নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জনী_দা _ফাজিল

জনী_দা _ফাজিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষকের ৫০০ বেত্রাঘাতে অজ্ঞান কিশোর, হালা তো মাদারচুদ

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫১

Click This Link























চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় ইউছুপ খান নামের এক কিশোর ছাত্রকে বেত দিয়ে পিটিয়ে অজ্ঞান করেছেন এক শিক্ষক। উপজেলার একটি হেফজখানায় আবদুর রহমান নামের ওই শিক্ষক তাকে অন্তত ৫০০ বেত মারেন। একপর্যায়ে ইউছুপ খান অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে পল্লি চিকিৎসক বিপুল দাস তাকে প্রাথমিক চিকিত্সা দেন।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘোড়ামরা গ্রামের ইবনে আব্বাস (রহ.) হেফজখানায়। হেফজখানাটি ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের কাছে। সেখানে শিক্ষার্থীদের কোরআন শরিফ মুখস্থ করানো হয়। যাঁরা শেখান, তাঁরা ‘হুজুর’ বলে পরিচিত।

ইবনে আব্বাস (রহ.) হেফজখানার বড় হুজুর আবদুল মান্নান বলেন, ‘আবদুর রহমান অন্তত ৫০০ বেত মেরেছেন ইউছুপকে। বিভিন্ন অভিযোগের কারণে এক মাস আগে থেকে হাফেজ আবদুর রহমানকে বিদায় করে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে কথা হয়েছে, আজ তাঁকে বহিষ্কার করা হবে।’ এ ব্যাপারে হেফজখানার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে বড় হুজুর আপত্তি জানিয়ে তাঁর সঙ্গেই কথা বলতে বলেন।

পল্লিচিকিত্সক বিপুল দাস বলেন, মার সহ্য করতে না পেরে ইউছুপ জ্ঞান হারায়। পরে ইনজেকশন দিয়ে তার জ্ঞান ফেরানো হয়। ব্যথা কমতে আরও দুই সপ্তাহ লাগবে।

আহত ওই ছাত্রের বাড়ি ফেনীতে। তার পরিবার এখন চট্টগ্রামে থাকে। ইউছুপ খানের ভাষ্য, কিছুদিন আগে ওই প্রতিষ্ঠানের হুজুর আবদুর রহমানের একটি নষ্ট মুঠোফোন হারিয়ে যায়। পরে সেটি খুঁজে পায় সে। ইউছুপ মুঠোফোন সেটটি আরেক আবাসিক ছাত্রের কাছে জমা দেয়। পরে নানি মারা যাওয়ার খবর পেয়ে সে গ্রামের বাড়িতে যায়।

আজ আবদুর রহমান ইউছুপের বড় বোন রুমা আক্তারের কাছে ফোন করে বলেন, হেফজখানা থেকে ছাত্রদের পাঞ্জাবি দেওয়া হচ্ছে। তাই ইউছুপ খানকেও আজ সকাল ১০টার মধ্যে সেখানে যেতে হবে। সময়মতো হেফজখানায় পৌঁছালে হুজুরের অত্যাচার শুরু হয়।

ইউছুপের ভাষ্য, ‘হলে ঢোকার পর হুজুর আমার ব্যাগসহ সবকিছু জব্দ করেন। তারপর অন্য ছাত্রদের দড়ি এনে দিতে বলেন। ছাত্ররা দড়ি এনে দিলে তা দিয়ে আমার হাত-পা বেঁধে বেত দিয়ে পেটাতে থাকেন। অন্তত ৫০০টি বেত্রাঘাত করেন হুজুর। বেত্রাঘাত সইতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।’ তারপর কী হয়েছে, কীভাবে চিকিৎসকের কাছে গেছে এ ব্যাপারে তার কিছু মনে নেই বলে জানায় ইউছুপ।

এলাকাবাসী জানায়, ঘটনার পর হাফেজ আবদুর রহমান পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪২

বংশী নদীর পাড়ে বলেছেন: ওহ্‌ এখনো দিন বদলো না। অত্যান্ত দুখের বিষয়....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.