন। এই নৈতিক স্পিরিটের বাইরে গিয়ে যেকোনো হঠকারিতার দায়ভার এই মানুষেরা নিবে না। - সহমত

৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

রোকসানা লেইস বলেছেন: দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষ এই ডাকের অপেক্ষায় ছিল।
ভুল যেন না হয়। শুভকামনা

৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

স্পাইসিস্পাই001 বলেছেন: রাজাকারের ফাসি চাই .....

ছাগুমুক্ত সামু চাই......

সবার চোখে বিজয়ের নেশা দেখতে পাচ্ছি......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.