নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
মাতৃভাষার চর্চা সম্মানের...
আমরা চারজন দীর্ঘ দিনের বন্ধু।
আনু(ডাক নাম) আর আমি ক্যাডেট কলেজ (JCC) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী এবং সূর্যসেন হলে রুমমেট। কামাল ওল্ড ফৌজিয়ান কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সাবজেক্টের ছাত্র ছিলাম। আনু একটা প্রাইভেট ব্যাংকের এমডি পদ থেকে সদ্য অবশর নিয়েছে। বন্ধু কামাল সচিব পদ থেকে অবশর(পিআরএল) এবং হারুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। আমরা চারজনই একই শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। অনেক দিন পর আমরা একসাথে ৪/৫ ঘন্টা আমাদের স্মৃতির অর্গল খুলে প্রাণবন্ত আড্ডায় মেতেছিলাম। আমরা চার পরিবার ডিনার করেছি আনুর বাড়িতে।
আমি লক্ষ্য করেছি, এমন জম্পেশ আড্ডায় আমাদের চার পরিবারের সন্তানেরা সবাই কমবেশি ইংরেজি বাংলায় কথা বললেও দুইজন মেয়ে সন্তান পুরোটা সময়ই ইংরেজিতে কথা বলছে। মাঝে মাঝে হিন্দিও বলছে। কিন্তু বাংলা শব্দ বলেননি একবারও! আমাদের সাথেও ওরা দুজনেই ইংরেজিতে কথা বললেও আমরা বাংলাতেই বলেছি-যদিও আমরাও মোটামুটি ইংরেজিতে কথা বলতে পারি।
পৃথিবীতে এমন কি কোথাও আছে? দু'জন জার্মান স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলে? দু'জন ইংরেজ বাংলা বা হিব্রু ভাষায় কথা বলে? দু'জন জাপানি হিন্দি বা ফ্রেঞ্জ ভাষায় কথা বলে? নিশ্চিয়ই বলে না।
কিন্তু আমরা বলি! কারণ, আমরা বিশ্বাস করি ইংরেজিতে কথা বলতে পারলেই আমরা নিজেকে স্মার্ট প্রমাণ করতে পারি।
আমি বিশ্বাস করি, ভাষা শুধু কিছু অক্ষরের ছাঁচ নয়। আরও অনেক কিছু। মাতৃভাষায় আমি মায়ের বুকের গন্ধ পাই। মাতৃভাষার গন্ধ আসলে মাতৃভূমির গন্ধ। মা মাটি ও নাড়ীর বন্ধন।
আমরা বাংলাদেশের বাঙালি। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। আমরা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছি। কিন্তু আমরা ইংরেজি শিখে এখন সেই ভাষাকেই ঘরের মধ্যেও বর্জন করেছি। ইংরেজি শিখে মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দেওয়া দূরের কথা- আমাদের জিহবা ঠোঁট ছুঁতেও দিচ্ছি না!
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ১৯৮০ সনে দেশের ৭ টা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজকে জিয়াউর রহমান ক্যাডেট কলেজ করার সিদ্ধান্ত নেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৮০ সনে যখন পাবনা ক্যাডেট কলেজ শুরু হয় তখন ঐ কলেজের প্রথম এডজুটেন্ট নিয়োগ পায় আমার ব্যাচমেট মেজর রশীদ (ব্রীগিডিয়ার জেনারেল হিসেবে অবসরপ্রা)।
হ্যা, কোলকাতায় যারা বাংলায় কথা বলে তাদেরকে ওখানকার বাংগালীরাও তাচ্ছিল্য করে!
২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৫
রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: বর্তমান প্রজন্ম নিয়ে আসলেই হতাশ হতে হবে ভবিষ্যতে আরও....
কিন্তু এমনও দেখেছি বয়োজ্যেষ্ঠ অনেকেই আছেন এরা কথায় কথায় হিন্দি ও ইংরেজি ব্যবহার করে নিজেকে স্মার্ট ও আধুনিক হিসেবে জাহির করতে চান ও অন্যরা ইংরেজি ও হিন্দি না জানলে এবং ব্যবহার না করলে তাকে হেয়জ্ঞান করেন।
এমনটার শিকার আমিও হয়েছি কারণ আমি সবসময়ই যথাসাধ্য চেষ্টা করি সবার সাথে সবকিছুতেই আমার মাতৃভাষা বাংলার পরিপূর্ণ ব্যবহার করতে ও পুরো বাংলাতেই কথা বলতে।
অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয় এমন গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় তুলে ধরেছেন আপনার লিখাতে।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ এবং অভিজ্ঞতা সঠিক। অনেকেই আছেন মাতৃভাষায় মানে বাংলায় কথা বললে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে।
যেখানে বিদেশী ভাষা বলা বা লেখার প্রয়োজন নাই সেখানে আমিও চেষ্টা করি মাতৃভাষায় কথা বলতে, লিখতে।
শুভ কামনা।
৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫২
হাবিব বলেছেন: আধুনিকতার এই যুগে এসব ফ্যাশন যেন............ ইংরেজি বলাটাই যেন আধুনিকতা
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: কে যে কিভাবে সুখ পায়!
৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৮
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ছেলে আমার খুব ‘সিরিয়াস’ কথায়-কথায় হাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসেনা।
ইংলিশে ও ‘রাইমস’ বলে
‘ডিবেট’ করে, পড়াও চলে
আমার ছেলে খুব ‘পজেটিভ’ অলীক স্বপ্নে ভাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।
‘ইংলিশ’ ওর গুলে খাওয়া, ওটাই ‘ফাস্ট’ ল্যাঙ্গুয়েজ
হিন্দি সেকেন্ড, সত্যি বলছি, হিন্দিতে ওর দারুণ তেজ।
(বাংলাটা ঠিক আসে না!
ভবানীপ্রসাদ মজুমদার)
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: হাঃ হাঃ
৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪১
কনফুসিয়াস বলেছেন: চেষ্টা করব জীবনের শেষ পর্যন্ত মুখে একক ভাবে বাংলা উচ্চারণ করার জন্য। মিশ্রন করলে সব জগা-খিচুরি হয়ে যায়। আমার বাংলা ভাষার দাম অনেক। এই ভাষার জন্য আমার প্রাণপ্রিয় হাজারো মা, বাবা, ভাই-বোন জীবন দিয়েছেন। সেই ভাষাকে কিভাবে আমি অন্য ভাষার কাছে হেয় করতে পারি! এ তো নিজেই নিজের পায়ে কুড়াল মারার সামিল। ধন্যবাদ জানবেন এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিরন্তর।
৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩২
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: বড়ো ভাল লাগলো লেখাটি।
শুভেচ্ছা নিন।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ভাইজান,
যে বিষয়টা ব্যক্ত করলেন আপনাদের পুরনো চার বন্ধুর পারিবারিক আড্ডার বা আসর যেখানে নয়া প্রজন্মের মাতৃভাষার প্রতি নিরাসক্তির বিষয়টি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ভাবে তুলে ধরেছেন। পোস্টটি ছোট কিন্তু নিঃসন্দেহে ভাবনার।
শ্রদ্ধেয় কবি সৃজন সেনের মাতৃভাষা স্মরণে- কবিতার দুটি বিশেষ জায়গা ছিল-
"পুলিশের বন্দুকের সামনে জামার বোতাম খুলে
পুষ্পাঞ্জলির মতো নিজেদেরকে সমর্পণ করেছিল
আর বলেছিল, ওরা আমার মুখের কথা কাইরা নিতে চাই,
ওরা আমার মুখের কথা কাইরা নিতে চাই...
......
.....
"সেবার লন্ডনে এক জাপানি শিল্পপতিকে দেখেছিলাম
তার মাতৃভাষা জাপানিতে অন্যদের সঙ্গে অনর্গল কথা বলতে।
ইংরেজিতে কথা বলতে না পারার জন্য লোকটার মধ্যে কোন হীনমন্যতা ছিলনা।
বরং মাতৃভাষায় কথা বলতে পারার অহমিকায় লোকটিকে যেন উজ্জ্বল হয়ে উঠতে দেখেছিলাম।
আমার মনে হয়েছিল আমার কোনো মাতৃভাষা নেই। আমার কোন মাতৃভূমি নেই..
তাই মাতৃভাষার জন্য যারা জীবন দেয় তারা কেমন মানুষ আজ আমার ভীষণ জানতে ইচ্ছে করে।
এই বাংলা ভাষার জন্য বাংলাদেশের জন্য একটুখানি বাঙালি হয়ে ওঠার জন্য,
আমার বুকের মধ্যে একটা ভয়ঙ্কর ব্যথা টনটন করে ওঠে।"
যদিও কথাগুলো সামান্য হেরফের হতে পারে। আগাম ক্ষমাপ্রার্থী।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার!
আমাদের দেশের একজন প্রখ্যাত গণসংগীত শিল্পীর নাম আবদুল লতিফ, যিনি একযুগ আগে প্রয়াত হয়েছেন। তিনিও ১৯৫২ সনে মহান ভাষা আন্দোলন কালে একটা গণসংগীত রচনা করেছিলেন - "ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়, ওরা কথায় কথায় চালায় গুলি আমার পোলার গায়"!
৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৩
কিরমানী লিটন বলেছেন: বাস্তবতার নিরিখে লিখা পোস্টে ভালোলাগা....
++++++
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমার বড় ভাই পাবনা ক্যাডেট কলেজে লেখাপড়া করেছেন।
ভাষা বড় মধুর ব্যাপার। মায়ের ভাষা। তবে কোলকাতায় গিয়ে মন খারাপ হয়েছে। সেখানকার বাঙ্গালীরা বাংলার চেয়ে হিন্দিতে বেশি কথা বলে।