![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি যাচ্ছি কল্যানপুর। রিকশায় একদম ঘেমে গেছি। গরমটাও পড়েছে কাঠফাটা। একটা ফ্লাট সেলের ব্যাপারে যাচ্ছি। চাকরি করি মার্কেটিং এ। বেশির ভাগ সময় বাইরেই কাটাতে হয়। ছোটবেলা থেকে জেনে আসছি চাকরি মানে টেবিলে বিভিন্ন ফাইল নিয়ে কাজ করা। চাকরি হচ্ছে কাগজে কলমে। বাস্তবতার রূঢ়তায় জানতে পারলাম পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের কাজ মানে চাকরির রকমফের রয়েছে। এখন আর এসব নিয়ে ভাবিনা, ভাবার অবকাশ পাই না। যে প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ ভাবতে গেলে এখান থেকেও পিছিয়ে পড়তে হবে। শুনেছি বাইরের কোন একটি দেশে মানুষ মোবাইল টয়লেট পিঠে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। এটাই তার চাকরি। তার জীবন ধারনের মাধ্যম। সেই তুলনায় তো ভালো আছি। আমিও তার মতো বাহিরে ঘুরে বেড়াই কিনÍু টয়লেট নিয়ে নয়। তবে আমাকে শিক্ষিত আধুনিক স্মার্ট হকার বলা যায়। কি আর করা! চাকরি করেই যেহেতু পেট চালাতে হবে।
ক্রেতা প্রবাসী। বউ ছেলে মেয়ে থাকে এখানে।মিসেস জুলি তার ওয়াইফ। ত্রিশোর্দ্ধ মহিলা। কথাবার্তায় বেজায় স্মার্ট, চটপটে। নিজেকে প্রকাশ করতে ভালোবাসে। এর আগে দুদিন উনার সাথে কথা হয়েছে। বেশ ভালোই খাতির হয়েছে বলা যায়। শেষের দিন তো অনেকক্ষণ গল্প গুজব হয়। এমনকি অনেক ব্যক্তিগত প্রসঙ্গও উঠে আসে। আমাকেও চালিয়ে যেতে হয় যেহেতু ক্লায়েন্টকে খুশি করারও একটা ব্যাপার আছে। ফ্লাটটি সেল করতে পারলে খুবই ভালো। বড় অংকের একটা কমিশন পাওয়া যেত। যা আমার জন্য এখন খুবই প্রয়োজন।
ভদ্রমহিলা আমাকে আজকে যেতে বলেছেন। একটু সকাল সকালই আমি চলে এসেছি। কলবেল বাজাতেই উনি সাথে সাথে দরজা খুলে দেয়। যেন আমারই অপেক্ষা করছিলেন। ভিতরে বসতে বলে। ফিরে আসে একটু পরে। হাতে ঠান্ডা জুস। দেখেই আমার শরীরটা জুড়িয়ে যাচ্ছে। আমি ঘেমে একদম নেয়ে গেছি।
‘বাইরে অনেক গরম, তাই না!’ মিসেস জুলির বোধহয় আমার অবস্থা দেখে অনেক মায়া হচ্ছে।
‘প্রচন্ড। জুসের জন্য ধন্যবাদ।’ এক ঢোকে জুসটা শেষ করে গ্লাসটা আমি মিসেস জুলির হাতে তুলে দেই। উনি গ্লাস নেবার বাহানায় আলতো আমার হাতে একটু ছোঁয়া দিয়ে দেয়। আমি নড়েচড়ে বসি।
‘আর বলবেন না- যে গরম আমারই ইচ্ছে করছে জামা কাপড় খুলে ফেলতে। অসহ্য লাগছে।’
আমার গা দিয়ে ছোটখাটো একটা ইলেকট্রিক শক বয়ে যায়। মহিলা হাসছে।
‘সে কী! বাসায় আর কেউ নাই!’
‘উহু।’
‘আপনার ছেলে মেয়েরা!’
‘ওরা স্কুলে।’
‘তাহলে আর কি জামা কাপড়গুলোকে কিছুক্ষণ বিশ্রাম দিন।’ আমি হেসে বলি। ধীরে ধীরে খেলা শুরু করাই ভালো।
‘একা একা এভাবে আপনার খারাপ লাগেনা।’ আমি জিজ্ঞেস করি।
‘তা আর বলতে বৈকি। প্লেয়ার চাই প্লেয়ার।’
বাহ, খেলা মনে হয় ভালাই জমবে। হঠাৎ জুলি প্রসঙ্গ পাল্টে ফেলে।
‘ আচ্ছা ফ্লাট আপনারা কবে হ্যান্ডওভার করতে পারবেন!’
‘এ বছরের শেষের দিকে।’
‘আপনার হাতে সময় আছে তো! কিছু সময় গল্প গুজব করতাম। মানুষের সাথে খুব কম মেলামেশা আমার। বোঝেনইতো হাসব্যান্ড থাকে দেশের বাইরে।’
‘আমি অবশ্য এখন ডিউটিতে আছি। কিন্তু আপনাকে সময় দেয়া আমার ডিউটিরই একটা অংশ এবং আরো কিছু যদি আপনি ডিসায়ার করেন।’ মনে মনে বলি ফ্লাটটি সেল করতে হবে।
মিসেস জুলির ঠোঁটে প্রশ্রয়ের হাসি। আমার পাশে এসে বসে। আমার হাঁটুতে হাত রাখে। আরো ঘনিষ্ঠ হতে চায়। তার উষ্ণ নিশ্বাস আমাকে আরো উষ্ণ করছে। কখন যেন দু‘জোড়া ঠোঁট এক হয়ে যায়।
মিসেস জুলি উঠে দাড়ায়। সে যে কাজটি করতে চাচ্ছ আমি তাতে বাতাস প্রবাহিত করি।
‘আপনার না গরম লাগছে!’
‘তার আগে বলুন আমাকে কেমন দেখাচ্ছে।’
‘অনেক সুন্দর।’
‘কিভাবে বুঝলেন!’
‘এই যে আপনাকে দেখে।’
‘আমার তো কিছুই দেখলেন না! মেয়েদের আসল সৈান্দর্য অন্যত্র। কি দেখতে চান!’
জুলি নাটকীয় একটা আবহ আনার চেষ্টা করছে। আর আমি বুঝতে পারছি বস্ত্র উন্মোচনের যে আর্ট সেটা জুলির বেশ ভালোই রপ্ত আছে এবং আমাকে প্রদর্শণ করতে চাচ্ছে। এজন্যই এতো আয়োজন। জুলি আমার দিকে পিছন ফিরে দাঁড়ায়। ধীরে ধীরে একের পর এক অংশ উন্মুক্ত করে। আমার শরীরে বয়ে যাচ্ছে শিহরণ।
‘আপনি চোখ বন্ধ করুন। যখন বলবো তখন খুলবেন।’
তার কথা মতো আমি কাজ করি। কিছু সময় অতিবহিত হয়। আমার মাঝে কি এক তাড়না! যা প্রতিটি পুরুষকেই নাড়া দেয়। লক্ষবারেও যা দেখার আশ মেটেনা। শুধু দেখার অপেক্ষাই করে যায়। আমি বুঝতে পারছি ইচ্ছে করেই জুলি আমাকে অপেক্ষায় রাখছে। একটু খেলছে।
‘এবার চোখ খুলুন।’ তার কন্ঠে দুষ্টুমি।
আমি আর এক মুহূর্তও সেখানে অপেক্ষা করিনা। এর মাঝেই দেখা হয়ে গেলো নারী জীবনের কুৎসিত পর্যায়।
স্ফীত পেটে দাঁড়িয়ে জুলি পিছন থেকে বলে,‘ ফ্লাট সেল!’
‘আরেকজনকে পাঠাবো।’
tanim zubair
All rights reserved
২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৩
গরম কফি বলেছেন:
ভালো. শেষে আরেকটু নাটকীয়তা আশা করছিলাম ।
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৪
শিল পাটার ঘষাঘষি বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে একটা মন্তব্য করেছিলাম, কিন্তু আপনি দেখলাম সেটার জবাব দিলেন না।
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬
শিল পাটার ঘষাঘষি বলেছেন: কাল্পনিক ভাই, আপনার কল্পনা শক্তিকে কাজে লাগান। ব্যাপারটা ঠিকই ধরতে পারবেন। আপনার মূল্যবান মন্তব্য এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: লেখাটা পড়তে ভালোই লাগছি। বেশ একটা আগ্রহ এক দম শেষ পর্যন্তই ছিল। তবে আমি লাস্টের ব্যাপারটুকু ঠিক ধরতে পারি নি। সেলস এজেন্টটি তার ক্লায়েন্টের সাথে কি করল সেটা বুঝতে পারছি না।
একটু যদি বুঝিয়ে বলতেন, তাহলে পূর্নাঙ্গ মন্তব্য করতে পারতাম।