নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
যদি আমরা সিব্যাস্টিয়ানের মতো ইনভিসিবল হই...
Hollow Man নামের একটি সায়েন্স ফিকশন সিনেমা দেখেছিলাম ১৬/১৭ বছর আগে। যারা সেই সিনেমাটা দেখেছেন নিশ্চয়ই তাদের সিব্যাস্টিয়ানকে মনে আছে। সেই ভ্যানিশ হয়ে যাওয়া সিব্যাস্টিয়ান। পেশায় বিজ্ঞানী। সে গবেষণা করে এমন এক সিরাম আবিষ্কার করলো, যা শিরায় প্রবেশ করলে মানুষ ইনভিসিবল হয়ে যায়! এই এক্সপেরিমেন্টর জন্য সে নিজের ওপরই প্রয়োগ করলো সেই ওষুধ। তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মেদ, রক্ত, মজ্জা গলে গলে কঙ্কাল হয়ে গেলো সে! তারপর সব ভ্যানিশ হয়ে গেলো! এক্সপেরিমেন্ট সাকসেসফুল! কিন্তু মুশকিলটা হলো অন্য জায়গায়। এন্টি মেডিসিন প্রয়োগ করেও আর সে শরীর ফিরে পেলো না। সিব্যাস্টিয়ান ইনভিসিবলই থেকে গেলো!
গল্প শুরু হলো এর পরেই। সিব্যাস্টিয়ানকে কেউ দেখতে পায় না কিন্তু সে সবকিছু দেখতে পায়। ইচ্ছায় অনিচ্ছায়ই হোক, এই সুযোগটা তো সে পেয়েছে! এবার সে যা খুশি তাই করতে পারে।
নিজের ফ্ল্যাটের জানলা দিয়ে পাশের ফ্ল্যাটের সুন্দরী মেয়ে রাইনাকে দেখতো। ওর পোষাক পালটানো, নগ্নতা, একলা ঘরে মেয়েটিকে দেখতো সিবাস্টিয়ান! মনে মনে কামনাও করতো তাকে! ব্যস, ওইটুকুই। তার বেশি কিছু করতো না। কারণ, সিব্যাস্টিয়ান ভদ্রলোক, মানসম্মানের ভয় আছে। তার মতো মানুষ যা চায়,তাই পাওয়া গেলেও যা কিছু করা যায় না।
তা এমন কামনা তো আমরাও কত করি! মনেমনে কতবার সুন্দরের প্রতি আকৃষ্ট হই! কী এমন ক্ষতি হয় তাতে? চাইলেই তো আর পাওয়া যায় না! ভালো লাগছে ঠিকই, কিন্তু যা চাইছি তা পেতে গেলে যতটা মানসম্মান খোয়াতে হবে, তারপর টিকে থাকা মুশকিল হবে। তাই নিয়ন্ত্রণ করতে হয় নিজেকে। অবদমন করতে হয় নিজেদের ইচ্ছে অনিচ্ছাকে।
এবার ধরুন সত্যি সত্যিই আপনি ইনভিসিবল হয়ে গেলেন! কেউ দেখতে পাচ্ছে না। তাহলে কি হবে? ঠিক কি হবে জানি না, তবে কি কি হতে পারে, তার একটা ধারণা শেয়ার করিঃ-
আপনিও তাই করে ফেলবেন, যেমনটা সিব্যাস্টিয়ান করেছিল! যে মেয়েটাকে রোজ লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতেন...একদিন সোজা তার ঘরে গেলেন। তারপর ফাঁকা ঘরে মেয়েটির ওপর জোর খাটালেন! যে কাজটা কদিন আগে করার কথা ভাবতেও পারতেন না, সেটাই আপনি করে ফেললেন! ভয়ের তো কিছু নেই! কেউ তো আপনাকে দেখতে পাচ্ছে না! শাস্তি হবে না, এমন কি মানসম্মানও যাবে না! এখন যা খুশি করবেন! এতোদিন আপনি সমাজের চোখে ছিলেন সম্মানিত, তারই বিপরীত সত্তায় বহন করবেন তীব্র এক নেগেটিভ চরিত্র! নো টেনশন। বিকজ, নাউ ইউ আর ইনভিসিবল ম্যান!
এমন হয়তো আমরা সকলেই। সিব্যাস্টিয়ানের স্বভাব সবার ভেতরেই কমবেশি আছে!
অবশ্য ইনভিসিবল হয়ে ভালোও করা যায়। তবে ভালোগুলি যতটা নিখুঁত, অভিসম্পাতগুলিও ঠিক ততটাই নিদারুণ। যাহা প্রাণ তাহাই প্রাণান্ত!
**(আরও একটা বিশ্বখ্যাত সায়েন্স ফিকশন সিনেমা দেখেছিলাম প্রায় ৩৫ বছর আগে। ছবির নাম 'The Absent minds Professor'- সেই ছবির আদলে মানুষের মনস্তাত্ত্বিক ভাবনা নিয়ে লিখবো অন্যকোনো দিন)
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা, আমিও নিয়মিত দেখতাম।
২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪৯
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: এবার ধরুন সত্যি সত্যিই আপনি ইনভিসিবল হয়ে গেলেন!
......................................................................................
যদি পারতাম তাহলে অনেক কিছু ঘটে যেত এতক্ষনে ! হা হা হা
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: হা হা হা
৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:১৭
শের শায়রী বলেছেন: এইচ জি ওয়েলসের দ্য ইনভিজিবল ম্যান বইটা দেইখেন বা পইড়েন। ভিন্ন আঙ্গিকে অন্য কিছু খুজে পাবেন।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন: শোভন, বইটা পড়েছি দ্বিতীয় বার যখন ছিলাম.... তোমার কামরুজ্জামান দিয়েছিলো!
৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে যে মুভির কথা বলেছেন দেখিনি।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: সময় সুযোগ পেলে দেখবেন - ভালো লাগবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
৮০’র দশকের শুরুতে [SB]ইনভিজিবল ম্যান[/SB] নামে একটি টিভি সিরিয়াল বাংলাদেশ টেলিভিশনে খুবই জনপ্রিয় ছিলো। রাত ০৮:০০ টার বাংলা সংবাদের পর প্রচারিত হতো। খুব সম্ভব রবিবার রাতে অনুষ্টানটি হতো। তখন সাপ্তাহিক বন্ধ ছিলো রবিবার।