![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অফিসটাতে ঢোকার মুখে বাধা পাই। গার্ড আটকে দেয়। দুজন গার্ড। অন্যজন আরেক দর্শনার্থীকে নিয়ে ব্যস্ত। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে কোনো ভি আই পি অঞ্চলে প্রবেশ করতে যাচ্ছি।
‘কই যাবেন!’ গার্ডের বাজখাই কন্ঠ। মনে ভয় ধরিয়ে দেয়।
‘মৃত্তিকা প্রকাশনী।’
‘কার কাছে!’
‘জি¦, প্রকাশকের কাছে।’
‘অ্যাপয়েনমেন্ট করে এসেছেন!’
‘না।’
‘তাহলে সম্ভব না।’
‘ আমি অনেক দূর থেকে এসেছিলাম।’ মনে হয় না কথায় চিড়ে ভিজবে।
‘আরে মামা আপনি!’
অপর গার্ডটি এগিয়ে আসে। আমি তাকে চিনতে পারি। কোনো এক অফিসে এমন পরিস্থিতিতেই তার সাথে পরিচয় হয়েছিলো। যাক ভালোই হলো।
‘হ্যা মামা, কেমন আছেন!’ আমি তার আপন হতে চেষ্টা করি।
‘আছি কোনোরকম। তা আপনি কার কাছে যাবেন!’
‘প্রকাশকের সাথে একটু দেখা করতাম।’
‘সমস্যা নাই, যান।’
প্রথম গার্ডটি এখনও ইতস্তত করছে। আমি বিজয়ীর হাসি হেসে ভিতরে ঢুকে যাই। রিসিপশনে বলতেই সে আমাকে প্রকাশকের রুমে নিয়ে যায়। বিশাল টেবিলের ওপারে প্রকাশক সাহেব বসে আছেন। আমি তাকে সালাম দেই।
‘কি চাই!’
‘জ্বি, আমি একটা সৃজনশীল বই প্রকাশের ব্যাপারে এসেছি।’
‘কি করেন আপনি!’
‘লেখালেখি করি।’
‘সেটা না। এমন কিছু বলেন যাতে আমি আপনার সামাজিক অবস্থানটা অনুমান করতে পারি।’
‘জ্বি, একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি।’
‘বেতন পান কত?’
‘পনের হাজার।’ বুঝতে পারছিনা- বই ছাপানোর সাথে এসবের কি সম্পর্ক!
‘হবে না। যান।’
‘আমি অনেক ভালো লিখি। পান্ডুলিপি সাথে করে নিয়ে এসেছি। যদি একটু পড়ে দেখতেন!’
‘ আমার সময় নষ্ট করবেন না। যা বলার আগেই বলে দিয়েছি।’
‘প্লিজ।’
প্রকাশক রিসিপশনিস্টকে ডেকে পাঠায়। আমি ভাবছি তার মন হয়তো আর্দ্র হয়েছে। অপেক্ষা করতে বলবে।
‘একে ভিতরে ঢুকিয়েছে কে? তুমি!’
‘না স্যার। কোনো গার্ড মনে হয় ঢুকিয়েছে। আর কেউ অফিসে ঢুকে পড়লে আমিতো আর না করতে পারিনা। গার্ডকেইতো সবকিছু বলে আসতে হয়। কে ঢুকতে পারবে সেটা তো গার্ডের উপরেই।’
রিসিপশনিস্ট হাপাচ্ছে আর আমি প্রমাদ গুনি। এ কোথায় এসে পড়লামরে বাবা!
‘গার্ড দুজনকে ডেকে পাঠাও।’
জ্বি স্যার বলে রিসিপশনিস্ট মেয়েটি চলে যায়। আমি বুঝতে পারছিনা কি করবো! গার্ড দুজন আসে। কাচুমাচু ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে। পরিস্থিতি বেশি ভালো না। প্রকাশক সাহেবের পুনরায় একই প্রশ্ন।
‘একে ভিতরে ঢুকতে দিয়েছে কে?’
দুজনেই চুপ। মাথা নিচু করে আছে। কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয় গার্ডটি মাথা উঠায়।
‘স্যার আমি।’
‘তোর চাকরি নট। তল্পি তল্পা গুছিয়ে চলে যা।’
আমি আছি খুবই অস্বস্তিকর পরিবেশে। আমার জন্য বেচারার কত বড় ক্ষতি হয়ে গেলো!
‘ভাই, আমার বই ছাপাতে হবেনা। তবে একটা অনুরোধ ওর কোনো দোষ নেই। আমিই জোর করে ঢুকেছি।’
আমার অনুনয় দেখে প্রকাশকের মন একটু নরম হয়েছে।
‘ঠিক আছে। তোরা দুজন এখন যা। আমি পরে এ বিষয়ে ভেবে দেখবো।’
আমিও উঠে পড়ি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পালাতে পারলেই বাঁচি।
‘তুমি বস।’
আমার আর বসার কোনো ইচ্ছে ছিলো না। লোকটির তুমিতে চলে আসায় ভয় পাচ্ছি। সেই ভয়ের চোটেই বসে পড়ি। না জানি কি ঘটতে চলছে!
‘তোমাকে বসতে বলেছি তার মানে এই না যে তোমার বই আমি ছাপাবো। আমার সময় যেহেতু নষ্ট করেই ফেলেছ- তাই কয়েকটা উপদেশ শুনে যাও। যাতে আমার মতো অন্য কারো সময় নষ্ট করতে না পারো।’
‘জ্বি স্যার বলুন।’ মনের অজান্তেই আমি উনাকে স্যার সম্বোধন করে ফেলি।
‘প্রথমত লেখালেখি সমাজের প্রতিষ্ঠিত মানুষের বিলাসিতা। বিত্তশালী, নামী, দেশ বরেণ্য ব্যক্তিরা লেখালেখির মাধ্যমে তাদের সৌখিনতা ফুটিয়ে তুলবে।’
‘জ্বি, তাতো অবশ্যই।’ আমার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়ে লোকটি খুশি হয়।
‘আমার প্রথম উপদেশ হচ্ছে একটা পিএইচ ডি ডিগ্রী অর্জন করে ফেলো।’
‘পিএইচ ডির মাধ্যমে কি লেখালেখির কলাকৌশল শেখা যাবে!’
‘না সেটা না। যে কোনো বিষয়ের উপর একটা পিএইচ ডি থাকলেই হলো। তাহলে মানুষ তোমার বই পড়বে। ছাই পাশ কি লিখেছ সেটা বিবেচ্য নয়। আর একটা কথা- আমি তোমার সাথে শুধুমাত্র সৃজনশীল লেখার ব্যাপারেই কথা বলছি। যেহেতু তুমি এর প্রস্তাব নিয়েই এসেছিলে। প্রবন্ধ, আর্টিকেল, কলাম এর অন্তর্ভূক্ত নয়। কি সম্ভব হবে! আমি তোমাকে ভবিষ্যত সৃজনশীল লেখক বানানোর জন্য গাইডলাইন দিচ্ছি। নট ফোর নাও। সম্ভব হবে!’
‘জ্বি না।’ মনে মনে বলি প্রতিবারের জন্য তুমি একই উত্তর পাবে।
‘ও কে। ডোন্ট ওরি। আরও সুযোগ আছে। দ্বিতীয় উপদেশ হলো- কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের শিক্ষক হয়ে যাও। বাংলার সাথে নাড়া চাড়া করার ফলে তুমিও অটোমেটিক লেখক হয়ে যাবে। বাংলা বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে তোমার প্রতি মানুষের একটা আস্থা আসবে তোমার বই পড়বে। এটা কি সম্ভব হবে!’
‘জ্বি না স্যার। আমি পড়াশুনা করেছি ভূগোল বিষয়ে।’
‘উহ শিট!’ তাকে এখন কিছুটা হতাশ মনে হয়। কিছুক্ষণ বিরতি নিয়ে আবার শুরু করে।
‘পরবর্তী উপদেশটা হলো- সরকারি চাকরিতে ঢুকে দেখো সচিব নাকি হতে পারো! ক্ষমতার ঝাঁঝে সবাই তোমার বই পড়বে। এট লিস্ট কিনবে। কি লিখেছ সেটা তাদের কাছে বিবেচ্য নয়। কি সম্ভব হবে!’
‘ স্যার, সরকারি চাকরির জন্য চেষ্টা করতে পারি কিন্তু সচিব হতে পারবো এ নিশ্চয়তা নেই।’
‘ওকে টেক ইট ইজি।’ উনার সেলফোন বেজে উঠে।
‘জ্বি স্যার, জ্বি স্যার। আপনার উপন্যাসটা আমি মোখলেসকে দিয়ে লিখিয়ে রেখেছি। আপনি জাস্ট কষ্ট করে একটু পড়ে দিবেন। থ্যাংক য়্যু স্যার।’
উনার মুখে এখন হাসি। একটা সিগারেট ধরালেন। আয়েশে ধোয়া ছেড়ে আবার শুরু করলেন।
‘তাহলে তুমি কোনো ব্যাংকের হাই অফিসিয়াল হতে পারো। লেখক হতে হলে তোমাকে হাই পোফাইল হতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। কি সম্ভব হবে!’
‘চেষ্টা করে দেখবো স্যার। তবে হাই পোফাইল না হলে কি কোনো ভাবেই লেখক হওয়া সম্ভব নয়!’
‘এতক্ষণ তবে তোমাকে কি বয়ান করলাম! তুমি হাই পোফাইল হয়ে তারপর আমার সাথে যোগাযোগ করবে। মানুষ হাই পোফাইল ব্যক্তিদেরই লেখক হিসেবে মনে করে। কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং কি লিখলা সেটা বিষয় না।
আমি মনে মনে বলি কোন জমানায় আইস্যা পড়লামরে বাবা! ভয়ে ভয়ে আছি এই অমূল্য সব উপদেশের জন্য আবার কোনো পেমেন্ট করতে হয় কিনা!
‘ তোমাকে আরো কয়েকটা উপদেশ দেই। এগুলো তোমার জন্য তুলনামূলক ভাবে অনেক সহজ হবে।’
‘জ্বি অবশ্যই। বলুন।’
‘সাংবাদিক লাইনে ঢুকে পড়ো। সাংবাদিক হইতে পারলেও লেখক হিসেবে স্বীকৃতি পাবা। সম্ভব হবে!’
‘জ্বি না স্যার।’
‘ওকে নো প্রবলেম। তোমার চেহারা ছবি তো খারাপ না। অভিনয় শিল্পীও হতে পারো। দেখো না, আমাদের কুলসুমা বেগমরে- কত সুন্দর গল্প কবিতা অপন্যাস লেখে। হের ছবি দেইখাই তো হের বই মানুষে মুড়ি মুড়কির মতো কিনতাছে।’
উনার ভাষার এই পরিবর্তনটা আমি খেয়াল করি। তার মানে সে আমার সাথে অনেক ফ্রি হয়ে গেছে এবং বক্তৃতা দিতে দিতে তার মাঝে একটা জোশ চলে এসেছে।
‘অথবা নাট্য ব্যক্তিত্ব হতে পারো। তোমার বই হবে মারমার- কাটকাট। তোমারে ঠেকাবে কে! মনে যা আসে খালি লেইখ্যা দিবা। অটোমেটিক গল্প কবিতা অপন্যাস প্রসব হইবো। ঘুম থেকে উঠছি, দাঁত মাজতাছি, টয়লেট করলাম, টয়লেট করে অনেক মজা পাইছি।এই সব লিখলেই তুমি হিট। কিয়ের কি শিল্প! এইগুলাই শিল্প। অতি উঁচুদরের শিল্প।
এবার আমি তাকে ভাই বলে সম্বোধন করি। আমি আমার হারানো আতœবিশ্বাস ফিরে পাচ্ছি।
‘ ভাই আমি লেখক হতে চাইনা। এ ধরনের লেখক হয়ে শিল্পের অমর্যাদা করতে চাইনা।’
‘ধুর মিয়া! তুমি আছ বোকার রাজ্যে। তুমি বসবাস করতেছ আদিম যুগে। এই যুগে চলতে গেলে তোমারে আরো ফাস্ট হইতে হইবো।’
‘ভাই দোয়া করবেন।’
‘তোমারে লাখ টাকার উপদেশ দিতাছি। ফ্রি ফ্রি পাইতাছো। শোনো দিয়া মন- তোমারে আমার মনে ধরছে বইলাই শর্টকাট ওয়ে টা বলে দিচ্ছি। এদেশের একজন লেখক তার লেখা ফলো করবা। (a+b)২, সূত্রটা কি মনে আছে!’
‘জ্বি অবশ্যই। (a+b)২= a২+২ab+b2. ’
‘ভেরি গুড। খালি এই একটা সূত্রে ফালায়া দিবা। হাজার হাজার বই লিখবা কোনো সমস্যা নাই। সূত্র এই থাকবো। খালি অপন্যাসের নাম আর চরিত্রগুলার নাম পাল্টাইবা। ভেতরের মাল মশলা সবই এক। দেখবা তুমি কতো হিট। ঝাটায়াও ভিড় খেদাইতে পারবানা।’
আমি হাসি। তার কথা শুনতে এখন মজাই লাগছে। বেশ উপভোগ করছি। শুরুর র মতো ভাব গাম্ভীর্য পূর্ণ পরিবেশ আর নেই। যদিও আমার অংশগ্রহণ এখানে সীমিত।
‘লাস্ট আরেকটা বুদ্ধি দিচ্ছি। এটা অবশ্য আমার ব্যবসার খাতিরে।এই যে তুমি এতক্ষণ আমার মহামূল্যবান সময় ব্যয় করলা। না এর জন্য তোমারে কোনো চার্জ দিতে হবেনা। আমার কাছে সমাজের অনেক হাই পোফাইল ব্যক্তির সন্ধান আছে। তারা আমার সাথে যোগাযোগও করে। বড় ব্যবসায়ী, প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা সবাই তাদের নামে বই ছাপাতে চায়। কিন্তু তাদেরকে লেখা জোগাড় করে দিতে হয়। তারা অনেক ব্যস্ততো! তুমি তাদের হয়ে কাজ করতে পারো। ভালো পারিশ্রমিক পাবে। তুমি তাদের মর্জিমতো লিখবে অথবা তোমার লেখাগুলোকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী করে নিবে। কি আমার প্রস্তাবটা কি তোমার কাছে ভালো মনে হচ্ছে! তুমি কি এব্যাপারে আগ্রহী!’
ধন্যবাদ জানিয়ে আমি বেরিয়ে এসেছি। আমি জানি আমাকে আরো কিছু কষ্ট পেতে হবে। দুঃখের অনুসন্ধান করতে হবে। সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে যেতে হবে, তাদের কথা ভাবতে হবে। এসবই আমাকে একজন প্রকৃত লেখক করে তুলবে।
tanim zubair
all rights reserved
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫০
শিল পাটার ঘষাঘষি বলেছেন: লেখালেখি করে পেট চালাতে গেলেই সমস্যা। এ বছরে বিশটি উপন্যাস যেমতে হোক ছাপতেই হবে। নাইলে বউয়ের গয়নার আবদার মেটাতে পারবোনা।
যারা বোঝবান তাদরকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হয় না। ইশারাই যথেষ্ট। পোস্টির মাধ্যমে যদি কিছু পাঠকের রুচিশীলতা আনা যায়। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা।
২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তুমি হাই পোফাইল হয়ে তারপর আমার সাথে যোগাযোগ করবে। মানুষ হাই পোফাইল ব্যক্তিদেরই লেখক হিসেবে মনে করে। কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং কি লিখলা সেটা বিষয় না।
আমি মনে মনে বলি কোন জমানায় আইস্যা পড়লামরে বাবা! ভয়ে ভয়ে আছি এই অমূল্য সব উপদেশের জন্য আবার কোনো পেমেন্ট করতে হয় কিনা! ....
দু:খ জনত তিন্তু নির্মম সত্য!!!
হুমায়ুন আহমেদকেও এই বিড়ম্বনা পার হতে হয়ছিল!!!
কিন্তু সবার ভাগ্যে তো আর শিকে ছেড়ে না!!!
কত প্রতিভা যে ঝড়ে গেছে কে তার খবর রাখে???!!!!!!
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০২
শিল পাটার ঘষাঘষি বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হতাশ না হওয়াটাই বোধহয় আসল কথা।
৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নির্মম কিন্তু বাস্তব।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৬
আলমগীর_কবির বলেছেন: ভাই আমি আপনার লেখাটা খুব মনযোগ দিয়ে পড়েছি। ভাল লেগেছে। এইরকম যদি হয় তাহলে তো আমার লেখালেখির শখ মাঠা মারা যাবে। এই পোস্টটা কি না দিলেই নয়? এটা দিলেতো সৃজনশীল লেখকদের আত্মবিশ্বাস ধুলোয় মিশে যাবে আর যারা তেল মারে তারা তো তেল নিয়ে আতেলদের পিছে পিছে ঘুরবে। আমার আর আপনার কি হবে? আপনাকে ঈদের শুভেচ্ছ।