|
|
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাবা -মাকে নিয়ে আমার পৃথিবী।বাবা-মার অনুভূতি, অস্তিত্ব সবসময় আমাকে আষ্টেপৃষ্টে ঘিরে থাকে, যদিও তাদের কাছ থেকে দূরে থাকি।আমার জন্মের আগে আমার একটা বোন ছিলো, দু বছরে সে মারা যায়।তার স্মৃতি, একাতীত্ব,হয়ত অন্য আরেকটা সন্তানের অপেক্ষায় আমার বাবা-মায়ের কেটেছে আরো কতগুলো বছর।আমার বাবা নাকি সবসময় বলত একটা মেযে আল্লাহ নিয়ে গেছে, আমি আরেকটা মেয়ে চাই।যখন আমার জন্ম হলো আমার পুরো পরিবার আনন্দে ফেটে পড়লো।আমার ছোটবেলায় আমার নানা-নানু নাকি কখনো আমার কান্না সহ্য করতে পারতো না, অস্থির হয়ে যেতো।আমি যখন বুঝতে শিখলাম, সবাই বলতো ওই মেযেটি থাকলে তো কেউ বিশ্বাস করত না এরা বোন।ওই মেয়েটা এত সুন্দর ছিলো, আর এ তো একেবারেই আলাদা।আমার মা হাসতো, আর বাবা বলতো”আমার মেয়েটা মিষ্টি দেখতে!”মাকে দেখতাম মা আমার বোনটার জন্য প্রায় কাঁদে, ওর জামাকাপর বের করে, রোদে দেয়,আবার আলমারিতে রেখে দেয়।প্রতি জন্মদিনে হিসেব করে ও বেঁচে থাকলে কত বছর হতো, এখনও এত বছর পরেও সেই হিসেব আমার মা করে।আমাকে একা কোথাও যেতে তি না, আদরের বাড়াবাড়ি ছিলো যা শাসনের মত।কেউ বেড়াতে নিয়ে যেতে চাইলে আমার মা এলাউ করত না।কি ভিশন খারাপ লাগত তখন, কাঁদতাম।মনে হতো আমার মা এমন কেন, কেন আমার জন্য এত নিয়ম?মা চাকরি করে বলে আমি আমার মার সাথে ঢাকার বাইরে ছিলাম।এস এস সি পাস করার পর যখন বাবার সাথে চলে আসব, সে কি কান্না!আম্মা বলত আমার বুকটা খালি হয়ে যাচ্ছে।ঢাকায় এসে দেখলাম আমার কিছুই ভালো লাগে না, আমি নিজে নিজে কিছুই করতে পারি না,আমি মাকে খুঁজি মনে মনে।বাবা জানতে চাইত মন খারাপ লাগে কিনা, আমি বলতাম না।আমার বাবা আমি অনার্স পাস না করা পর্যন্ত পরীক্ষার সময় আমাকে খাইয়ে দিত, কাটা বাছতে পারতাম না বলে মাছ বেছে দ্তি।বুঝত মার জন্য আমি কস্ট পাই, আমাকে ঘুরতে নিয়ে যেত কিন্তু চাচা-চাচীর বাসায়ও থাকতে দিতে চাইত না।আমার আর আব্বার রুমের মাঝের দরজা রাতে খোলা থাকত, হঠাৎ যদি ভয় পাই, যদি ঠান্ডা লেগে যায়!সবাই বলতো ”মেয়েকে বড় হতে দিচ্ছ না”।অনার্স পাস করে বাইরে মাস্টার্স করার জন্য এপ্লাই করলাম,মা কাঁদে.....অকারনেই জড়িয়ে ধরে থাকে আমাকে।অবশেষে যাওয়া হলো না।পরে বুঝলাম এটা কত ভালো হয়েছে, আমি চলে গেলে বাবা-মার পৃথিবীটা ফাঁকা হয়ে যেত।এখন আমি আতœনির্ভরশীল, নিজের টেক কেয়ার করতে পারি।এখন বাবা-মাকে ঘিরেই পৃথিবী।এখন ভাবী,আমার মা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মা হয়ত সবাই এমন ভাবে।আমি যখন মার কাছে যাই...ফিরে আসার সময় যতক্ষন দেখা যায় ফিরে দেখি মা দাঁড়িযে আছে, পাশে বসে বাবা বাবা খেয়াল করে।বাবার অভিমান আমি নাকি মাকে বেশী ভালোবাসি।আসলে দুজনকেই ভালোবাসি..মাকে মনে হয় আমার প্রথম সন্তানআর আমার অভিমানী লক্ষী বাবাটাকে কি ভিশন ভালোবাসি আমি।সবসবময় আল্লাহকে বলি”আল্লাহ তুমি আমার বাবা-মাকে ভালো রাখ, বাঁচিয়ে রেখো..যতদিন আমি বাঁচব, না হয় আমি কেমন করে বাঁচব, আমার পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যাবে” ।ভাবলেই সব ঝাপসা হয়ে যায়। ইদানীং বাবা-মার স্বপ্ন পূরণ করতে পারছি না,আমি জানি আমার চিন্তায় মা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন।কিছু করতে পারি না,শুধু ডাক্তারের কাছে দৌড়াই।ব্যর্থ আমি, শুধু ঈশ্বরের সাহায্য পাব বলে অপেক্ষায় থাকি।অসহায়ের মত বাবা-মায়ের কষ্ট অনুভব করি।বলতেও পারি না”মা গো আমি সব কষ্ট মুছে দিব।”মনটা অস্থির হয়ে আছে...কাল বাবা-মার কথা শুনিনি বলে।
৩০ টি 
+১২/-০২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩০
এলোমেলো বলেছেন: সবার মা ই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মা
সবার মার জন্য দোয়া
৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩১
নাজিরুল হক বলেছেন: পড়ে ভাল লাগলো। আপনার বাবা মায়ের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
মা বাবা ভাই বোন, সেই পৃথিবীতে আর কেউ নাই? 
৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩১
জোনাকি বলেছেন: কেমছো জতা?
৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৩
অচেনা বাঙালি বলেছেন: এফেকশনের(বাংলাটা মাথায় আসছে না) কি অপূর্ব প্রকাশ। যেন একেবারে হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে উঠে আসা শব্দে মালা গেথেছ। খুব ভাল লিখেছ।
কামনা করি তোমার মা শিঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবেন।
৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৩
সামী মিয়াদাদ বলেছেন: হৃদয় ছুয়েছেন...অসাধারণ...
৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৩
জয়িতা বলেছেন: সবাইকে ধন্যবাদ।আসলে মনটা অস্থির হয়ে আছে।
৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৪
সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন: ৫
'মধুর আমার মায়ের হাসি চাঁদের মুখে ঝরে
মাকে মনে পড়ে আমার মাকে মনে পড়ে'
৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৪
জয়িতা বলেছেন: দোয়া করো।@সবাই
১০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৬
এলোমেলো বলেছেন: অস্থির লাগলে ১গ্লাস পানি খেয়ে চোখ বন্ধ করে চুপচাপ বসে থাকুন
১১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৮
জয়িতা বলেছেন: সারারাত চোখ বুজে ছিলাম---ঘুম আসেনি, কষ্ট দেই আবার নিজেই কষ্ট পাই।@এলোমেলো
১২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৯
নাদান বলেছেন: দোয়া রইলো। মায়ের কথা মনে করিয়ে দিলেন।
১৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৪৬
ভুইয়া বলেছেন: আমারও একই অবস্থা... মাকে রেখে যেতে মন চায় না... তাই দেশেই চাকরি করছি... আর মায়ের হাতের রান্না খাচ্ছি... কি শান্তি...
১৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৫৭
বিবর্তনবাদী বলেছেন: ভাল লাগল। ইনশাল্লাহ্
১৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:০২
অন্যরকম বলেছেন:
১৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:০৪
রুধীণ বলেছেন: আমি আমার মাকে নতুন করে উপলব্ধি করেছি নিজে মা হবার পরে। বাবা মা সন্তান সম্পক গুলো কেবলই অনুভবের। একদম অন্যরকম।
১৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:০৫
অন্যরকম বলেছেন:
১৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:০৭
অন্যরকম বলেছেন: আমার কমেন্ট আহে না কেন? 
১৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:০৮
রাশেদ বলেছেন: ভালো থেকো আর তোমার বাব মা দুজনের জন্য দোয়া রইলো।
২০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:২৮
আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: ভাল লাগলো।
২১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:৪১
ছায়ার আলো বলেছেন: আপনার বাবা/মা'র জন্য দোয়া করি।
দু:খ জনক হলো, আমার মাকে আমি সবচে বেশি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু পৃথিবী'র সবচে তুচ্ছ বিষয়ে সবচে অনর্থক রাগারাগিটা সবসময় আমার মায়ের সাথেই করি...আপনার পোস্ট পড়ে খারাপ লাগছে।
২২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১২:৪৩
মোসতফা মনির সৌরভ বলেছেন: ৫, সব ঠিক হয়ে যাবে।
শুভকামনা রইল আপনার বাবা মা'র জন্য।
২৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১২:৪৩
মোসতফা মনির সৌরভ বলেছেন: ৫, সব ঠিক হয়ে যাবে।
শুভকামনা রইল আপনার বাবা মা'র জন্য।
২৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৭ সকাল ১০:২৩
জয়িতা বলেছেন: সবাই...বাবা-মাকে ভালোবাসে।সবার বাবা-মাই ভালো থাকুক।দোয়া করি।
২৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:১৭
রাহুল বলেছেন: বড় ভাগ্যবতী তুমি।একাই সব আদর পাইছ।আরগ্য কামনা করি ,আবার যাতে তোমাকে আদরে আদরে আহ্লাদি করে তুলেন।
২৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৪৭
প্রচেত্য বলেছেন: মনটা ছুয়ে গেল
শ্রদ্ধা রইল আপনার বাবা-মা'এর প্রতি
২৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:০৯
শাহানা বলেছেন: এতো দিনে হয়তো সমস্যা মিটে গেছে। না হলে বলতাম, বাবা মাকে বুঝিয়ে চেষ্টা করে দেখুন, হয়তো, আপনার কথায় মত দিবেন।
২৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:২৫
জয়িতা বলেছেন: @রাহুল, আদর, আল্হাদের সাথে স্বপ্নও থাকে, সেখানেই অপরাধী লাগে নিজেকে।
@প্রচেত্য, ধন্যবাদ।
@শাহানা,বাবা-মায়েরা কখনও অবুঝ হন।ঈশ্বরও চোখ বুজে থাকেন।
২৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:২৫
তানজু রাহমান বলেছেন: আমিও একমাত্র সন্তান। পড়ে মনটা কেমন জানি করে উঠল। আমি আপনার মতো লক্ষী নই।
৩০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:০৪
শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: একবারে ই অসম্ভব না হলে বাবা মার কথাটি শুনলেই হয়। আর যদি শোনা সম্ভব না হয়, বুঝিয়ে বলুন। দু পক্ষের ই কষ্ট কমবে। যে কোন সমস্যায় আলোচনা করলে সমস্যা মিটে যায়।
জানিনা সমস্যা টি এখনো আছে কিনা তবু পন্ডিতি করলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:২৯
প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব বলেছেন: কিছুই বলতে পারছি না ...