নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসংগঃ- স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের পরিসংখ্যান এবং ম্যাডাম জিয়ার বিরুদ্ধে রাস্ট্রদ্রোহী মামলা......

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪

প্রসংগঃ- ম্যাডাম জিয়ার বিরুদ্ধে রাস্ট্রদ্রোহী মামলা......

আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের উদ্দেশ্যই যখন বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের শায়েস্তা করা, নির্মূল করা-সেখানে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা-হামলা, জেল জুলুম বিএনপি’র ত্যাগী নেতা-কর্মীদের কাছে পান্তাভাত! তাই ম্যাডাম জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাবাজ সরকারের আরো একটা “রাস্ট্রদ্রোহী মামলা” করানিয়ে আমরা বিন্দুমাত্র বিচলিত নই।বরং এই মামলা হতে পারে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সঠিক পরিসংখ্যান লিপিবদ্ধ করার একটা মাইল ফলক।

বিচার বিভাগ এখনও খায়রুল-মানিকদেরমত দূর্বৃত্বদের প্রেতাত্মা এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।ওরাই এখনও স্বৈরাচার সরকারের গৃহভৃত্য হিসেবে আকাম কুকাম করেচলছে। তারপরেও যদি কোনো বিচারক বিবেকের তাড়নায় মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদদের সঠিক তালিকা প্রণয়নের নির্দেশ দেয়-সেটাই হবে ইতিহাসের জঞ্জাল মুক্তির সোপান।

ম্যাডাম জিয়া বলেছিলেন-“মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়েও বিতর্ক হচ্ছে”-কিন্তু তিনি মোটেই বলেননি স্বাধীনতা যুদ্ধে শহেদের সংখ্যা কম কিম্বা বেশী! তারপরেও স্বৈরাচার সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাস্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়েছে।

আমি বিশ্বাস করি-সংখ্যাতত্বে শহীদানের মর্যাদা বাড়েনা কিম্বা কমেনা।যেমন,বৃটিশ ভারতে স্বাধীনতাকামী একজন তিতুমীর, মাস্টারদা সূর্য্যসেন,প্রীতিলতা, ক্ষুদিরাম বসু, প্রফুল্ল চাকী, বিনয়-বাদল-দীনেশ,ভগত সিং দের আমরা শ্রদ্ধাভরে শরণ করি, আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতাকামী একজন ববি স্যান্ড সকল স্বাধীনতাকামীদের অন্তরজুড়ে আছেন আর বিপ্লবী চে গুয়েভারাতো আজও সকল তুনুনের আদর্শ হয়ে আমাদেরকে উজ্জিবীত করছেন।সেখানে কেন আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ শহীদানের নাম ঠিকানা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকবেনা!

শহীদদের তালিকা করা মোটেই কঠিন কাজ নয়। আমি যেমন বলতে পারি-আমি যে এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ করেছি সেই থানা এবং প্রতিবেশী আরো দুইটি থানায় স্বাধীনতা যুদ্ধে কতজন শহীদ হয়েছিলেন তেমনি দেশের ৬৫ হাজার গ্রামের অনেক সিনিয়র সিটিজেনই বলতে পারবেন তাঁদের নিজ নিজ এলাকায় কে কোথায় শহীদ হয়েছিলেন।একান্তই যদি সরকার আমজনতার উপর ভরসা করতে নাপারে তাহলে বর্তমান সরকারের অন্ধঅনুগত, একান্ত বাধ্যগত বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মাধ্যমেই এই কাজটা করা যেতে পারে। কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল যদি দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটকে নির্দেশ দেয়-নিজ নিজ এলাকার “শহীদদের নাম ঠিকানা” সংগ্রহ করে পাঠানোর জন্য সেটা করতেও এক মাসের বেশী সময় লাগবেনা। এমনতো হতে পারে সেই তালিকায় শহীদের সংখ্যা আরো কয়েকগুন বেশী হতে পারে! তবুও আমরা চাই মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, শহীদ বুদ্ধিজিবীদের তালিকারমত মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদানের তালিকা হোক।এমনকি স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকা করে তাঁদের যথযথ বিচার করা হোক।

জীবিত মুক্তিযোদ্ধাগন মাসিক ভাতা পাচ্ছেন, যেসব মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যু বরণ করছেন তাঁদের উত্তরসুরীরাও ভাতা পাচ্ছেন-যা অত্যন্ত সম্মানের। আমরা আশা করবো স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল শহীদানের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে তাঁদের পরিবার পরিজনকেও সম্মানী দেওয়া হোক।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫

কল্লোল পথিক বলেছেন: আওয়ামীলিগ আরও কত কি করবে!আর আমরা নিরব দর্শকের মত দেখব।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬

জুল ভার্ন বলেছেন: কি করবো-আমরাতো পুলিশের ছত্রছায়ায় ছাত্র-যুবলীগারদেরমত খুন খারাবী করতে পারবোনা!

২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: এই মামলা হতে পারে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সঠিক পরিসংখ্যান লিপিবদ্ধ করার একটা মাইল ফলক।

আপনার সাথে সহমত, কিন্তু মামলা সেইভাবে চালাবে বলে মনে হয় না।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

জুল ভার্ন বলেছেন: না এই মামলায়ও ন্যায় বিচার হবেনা। আওয়ামী আদালতে ন্যায় বিচার বলে কিছু নাই। গৃহভৃত্য বিচারকেরা গণভবনের নির্দেশে রায় দেবে-যে রায় ইতোমধ্যেই লেখা হয়েগিয়েছে। এখন যা হবে তা শুধু বিচারের নামে ধানাই পানাই।

৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কিন্তু তিনি মোটেই বলেননি স্বাধীনতা যুদ্ধে শহেদের সংখ্যা কম কিম্বা বেশী
তার বক্তব্য আমি শুনেছি, তার এটিচুড, বডিল্যাঙ্গয়েজ ভাষা মুক্তিযুদ্ধ কে অসম্মান করার জন্যই অল্পকদিন আগে দেয়া পাকি বক্তব্য সমর্থন করেছেন।

বাংলাদেশ বাদে পৃথিবীর কোন দেশ নিজ দেশবাসিদের উপর নৃসংস আচরনকারি খুনিদের সমর্থন করে না। নিজ দেশে নিজ দেশবাসির উপর হানাদার দ্বারা গণহত্যা অস্বীকার! প্রশ্নই আসে না। কেউই করে না। আমাদের দুর্ভাগ্য এসব দেখতে হচ্ছে।
আমাদের দুর্ভাগ্য যুদ্ধকরে জয়লাভের পরও পরাজিত পাপিষ্ঠ ছাগু, স্বাধীনতা বিরোধীদের ও তাদের সমর্থক বড় একটি দলের দেশ বিরোধী আস্ফালন দেখতে হচ্ছে।
আগে অবস্য সুশীল বা বিরোধী রাজনৈতিক ছোট বড় নেতারা এসব বিতর্ক এড়িয়ে যেত। সুধু ফেবু-ব্লগে ছেচড়া কুকুরগুলো এসব নিয়ে মাতামাতি করতো।

আর পাকিস্তান কিছুদিন আগে ৭১এ নিহতের সংখা নিয়ে সন্দেহ করে বক্তব্য দিয়েছিল। আর গত ডিসেম্বরের বিজয়ের মাসে এই পাকি বক্তব্যের সমর্থনে বড় একটি জনপ্রিয় দলের দলপ্রধানের মুখ দিয়ে এসব কুৎসিত কান্ড শুনতে হল।

এটিও পড়ুন - পৃথিবীর কেউ নিজ দেশবাসিদের খুনিদের সমর্থন করে মৃত্যু সংখ্যা কমিয়ে নিজেদের ছোট করে না

৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৫

রাজীব বলেছেন: জুলভার্ন ভাই, অনেকদিন পর লিখলেন।
কেমন আছেন?

আপনার লেখা অনেক মিস করি।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:১৪

জুল ভার্ন বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। বেঁচে আছি তাই ভালই আছি। এখনও কলার ধরে টেনে হিচড়ে পুলিশের গাড়ীতে তোলেনি, এখনও আমার ক্রশ ফায়ারের মরন সংবাদ পত্রিকায় ছাপা হয়নি :)

৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫১

রাফা বলেছেন: হা...হা...হা...যে নেত্রী বলে বঙ্গবন্ধু স্বাধিনতা চায় নাই/প্রকাশ্যে জনসভায় দাড়িয়ে বলে নিজামি/সাইদি/সাকা/মুজাহিদ ও কাদের মোল্লারা যুদ্ধাপরাধি নয় রাজবন্দি।যুদ্ধাপরাধের বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য-তবে,কিন্তু ,এবং ও যদি ছাড়া অস্বচ্ছতার কিছুই বলতে পারেনা উনি যে স্বরল বিশ্বাসে শহিদের সংখ্যা নিয়ে উৎকন্ঠিত নয় এটা একটা ক্লাস ফাইভের ছাত্রও বুঝবে।

পরাজিত পাকি হানাদারদের সুরে সুর মিলিয়ে একই ভাষায় কথা বলে তার উদ্দেশ্য যে কি সেটা বুঝতে হলে পিএইচডি করার দরকার হয়না জুলভার্ন ভাইজান।

আমরা সবাই কম বুঝি একমাত্র খালেদা জিয়া আর তারেক জিয়াই জানে স্বাধীনতার সত্যিকারের ইতিহাস।তাই নতুন নতুন বিষয় সংযোজিত করে চলেছেন তারা।এক খালেদা জিয়াই ১০ বছরের বেশি ক্ষমতায় ছিলো আর তার দল মিলিয়ে প্রায় ২০ বছর বিএনপি দেশ শাসন করেছে তখন তার মনে কোন শংসয় ছিলোনা।এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়াতে সবকিছু তার মনে আসতেছে।খালেদা জিয়া এখন পাকিস্তানের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করতেছে শুধু।আপনি কি বলেন যে ঐ জাহান্নামি পাকিস্তানিদের বক্তব্য মেনে নিয়ে আমাদের ইতিহাস লিখতে হবে এখন? এই যদি হয় জাতিয়তাবাদে বিশ্বাসী মানুষের অবস্থান তাহোলে বলতেই হয় বাংলাদেশের ললাটে আরো লান্নত আছে নির্ঘাত।

৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০২

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: বরং এই মামলা হতে পারে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সঠিক পরিসংখ্যান লিপিবদ্ধ করার একটা মাইল ফলক।

হাহাহাহাহাহ মাথা ঠিক আছে ?

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

জুল ভার্ন বলেছেন: বিরোধী মতের মাথাইতো কেটে দিচ্ছেন-মাথা ঠিক থাকবে কেমনে :)

৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৮

তানভীর রাব্বি বলেছেন: ধরলাম শহীদদের তালিকা করতে গেলে অনেকের নাম এতোদিন পরে পাওয়া যাবে না তাই বলে কি আমরা একটা তালিকা করব না!তাদের নাম কেন আমরা জানব না ! মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের নাম জানতে চাই তাদের উৎসর্গকৃত জীবন কে সম্মান জানাতে চাই।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: যাক, হামলা মামলা, জেল জুলুম, মৃত্যু ভয় উপেক্ষা করে সাহস করে সমর্থন জানিয়েছে সেজন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.