নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জগতের সব কাজই আমি পারি না। অনেক কাজে অলস হলেও লিখতে কখনও ক্লান্তি বোধ করি না। এতে করে আমার সময়গুলো ভালো কাটে।
আজকাল সব কিছুতেই যেন অরুচি ধরে গেছে কুলসুমের। যদিও আগের মতো হাত টানাটানি নেই, খরচ করতে পারছে দু’হাতে, তবু যেন মন ভরে না। এরই মাঝে মা সখিনা বেগম চাপ দিয়েছেন তিন রুমের একটি পাকা ঘর তুলে দিতে।
একটা সময় কত কাঙাল ছিল বাইরের মুক্ত জীবনে ঘুরে বেড়ানোর স্বাদ পেতে। কিন্তু সংসারে স্বামীর অত্যাচার-নির্যাতন, শ্বশুর-শাশুড়ির অকথ্য-ভাষার চাবুক সব মিলে যেন একটা দ্রোহের ধনু বানিয়ে তুলেছিল তাকে। অথচ আজকাল সেই গ্লানিময় নরকে ফিরে যেতেই যেন তার মন আকুল হয়ে থাকে সারাক্ষণ।
অবশ্য হাশেমের অত নিগ্রহ সয়েও তার কখনো তার মনে হয়নি সংসার ছেড়ে আসবার কথা। কিন্তু জীবনের সহজ সরল পথেও ক্রমাগত হোঁচট খাওয়া উচ্চাভিলাষী মায়ের মন্ত্রণা তাকে সাহস যুগিয়েছিল মোস্তফা ওরফে মস্তুর আহ্বানে সাড়া দিতে। তাই হয়তো হাশেমকে ডিভোর্স দেবার পেছনে মা সখিনা বেগমের লোভকেই দায়ী করে সে।
যৌবনে টাকার মোহে ভালো-মন্দ বাছ-বিচার না করেই সখিনা বেগম গো ধরেছিলেন কৃষকের ছেলে আধা কৃষক আধা শিক্ষিত গফুর মিয়াকে বিয়ে করবেন বলে। কিন্তু পরিবারের চাপ আর অসম্মতি অগ্রাহ্য করে নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকে বরং সখিনা বেগম আত্মহত্যার ভয় দেখিয়েছিলেন।
সন্তানের মৃত্যু কোনো পিতামাতার কাছে কাঙ্ক্ষিত নয়। তাই বাবা মনু মিয়া চোখের জল মুছে নিয়ে অবনত মস্তকেই কন্যার বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করতে গিয়েছিলেন। অনভ্যস্ত পরিবেশ আর পরিবার কোনোটার সংগেই তার সখ্য না হলেও প্রকৃত মোহ ভাঙতে আরম্ভ করেছিল শেফালি আর কুলসুমের জন্মের পর। যার পরিণতি তালাক নামক শব্দে এসে পূর্ণতা পেয়েছিল। বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল সখিনা বেগম আর ওয়াসিমের দাম্পত্য জীবনের পচা-গলা সম্পর্কের রজ্জু।
মায়ের জীবনেও তালাক। কন্যার জীবনেও তালাক। এ ছাড়াও মাতা-কন্যার জীবনে অনেক মিল থাকলেও যুগের হাওয়ায় তার অনেক কিছুই বদলে গিয়ে থাকবে। যে কারণে মস্তু মিয়ার প্রবাস মাতা-কন্যাকে ধাবিত করে উশৃঙ্খল জীবনের প্রতি। মাসে মাসে মেয়ের হাতে টাকা আসে। সেই টাকা দুহাত ভরে উড়ানোর সুখে মেয়ের চোখের চাকচক্য বাড়ে। মেয়ের চোখের দ্যুতি দেখে মা সখিনা বেগম খুশি হলেও কুলসুমের আসন্ন পতন দেখতে পেয়েও পাত্তা দিতে চান না। প্রবাসীর বউ এক আধটু এমন হয়েই থাকে ধারণাটিকে যেন আরো পাকাপোক্ত করে দিতে চান কন্যার জীবনে। কিন্তু স্বামীকে পরিত্যাগ করতে পারলেও সন্তান পরিত্যাগ সহজ ছিল না কুলসুমের পক্ষে। মায়ের মন সন্তানের জন্য হাহাকার করলে জগতের এমন কোনো জৌলুস নেই তাকে আড়াল করতে পারে।
নতুন শ্বশুর বাড়ি তার জন্য জেলখানা না হলেও নিজেকে নজরবন্দী মনে হয়। তাই ছুতানাতায় নানীর বাড়ি যাওয়া একটা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। নানীর বাড়ি আর স্বামীর বাড়ির মধ্যবর্তী অংশে প্রাক্তন স্বামী হাশেমের বাড়ি। যেখানে আছে তার একমাত্র সন্তান। বেশ খানিকটা দূরত্বের ব্যবধানে অনেককে বোকা বানানো সহজ আর নিরাপদ।
হাশেমের বাড়ি এক সময় তারও ছিল। সেখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে এলে কে বা দূরবীন লাগিয়ে দেখতে আসছে? তা ছাড়া নানীর বাড়ি থেকে বাজারের কথা বলে বের হয়ে আসা যায় খুব সহজে। তখন সে কোথায় আছে তা জানবার সুযোগ নেই কারো। কাজেই পুরোনো সম্পর্কটা ধীরে ধীরে ডালপালা আর নতুন পাতায় সবুজ হয়ে উঠলে নির্দ্বিধায় নতুন স্বামীকে বলতে পারে- তুমি এখন দেশে আসবার প্রয়োজন নাই। টাকা-পয়সা খানিকটা বেশি পাঠালেই হবে।
মস্তু জাপানী মূলার রঙে অন্ধ বলে মূলার গায়ে লেগে থাকা ক্ষেতের মাটি আর ময়লা দেখতে পাবে না বিশ্বাসটা হয়তো বেশ শক্ত আর পোক্ত হয়েই কুলসুমের মনে গেঁথে ছিল। কিন্তু সময় বড্ড নির্লজ্জ। তার মাঝে কোনো রকম রাখঢাক নাই। নানীর বাড়ি আসবার পথেই হাশেমকে রিঙ দেয় কুলসুম।– কেমন আছ? আমার বাচ্চাটা কেমন আছে?
হাশেম তখন বাইরে যাবার জন্য তৈরি হচ্ছিল। কুলসুমের ফোন পেয়ে দরজায় দাঁড়িয়ে পড়ে বলে, আমি তো ভালো আছি। তোমার বাচ্চা কেমন আছে নিজের চোখে দেখে যাও।
-সত্যি বলছ?
-তো কি মজা করছি?
-মা রাগারাগি করবেন না?
-বাবা মারা যাবার পর মা এখন বাবুরামের সাপ। তোমার ভয় নাই।
কুলসুম যেন উড়তে থাকে। অদৃশ্য পাখা পতপত করে মনের আকাশে। ফোনের লাইন কেটে দিয়ে এগিয়ে যায় সিএনজি অটোরিকশা স্টেশনের দিকে। কাদা ভর্তি মেটে পথে যেতে রাজি হয় না কোনো চালক। মেইন রোড ধরে যেতে বললে একজন জানায়- হেই রাস্তাত যাইতাম না। পুলিশে ধরে।
অগত্যা দীর্ঘদিনের অবহেলিত তিন-চাকার রিকশাই ভরসা। রিকশায় উঠতেই ফের ফোন বাজে। মস্তু মিয়ার ফোন। – শোনো, কাগজপত্র সব প্রায় ঠিকঠাক। মাস দেড়েকের মধ্যেই তুমি আমি এক ছাদের নিচে থাকতে পারব।
-তার আর দরকার নাই। হাশেমকে ছেড়ে কোথাও যাবো না আমি।
-তাহলে আমার অত চেষ্টা শ্রম টাকা-পয়সা খরচের কী হবে?
-আমি জানি না। তার চেয়ে ভাল হয় আমাকে তালাক দিয়ে দাও।
-তাহলে হাশেমকে ছেড়ে আমাকে ধরেছিলে কেন?
-সেটা তখনকার ব্যাপার ছিল। আর এখনই যদি আসতে চাও, তাহলে যেসব জিনিসপত্র আনতে বলেছি তার প্রত্যেকটা চাই!
-তোমার চাহিদা পূরণ করতে গেলে আমার এখন পাঁচলাখ টাকা লাগবে।
-তাহলে দেশে আসবার ভাবনা বাদ দাও।
কুলসুম ফোন বন্ধ করে দেখতে পায় রিকশা থেমে আছে। চালক রিকশা ছেড়ে দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার এক পাশে।
-কী হলো তোমার বুড়া মিয়া? রিকশা থামালে কেন?
কুলসুমের কণ্ঠে বিরক্তি আর রাগ দুটোই খনখন করে বাজে।
-রিশকা আর যাইতো না।
নির্বিকার কণ্ঠে জানায় বুড়ো রিকশা চালক।
-কী হইছে?
-ফিরিবল নষ্ট!
কুলসুম রিকশা থেকে নেমে ফিরে যেতে থাকে সিএনজি অটোরিকশা স্টেশনের দিকে। ফের ফোন বাজতে থাকে তার।
বুড়ো রিকশা চালক পিছু ফিরে বিড়বিড় করে একবার ‘নডি’ বলে কাউকে গালি দেয়। তারপর রিকশা টেনে আস্তে আস্তে এগিয়ে যেতে থাকে সামনের দিকে।
--------
***ছবিটি নিয়েছি গুগুল থেকে।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ আমি মিন্টু। ভালো থাকেন সব সময়।
২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২
আজিজার বলেছেন: +++++্
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০০
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ আজিজার।
৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫১
ভিটামিন সি বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। আপনার লেখার হাত ভালো। গল্পে টান আছে।
ভাই কি মমিসিংঙগা নি? মমিসিং এর শব্দের প্রয়োগ করছুইন তো এই লেইগ্যা জিগাইলাম। আমিও মমিসিংঙ্গা।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ ভিটামিন সি। আমি মইন্সিঙ্গা না হইলেও সেই জেলার কয়েকজনরে খুব ভালা পাই। শব্দ প্রয়োগ তার প্রকাশ।
৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১০
অশ্রুকারিগর বলেছেন: ভাল লাগল। চমৎকার ছোট গল্প।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ অশ্রুকারিগর। ভালো থাকেন সব সময়।
৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫
মাহবুব আলী বলেছেন: গল্প পড়লাম। আপনার গল্পগুলোয় এই বিষয়টি বেশ ফুটে উঠে। অনেকদিন পর সক্রিয় হতে দেখে শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান। আশা করি ভালো আছেন। সক্রিয় থাকতে তো চাই, কিন্তু সময় ততটা পাই না।
৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: কুলসুমের গল্প পড়লাম। শেষ কবে আপনার লিখা কোথায় পড়েছিলাম মনে নেই। কয়েকজনের লেখা খুব মিস করি,তাদের মধ্যে আপনি একজন।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ ফেরদৌসা।
আপনার মন্তব্য আশা জাগানিয়া। ভালো থাকুন সব
সময়।
৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
কুলসুমরে 'নডি' বানাইছে হের মায়... তাই তো?
গল্পটা কেন যে হঠাৎ শেষ হয়ে গেলো!
ছোটগল্পের এই দিকটাই মাঝেমাঝে ভালো ঠেহে না
যাহোক, শুভ প্রত্যাবর্তন, জুলিয়ান সিদ্দিকী ভাই
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১০
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ ডাক্তার।
আজকাল সময় তেমন পাই না, তাই গল্পের সময়ও কমে যাচ্ছে।
ভালো থাকেন সব সময়।
৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৩
মোহাম্মাদ ছাব্বির বলেছেন: আপনার লেখা টানে, বিষাদ টানে।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫০
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ মোহাম্মাদ ছাব্বির। ভালো থাকেন সব সময়।
৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর । আঞ্চলিক ভাষার প্রয়োগ ভাল লাগলো ।+
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫১
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার। আঞ্চলিক শব্দের যথাযথ প্রয়োগ গল্পে সজীবতা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।
ভালো থাকেন সব সময়।
১০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৮
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: লোভের চোরাবালিতে আটকে আছে কুলসুম।
অনেক দিন পর জুলিয়ান দা কে ব্লগে পেয়ে ভালো লাগল।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রবাসী পাঠক।
হুম, লোভ মানুষের চরিত্রের একটা ক্ষত বলা যায়।
আজকাল সময় পাই কম।
আপনার জন্যে শুভ কামনা থাকলো।
১১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০০
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কুলসুম এবং সখিনার আসল চেহারাটা ফুটে উঠলো রিক্সাআলার ছোট্ট একটি কথায়।।
অনেকদিন পর দেখে ভালই লাগছে।। শুভেচ্ছা রইলো।।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপী।
ভালো থাকেন সব সময়।
১২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৩
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: লোভের চোরাবালিতে আটকে আছে কুলসুম।
অনেক দিন পর জুলিয়ান দা কে ব্লগে পেয়ে ভালো লাগল।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়।
ভালো থাকেন সব সময়।
১৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৫
আবু শাকিল বলেছেন: অনেকদিন পর প্রিয় ব্লগার দেখে ভাল লাগছে
মন্তব্য মইনুল ভাইয়ের সাথে সহমত।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৭
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ আবু শাকিল।
ভালো থাকেন সব সময়।
১৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯
মামুন রশিদ বলেছেন: জমজমাট প্রস্তুতি, মুখব্যাদন ছেড়ে আলাপটা সবে জমে উঠেছে, আর অমনি বিবেক ঘোষণা দিলে 'পাঠ শ্যাষ'!!
অনেকদিন পর পেলাম, কেমন আছেন প্রিয় জুলিয়ান ভাই?
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০২
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন রশিদ।
কোনো কোনো গল্প নিজেই গুটিয়ে যায়। তাকে টানতে গেলে সে নিজেই বিদ্রোহ করে বসে। এটাও তেমন একটি।
আপনি কেমন আছেন। আমি ভালো থাকি সব সময়।
১৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৬
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: হটাত শেষ হয়ে গেল । এটা ভাল লাগেনি । মাত্র জমে ঊঠছিল । তৃষ্ণা রেখে দিলেন !!
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৩
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ কথাকথিকেথিকথন।
হুম, এটাকে হঠাৎ শেষ করতেই হলো। রাস্তাঘাটের অনেক ঘটনা যেমন হঠাৎ শেষ হয়ে যায় বা দর্শককে বাধ্য হয়ে স্পট থেকে সরে যেতে হয়- এ গল্পের ব্যাপারটাও তেমন কিছু।
ভালো থাকুন সব সময়।
১৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১৩
কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার লেগেছে গল্পটা । অল্পতে অনেক ফুটে উঠেছে ।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৭
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ কলমের কালি শেষ।
ভালো থাকেন সব সময়।
১৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুলিয়ান সিদ্দিকী ,
অনেকদিন পরে এসে একটা চমক দিলেন গল্পে ।
তবে একটা সত্য তুলে ধরেছেন --- দূরত্বের ব্যবধানে অনেককে বোকা বানানো সহজ আর নিরাপদ।
শুভেচ্ছান্তে ।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৯
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস।
ভালো থাকেন সব সময়।
১৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: খুব সাবলীল ভাষার গল্প। অনেক শুভকামনা রইলো।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪০
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ রেজওয়ানা আলী তনিমা।
শুভ কামনা আপনার জন্যেও।
১৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০০
এহসান সাবির বলেছেন: ইংরেজী নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪২
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান সাবির।
সার্বিক শুভকামনা আপনার জন্যেও।
২০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভাগলেন কই? গল্প জমে উঠছিল প্রায়।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৮
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রফেসর।
ইদানীং নৈশকালীন অবসরগুলা আমার দখলে থাকে না। তাই মনে হয় আমি ভাগলপুর!
ভালো থাইকেন সব সময়।
২১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৭
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ওওওওওওওও মিয়াসাব! আপনারে দেখিনে! থাকেন কোন দেশেতে! ব্লগটারে ছাড়ি দিলেন ক্যান ? এইতান আমগো গরীব-দু:খীগো ঘটনা। নিজেগো ঘটনা আবার গল্প কইরা হুনতে ভাললাগে।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫১
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ অন্ধবিন্দু।
আমি তো বাংলাদেশেই থাকি মিয়াসাব! ব্লগ ছাড়িনাই।
ভালো থাইকেন সব সময়।
২২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫
ডি মুন বলেছেন:
জুলিয়ান ভাই,
একটা শহুরে প্লটের গল্প লিখেন তো যেখানে নিম্নবিত্ত আর মধ্যবিত্ত অনুপস্থিত থাকবে।
আমি অনেকবার ভাবী শুধু উচ্চবিত্ত শ্রেণীকে ব্যবহার করে গল্প ভাবতে, অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকার কারণে ঠিকঠাকমত বাগে আনতে পারি না।
সময় পেলে আপনি এরকম একটা লিখেন তো।
আর ব্লগে কিছুটা সময় দিয়েন। আপনারা সিনিয়ররা হল ছায়া। আপনারা না থাকলে খালি খালি লাগে।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ ডি মুন।
শহুরে প্লটের গল্পও লিখেছি। আর আপনার ভাবনাটা বুঝতে পারছি। তবে আমার যতটা মনে হয়েছে, জীবনের টানা-পড়েন, জীবনের বা সম্পর্কের ভিয়েনটা আবেগের সঙ্গে তেমন একটা সমাদৃত হয় না বলেই মনে করি। উচ্চবিত্তে তেমন একটা গল্প নেই। লিখতে গেলেও টাকা-পয়সা, যৌনতা, লোভ, ঈর্ষার ব্যাপারগুলো ঘুরেফিরেই আসতে থাকে। যে কারণে গ্রামীণ জীবন এবং নিম্ন বা মধ্যবিত্তের জীবনের মতো অতটা গভীরতা পায় না। উচ্চবিত্তের জীবনটা তাই আমাকে টানে না। তা ছাড়া অজ্ঞতার ব্যাপার অস্বীকার করবার উপায় তো নেই। যেটা আমি জানি না, তা নিয়ে লিখতে গেলে সমস্যা হবেই।
তবু আরো একবার চেষ্টা করে দেখবো। দেখবো আপনার চেষ্টাটুকুও। সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধের কিছু কিছু ব্যাপার আমাকে বেশ ভাবাচ্ছে। তাই অন্য দিকে মনোযোগটা দিতে পারছি না। আপনার দাবীটা সবার আগে ভাবনায় ঠাঁই দিয়ে রাখবো।
২৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ডি মুন, আরেকটা কথা ভুলে গেছি, তা হলো, শহুরে পটভূমিতে উচ্চবিত্তের জীবন নিয়ে তৈরি গল্পটাতে বাংলা সিনেমার একটা গন্ধ কোনো না কোনোভাবে চলে আসবেই।
ভালো থাকুন সব সময়।
২৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
পাঠক প্রশ্নোত্তর পেলেও প্রায় আশঙ্কা রয়ে গেল ৷সম্পর্কগুলো দর্পনের মতো পরম্পরা হচ্ছে আজকাল ৷
ভাল থাকুন ৷
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৪
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ জাহাঙ্গীর.আলম।
আশঙ্কা তো থেকেই যায়। সেই সঙ্গে চেষ্টাও জারি থাকে।
ভালো থাকুন সব সময়।
(অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখলাম।)
২৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪০
ডি মুন বলেছেন:
উচ্চবিত্তে তেমন একটা গল্প নেই। লিখতে গেলেও টাকা-পয়সা, যৌনতা, লোভ, ঈর্ষার ব্যাপারগুলো ঘুরেফিরেই আসতে থাকে। - কথাটা হয়তো ঠিক। অথবা উচ্চবিত্তের গল্পগুলো হতে পারে আমাদের ঠিক জানা নেই। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তের টানাপড়েন, আশা-হতাশা ইত্যাদি নিয়ে বাংলা গল্প পড়তে পড়তে মাঝে মাঝে মনে হয়, উচ্চবিত্তের গল্পের অভাব কেন আমাদের সাহিত্যে? আমরা সাহিত্যিকেরা বেশিরভাগ সমাজের উচ্চবিত্তের লোক হলে কি আমাদের গল্পগুলো উচ্চবিত্তপ্রধান হতো? আমাদের দৈন্যতা আর তার বিরুদ্ধে সংগ্রামই কি শুধু আমাদের সাহিত্য রচনার রসদ?
আবার ভাবি, ইদানীং বাংলা সাহিতয়ে বিশেষত ছোটগল্প থেকে 'রস'/ 'উইট' হারিয়ে কেমন যেন বেশি 'জ্ঞানগর্ভ' হয়ে যাচ্ছে। সবাই যেন কোনো না কোনো দার্শনিক কথা গল্পে বলে তৃপ্তিলাভের চেষ্টায় আছেন। সহজ-সরলতা-প্রাণোচ্ছলতা যেন অনুপস্থিত। ১৯৮৩-২০০৩ - এই সময়ের দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত গল্পগুলোর ভেতর অনেক বৈচিত্র্য দেখলাম। দেখলাম, আনন্দ-বেদনা-হাস্যরস-উচ্ছলতা যেন গল্পের পাকেচক্রে মিশে আছে; যা এখনকার লেখকদের মানে আমাদের লেখায় অনুপস্থিত।
জানিনা এ থেকে উত্তরণের উপায় কী? আদৌ উত্তরণ জরুরী কিনা সেটাও বিবেচ্য? তবে আমার ধারণা এমনটা চলতে থাকলে গল্পগুলো একঘেয়ে হয়ে উঠবে একসময়।
অনেক কথা বলে ফেললাম।
আপনার সাথে আলাপে আমি বরাবরই উৎসাহী।
ভালো থাকুন সর্বদা।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ১। আমরা সাহিত্যিকেরা বেশিরভাগ সমাজের উচ্চবিত্তের লোক হলে কি আমাদের গল্পগুলো উচ্চবিত্তপ্রধান হতো?
এটা আপনার ভুল ধারণা বলেই মনে করি। উচ্চবিত্তের লোক হলেও যে তাকে দিয়ে উচ্চবিত্তের গল্প হবে তেমন কিন্তু নয়। সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ কোন বিত্তের আওতায় পড়তবেন আপনার বিচারে? আমার বিচারে বিত্তবান বলতে যা বোঝায় তিনি সে সময় তা-ই ছিলেন। তবু তিনি গল্পের উপাদান উচ্চবিত্ত-সমাজ থেকে নেন নাই। বিষয়টা লেখকের নিজস্ব।
আমাদের আরেক ব্লগার বিত্তশালী পরিবারের সন্তান, তার হাত দিয়ে উচ্চবিত্তের গল্প এখনও আসেনি বলেই মনে হয়। তিনিও মধ্য আর নিম্নবিত্ত থেকেই রসদ সংগ্রহ করে গল্প লিখেছেন। আরো বিত্তবান গল্পকার/ব্লগার আছেন, তারাও তেমন গল্প উপহার দেন নাই।
তাই আবারও বলি, উচ্চবিত্তে গল্প লেখার মতো কোনো রসদ নেই। তা ছাড়া পাঠকের রুচি লেখকই তৈরি করেন।
ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র হিসেবে আপনি অনেক বিদেশি গল্প পড়েছেন ইংরেজি ভাষায়, সেখানেও কি বিত্তবান লেখক ছিলেন না? অবশ্যই আছেন। কিন্তু গল্পের খাতিরে, গল্পের পরতে পরতে রস, হাসি-আনন্দ ছড়িয়ে দিতে পারলেও কটা উচচ বিত্তের গল্প পেয়েছেন জানি না। আপনি আমার চেয়ে ভালো বলতে পারবেন।
২। ১৯৮৩-২০০৩ - এই সময়ের দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত গল্পগুলোর ভেতর অনেক বৈচিত্র্য দেখলাম। দেখলাম, আনন্দ-বেদনা-হাস্যরস-উচ্ছলতা যেন গল্পের পাকেচক্রে মিশে আছে; যা এখনকার লেখকদের মানে আমাদের লেখায় অনুপস্থিত।
এর পেছনে আমাদের পাঠক আর গল্প নির্বাচকদেরই দায়ি করি। পাঠকের সেই ধৈর্য নাই। সম্পাদকের সাধ্য নাই গল্পের খাতিরে বেশি জায়গা অপচয়ের। কাজেই গল্পের আকার প্রকারও বদলায়। দেশ পত্রিকা গল্পের জন্যে অনেক উদার মনে করি। লেখক তৈরিতেও তাঁদের আন্তরিকতার অভাব নেই, সেই তুলনায় বাংলাদেশের লেখক-প্রকাশক-সম্পাদক বেশ কিছুটা ভিন্ন মানসিকতারও। আপনার আক্ষেপটা আমি বুঝি, অন্যরাও হয়তো বুঝবেন। কিন্তু আমাদের সাধ্য, সামর্থ্য আর আন্তরিকতার প্রশ্নে ব্যাপারটা তেমন উদার পথে চলতে সক্ষম নয়। আশা করি আপনার বুঝ আমার চেয়ে অনেক ভালো।
আশা করি আমার দিক থেকে ব্যাপারটা পরিষ্কার করে বলতে পেরেছি।
ভালো থাকুন। প্রশ্ন করতে থাকুন আর নিজস্ব অনুভবের জানালাগুলো পোক্ত করে বানাতে থাকুন।
২৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯
ডি মুন বলেছেন:
ধন্যবাদ জুলিয়ান ভাই বিস্তারিত প্রত্যুত্তরের জন্যে।
আপনার সাথে আলাপন নিঃসন্দেহে আনন্দের অভিজ্ঞতা।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৩
আমি মিন্টু বলেছেন: ভালো লগলো সখিনার গল্প