![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সময় কেটে গেছে ভুলতে পারিনি আজো তাকে , প্রতিচ্ছায়ায় আছো তুমি স্বপ্ন হয়ে আজো বেঁচে । ক্লান্তি আমায় স্বপ্ন দেখায় তোমায় নিয়ে কাঁদতে শেখায় , গল্প মাঝে হারিয়ে গেলে খুঁজি তোমায় আবার পাবো বলে । রাতের শেষ হয়না যে আজ বিষণ্ণতার এই অবসাদ , নীল জোছনা কে আজো বলি হয়তো ফিরে আসবে তুমি । অবসাদে তোমার পায়ের হাসি চিলতে রোদের মত হাতছানি , অবোধ চোখে খুঁজি তোমায় হারিয়ে যাওয়া বোকা চাহনি । হুয়তো রাতের পথের শেষে দাঁড়িয়ে তুমি রুক্ষ বেশে , ডাকছ তুমি পারিনা যে আজ চলতে হারিয়ে গেছি পথের মাঝে । শেষ হবে কবে কথার ভ্রান্ত প্রলাপ তোমার আমার , ছায়ার শরীর আমার সময়ে মিশে তোমার রাতে হারায় শেষে । ধ্রুবতারা হয়ে ক্লান্ত তুমি মরীচিকার মত মিছে আলাপনি , আজো কেন তোমায় ভালবাসি কেন তবে আজো ভুলতে পারিনি । অবসাদে তোমার পায়ের হাসি চিলতে রোদের মত হাতছানি , অবোধ চোখে খুঁজি তোমায় হারিয়ে যাওয়া বোকা চাহনি । ~~~~~ শয়ন জামালপুর
তোমার আপুর ক্লাস
চলছিল আমাদের ক্লাসের পাশের
ক্লাসে, আর তুমি আমাদের
ক্লাসের দরজার
সামনে দাড়িয়ে অভিনয় দেখছিলে।
কি নাম তোমার ? -স্যার
জিজ্ঞ্যেস করলেন
জুঁই -তোমার সুন্দর
করে দেওয়া উত্তর
এবার স্যার তোমাকে অভিনয়
করতে বললেন আর
তুমি নির্দিধায় অভিনয়
করে দেখালে। হাততালিতে ক্লাস
ভরে উঠল…
একই গ্রামে হলেও তোমাদের
বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে বেশ
দূরে হওয়ার জন্য
আমি তোমাকে ভালো করে চিন
তাম না। তোমার আপুকে অবশ্য
আগে থেকেই চিনতাম কারন
উনি আমাদের স্কুলেই পড়তেন।
যা হোক
তুমি প্রাইমারি পেরিয়ে ভর্তি হল
ে দুরের সরকারি হাইস্কুলে।
আর তাই স্কুলে যাবার সময়
প্রায় রোজই দেখতাম
তোমাকে । ঐ একবার দেখার
জন্য আমি রাস্তায়
দাঁড়িয়ে থাকতাম অনেক্ষন- কখন
তুমি যাবে, ততদিনে কেন
জানিনা ভালবেসে ফেলেছি তোমা
কে ! যদি প্রশ্ন কর কেন
ভালবেসেছিলাম- বলব জানিনা।
আর সেই
ভালবাসাটা আজো আছে….
আস্তে আস্তে জানতে পারলাম
তুমি নাকি খুব ভালো ছাত্রী,
আর তাই তোমাকে গ্রাম
থেকে ৬কিলোমিটার দূরে শহরের
সরকারী স্কুলে ভর্তি করা হয়েছে।
যদিও আমিও তখন গ্রামের
নামকরা ছাত্র ছিলাম, ক্লাস
রোল কখনো ১ ছাড়া ২ হয়নি,
তবুও তোমার মত
কখনো ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাই
নি, তোমার মত
সরকারি স্কুলে ও পড়তাম না।
যখন ক্লাস নাইনে উঠলে তখন
তুমি তোমার বাড়ির সবাইর
সাথে ঐ
শহরে যেয়ে থাকতে লাগলে -কারন
সামনে তোমার এস এস
সি পরীক্ষা। যাতায়াতের জন্য
পড়াশুনার অসুবিধা হবে তাই। আর
তো তুমি আমাদের স্কুলের
সামনে দিয়ে যাবে না।
তাহলে তোমাকে দেখব কি করে?
কিন্তু না দেখলেও তো হবে না।
কারন এতদিন
দেখতে দেখতে তুমি যে আমার
মনের একটা অংশ হয়ে গেছ !
আমি তখন টেন এ পড়ি।
জানতে পারলাম
তুমি নাকি বিজ্ঞান বিভাগ
নিয়েছ। আমিও বিজ্ঞান
বিভাগের ছাত্র। তাই
ভালো লাগল তুমি বিজ্ঞান
নিয়েছ জেনে। কিন্তু
তোমাকে দেখি কি করে?
খোজ নিলাম তুমি কোন কোন
স্যারের কাছে প্রাইভেট পড় ।
চেষ্টা করতাম যখন
তুমি যে রাস্তা দিয়ে যাবে, সেই
রাস্তা দিয়ে যাবার।
তোমাকে দেখার আনন্দ
আদৌ আমি ভাষায় প্রকাশ
করে বুঝাতে পারব না। কিন্তু
কখনোই কিছু
বলতে বা বুঝতে দিতে চাইতাম না,
তুমি কি মনে করবে এই ভেবে।
আশাই
আছি তুমি এস,এস,সি, টা পাস
করে কবে আমাদের
কলেজে এসে ভর্তি হবে।
তুমি এলে এবার আর চুপ
করে থাকব না।
না বলা ভালোবাসাটার
কথা জানাবোই। কেমন
করে তোমার
সাথে কথা বলা আরম্ভ করা যাবে,
কিভাবে তোমাকে খুশি করা যাবে,
ইত্যাদি কল্পনায় আমার ১ম
বর্ষের ক্লাস প্রায় শেষের পথে।
সামনে ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা।
প্রস্তুতি ও ভালো, কিন্তু
আমার মত দুর্ভাগার জন্য
ভালো বলে মনে হয় কিছু নেই।
আকস্মিক অসুস্থতার
প্রচন্ডতায়
হাসপাতালে ভর্তি হতে হল
আমাকে। অনেকদিন ছিলাম, আর
এর মদ্ধে ইয়ার ফাইনাল
হয়ে গেলো। আব্বু আম্মু
সান্তনা দিলেন।
কিভাবে যে কি হয়ে গেলো আমি
আজো বুঝতে পারি না। আর
তোমাকে ভালোবাসার
কথা বলা তো দূরে থাক, ভাবতেই
কষ্ট হত। আমি কি করে তোমার
উপযুক্ত হই?
পরীক্ষা দিতে পারলাম না,
আসলে দিলাম না। টেস্ট
পরীক্ষা না হয় খারাপ হয়েছিল,
প্রিন্সিপাল স্যার না হয়
বকেছিলেন, তাই
বলে পরীক্ষা না দিবার জেদ
টা আমার করা উচিত হয় নি। আর
এসব কিছুর পর তোমাকে কিছু
জানানোর চিন্তা পুরোপুরি বাদ
দিলাম। আমার মতো ছেলের
তোমার সাথে সম্পর্ক হয়
কি করে ? তাই
বলে ভেবোনা ভুলে গিয়েছিলাম,
আসলে একদিনের জন্যও
বোধহয়
ভুলে থাকতে পারিনি তোমাকে….
jui jamalpur.. js shoyon
©somewhere in net ltd.