![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফাইব্রোমায়ালজিয়া
ফাইব্রোমায়ালজিয়া একটি স্বাস্থ্য সমস্যা যা সাধারণত: বয়স বাড়ার সাথে সাথে দেখা দেয়। সাধারণত: মহিলাদেরই এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে।
ফাইব্রোমায়ালজিয়া কি?
-ফাইব্রোমায়ালজিয়া হলো মাংসপেশী, অস্থি বন্ধনী (Ligaments) এবং শিরাগুচ্ছ দিয়ে হাড় অথবা অন্য অঙ্গের সাথে মাংসপেশী আবদ্ধ থাকে (Tendons) এমন সব অংশে দীর্ঘস্থায়ী তীব্র ব্যথা হওয়া। এছাড়া অবসাদগ্রস্থতার পাশাপাশি অল্প চাপেই শরীরে ব্যথা অনুভূত হয়।
ফাইব্রোমায়ালজিয়া হয়েছে কি করে বুঝবেন?
-আবহাওয়া, মানসিক চাপ, শারীরিক কার্যক্রম, দিনের সময় ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে ফাইব্রোমায়ালজিয়ার উপসর্গগুলো ভিন্ন হয়।
ফাইব্রোমায়ালজিয়া হলে সাধারণত: যেসব লক্ষণ ও উপসর্গ গুলো দেখা দেয়:
-মাংসপেশীতে অবিরাম হালকা ব্যথা (Dull ache)। এরপর শরীরের উভয় পাশে এবং কোমরের উপরের ও নিচে তীব্র ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে।
শরীরের কোন কোন অংশে আবার চাপ পড়লেই ব্যথা করে। শরীরের এসব অংশগুলো হলো:
-মাথার পিছনে
-কাঁধের চ্যাপটা হাড়ের মাঝে (Between shoulder blades)
-কাঁধের উপরে
-গলার সামনের দিকে
-বুকের উপরিভাগে (Upper chest)
-কনুইয়ের বাইরের দিকে (Outer elbows)
-নিতম্বের উপরিভাগে (Upper hips)
-নিতম্বের পাশে
-হাঁটুর ভিতরের দিকে (Inner knees)
-অনেক ঘুম হবার পরও ক্লান্তি এবং অবসাদ অনুভব করা
কখন ডাক্তার দেখাবেন?
-উপরোক্ত উপসর্গগুলি দেখা দেয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কি ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে?
-শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা
-রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা
কি ধরণের চিকিৎসা আছে?
-রোগের ধরণ, মাত্রা এবং বয়সের উপর রুগীর চিকিৎসা নির্ভর করে। চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:
-ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন
-ফিজিও থেরাপী
-শারীরিক ব্যায়াম
-কাউন্সেলিং
জীবন-যাপন পদ্ধতি
-মানসিক চাপমুক্ত থাকার জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে, দীর্ঘ শ্বাসের ব্যায়াম (Deep-Breathing exercises) করতে হবে
-পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যেতে হবে এবং ঘুম থেকে উঠতে হবে
-প্রতিদিন ব্যায়াম যেমন-হাঁটা, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালাতে হবে
কাজের একটা নির্দিষ্ট মাত্রা বজায় রাখতে হবে। অতিরিক্ত কাজ করা যাবে না
-স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন পদ্ধতি বজায় রাখতে হবে । এজন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে, চা কফি জাতীয় দ্রব্য কম গ্রহণ করতে হবে এবং যেসব কাজ উপভোগ করা যায় তেমন কিছু করতে হবে।
সচরাচর জিজ্ঞাসা
প্রশ্ন .১ . ফাইব্রোমায়ালজিয়া হওয়ার কারণগুলো কি কি ?
উত্তর. ফাইব্রোমায়ালজিয়া হওয়ার কারণগুলো হলো :
-বংশগত কারণ
-কোন কোন অসুখ বা সংক্রমণ
-শারীরিক ও মানসিক আঘাত
প্রশ্ন .২. কাদের ফাইব্রোমায়ালজিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি ?
উত্তর. যাদের ফাইব্রোমায়ালজিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে তারা হলেন :
-মহিলাদের
-বয়ঃপ্রাপ্তির প্রাথমিক ও মধ্য পর্যায়ে। এছাড়া শিশু ও বয়স্কদেরও হতে পারে
-যাদের রাতের বেলা ঘুম হয় না
-যাদের পরিবারে এ রোগের ইতিহাস আছে
-যাদের বাত অথবা লুপাস আছে
প্রশ্ন. ৩. ফাইব্রোমায়ালজিয়া থেকে কি ধরণের জটিলতা দেখা দিতে পারে ?
উত্তর. ফাইব্রোমায়ালজিয়া থেকে অন্য কোন মারাত্মক অবস্থা বা রোগের সৃষ্টি হয় না। তবে এর ফলে সাধারণত: যেসব জটিলতা হতে পারে সেগুলো হলো:
-ব্যথা
-বিষন্নতা
-দীর্ঘস্থায়ী অবসাদগ্রস্থতা
-এন্ডোমেট্রিওসিস (Endometriosis)
-মাথা ব্যথা
-অন্ত্রের পীড়া (Irritable bowel Syndrome)
-লুপাস (Lupas)
-গিঁটে বাত
-বাত
-পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটা
(সংগৃহীত)
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৪
অগ্নি সারথি বলেছেন: হুম!