![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইরানের নৌবাহিনী পারস্য উপসাগরের বিশাল অঞ্চলজুড়ে চলমান বেলায়াত-৯১ নৌমহড়া এলাকা থেকে এ পর্যন্ত বহিঃশক্তিগুলোর ৩০টি গোয়েন্দা ড্রোনকে হটিয়ে দিয়েছে। ইরানের নৌবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা এবং এ মহড়ার মুখপাত্র রিয়াল অ্যাডমিরাল আমির রাস্তেগারি এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নানা ধরনের বিদেশি গোয়েন্দা এবং টহল বিমান মহড়া এলাকায় ঢোকার ও গোয়েন্দা তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করেছে। ইরানি নৌবাহিনীর বিভিন্ন স্থলঘাঁটির পাশাপাশি ‘খাতামুল আম্বিয়া’ বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটি থেকে এ বিমানকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
চলমান এ নৌমহড়ার পঞ্চম দিনে মঙ্গলবার ‘কাদের’ ও ‘নূর’ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালানো হয়। ভূমি থেকে সাগরে নিক্ষেপযোগ্য ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র কাদেরের পাল্লা ২০০ কিলোমিটার। কাদের ক্ষেপণাস্ত্রটি শত্রুর যে কোনো যুদ্ধজাহাজের ওপর নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। সাগরের তীর ছাড়া প্রয়োজনে বড় নৌযান থেকেও ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা যাবে।
চলমান বেলায়াত-৯১ মহড়ার মুখপাত্র রিয়াল অ্যাডমিরাল আমির রাস্তেগারি জানিয়েছেন, মহড়া এলাকার কাছাকাছি আসার চেষ্টা করার সময় ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের নৌবাহিনী বহিঃশক্তিগুলোর বেশ কয়েকটি জাহাজকেও সতর্ক করে দিয়েছে। ইরানের ভূমি ও পানিসীমা রক্ষার সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে নৌবাহিনী ৬ দিনের মহড়া চলছে।
এর মাধ্যমে ইরান প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতে চায়। মহড়া চলছে পারস্য উপসাগর, ওমান সাগর, এডেন উপসাগর এবং ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ অংশে। গত বছরও ডিসেম্বরে ইরান ১০ দিনের অনুরূপ মহড়া চালিয়েছিল। এদিকে ইসরাইল এরই মধ্যে ক’বার ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার হুমকি দিয়েছে।
পশ্চিমাদের আশঙ্কা, পরমাণু কর্মসূচির আড়ালে ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে ইরানের সাফ কথা—তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তির উদ্দেশ্যে পরিচালিত।
মিসরের ইখওয়ানুল মুসলেমিনের রাজনৈতিক শাখা ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি বলেছে, আগামী এক দশকের কম সময়ের মধ্যে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অস্তিত্ব ধ্বংস হয়ে যাবে।
ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির উপ-প্রধান এসাম আল এরিয়ান ব্রিটেনের দৈনিক টেলিগ্রামকে দেয়া সাক্ষাত্কারে এ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিন জবরদখলকারীদের মধ্যপ্রাচ্য ত্যাগ করা ও ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাবর্তন করতে দেয়া উচিত। এ সময় তিনি মন্তব্য করেন, দখলদার ইহুদিবাদীরা ফিলিস্তিনিদের নিজ দেশে ফিরে আসার অধিকারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইসরাইলের ইহুদিবাদী আদর্শের ইতি ঘটছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যারা ভবিষ্যত্ আঁচ করতে পারেন, তারাই বুঝতে পারছেন যে, এক দশক বা তার চেয়ে কম সময়ের মধ্যে ইহুদিবাদী ইসরাইল ধ্বংস হয়ে যাবে এবং আমরা বিশ্বাস করি, ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের ভূমিতে ফিরে আসতে পারবে।
এদিকে ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে ইরানের প্রভাব ঠেকানোর জন্য আমেরিকা সম্প্রতি যে আইন করেছে, তার বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তেহরান। ইরান বলেছে, অন্য দেশ বা অঞ্চল নিয়ে মাথা ঘামানো বন্ধ করতে হবে ওয়াশিংটনকে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রমিন মেহনমানপারাস্ত মঙ্গলবার তেহরানে সাংবাদিকদের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘ওই আইন পাসের মধ্য দিয়ে ওবামা প্রশাসন ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রকাশ্যে হস্তক্ষেপ করেছে। এ থেকে প্রমাণিত হয়েছে, বিশ্বে শক্তির ভারসাম্যে যে পরিবর্তন এসেছে—তা এখনও বুঝে উঠতে পারেনি ওয়াশিংটন।
মেহমানপারাস্ত বলেন, ‘আমেরিকা এখনও শীতল যুদ্ধের যুগে বাস করছে এবং ল্যাটিন আমেরিকাকে নিজের নিভৃত আঙিনা মনে করছে। ওয়াশিংটন স্বাধীন দেশগুলোর ওপর নিজের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চায়। কিন্তু সে যুগ বহু আগে শেষ হয়ে গেছে।’
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্কিন সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে এসব দেশকে সম্মান করতে শিখুন। বিশ্বের বিভিন্ন সঙ্কট নিরসনে সব দেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন।’
মেহমানপারাস্ত বলেন, ‘বিশ্বজনমত এখন আর একটি দেশের একক কর্তৃত্ব মেনে নিতে মোটেই রাজি নয়। ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলো তাদের জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে কোন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে, আর কার সঙ্গে রাখবে না।’
গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ওই আইনটি কার্যকর করেন। আইন পাসের পর এ অঞ্চলে ইরানের ক্রমবর্ধমান বৈরী উপস্থিতি ও তত্পরতা মোকাবিলায় ১৮০ দিনের কৌশল প্রণয়নের আহ্বান জানানো হয়। আইনের মূল ভাষ্যে ইরান থেকে হামলা রোধে কানাডা ও মেক্সিকো সীমান্তে মার্কিন সেনাদের নজরদারি জোরদার করতে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতরের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইরানে বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী, কুদস বাহিনী, হিজবুল্লাহ বা যে কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যরা কোনোভাবে যাতে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারে ভাষ্যে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য পররাষ্ট্র দফতর ও গোয়েন্দা বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন, ইরানের অবৈধ তত্পরতা লক্ষ্য করা যায়নি।
এদিকে সন্দেহভাজন পরমাণু কর্মসূচির কারণে ইরানের ওপর এরই মধ্যে বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ২০০৫ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত ওই অঞ্চলে ৬টি নতুন মার্কিন দূতাবাস চালু করা হয়েছে। আর এসব নিয়ে ওই অঞ্চলে মোট ১৯ দূতাবাস ও ১৭টি সংস্কৃতি কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৬
শরৎমেঘ বলেছেন: সাব্বাস ইরান!